তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৭
বাংলাদেশে ফিনটেক সেক্টরে বিনিয়োগে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান অর্থ প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
বাংলাদেশে ফিন্যান্সিয়াল টেকনোলজি (ফিনটেক) সেক্টরে বিনিয়োগের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান। তিনি বলেন, সরকার বেসরকারি খাতের সহযোগী হয়ে দেশের উন্নয়নে কাজ করছে। বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীল ও ব্যবসায়িক পরিবেশ ভালো। এজন্য বাংলাদেশে ব্যবসা করা সহজ। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের বৃহত্তম রপ্তানি ও বৈদেশিক বিনিয়োগেরও উৎস যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন কোম্পানি, মাস্টারকার্ড এবং ভিসা বাংলাদেশের আর্থিক অন্তর্ভুক্তি এবং ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েস্টিন হোটেলে আমেরিকান চেম্বার অভ্ কমার্স ইন বাংলাদেশ অ্যামচাম আয়োজিত ‘ড্রাইভিং ফিন্যানন্সিয়াল ইনক্লুশন ফর স্মার্ট বাংলদেশ’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
অ্যামচাম সভাপতি সৈয়দ এরশাদ আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন দূতাবাসের কমার্শিয়াল কাউন্সিলর (ফরেন কমার্শিয়াল সার্ভিস) জন ফে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল পেমেন্টকে উৎসাহিত করতে সরকার বিভিন্ন কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। ক্যাশলেস লেনদেন ২০২৫ সালের মধ্যে ৩০ শতাংশ এবং ২০৩১ সালের শতভাগ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক ২০২৬ সালের মধ্যে শতভাগ মানুষকে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির আওতায় আনার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় আর্থিক অন্তর্ভুক্তি কৌশল ২০২১-২৬ বাস্তবায়ন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশের অঙ্গীকার বাস্তবায়নে চলতি অর্থবছরের বাজেটে এ কার্যক্রমের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে এক ব্যবসায়ীর প্রশ্নের উত্তরে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকের সুদেরহার বাজারভিত্তিক করা হচ্ছে এবং মুদ্রা বিনিময় হার পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এর ইতিবাচক ফল পেতে শুরু করেছি। জুন মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে। তিনি বলেন, সুদেরহার যখন নয়-ছয় ছিলো সেসময় আমরা খেলাপি হওয়ার মতো অনেক ঘটনা দেখেছি। ব্যবসার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অর্থায়ন সরবরাহে বাজারভিত্তিক সুদেরহার কেমন হয়, সেটা দেখার জন্য আরো কিছুটা সময় দেওয়ার প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন অর্থ প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, অ্যামচামের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য, অ্যামচামের নির্বাহী পরিচালক, দূতাবাস, আন্তর্জাতিক সংস্থার বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এবং অন্যান্য ব্যবসায়ী সংস্থার নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
আলমগীর/শফি/রানা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৬
পার্বত্য অঞ্চলে বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উন্নয়নে
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ
-- আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতির উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত পদক্ষেপ গ্রহণের প্রতি গুরুত্বারোপ করেছেন। তিনি আজ জাতীয় সংসদ ভবনস্থ কার্যালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব এ. কে. এম শামিমুল হক ছিদ্দিকীর সাথে বৈঠককালে এ কথা বলেন।
সভায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে বিরাজমান আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, নিরাপদ জীবনমান নিশ্চিত, পার্বত্য চুক্তি বাস্তবায়ন কমিটির কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়ন ও প্রয়োজনীয় জনবলের পদ সৃজন, বৈদেশিক প্রশিক্ষণ কর্মসূচির মাধ্যমে কমিটির সদস্য ও কর্মকর্তাদের কাজের মানোন্নয়ন-সহ প্রয়োজনীয় লজিস্টিক সাপোর্ট প্রদান এবং পার্বত্য চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারাসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ৭২টি ধারার অধিকাংশই বাস্তবায়িত হয়েছে। তিনি চুক্তির অবাস্তবায়িত ধারাসমূহ বাস্তবায়নে নবনিযুক্ত সচিব এর গতিশীল ভূমিকা রাখার পরামর্শ প্রদান করেন। তিনি নবনিযুক্ত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবকে ধন্যবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাঁর নেতৃত্বে মন্ত্রণালয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
#
আহসান/শফি/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৪০ ঘণ্টা
Handout Number: 15
Meeting held between Environment Minister and
State Minister for Power on 40% renewable energy usage
Dhaka, July 2:
Environment, Forest, and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury and State Minister for Power, Energy, and Mineral Resources Nasrul Hamid held a bilateral meeting at the State Minister’s office in the Ministry of Power, Energy, and Mineral Resources at the Bangladesh Secretariat Today. The meeting focused on discussing the necessary actions to achieve the government’s target of using 40 percent renewable energy by 2041.
During the meeting, it was highlighted that Bangladesh will submit its Nationally Determined Contributions (NDC) to the UNFCCC next year. Determining emission targets for the power and energy sectors is a crucial aspect of this process. Both ministers engaged in a thorough discussion on this matter and agreed on taking effective steps aligned with the government's environment-friendly development policies.
Environment, Forest, and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury stated, Effective measures to be taken to ensure the use of 40 percent renewable energy by 2041. To increase the use of renewable energy and reduce emissions as per the target, we need to adopt and implement precise and sustainable plans. Coordination between the Ministry of Environment and the Ministry of Power will be further strengthened for this purpose.
The meeting also discussed the implementation of the government’s master plan for the power and energy sector. Such meetings will continue periodically to strengthen the cooperation and coordination between the two ministries in achieving the country’s environment-friendly and sustainable development goals.
#
Dipankar/Shafi/Rana/Rafiqul/Salim/2024/19.20 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৪
৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিতে
করণীয় বিষয়ে পরিবেশমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বৈঠক
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ে প্রতিমন্ত্রীর অফিসকক্ষে এক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের মোট জ্বালানির ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহারে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে করণীয় বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ আগামী বছর ইউএনএফসিসিসিতে (UNFCCC) জাতীয় নির্ধারিত অবদান (এনডিসি) জমা প্রদান করবে। এ প্রক্রিয়ায় বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের নির্গমন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দুই মন্ত্রীই এ বিষয়ে গভীর আলোচনা করেন এবং সরকারের পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের বিষয়ে একমত পোষণ করেন।
মন্ত্রী বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে ৪০ শতাংশ নবায়নযোগ্য জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করার লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানির ব্যবহার বৃদ্ধি এবং নির্গমন কমাতে আমাদের সঠিক ও টেকসই পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে। এ লক্ষ্যে পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমন্বয় আরো জোরদার করা হবে।
বৈঠকে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে সরকারের মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়। দেশের পরিবেশবান্ধব ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে দুই মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা ও সমন্বয় আরো জোরদার করার লক্ষ্যে সময়ে সময়ে এ ধরনের বৈঠক অব্যাহত থাকবে বলে মন্ত্রী জানান।
#
আসলাম/শফি/রানা/মোশারফ/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী সোমবার সকাল ৮টা থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ সময় ৩২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৭ শতাংশ।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৯৮ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৮ হাজার ৫৩৩ জন।
#
দাউদ/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮৩৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১২
এডিবি’র ভাইস প্রেসিডেন্টের সাথে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর বৈঠক
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এর সাথে এশিয়ান উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) এর দক্ষিণ, মধ্য এবং পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং এর বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর কার্যালয়ে ইংমিং ইয়াং এর নেতৃত্বে একটি ছয় সদস্যবিশিষ্ট প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) বাংলাদেশের একটি বিশ্বস্ত উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ২২৭টি প্রজেক্টের মধ্যে এডিবি'র সহায়তায় বাস্তবায়িত প্রজেক্ট ১০টি। যার আর্থিক বরাদ্দের পরিমাণ ২২ হাজার ৩৫৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। বাংলাদেশ এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের অন্যতম আর্থিক সহযোগী পার্টনার হিসেবে আমরা চাই, এই সহায়তা অব্যাহত থাকুক।
মন্ত্রী আরো বলেন, সম্প্রতি বাংলাদেশের উপকূল অঞ্চলে বয়ে যাওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল এবং সিলেট বিভাগসহ অন্যান্য অঞ্চলে বন্যায় বিশাল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। যেখানে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতি প্রায় ১৬ শত কোটি টাকা এবং জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৪শত কোটি টাকা। এডিবি'র সাথে চলমান প্রজেক্টগুলোর পাশাপাশি আমরা এডিবি'র কাছ থেকে উপকূল এবং বন্যা প্লাবিত অঞ্চলের সহায়তায় আর্থিক সাহায্য প্রত্যাশা করছি। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক আর্থিক সহায়তা প্রতিষ্ঠান থেকে আমাদের প্রায় ১১ বিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা নেওয়ার প্রস্তাব আছে। শর্ত সাপেক্ষে আমরা সে সহায়তাও নিতে পারি, নতুবা নিজস্ব অর্থায়নে আমরা এই ক্ষয়ক্ষতি মেটাবো।
এডিবি'র দক্ষিণ, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়ার ভাইস প্রেসিডেন্ট ইংমিং ইয়াং বলেন, এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক সামাজিক উন্নয়ন সংস্থা হিসেবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, টেকসই পরিবেশ এবং আঞ্চলিক একত্রীকরণের মাধ্যমে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে দারিদ্র্য হ্রাস করে। পাশাপাশি উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণে এডিবি সর্বাত্মক সহায়তা করে। বাংলাদেশের ব্যাপারেও আমরা আশাবাদী। আমরা চাই, বাংলাদেশও উন্নয়নশীল দেশ থেকে উন্নত দেশে পরিণত হোক।
ইংমিং ইয়াং আরো বলেন, বাংলাদেশে এটা আমার প্রথম সফর। এই সফরের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর আগামী লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্যের সাথে সমান্তরালে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকও কাজ করে যেতে চায়।
বৈঠকে এডিবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এডিমন গিন্টিং, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আলী আকতার হোসেন, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী তুষার মোহন সাধু খাঁসহ এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকতাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
পবন/শফি/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১১
চাকুরি নিয়ে সৌদি গমনেচ্ছুদের প্রতারণা থেকে রক্ষায় কাজ করবে বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স
-পররাষ্ট্রমন্ত্রী
রিয়াদ, (সৌদিআরব) ২ জুলাই:
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, চাকুরি নিয়ে সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক বাংলাদেশিদেরকে প্রতারণা থেকে রক্ষায় বাংলাদেশ-সৌদি আরবের যৌথ টাস্কফোর্স কাজ করবে। তিনি আরো বলেন, সৌদি আরবে বাংলাদেশি জনশক্তি রপ্তানিতে আরো স্বচ্ছতা আনা এবং স্বার্থান্বেষী মহলের শ্রমিক হয়রানি বন্ধে এ টাস্কফোর্স গঠনের বিষয়ে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাথে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।
মন্ত্রী গতকাল সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে বাংলাদেশ দূতাবাসে বাংলাদেশি প্রবাসীদের সাথে মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন। এসময় প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সরকারের নেতৃত্বে দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডের সামগ্রিক চিত্র তুলে ধরে বলেন, বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলাদেশকে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে অভাবনীয় উন্নয়ন-অগ্রগতির পথে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন, সমগ্র বিশ্ব তাঁর প্রশংসা করছে। সৌদি সরকারও তাঁর ভূয়সী প্রশংসা করেছে।
জাতীয় অর্থনীতিতে প্রবাসীদের অবদান ব্যাপক ও গুরুত্ববহ উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ প্রবাসীদের জন্য রেমিট্যান্স প্রেরণে প্রণোদনা, অনলাইন অফশোর ব্যাংকিং ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রায় হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ, সর্বজনীন পেনশন সুবিধা, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের মাধ্যমে ঋণ বিতরণসহ সরকারের নানা পদক্ষেপ তুলে ধরেন। পাশাপাশি তিনি প্রবাসীদের স্থানীয় আইন-কানুন মেনে চলা এবং দেশবিরোধী প্রচারণার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকাসহ দূতাবাসের কনস্যুলার সেবার মান উন্নয়ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সৌদি আরবে আরো বেশি সংখ্যক দক্ষ বাংলাদেশি পেশাজীবী নিয়োগ, আকামা নবায়ন সহজীকরণ, সাংস্কৃতিক বিনিময়, চট্টগ্রাম থেকে রিয়াদ সরাসরি বিমান ফ্লাইট চালু, ওয়েজ আর্নারস বন্ড, প্রবাসীদের স্বাস্থ্যবিমা, মৃত প্রবাসীদের লাশ ফেরত আনার সুব্যবস্থা, আইনি সহায়তা, দূতাবাসের মাধ্যমে পাসপোর্ট নবায়ন, এনআইডি কার্ডের তথ্য সংশোধন ও পরিবারের ভিসা নবায়নের বিষয়ে প্রবাসীদের দাবি-দাওয়া সমাধানের আশ্বাস দেন।
সৌদিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো: জাবেদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সভায় অতিরিক্ত পররাষ্ট্র সচিব ড. মু. নজরুল ইসলাম বক্তৃতা করেন।
#
আকরাম/ফাতেমা/সিরাজ/রবি/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২৪/১৪৪২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১০
সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রত্যয়-এর প্রাসঙ্গিক বিষয়ের স্পষ্টীকরণ
ঢাকা, ১৮ আষাঢ় (২ জুলাই):
সর্বজনীন পেনশন ‘প্রত্যয়’-এর স্কিম যাত্রা চলতি বছরের ১ জুলাই থেকে শুরু হয়েছে। সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থায় আনয়নের লক্ষ্যে অন্যান্যে পাশাপাশি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত, রাষ্ট্রায়ত্ত ও তার অঙ্গসংগঠনের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য এ স্কিম প্রবর্তন করা হয়েছে।
প্রত্যয় স্কিম সম্পর্কে কিছু বিষয়ে অধিকতর স্পষ্টীকরণ:
১। ৩০ জুন ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত যে সকল শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারী চাকরিরত আছেন তারা পূর্বের ন্যায় সকল পেনশন সুবিধা প্রাপ্য হবেন।
২। বর্তমানে সরকারি পেনশনে Unfunded Defined Benefit সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা প্রচলিত আছে। ফলে, পেনশনের যাবতীয় ব্যয় প্রয়োজন অনুযায়ী প্রদত্ত বাজেট বরাদ্দ থেকে মেটানো হয়। ১ জুলাই ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে Funded Defined Contributory সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থা চালু হবে বিধায় বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বেতন থেকে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাসিক জমার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বা কর্মচারীর প্রাপ্ত মূলবেতনের ১০% বা সর্বোচ্চ ৫ (পাঁচ) হাজার টাকা যাহা কম হয় তাহা কর্মকর্তা বা কর্মচারীর বেতন হতে কর্তন করবে এবং সমপরিমাণ অর্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা প্রদান করবে। অতঃপর উভয় অর্থ উক্ত কর্মকর্তা/কর্মচারীর কর্পাস একাউন্টে জমা হবে।
৩। Unfunded Defined Benefit সিস্টেমের পেনশন ব্যবস্থায় সরকারের আর্থিক সংশ্লেষ ক্রমাগত বৃদ্ধি পায় যা দীর্ঘমেয়াদে কোনক্রমেই টেকসই ব্যবস্থা নয়। অপরদিকে Funded Contributory পেনশন সিস্টেমে প্রাপ্ত কন্ট্রিবিউশন এবং বিনিয়োগ মুনাফার ভিত্তিতে একটি ফান্ড গঠিত হবে বিধায় এটি দীর্ঘমেয়াদে একটি টেকসই পেনশন ব্যবস্থা। উল্লেখ্য, পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ২০০৪ সাল থেকে ফান্ডেড কন্ট্রিবিউটরি পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে।
৪। নতুন পেনশন ব্যবস্থাপনা প্রবর্তনের মাধ্যমে ধীরে ধীরে সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে টেকসই সামাজিক নিরাপত্তা কাঠামোর মধ্যে আনা সম্ভব হবে। এতে Financial Inclusion এবং Inclusive Development নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।
৫। কোন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আবেদনের পর নিজ বিশ্ববিদ্যালয় বা অন্য কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে একই পদে বা উচ্চতর কোন পদে নিয়োগপ্রাপ্ত হলে তিনি সার্ভিস প্রোটেকশন ও
পে প্রোটেকশন প্রাপ্ত হন বিধায় এটিকে নতুন নিয়োগ হিসাবে গণ্য করা হয়না। সেক্ষেত্রে তাঁর বিদ্যমান পেনশন সুবিধার আওতায় থাকার সুযোগ থাকবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক ও কর্মচারী যারা ২০২৪ সালের ১ জুলাই ও তৎপরবর্তী সময়ে নতুন নিয়োগপ্রাপ্ত হবেন কেবলমাত্র তারা প্রত্যয় স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হবেন।
৬। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইনে ৬০ বছর বয়স থেকে পেনশন প্রাপ্তির উল্লেখ থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ ৬৫ বছর থেকে অবসরে যাবেন বিধায় ৬৫ বছর থেকে আজীবন পেনশন প্রাপ্ত হবেন। এক্ষেত্রে সরকার আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে।
৭। লাম্পগ্র্যাণ্ট, পিআরএল ও প্রভিডেন্ট ফান্ড বর্তমান ব্যবস্থায় বহাল থাকবে।
৮। কন্ট্রিবিউটরি পেনশন সিস্টেমে অংশগ্রহণকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এককালীন নয় বরং মাসিক পেনশনের যুক্তিসংগত পরিমাণ নির্ধারণ করাই অগ্রগণ্য বিধায় এক্ষেত্রে আনুতোষিকের ব্যবস্থা রাখা হয়নি বরং বিদ্যমান মাসিক পেনশনের কয়েকগুণ বেশি মাসিক পেনশন প্রদানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। প্রত্যয় স্কিমে মাসিক ৫০০০ টাকা বেতন থেকে কর্তন করা হলে একই পরিমাণ অর্থ প্রতিষ্ঠান জমা প্রদান করলে ৩০ বছর পর একজন পেনশনার প্রতি মাসে ১,২৪,৬৬০ টাকা হারে আজীবন পেনশন পাবেন। তাঁর নিজ আয়ের মোট জমাকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ লক্ষ টাকা এবং তিনি যদি ১৫ বছর ধরে পেনশন পান সেক্ষেত্রে তাঁর মোট প্রাপ্তি হবে ২ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৮ হাজার ৮০০ টাকা যা তাঁর জমার প্রায় 12.5 গুণ। পেনশনার পেনশনের যাবার পর ৩০ বছর জীবিত থাকলে তাঁর জমার প্রায় ২৫ গুণ অর্থ পেনশন পাবেন।
৯। বিদ্যমান ব্যবস্থায় পেনশনার আজীবন পেনশন পান। তার অবর্তমানে পেনশনারের স্পাউজ এবং প্রতিবন্ধী সন্তান আজীবন পেনশন পান। নতুন পেনশন ব্যবস্থায়ও পেনশনার আজীবন পেনশন পাবেন। পেনশনারের অবর্তমানে তার স্পাউজ বা নমিনি পেনশনারের পেনশন শুরুর তারিখ থেকে ১৫ বছর হিসাবে যে সময় অবশিষ্ট থাকবে সে পর্যন্ত পেনশন প্রাপ্য হবেন। উদাহরণস্বরুপ, একজন পেনশনার অবসরে যাবার পর পেনশন ভোগরত অবস্থায় ৫ বছর পেনশন পেয়ে তারপর মারা গেলেন। এক্ষেত্রে তার স্পাউজ বা নমিনি আরো ১০ বছর পেনশন পাবেন।
বর্তমানে ৪০৩ টি স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান রয়েছে। উক্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে ৯০টির মতো প্রতিষ্ঠানে পেনশন ব্যবস্থা চালু আছে। অবশিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহ কন্ট্রিবিউটরি প্রভিডেন্ট ফান্ড (সিপিএফ) এর আওতাধীন। সিপিএফ সুবিধার আওতাধীন প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মচারীগণ এককালীন আনুতোষিক প্রাপ্ত হয়ে থাকেন, কোন পেনশন পান না। তাছাড়া সরকারি, স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ছাড়া দেশের বিপুল সংখ্যক জনসাধারণ একটি সুগঠিত পেনশনের আওতা বহির্ভূত থাকায় সরকার সকল শ্রেণি-পেশার মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের মাধ্যমে একটি সুগঠিত পেনশন কাঠামো গড়ে তোলার জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমের প্রবর্তন করেছে। সর্বজনীন পেনশন ব্যবস্থাপনা আইন, ২০২৩ এর ১৪ (২) ধারা অনুযায়ী দেশের সকল মানুষের জন্য পেনশন স্কিম প্রবর্তনের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানে ১ জুলাই ২০২৪ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সকল কর্মচারী বাধ্যতামূলকভাবে প্রত্যয় স্কিমের আওতাভুক্ত হবেন। মাননীয় অর্থমন্ত্রী ২০২৪-২৫ অর্থ বছরের বাজেট বক্তৃতায় সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন ১ জুলাই ২০২৫ বা তৎপরবর্তীতে যোগদানকারী সরকারি কর্মচারীরাও সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসবেন।
#
তৌহিদুল/ফাতেমা/সিরাজ/রবি/সাজ্জাদ/আসমা/২০২৪/১৫৪৫ ঘণ্টা