তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৪৩
আইইবি’র টেলিমেডিসিন সেবা চালু উদ্বোধনকালে টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী
বর্তমান ক্রান্তিকালে ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনধারা সচল রেখেছে
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, পৃথিবীর বর্তমান মহাক্রান্তিকালে ডিজিটাল প্রযুক্তি জীবনধারা সচল রেখেছে। সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া এবং চীন ডিজিটাল প্রযুক্তি প্রয়োগ করে করোনা সক্রমণ বিস্তার রোধে অনেক সফলতাও পেয়েছে। বিশ্বে টেলিকম খাত শ্বাস প্রশ্বাসের মতোই প্রয়োজনীয় একটি বিষয় হয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শারীরিকভাবে উপস্থিত হয়ে চিকিৎসা করার বাধ্যবাধকতা অতিক্রম করার সময় এসেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তিতে প্রত্যন্ত গ্রামের একজন রোগীকে পৃথিবীর যে কোনো জায়গা থেকে অপারেশন করাও এখন সম্ভব।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় তাঁর বেইলী রোডের সরকারি বাসভবন থেকে বিশ্বব্যাপী মহামারি নভেল করোনা ভাইরাসে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সারা দেশের মানুষের কাছে চিকিৎসা সেবা পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, বাংলাদেশ (আইইবি) বিনামূল্যে টেলিমেডিসিন (মুঠোফোনে চিকিৎসা) সেবা চালু উপলক্ষে আয়োজিত ভিডিও কনফারেন্সে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, জীবন, জীবিকা, অর্থনীতি, শিল্পবাণিজ্য বর্তমান করোনা পরিস্থিতিতে অনিশ্চয়তার মধ্যে দাঁড়িয়ে আছে। এই পরিস্থিতি খুব সাহসের সাথে মোকাবেলা করতে হবে। সড়ক, নদী এবং আকাশ পথসহ সমস্ত যোগাযোগ যখন বন্ধ হয়ে গেছে তখন ডিজিটাল যোগাযোগই হচ্ছে প্রকৃতপক্ষে সকল যোগাযোগের কেন্দ্রবিন্দু। বাংলাদেশের ডিজিটাল অগ্রগতির ফলে দুঃসময়ে মানুষ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর সুযোগ হয়েছে। ডিজিটাল প্রযুক্তি ব্যবহার করে যাতে মানুষের চিকিৎসা সেবা দেওয়া যায় সেই দিকে গুরুত্ব দিতে হবে।
ভিডিও কনফারেন্সে আইইবির প্রেসিডেন্ট এবং আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মো আবদুস সবুরের সভাপতিত্বে আরো যুক্ত ছিলেন আইইবির বর্তমান সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী খন্দকার মনজুর মোর্শেদ, আইইবির নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ শাহাদাৎ হোসেন শীবলু, আইইবি ঢাকা কেন্দ্রের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আবুল হোসেন, সম্পাদক প্রকৌশলী কাজী খায়রুল বাশার, আইইডিসিআর এর সাবেক পরিচালক ডা. মো ইউসুফ প্রমুখ।
পরে মন্ত্রী টেলিমেডিসিন সেবার হটলাইন নাম্বারে কল করে এই সেবার উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, দেশের যে কেউ ০৯৬১১৮৮৮১১১ নাম্বারে ফোন দিয়ে টেলিমেডিসিন সেবা নিতে পারবেন প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত। যেখানে পর্যায়ক্রমে ৩০ জন বিশেষজ্ঞ ডাক্তার বিনামূল্যে সেবা দেবেন।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২১৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৪২
চিড়া-মুড়ি উৎপাদন করছে ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরী
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
আসন্ন রোজা সামনে রেখে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)-এর ময়মনসিংহ ও নওগাঁ শিল্পনগরীর শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহ চিড়া-মুড়িসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন করছে। রমজান মাসে ভোক্তাদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে এ সকল নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রাখা হয়েছে।
বিসিকের সূত্রে জানা গেছে, ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর মোট ১১টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক ৯০ মেট্রিক টনের অধিক চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ লাখ ৯২ হাজার টাকা। ময়মনসিংহ ও নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে উৎপাদিত চিড়া ও মুড়ি বৃহত্তর ময়মনসিংহ ও উত্তরাঞ্চলসহ সারাদেশে সরবারহ করা হয়।
বিসিক শিল্পনগরী ময়মনসিংহের শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোঃ মনজুরুল ইসলাম জানান, এ শিল্পনগরীতে মোট ৭২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাবের কারণে পবিত্র রমজানে বিভিন্ন নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের চাহিদা বিবেচনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৭টি শিল্প কারখানা চালু রাখা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি কারখানায় বর্তমানে দৈনিক ৮৬ মেট্রিক ট্রন মুড়ি ও চিড়া উৎপাদিত হচ্ছে। চিড়ামুড়ি ছাড়া ময়মনসিংহ বিসিক শিল্পনগরীতে জীবনরক্ষাকারী ঔষধ , বিস্কুট, কেক, রুটি, সরিষার তেল, মশার কয়েল, বালাইনাশক, প্রিন্টিং ও প্যাকেজিং পণ্য উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে বলে জানান মনজুরুল ইসলাম।
অন্যদিকে, নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে ৫৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠানের মধ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে বর্তমানে ২৯টি চালু রয়েছে। এগুলোর মধ্যে ৪টি শিল্প প্রতিষ্ঠান বর্তমানে দৈনিক সাড়ে চার মেট্রিক টন চিড়া ও মুড়ি উৎপাদন করছে। এছাড়াও এ শিল্পনগরীতে চাল, ডাল, সরিষার তৈল, খৈল, পশুর ঔষধ ও খাদ্য, পাউরুটি, বিস্কুট, কেক, ডাল ও ভূষি, টিউবওয়েলহেডসহ অন্যান্য হালকা প্রকৌশল যন্ত্রপাতি উৎপাদন অব্যাহত রয়েছে।
নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীর শিল্পনগরী কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ারুল আজিম বলেন, কারখানাগুলোতে স্বাস্থ্য বিধি অনুসরণের বিষয়টি বিসিকের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিকভাবে মনিটরিং করার পাশাপাশি কারখানা চালু রাখতে মালিকদের সার্বিক সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। নওগাঁ বিসিক শিল্পনগরীতে মোট এক হাজার ৭শ দুই জনের কর্মসংস্থান হয়েছে বলে তিনি জানান ।
#
মাসুম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০৩৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৪১
'কোভিড-১৯ এবং সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব ও করণীয়' বিষয়
ইউনেস্কো'র আয়োজনে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর অংশগ্রহণ
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
'করোনা ভাইরাসজনিত রোগ কোভিড-১৯ এর বৈশ্বিক মহামারীর প্রেক্ষিতে বিদ্যমান স্বাস্থ্য সংকট এবং সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব ও করণীয়' বিষয়ে জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি সংস্থা ইউনেস্কো'র আয়োজনে সদস্যভুক্ত দেশসমূহের সংস্কৃতি মন্ত্রীদের অংশগ্রহণে প্রথম ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যোগদান করেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ।
প্রতিমন্ত্রী আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর বেইলি রোডস্থ সরকারি বাসভবন মিনিস্টার্স অ্যাপার্টমেন্ট থেকে জনপ্রিয় অনলাইন মিটিং অ্যাপ 'জুম' এর মাধ্যমে এ ভার্চুয়াল মিটিংয়ে যুক্ত হন।
ইউনেস্কো নির্ধারিত তিন মিনিটের নির্দিষ্ট বক্তব্যে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, সারাবিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশও করোনা মহামারীতে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। এর ফলে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড এবং সাংস্কৃতিক বিনিময় কার্যক্রম বর্তমানে সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন মেয়াদি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন যেখানে কর্মহীন, অসচ্ছল, প্রান্তিক শিল্পী ও সংস্কৃতি কর্মীসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও সংস্কৃতি খাতে কোভিড-১৯ এর প্রভাব হ্রাসকল্পে বিভিন্ন সময়োপযোগী উদ্যোগ ও কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেছে, যা সংকট উত্তরকালীন সাংস্কৃতিক পুনর্জাগরণে সহায়তা করবে।
কে এম খালিদ বলেন, কোভিড-১৯ প্রসূত সংকট নিরসনে সংস্কৃতি খাতে অগ্রাধিকারমূলক যেসব প্রশমন কৌশল নেওয়া প্রয়োজন তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- সংস্কৃতি খাতে এর প্রভাব নিরূপণ, ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে সকল জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্থাপনা পরিদর্শনের ব্যবস্থা গ্রহণ, অসচ্ছল ও প্রান্তিক শিল্পীদের এককালীন অনুদানের ব্যবস্থা করা, সরকার কর্তৃক শিল্পীদের তৈরি মূল শিল্পকর্ম ক্রয় করা যাতে উভয়পক্ষ উপকৃত হয়, ভালো মানের রেকর্ডকৃত অনুষ্ঠান তৈরিপূর্বক বিভিন্ন টিভি চ্যানেলে সম্প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠান প্রস্তুতপূর্বক বিভিন্ন ডিজিটাল মিডিয়ায় সম্প্রচার, জাদুঘর ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যগত স্থাপনার জন্য বিশেষ বরাদ্দ প্রদান প্রভৃতি।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড পুনরুদ্ধার ও সংস্কৃতি ক্ষেত্রে প্রাণচাঞ্চল্য ফিরিয়ে আনতে জাতীয়, আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে যেসব পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা হলো- ইউনেস্কো'র পক্ষ হতে জরুরি তহবিল প্রদান করা যার মাধ্যমে এ খাতের প্রভাব নিরূপণ ও ঝুঁকিপূর্ণ গোষ্ঠীকে সহায়তার ব্যবস্থা করা যায়, আন্তর্জাতিকভাবে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে ইভেন্ট বা অনুষ্ঠান আয়োজন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে অধিক হারে সংস্কৃতি খাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পুনঃবিনিয়োগ ও পুনঃপরিদর্শন, ফলপ্রসূ আন্তঃরাষ্ট্রীয় সংলাপের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বৃদ্ধিপূর্বক সংস্কৃতি খাতকে পুনরুদ্ধার করা, সরকার ও ইউনেস্কো প্রদত্ত অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজের মাধ্যমে এ খাতে সহায়তা করা।
প্রতিমন্ত্রী সারাবিশ্বে করোনা ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এ মৃত্যুবরণকারীদের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং আশা প্রকাশ করেন যে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা শীঘ্রই এ মারাত্মক সংকট কাটিয়ে ওঠতে পারব।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ইউরোপীয় সময় আজ দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা (বাংলাদেশ সময় আজ বিকাল ৫টা হতে রাত ১০টা) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে ইউনেস্কো'র সদস্যভুক্ত ১০৮ টি দেশের সংস্কৃতি মন্ত্রীগণ অংশগ্রহণ করছেন। ইউনেস্কো'র সংস্কৃতি বিষয়ক নির্বাহী অফিসের প্রধান ডরিন ডুবোইস (Dorine Dubois) পাঁচ ঘণ্টার এ অনলাইন মিটিং পরিচালনা করেন।
#
ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০২৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৪০
কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সহযোগিতা জোরদারে ওআইসির নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
কোভিড-১৯ সংকট মোকাবেলায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কর্মপন্থা নির্ধারণ ও স্বাস্থ্য কর্মীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) এর নির্বাহী কমিটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বিশেষ বৈঠকে আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এই বৈঠকে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। স্বাগত বক্তব্যে ড. মোমেন এই মহামারী মোকাবেলায় ইসলামের চিরায়ত আদর্শ ও মুসলিম ভ্রাতৃত্ববোধ হতে উৎসারিত সমন্বিত প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান। তিনি চিকিৎসা বিজ্ঞান এবং সরঞ্জামাদি নিয়ে যে সকল গবেষণা প্রতিষ্ঠান কাজ করে তাদেরকে কর্পোরেট প্রতিষ্ঠানের সাথে একত্রিত করে এই মুহূর্তে অতি প্রয়োজনীয় জীবন রক্ষাকারী সরঞ্জামাদি তৈরি করার কাজে লাগাতে ওআইসি সচিবালয় এবং এর অঙ্গ সংগঠনসমূহকে আহ্বান জানান।
অভিবাসী শ্রমিক, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্য ও ওআইসিভুক্ত দেশে যে সকল মুসলিম শ্রমিক কাজ করে্, তাদের দূরবস্থার কথা মাথায় রেখে মন্ত্রী তাদের চাকুরি বজায় থাকার নিশ্চয়তা প্রদানের ব্যবস্থা করার জন্য সদস্য রাষ্ট্রসমূহকে অনুরোধ করেন, যাতে করে বেকারত্বের কারণে সৃষ্ট ক্ষতি কমানো ও সামাজিক সমতা বজায় রাখা যায়। সদস্য রাষ্ট্রসমূহের স্বেচ্ছায় অনুদান প্রদানের মাধ্যমে একটি Covid-19 Response and Recovery Fund গঠনে এই সভায় বাংলাদেশ একটি প্রস্তাবনা রাখে।
এই মহামারীর প্রকট না কমা পর্যন্ত মুসলিম অভিবাসীদের সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় আর্থিক ও চিকিৎসা সহায়তা প্রদান এবং তাদের চাকুরি রক্ষার ব্যবস্থা করার জন্য মানবাধিকার সংগঠনসমূহকে নিয়ে কাজ করার জন্য ওআইসি সচিবালয়কে বাংলাদেশ পরামর্শ দেয়। দরকারি সম্পদ বণ্টনের মাধ্যমে এই মহামারির সময়ে বিশ্বব্যাপী যে সকল মুসলিম শরণার্থী রয়েছে তাদের দেখভালের বিষয়টি নিশ্চয়তার জন্য বাংলাদেশ সদস্য দেশসমূহের সমন্বিত প্রয়াসের ওপর জোরদার আরোপ করে।
বাংলাদেশ, তুরস্ক, সৌদি আরব, গাম্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নাইজার- এই ছয়টি সদস্য রাষ্ট্র নিয়ে ওআইসি’র বর্তমান নির্বাহী কমিটি গঠিত। এই ছয়টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বা উপযুক্ত প্রতিনিধি ও ওআইসি মহাসচিবের অংশগ্রহণে নির্বাহী কমিটির এই বিশেষ বৈঠকটি সৌদি আরবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
#
তৌহিদুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৯
দেশ তুলনামূলকভাবে এখনো ভালো অবস্থায়
---স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, "করোনা মোকাবেলায় সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের কারণেই আক্রান্তের ৪৪ দিন পার হলেও দেশে করোনা রোগীর সংখ্যা ইতালি, ফ্রান্স, আমেরিকার থেকে বহুগুণ কম রয়েছে। এটি এমনি এমনি সম্ভব হয়নি। চিকিৎসক, নার্সদের জীবন বাজি রেখে লড়াই করা, স্বাস্থ্যখাতের যথাসময়ে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী উদ্যোগ গ্রহণ আর একই সাথে দেশের মানুষের সরকারি নির্দেশনাসমূহ মেনে আত্ম-সচেতনতা বৃদ্ধির ফলেই দেশে করোনা এখনো মহাবিপর্যয়ে পৌঁছেনি। করোনায় দেশের এই বর্তমান চিত্রটি আর কিছুদিন ধরে রাখা গেলেই করোনা মহামারীকে ভালোভাবেই রুখে দেওয়া সম্ভব হবে।"
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সাথে "জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ- ২০২০" উপলক্ষে আয়োজিত জাতীয় স্টিয়ারিং কমিটির আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে এসব কথা বলেন।
বর্তমান সময়ে কোন সমালোচনায় হতাশ হয়ে না পড়ে করোনার এই দুর্যোগের সময় স্বাস্থ্যখাতের সকলকে জনগণের পাশে থেকে নিরলস কাজ করে যেতে হবে জানিয়ে ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত জেলার সিভিল সার্জনসহ অন্য স্বাস্থ্যকর্মীদের কাজ করে যাবার কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এক্ষেত্রে সরকারের প্রতিটি নির্দেশনা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দেখার জন্যও অনুরোধ করেন মন্ত্রী। পুষ্টি দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এবং মানব দেহে পুষ্টির গুণাগুণ বর্ননা করে মন্ত্রী কথা বলেন ও দিক নির্দেশনা দেন। মন্ত্রী তার বক্তব্যের শেষ পর্যায়ে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ ২০২০ এর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
উল্লেখ্য, প্রতি বছরের ন্যায় আগামী ২৩-২৯ এপ্রিল, ২০২০ পর্যন্ত দেশব্যাপী জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ পালন করা হবে বলে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে দেশব্যাপী এতিমখানা ও লিল্লাহ বোর্ডিংয়ে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ, মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ জনগণের মাঝে পুষ্টি বার্তা সংবলিত ছাতা, টি শার্ট, শাড়ি, হাত ধোঁয়ার উপকরণ স্মারক উপহার হিসেবে দেওয়ার ব্যাপারেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
#
মাইদুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৮
আসুন ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার রাজনীতিটাই করি
---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, 'বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দলের প্রতি আমি আহ্বান জানাবো, আসুন অন্য রাজনীতি নয়, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার রাজনীতিটাই করি।'
আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয় থেকে গণমাধ্যমে দেওয়া বক্তব্যে মন্ত্রী আরো বলেন, 'এখন রাজনীতি করার সময় নয়, একে অপরকে দোষারোপ করার সময় নয়, এখন সময় হচ্ছে সব রাজনৈতিক দল মিলে সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে এ মহাদুর্যোগ মোকাবিলা করা।'
করোনার বিশ্বপরিমাপক বা ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে এ সময় দেশের তুলনামূলক পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'বাংলাদেশে গত ৮ মার্চ প্রথম করোনা শনাক্তের পর দুঃখজনকভাবে এ পর্যন্ত ১২০ জনের প্রাণহানি ও ৩ হাজার ৭৭২ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে, আমরা মৃতের আত্মার শান্তি ও আক্রান্তদের আরোগ্য কামনা করি। আর কাছাকাছি সময়, ১১ মার্চ তুরস্কে প্রথম করোনা শনাক্তের পর এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৫৯ জন মৃত্যুবরণ করেছে ও ৯৫ হাজার ৫৯১ জন রোগী শনাক্ত হয়েছে। অর্থাৎ আমাদের পরিস্থিতি এখনো অনেক দেশের চেয়ে ভালো। কিন্তু, সেটি যেন আরো খারাপের দিকে না যায়, সেজন্য সরকারের পাশাপাশি সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।'
দলের দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া এবং ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
দেশে করোনার পূর্বপ্রস্তুতি সম্পর্কে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিশ্বে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই এমনকি বাংলাদেশে করোনারোগী শনাক্ত হওয়ার আগে থেকেই আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে আওয়ামী লীগ জনগণকে সুরক্ষা দেওয়ার জন্য সরকারের পাশাপাশি কাজ করে যাচ্ছে। আমাদের ত্রাণ উপকমিটি শুরু থেকেই ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করে আসছে এবং একেবারে উপজেলা পর্যায় ও ছোটো ছোটো পৌরসভা পর্যন্ত ত্রাণসামগ্রী পৌঁছানো হয়েছে। এবং এই কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
এ সময় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপকমিটির পক্ষ থেকে দেওয়া করোনা প্রতিরোধ সামগ্রী চট্টগ্রাম জার্নালিস্ট ফোরাম, ঢাকা সভাপতি শাহেদ সিদ্দিকী ও সাধারণ সম্পাদক মুজিব মাসুদের হাতে তুলে দেন তথ্যমন্ত্রী।
#
আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৭
আসন্ন বোরো মৌসুমে ধানকাটা শ্রমিকদের
স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিতে এবং ধান সংগ্রহে খাদ্যমন্ত্রীর নির্দেশনা
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
খাদ্য উদ্বৃত্ত জেলা নওগাঁয় আগত ধানকাটা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চত করতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহকালেও একই ব্যবস্থা চালু থাকবে। এ জন্য নিজস্ব অর্থায়নে মাস্ক, পিপিই, তাপমাত্রা মাপার যন্ত্র ও থার্মাল স্ক্যানার সরবরাহ করেছেন নওগাঁ-১ আসনের এমপি ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
মন্ত্রী আজ দুপুরে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে নওগাঁর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ জেলার খাদ্য বিভাগ, কৃষি বিভাগ ও স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে আসন্ন বোরো মৌসুমে আগত ধানকাটা শ্রমিকদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা নিশ্চিত এবং সরকারি গুদামে ধান সংগ্রহকালে করণীয় সম্পর্কে এসব দিকনির্দেশনা দেন। জেলার ১১ টি উপজেলার জন্য পৃথক টিম গঠন করে দু’ এক দিনের মধ্যে ওইসব ব্যবস্থা প্রস্তুত করার নির্দেশনাও দেন তিনি।
ভিডিও কনফারেন্সে মন্ত্রী বলেন, চলতি মৌসুমে দেশে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও সাড়ে ১১ লাখ মেট্রিক টন চাল কিনবে সরকার। ২৬ এপ্রিল থেকে একযোগে সারাদেশে শুরু হবে সংগ্রহ কার্যক্রম। গুদামে ধান সরবরাহের সময় কৃষককে যাতে কোনো প্রকার হয়রানি হতে না হয় সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রাখার জন্যও কর্মকর্তাদের প্রতি নির্দেশনা দেন তিনি। এছাড়া সরকারি নিয়ম ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে করোনা মোকাবেলার মাধ্যমে খাদ্য শস্য উৎপাদনের বিষয়ে বিভিন্ন পরামর্শ দেন তিনি।
মতবিনিময় সভায় নিরাপদ সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তা, স্থানীয় রাজনৈতিক ও গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
সুমন/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮৩২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৬
কর্মহীন নৌ শ্রমিকদেরকে ত্রাণ দিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী করোনা পরিস্থিতিতে শিপার্স কাউন্সিল অভ্ বাংলাদেশ (এসসিবি)-এর পক্ষে আজ কর্মহীন নৌ শ্রমিকদের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে ঢাকা সদরঘাট টার্মিনাল ভবনে পাঁচশত প্যাকেট ত্রাণ বিতরণ করা হয়। প্রতি প্যাকেটে ৫ কেজি চাল, এক লিটার তেল, দু' কেজি ডাল, দু' কেজি আলু, এক কেজি পেঁয়াজ ও একটি সাবান রয়েছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর গোলাম সাদেক, এসসিবির চেয়ারম্যান রেজাউল করিম এবং সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান আরিফুল আহসান উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮০৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৫
কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৪৭ কোটি ৩৫ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জিআর (ক্যাশ) নগদ এবং ৯৪ হাজার ৬ শত ৬৭ মেট্রিক টন জিআর চাল জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।
রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৩৯০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭২ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৯২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ১২০ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৫২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
#
তাসমীন/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮০৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৪
মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাতকরণের উদ্যোগ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের
ঢাকা, ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
দেশের প্রান্তিক পর্যায়ের চাষী, খামারি এবং উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কর্মরত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা প্রদান করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। করোনা পরিস্থিতিতে বাজারজাতকরণ সংকটে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত উৎপাদক, খামারি ও উদ্যোক্তাদের কথা মাথায় রেখে এবং ভোক্তাদের প্রাণিজ পণ্য প্রাপ্তির চাহিদা বিবেচনা করে এ নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সংশ্লিষ্ট এসোসিয়েশন, উদ্যোক্তা ও খামারিদের সহযোগিতায় স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে এ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য বলা হয়েছে।
আজ এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করে মৎস্য অধিদপ্তর ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরে পাঠিয়েছে মন্ত্রণালয়। নির্দেশনা পত্রটি সকল জেলা প্রশাসকদের বরাররও পাঠানো হয়েছে।
করোনা সংকটে সরবরাহ চেইন বাধাগ্রস্ত হওয়ায় উৎপাদিত প্রাণিজ পণ্যের সুষম বণ্টনের অভাবে চাহিদা থাকা সত্ত্বেও ভোক্তাগণ প্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন এবং উৎপাদকগণ আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ বিষয়টি মাথায় রেখে ইতোমধ্যে কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও ফরিদপুরে জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় ও জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগের প্রত্যক্ষ তত্ত্বাবধানে পিকআপ, কুল ভ্যান ও অটোরিক্সাযোগে প্রান্তিক পর্যায় থেকে দুধ ও ডিম সংগ্রহ করা হচ্ছে। এছাড়া প্রচার-প্রচারণাপূর্বক শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ভ্রাম্যমাণ বিক্রয় কেন্দ্র চালু করে দুধ ও ডিম নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে ভোক্তাদের আস্থা অর্জন ও বিশুদ্ধ দুধের নিশ্চয়তা প্রদানে ভেটেরিনারি সার্জন, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর এবং ভেটেরিনারি কম্পাউন্ডারের সমন্বয়ে ভ্রাম্যমাণ দুধ পরীক্ষাকরণ টিমও গঠন করা হয়েছে। এতে খামারি ও উদ্যোক্তাদের পাশাপাশি ভোক্তাগণ উপকৃত হচ্ছেন।
জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের এ ধরনের কার্যক্রম সফল ও প্রশংসিত হওয়ায় এর আদলে প্রান্তিক পর্যায়ে উৎপাদিত মাছ, দুধ, ডিম ও পোল্ট্রি বাজারজাত করার উদ্যোগ গ্রহণের জন্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
#
ইফতেখার/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩৩
রৌমারীতে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রীর ত্রাণ বিতরণ
রৌমারী (কুড়িগ্রাম), ৯ বৈশাখ (২২ এপ্রিল) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন কুড়িগ্রাম জেলায় নিজ নির্বাচনী এলাকায় অবস্থান করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং দরিদ্র ও শ্রমজীবী মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ-সহ বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ নিজ নির্বাচনী এলাকা রৌমারী উপজেলার শৌলমারী ও দাঁতভাঙ্গা ইউনিয়নের শ্রমজীবী ও অসহায় দরিদ্র মানুষের মাঝে ত্রাণ ও নগদ অর্থ বিতরণ করেন। তিনি এ দুইটি ইউনিয়নের ১০০০ পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে চাল ও ডাল এবং সাবান-সহ অন্যান্য ত্রাণ বিতরণ করেন। এছাড়া দরিদ্র অসহায় মানুষের মাঝে নগদ অর্থও বিতরণ করেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সকলকে ঘরে থাকতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। এ মহাদুর্যোগে সরকার সকলের সহযোগিতায় পাশে আছে ও থাকবে। একজন মানুষও অনাহারে থাকবে না।
#
রবীন্দ্রনাথ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৪৩২
ত্রাণের আওতার বাইরে কেউ নেই
- কৃষিমন্ত্রী
ধনবাড়ী (টাঙ্গা<