Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৭ মে ২০২২

তথ্যবিবরণী ২৭ মে ২০২২

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২১৩২

 

বাংলা সাহিত্য রবীন্দ্র-নজরুলের কাছে ঋণী

                          -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

 

সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। বাংলা সাহিত্য দু’জনের কাছেই ঋণী। রবীন্দ্রনাথ সাহিত্যচর্চা করেছেন প্রায় ৬৮ বছর। অন্যদিকে নজরুল সাহিত্যচর্চা করতে পেরেছেন মাত্র ২০-২৫ বছর। নজরুল ৩৪ বছর ১২০ দিন নির্বাক ছিলেন। এ দীর্ঘ সময় তিনি নির্বাক না থাকলে বাংলা সাহিত্যকে আরো অনেক কিছু দিতে পারতেন।

 

প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বেইলি রোডের অফিসার্স ক্লাব মিলনায়তনে রবীন্দ্র-নজরুল জয়ন্তী উপলক্ষ্যে অফিসার্স ক্লাব ঢাকা আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

কে এম খালিদ বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের অমর সাহিত্যকর্মের উৎস ও প্রেরণাস্থল এই সবুজ শ্যামল বাংলাদেশ। অন্যদিকে নজরুলও বাংলাদেশের প্রকৃতি, মানুষের অকৃত্রিম ভালোবাসা ও শ্রদ্ধায় আকৃষ্ট হয়েছিলেন। এখানকার অনুপম নৈসর্গ থেকে তিনি আহরণ করেছেন গান-কবিতার অনাবিল উপাদান।

 

সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু ব্যক্তিগত ও জাতীয় জীবনের দুঃসময়ে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গানে আশ্রয় খুঁজতেন, অনুপ্রেরণা পেতেন। তাই তিনি কবিগুরু রচিত ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’ গানটিকে বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে নির্বাচন করে কবির সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধন চিরস্থায়ী করেছেন। অন্যদিকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কবি নজরুলের সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত নিবিড়। তিনি নজরুলকে বাঙালি জাতির জাতিসত্তা বিনির্মাণের ঐতিহাসিক রূপকার হিসেবে সম্বোধন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নজরুলকে কলকাতা হতে বাংলাদেশে এনে নাগরিকত্ব প্রদান করা হয় এবং জাতীয় কবির মর্যাদা দেয়া হয়।

 

অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সহ-সভাপতি সাবেক সচিব কে এম মোজাম্মেল হকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর দে। স্বাগত বক্তৃতা করেন অফিসার্স ক্লাব ঢাকার সাধারণ সম্পাদক এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন।

#

 

ফয়সল/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২১৩১

 

রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তথ্য কর্মকর্তাদের অফিস অটোমেশন ও

এপিএএমএস সফটওয়্যার প্রশিক্ষণ কর্মশালা শুরু

 

নওগাঁ, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

 

গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের তথ্য কর্মকর্তাদের নিয়ে অফিস অটোমেশন ও এপিএএমএস সফটওয়্যারের ব্যবহার সংক্রান্ত দু’দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা আজ নওগাঁ সার্কিট হাউস মিলনায়তনে শুরু হয়েছে।

 

নওগাঁ জেলা তথ্য অফিস আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিন প্রধান অতিথি হিসেবে ওয়েবিনারের মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে কর্মশালা উদ্বোধন করেন। অধিদপ্তরের পরিচালক মোঃ তৈয়ব আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে প্রচার কার্যক্রম শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের পরিচালক মোহাম্মদ ওমর ফারুক দেওয়ান, রাজশাহী জেলা তথ্য অফিসের পরিচালক মোঃ ফরহাদ হোসেন, উপপরিচালক নাফেয়ালা নাসরিন, গণযোগাযোগ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোঃ মনির হোসেন, শুকলা বনিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

 

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহাপরিচালক বলেন, অফিস অটোমেশন ও এপিএএমএস সফটওয়্যারের ব্যবহার ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠনের কাজ আরেক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের সুফল গ্রহণ করে সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম শক্তিশালী করতে হবে। বিশেষত সরকারের বিরুদ্ধে অপপ্রচার, সন্ত্রাসবাদ, জঙ্গিবাদ ও ধর্মীয় সম্প্রীতি ইত্যাদি নিয়ে প্রান্তিক পর্যায়ে ব্যাপক গণসচেতনতা তৈরি করতে হবে। জসীম উদ্দিন বলেন, ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে চালিয়ে নিতে অফিস ব্যবস্থাপনা অটোমেশনের বিকল্প নেই। প্রশাসনিক ব্যবস্থায় গতিশীলতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে অটোমেশন ও এপিএএমএস সফটওয়্যার দ্রুত সময়ে চালু করতে তিনি এ সময় অনুরোধ করেন।

 

কর্মশালায় জানানো হয়, অফিস অটোমেশন সরকারি কাজে গতিশীলতা আনবে ও দুর্নীতি প্রতিরোধে সহায়ক হবে। এর ফলে অফিসে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠিত হবে। সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অফিস ইকুইপমেন্ট এর ডাটাবেইজ তৈরিতে এ পদক্ষেপ যুগান্তকারী ভূমিকা রাখবে বলে কর্মশালায় উল্লেখ করা হয়।

 

কর্মশালায় রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের সকল জেলার তথ্য কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

 

#

 

মাসুদ/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২২/২১৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১৩০

 

সব ধর্মের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

                                                  -- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে): 

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে সব ধর্মের মানুষের সমানাধিকার নিশ্চিত করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

 

আজ রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ সেবাশ্রম ফাউন্ডেশনের ১২তম বার্ষিক ধর্মীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

 

বাংলাদেশ সেবাশ্রম ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সুশীল কুমার পাইকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান, বাংলাদেশ পূজা
উদ্‌যাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. চন্দ্রনাথ পোদ্দার, মহানগর সার্বজনীন পূজা কমিটির সভাপতি মনীন্দ্র কুমার নাথ, সহসভাপতি তাপস কুমার পাল ও বাংলাদেশ সেবাশ্রম ফাউন্ডেশন কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক পরিতোষ তরুয়া।

 

মন্ত্রী আরো বলেন, স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদের মাধ্যমে দেশে ধর্মভিত্তিক রাজনীতি বন্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশকে আবার সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্রে পরিণত করার চেষ্টা হয়েছিল। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে বলি দেওয়া হয়েছিল। সে সময় সংবিধানের ৩৮ অনুচ্ছেদ পরিবর্তন করে ধর্মভিত্তিক রাজনীতির সুযোগ করে দিয়েছিল জিয়াউর রহমান। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসে আবার সব ধর্মের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি আরো যোগ করেন, দৃঢ় প্রত্যয়ী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের শেষ আশ্রয়স্থল। তাঁকে ঘিরে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।

 

এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, আমাদের স্বাধীনতার শত্রুরা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। তাদের নতুন প্রজন্মকে রুখে দিতে হলে মুসলমান-হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সবাই মিলে ইস্পাতকঠিন ঐক্য গড়ে তুলতে হবে।

 

বর্তমান সরকারের আমলে নিজেদের সংখ্যালঘু না ভেবে নিজেদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান মন্ত্রী। রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনা তাদের সাথে রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী এ সময় ধর্মীয় কারণে মানুষের মধ্যে অহেতুক বিভাজন তৈরি না করারও অনুরোধ জানান।

 

#

 

ইফতেখার/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০৪৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২১২৯

পদ্মা সেতু হওয়ার পর ড. ইউনূসদের মুখে কথা নেই

                               -- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

কক্সবাজার, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে): 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘ড. ইউনূসসহ আরো অনেকে যারা পদ্মা সেতুর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা বিভিন্ন সময় অনেক বড় বড় কথা বলে, বিশ্বমন্দা, করোনা নিয়ে নসিহত করে, কিন্তু পদ্মা সেতু হওয়ার পর তাদের মুখে আর কোনো কথা নেই।’

আজ কক্সবাজার জেলার সাংস্কৃতিক কেন্দ্রে বাংলাদেশ আবৃত্তিশিল্পী সংসদ আয়োজিত স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে যোগদানের আগে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।

সেতুবিরোধীদের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘শুধু বিএনপি’রই নয়, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের খবরে সিপিডি, টিআইবি এবং আরো যারা পদ্মা সেতুর বিরোধিতা করেছিল, তাদেরও গাত্রদাহ হচ্ছে। আমি আমার চেয়ে অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি গভীর সম্মান রেখেই বলছি, তিনি নিজেও হিলারি ক্লিনটনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাংকের কাছে চিঠি লিখেছিলেন যাতে পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংক অর্থায়ন না করে, সেই অপচেষ্টা চালিয়েছিলেন।’

‘কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা সমস্ত ষড়যন্ত্র উপড়ে ফেলে নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করে প্রমাণ দেখিয়ে দিয়েছেন’ উল্লেখ করে হাছান বলেন, পদ্মা সেতু শুধু আমাদের গর্বের সেতু নয়, শুধু পৃথিবীর অন্যতম দীর্ঘ সেতুই নয়, পদ্মা সেতু আমাদের সক্ষমতার প্রতীক। পদ্মা সেতু আমাদের বাংলাদেশ, আমাদের জনগণ ও সরকারের সক্ষমতার প্রতীক।

সমস্ত ষড়যন্ত্র পেছনে ফেলে যে এটি করা যায়, তা প্রধানমন্ত্রী প্রমাণ করেছেন, বলেন তিনি। এ সময় পদ্মা সেতুর সমালোচক বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব বেগম জিয়া এবং তারেক রহমানের বিষয়েও কথা বলেন মন্ত্রী।

পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর সারা দেশে বিশৃঙ্খলার পেছনে তারেক রহমানের হাত আছে কি না ও তাকে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে কি না -এ প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি এমনকি হাইকোর্টের সামনে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্টের সামনেও বহিরাগত ও সন্ত্রাসীদের সমাবেশ ঘটিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। এগুলোর পেছনে নিশ্চয়ই তাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের হাত আছে।’ 

‘আমাদের কাছে যতটুকু খবর আছে, তারেক রহমান সারা দেশে বিভিন্ন জায়গায় যত সন্ত্রাসী আছে, তাদেরকে ফোন করে এই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির জন্য বলেছে’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাথে সারা দেশে আমাদের নেতাকর্মীদেরকেও বলবো, জনগণকে সাথে নিয়ে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা প্রতিহত করতে।’

হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, ‘তারেক রহমান দুর্নীতি ও গ্রেনেড হামলার দায়ে একজন শাস্তিপ্রাপ্ত, দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি। দণ্ড কার্যকর করার জন্য তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকারি পর্যায়ে আলাপ আলোচনা অব্যাহত আছে। আর প্রধানমন্ত্রীর মহানুভবতা বুঝতে ব্যর্থ বিএনপির বেগম জিয়াকে কারাগারে ফেরত পাঠানোর জন্য জনগণই দাবি তুলেছে।’

কক্সবাজারের রামু আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল, বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি মুহাম্মদ নূরুল হুদা, ডেপুটি কমিশনার  মোঃ মামুনুর রশীদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

আকরাম/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২২/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২১২৮

 

টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য

সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

 

সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :     

 

মূলবার্তা :

হাতি হত্যা দণ্ডনীয় অপরাধ। হাতির আক্রমণে নিহত, গুরুতর আহত ব্যক্তি এবং জানমালের ক্ষতিপূরণ প্রদান করছে সরকার। তাই হাতি হত্যা করা থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানানো হলো।

 

#

দীপংকর/রাহাত/মোশারফ/শামীম/২০২২/২০১০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২১২৭

একুশে পদকজয়ী ভাষাসৈনিক শামসুল হকের ১৭তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত

 

ময়মনসিংহ, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে ময়মনসিংহের কৃতি সন্তান, একুশে পদক জয়ী ভাষাসৈনিক এম শামসুল হকের ১৭ তম মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে।

এ উপলক্ষ্যে আজ ময়মনসিংহের তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলায় দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এম শামসুল হকের পুত্র গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ মে ময়মনসিংহের তারাকান্দা-ফুলপুর সংসদীয় আসন থেকে পাঁচবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য এবং মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ভাষাসৈনিক এম শামসুল হক পরলোকগমন করেন।

রাজনৈতিক জীবনে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। আজীবন তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন।

#

রেজাউল/নাইচ/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৯২৫ঘণ্টা

Handout                                                                                                                     Number : 2126

                                                                                                                                   

Bangladesh and Portugal to collaborate on climate action and ocean economy

 

Dhaka, 27 May:

 

State Minister for Foreign Affairs Mr. Md. Shahriar Alam, paid a call on the Portuguese Minister of Economy and Sea, Dr. Antonio Costa Silva yesterday (26th May 2022) during his ongoing visit to Portugal. 

In an extensive conversation, the State Minister briefed the Portuguese Minister on Bangladesh’s rapid rise in economic and social sectors in recent times. The Economic Minister acknowledged Bangladesh’s dynamic development in recent years in response and attributed this success to the existing political stability under the leadership of the current Prime Minister Sheikh Hasina, its remarkable economic growth and continued regional cooperation in its neighbourhood. 

Recognizing that there remains considerable potential for cooperation between the countries, he reiterated that Portugal stands ready to expand collaboration in the diverse areas spanning renewable energy, green transition, marine technology, ocean economy and so on. Bangladesh State Minister agreed to advance cooperation in these areas and sought Portugal’s support for regional hydropower.

The Minister acknowledged that, both Bangladesh and Portugal being coastal countries, face common existential threat from climate change and rising sea level, which makes it necessary to foster further climate cooperation. 

In response, Bangladesh State Minister apprised him about Bangladesh’s leading role in Indian Ocean Rim Association and the International Seabed Authority and agreed to take forward Bangladesh-Portugal partnership in this regard. He also called for enhanced knowledge sharing and partnership in the areas of oceanography and maritime affairs.

The State Minister asked for the Minister’s attention to the difficulties experienced by the Bangladeshi visa applicants due to the mandatory requirement for physical presence in the Portuguese embassy in New Delhi and requested his intervention in simplifying the process by allowing a service provider to operate in Bangladesh. The Minister acknowledged the importance of a simplified visa procedure to facilitate potential investors and business people of the two countries and agreed to look further into this matter. 

On the trade and investment front, the Portuguese Minister expressed his desire to continue the ongoing cooperation in finalizing the Double Taxation Avoidance Agreement and suggested elaboration of an investment protection agreements. To consolidate the existing partnership at the multilateral level, the Minister invited Bangladesh to participate in the upcoming 2nd UN Ocean Conference to be held from 27th June to 1st July in Portugal. The State Minister confirmed the participation of a High-level Bangladesh delegation in the said conference.

The State Minister was accompanied by Bangladesh Ambassador to Lisbon Tarik Ahsan and other officials. Earlier in the day, Bangladesh State Minister visited Bangladesh Chancery and addressed the Bangladesh Embassy team, followed by paying tribute at the local Shaheed Minar.

 

#

Mohsin/Nice/Rafiqul/Abbas/2022/1802 Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                 নম্বর : ২১২৫ 

শ্রীলঙ্কার সাথে বাংলাদেশের উদাহরণ অযৌক্তিক ও বেমানান

                                           ---স্থানীয় সরকার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :   

 

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, বাংলাদেশ তার নিজস্ব নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত হয় শ্রীলঙ্কার না। তাই শ্রীলঙ্কার অভ্যন্তরীণ সংকটের সাথে আমাদের দেশের উদাহরণ দেয়া অযৌক্তিক এবং বড়ই বেমানান।

আজ রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে আয়োজিত দুই দিনব্যাপী Bangladesh Delta Plan 2100 International Conference: 'Issues and Challenges of Implementation' এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

মন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবস্থার অনেক পরিবর্তন হয়েছে। মানুষের মাথাপিছু আয় ও ক্রয় ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বগুণে দেশে অনেক উন্নত দেশ ও বিদেশি সংস্থা বিনিয়োগ করছে। তাই কোনো দেশ যদি সে দেশের অভ্যন্তরীণ পলিসির কারণে অর্থনৈতিক সংকটে পড়ে এবং একই অবস্থা অন‌্য একটি দেশের হবে এটা বলা অনভিপ্রেত ও অযৌক্তিক এবং এরকম হওয়ার কোনো সম্ভাবনাও নেই।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে উচ্চাকাঙ্ক্ষী ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ মহাপরিকল্পনা’। এই মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করা সম্ভব হয়েছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য। সরকারের ডেল্টা মহাপরিকল্পনা শুধু কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ নেই এবং থাকবেও না। বাংলাদেশকে উন্নত-সমৃদ্ধ ও একটি আত্মমর্যাদাশীল জাতিতে রূপান্তরিত করাই ডেল্টা প্ল্যানের মূল লক্ষ্য। ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের ফলে আগামী প্রজন্ম একটি উন্নত দেশে পাবে। এই দেশ টেকসই হবে।

মন্ত্রী আরো বলেন, নেদারল্যান্ডসের ব-দ্বীপ পরিকল্পনার আলোকে সেদেশের সার্বিক সহযোগিতায় বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনাটি প্রণীত হয়েছে। ডেল্টা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের উন্নয়ন সহযোগীদের সহায়তা প্রয়োজন। এ সময় তিনি বিশ্বব্যাংক, এডিবি এবং জাইকাসহ উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও প্রতিষ্ঠানকে পাশে থাকার আহ্বান জানান। তিনি জানান, ডেল্টা প্ল্যান-২১০০ বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে গতকাল (বৃহস্পতিবার) নেদারল্যান্ডস সরকারের সাথে বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের মধ্যে লেটার অভ্ ইনটেন্ট (এলওআই) স্বাক্ষরিত হয়। উক্ত লেটার অভ্ ইনটেন্টের মাধ্যমে ডাস সরকার জলবায়ুর প্রভাব মোকাবিলায় প্রাথমিকভাবে চট্টগ্রামের রাউজান এবং যশোরের কেশবপুর পৌরসভায় পাইলটিং কার্যক্রম পরিচালনা করবে। পাইলট প্রকল্পের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে পরবর্তীতে শতাধিক পৌরসভায় জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলায় কাজ করা হবে।

পরিকল্পনা বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন পানি সম্পদ উপ-মন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম। এছাড়া পরিকল্পনা কমিশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, নেদারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত এবং দেশি-বিদেশি উন্নয়ন সহযোগী সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

হায়দার/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৮১৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ২১২৪

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :   

 

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৫৯ শতাংশ। এ সময়
৩ হাজার ৮৮৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।      

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ১৩০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ২ হাজার ১৬ জন।

                                                       #

কবীর/নাইচ/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭১৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ২১২৩

আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ ঢাকায় পৌঁছবে আগামীকাল

 

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :

               মহান একুশের অমর সংগীতের রচয়িতা বর্ষীয়ান সাংবাদিক, সাহিত্যিক ও কলাম লেখক আবদুল গাফফার চৌধুরীর মরদেহ রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় আগামীকাল শনিবার সকাল ১১ টায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট বিজি-২০২ যোগে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় পৌঁছবে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে আনুষ্ঠানিকভাবে মরদেহ গ্রহণ করবেন।

               দুপুর ১-৩ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে মরহুমের গার্ড অভ্‌ অনার প্রদান এবং সর্বস্তরের জনগণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে। বিকাল ৩.৩০ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যায়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা; ৪ টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রদ্ধা নিবেদন এবং ৫.৩০ টায় মিরপুর শহিদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে জানাজা শেষে দাফন করা হবে।

               আজ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক পত্রের মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

               উল্লেখ্য, আবদুল গাফফার চৌধুরী গত ১৯ মে ২০২২ লন্ডনের একটি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন।

#

সাজ্জাদ/মেহেদী/জুলফিকার/রফিকুল/মানসুরা/২০২২/১৫৩০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                                                       Number : 2122

Bangladesh has been elected to the governing councils

of all four regional institutions of UNESCAP

Bangkok, 27 May:

Today, Bangladesh has been elected to the governing councils of all four regional institutions of the United Nations Economic and Social Commission for Asia and the Pacific (UNESCAP) in Bangkok, Thailand. The Four regional institutions are the Statistical Institute for Asia and the Pacific (SIAP) which is situated in Makuhari, Japan; the Asian and Pacific Training Centre for Information and Communication Technology for Development (APCICT) which is situated in Incheon City, Korea, and the Centre for Sustainable Agricultural Mechanization (CSAM), which is situated in Beijing, China and the Asian and Pacific Centre for the Development of Disaster Information Management (APDIM) which situated in Tehran, Iran.

Bangladesh is the only country besides India who become elected to the governing councils in all four regional institutions of UNESCAP. The election was held at the United Nations Conference Centre, Bangkok, Thailand as well as at the ESCAP Subregional Office for the Pacific, Suva, Fiji, and at the UN Compound, Beijing, China simultaneously. The members are elected for the period of 2022-24. It is mentionable here that ESCAP has five regional institutions that support the substantive divisions of ESCAP in their goals. Each regional institute has a governing council and they are responsible for reviewing the institutions’ administration and financial status as well as the implementation of the program of work and advising the institute directors on the formulation of the programme of work.

#

Towhidul/Mehedi/Zulfikar/Rafikul/Mansura/2022/1225Hours

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ২১২১

সাহিত্য-সংস্কৃতি-মেধায় বাঙালি জাতি অনেক এগিয়ে

                                                                                                                                                                  -তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :    

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, বাঙালি জাতি হিসেবে সাহিত্যে-সংস্কৃতিতে পৃথিবীর অনেকের চেয়ে এগিয়ে। এ সংস্কৃতি এতো গভীরে প্রোথিত যে, তা পৃথিবীর অনেকের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

গতকাল রাজধানীর একটি হোটেলে কালচারাল জার্নালিস্ট ফোরাম অভ বাংলাদেশ (সিজেএফবি) এর ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।

সিজেএফবি সভাপতি তামিম হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ তৈরি পোশাক উৎপাদকদের সংগঠন বিজিএমইএ সভাপতি ফারুক হাসান,   সিজেএফবি'র সাধারণ সম্পাদক খালেদ আহমেদ, উপদেষ্টা এনাম সরকার প্রমুখ।

ড. হাছান বলেন, ইউরোপের বাইরে প্রথম নোবেল পুরস্কার পান রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর। জাতি হিসেবে আমরা মেধাবী, গাছের যে প্রাণ আছে তা প্রথম প্রমাণ করেন স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু। কিছুদিন আগে পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু ভবন ছিল যে সিয়ার্স টাওয়ার, তার স্থপতি বাঙালি এফ আর খান। অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেন ঢাকার মানুষ।

এই সমৃদ্ধ সংস্কৃতি ও কৃষ্টি সমুন্নত রাখার উদাত্ত আহ্বান জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংস্কৃতি কোনো বদ্ধ জলাশয় নয়, তা মুক্ত এবং বিভিন্ন জাতির সংস্কৃতির মিলন ঘটায়। কিন্তু বিজাতীয় সংস্কৃতির অন্ধ অনুকরণ কখনো কাম্য নয়। সিজেএফবিসহ দেশের সকল সাংস্কৃতিক সংগঠন এবিষয়ে বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে, বলেন হাছান মাহ্‌মুদ।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নেবার পর অন্যান্য বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপের পাশাপাশি দেশের বিনোদন, শিল্পের সুরক্ষা ও প্রসারে পদক্ষেপের কথা জানান ড. হাছান। তিনি বলেন, বিধি করা হয়েছে যে, বিদেশি শিল্পীদের দিয়ে দেশের বিজ্ঞাপনচিত্র নির্মাণ করতে হলে শিল্পীপ্রতি কাজের জন্য ২ লাখ টাকা কর দিতে হবে, আর সে ধরনের বিজ্ঞাপন সম্প্রচারের জন্য টেলিভিশন চ্যানেলকে দিতে হবে ২০ হাজার টাকা। আমাদের দেশের শিল্পীরা অনেক গুণী, প্রতিভাবান এবং তারা বিদেশি বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করতে পারেন। 

দেশবরেণ্য বিনোদন সাংবাদিকবৃন্দ, অভিনয় ও মডেল শিল্পীসহ গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতে রফিকুল আলম, আবিদা সুলতানা, বালাম, মিলা প্রমুখ শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করেন। পাশাপাশি পরিবেশিত হয় ফ্যাশন শো।

#

আকরাম/মেহেদী/জুলফিকার/রফিকুল/মানসুরা/২০২২/১০৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ২১২০

শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৩ জ্যৈষ্ঠ (২৭ মে) :   

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৮ মে শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :      

“শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ৪৬তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।

বরেণ্য চিত্রশিল্পী জয়নুল আবেদিন ১৯১৪ সালে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামবাংলার নৈসর্গিক সৌন্দর্য, সাধারণ মানুষের সহজ-সরল জীবনযাত্রা, মানুষের দুঃখ-দুর্দশা ও সংগ্রামই ছিল তাঁর চিত্রকর্মের মূল উপজীব্য। ১৯৩৮ সালে সর্বভারতীয় চিত্রকলা প্রদর্শনীতে তাঁর অঙ্কিত জলরঙের ছবির জন্য তিনি স্বর্ণপদক লাভ করেন। জয়নুলের কর্মে প্রতিভাত হয়েছে সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে নর-নারীর শ্রম ও সংগ্রাম এবং সেই সাথে তাদের ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ। তিনি ইউরোপীয় স্টাইলে চিত্রাঙ্কনের ওপর লেখাপড়া করলেও প্রাচ্য বা পাশ্চাত্যের অঙ্কনধারা তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। অতিমাত্রায় রীতিনির্ভরতার পরিবর্তে তিনি বাস্তবতার প্রতি আকৃষ্ট হন। এ বরেণ্য শিল্পীর কল্পনার রেখা ও তুলিতে ভাস্বর হয়ে উঠেছে ১৯৪৩ সালের ‘দুর্ভিক্ষের রেখাচিত্র’, ১৯৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপটে ‘নবান্ন’, ১৯৭০ সালে প্রলয়ঙ্করী ঘূর্ণিঝড়ে লাখো উপকূলবাসীর মৃত্যুতে ‘মনপুরা’র মতো হৃদয়স্পর্শী চিত্র। শিল্পীর কালজয়ী শিল্পকর্ম দেশের গণ্ডি পেরিয়ে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলেও বিপুল প্রশংসা ও স্বীকৃতি লাভ করেছে। অসাধারণ শিল্প-মানসিকতা ও কল্পনাশক্তির জন্য তিনি শিল্পাচার্য উপাধিতে ভূষিত হন। 

শিল্পাচার্য জয়নুলের উদ্যোগে ১৯৪৮ সালে ঢাকা আর্ট কলেজ (বর্তমানে চারুকলা ইনস্টিটিউট) প্রতিষ্ঠিত হয়। তিনি ছিলেন এর প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতা এবং শিল্পাচার্য জয়নুলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯৭৫ সালে সোনারগাঁয়ে লোকশিল্প জাদুঘ

2022-05-27-16-15-53ac14156427d952892d3a170d8f31f6.doc