তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬ ৩২
সবুজ টেকসই ডিজিটাল উন্নয়নে ব্রতী হতে কৃষিবিদদের প্রতি তথ্যমন্ত্রীর আহ্বান
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
সবুজ টেকসই ডিজিটাল উন্নয়নে ব্রতী হতে কৃষিবিদদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আজ রাজধানীর কেআইবি কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে কৃষিবিদ ইনস্টিটউশন বাংলাদেশ (কেআইবি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশে টেকসই কৃষিতে পরিবেশবান্ধব অভিগমন’ (ঊপড়-ঋৎরবহফষু অঢ়ঢ়ৎড়ধপয ঃড় ঝঁংঃধরহধনষব অমৎরপঁষঃঁৎব রহ ইধহমষধফবংয) সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বর্তমান বিশ্বে টিকে থাকতে উন্নয়নের ক্ষেত্রে সবুজ, টেকসই ও ডিজিটাল এ তিনটি বিষয়কে অবশ্যবিবেচ্য উল্লেখ করে এ আহ্বান জানান।
সেনিারের সভাপতি কৃষিবিদ ইনস্টিটউশনের সভাপতি কৃষিবিদ ও সংসদ সদস্য আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এবং বিশেষ অতিথি বাংলাদেশে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার (ঋড়ড়ফ ধহফ অমৎরপঁষঃঁৎব ঙৎমধহরুধঃরড়হ ড়ভ ঃযব টহরঃবফ ঘধঃরড়হং-ঋঅঙ) প্রতিনিধি ড. মাইক রবসন (উৎ. গরশব জড়নংড়হ) কৃষিতে পরিবেশবান্ধব জন আচরণের সুপ্রভাবের কথা উল্লেখ করেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘কৃষি-গ্রাম-পরিবেশ ও দরিদ্রবান্ধব শেখ হাসিনার সরকার কৃষিখাতকে এদেশের মানুষের ভাগ্যের সাথে সংবেদনশীল বলে মনে করে।’ অতীতের পুঁজিবাদী সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে ইনু বলেন, ‘শুধু ক্ষমতা আর টাকার পেছনে ছোটা সরকারের পক্ষে যেমন পরিবেশবান্ধব উন্নয়ন সম্ভব নয়, তেমনি বাজারশক্তির লাগামহীনতার কাছে কৃষিকে ছেড়ে দিয়ে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনও সম্ভব ছিল না।’
কৃষিখাতে প্রযুক্তি প্রয়োগে নতুন মাত্রা আনতে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের পরিবেশগত বৈশিষ্ট্য, যেমন বন্যাপ্রবণ, খরাবহুল, ভূমির লবণাক্ততা, বিল-হাওরভিত্তিক অঞ্চল নির্ধারণ করে সে অনুযায়ী ফসল উৎপাদনের বিষয়টি প্রস্তাব করেন মন্ত্রী। একইসাথে উর্বরতা, প্লাবন গভীরতা ও দারিদ্র্যহারভিত্তিক মানচিত্র তৈরির ওপরও গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
এদেশের মানুষ গত একশ’ বছরে ৫৮টি বড় ঘূর্ণিঝড়, ২০টি বড় মাত্রার ভূকম্পনসহ গত ৫০ বছরে ৫৩টি বড় বন্যা মোকাবিলা করেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ সাহসের সাথে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করছে।’ ‘এখনকার রাজনীতিবিদরা পরিবেশ সচেতন’ বলেন জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু।
কৃষিবিদ ড. এম জয়নুল আবেদীন কৃষিতে টেকসই উন্নয়ন বিষয়ে মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন। স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষিবিদ প্রফেসর ড. নীতিশ চন্দ্র দেবনাথ। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অজয় কুমার রায়, মৎস্য অধিদপ্তরের পরিচালক নাসিরুদ্দিন মোঃ হুমায়ুন, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রশীদ ভুঁইয়া এবং কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক
মোঃ আতাউর রহমান এবং কেআইবি’র মহাসচিব কৃষিবিদ মোহাম্মদ মোবারক আলী সেমিনারে আলোচনায় অংশ নেন।
#
আকরাম/মিজান/নবী/মোশারফ/আব্বাস/২০১৫/২২০০ ঘণ্টা
Handout Number : 1631
State Minister urges Thailand for duty free acess of BD Jute Products
Thailand, June 05 :
On a two-day visit to Thailand to lobby for greater access of Bangladeshi jute products to Thai markets, State Minister for Jute and Textiles Mirza Azam called upon the Government of Thailand to accord duty free access to export of jute products from Bangladesh towards reducing trade imbalance between the two countries. He made this appeal during his bilateral meetings with the Deputy Minister for Commerce Apiradi Tantraporn and the Deputy Minister for Finance of Thailand Wisudhi Srisuphan yesterday. Acting Secretary for Ministry of Jute and Textiles of Bangladesh Fariduddin Ahmed Chowdhury, Bangladesh Ambassador in Thailand Saida Muna Tasneem and Chairman of BJMC Major General Humayun Khaled were present during these meetings.
Mr. Azam highlighted the priority accorded by Prime Minister Sheikh Hasina for the promotion of environment friendly Jute and Jute products nationally and globally and sustenance of livelihoods of thousands of workers currently employed in Bangladesh jute mills and encouraged Thai leaders to use jute sacks instead of poly bags for storage of rice and other crops. Later the Minister attended a business network dinner organised by the President of Thai-Bangladesh Business Council in Bangkok participated by more than 30 different business and trade bodies leaders dealing with jute, rice, textiles, infrastructure and electronics industry. Bangladesh Jute and Textiles Jute products were showcased in the meeting where Bangladeshi Minister also called upon Thai investors to buy off public sector jute and textiles industry in Bangladesh and invest in modernising jute mills for the production of 100% export oriented consumer friendly modern jute products of international standards.
The State Minister for Jute is leading a five-member delegation to Thailand, Cambodia, Vietnam and China to enhance opportunities for greater market access of Bangladeshi jute products into these countries.
#
Rezaul/Mizan/Sanjib/Selim/2015/1720 Hrs
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬২৯
শিশুদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে
-- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রী মোস্তাফিজুর রহমান বলেছেন, শিশুদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত করে গড়ে তুলতে মানসম্পন্ন শিক্ষা প্রদানে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সেন্ট জ্যাকব এলিমেন্টারি স্কুলের কৃতী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, স¦াধীনতার ৪৪ বছর পর দেশ কৃষি, স¦াস্থ্য, বিদ্যুৎ ও শিক্ষাসহ বিভিন্নখাতে কাক্সিক্ষত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছে। তবে দেশকে আন্তর্জাতিকমানে পৌঁছাতে হলে শিক্ষাখাতে আরো অগ্রগতি সাধন করতে হবে। মানসম্পন্ন শিক্ষা ছাড়া দেশের উন্নতি লাভ করা সম্ভব নয়। এজন্য প্রয়োজন প্রশিক্ষিত শিক্ষক। শিক্ষকদের উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার জন্য ১৮ মাসব্যাপী ডিপ্লোমা ইন এডুকেশন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া বিদেশেও তাদের প্রশিক্ষণের জন্য পাঠানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে সেন্ট জ্যাকব এলিমেন্টারি স্কুলের অধ্যক্ষ ওয়াটসন হালদার এবং উপাধ্যক্ষ ভিক্টর বিকাশ ডি রোজারিও বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদ ও পুরস্কার বিতরণ করেন।
#
রবি/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬৩০
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) ও
প্রফেশনাল ভর্তির রিলিজ সিøপের মেধাতালিকা প্রকাশ ৮ জুন
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-২০১৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) ও প্রফেশনাল ভর্তি কার্যক্রমের রিলিজ সিøপের মেধাতালিকা ৮ জুন প্রকাশ করা হবে।
উভয় ফল ঝগঝ এর মাধ্যমে বিকেল ৪টা থেকে যেকোনো মোবাইল মেসেজ অপশনে গিয়ে প্রথম বর্ষ স্নাতক (পাস) এর ক্ষেত্রে ঘট<ংঢ়ধপব>অঞউএ<ংঢ়ধপব>জড়ষষ ঘড় এবং প্রফেশনালের জন্য ঘট<ংঢ়ধপব>অঞঐচ<ংঢ়ধপব>জড়ষষ ঘড় লিখে ১৬২২২ নম্বরে মেসেজ ঝবহফ করে জানা যাবে এবং রাত ৯টা থেকে িি.িহঁ.বফঁ.নফ/ধফসরংংরড়হং অথবা ধফসরংংরড়হং.হঁ.বফঁ.নফ ওয়েবসাইটে ফল পাওয়া যাবে।
এ সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট িি.িহঁ.বফঁ.নফ/ধফসরংংরড়হং থেকে জানা যাবে।
#
ফয়জুল/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬২৮
তৃণমূল থেকেই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
নান্দাইল (ময়মনসিংহ), ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, তৃণমূল থেকেই উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। স্থানীয়ভাবে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করাই আমাদের লক্ষ্য। এজন্য ঘরে ঘরে ও শিল্প প্রতিষ্ঠানে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলায় নবনির্মিত ৩৮ কিলোমিটার বিদ্যুৎ বিতরণ লাইনের উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে এগোলেই দ্রুত উন্নয়ন সম্ভব হবে। এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি নান্দাইলে ২৩০ কিলোমিটার বিতরণ লাইন দ্রুত স্থাপন করার প্রতিশ্রুতি দেন।
কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি টিপু সুলতানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদীন খান তুহিন, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) সুনীল চন্দ্র দে ও নান্দাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক চৌধুরী স্বপন বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মিজান/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬২৭
জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বৃক্ষরোপণ, সংরক্ষণ ও পরিচর্যা বিষয়ে দেশের জনগণকে আগ্রহী ও সচেতন করে তুলতে জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৫ আয়োজনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই।
জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলার এবারের প্রতিপাদ্য “পাহাড়, সমতল, উপকূলে, গাছ লাগাই সবাই মিলে” যা অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে।
বৃক্ষ দূষণমুক্ত পরিবেশ সৃষ্টির চালিকাশক্তি। আমরা বাঁচার জন্য অক্সিজেন পাই বৃক্ষ হতে। গাছ বায়ুম-লের
কার্বন-ডাই-অক্সাইড গ্রহণ করে এবং নিজ দেহে জমা রেখে পৃথিবীর কার্বনচক্রকে নিয়ন্ত্রণ করে। ফলে বিশ্বের উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তন রোধে গাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। বস্তুত গাছ আমাদের জীবন ও জীবিকার সাথে সম্পৃক্ত। মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণের পাশাপাশি পরিবেশের উন্নয়ন ও দারিদ্র্যবিমোচনে অনাদিকাল থেকে বৃক্ষ অনন্য ভূমিকা পালন করে আসছে।
মানবসৃষ্ট কর্মকা-ের বিরূপ প্রভাবে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। পরিবর্তন ঘটছে জলবায়ুর। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের ফলে বিশ্বের ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। জলবায়ু পরিবর্তন রোধ করে বৃক্ষই পারে ধরণিকে বসবাসের উপযোগী করে গড়ে তুলতে। বৃক্ষের সবুজ বেষ্টনী ঝড়-ঝঞ্ঝা ও জলোচ্ছ্বাসের তীব্রতা হ্রাস করে জীবন ও সম্পদ রক্ষা করে। তাই বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে সমৃদ্ধ সবুজ বাংলাদেশ গড়ে তোলা একান্তভাবে প্রয়োজন।
আমাদের সরকার জলবায়ুর পরিবর্তন রোধ, পরিবেশের উন্নয়ন এবং সম্পদ সৃজনে বৃক্ষের অবদান অনুধাবন করে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিকে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এ লক্ষ্যে সারাদেশব্যাপী বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে। বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় বৃক্ষমেলার আয়োজন করা হচ্ছে।
বাড়ির আঙিনা ও চারপাশ, পতিত ও প্রান্তিক ভূমি, সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, জলাশয়, খাল ও রাস্তার পাশে বৃক্ষরোপণ করে সবুজায়নের এ মহৎ উদ্যোগে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণের জন্য আমি সবাইকে উদাত্ত আহ্বান জানাই।
এবছর যারা “বৃক্ষরোপণে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কার ২০১৪”, “বঙ্গবন্ধু এওয়ার্ড ফর ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন ২০১৫” এবং যে সকল উপকারভোগী সামাজিক বনায়নে লভ্যাংশ পেয়েছেন আমি তাঁদের সকলকে অভিনন্দন জানাই। বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বন্যপ্রাণী রক্ষায় তাঁদের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে আমার প্রত্যাশা।
আমি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০১৫ এর সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
নুরএলাহি/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৬২৬
জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২২ জ্যৈষ্ঠ (৫ জুন) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“সারাদেশে ৬ জুন থেকে তিন মাসব্যাপী বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০১৫ শুরু হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
পরিবেশ ও প্রতিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় বৃক্ষের গুরুত্ব অপরিসীম। বৃক্ষ কেবল পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে না, সবুজ অর্থনীতি গড়ে তুলতেও বিশাল ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশ বিশ্বের ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোর অন্যতম। ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপ, বসতবাড়ি নির্মাণ, শিল্পায়ন, নগরায়নসহ অন্যান্য স্থাপনা ও অবকাঠামো নির্মাণের ফলে একদিকে যেমন কৃষিজমির পরিমাণ কমছে তেমনি বনভূমির পরিমাণও কাক্সিক্ষত মাত্রা অর্জন করতে পারছে না। এমন পরিস্থিতিতে জগৎ ও জীবের সার্বিক কল্যাণে কৃষিজমি রক্ষার পাশাপাশি বৃক্ষরোপণের ওপর গুরুত্বারোপ করতে হবে। বাংলাদেশ সরকার বৃক্ষরোপণকে অগ্রাধিকার দিয়ে উপকূলীয় এলাকা বনায়নসহ স্বল্প ও দীর্ঘমেয়াদি বাগান সৃজনের উদ্যোগ নিয়েছে। এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় এবং জনকল্যাণমুখী।
বাংলাদেশ আয়তনে ছোট হলেও আমাদের রয়েছে পাহাড়, উপকূলসহ সমতল ভূমি, যেখানে অধিক পরিমাণে বৃক্ষরোপণ করে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করা সম্ভব। এ পরিপ্রেক্ষিতে এবারের জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০১৫ এর প্রতিপাদ্য “পাহাড়, সমতল, উপকূলে, গাছ লাগাই সবাই মিলে” যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। প্রকৃতি ও পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলাসহ সুখী ও সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ গড়তে আমি দেশবাসীকে বৃক্ষরোপণ অভিযানে সক্রিয় অংশ নেয়ার জন্য উদাত্ত আহ্বান জানাই।
আমি জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা, ২০১৫ এর সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মিজান/নবী/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা