Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st মে ২০২০

তথ্যবিবরণী ২১.০৫.২০২০২

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬৫

ঘূর্ণিঝড়ে ২৬ জেলায় প্রায় ১১শ’ কোটি টাকার ক্ষতি

জেলাপ্রতি ৫শ’ বান্ডিল টিন ও ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের কারণে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ২৬ জেলায় প্রায় ১১শ’ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলাসমূহ হচ্ছে সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, পটুয়াখালী, ও বরগুনা।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় তাঁর মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষ থেকে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সার্বিক বিষয়ে অনলাইনে সাংবাদিকদেরকে ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। এ সময় মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ শাহ কামাল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মহসিন উপস্থিত ছিলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, এসব জেলায় ঘরবাড়ির প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এসব ঘরবাড়ি সংস্কার ও নির্মাণে প্রতি জেলায় ৫শ’ বান্ডিল টিন এবং ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, এছাড়াও ত্রাণের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে চাল ও নগদ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট ও পটুয়াখালীতে পাট, আম, লিচু ও মুগ ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ধানের তেমন ক্ষতি হয়নি, তবে প্রায় ১৫০ কোটি টাকার আমের ক্ষতি হয়েছে। ২শ’টি ব্রিজ ও কালভার্ট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার বেশির ভাগ বাগেরহাট, সাতক্ষীরা ও খুলনা জেলায় অবস্থিত । প্রায় ১৫০ কিলোমিটার বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং ৮৪টি জায়গায় বাঁধের ফাটল ধরেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব ফাটল ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা ব্যয়ে আগামীকাল থেকে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হবে বলে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে। বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে অনেক জায়গায় ডাক বিভাগের টেলিফোন লাইন বিচ্ছিন্ন রয়েছে যা শীঘ্রই মেরামত করা হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, যেহেতু এবার প্রচুর সংখ্যক গবাদি পশুকে নিরাপদে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছিল তাই মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। তবে মৎস্য চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রায় ১ লাখ ৮০ হাজার ৫শ চিংড়ি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যার অর্থমূল্য প্রায় ৩২৫ কোটি টাকা। প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের এবং খাদ্য বিভাগের তেমন ক্ষতি হয়নি। গণপূর্ত বিভাগের সামান্য ক্ষতি হয়েছে।

          প্রতিমন্ত্রী আরো উল্লেখ করেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এ পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে পটুয়খালীতে দুইজন, যশোরে তিনজন, ভোলায় একজন, পিরোজপুরে একজন, সাতক্ষীরায় একজন এবং চুয়াডাঙ্গা জেলায় দুইজন।

#

সেলিম/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/২১০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬৪

কোভিড চিকিৎসায় বেক্সিমকো কর্তৃক এক হাজার ‘বেমসিভির’ ঔষধ হস্তান্তর
 

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          আজ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল কর্তৃক স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের নিকট কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত মুমূর্ষু রোগীদের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য এক হাজার ‘বেমসিভির’ ঔষধ অনুদান হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণারয়ের পক্ষে ঔষধগুলো গ্রহণ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী জাহিদ মালেক। বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন, এমপি ঔষধগুলো স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নিকট হস্তান্তর করেন।

          অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী কোভিড-১৯ চিকিৎসায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস প্রথম কোন ঔষধ হস্তান্তর করায় বেক্সিমকো ফার্মাকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, “বিশ্বের বহুদেশ কোভিড-১৯ চিকিৎসায় ঔষধ আবিস্কারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশ থেকেও দেশে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ৬টি কোম্পনিকে কোভিড-১৯ চিকিৎসা ঔষধ প্রস্তুত করতে প্রাথমিকভাবে অনুমতি দিয়েছে। এই ঔষধগুলো আরো ভালোভাবে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পরই বাজারজাত করতে হবে। উপযুক্ত পরীক্ষা ছাড়া উৎপাদিত ঔষধগুলো এখনই বাজারজাত করা যাবে না। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে আরো অনেক ধরণের ঔষধের নাম চলে আসে। কিন্তু বাংলাদেশ-সহ এখন পর্যন্ত বিশ্বের কোন দেশই শতভাগ কার্যকর ওষুধ আবিস্কার করতে পারেনি। তবে সরকারের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চলমান রয়েছে।”

          উল্লেখ্য, আমেরিকায় উৎপাদিত রেমডিসিভির ঔষধের ন্যায় বাংলাদেশের বেক্সিমকো ফার্মা কর্তৃক উৎপাদিত ঔষধের নাম বেমসিভির করা হয়েছে। এই ঔষধ আপাতত সরকারি হাসপাতালসমূহে চিকিৎসারত ঝুঁকিপূর্ণ কোভিড-১৯ রোগীদের শরীরে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রয়োগ করানো হতে পারে। একই সাথে এই ঔষধ এখন বাজারজাত করা হবে না বলেও জানান বেক্সিমকো ফার্মার নাজমুল হাসান পাপন।

          ঔষধ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন বেক্সিমকো ফার্মার ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমূল হাসান পাপন, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোঃ মাহবুবুর রহমান, সিএমএইচডির পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ডা. মোঃ শহিদুল্লাসহ মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

#

মাইদুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৯৪৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬৩

জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান শিল্প প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          করোনা মোকাবিলায় গণমাধ্যমে ব্যাপকহারে জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম পরিচালনার আহ্বান জানিয়েছেন শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার। তিনি বলেন, জনসচেতনতা করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শক্তিশালী ভূমিকা রাখতে পারে।      

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর মিরপুরের ৬০ ফিট এলাকায় মনিপুর স্কুল ও কলেজের (বালক শাখায়) গরীব অসহায় মানুষের মাঝে ঈদের উপহার সামগ্রী বিতরণকালে এ কথা বলেন। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে প্রতিমন্ত্রীর ব্যক্তিগত পক্ষ হতে আজ ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ডের দুই হাজার পরিবারের প্রত্যেককে সেমাই, চিনি, আটা, আলু, চাল, ডাল, শাড়ি, লুঙ্গি ও নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী বলেন, চলমান করোনা পরিস্থিতিতে এ রোগের চিকিৎসা সেবার সম্প্রসারণ ও করোনা পরবর্তী সময়ে দেশের অর্থনীতির চাকাকে গতিশীল রাখতে সরকার অত্যন্ত তৎপর রয়েছে। করোনা পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে প্রধানমন্ত্রী উৎপাদনমুখী সকল খাতের জন্য প্রায় ১ লাখ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। এ বিশাল প্রণোদনা প্যাকেজ বাস্তবায়নে সরকার কাজ শুরু করেছে। ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে প্যাকেজের আওতায় সুবিধা পেতে পারেন সেজন্য নীতিমালা অনুযায়ী কাজ চলছে। 

          শিল্প প্রতিমন্ত্রী করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে শ্রমিকদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন কার্যক্রম চলমান রাখার আহ্বান জানান। যতদিন করোনার প্রাদুর্ভাব থাকবে ততদিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় সরকারের মানবিক ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রমের পাশাপাশি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীদের পক্ষ হতেও ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।     প্রতিমন্ত্রী এ সময় করোনার ফলে কর্মহীন হয়ে পড়া অসহায় মানুষদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নেবার জন্য সমাজের বিত্তবানদের প্রতি অনুরোধ জানান।

          স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ এসময় উপস্থিত ছিলেন।

#

মাসুম/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৯২২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬২

 

আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত চাষিদেরকে প্রণোদনা দেয়া হবে

                                                       -- কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় আম্পানের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি না হলেও অল্প কিছু কৃষিজ ফসলের বিশেষ করে ফলের মধ্যে আম, লিচু, কলা, সবজি, তিল এবং অল্প কিছু বোরো ধানের ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব নিরূপণের কাজ চলছে। প্রাথমিকভাবে ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত মোট জমির পরিমাণ 1,76,007 হেক্টর। ইতোমধ্যে হাওড়ে শতভাগ, উপকূলীয় অঞ্চলে ১৭ জেলায় ৯৬ শতাংশ-সহ সারা দেশে গড়ে ইতোমধ্যে ৭২ শতাংশ বোরো ধান কর্তন করা হয়েছে। ফলে ক্ষতির পরিমাণ সামান্য যা আমাদের খাদ্য উৎপাদনে তেমন প্রভাব পড়বে না। 

মন্ত্রী আজ হেয়ার রোডের সরকারি বাসভবন থেকে বাংলাদেশের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রলয়ংকরী ঘুর্ণিঝড় আম্পানের ফলে কৃষিতে ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে অনলাইনে (জুম প্ল্যাটফর্মে) মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।

 কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রলয়ংকরী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত শাকসবজি ও মসলা চাষিদের তালিকা প্রণয়ন করে তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আমন মৌসুমে বিনামূল্যে সার, বীজ ও নগদ সহায়তা-সহ বিভিন্ন প্রণোদনা প্রদান করা হবে। এছাড়াও ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, ফল ও পান চাষিদেরকে মাত্র ৪ শতাংশ সুদে কৃষি ঋণের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, সাতক্ষীরা জেলায় প্রায় ৬০-৭০ ভাগ আম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাতক্ষীরা-সহ বিভিন্ন জেলায় ঝড়ে পড়া আমগুলো ত্রাণ হিসেবে দুস্থ জনগণের মাঝে বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এতে একদিকে যেমন আমচাষিরা কিছুটা আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পাবে অন্যদিকে তেমনি দুস্থ এবং অসহায় জনগণের পুষ্টির ঘাটতি পূরণ হবে।

ব্রিফিংকালে কৃষিমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় ও সকলের সহযোগিতায় মহামারি করোনা এবং সুপার সাইক্লোন আম্পানের মতো দুর্যোগ মোকাবিলা করে দেশের খাদ্য উৎপাদনের বর্তমান ধারা শুধু অব্যাহত রাখা নয়, তা আরো বৃদ্ধি করে ২০৩০ সালের ‘টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট’ (এসডিজি) অর্জন করার দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

#

কামরুল/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬১

ঘূর্ণিঝড় আম্পানে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বরাবরের মতো এবারও সুপার সাইক্লোন আম্পানে সুন্দরবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ে সুন্দরবনের ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণে চারটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। সহকারী বন সংরক্ষক পদাধিকারী রেঞ্জ অফিসারদের নেতৃত্বে এ কমিটিগুলো গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটিগুলোকে প্রতিবেদন জমা দিতে বলে হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

          বনমন্ত্রী আজ ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ঘূর্ণিঝড় আম্পান পরবর্তী সাংবাদিকদের জিজ্ঞাসার জবাবে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে এসব কথা বলেন।

          বনমন্ত্রী জানান, প্রাথমিক রিপোর্ট অনুযায়ী সুন্দরবন বন বিভাগের ১০টির অধিক কাঠের জেটি এবং ৩০টির অধিক স্টাফ ব্যারাকের টিনের চালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে বনবিভাগের ৬০টির অধিক পুকুরে লবনাক্ত পানি প্রবেশ করেছে। সুন্দরবনের গাছ গাছালির মধ্যে কেওড়া গাছ বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

          মন্ত্রী জানান, সুন্দরবনের ক্ষতিগ্রস্ত অথবা ভেঙ্গে যাওয়া গাছপালা অপসারণ করা হবে না। সুন্দরবন নিজস্ব প্রাকৃতিক ক্ষমতা বলেই এটি স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবে। শুধু ক্ষতিগ্রস্ত অবকাঠামোগুলোর প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হবে। পুকুরগুলোর লবনাক্ত পানি অপসারণ করে ব্যবহার উপযোগী করা হবে। প্রযোজ্য ক্ষেত্রে কিছু পুকুর পুনঃখননের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

#

দীপংকর/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৯০৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৬০

 

পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা

 

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

         
          দেশব্যাপী সড়ক মহাসড়কে পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহন করা যাবে না মর্মে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও কোনো কোনো পণ্যবাহী যানবাহনে কৌশলে যাত্রী পরিবহন করা হচ্ছে যা সরকারি আদেশ অমান্যের শামিল  এবং সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ অনুযায়ী শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

 

          যে সকল পণ্যবাহী যানবাহন যাত্রী পরিবহন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

          সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আজ এ সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

 

          উল্লেখ্য, সাধারণ ছুটির ধারাবাহিকতায় সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ সম্প্রতি এক আদেশে গণপরিবহন বন্ধের সিদ্ধান্ত ৩০ মে পর্যন্ত বর্ধিত করে এবং পণ্যবাহী যানবাহনে যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

 

#

নাছের/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৮৩৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৫৯

আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করতে হবে

                                                            -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, আম্পানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে বিদ্যুতায়নের ব্যবস্থা করতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ তাঁর বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি), রুরাল পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেড (আরপিসিএল), বি আর পাওয়ারজেন কোম্পানি (বি আর পিজিসি), আশুগঞ্জ পাওয়ার স্টেশন কোম্পানি লিমিটেড (এএসপিসিএল), ইলেক্ট্রিসিটি জেনারেশন  কোম্পানি অব বাংলাদেশ (ইজিসিবি), নর্থ ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন  কোম্পানি  লিমিটেড (এনডব্লিওপিজিসিএল),  কোল পাওয়ার জেনারেশন  কোম্পানি বাংলাদেশ  লিমিটেড (সিপিজিসিবিএল), বাংলাদেশ ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি  লিমিটেড (বিআইএফপিসিএল), পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি (পিজিসিবি) ও পাওয়ার সেলের সাথে চলমান প্রকল্পের অগ্রগতি ও বাস্তবায়ন এবং ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নিয়ে পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন।

          সভার প্রথমেই  বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (আরইবি), ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড (ওজোপাডিকো), নর্দান ইলেক্ট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো), পাওয়ার গ্রীড কোম্পানি (পিজিসিবি) সাথে ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি ও দ্রুত বিদ্যুতায়ন নিয়ে আলোচনা করা হয়। প্রতিমন্ত্রী বলেন, যে সমস্যাই হোক না কেন অতিদ্রুত বিদ্যুতের ব্যবস্থা করতে হবে। হাসপাতালগুলোতে প্রয়োজনে জেনারেটর সরবরাহ করে বিদ্যুতায়নের উদ্যোগ নিতে হবে। সার্বিক পরিস্থিতি সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

          ভার্চুয়াল এ সভায় অন্যান্যের মাঝে বিদ্যুৎ সচিব ডঃ সুলতান আহমেদ, পিডিবির চেয়ারম্যান মোঃ বেলায়েত হোসেন, পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক মোহাম্মদ হোসেন, পাওয়ার গ্রীড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গোলাম কিবরিয়া ও কোম্পানিসমূহের ব্যবস্থাপনা পরিচালকগণ  উপস্থিত ছিলেন।

#

আসলাম/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৮২৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৫৮

 

ফটোসাংবাদিক মিজানুর রহমান খানের পরিবারকে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আর্থিক সহায়তা

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বাংলাদেশ ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দৈনিক বাংলাদেশ খবর পত্রিকার জ্যেষ্ঠ ফটো সাংবাদিক (আলোকচিত্রী)  মরহুম এম মিজানুর রহমান খানের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা নগদ সহায়তা প্রদান করেছেন।

          নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আজ এ অর্থ প্রদান করা হয়।

          উল্লেখ্য, মিজানুর রহমান খান গতকাল মারা যান (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মরহুমের ছোট ভাই মাহিদুর রহমান খান জানান, তাঁর ভাইয়ের কিডনী জটিলতা ছিল। মাঝে মাঝে জ্বর হতো। কয়েকদিন ধরে জ্বর থাকায় করোনা পরীক্ষার জন্য সকালে তিনি ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) স্থাপিত বুথে নমুনা দিতে যান। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে হাসপাতালে নেয়া হয়। ডাক্তাররা জানান, তিনি হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৭৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৫৭

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪ জেলায় ইতোমধ্যে ১ লাখ ৭২ হাজার ৪৬৭ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৯৭ কোটি ৭৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে । ‌

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ১ হাজার ৭৭৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৮ হাজার ৫১১ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ২২ জন-সহ এ পর্যন্ত ৪০৮ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ১০ হাজার ২৬২টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

          এখন পর্যন্ত সর্বমোট ২৩ লাখ ৫৯ হাজার ৮২টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে। এর মধ্যে গতকাল পর্যন্ত  মোট বিতরণ করা হয়েছে ২০ লাখ ৭ হাজার ৩২২টি এবং মজুত আছে ৩ লাখ ৫১ হাজার ৭৬০টি।

          সারা দেশে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬২৬টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩১ হাজার ৮৪০ জনকে।

#

 

তাসমীন/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৭৪৪ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১৮৫৬

আগামী ৩১ মে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

          আগামী ৩১ মে সকাল ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফলাফল ও পরিসংখ্যান প্রকাশ করবেন।

          আজ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে প্রেরিত এক পত্রের মাধ্যমে উল্লিখিত তারিখ ও সময় নিশ্চিত করা হয়েছে।

#

খায়ের/মাহমুদ/রেজাউল/২০২০/১৭৪২  ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                      নম্বর :  ১৮৫৫

 

কোভিড-১৯ মোকাবিলা

২ লক্ষ মানুষের সমাজসেবা মন্ত্রণালয় ত্রাণ সহায়তা

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

 

            কোভিড-১৯ মোকাবিলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদফতরের আওতায় ১১ মে পর্যন্ত উদ্যোগে এক লক্ষ ৯৬ হাজার মানুষকে ত্রাণ হিসেবে খাদ্যসহায়তা ও নগদ অর্থ প্রদান করা হয়েছে। সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে তিন কোটি টাকা এবং জাতীয় সমাজকল্যাণ পরিষদ থেকে ২৩ কোটি ৪৭ লাখ টাকা দেশের সকল জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বিতরণ করা হচ্ছে। সমাজসেবা অধিদফতরের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দের ব্যক্তিগত অনুদান এবং ৫৬ হাজার নিবন্ধিত স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাসমূহের অনুদানেও ত্রাণকার্য পরিচালনা করা হচ্ছে।

 

            করোনা দুর্যোগ মোকাবিলায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন সংস্থার আওতায় ৮০ লক্ষ উপকারভোগীর মধ্যে ভাতাদি বিতরণের কাজ চলছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে-বয়স্কভাতা কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৪৪ লক্ষ, বিধবা ও স্বামীনিগৃহীতা মহিলাভাতা কর্মসূচিতে ১৭ লক্ষ, অসচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা কর্মসূচিতে ১৫ লাখ ৪৫ হাজার, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা উপবৃত্তি কর্মসূচিতে এক লাখ, হিজড়া জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ছয় হাজার, বেদে জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ১০ হাজার, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে ৭১ হাজার, চা-শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচিতে উপকারভোগী ৫০ হাজার, ক্যান্সার, কিডনী লিভার সিরোসিস, জন্মগত হৃদরোগী, প্যারালাইজড, থ্যালাসেমিয়া রোগীদের আর্থিক সহায়তাপ্রদান কর্মসূচিতে ৩০ হাজার এবং বেসরকারি এতিমখানায় ক্যাপিটেশন গ্রান্ট পাচ্ছেন ৯৭ হাজার ৫০০ জন।

 

            সকল সামাজিক নিরাপত্তাকার্যক্রমের আওতায় জানুয়ারি থেকে মার্চ পর্যন্ত তৃতীয় কিস্তির নিয়মিত ভাতাবিতরণ এবং এপ্রিল থেকে জুন পর্যন্ত চতুর্থ কিস্তির অগ্রীমভাতাও স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে। ঈদুলফিতরের পূর্বেই সকল ভাতাবিতরণের কাজ সম্পন্ন হবে। পরিস্থিতির কারণে সুদমুক্ত ঋণগ্রহীতাদের নিকট থেকে ঋণ আদায় স্থগিত রয়েছে। পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে অর্থ বরাদ্দ প্রাপ্তি সাপেক্ষে অতিরিক্ত ঋণ প্রদানের পরিকল্পনা রয়েছে। এখাতে অতিরিক্ত এক হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের জন্য অর্থবিভাগের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। বর্তমানে চলমান সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণগ্রহীতার সংখ্যা প্রায় ১২ লক্ষ ৮৩ হাজার এবং সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ আদায়ের হার গড়ে ৯০%। বর্তমানে সমগ্রদেশে জেলা-উপজেলাপর্যায়ে সর্বমোট ৫২৩ টি হাসপাতাল সমাজসেবা ইউনিটের মধ্যে ঢাকামহানগরীসহ জেলাপর্যায়ে সরকারী ও বেসরকারী হাসপাতালে ১০৪ টি ও উপজেলাপর্যায়ে ৪১৯ টি উপজেলা হেলথ কমপ্লেক্সে এই কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

            অন্যদিকে, সুবিধাবঞ্চিত শিশুসুরক্ষা কার্যক্রমের অধীনে ৮৫টি সরকা‌রি শিশু প‌রিবার, ছয়টি এ‌তিম ও প্রতিবন্ধী‌ ছে‌লে মে‌য়ে‌দের কারিগরী প্রশিক্ষণকেন্দ্র-, তিনটি ম‌হিলা‌দের আর্থসামা‌জিক প্রশিক্ষণকে‌ন্দ্র, ছয়টি ছোটমনি নিবাস, একটি ডেকেয়ার সেন্টার, ১৩টি শেখ রাসেল শিশুপ্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র এবং তিনটি দুস্থ শিশুপ্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্র মোট উপকারভোগী রয়েছে সরকারি প্রতিষ্ঠানে ১৭ হাজার এবংও তিন হাজার ৯২০টি বেসরকারি ক‌্যা‌পি‌টেশন গ্রান্টপ্রাপ্ত বেসরকা‌রি এতিমখানায় সাড়ে ৯৭ হাজার শিশু। আইনের সংস্পর্শে বা সংঘর্ষে আসা শিশু ও ব্যক্তির উন্নয়ন ও পুনর্বাসনের আওতায় তিনটি শিশু উন্নয়নকেন্দ্র, ছয়টি মহিলাও শিশু-কিশোরী হেফাজতীদের নিরাপদ আবাসনকেন্দ্র, পাঁচটি সরকারি আশ্রয়কেন্দ্র এবং ছয়টি সামাজিক প্রতিবন্ধী মহিলাদের প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনকেন্দ্রেও নতুন নিবাসীদের আলাদাভাবে ১৪ দিন কোয়ারেনটাইন রুমে রাখা নিশ্চিত করা হয়েছে। ৭৯টি প্রতিবন্ধী বিষয়ক প্রতিষ্ঠানে প্রায় এক হাজার ৫৮৭ জন নিবা‌সির স্কুলবন্ধ থাকায় কো‌চিং সাই‌কেলের মাধ্যমে, টিভি ও অনলাইনভিত্তিক পাঠদান নিশ্চিত করা হয়েছে। এরমধ্যে সমন্বিত দৃষ্টি প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠান রয়েছে ৬৪টি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠান-১৫টি।

 

#

আলম/পরীক্ষিৎ/শুভ/২০২০/১৪৩৪ ঘণ্টা

 

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                                 নম্বর :  1854

 

EU Offers 334 Million Euro to fight against COVID-19

 

Dhaka, 21 May 2020:

 

            EU would offer 334 million Euros to Bangladesh in the coming days, with 103 million or 1/3rd of that amount to be channeled through the Economic Relations Division of the Ministry of Finance.

               

                EU Ambassadors disclosed this offer in a meeting with Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen yesterday through video conferencing. Ambassadors of Denmark, France, Germany, Italy, The Netherlands, Norway, Spain, Sweden, Switzerland, and the European Union Delegation in Dhaka toole part in the meeting.

 

                Foreign Minister briefed the Ambassadors of the EU Member States about the steps taken by Bangladesh in addressing the challenges of COVID19. The Ambassadors appreciated the initiatives by the Government to contain the pandemic, and offered helps of their countries in overcoming the challenge.

 

                Foreign Minister thanked them for the support, and emphasised that it is important to ensure transparency and accountability of the aid activities carried out by the development partners. They should disclose publicly their spending so that tax-payers know where their tax money is being spent.

 

                On the issue of the concern of COVID19 being spread in the Rohingya camps in Cox’s Bazar, Dr. Momen assured the Ambassadors that the Government is taking all necessary steps to ensure that the pandemic is contained, and there is minimal spread of COVID19 in the Rohingya camps. The Ambassadors discussed the issue of freedom of press, and Foreign Minister agreed with them about the importance of ensuring freedom of press and freedom of expression. He said there are nearly 33 private TV networks, hundreds of dailies plus a flood of online services which many countries even in Europe don't have. There is complete freedom of speech and media. However, he said, freedom without responsibility may result in social chaos and indiscipline. For example, in the name of freedom of choice, no one is allowed to open assault rifle to kill people in a crowded Mall or at a public school, neither one is allowed to incite or provoke people with fabricated stories to lawlessness.  He informed that the Government always considered the freedom of press as an important tool for effective governance in a democratic society.

 

                On the issue of cell phone network in the Rohingya camps, Dr. Momen explained that the functionaries would be able to access the internet and 4G services from their offices and accommodations. For security reasons; to stop drug trafficking, to stop trafficking of women and children, provoking people to create lawlessness and to stop Blue films, the government has to downgrade 4G services in the Camp area. However, they have 2G services which is enough for day to day communications. Moreover, for 4G facility, Rohingyas cannot afford to buy the Cell phone sets as these are 5 to 10 times more expensive vis-a-vis 2G cell phone sets. He assured that the Government would always protect the Rohingyas who have taken shelter in Bangladesh. In this regard, he stressed that providing shelter to Rohingyas was not the responsibility of Bangladesh alone. He called upon the Ambassadors to share the burden of providing better life and living for persecuted Rohingyas in their own countries or relocate and settle them in third countries. He said, almost 3 years have passed and although Myanmar agreed to take them back, not a single Rohingya went back home yet. He appealed to them to exert more pressure for their safe repatriation to Myanmar. The EU Ambassadors reiterated their appreciation for the humanitarian gesture by Bangladesh for the cause of the Rohingyas.

 

           

#

Tohidul/Parikshit/Shuvo/2020/1502 Hours 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :  ১৮৫৩

 

১৯৫ বাংলাদেশি নাগরিক নিয়ে বিশেষ ফ্লাইট কানাডা থেকে রওনা দিয়েছে

ঢাকা, ৭ জ্যৈষ্ঠ (২১ মে):

 

 

          পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় অটোয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশন ও টরেন্টোর বাংলাদেশ কনস্যুলেট জেনারেলের সহযোগিতায় কানাডায় আটকে পড়া ১৯৫ জন বাংলাদেশি নাগরিকদের নিয়ে কাতার এয়ারওয়েজ-এর একটি বিশেষ ফ্লাইট-ফ্লাইট নং QR3390

2020-05-21-21-06-8eb5c3af266ff64f17f1a048b65ed6ff.docx