তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩৩
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের ইউনেস্কোর
ক্যাটাগরি-২ স্বীকৃতি লাভ
প্যারিস (ফ্রান্স), ৭ নভেম্বর :
ঢাকার সেগুনবাগিচায় অবস্থিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট ইউনেস্কোর ক্যাটাগরি-২ ইনস্টিটিউটের স্বীকৃতি লাভ করেছে।
আজ প্যারিসে ইউনেস্কো’র সদরদপ্তরে সংস্থাটির সাধারণ সম্মেলনের চলমান ৩৮তম অধিবেশনে সর্বসম্মতভাবে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এ অধিবেশনে বক্তৃতায় ইউনেস্কো সাধারণ সম্মেলনের নবনির্বাচিত সহসভাপতি বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ দেশের মহান ভাষা আন্দোলনের শহিদের স্মৃতির প্রতি বিশ্ব সম্প্রদায়ের শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে নির্মিত আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটকে ক্যাটাগরি-২তে উন্নীত করায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ইউনেস্কোর সকল সদস্যদেশের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
জনাব নাহিদ বলেন, ইউনেস্কোর সহযোগিতায় ঢাকায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা লাভ করায় প্রতিষ্ঠা মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা গ্রহণের গুরুত্ব, ভাষাগত বৈচিত্র্য ও বহুভাষা ব্যবস্থার প্রতি বাংলাদেশের দৃঢ় অঙ্গীকার প্রকাশ পেয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী তাঁর বক্তৃতায় ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি মাতৃভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে তৎকালীন শাসকদের বুলেটের আঘাতে অনেক ছাত্রের শহিদ হওয়ার কথা উল্লেখ করেন বলেন, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কো সেসব শহিদের আত্মদানের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বাংলাদেশের শহিদ দিবস একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।
শিক্ষামন্ত্রী আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত উদ্যোগ ও পৃষ্ঠপোষকতার কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, জাতিসংঘ সংস্থায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটের মর্যাদা বৃদ্ধির ফলে প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রম আরো বৃদ্ধি পাবে।
#
সাইফুল্লাহ/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/২০৩০ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩২
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয়
স্থায়ী কমিটির সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে সভা
ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের সাথে ব্র্যাকের উদ্যোগে সড়ক নিরাপত্তা বিষয়ে এক মতবিনিময় সভা আজ জাতীয় সংসদের মেম্বারস ক্লাবে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. একাব্বর হোসেন সভাপতিত্ব করেন।
সভায় কমিটির সদস্য খাদ্য প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, নাজমুল হক প্রধান, এ কে এম এ আউয়াল (সাইদুর রহমান), মো. মনিরুল ইসলাম এবং মিসেস লুৎফুন নেসা অংশগ্রহণ করেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান হোসেন জিল্লুর রহমান, ডা. হুমায়ুন কবির চৌধুরী, ফারুক তালুকদার সেহেল, মোখলেছুর রহমান এবং কে এম মোর্শেদ বক্তৃতা করেন।
সভায় বক্তারা নিরাপদ সড়ক নিশ্চিত করতে সরকারের পাশাপাশি সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানান এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ আইন, ২০১৫ (ইজঞঅ অপঃ, ২০১৫) এর কিছু চিহ্নিত ঘাটতি ও দুর্বলতা নিরসনের লক্ষ্যে সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবনা উপস্থাপন করেন এবং সে আলোকে আইন সংশোধনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
হুদা/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩১
গণতন্ত্রের শিকড় গভীরে নিতেই দলীয় প্রতীকে স'ানীয় নির্বাচন
ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে তৃণমূল পর্যায়ে আরো শক্তিশালী করতেই স'ানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকে করার ব্যবস'া করেছে সরকার। তিনি বলেন, আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি এর ফলে গণতন্ত্র শুধু শক্তিশালীই হবে না, এর শিকড় আরো গভীরে যাবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ৪৪তম জাতীয় সমবায় দিবস ২০১৫ ও জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৩ বিতরণ উপলড়্গে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব এম এ কাদের সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা এবং সমবায় অধিদপ্তরের নিবন্ধক ও মহাপরিচালক মো. মফিজুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।
স'ানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। এজন্যই গণতান্ত্রিক চর্চাকে কিভাবে বেগবান করা যায় সেই চেষ্টা এবং উদ্যোগ প্রতিনিয়তই করে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ। গণতন্ত্রকে শক্তিশালী এবং প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দিতেই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন সরকার কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, স'ানীয় সরকার নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগ যুগানত্মকারী। দলের মনোনয়নের পাশাপাশি নির্দলীয় প্রার্থীরাও এ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, শানিত্মর সমাজ প্রতিষ্ঠায় সমবায়ের কোন বিকল্প নেই। আর্থসামাজিক অবস'ার উন্নয়নে এটি একটি গুরম্নত্বপূর্ণ খাত। সমবায়ীদের সম্পদের সঠিক ব্যবহার করে বর্তমান সরকার সমবায়ীদেরকে লাভবান করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। সমবায়ীদের জন্য প্রয়োজনে অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলবো যাতে তারা বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত সুবিধা পায়।
অনুষ্ঠানে ১০ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে জাতীয় সমবায় পুরস্কার ২০১৩ দেয়া হয়।
এর আগে স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। মানিক মিয়া এভিনিউ চত্বর হতে শুরম্ন হয়ে তা বঙ্গবন্ধু আনত্মর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এসে শেষ হয়। পলিস্ন উন্নয়ন, সমবায় বিভাগ ও সংস'ার কর্মকর্তা এবং সমবায়ীরা এতে অংশগ্রহণ করে।
#
শহিদুল/আফরাজ/জসীম/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩০
ডেপুটি স্পিকারের সাথে ইউএনএইডস্ এর কান্ট্রি ডিরেক্টরের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সাথে আজ ঢাকায় তাঁর সংসদভবনের কার্যালয়ে টঘঅওউঝ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর লিও ক্যানি (খবড় কবহহু) সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে তাঁরা এ মাসের ২০ থেকে ২৩ তারিখে ঢাকায় অনুষ্ঠিতব্য এশিয়া ও প্যাসিফিক অঞ্চলে এইডস্ সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক কংগ্রেস সম্পর্কে আলোচনা করেন।
১২ঃয ওহঃবৎহধঃরড়হধষ ঈড়হমৎবংং ড়হ অওউঝ রহ অংরধ ধহফ ঃযব চধপরভরপ (ওঈঅঅচ১২) শীর্ষক চার দিনব্যাপী এ সম্মেলনে আয়োজক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ ছাড়াও এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের ৯টি দেশের পার্লামেন্টারিয়ান এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য হচ্ছে ‘ইব ঃযব ঈযধহমব ঞড়ধিৎফং ধহ অওউঝ ঋৎবব এবহবৎধঃরড়হ: ঙঁৎ জরমযঃ ঃড় ঐবধষঃয’।
ডেপুটি স্পিকার গুরুত্বপূর্ণ এ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশের অংশগ্রহণ এবং বিভিন্ন সেশনে অভিজ্ঞ ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের আলোচনা ও মতবিনিময়ের মাধ্যমে সহিংসতামুক্ত একটি সুস্থ প্রজন্মের জন্য পথনির্দেশনা প্রাপ্তির বিষয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কান্ট্রি ডিরেক্টর সম্মেলন সংক্রান্ত বিষয়সমূহ ডেপুটি স্পিকারকে অবহিত করেন।
মো. ফজলে রাব্বী মিয়া দেশে এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের অগ্রগামিতার বিষয়ে আলোকপাত করে বলেন, দেশে প্রাথমিক শিক্ষকদের শতকরা ৬০ ভাগ নারী এবং উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে এই প্রথমবারের মতো নির্বাচিত নারী প্রতিনিধির পদ রাখা হয়েছে। তিনি রাজনীতি, প্রশাসন, প্রতিরক্ষা, পুলিশ ইত্যাদি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের নারীদের অনন্য প্রতিনিধিত্বের বিষয় তুলে ধরেন।
ডেপুটি স্পিকার উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থা, বেসরকারি সংগঠন ও সিভিল সোসাইটির সহযোগিতার বিষয়েও সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি বিদেশি প্রতিনিধিদের বাংলাদেশে অবস্থানকালীন সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে সরকারের আন্তরিক ব্যবস্থাপনার ব্যাপারে প্রতিনিধিদের আশ্বাস প্রদান করেন।
সাক্ষাৎকালে টঘ ডড়সবহ এর কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ ক্রিস্টিন হান্টার, ন্যাশনাল অফিসার এস এম নাহিয়ান এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন ।
#
আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭৩১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৯
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৫ উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। এ সপ্তাহ উপলক্ষে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মরত সকল কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স মানবসেবার এক অনন্য প্রতিষ্ঠান। অগ্নিনির্বাপণ, আহতদের সেবা, মুমূর্ষু রোগী পরিবহণসহ প্রাকৃতিক বা মানবসৃষ্ট দুর্যোগে জনজীবনের নিরাপত্তা ও স্বস্তিবিধানে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন দুর্যোগের সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে জনগণের পাশে দাঁড়ান, তাদের সাহস যোগান। এতে মুমূর্ষু ও অসহায় মানুষ চরম প্রতিকূল পরিবেশে বেঁচে থাকার আশার আলো দেখে। নানা দুর্যোগকালীন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে কিভাবে শান্ত থেকে অগ্নি প্রতিরোধ ও নির্বাপণ করা যায় সে বিষয়ে জনগণকে সচেতন ও কৌশলী করে তোলা দরকার। বিশেষ করে শিল্প এলাকা ও পোশাক তৈরি শিল্পে কর্মরত শ্রমিক বা উচ্চ অট্টালিকায় বসবাসকারীদের এ বিষয়ে প্রশিক্ষণ ও কলাকৌশল শেখানো খুব জরুরি বলে আমি মনে করি। আমার বিশ্বাস দেশব্যাপী ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ পালন সে লক্ষ্য পূরণে ভূমিকা রাখবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে কর্মরত যেসব ফায়ার কর্মীরা অগ্নি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগকালীন অন্যকে বাঁচানোর মহান ব্রত নিয়ে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেন আমি তাদের সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। সপ্তাহ পালনের মধ্য দিয়ে নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি জনগণকে সচেতন ও তাদের সাথে এ বিভাগের কর্মীদের ঘনিষ্ঠতা ও পারস্পরিক সহযোগিতা আরো বৃদ্ধি পাবে বলে আমি আশা করি।
আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৫ পালনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’
#
আজাদ/আফরাজ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২৮
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৩ কার্তিক (৭ নভেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৫ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘অগ্নিকা-সহ যে কোন দুর্ঘটনা-দুর্যোগে জনসাধারণের করণীয় বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে দেশের ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ ২০১৫ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সর্বস্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর একটি জরুরি সেবাধর্মী প্রতিষ্ঠান। ভূমিকম্প, অগ্নিদুর্ঘটনা, নৌযান দুর্ঘটনা ও সড়ক দুর্ঘটনাসহ যে কোন মানবসৃষ্ট ও প্রাকৃতিক দুর্যোগে এ বিভাগের কর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজে অংশ নেন। জনগণের জানমাল রক্ষা করেন।
নিরাপদ বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের সরকার ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সামর্থ্য বৃদ্ধির জন্য গত প্রায় সাত বছরে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছে। আমরা নতুন নতুন ফায়ার স্টেশন স্থাপনের পাশাপাশি আধুনিক অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার সরঞ্জাম সংগ্রহ করেছি। বহুতল ভবনের অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধার কাজের জন্য ইতোমধ্যে ২০০ কোটি টাকার সর্বাধুনিক সরঞ্জাম সংগ্রহ করা হয়েছে। আধুনিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহের এ প্রক্রিয়া ও প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
আমরা এ প্রতিষ্ঠানটির সেবার মান ও দক্ষতা বৃদ্ধির পাশাপাশি কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুযোগসুবিধা বহুগুণে বৃদ্ধি করেছি। ফায়ার সার্ভিসের সকল কর্মীদের জন্য পূর্ণাঙ্গ রেশন সুবিধা, শতকরা ৩০ ভাগ ঝুঁকিভাতা ও মর্যাদাপূর্ণ নতুন পোশাক প্রবর্তন করা হয়েছে। সাহসিকতা ও বীরত্বপূর্ণ কাজের স¦ীকৃতিস¦রূপ রাষ্ট্রীয় পদকের সংখ্যা ও সম্মানীর পরিমাণ বৃদ্ধি করা হয়েছে। কর্মীদের পেশাগত দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দেশে বিদেশে উচ্চতর প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। এর ফলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীগণ অগ্নিনির্বাপণ ও উদ্ধারকাজে আত্মত্যাগ ও সাহসিকতা প্রদর্শনের ক্ষেত্রে আরো উদ্যমী হয়েছেন।
আমি আশা করি, বিগত সময়ে দেশের বড় বড় অগ্নি, নৌ ও সড়ক দুর্ঘটনা এবং ভূমিধস ও ভবনধসে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সাহসী কর্মীরা যেভাবে উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে জনগণের আস্থা ও প্রশংসা অর্জন করেছেন তা আরও বৃদ্ধি পাবে। এ বিভাগের কর্মীরা নতুন উদ্যমে সাহস, দক্ষতা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত¦ পালন করে যে কোন দুর্যোগে প্রথম সাড়াদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মানুষের জানমাল রক্ষায় আরও যতœবান হবেন।
আমি ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সপ্তাহ উদ্যাপন উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
নুরএলাহি/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৭০১ ঘণ্টা