Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬

তথ্যবিবরণী 07 September 2016

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৮৭

সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বচ্ছতার সাথে
এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের পদক্ষেপ

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর):
সর্বোচ্চ সতর্কতা ও স্বচ্ছতার সাথে আসন্ন এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন করার জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ওভারসাইট কমিটিতে দৈনিক সমকাল সম্পাদক গোলাম সারওয়ার, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল, সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, বিএফইউজে সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল, দৈনিক আমাদের অর্থনীতির সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, দৈনিক প্রথম আলোর যুগ্মসম্পাদক আব্দুল কাইয়ুমকে অন্তর্ভুক্ত করতে তিনি সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত ২০১৬-২০১৭ শিক্ষাবর্ষে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্বকালে মন্ত্রী এই নির্দেশ প্রদান করেন।
মন্ত্রী বলেন, পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে গুজব ছড়িয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করার সুযোগ যেন কোনো মহল না পায় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। জনগণের জন্য মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে মেডিকেল শিক্ষার মান উন্নয়নে সরকার বদ্ধপরিকর। এ লক্ষ্যে এবারের ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘœ করতে ইতোমধ্যে এমবিবিএস ও বিডিএস ভর্তি পরীক্ষা পৃথক পৃথক দিনে গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে সকল ভর্তি কোচিং সেন্টার বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পেতে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় সম্মিলিতভাবে ন্যূনতম প্রাপ্ত নম্বর জিপিএ-৯ নির্ধারণ করা হয়েছে।
সভায় অন্যান্যের মাঝে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বিমান কুমার সাহা, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল আহসান খান, বিএমএ সভাপতি অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হাসান, বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, আমাদের অর্থনীতি সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বিএমএ মহাসচিব অধ্যাপক ডা. ইকবাল আর্সলান, বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনস এর সভাপতি অধ্যাপক ডা. সানোয়ার হোসেন, বিএমডিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. শহীদুল্লাহ, ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেডিকেল শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. ইসমাইল খানসহ মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।     
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৯২৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ২৮৮৬

সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :
    দশম জাতীয় সংসদের সড়ক পরিবহণ ও সেতু  মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৯তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেনের সভাপতিত্বে  সংসদ  ভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সদস্য রেজওয়ান আহম্মদ তৌফিক, নাজমুল হক প্রধান, লুৎফুন নেছা এবং নাজিম উদ্দিন আহমেদ  বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
    বৈঠকে  পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মহাসড়ক যানজটমুক্ত রাখা এবং বিআরটিসির বাস নির্বিঘেœ চলাচল ও যাত্রীসেবা নিশ্চিতকরণ বিষয়ে মন্ত্রণালয় কর্তৃক গৃহীত পদক্ষেপ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। বৈঠকে জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সড়কপথে যাতায়াতকারী যাত্রীসাধারণের চলাচল নির্বিঘœ করা, জনস্বার্থ বিবেচনায় যানজট নিরসনে জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে  ট্রাক ও লরি চলাচল বন্ধ রাখা হবে। তবে খাদ্য ও পচনশীল দ্রব্য, ঔষধ, জ্বালানি বহনকারী যানবাহন ও কাঁচা চামড়া এর আওতামুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
    বৈঠকে আরো জানানো হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে যাত্রীদের নিকট থেকে সরকার নির্ধারিত ভাড়া নেয়া. অতিরিক্ত যাত্রী ও মালামাল বহন না করা,  মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা, ভিজিলেন্স টিম গঠন, কেন্দ্রীয় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা এবং সড়ক মহাসড়কের ১৬টি পয়েন্টে পুলিশ প্রশাসনকে সহায়তা করার জন্য ১ হাজার রোভার স্কাউট নিয়োজিত করা হবে। পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঘরমুখী মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিতকরণ এবং মহাসড়কগুলো যানজটমুক্ত রাখার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগকে সুপারিশ করা হয়।
    মহাসড়কের পাশে পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোনোভাবেই যেন গরুর হাট বসতে না পারে সে বিষয়ে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয় । এছাড়া ঢাকা থেকে ময়মনসিংহ হয়ে গৌরিপুর পর্যন্ত বিআরটিসির বাস চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করা হয়।
    সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব, বিআরটিসির চেয়ারম্যান, বিআরটিএর চেয়ারম্যানসহ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।

#

এমাদুল/মাহমুদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৮২৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৮৫

কোরবানির বর্জ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করতে হবে
                                     --- এলজিআরডি মন্ত্রী

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর):
স্থানীয় সরকার, পল্লিউন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন কোরবানির বর্জ্য ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অপসারণ করার জন্য সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী আজ স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে সুষ্ঠু বর্জ্য ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে পরিবেশবান্ধব শহর গঠন করতে বিভিন্ন পৌরসভার মেয়রদের মাঝে ডাম্পার ট্রাক বিতরণ অনুষ্ঠানে এ নির্দেশনা প্রদান করেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেকসহ দেশের ৭৮টি পৌরসভার মেয়র ও মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, সামাজিক উন্নয়নের পাশাপাশি পৌর এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন, এলাকার রাস্তা-ঘাট উন্নয়ন, খেলার মাঠ, পার্ক, বাস টার্মিনাল, ড্রেনেজ, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ স্যানিটেশন ব্যবস্থার উন্নয়নের জন্য বর্তমান সরকার বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। তিনি পৌরবাসীর বিভিন্ন সেবা প্রদানের পাশাপাশি বর্জ্য অপসারণের মাধ্যমে দূষণমুক্ত ও পরিবেশবান্ধব শহর নিশ্চিত করতে পৌর মেয়রদেরকে নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী জানান, জনগণের আশা-আকাক্সক্ষার প্রতিফলন হিসেবে বর্তমান সরকারের আমলে ২৬টি নতুন পৌরসভা গঠন করা হয়েছে। এছাড়া ১২টি প্রকল্পের মাধ্যমে বিভিন্ন পৌরসভার অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ সুশাসন নিশ্চিত করার কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পরিকল্পিত নগরায়নের লক্ষ্যে ২৪৭টি পৌরসভার মাস্টার প্ল্যানের কাজ চলমান রয়েছে। পৌর এলাকার জনগণের উন্নত সেবা নিশ্চিত করতে স্থানীয় সরকার বিভাগ ডাম্পার ট্রাকের ন্যায় জরুরি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করছে।
    পরে মন্ত্রী ৭৮টি পৌরসভার মেয়রের মাঝে ডাম্পার ট্রাকের চাবি হস্তান্তর করেন।
#
শহিদুল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৮১৫ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ২৮৮৪

আলোচনা সভায় বক্তাদের অভিমত
সপ্তাহব্যাপী  কর্মসূচির মাধ্যমে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে হবে

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর):
শুধু একদিন জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপনের মাধ্যমে দেশের শিল্প, কৃষি ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে কাক্সিক্ষত মাত্রায় উৎপাদনশীলতা বাড়ানো সম্ভব নয়। এর জন্য একটি নির্দিষ্ট সপ্তাহব্যাপী ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করে উৎপাদনশীলতা বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নিতে হবে। পর্যায়ক্রমে প্রত্যেক মাসে এ ধরনের সাপ্তাহিক কর্মসূচি গ্রহণ করে উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির আন্দোলনে সংশ্লিষ্ট সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে।
 এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভা ও সিনিয়র শিল্প সচিবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন। গতরাতে রাজধানীর একটি হোটেলে এ অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া এনডিসি এতে প্রধান অতিথি ছিলেন।
সংগঠনের প্রেসিডেন্ট মো. জাবেদ ইয়াহিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প সমিতি, বাংলাদেশ (নাসিব) এর সভাপতি মির্জা নূরুল গণি শোভন, ন্যাশনাল প্রোডাক্টিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এর পরিচালক অজিত কুমার পাল এফসিএ, সংগঠনের মহাসচিব মো. আবদুল মুসাব্বির বক্তব্য রাখেন।    
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, চলতি বছর ২রা অক্টোবর সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে মহাসমারোহে জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস উদ্যাপন করা হবে। এ কাজে উৎপাদনশীলতার সাথে জড়িত বেসরকারি উদ্যোক্তাসহ সকল স্টেকহোল্ডারের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। জাতীয় পর্যায়ে উৎপাদনশীলতা আন্দোলন বেগবান করতে তারা এপিও সোসাইটি ফর বাংলাদেশের ৬ শতাধিক অ্যালামনাইকে সস্পৃক্ত করার তাগিদ দেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিল্প সচিব বলেন, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধির ফলে দেশের জনগণের জীবনযাত্রার মান বেড়েছে। এক সময় সাত কোটি মানুষের বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতি থাকলেও বর্তমানে ষোল কোটি জনসংখ্যা নিয়েও দেশে কোনো খাদ্য ঘাটতি নেই। শিল্পখাতে আমদানির পরিবর্তে নিজস্ব উৎপাদন থেকে অভ্যন্তরীণ চাহিদা মেটানোর পরও রপ্তানির পরিমাণ দিন দিন বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত রেখে ২০২১ সালের মধ্যে শিল্পসমৃদ্ধ মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সাল নাগাদ উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে তিনি সবাইকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি উৎপাদনশীলতা বিষয়ক আন্তর্জাতিক প্রশিক্ষণে বেসরকারি উদ্যোক্তাদেরকে বেশি করে মনোনয়ন দেয়ার জন্য এনপিও’র প্রতি নির্দেশনা দেন।
#
জলিল/মাহমুদ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৬/১৭৫০ঘণ্টা     


তথ্যবিবরণী                                       নম্বর : ২৮৮৩
বরাবরের মতো আগামী ১লা জানুয়ারি শিক্ষার্থীদের হাতে পাঠ্যপুস্তক তুলে দেয়া সম্ভব হবে
                                                                                      শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, আগামী বছরের প্রাক-প্রাথমিক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানো ও উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানোর কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলেছে এবং বরাবরের মতো এবারও আগামী ১ লা জানুয়ারি পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে দেশের শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া সম্ভব হবে।
    মন্ত্রী আজ ঢাকার মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) পরিদর্শনকালে কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনার পর শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
    শিক্ষামন্ত্রী জানান, ২০১৭ সালের প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি ও সমমানের স্কুল, মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৪ কোটি ২৬ লাখ ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য প্রয়োজনীয় ৩৬ কোটি ২২ লাখ ৩৪ হাজার পাঠ্যপুস্তকের মধ্যে ৫ কোটি বই ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পৌঁছানো সম্ভব হয়েছে। অবশিষ্ট বই ছাপানো, বাঁধাই ও তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পৌঁছানোর কাজও যথাসময়ে সম্পন্ন হবে।
    তিনি আরো জানান, আগামী পয়লা জানুয়ারি সারাদেশে পাঠ্যপুস্তক উৎসব দিবসে প্রথমবারের মতো ৫টি উপজাতীয় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় প্রাক-প্রাথমিকের বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে। একইসাথে প্রথমবারের মতো দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ব্রেইল পাঠ্যপুস্তক দেয়া হবে। এছাড়া শিক্ষকদের শ্রেণিশিক্ষা কার্যক্রমে সহায়তা প্রদানের জন্য বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক নির্দেশিকাও দেয়া হবে।
    এর আগে, এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহা এবং কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে শিক্ষামন্ত্রী পাঠ্যবই ছাপানো এবং উপজেলায় পাঠানোর সার্বিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করেন।
    শিক্ষামন্ত্রী বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক ছাপানোর কাজের অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং অবশিষ্ট বই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ছাপানোর কাজ শেষ করতে নিয়মিত ছাপাখানা পরিদর্শনের জন্য এনসিটিবি’র চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেন। শিক্ষামন্ত্রী বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তকের যথাযথ মান নিশ্চিত করার জন্যও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলেন। এ সময় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ ও অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনীতে শিক্ষামন্ত্রী
    শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ আজ পাঠ্যপুস্তক ভবনে এনসিটিবি’র কর্মকর্তাদের অংশগ্রহণে জীবন দক্ষতাভিত্তিক শিক্ষা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
    এ প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী ৪০ জন কর্মকর্তা স্কুল পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের জীবন দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন। ইউনিসেফ এর প্রকল্পভুক্ত ৩০টি স্কুলে বর্তমানে এ সহশিক্ষা কার্যক্রম চালু রয়েছে।
    অনুষ্ঠানে বক্তৃতায় শিক্ষামন্ত্রী বলেন, নিয়মিত লেখাপড়ার পাশাপাশি জীবনভিত্তিক বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে আমাদের শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষিত করে গড়ে তুলতে হবে। এ জন্য শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল মেধার বিকাশে সহশিক্ষা কার্যক্রমের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মূল্যায়নে শিক্ষা কার্যক্রমের পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমও মূল্যায়ন করা হচ্ছে বলে মন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
    শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এস মাহমুদ এবং এনসিটিবি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর নারায়ণ চন্দ্র সাহাও অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।  
#
সাইফুল্লাহ/মাহমুদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭৪৪ ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                       নম্বর : ২৮৮২

জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জন্য ১৪২ কোটি টাকার বাজেট অনুমোদন

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :
    জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের জন্য ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ১৪২ কোটি ১৯ লাখ টাকার বাজেট অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
    আজ জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেট সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়।
    সভায় যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের চেয়ারম্যান ড. বীরেন শিকদার সভাপতিত্ব করেন। যুব ও ক্রীড়া উপমন্ত্রী এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আরিফ খান জয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, ক্রীড়া পরিষদের সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস, বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক দেওয়ান শফিউল আরেফীন টুটুল, ক্রীড়া পরিষদের কোষাধ্যক্ষ বাদল রায় সহ নির্বাহী কমিটির অন্যান্য সদস্য সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#

শফিকুল/মাহমুদ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৯১৬  ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৮১  

প্রাকৃতিক আঁশ থেকে উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ শিল্পমন্ত্রীর

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :  
পলিথিনের বিকল্প হিসেবে প্রাকৃতিক আঁশ থেকে উৎপাদিত পণ্যের ব্যবহার বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী পলিথিন ব্যবহারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক উৎস থেকে তৈরি বিকল্প পণ্যের ব্যবহার বাড়ছে। এ সুযোগে বাংলাদেশে পাট, কলাগাছের বাকল এবং আনারসের পাতা থেকে আঁশভিত্তিক পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানি বহুমুখীকরণের নতুন সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।  
শিল্পমন্ত্রী আজ ‘প্রাকৃতিক আঁশ থেকে উৎপাদিত পণ্যের সম্ভাবনা (চৎড়ংঢ়বপঃং ড়ভ ঘধঃঁৎধষ ঋরনবৎ-ইধংবফ চৎড়ফঁপঃং)’ শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ গুরুত্বারোপ করেন। শিল্প মন্ত্রণালয় এবং ইউরোপিয় ইউনিয়নের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের আওতায় বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিডব্লিউসিসিআই) এর আয়োজন করে।
বাংলাদেশ উইমেন চেম্বার অভ্ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি এর প্রেসিডেন্ট সেলিমা আহ্মাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সুষেণ চন্দ্র দাস, বাংলাদেশ ইন্সপায়ার্ড প্রোগ্রামের টিম লিডার আলী সাবেদ, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ব্যুরো বাংলাদেশের পরিচালক সিরাজুল ইসলামসহ প্রকল্পের সুবিধাভোগী তৃণমূল পর্যায়ের নারী উদ্যোক্তারা বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, নারী জনগোষ্ঠীকে বাদ দিয়ে দেশের উন্নয়ন কোনোভাবেই সফল হতে পারে না। এ বাস্তবতা বিবেচনা করে সরকার নারীর অর্থনৈতিক ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন শিল্প পার্ক ও শিল্পনগরীগুলোতে ন্যূনতম শতকরা ১০ ভাগ প্লট নারীদের জন্য বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে নতুন স্থাপিত শিল্পনগরীতেও নারীদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্লট বরাদ্দ দেয়া হবে।
মন্ত্রী বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে নারী ক্ষমতায়নের লক্ষ্য অর্জনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষিভিত্তিক শিল্প প্রসারের প্রতি অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। এ নীতির ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক আঁশ থেকে উৎপাদিত শিল্পপণ্যের প্রসারে সরকারের পক্ষ থেকে সম্ভব সব ধরনের নীতি সহায়তা প্রদান অব্যাহত থাকবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এসএমই নারী উদ্যোক্তাদের সমস্যার সমাধানে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেয়া হবে বলে তিনি জানান।  
কর্মশালায় বক্তারা বলেন, রপ্তানির পরিমাণ বাড়াতে হলে বৈচিত্র্যময় পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে রপ্তানির ঝুঁড়ি সমৃদ্ধ করতে হবে। এ লক্ষ্যে তৃণমূল পর্যায়ে নারীদের অপ্রচলিত পণ্য ব্যবহার করে শিল্প পণ্য উৎপাদনের ধারায় সম্পৃক্ত করতে হবে। ইন্সপায়ার্ড প্রকল্পের আওতায় ইতোমধ্যে নরসিংদী, গাইবান্ধা, টাঙ্গাইল সদর ও মধুপুর উপজেলার ২ হাজার নারীকে প্রাকৃতিক আঁশ থেকে পণ্য উৎপাদনের মাধ্যমে অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করা হয়েছে বলে তারা উল্লেখ করেন।
#
জলিল/নুসরাত/সাহেলা/আলী/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৬/১৬০০ ঘণ্টা  


তথ্যবিবরণী                                 নম্বর : ২৮৮০
কোরবানির পশুর বর্জ্য নির্ধারিত স্থানে ফেলার আহ্বান

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :
    পরিবেশ মন্ত্রণালয় এবারের কোরবানির জন্য নির্বাচিত গবাদি পশুর খড়কুটো, গোবর, ইত্যাদি ভালভাবে পরিষ্কার করে মুখ বন্ধ বস্তায় নির্দিষ্ট স্থানে ফেলার নির্দেশনা দিয়েছে।
    পরিবেশ ও বন সচিব ড. কামাল উদ্দিন আহ্মেদের সভাপতিত্বে ২৩শে আগস্ট কোরবানিকৃত পশুর উচ্ছিষ্টাংশ সুষ্ঠুভাবে অপসারণের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ রোধকল্পে করণীয় বিষয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় উপরিউক্ত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
    কোরবানির পূর্বে যত্রতত্র যেন পশুর হাট স্থাপন না হয় সে বিষয়ে সিটি কর্পোরেশন ও পৌরসভাসমূহ মনিটরিং করবে। এছাড়া রাস্তা ও পাকা স্থানে কোরবানি না করার জন্য বলা হয়েছে। নির্দিষ্ট স্থানে পশু কোরবানিসহ রক্ত ও বর্জ্য যতদ্রুত সম্ভব মাটিতে পুঁতে ফেলতে হবে এবং জবাইয়ের স্থান পানি দিয়ে ভালভাবে ধুয়ে ফেলতে হবে। কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্ট নাড়ি-ভুড়ি, গোবর ইত্যাদি কোনো অবস্থাতেই ড্রেন, নদী, খাল ও ভূমিতে ফেলা যাবে না। এগুলো অবশ্যই নির্ধারিত স্থানে ফেলার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।    
#
প্রতিভা/নুসরাত/সাহেলা/রফিকুল/কামাল/২০১৬/১৬১০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৭৯

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের অনুষ্ঠান বেতারে সরাসরি সম্প্রচার  

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :


    আগামী ৮ই সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন, ঢাকায় আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস ২০১৬ এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
    অনুষ্ঠানটি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র বিটিসিএল লাইনের মাধ্যমে ঢাকা-ক, ৬৯৩ কিলোহার্জ, এফ এম ১০৩.২ মেগাহার্জ এবং ওয়েবসাইট িি.িনবঃধৎ.মড়া.নফ-এ সরাসরি সম্প্রচার করবে।   
#

সালাহউদ্দিন/মোবাস্বেরা/সাহেলা/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১২০০ ঘণ্টা  


 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ২৮৭৮
আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৮ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
    “বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ই সেপ্টেম্বর ২০১৬ আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এবারের প্রতিপাদ্য: ‘অতীতকে জানব, আগামীকে গড়ব’ সময়োপযোগী হয়েছে।
    দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য শিক্ষিত ও দক্ষ মানবসম্পদ অপরিহার্য। ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরতা কর্মসূচির আওতায় এনেছে। পাশাপাশি তাদের দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণ প্রদান এবং আধুনিক ও কর্মমুখী শিক্ষায় শিক্ষিত করে  দক্ষ মানবসম্পদ হিসেবে গড়ে তুলতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা দারিদ্র্যের কারণে ঝরেপড়া রোধ করতে উপবৃত্তি কর্মসূচি এবং শিক্ষার্থীদের স্কুলে ধরে রাখতে স্কুল ফিডিং কর্মসূচি চালু করেছি। ফলে প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে বিদ্যালয়গামী উপযোগী শতভাগ শিশুকে বিদ্যালয়ে নিয়ে আসা সম্ভব হয়েছে। এছাড়া শিক্ষাক্ষেত্রে ঝরেপড়ার হার হ্রাস পেয়েছে। শিক্ষার গুণগতমান বৃদ্ধি পেয়েছে। বিগত সাড়ে সাত বছরে সাক্ষরতার হার ৪৫ শতাংশ হতে বৃদ্ধি পেয়ে ৭১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।
    সরকার দেশ থেকে নিরক্ষরতা দূর করতে বদ্ধপরিকর। এজন্য বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলো জাতীয়করণ, শিক্ষকদের চাকুরি সরকারিকরণ এবং প্রধান শিক্ষকের পদকে দ্বিতীয় শ্রেণিতে উন্নীতকরণসহ বিভিন্ন বাস্তবধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপ গুণগত শিক্ষা বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। এসডিজি বাস্তবায়নে সরকার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থার ওপর। আমাদের নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে সাক্ষরজ্ঞান প্রদানের পাশাপাশি তাদের তথ্যপ্রযুক্তিতে দক্ষ জনসম্পদে পরিণত করে রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে-এ আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
    আসুন, সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের মাধ্যমে দেশের সাক্ষরতার হার শতভাগে উন্নীত করি। দেশের প্রতিটি নাগরিককে মানবসম্পদে পরিণত করি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ক্ষুধা, দারিদ্র্য ও নিরক্ষরতামুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়ে তুলি।
    আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস-২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।    
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোবাস্বেরা/সাহেলা/আলী/রফিকুল/আসমা/২০১৬/১৩০০ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর : ২৮৭৭

আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ২৩শে ভাদ্র (৭ই সেপ্টেম্বর) :
    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৮ই সেপ্টেম্বর আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
    ‘‘জবধফরহম ঃযব ঢ়ধংঃ, ডৎরঃরহম ঃযব ভঁঃঁৎব অর্থাৎ ‘অতীতকে জানবো, আগামীকে গড়বো’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৮ই সেপ্টেম্বর পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবসের সুবর্ণজয়ন্তী। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই এবং উদ্যোক্তাদের জানাই অভিনন্দন।  
    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে গুণগত শিক্ষাকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। একটি জাতিকে শ্রেষ্ঠত্বের সর্বোচ্চ আসনে প্রতিষ্ঠিত করতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। সর্বস্তরে গুণগত প্রাথমিক শিক্ষার এ অধিকার বাস্তবায়নে সরকার বদ্ধপরিকর। নিরক্ষর জনগোষ্ঠীকে শিক্ষিত করে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ মানব সম্পদ গড়ে তোলার জন্য সরকার ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।  
    সাক্ষরতা অর্জনের মাধ্যমে শুধু লেখাপড়া নয়, মানুষের জ্ঞান সচেতনতা ও দক্ষতা বৃদ্ধি পায়; যা সুস্থ সমাজ ও উন্নত দেশ গঠনে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এজন্য সাক্ষরতা বিস্তারে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে অধিকতর দায়িত্বশীল ও যতœবান হওয়ার আহ্বান জানাই।
    বাংলাদেশকে একটি আধুনিক বিজ্ঞানমনস্ক ও প্রযুক্তি নির্ভর জাতি হিসেবে গড়ে তুলতে এবং রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নে সরকার নিরক্ষরমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নিরক্ষরতা দূরীকরণ কর্মসূচিকে একটি সামাজিক অভিযান হিসেবে গ্রহণ করেছে। এ লক্ষ্য অর্জনে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে দল-মত-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রয়াস চালাতে হবে।  
    বাংলাদেশকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর পৃথিবীর সামনে মাথা উঁচু করে দাঁড় করাতে হলে আগামী প্রজন্মকে হতে হবে সাক্ষর এবং প্রযুক্তি জ্ঞানসম্পন্ন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে আমাদের নিরলসভাবে কাজ করতে হবে।
    আমি আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচি সফল হউক-এ কামনা করি।
    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#

মাহমুদুল/মোবাস্বেরা/সাহেলা/রফিকুল/কামাল/২০১৬/১৩১০ ঘণ্টা  

 

Todays handout (9).doc