Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২০ August ২০১৬

তথ্যবিবরণী 20/8/2016

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৬৮২

সিলেটে ‘রণাঙ্গন ৭১’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী

সিলেট, ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট):
    মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, যেসব জায়গায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সাথে সম্মুখযুদ্ধ হয়েছে সেসব জায়গায় স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হবে। প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার জন্য একই রকম কবরের ডিজাইন করা হবে। কবরের নামফলকে মুক্তিযোদ্ধার সংক্ষিপ্ত জীবনকর্ম উল্লেখ থাকবে। যেখানে গণকবর আছে সেখানে স্মৃতিস্তম্ভ করা হবে, যাতে নতুন প্রজন্ম মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে জানতে পারে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধারণ করতে পারে।
    মন্ত্রী আজ সিলেটে কাজী নজরুল ইসলাম অডিটোরিয়ামে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সিলেট ইউনিট কমান্ড প্রকাশিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি নিয়ে লেখা সংকলন ‘রণাঙ্গন '৭১’ এর মোড়ক উন্মোচন ও মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
    মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যায় যারা সরাসরি জড়িত ছিল তাদের বিচার হলেও নেপথ্যে যারা ছিল তারা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে গেছে। এদের খুঁজে বের করতে হবে।
    তিনি বলেন, মুক্তযুদ্ধের ইতিহাস যাতে কেউ আর বিকৃত করতে না পারে, সে জন্য প্রত্যেক মুক্তিযোদ্ধার কাছ থেকে তাদের যুদ্ধকালীন ভূমিকার অডিও রেকর্ড চাওয়া হবে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ অবদানের পাশাপাশি স্বাধীনতাবিরোধীদের ঘৃণ্য ভূমিকাও পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে মন্ত্রী জানান। জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধী সংগঠন উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধী সংগঠন হিসেবে তাদের রাজনীতি বন্ধ করা হবে। এছাড়া যুদ্ধাপরাধী এবং তাদের দোসরদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে ব্যয় করা হবে বলেও জানান তিনি।
    তিনি বলেন, ৩০ শতাংশ মুক্তিযোদ্ধা কোটায় যারা চাকরি করবে তাদের বিস্তারিত তথ্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে পাঠাতে হবে।
    জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েলের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সিলেট জেলা পরিষদ প্রশাসক লুতফর রহমান, সাবেক মহিলা সংসদ সদস্য সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা প্রশাসক জয়নাল আবেদীন, পুলিশ কমিশনার কামরুল হাসান ও মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সহসভাপতি ইসমত কাদির গামা।

#

সুফি/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/২০৪১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর :  ২৬৮১
২১শে আগস্ট উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রা ও বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি কালোদিবস। ২০০৪ সালের এদিন বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভায় বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলায় শহিদ হন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভানেত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। শোকাবহ ঐ মর্মান্তিক ঘটনায় সকল শহিদের স্মৃতির প্রতি আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
    আমাদের মহান স্বাধীনতাযুদ্ধসহ মাতৃভাষা ও স্বাধিকার আন্দোলনের সাথে মিশে আছে লাখো শহিদের আত্মত্যাগ। এদেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রার পথও মসৃণ নয়। নানা চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়ে গণতন্ত্র এগিয়ে চলেছে। অগণতান্ত্রিক শক্তি বার বার গণতন্ত্রকে বাধাগ্রস্ত করেছে। স্বাধীন বাংলাদেশে গণতন্ত্রের ওপর প্রথম আঘাত আসে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এদিন স্বাধীনতাবিরোধী ঘাতকচক্রের হাতে অকালে জীবন দিতে হয়েছে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের। এরপরও ঘাতকচক্র থেমে থাকেনি। তাঁরা বঙ্গবন্ধু তনয়া বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট পরিকল্পিতভাবে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জনসভা চলাকালীন ইতিহাসের বর্বরতম গ্রেনেড হামলা চালায়। তাদের লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে নেতৃত্বহীন করে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে রুখে দেয়া এবং দেশে জঙ্গিবাদ প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ তা হতে দেয়নি এবং ভবিষ্যতেও হতে দেবে না। আল্লাহর অশেষ রহমতে সেদিন জননেত্রী শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও প্রাণ হারান দলের ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন অর্ধ-সহ¯্রাধিক নেতাকর্মী। এ হামলায় বেঁচে থাকা অনেকে আজও পঙ্গুত্ব বরণ করে দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন।
    গণতন্ত্রকে অর্থবহ করতে হলে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সহমর্মিতার পাশাপাশি পরমতসহিষ্ণুতা অপরিহার্য। আমার দৃঢ় বিশ্বাস দেশের গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রাকে বেগবান করতে সকল রাজনৈতিক দল নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখবে। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে গণতন্ত্রকামী জনগণ একটি আত্মমর্যাদাশীল ও সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এগিয়ে আসবেন, এ প্রত্যাশা করি।
    আমি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
জয়নাল/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৮৪৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৬৮০

স¦াধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট):

বিজয়ের আনন্দ ক্ষণস্থায়ী কিন্তু পরাজয়ের গ্ল¬ানি চিরস্থায়ী। আর ’৭১এর পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতেই পরাজিত শক্তিরা ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যা করে।

আজ ঢাকায় খাদ্য ভবন প্রাঙ্গণে খাদ্য মন্ত্রণালয় আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খাদ্যমন্ত্রী মো. কামরুল ইসলাম এ কথা বলেন।  

মন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর অনেক দেশের রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা হয়েছে। কিন্তু আমাদের জাতির পিতাকে যেভাবে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা পৃথিবীর ইতিহাসে আর একটিও নেই। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্রকারীরা ক্ষমতা পরিবর্তনের জন্য নয়, তারা এ হত্যাকা- ঘটিয়েছিল ’৭১এর পরাজয়ের প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার জন্য।

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ সামাজিক, অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে। বিশ্বব্যাংক অর্থ প্রত্যাহার করার পরেও পদ্মা সেতু হচ্ছে। আন্তজাতিক পর্যায়ে শেখ হাসিনার যে ভাবমূর্তি তৈরি হয়েছে তা নস্যাৎ করার জন্যই এই ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। যার নেতৃত্বে রয়েছে ৭১এর পরাজিত শক্তি। মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি সম্মিলিতভাবে স্বাধীনতাবিরোধীদের প্রতিহত করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

খাদ্য সচিব এএম বদরুদ্দোজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফয়েজ আহমদসহ খাদ্য মন্ত্রণালয় ও খাদ্য অধিদপ্তরের বিভিন্ন শ্রেণির কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন ।
#

সুমন/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৮১২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৬৭৯

২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলা শেষ পর্যায়ে
                                   -- আইনমন্ত্রী


ঢাকা, ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট):
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ২১শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলাটি এখন শেষ পর্যায়ে। আশা করা যায়, অল্প কিছু দিনের মধ্যেই মামলাটির রায় হবে। তিনি জানান, এ মামলায় পলাতক আসামীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪১তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে আজ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে আইনজীবীদের রক্তদান কর্মসূচির উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু ত্যাগ, ভালোবাসা, দেশপ্রেম ও জীবনকে উৎসর্গ করার যে দৃষ্টান্ত রেখে গেছেন সেটাই তাঁর আদর্শ। তিনি বলেন, অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার লক্ষ্যে রক্তদানও একটি ত্যাগ। বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে যে সমস্ত আইনজীবী রক্তদান করেন তাঁদের তিনি ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হত্যাকা-ের নেপথ্যে যারা ছিল অন্ততপক্ষে ইতিহাসের প্রয়োজনে তাদের খুঁজে বের করা উচিত। তিনি জানান, তাদের খুঁজে বের করার বিষয়ে কমিশন গঠনের চিন্তাভাবনা চলছে। যারা বঙ্গবন্ধু হত্যাকা- ও ষড়যন্ত্রের সাথে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের বিচারের কাঠগড়ায় এনে সাজা দেয়া সম্ভব হয়েছে। কিন্তু যারা এ হত্যাকা-ের সাথে সরাসরি জড়িত নয়, কিন্তু বাইরের ষড়যন্ত্রের সাথে জড়িত তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা গেলে অনেক তথ্য পাওয়া যেত,যা করা হয়নি।
    অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ডা. কামরুল হাসান খান বক্তব্য রাখেন।

#

ড.রেজাউল/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৪৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ২৬৭৮

টুঙ্গিপাড়ায় শ্রদ্ধা নিবেদন ভূমিমন্ত্রীর


টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট):

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উদ্যাপন উপলক্ষে ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের নেতৃত্বে পাবনা জেলার নেতাকর্মীরা আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
 
    অন্যান্যের মধ্যে পাবনা সদর আসনের সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্স, সংসদ সদস্য খন্দকার আজিজুল হক আরজু, পাবনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এম সাইদুল হক চুন্নু, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রেজাউর রহিম লাল, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মনির উদ্দিন আহমেদ, পাবনা জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার হাবিবুর রহমান হাবিব, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক মাহ্জেবীন শিরিন পিয়া, পাবনা জেলার নয়টি উপজেলার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী, টুঙ্গীপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শফিউল্লাহ ও গোপালগঞ্জ জেলার নেতাকর্মীগণ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

    মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন।
#

রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭৫৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ২৬৭৭

উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষা গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার
                              -- শিক্ষামন্ত্রী


ঢাকা, ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট):
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে শিক্ষাকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, সরকারের শিক্ষাবান্ধব বিভিন্ন কর্মসূচির ফলে গত সাড়ে সাত বছরে বাংলাদেশ আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত অগ্রগতি অর্জন করেছে।
    মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইডেন মহিলা কলেজ মিলনায়তনে শিক্ষা, গবেষণা ও কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা ও শিক্ষক সমাজ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
    মন্ত্রী বলেন, শিক্ষাব্যবস্থায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান শিক্ষক। শিক্ষার প্রসার ও মানোন্নয়নে দেশব্যাপী পরিচালিত সকল কর্মসূচির সাফল্য নির্ভর করছে শিক্ষকদের সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার ওপর।  তিনি বলেন, সরকার শিক্ষকদের মানমর্যাদা ও স্বার্থকে সবসময় গুরুত্ব দিয়ে আসছে। শিক্ষকগণ তাঁদের ওপর অর্পিত মহান দায়িত্ব নিবেদিতপ্রাণে পালন করে যাবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
    অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক এম আনিসুজ্জামান, ওয়ার্ল্ড ফেডারেশন অভ্ টিচার্স ইউনিয়নের সভাপতি অধ্যাপক মাহফুজা খানম, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সাবেক সচিব ড. খন্দকার শওকত হোসেন, ইডেন মহিলা কলেজের বর্তমান অধ্যক্ষ অধ্যাপক গায়ত্রী চ্যাটার্জী এবং সাবেক অধ্যক্ষ অধ্যাপক রওশন জাহান এবং শিক্ষা, গবেষণা ও কল্যাণ কেন্দ্রের উপদেষ্টা কে ইউ জোহরা জেসমিন বক্তৃতা করেন।
    আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক আয়েশা বেগমের সভাপতিত্বে সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন অধ্যাপক কাজী জুলফিকার আলী।
    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী শিক্ষা, গবেষণা ও কল্যাণ কেন্দ্রের উদ্যোগে প্রকাশিত ‘শিক্ষা প্রকাশ’ শীর্ষক প্রকাশনার দ্বিতীয় সংখ্যার মোড়ক উন্মোচন করেন।
#

সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৩০ ঘণ্টা

 
তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ২৬৭৬
২১শে আগস্ট উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ই ভাদ্র (২০শে আগস্ট) :      
       
    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২১শে আগস্ট উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  

    “বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ আগস্ট একটি কলঙ্কময় দিন। ২০০৪ সালের এই দিনে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামাত  জোট সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রকাশ্য দিবালোকে ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আয়োজিত সন্ত্রাস ও জঙ্গিবিরোধী সমাবেশে বর্বরতম  গ্রেনেড হামলা চালানো হয়।
    তখন চারিদিকে গ্রেনেড বিস্ফোরিত হচ্ছে। এর মধ্যেও আমাদের নেতাকর্মীরা মানববর্ম সৃষ্টি করে সেদিন আমাকে রক্ষা করেন। আল্লাহতায়া’লার অশেষ রহমত ও জনগণের দোয়ায় আমি অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যাই। তবে খুনিদের  গ্রেনেড হামলায় শাহাদত বরণ করেন বাংলাদেশ মহিলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সভানেত্রী বেগম আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মী। আহত হন পাঁচ শতাধিক নেতাকর্মী, সাংবাদিক ও নিরাপত্তাকর্মী। তাঁদের অনেকেই আজও পঙ্গুত্বের অভিশাপ বহন করছেন। অনেকে দেহে স্প্রিন্টার নিয়ে দুর্বিষহ জীবন যাপন করছেন।
    ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার মূল লক্ষ্য ছিল স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, শান্তি ও উন্নয়নের  ধারাকে স্তব্ধ করে দেওয়া। বাংলাদেশকে নেতৃত্বশূন্য করে  হত্যা, ষড়যন্ত্র, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও দুঃশাসনকে চিরস্থায়ী করা। মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করা।
    এ ধরনের নারকীয় হত্যাকা-ের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করে বিচার করা ছিল সরকারের  নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু  তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোট সরকার হত্যাকারীদের গ্রেফতার  ও  বিচার  করার বদলে  তাদেরকে  রক্ষার  জন্য  আপ্রাণ চেষ্টা  করে। হামলাকারীদের পালিয়ে  যাওয়ার  সুযোগ করে দেয়।  অনেক  আলামত ধ্বংস করে।  তদন্তের নামে  এই নারকীয়  ঘটনাকে  ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। জনগণকে ধোঁকা দিতে জজ মিয়া নাটক সাজায়। কিন্তু সত্য কখনও  চাপা  থাকে  না। পরবর্তীতে  তদন্তে বেরিয়ে আসে বিএনপি-জামাত জোটের  অনেক কুশীলব এই  হামলার  সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল।
    বিএনপি-জামাত জোট সবসময়ই জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসীদের মদদ দিয়ে বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র বানানোর অপচেষ্টায়  লিপ্ত থেকেছে।  এই  অপশক্তির সকল অপচেষ্টা ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে  আমরা  জনগণের বিপুল  ম্যান্ডেট  নিয়ে  ২০০৮  সালের  নির্বাচনে  বিজয়ী হয়ে  সরকার গঠন করি। রাষ্ট্র  পরিচালনার  দায়িত্ব নিয়ে পূর্ববর্তী সরকারগুলোর রেখে  যাওয়া  অচলাবস্থা  এবং  বিশ্বমন্দা কাটিয়ে আমরা দেশকে দৃঢ় অর্থনৈতিক  ভিত্তির উপর দাঁড় করাতে কাজ শুরু করি। ২০০৯ থেকে  এ  পর্যন্ত সাড়ে ৭ বছরে কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নারী  উন্নয়ন, সামাজিক  নিরাপত্তা, গ্রামীণ  উন্নয়ন, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, বৈদেশিক সম্পর্কসহ  প্রতিটি সেক্টরে  আমরা  বাংলাদেশকে উন্নয়নের রোল মডেলে  পরিণত করেছি। আমাদের মাথাপিছু  আয় বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ৪৬৬  ডলার। রিজার্ভ  ৩০ বিলিয়ন  ডলার  ছাড়িয়ে গেছে।  আমরা  খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা  অর্জন  করেছি।  বাংলাদেশ  এখন  নি¤œ-মধ্যম আয়ের দেশ।  আমি  আশা  করি, ২০২১  সালের  আগেই  আমরা  মধ্যম  আয়ের দেশ  এবং  ২০৪১  সালে  উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে  পরিণত  হতে সক্ষম  হব।
    ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলাকারীদের  বিচার কাজ  চলছে।  আমরা  সপরিবারে  জাতির  পিতার  হত্যার  বিচারের রায় কার্যকর করেছি। জাতীয় চার নেতা হত্যার  বিচার সম্পন্ন হয়েছে। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধী-মানবতাবিরোধীদের  বিচারের  রায়  কার্যকর  করা  হচ্ছে। আমরা  গণতন্ত্র ও আইনের  শাসনকে  সমুন্নত রেখেছি।
    আমি আশা  করি, ২১ আগস্টের শোককে  শক্তিতে পরিণত  করে  সন্ত্রাস ও জঙ্গিমুক্ত  একটি শান্তিপূর্ণ  গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ  গড়তে দেশের  সকল নাগরিক  ঐক্যবদ্ধ  হবেন। ২১  আগস্টের  হামলাকারী, পরিকল্পনাকারী, নির্দেশদাতা  এবং তাদের  মদদদাতাদের  সুষ্ঠু বিচারের  মাধ্যমে দেশ থেকে  হত্যা, সন্ত্রাস ও  জঙ্গিবাদের  চির অবসান হবে। আইনের  শাসন  সুপ্রতিষ্ঠিত হবে। জঙ্গিবাদকে  সমূলে উপড়ে ফেলে আমরা  জাতির  পিতার  স্বপ্নের সোনার  বাংলা  প্রতিষ্ঠিত  করব-  এই  দিনে  এটাই  আমার  প্রত্যাশা।
    আমি ২১  আগস্টের সকল শহিদের আত্মার  মাগফিরাত কামনা করছি। তাদের প্রতি সর্বোচ্চ  শ্রদ্ধা  জানাচ্ছি এবং  আহতদের  জানাচ্ছি গভীর সমবেদনা।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
মিনা/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৬/১৭০০ ঘণ্টা

 

Todays handout (6).doc