Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৫ জানুয়ারি ২০২৫

তথ্যবিবরণী ৫ জানুয়ারি ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ২২৫৯ 

 

পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের বায়ুদূষণ রোধে বিশেষ মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ৩৭ লাখ টাকা জরিমানা

 

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সারা দেশে বায়ুদূষণের বিরুদ্ধে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।

আজ ১৩ টি মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে বিভিন্ন অপরাধে মোট ৩৭ লাখ ৩২ হাজার ২ শত টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এ অভিযানে অবৈধ ইটভাটা, যানবাহনের কালো ধোঁয়া, অবৈধ পলিথিন এবং খোলা জায়গায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে বায়ুদূষণ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বায়ুদূষণ রোধে পরিবেশ অধিদপ্তর দেশের বিভিন্ন স্থানে ৭টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এতে ১২টি অবৈধ ইটভাটা থেকে ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৮টি ইটভাটার চিমনি ভেঙে কার্যক্রম বন্ধ করা হয়।

পলিথিন বিরোধী অভিযানে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং ৮৮ কেজি নিষিদ্ধ পলিথিন জব্দ করা হয়। যানবাহনের অতিরিক্ত কালো ধোঁয়া নির্গমনের বিরুদ্ধে ১টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ৪টি পরিবহন থেকে ৭ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। খোলা অবস্থায় নির্মাণ সামগ্রী রাখার কারণে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ২টি প্রতিষ্ঠান থেকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয় এবং কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করা হয়। ঝুঁকিপূর্ণ বর্জ্য নির্গমনের অপরাধে ২টি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ১টি প্রতিষ্ঠান থেকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় এবং আরেকটি প্রতিষ্ঠানের মালিককে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান-সহ কারখানার যন্ত্রপাতি জব্দ করা হয়।

২ থেকে ৫ জানুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত পরিবেশ অধিদপ্তরের মোবাইল কোর্ট অভিযানগুলোতে মোট ২৪টি মামলা দায়ের করে ১ কোটি ৩২ লাখ ৩ হাজার ২০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়। এ সময় ২১টি ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধ এবং ১১টি হাইড্রোলিক হর্ন জব্দ করা হয়।

পরিবেশ মন্ত্রণালয় পরিবেশ সুরক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ অব্যাহত রাখবে।

#

দীপংকর/পবন/মোশারফ/শামীম/২০২৫/২১৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ২২৫৮

আটক ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীকে বাংলাদেশের নিকট হস্তান্তর করেছে ভারত

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):

          ভারতে আটক ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মী এবং বাংলাদেশে আটক ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও নৌকর্মীদের পারস্পরিক হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে।

          আজ পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় বাংলাদেশ কোস্টগার্ড ভারতীয় কোস্টগার্ডের কাছ থেকে ৯০ জন বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীকে গ্রহণ করে এবং ৯৫ জন ভারতীয় জেলে ও নৌকর্মীকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের নিকট হস্তান্তর করে। একই সাথে দুই দেশের আটককৃত নৌযানগুলোর হস্তান্তরও সম্পন্ন হয়েছে। বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি ফিশিং ভেসেল ফেরত আনা হয়েছে। অপরদিকে, ভারতের ছয়টি ফিশিং বোট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

          পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মৎস্য অধিদপ্তর ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের মাধ্যমে এ হস্তান্তর কার্যক্রম সম্পন্ন হয়। আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শেষে, বাংলাদেশ কোস্টগার্ডের তত্ত্বাবধানে বাংলাদেশি জেলে ও নৌকর্মীরা তাদের ফিশিং ভেসেলসহ চট্টগ্রামের পথে রওয়ানা হয়েছেন এবং আগামীকাল চট্টগ্রামে পৌঁছাবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। প্রত্যাবাসিত জেলে ও নৌকর্মীদের পরিবারের সদস্যগণ চট্টগ্রামে তাদের গ্রহণ করবেন।

#

কামরুল/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৫/১৯৪৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ২২৫৭

 

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে ইউকেবিসিসিআই-এর প্রতিনিধিদলের বৈঠক

 

 

ঢাকা, ২১ পৌষ ( ৫ জানুয়ারি): 

 

       মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সাথে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্ট অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই)-এর প্রতিনিধিদল বৈঠক করেছে।

 

      আজ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের সম্ভাবনা এবং দু'দেশের ব্যবসা ও বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা হয়।

 

     বৈঠকে যুক্তরাজ্যে বসবাসরত ব্যবসায়ীদের মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা বাংলাদেশে বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। এসময় ইউকেবিসিসিআই-এর প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে সি ফুড প্রডাক্টস ও এগ্রো ইন্ডাস্ট্রি প্রসারে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

 

      ইউকেবিসিসিআই-এর চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ, প্রেসিডেন্ট এম জি মওলা মিয়া, প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ, বাংলাদেশ রিজিওনাল প্রেসিডেন্ট শওকত আজিজ রাসেল, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ তোফাজ্জেল হোসেন, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবু সুফিয়ান এবং মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুর রউফ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

                                                #

মামুন/পবন/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৫/১৯০৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ২২৫৬

স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পর সংস্কারে হাত দেওয়া হবে

                                                                                   --- স্বাস্থ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):

          স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সর্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারের লক্ষ্যে গঠিত স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সাথে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

          স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় স্বাস্থ্যখাতের প্রয়োজনীয় সংস্কার নিয়ে কমিশনের সদস্যবৃন্দ মূল্যবান মতামত দেন।

          নূরজাহান বেগম বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সুপারিশের পর সংস্কারে হাত দেওয়া হবে। এজন্য আমাদের কেমন প্রস্তুতি প্রয়োজন সে সম্পর্কে অবহিত হওয়ার জন্য আজকের এই মতবিনিময় সভা বলে তিনি জানান।

          সভায় প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা, নগর স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা, ওষুধ ব্যবস্থাপনা, স্বাস্থ্যখাতে কেনাকাটা ও পিপিআর, ক্যান্সারের চিকিৎসা, ফরেনসিক মেডিসিন, মাতৃস্বাস্থ্য, স্বাস্থ্যখাতে সংশ্লিষ্ট অংশীদারদের কারিকুলাম ও ক্যারিয়ার প্লানিং, প্রিভেনটিভ কেয়ার, স্বাস্থ্য সুরক্ষা আইন, হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা এবং স্বাস্থ্যখাতে জনবল সংকট-সহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়।

          মতবিনিময় সভায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের চেয়ারম্যান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান বলেন, স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন প্রয়োজনীয় সংস্কার বিষয়ে সরকারকে স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদি পলিসি ইস্যুজনিত সুপারিশ প্রদান করবে। যে বিষয়গুলো উত্থাপিত হয়েছে তা কমিশন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনায়  নেবে। এক্ষেত্রে সরকারের অর্থনৈতিক সক্ষমতা এবং সুপারিশের বাস্তবায়নযোগ্যতা কমিশন বিবেচনায় রাখবে।

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান বলেন, স্বাস্থ্যখাত কমিশনের সুপারিশগুলো সাহসী, জনবান্ধব ও চিকিৎসাবান্ধব হবে এটাই সবার প্রত্যাশা।

          স্বাস্থ্য কমিশনের সদস্যবৃন্দ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব এবং স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

শাহাদাত/পবন/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/১৯১০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ২২৫৫

 

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ২১ পৌষ ( ৫ জানুয়ারি): 

 

          বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমদ মারুফ সাক্ষাৎ করেছেন। আজ বাণিজ্য উপদেষ্টার সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় তাঁরা দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও ভবিষ্যৎ বাণিজ্য সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা করেন। 

 

         বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, কৃষিপ্রধান বাংলাদেশের ফসল উৎপাদনের তথ্য ও ভোগের তথ্য মিলিয়ে আমাদের আমদানি পরিকল্পনা করতে হবে। কোন পণ্য কতটুকু আমদানি প্রয়োজন সেটা নিরূপণ করার কাজ শুরু হয়েছে। 

 

          শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের ভলিউম বৃদ্ধির মাধ্যমে দু’দেশেরই উপকৃত হওয়ার সুযোগ রয়েছে। পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ পণ্য আমদানি যেমন হচ্ছে, আবার সীমিত আকারে পাকিস্তানে রপ্তানিও হচ্ছে। তিনি আরো অধিক পরিমাণে পণ্য বাংলাদেশ থেকে আমদানির উদ্যোগ নিতে পাক হাইকমিশনারের প্রতি আহ্বান জানান। 

 

        পাকিস্তানের হাইকমিশনার বলেন, পাকিস্তান থেকে মূলত মধ্যপ্রাচ্যের দেশসমূহে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি হয়। বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে পাকিস্তানের রপ্তানি বেড়েছে। ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ্ পাকিস্তান (টিসিপি) ও ট্রেডিং কর্পোরেশন অভ্ বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মধ্যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) স্বাক্ষর হলে প্রয়োজন মোতাবেক পণ্য সরবারহ করবে পাকিস্তান। 

 

          বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মোঃ আব্দুর রহিম এসময় উপস্থিত ছিলেন। 

 

 

 

                                             #

 

কামাল/পবন/রানা/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৫/১৮০১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ২২৫৪

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষক উপদেষ্টার সাথে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি) :  

 

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদের সাথে মন্ত্রণালয়ে তাঁর
অফিসকক্ষে বাংলাদেশে নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি (Abdelouahab Saidani) সাক্ষাৎ করেছেন।

সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে দু'দেশের পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এ সময় উপদেষ্টা বলেন, আলজেরিয়ার সাথে বাংলাদেশের সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে দুটি দেশের পারস্পরিক সহযোগিতা সম্প্রসারিত করার অনেক সুযোগ রয়েছে। আগামীদিনে উভয় দেশের সম্পর্ক আরো ঘনিষ্ঠ হবে বলে তিনি আশা করেন। তিনি বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে সমাজের অনগ্রসর অংশকে মূলধারায় সম্পৃক্ত করার ক্ষেত্রে এবং শিশু ও নারীদের মাতৃসেবা, স্বাস্থ্যসেবাসহ নানা বিষয়ে বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে আলজেরিয়ার আগ্রহের কথা জানান। 

উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বাংলাদেশ পরিবেশ ও স্বাস্থ্যসহ বহুমাত্রিক বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে যেমন শিশু স্বাস্থ্য ও মায়েদের প্রজনন স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে তেমনি অভ্যন্তরীণ মাইগ্রেশনের প্রবণতাও বাড়ছে।

সাক্ষাতে আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি জানান, পঞ্চাশ বছরের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশের সাথে সুইডেনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক চলমান রয়েছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সন্ধিক্ষণ পার করছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থান ও আন্দোলনে নিরীহ মানুষের জীবনহানির জন্য তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। 

#

রফিকুল/ফাতেমা/সাঈদা/মানসুরা/২০২৫/১৬১৫ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ২২৫৩ 

নদী দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মানুষ-হাতি সংঘাত মোকাবিলায়

এডিবির সহযোগিতা চাইলেন পরিবেশ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নদী দূষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও মানুষ-হাতি সংঘাত মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চেয়েছেন। তিনি দেশের আটটি বিভাগের আটটি প্রধান নদীর পুনরুদ্ধার পরিকল্পনার কথা তুলে ধরে ঢাকার আশপাশের নদীগুলোর পরিষ্কার কার্যক্রমে এডিবির অগ্রাধিকারমূলক সহযোগিতা কামনা করেন। এছাড়া, তিনি সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি কঠিন বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পয়ঃনিষ্কাশন, লবণাক্ততার প্রবেশ, জলাবদ্ধতা ও মানুষ-হাতি সংঘাত মোকাবিলায় এডিবির সহযোগিতা চান।

আজ এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর হো ইউন জং রাজধানীর বন অধিদপ্তরে উপদেষ্টার সাথে সাক্ষাৎকালে তিনি এ সহযোগিতা কামনা করেন।  

এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন, আগামী পাঁচ বছরে বাংলাদেশকে প্রতি বছর ১ বিলিয়ন ডলার সহজ শর্তে ঋণ সহায়তা দেবে এডিবি। তিনি আরো বলেন, এডিবি বাংলাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়নে অনুদানসহ আর্থিক সহায়তা বাড়াবে। তিনি নদী পরিষ্কার প্রকল্পে আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং নদী পুনরুদ্ধার উদ্যোগগুলোকে জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় (NAP) অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন। এছাড়া, প্রকল্প বাস্তবায়নে স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ এবং জনপরামর্শ বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।

বৈঠকে পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, যুগ্ম সচিব লুবনা ইয়াসমিন ও প্রধান বন সংরক্ষক মোঃ আমীর হোসাইন চৌধুরী এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয় ও এডিবির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে বাংলাদেশে জলবায়ু সহনশীলতা এবং পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন নিশ্চিত করতে এডিবির প্রতিশ্রুতির বিষয়টি গুরুত্ব পায়।

#

দীপংকর/ফাতেমা/আলী/শফিক/২০২৫/১৬২০ ঘন্টা

 

Handout                                                                                                       Number: 2252

 

ADB to Provide $1 Billion Annually for Bangladesh’s Inclusive Development
Environment Advisor Seeks ADB's Help to Tackle River Pollution  

Waste, and Human-Elephant Conflicts.

                                                                                            

Dhaka, January 5:

 

Asian Development Bank (ADB) Country Director Hoe Yun Jeong met with Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change, and the Ministry of Water Resources, at the Forest Department in Dhaka today. The discussions focused on ADB’s commitment to supporting Bangladesh’s climate resilience and environmental sustainability.
 

During the meeting, Syeda Rizwana Hasan emphasized ADB’s increased focus on climate-focused and socially inclusive activities over traditional infrastructure projects. Highlighting her government’s ambitious plans to restore eight major rivers across the country’s eight divisions, she urged ADB to prioritize river cleaning initiatives around Dhaka.

The Advisor also stressed the need for tangible actions on the ground instead of merely formulating action plans. She called for concessional loans and sought ADB’s support in addressing key environmental challenges, including solid waste management, sewage treatment, salinity intrusion, waterlogging, and human-elephant conflicts.

ADB Country Director Hoe Yun Jeong said that ADB will provide Bangladesh with $1 billion annually in concessional financing over the next five years. He assured enhanced financial support, including grants, to advance Bangladesh’s environmental goals. He expressed strong interest in river cleaning projects. Additionally, he highlighted ADB’s commitment to increasing community engagement and public consultations during project implementation.
 

Senior officials, including the Environment Secretary, Joint Secretary, Chief Conservator of Forests, and representatives from ADB, were present at the meeting.

#


Dipankar/Fatema/saida/Ali/shafiq/2025/1555 Hrs

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ২২৫১ 

 

বাণিজ্য উপদেষ্টার সাথে ইউকেবিসিসিআইয়ের নেতৃবৃন্দের বৈঠক

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সাথে ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ইউকেবিসিসিআই)-এর নেতৃবৃন্দ বৈঠক করেছেন। এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো. আব্দুর রহিম উপস্থিত ছিলেন। 

          আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক  
ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়।  

 বাণিজ্য উপদেষ্টা যুক্তরাজ্যের বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের এদেশে বিনিয়োগের আহবান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুন, দেশের উন্নয়নে অবদান রাখুন। দু’দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়নে আপনাদের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 

          উপদেষ্টা ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দকে পাটজাত দ্রব্য, পর্যটন, ফার্মাসিউটিক্যালস ও টেলিকম খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশে বিনিয়োগ পরিবেশ ভালো। বিনিয়োগে কোনো বাধা নেই। বিনিয়োগকারীদের সব সুবিধা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার।

          ইউকেবিসিসিআই-এর নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশ ন্যাশনাল টি বোর্ড, সরকারি টেলিকম খাত ও শিক্ষা খাতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ করতে তাদের আগ্রহের কথা জানান। 

এছাড়া, নেতৃবৃন্দ সি ফুড এক্সপোর্ট, ফুড প্রসেসিং ও গ্রিন ফার্মিং সুবিধা বৃদ্ধির জন্য বিশেষ এগ্রিকালচারাল জোন (এগ্রিকালচারাল বেসড ইপিজেড) স্থাপনের দাবি জানান। 

বৈঠকে ইউকেবিসিসিআইয়ের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ, প্রেসিডেন্ট এম জি মওলা মিয়া, প্রতিষ্ঠাকালীন প্রেসিডেন্ট বজলুর রশিদ ও যুক্তরাজ্যের হাউস অব কমন্সের এমপি ড. রুপা হক প্রমুখ বক্তৃতা করেন। 

#

 

কামাল/ফাতেমা/সাঈদা/আলী/শফিক/২০২৫/১৪২৬ ঘন্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ২২৫০

ইজিপিপি বাংলাদেশের অতি দরিদ্রদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ

                                      - দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা

ঢাকা, ২১ পৌষ (৫ জানুয়ারি):

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক বলেছেন, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি (ইজিপিপি) বাংলাদেশের অতি দরিদ্রদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উদ্যোগ; যা শুধু আর্থিক সহায়তা প্রদান করে না, বরং গ্রামাঞ্চলের জনগণের জীবিকার সুযোগ বৃদ্ধি ও সামাজিক উন্নয়নেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

 উপদেষ্টা আজ ঢাকায় গুলশানে হোটেল আমারিতে কক্সবাজার জেলায় অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি ইজিপিপি প্লাস বাস্তবায়ন বিষয়ক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকরা কক্সবাজার জেলায় অনুপ্রবেশ করার পর, স্থানীয় জনগণ সামাজিক এবং আর্থিকভাবে ব্যাপক পরিসরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও স্থানীয় জনগণের দৈনন্দিন জীবনে গভীর প্রভাব ফেলছে। যা পুরো কক্সবাজার অঞ্চলের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সব বিবেচনায়, কক্সবাজার এলাকায় কর্মসংস্থান সৃষ্টি, দারিদ্র্য দূরীকরণ, জীবনমান উন্নয়নে এই কর্মসূচি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। 

উপদেষ্টা আরো বলেন, ইতোমধ্যে দারিদ্র্যকে দুর্যোগ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে এবং সেই লক্ষ্যে দেশের অন্যান্য জেলাসমূহের দারিদ্র্যপীড়িত এলাকায় পুষ্টি ও জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। অচিরেই এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে বলে আশা করা যাচ্ছে। ইজিপিপি প্লাস প্রকল্পের অভিজ্ঞতা আমাদের লক্ষ্য অর্জনে সহায়তা করবে।  

ফারুক ই আজম বলেন, দারিদ্র্যবিমোচন প্রকল্পগুলো সরকারি কিংবা বিদেশি সাহায্যে গৃহীত হয়ে থাকে। এখানে আমরা কেউই ব্যক্তিগত অর্থ ব্যয় করছি না। কিন্তু সৌভাগ্যের বিষয় রাষ্ট্রের কর্মচারী হিসাবে এ সমস্ত মহৎ উদ্যোগে আমরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে সম্পৃক্ত।  

তিনি বলেন, ২০২৪ এর জুলাই গণঅভ্যুত্থান বাংলাদেশে একটি অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে এবং এই অভ্যুত্থানে শহিদদের আত্মত্যাগ আমাদের নিঃস্বার্থভাবে কাজ করার সুযোগ দিয়েছে। এই সুযোগ বারবার আসবে না। তাই সময়ক্ষেপণ না করে সাহসিকতার সাথে রাষ্ট্র ও জনকল্যাণে কাজ করে নিজেদের গৌরব ও আত্মমর্যাদাকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, এনডিসির সভাপতিত্বে কর্মশালায় অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রেজওয়ানুর রহমান ও প্রকল্প পরিচালক অঞ্জন চন্দ্র পাল বক্তৃতা করেন।
#
 

এনায়েত/ফাতেমা/সাঈদা/মানসুরা/২০২৫/১৫২১ ঘন্টা


 

2025-01-05-15-45-3998699d70303369f40a03f739fdfb3f.docx