তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩৮
রক্তে অর্জিত পতাকার সম্মান রক্ষা করতে হবে যেকোনো মূল্যে
- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, ত্রিশ লাখ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত
লাল-সবুজের পতাকার মর্যাদা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করতে হবে।
আজ ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ মাঠে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, ময়মনসিংহ আয়োজিত বিজয় পতাকা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ৩০ লাখ শহিদ আর ২ লাখ মা-বোনের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে আমরা একটি স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ পেয়েছি। লাল-সবুজের এই পতাকা আমাদের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় বাঙালি সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে। কোনো বিদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করা কিংবা দেশের জন্য মর্যাদাহানিকর কোনো কাজ বাঙালি সহ্য করবে না।
দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত স্বাধীনতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধী চক্রের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে তাদেরকে রণক্ষেত্রে পরাজিত করা হয়েছে। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে একাত্তরে তাদের ঘৃণ্য অপকর্মের বিচার করেছে। এরপরও যদি তারা রাষ্ট্রবিরোধী অপতৎপরতা চালায়, বিদেশে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার প্রচেষ্টায় লিপ্ত থাকে, বাঙালি এর সমুচিত জবাব দেবে এবং এই বাংলার মাটিতে তাদের বিচার কার্য সম্পন্ন হবে।
ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এহতেশামুল আলমের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামী লীগ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক মানুষের সমাগম ঘটে।
#
রেজাউল/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩৭
ডিআইটিএফ দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে
---বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পহেলা জানুয়ারি থেকে দ্বিতীয়বারের মতো পূর্বাচলে স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ‘২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৩’ শুরু হচ্ছে। মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মন্ত্রী বলেন, মেলার প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। এবারের বাণিজ্য মেলায় ১০টি দেশের ১৭টি প্রতিষ্ঠান অংশগ্রহণ করছে। ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা আমাদের দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে থাকে। গতবছরও এ মেলায় দুইশত কোটি টাকা মূল্যের পণ্য রপ্তানির স্পট আদেশ পাওয়া গেছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর পূর্বাচলে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে মাসব্যাপী ‘২৭তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা (ডিআইটিএফ)-২০২৩’ উদ্বোধন উপলক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্থায়ী এক্সিবিশন সেন্টার একটু দূরে হলেও মেলায় অংশগ্রহণকারী ক্রেতা-বিক্রেতাদের ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশের তৈরি পণ্য আন্তর্জাতিক বাজারে তুলে ধরাই এ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার মূল উদ্দেশ্য। ক্রেতারাও দেশি-বিদেশি পণ্যের মধ্যে তুলনা করার সুযোগ পান, এতে পণ্যের মানও উন্নত হয়। আমাদের পণ্যের মান উন্নত এবং মূল্য কম হবার কারণে প্রতি বছর আমাদের রপ্তানি বাড়ছে। গত বছরও রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি রপ্তানি হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের প্রধান রপ্তানি পণ্য তৈরিপোশাক এর পাশাপাশি আরো ১০টি পণ্যের রপ্তানি বৃদ্ধির বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে আইসিটি আমাদের জন্য খুবই সম্ভাবনাময় পণ্য, অল্পদিনের মধ্যে এ খাতের রপ্তানি ৪ থেকে ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হবে আশা করছি। আমাদের লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্যের চাহিদাও বাড়ছে বিশ্ব বাজারে।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, মেলায় খাদ্যপণ্যের মান এবং মূল্যের বিষয়ে আমরা পদক্ষেপ নিয়েছি। ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তর মেলায় অভিযান পরিচালনা করবে। মেলায় যাতায়াতের সুবিধার জন্য গতবারের মতো সাটল সার্ভিসের ব্যবস্থা থাকবে। কুড়িল বিশ্ব রোড হতে এক্সিবিশন সেন্টার পর্যন্ত প্রাথমিকভাবে ৭০টি বিআরটিসি বাস চলাচল করবে, প্রয়োজনে এ সংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। বাসের ভাড়া ৩৫ টাকা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকবে, তবে সাপ্তাহিক বন্ধের দিন রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা খোলা থাকবে। এবারে মেলায় প্রবেশ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ৪০ টাকা এবং অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২০ টাকা। মেলার টিকেট অনলাইনে কিনলে ৫০ শতাংশ ডিসকাউন্টের সুযোগ থাকবে। মেলায় প্রায় এক হাজারটি গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, মেলায় বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য ১৭টি প্যাভিলিয়ন, মিনি প্যাভিলিয়ন ও স্টল রয়েছে। দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানের জন্য দু’টি হলের বাইরে মোট ৩৩১টি স্টল, প্যাভিলিয়ন ও মিনি প্যাভিলিয়ন রয়েছে।
এ সময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস-চেয়ারম্যান এ এইচ, এম আহসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাফিজুর রহমান এবং অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোঃ আব্দুর রহিমসহ সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/রাহাত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২১২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩৬
স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সব শ্রেণির নাগরিকের অংশগ্রহণ প্রয়োজন
---পরিবেশমন্ত্রী
জুড়ী (মৌলভীবাজার), ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে সব শ্রেণির নাগরিকের অংশগ্রহণ প্রয়োজন। এজন্য সরকার অসহায়, পিছিয়ে পড়া ও ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সমাজের সবাইকে মূলধারায় নিয়ে আসতে কাজ করছে। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ এবং দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন প্রকার ভাতার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
আজ মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে ক্ষুদ্র
নৃ-গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে বিশেষ এলাকায় উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জুড়ী উপজেলায় নির্মিত ১৫টি ঘরের চাবি হস্তান্তর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের মাঝে ৩০টি বাইসাইকেল এবং শিক্ষাবৃত্তির চেক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা ও মহান মুক্তিযুদ্ধের আদর্শের এ সরকার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ডিজিটাল বাংলাদেশ উপহার দিয়েছে। দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করেছে। উন্নত দেশের মতো মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, টানেল, পদ্মা সেতু উদ্বোধন করা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে স্বাধীনতার পক্ষের এই সরকারের পক্ষে থাকতে হবে।
জুড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জুড়ী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক, ভাইসচেয়ারম্যান রিংকু রঞ্জন দাশ এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান রঞ্জিতা শর্মা।
মন্ত্রী এর পর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জুড়ী নদীর বামতীরে কাশিনগর দুর্গা মন্দির (কাপনা পাহাড়) এবং জুড়ী নদীর ডান তীরে কাশিনগর এলাকার নদীর তীর সংরক্ষণ প্রকল্পের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগদান করেন।
#
দীপংকর/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৯০৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩৫
বাংলাদেশে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে
---ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশে দিনে দিনে চিকিৎসা ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অগ্রগতি হচ্ছে। অনেক জটিল ও কঠিন রোগের বিশ্বমানের চিকিৎসা দিচ্ছেন দেশের চিকিৎসকরা, যা আমাদের সাহস জোগায়। আগামী দিনগুলোতে চিকিৎসকদের আরো দক্ষ করে গড়ে তুলতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার গবেষণার ওপর জোর দিচ্ছেন এবং গবেষণার জন্য অর্থ বরাদ্দও দিচ্ছেন। কারণ গবেষণা থেকেই জানা যায় আসল চিত্র। আজকে যাদের জন্য এই আয়োজন সেই বাতরোগে আক্রান্তদেরও বাস্তব চিত্র উঠে এসেছে গবেষণায়।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব কনভেনশন হলে বাত রোগীদের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডা. এনামুর রহমান বলেন, মানুষের জীবনের সঙ্গে বাত রোগ অনেকটা ওতপ্রোতভাবে জড়িত। মানুষের যেকোনো বয়সে এই রোগ হতে পারে। আমাদের দেশের ২৬ শতাংশ মানুষের শরীরের কোনো না কোনো অঙ্গে ব্যথা, বেদনা ও কষ্টের প্রকোপ হয়ে থাকে। ৬৪৪ প্রকারের বাত ব্যথা মেডিসিন বিভাগের রিউমাটোলজির রোগ হিসেবে পরিচিত ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্য খাতে সাফল্যের জন্য আন্তর্জাতিক অর্জনও রয়েছে আমাদের। আর এসবের নেপথ্যে রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও নির্দেশনা।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের রিউমাটোলজি বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, বিশিষ্ট সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল ও ব্র্যাকের হেলথ এন্টারপ্রাইজের প্রধান ডা. তৌফিকুল হাসান সিদ্দিকী এসময় উপস্থিত ছিলেন ।
#
সেলিম/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩৩
চালের উৎপাদন বাড়াতে গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে
---কৃষিমন্ত্রী
গাজীপুর, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সামনের দিনগুলোতে চালের চাহিদা আরো বাড়বে। একদিকে জনসংখ্যা বাড়ছে, অন্যদিকে কৃষি জমি কমছে। ভুট্টা, শাকসবজিসহ অন্যান্য ফসলেও জমির ব্যবহার বাড়ছে। বাড়িতে যেসব ফসল হতো যেমন চালকুমড়া-তাও এখন মাঠে হচ্ছে। এসবের ফলে ধান চাষের জমি কমছে। এই জটিল পরিস্থিতিতে চালের উৎপাদন বাড়াতে হলে গবেষণায় আরো জোর দিতে হবে। একইসঙ্গে, উদ্ভাবিত জাতের দ্রুত সম্প্রসারণ করতে হবে।
আজ গাজীপুরে বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি)-এর বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, সরকার সকলের জন্য পুষ্টিজাতীয় খাবারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করছে। বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন ফল উৎপাদনেও জমির ব্যবহার বাড়ছে। এ অবস্থায় সকল সংস্থা, বিজ্ঞানী ও কর্মকর্তাদেরকে সমন্বিতভাবে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে।
চালের বাম্পার উৎপাদনের পরও কেন দাম কমছে না, তার প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে বস্তুনিষ্ঠ গবেষণার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ব্রির গবেষণায় আমরা অনেকগুলো কারণ খুঁজে পেয়েছি। ব্রির পাশাপাশি বিআইডিএস, সিপিডিসহ অন্যান্য গবেষণা প্রতিষ্ঠানকেও এ বিষয়ে গবেষণা করা প্রয়োজন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম ও কৃষিসচিব ওয়াহিদা আক্তার, সম্মানিত অতিথি হিসেবে বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ মোঃ বখতিয়ার, বিএডিসির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩২
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে আজ শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ১ দশমিক ২৭ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৮১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে একজন মৃত্যুবরণ করেছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৭ হাজার ৭৩৩ জন।
#
কবীর/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩১
ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা দিচ্ছে সরকার
---খাদ্যমন্ত্রী
নওগাঁ (নিয়ামতপুর), ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ফলে দেশে ভিক্ষুকের সংখ্যা কমেছে। বর্তমান সরকার ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বী হতে সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেওয়া উদ্যোগে ভিক্ষা ছেড়ে এখন তারা আয়বর্ধক কাজের মাধ্যমে সম্মানের পেশায় ফিরে আসছে।
আজ নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অসহায়, দুঃস্থ ও শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ এবং ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচির আওতায় ছাগল বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার সামাজিক নিরাপত্তার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে দরিদ্র মায়েদের মাতৃত্বকালীন ভাতা, বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতা দেওয়া হচ্ছে। বছরের শুরুতে বিনামূল্যে বই ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করে সরকার শিক্ষায় সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। তিনি বলেন, কৃষকবান্ধব সরকার কৃষকের সারে রেকর্ড পরিমাণ ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছে। বিদ্যুৎ, বিজ ও কৃষি উপকরণ সহজলভ্য করায় কৃষকের উৎপাদন বেড়েছে বহুগুণ। এসময় তিনি বলেন, দেশে খাদ্যের কোনো সংকট হবে না, আর দুর্ভিক্ষের তো প্রশ্নই আসে না।
মন্ত্রী আরো বলেন, মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশে পদার্পণ করেছি। এটা টেকসই করতে হলে প্রয়োজন স্মার্ট প্রশাসন, স্মার্ট স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি। অচিরেই জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বাস্তবায়ন হবে বলে মন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
নিয়ামতপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ফারুক সুফিয়ানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান ফরিদ আহম্মেদ, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাদিরা বেগম এবং নিয়ামতপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বজলুর রহমান নঈম বক্তব্য রাখেন।
পরে খাদ্যমন্ত্রী সুবিধাভোগীদের মাঝে শীতবস্ত্র ও ছাগল বিতরণ করেন।
#
কামাল/পাশা/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২২/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১৩০
বিএনপির বিশৃঙ্খলার চেষ্টা আওয়ামী লীগের সতর্কতায় বিফল
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
চট্টগ্রাম , ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গণমিছিলের নামে বিএনপি-জামাত ঢাকা শহরে একটা বড় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পুরো শহর জুড়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সতর্ক অবস্থানের কারণে তা সম্ভব হয়নি।’তিনি বলেন, ‘এরপরও বিএনপির প্রধান সহযোগী জামাত ইসলামী পুলিশের ওপর হামলা পরিচালনা করেছে। পুলিশ বাহিনীর ধৈর্য্যের কারণে তারা সেই বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারেনি।’
আজ চট্টগ্রাম বন্দরনগরীর দেওয়ানজী পুকুরপাড়ে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
‘ঢাকায় বিএনপির গণমিছিল কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর জামাত-শিবিরের হামলার ঘটনা কেন হলো এবং পুলিশের কি প্রস্তুতি ছিল’-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আসলে ১০ ডিসেম্বর বিএনপি বুঝতে পেরেছে তাদের সাথে জনগণ নেই। দশ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে তারা সেখানে বড়জোর ৫০-৬০ হাজার মানুষ জমায়েত করতে পেরেছে। এরপর থেকেই বিএনপিতে আসলে হতাশ। তাদের রাজনীতি পুরোটাই ষড়যন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল। সেই কারণেই তারা একটি বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি বিদেশিদের পদলেহন করার নীতি অবলম্বন করেছে। সেটি করেও কোন লাভ হয়নি। তারা যেভাবে মনে করেছিল বিভিন্ন রাষ্ট্র বা দূতাবাসের কর্মকর্তারা তাদের পক্ষে নানা ধরণের কথা বলবেন, আপনারাও দেখতে পারছেন, সেটি হয়নি।’
ড. হাছান বলেন, ‘তাদের রাজনীতিটা একই জায়গায় ঘুরপাক খাচ্ছে- দেশে একটা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করা। দেশের জনগণ সেটা কোনভাবেই হতে দেবে না। বিশৃঙ্খলা তৈরি করার উদ্দেশ্যেই তারা নানা ধরণের কর্মসূচি দিয়েছে। সেই কর্মসূচিতে তাদের কর্মীরা যেভাবে আশা করেছিল সেভাবে হয়নি। তাদের রাজনীতি সেই একই জায়গায় আছে। গত ১০ ডিসেম্বরও তারা গাড়িতে আগুন দিয়েছে। এখনও সুযোগ পেলে একই কাজ করবে। তারা সেখান থেকে সরে আসতে পারেনি। তাদের উদ্দেশ্যই হচ্ছে বিশৃঙ্খলা তৈরি করা।'
সাংবাদিকরা 'আওয়ামী লীগের নতুন কমিটিতে আবারো এবং এক নম্বর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পাওয়ায় অনুভূতি' জানতে চাইলে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, 'কোন নাম্বার সেটা কোন বিষয় নয়। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা আমাকে যখনই যে দায়িত্ব দিয়েছেন তখনই সে দায়িত্ব আমি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে পালন করেছি। আমি দশ বছর দলের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, সাত বছর প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক, গত তিন বছর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম। এসব দায়িত্ব নিষ্ঠার সাথে পালন করার চেষ্টা করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আবারো আমাকে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছেন আমার নেত্রী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি জননেত্রী শেখ হাসিনা। আমার দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, এখন আমার দায়িত্ব হচ্ছে নিজেকে উজাড় করে দলের জন্য কাজ করা। প্রয়োজনে মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়াতে হলেও দাঁড়ানো এবং সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করা।’
বিএনপিকে মোকাবিলার প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে বিএনপির নাশকতা মোকাবিলা করেছি। বিএনপি কি করতে চায়, কতটুকু করতে পারে আমরা জানি। সেটা মোকাবিলা করার জন্য জনগণকে সাথে নিয়ে কি করতে হবে সেটাও আমরা জানি। সুতরাং বিএনপি সেই পুরনো পরিস্থিতি আর কখনো সৃষ্টি করতে পারবে না।’
চলমান পাতা-২
-২-
চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির এমপি নমিনেশন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে -সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি-মতাদর্শে বিশ্বাস করে এমন যে কেউ নমিনেশন চাইতে পারে। সেক্ষেত্রে কোনো চিত্রনায়ক-নায়িকা চাইলে সেটি অপরাধ নয়। পাশের বাড়ি পশ্চিম বাংলাসহ ভারতবর্ষে মিডিয়া জগতের অনেককেই নমিনেশন দেয়া হয়।’ তিনি আরো বলেন, অবশ্যই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নমিনেশন পাওয়ার ক্ষেত্রে সবসময় যারা আওয়ামী লীগের পোড় খাওয়া নেতাকর্মী তাদেরই অগ্রাধিকার। পাশাপাশি দলকে আরো অনেক বিষয় বিবেচনায় আনতে হয়।
#
আকরাম/পাশা/জুলফিকার/রবি/মাসুম/২০২২/ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫১২৯
খ্রিষ্টীয় নতুন বছর উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ পৌষ (৩১ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১ জানুয়ারি ‘খ্রিষ্টীয় নতুন বছর’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“খ্রিষ্টীয় নতুন বছর ২০২৩ উপলক্ষ্যে আমি দেশবাসী এবং প্রবাসী বাঙালিসহ বিশ্ববাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই। প্রকৃতির নিয়মেই নতুন বছর মানুষের মনে নতুন আশার সঞ্চার করে এবং নব উদ্যোমে সুন্দর আগামীর পথচলায় অনুপ্রেরণা যোগায়।
২০২২ খ্রিষ্টাব্দ বাঙালি জাতির জীবনে এক গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। আমরা আমাদের মহান নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর নেতৃত্বে রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে পাকিস্তানিদের পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় অর্জন করি। ১৯৭২ সালে এশিয়ার প্রায় সবক'টি দেশ, রাশিয়া, তৎকালীন সোভিয়েত ব্লকের অন্যান্য দেশ, ইউরোপ, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার বেশিরভাগ দেশ, ফ্রান্স, কানাডা, গ্রেট ব্রিটেন এবং যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অধিকাংশ স্বাধীন রাষ্ট্র নবীন সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদান করে। বাংলাদেশকে স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশগুলো ২০২২ সালে বছরব্যাপী নানা আয়োজনের মাধ্যমে কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব শূন্য হাতে সদ্য স্বাধীন দেশকে যুদ্ধের ধ্বংসাবশেষ থেকে টেনে তুলেছিলেন। তখন ব্যাংকে কোন রিজার্ভ মানি ছিল না, কোন কারেন্সি নোট ছিল না। অবজ্ঞা করে কেউ কেউ বলতো তলা বিহীনঝুড়ি। সেই অবস্থা থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই তিনি বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে উন্নীত করেন এবং জাতিসংঘের স্বীকৃতি অর্জন করেন।
তাছাড়া ২০২২ সাল বাংলাদেশের অবকাঠামো উন্নয়নের এক স্বর্ণযুগ। আমরা গত বছর ২৬ জুন দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে নিজস্ব অর্থায়নে নির্মিত পদ্মাসেতু চালু করেছি। ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার মেট্রোরেল যোগাযোগ চালু করেছি। ২১ ডিসেম্বর দেশের ৫০টি জেলায় উন্নয়নকৃত ১০০টি মহাসড়ক উদ্বোধন করেছি। ২৬ নভেম্বর দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর তলদেশে 'বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল'-এর দক্ষিণ টিউবের পূর্ত কাজ সম্পন্ন করেছি। ৭ নভেম্বর দেশের ২৫টি জেলায় ১০০টি সেতু নির্মাণ করে উদ্বোধন করেছি। ১৯ অক্টোবর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ইউনিট-২ এর রিঅ্যাক্টর প্রেসার ভেসেল স্থাপন করেছি। ২১ মার্চ পায়রা ১৩২০ মেগাওয়াট তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (১ম পর্যায়) উদ্বোধন করেছি। আমাদের অন্যান্য মেগা ও মাঝারিসহ সকল অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পগুলোর কাজও পুরোদমে এগিয়ে যাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ সরকার সব সময় নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করে। আমরা ২০০৮ সালের নির্বাচন হতে পরপর তিন দফা জনগণের ভোটে জয়ী হয়ে গত ১৪ বছরে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সাধন করেছি। করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশের অর্থনীতিও কিছুটা মন্থর হয়েছিল। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে না উঠতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ এবং অর্থনৈতিক অবরোধ ও পাল্টা অবরোধ সারা পৃথিবীতে নিরীহ মানুষের জন্য কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমরা যুদ্ধ চাই না শান্তি চাই। এই দুর্যোগকালীন সময়ে আমরা দেশের প্রায় সকল মানুষকে বিনা মূল্যে চিকিৎসা, করোনা ভ্যাক্সিন এবং বিশেষ ক্ষেত্রে খাদ্যদ্রব্যও সরবরাহ করেছি। আমরা ১ কোটি পরিবারকে টিসিবি কার্ডের মাধ্যমে ৩০ টাকা কেজি দরে চাল ও সাশ্রয়ী মূল্যে ভোজ্য তেল, ডাল ও চিনি ক্রয়ের সুবিধা দিয়েছি। ৫০ লাখ পরিবারকে ১৫ টাকা কেজি দরে মাসে ৩০ কেজি চাল এবং আরো ৫০ লাখ অসহায় হতদরিদ্র পরিবারকে ভিজিডি ও ভিজিএফ-এর মাধ্যমে বিনামূল্যে প্রতিমাসে ৩০ কেজি চাল দিচ্ছি। আমরা ৩৫ লাখ মানুষের জন্য বিনামূল্যে স্বাস্থ্যসম্মত আবাসনের ব্যবস্থা করেছি। প্রায় ১৮,৫০০ কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যসেবা ও পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র থেকে বিনামূল্যে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা এবং বিনামূল্যে ৩০ প্রকারের ঔষধ দিচ্ছি। আমাদের ১ কোটি কৃষক ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খুলে সরাসরি সরকারি ভরতুকির টাকা নিচ্ছেন। আমরা ২ কোটি ৫৩ লাখ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি/উপবৃত্তি দিচ্ছি। ইংরেজি বছরের প্রথম দিন ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে বিনামূল্যে বই পৌঁছে দেওয়ার কারণে বই উৎসবের সঙ্গে নববর্ষ উদযাপন আজ শিশু-কিশোরদের মধ্যেও ব্যাপক সাড়া ফেলেছে এবং অন্যতম সামাজিক উৎসবে পরিণত হয়েছে।
আমরা গ্রামাঞ্চলে অর্থ সরবরাহ বৃদ্ধি করেছি। ফলে আমাদের অর্থনীতির ভিত্তি আরো মজবুত হয়েছে, দক্ষ জনসম্পদ সৃষ্টি হচ্ছে, মাথাপিছু আয়সহ অন্যান্য সামাজিক সূচকেও ব্যাপক সাফল্য অর্জন করেছি। ২০২১ সালে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের সময় জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ ঘোষণা করেছে। আমরা ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ-মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ে তোলার লক্ষ্যে দ্বিতীয় প্রেক্ষিত পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছি। আমরা ‘বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০' বাস্তবায়ন শুরু করেছি।
আওয়ামী লীগ সরকারে থাকলেই দেশের উন্নয়ন হয় এবং জনগণের কল্যাণ হয়। কারণ একমাত্র আওয়ামী লীগই স্বাধীনতার সুমহান আদর্শকে ধারণ করে নিবেদিতপ্রাণ হয়ে দেশ ও মানুষের জন্য কাজ করে। প্রিয় দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাই- আসুন আমরা দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি এবং ধর্মীয় উগ্রবাদসহ সন্ত্রাসবাদ ও স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিকে প্রতিহত করে অসাম্প্রদায়িক চেতনার ‘সোনার বাংলাদেশ’ গড়ে তুলি ।
নতুন বছরে মানুষে-মানুষে সম্প্রীতি, সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধন আরো জোরদার হোক, সকল সংকট দূরীভূত হোক, সকল সংকীর্ণতা পরাভূত হোক এবং সকলের জীবনে আসুক অনাবিল সুখ, শান্তি ও সমন্ধি- এই প্রার্থনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক”
ইমরুল/জুলফিকার/রবি/শামীম/২০২২/১০৫৫ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫২২৮
প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়ন পরিকল্পনার যথাযথ বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি উপকৃত হচ