তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২৩
বিএনপি-জামায়াতকে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে নির্বাচন ভন্ডুল করতে দেওয়া হবে না: নীলফামারীতে তথ্যমন্ত্রী
নীলফামারী, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘নির্বাচন ভন্ডুল করতে বিএনপি আবার জামায়াতকে দিয়ে অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের বার্তা দিচ্ছে। কিন্তু সেটি তাদেরকে আমরা করতে দিতে পারি না, করতে দেওয়া হবে না।’
আজ নীলফামারী শিল্পকলা একাডেমিতে জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় দ্ব্যর্থহীন ভাষায় এ ঘোষণা দেন হাছান মাহমুদ।
মন্ত্রী বলেন, ‘শনিবার ঢাকায় জামায়াতে ইসলামী সমাবেশ করে আগামী নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। বিএনপি তাদেরকে দিয়ে এই ঘোষণা দিয়েছে। এর অর্থ, তারা আবার অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্য শুরু করবে, সেই ইঙ্গিতই দেওয়া হয়েছে।’
‘বিএনপি-জামায়াত দেশে আবার বিশৃঙ্খলা করে বিশেষ একটি পরিস্থিতি তৈরি করতে চায় এবং সেটা করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়’ উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘তারা জানে এই নির্বাচনে তাদের সম্ভাবনা নাই। সেটি জেনেই তারা নির্বাচন ভন্ডুল করার প্রস্তুতি নিচ্ছে, অপচেষ্টা চালাচ্ছে। কিন্তু সেটি তাদেরকে করতে দেওয়া হবে না।’
হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগের একজন কর্মী এবং সভাপতির দেওয়া যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বপালনরত হিসেবে আমি বলতে চাই- যারা নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা দেবে, তাদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। কারণ তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে।’
জামায়াতে ইসলামীর সমাবেশে বিএনপির ইন্ধন ইঙ্গিত করে মন্ত্রী বলেন, ‘দশ বছর পরে সমাবেশ করে যারা এতো আস্ফালন করেছে, তারাই বায়তুল মুকাররমে পবিত্র কোরআন শরিফে আগুন দিয়েছে, এরাই বিশ্ব ইজতেমা ফেরত মুসল্লিকে আগুনে জ্বালিয়ে দিয়েছে, এরাই সমগ্র বাংলাদেশে সাড়ে তিন হাজার মানুষকে পুড়িয়েছে, পাঁচশ’ মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করেছে, স্কুল ফেরত বালকের ওপর হামলা চালিয়েছে, বোমা বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। সুতরাং এদেরকে আবার মাঠ দখল করতে দেওয়া হবে না। এজন্য আওয়ামী লীগের ঐক্য সংহতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সেইসাথে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে অংশ নিলে আওয়ামী লীগকে হারানোর শক্তি এ দেশে কারো নাই। আমরা ঐক্যবদ্ধ থাকলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আগামী নির্বাচনেও ধস নামানো বিজয় অর্জন করব এবং বঙ্গবন্ধুকন্যা পঞ্চমবারের মতো এবং পরপর চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হবেন ইনশাআল্লাহ।’
‘উত্তরবঙ্গের কোনো কোনো জায়গায় জামায়াতে ইসলামীর ছোট ছোট ঘাঁটি আছে, বিএনপিও ঘাপটি মেরে বসে আছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের বাড়িও উত্তরবঙ্গেই ঠাকুরগাঁওয়ে। তিনি আজ যেভাবে আস্ফালন করছেন, যে ভাষায় কথা বলে অগ্নিসন্ত্রাস, নৈরাজ্যের আভাস দিচ্ছেন, তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না, আমরা দিতে পারি না’‘
নীলফামারীতে দলের এই বর্ধিত সভায় জেলা পর্যায়ে দলের সংহতি বৃদ্ধির ওপর গভীর গুরুত্ব আরোপ করেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘জেলায় নিয়মিতভাবে বর্ধিত সভা, সময়ে সময়ে সাধারণ সভা এবং ওয়ার্কিং কমিটির সভা আয়োজন করা জরুরি। এতে সংগঠনের বন্ধন আরো দৃঢ় হয়, সংগঠন আরো শক্তিশালী হয়। এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. মমতাজুল হকের সঞ্চালনায় সভাটি উদ্বোধন করেন সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী প্রধান বক্তা এবং দলের কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও এড. সফুরা বেগম রুমি বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।
#
আকরাম/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২১৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২২
নতুন কারিকুলামের সক্রিয় শিখনে উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ দেখবে শিক্ষার্থীরা
---শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
নতুন শিক্ষাক্রমের সক্রিয় শিখনে শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলতা ও উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ দেখবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। আজ রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা জানান।
এর আগে ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগিতায় পাঁচটি গ্রুপে নির্বাচিত ১৫ জনকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পুরস্কার দেন। আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলানায়তনে প্রতিযোগিতায় বিভাগীয় পর্যায়ের সেরা ১০জনকে পুরস্কার দেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘নতুন শিক্ষাক্রমে শিক্ষার্থী বই মুখস্থ করবে না। সক্রিয় শিখনের মধ্য দিয়ে, প্রকল্পের মধ্য দিয়ে দক্ষতা গড়ে তুলবে। আগামী দিনটা প্রযুক্তির, প্রযুক্তি বিষয়ে শিখতেই হবে, শুধু শেখা নয়, উদ্ভাবন করতে হবে, সেখানে দক্ষ হতে হবে। অন্যরা প্রযুক্তি উদ্ভাবন করবে আর আমরা শুধু ব্যবহার করব? নিশ্চয় নয়, আমরাও প্রযুক্তির উদ্ভাবন করব। প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হলে সারা দিন যদি মুখস্থ করতে হয়, আর পরীক্ষা দিতে হয় তাহলে এই উদ্ভাবনের চিন্তা কীভাবে মাথায় আসবে?
নতুন শিক্ষাক্রম বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা অনেক রকম উদ্যোগ নিয়েছি, এতে শিক্ষককে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। শিক্ষক নিয়োগ ও প্রশিক্ষণের আমরা খুব জোর দিচ্ছি। ছোট বেলায় যে বিষয়ে ভালো শিক্ষক পেয়েছি সেটি আমরা ভালোবাসি, আর যে বিষয়টায় ভয় পাই, সে বিষয়ে ভালো শিক্ষক পাইনি। যার ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছে নেই তাকে জোর করে ডাক্তারি পড়াবে, যার বিজ্ঞান পড়ার ইচ্ছে নেই তাকে বিজ্ঞান পড়াবে, এই মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। কার কোন দিকে প্রতিভা বেশি আছে, আগ্রহ বেশি আছে, পিতা-মাতা ও শিক্ষাকরা যদি সেই দিকে গুরুত্ব দেন তাহলে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবনী শক্তির বিকাশ দেখব, যা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে সহায়তা করবে। যদি তা না করে শিক্ষার্থীদের চাপ দিতে থাকি, তাহলে মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক ক্ষতি হবে। কখনও কখনও আত্মহননের পথও বেছে নিচ্ছে শিক্ষার্থীরা। ’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু সৃজনশীল মেধা অন্বেষণ-২০২৩’ প্রতিযোগতিায় অংশ নেওয়া সকলেই মেধাবী। আমরা এই প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মেধার অনুশীলনে উৎসাহিত করছি। এদের দেখে অন্য শিক্ষার্থীরাও যেন উৎসাহিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. কামাল হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ।
#
খায়ের/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২১
নয়াদিল্লীতে বিজিবি-বিএসএফ মহাপরিচালক পর্যায়ে ৫৩তম সীমান্ত সম্মেলন শুরু
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ) এর মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ের ৪ দিনব্যাপী (১১-১৪ জুন ২০২৩) ৫৩তম সীমান্ত সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক বৈঠক আজ ভারতের নয়াদিল্লীস্থ বিএসএফ চাওলা ক্যাম্পে শুরু হয়েছে।
বিজিবি মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে ১৪ সদস্যের বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে বিজিবি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ প্রতিনিধিত্ব করছেন। অপরদিকে বিএসএফ মহাপরিচালক ড. সুজয় লাল থাওসেন এর নেতৃত্বে ১০ সদস্যের ভারতীয় প্রতিনিধিদল সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারতীয় প্রতিনিধিদলে বিএসএফ সদর দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, ফ্রন্টিয়ার আইজিগণ এবং ভারতের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ প্রতিনিধিত্ব করছেন।
এবারের সম্মেলনে-সীমান্ত হত্যা/সীমান্তে নিরস্ত্র বাংলাদেশি নাগরিকদের ওপর গুলি চালানো, আহত করা, আটক করা; ভারত হতে বাংলাদেশে বিভিন্ন প্রকার মাদকদ্রব্য, অস্ত্র ও গোলাবারুদসহ বিভিন্ন ধরনের নিষিদ্ধ দ্রব্যের চোরাচালান; আন্তর্জাতিক সীমানা লংঘন করে অবৈধ অনুপ্রবেশ বিশেষ করে ভারত সীমান্ত দিয়ে বলপূর্বক বা¯ুÍচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ; সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে অনুমোদনহীন উন্নয়নমূলক অবকাঠামো নির্মাণ এবং বন্ধ থাকা অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজ নিষ্পত্তি; আগরতলা থেকে আখাউড়ার দিকে প্রবাহিত সীমান্তবর্তী খালের বর্জ্য পানি অপসারণে উপযুক্ত পানি শোধনাগার স্থাপন; জকিগঞ্জের কুশিয়ারা নদীর সাথে রহিমপুর খালের মুখ পুনরায় উন্মুক্তকরণ; আঞ্চলিক বিচ্ছিন্নতাবাদী সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর ক্যাম্পের সম্ভাব্য অবস্থান ও তাদের কর্মকান্ড সম্পর্কিত তথ্য বিনিময়; বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরে ভারতীয় টেলিকম নেটওয়ার্কের বিস্তার রোধ; সীমান্ত ব্যবস্থাপনা ও সীমান্ত সম্পর্কিত সমস্যা সমাধানের জন্য ‘সমন্বিত সীমান্ত ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন, দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়ন এবং পারস্পরিক আস্থা ও সৌহার্দ্য বৃদ্ধির লক্ষ্যে বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সীমান্ত সম্মেলন উপলক্ষ্যে বিজিবি সীমান্ত পরিবার কল্যাণ সমিতি (সীপকস)-এর প্রধান পৃষ্ঠপোষক মনোয়ারা বেগমসহ সীপকস এর প্রতিনিধিদল বিএসএফ ওয়াইভস্ ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশন (BWWA)-এর সভানেত্রী ড. অজিতা থাওসেন ও তাদের সংগঠনের প্রতিনিধিদলের সাথে মতবিনিময়সহ BWWA আয়োজিত বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন।
আগামী ১৪ জুন ২০২৩ তারিখে সীমান্ত সম্মেলনের ‘যৌথ আলোচনার দলিল’ (Joint Records of Discussion-JRD)’ স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক সমাপ্তি হবে। সম্মেলন শেষে একই দিনে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল দেশে প্রত্যাবর্তন করবেন।
#
শরীফুল/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২০
কৃষককে দক্ষ করে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার
--- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন):
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, কৃষককে দক্ষ করে বিদেশ পাঠানোর উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, বিদেশ যেতে আগ্রহী যে কৃষক যে কাজে পারদর্শী তাকে সেই বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়ার মাধ্যমে সরকারি সনদপত্র দেওয়া হবে। কারণ বিদেশে দক্ষ জনবল ছাড়া অদক্ষ জনবল পাঠিয়ে কোনো লাভ নেই।
আজ নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র (টিটিসি) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বিদেশে দক্ষ জনবল পাঠানোর লক্ষ্যে সরকার সারা দেশের প্রতিটি উপজেলায় একটি করে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করছে। যাতে বিদেশ গমনে ইচ্ছুক ব্যক্তি খুব সহজেই বাড়ির কাছে কারিগরি প্রশিক্ষণ নিয়ে দক্ষ হিসেবে বিদেশ গমন করতে পারেন।
জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নওগাঁ-৬ আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ার হোসেন হেলাল, ৪০টি টিটিসি ও একটি আইএমটি স্থাপন প্রকল্প পরিচালক ও যুগ্মসচিব সাইফুল হক চৌধুরী।
#
রাশেদুজ্জামান/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৫৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৫১ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৬৯৮জন।
#
রাশেদা/পাশা/আরমান/সঞ্জীব/শামীম/২০২৩/১৯৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৮
তামাক নিয়ে যারা কাজ করবে আমরা তাদের সাথে নাই
--স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস-২০২৩ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল (এনটিসিসি), স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উদ্যোগে আজ ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মূল আলোচনা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদারের সভাপতিত্বে পরিচালিত অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত সচিব (বিশ্ব স্বাস্থ্য) মোঃ সাইদুর রহমান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এনটিসিসি’র সমন্বয়কারী ও স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হোসেন আলী খোন্দকার। অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদীয় কমিটির প্রতিনিধি সংসদ সদস্য ডা. হাবিবে মিল্লাত, রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. হুমায়ুন কবীর, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্দান জং রানা প্রমুখ।
মন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর তামাকের কারণে দেড় লাখ মানুষ মারা যাচ্ছে। তামাক থেকে যে রেভিনিউ সরকার পায় তার থেকে বেশি ক্ষতি চিকিৎসা ব্যয় সহ অন্যান্য ব্যয় মেটাতেই হয়ে যায়। এজন্য যেকোনো মূল্যে আগামী ২০৪০ সালের মধ্যেই দেশ থেকে তামাক পুরোপুরি নির্মূল করতে হবে। দেশে বর্তমানে মোট মৃত্যুর সত্তর শতাংশই ঘটে অসংক্রমক রোগের কারণে। আর এই অসংক্রামক রোগের অন্যতম একটি বাহক হচ্ছে তামাকের ব্যবহার। তাই, এই তামাক নিয়ে যারা কাজ করবে আমরা তাদের সাথে কোনোরকম সম্পর্ক রাখব না।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে তামাক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রমে প্রশংসনীয় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় থেকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এ বছর ৯টি ক্যাটোগরিতে সর্বমোট ১০টি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিকে তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা ২০২৩ প্রদান করা হয়। ‘সরকারি প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটেগরিতে রেলপথ মন্ত্রণালয়, ‘জেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটেগরিতে খুলনা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি’ ক্যাটেগরিতে চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটি, ‘শ্রেষ্ঠ মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকারী কর্মকর্তা’ ক্যাটেগরিতে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম, ‘কর্তৃত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা’ ক্যাটেগরিতে যথাক্রমে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম ও মোঃ আল আমিন রহমান, ‘স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান’ ক্যাটেগরিতে ঝিনাইদহ পৌরসভা, ‘বেসরকারি সংস্থা’ ক্যাটেগরিতে বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফোরাম ফর হেলথ এন্ড ওয়েলবিং, ‘সাংবাদিক (প্রিন্ট মিডিয়া)’ ক্যাটেগরিতে এহসানুল হক জসীম এবং ‘সাংবাদিক (ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া)’ ক্যাটেগরিতে সুশান্ত সিনহা তামাক নিয়ন্ত্রণে জাতীয় সম্মাননা-২০২৩ অর্জন করেন।
উল্লেখ্য, ‘তামাক নয়, খাদ্য ফলান’ প্রতিপাদ্যে গত ৩১ মে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার এলাকায় শোভাযাত্রা, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিবের বাণীসহ বিশেষ ক্রোড়পত্র বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়, এছাড়া পোস্টার প্রকাশ, গুরুত্বপূর্ণ সড়কদ্বীপ সজ্জাসহ বিভিন্ন আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিবসের কার্যক্রম পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তাবৃন্দ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালের পরিচালকবৃন্দ, ঢাকা সিভিল সার্জন অফিস, নার্স/ মিডওয়াইফ, বাংলাদেশ স্কাউটস, গার্ল গাইডস এবং তামাক বিরোধী বেসরকারি সংগঠনের প্রতিনিধিসহ প্রায় ৭ শতাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন।
#
মাইদুল/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৯২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৭
বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ছিলেন বাঙালি সংস্কৃতির প্রধান পৃষ্ঠপোষক। তিনি আজীবন বাঙালি সংস্কৃতির চেতনাকে ধারণ ও লালন করেছেন। তিনি মনেপ্রাণে বিশ্বাস করতেন রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্বাধীনতা ততদিন পরিপূর্ণ হবে না যতদিন না সাংস্কৃতিক স্বাধীনতা নিশ্চিত হয়। জাতির পিতার পৃষ্ঠপোষকতায় শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীনের উদ্যোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে প্রতিষ্ঠিত হয় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প প্রতিষ্ঠান। তিনিই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘আমার সোনার বাংলা’ গানকে আমাদের জাতীয় সংগীতের মর্যাদা প্রদান করেন। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবির মর্যাদা প্রদান করে ভারতের কলকাতা থেকে ঢাকায় নিয়ে আসেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে জাদুঘর আয়োজিত 'বঙ্গবন্ধুর সাংস্কৃতিক ভাবনা' বিষয়ক বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা ২০২৩ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রধান অতিথি বলেন, বঙ্গবন্ধু ছিলেন ভাষা আন্দোলনের অগ্রপথিক। দিন যতই গড়াচ্ছে, ভাষা আন্দোলনে ও বাঙালি সংস্কৃতির সুরক্ষায় জাতির পিতার অবদানের কথা নিত্যনতুনভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত আসতে পারে, বঙ্গবন্ধু তা আগেভাগেই অনুমান করতে পেরেছিলেন। তিনি বলেন, ভারত-পাকিস্তান বিভক্তির পূর্বে ১৯৪৭ সালের ৭ই জুলাই এ বিষয়ে বঙ্গবন্ধুর ভাবনা তৎকালীন ভারতের ইত্তেহাদ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর পর্ষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ। অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ বক্তা হিসাবে বক্তৃতা করেন বিশিষ্ট গবেষক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান।
প্রতিমন্ত্রী পরে শিশু-কিশোরদের সাংস্কৃতিক প্রতিভা বিকাশের অংশ হিসাবে জাদুঘর আয়োজিত সাংস্কৃতিক সংগঠন ‘শিল্প-বাংলা’ এর শিশু-কিশোরদের পরিবেশনায় অনুষ্ঠিত মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন।
#
ফয়সল/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৯২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৬
ভোজ্যতেলের নতুন দাম নির্ধারণ
ঈদের আগে আরো কমবে
--বাণিজ্যসচিব
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
সয়াবিন তেলের দাম প্রতি লিটারে সর্বোচ্চ ১০ টাকা কমিয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ। তিনি জানান, এখন থেকে প্রতি লিটার প্যাকেটজাত সয়াবিন তেল ১০ টাকা কমিয়ে ১৮৯ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ৯ টাকা হ্রাস করে ১৬৭ টাকা এবং পাম অয়েলের দাম ১৩৫ টাকা থেকে ২ টাকা কমিয়ে খুচরা পর্যায়ে ১৩৩ টাকা নির্ধারন করা হয়েছে।
আজ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত ‘দ্রব্যমূল্য ও বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত টাস্কফোর্সের ৭ম সভা শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান সিনিয়র সচিব।
তপন কান্তি ঘোষ বলেন, আজ থেকে ভোজ্যতেলের দাম কমানোর জন্য আমরা বলেছি। আশা করি দুই-তিনদিনের মধ্যে নতুন দামে বাজারে তেল পাওয়া যাবে। সার্বিক দিক বিবেচনা করে ঈদের আগে তেলের দাম আরও কমানো যায় কি না তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। আসন্ন ঈদের আগে আর একদফা দাম কমানো সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
সিনিয়র সচিব বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর পরই বাজারে দাম কমতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত পাঁচ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি প্রদান করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ৩০ হাজার মেট্রিক টন দেশে এসেছে। অনুমোদন প্রাপ্ত বাকি পেঁয়াজ দেশে আসলে দাম আরো কমবে বলে উল্লেখ করেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সচিব বলেন, গত এক বছরে চাহিদা বিবেচনায় দেশে চিনি, গম ও আদা ব্যতীত অন্য কোনো পণ্যে সরবরাহে ঘাটতি নেই। ঈদুল আজহাতে যেসব পণ্যের চাহিদা বাড়ে সেগুলোর দাম স্থিতিশীল রাখা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। অন্যান্য পণ্যের দামও স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে কথা হয়েছে। চীন থেকে আমদানি বন্ধ থাকায় দেশে আদার সংকট আছে। সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা ব্যবসায়ী সকল পক্ষের সাথে কথা বলেছি তারা বাজারে পণ্যের দাম স্বাভাবিক রাখার বিষয়ে সম্মত হয়েছে।
তপন কান্তি ঘোষ জানান, দেশে এক বছরে ব্যবধানে গম আমদানি ২৪ লাখ টন এবং চিনি আমদানি কমেছে ৭২ হাজার টন। আমদানি কম হওয়ার দামের প্রভাব পড়েছে বাজারে। দেশের চিনি চাহিদার প্রায় পুরোটাই আমদানিনির্ভর। এজন্য আন্তর্জাতিক বাজারের সাথে সমন্বয় করে দাম নির্ধারণ করতে হয়। বেশ কিছুদিন ধরে আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম স্থির রয়েছে।
এ প্রসঙ্গে সিনিয়র সচিব বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমলেই সঙ্গে সঙ্গে দেশে সেই পণ্যের দাম কমানো সম্ভব হয় না, কারণ আমদানি পণ্যের ক্ষেত্রে ডলারের দাম একটা বড় ফ্যাক্টর হিসেবে কাজ করে। এছাড়া, শুল্কহার, অভ্যন্তরীণ পরিবহন ব্যয় মূল্য নির্ধারণে প্রতিফলন ঘটে।
বাণিজ্য সচিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং এফবিসিসিআইসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
হায়দার/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১১৫
১১ জুন শুধু শেখ হাসিনার নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস
--তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৮ জ্যৈষ্ঠ (১১ জুন) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ১১ জুন একটি ঐতিহাসিক দিন। ২০০৮ সালের এই দিনে বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা দীর্ঘ ১১ মাস কারাভোগের পর মুক্তি লাভ করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রকৃতপক্ষে গণতন্ত্রকে বন্দি করার জন্য, গণতন্ত্রের পায়ে শেকল পরানোর জন্যই বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৭ সালে ১৬ জুন গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। সুতরাং আজকের এই দিনটি শুধু ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস।’
আজ সচিবালয়ে প্রেস ইনস্টিটিউট অভ্ বাংলাদেশ (পিআইবি) প্রকাশিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফারুক আহমেদ, পিআইবি’র মহাপরিচালক জাফর ওয়াজেদ, সহযোগী সম্পাদক এ কে এম শামসুদ্দিন, গ্রন্থকার ও গবেষক পপি দেবী থাপা প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘তখন বিএনপি-জামাতের দুঃশাসন, অপরাজনীতি, তাদের নেতৃত্বে জঙ্গিদের উত্থান, দুর্নীতির সর্বগ্রাসী বিস্তার, পর পর দেশ দুর্নীতির পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার প্রেক্ষাপটে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করেছিল। স্বাভাবিক ধারণা ছিল যে যাদের দুঃশাসনের কারণে ক্ষমতায় এসেছিল বলেছিল, তাদের বিরুদ্ধেই তারা ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু তারা প্রথমে জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করে, পরে খালেদা জিয়াকে গ্রেপ্তার করে। খালেদা জিয়াকে তারা প্রথমে গ্রেপ্তার করে নাই।’
‘সেনা সমর্থিত সেই সরকার দুর্নীতি দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে ক্ষমতা দখল করলেও নিজেরাই দুর্নীতি, অপশাসনে লিপ্ত হয়েছিলো এবং তখন তাদের বিরুদ্ধে সাহস করে কেউ কথা বলেনি, জননেত্রী শেখ হাসিনাই সাহস করে কথা বলেছেন’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘সেই কারণে জননেত্রী শেখ হাসিনার মুখ স্তব্ধ করার জন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। এরপর তারা বুঝতে পেরেছিল, মুক্ত শেখ হাসিনার চেয়ে বন্দি শেখ হাসিনা কম শক্তিশালী নন, বরং অনেক ক্ষেত্রে অনেক বেশি শক্তিশালী। কারণ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা সেই সময়কার সরকারের বিরুদ্ধে যেভাবে রাজপথে নেমেছিল, সোচ্চার হয়েছিল, সেই কারণেই তারা জননেত্রী শেখ হাসিনাকে ২০০৮ সালের ১১ জুন মুক্তি দিতে বাধ্য হয়েছিল।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান বলেন, ‘তাই আজকের এই দিনটি ব্যক্তি জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি দিবস শুধু নয়, গণতন্ত্রের মুক্তি দিবস এবং এই দিনে জননেত্রীর প্রতি অভিনন্দন, শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। একই সাথে যারা জননেত্রীর মুক্তি আন্দোলনের সাথে যুক্ত ছিলো তাদের প্রতি অভিনন্দন। অনেকেই জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তি আন্দোলনে শামিল হতে গিয়ে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আজকের এই দিনে যদি জননেত্রী শেখ হাসিনা মুক্তি লাভ না করতেন, তাহলে আমাদের দেশের পরিস্থিতি পাকিস্তান কিংবা তার চেয়েও খারাপ হত। আজকের এই গণতন্ত্রের অভিযাত্রা অব্যাহত থাকুক।’
মোড়ক উন্মোচিত ‘সংবাদপত্রে বঙ্গবন্ধু : জুলিও কুরি ও এশীয় শান্তি সম্মেলন’ গ্রন্থটি প্রকাশের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী পিআইবি’কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, ‘পিআইবি বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বেই প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের অভ্যুদয় সে সময়ের বিশ্ব প্রেক্ষাপটে শুধু একটি জাতির জন্ম নয়, একটি জাতির জন্মের বিস্ফোরণ ছিল। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেমন স্বাধীনতা অর্জন করেছিল পাশাপাশি বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রেও তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেই কারণেই তাকে ১৯৭৩ সালে জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত করা হয়েছিল।’
-২-
সেই সময়কার প্রেক্ষাপট, সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদসহ সেই বিষয়গুলোকে একটি পুস্তকের মধ্যে আবদ্ধ করে ইতিহাসকে সংরক্ষণ এবং সেই প্রেক্ষাপটে জাতির পিতার ভূমিকা জানার ক্ষেত্রে এই বইটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে, বলেন হাছান মাহ্মুদ।&