তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৮
মহালয়ায় তথ্যমন্ত্রীঃ অটুট সম্প্রীতির বন্ধন
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
মহালয়ায় তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেছেন, কোনোকিছুই এদেশে ধর্মীয় সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে পারবেনা। আর শানিত্ম ও সম্প্রীতিকে স'ায়ী করতে হলে জঙ্গিদের সাথে তাদের সঙ্গীদেরও দমন ও বর্জন করা উচিত।
মন্ত্রী আজ সনাতন প্রথা তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব দুর্গাপূজার প্রথম দিন ঊষালগ্নে মর্ত্যে দুর্গাদেবীর আগমন উপলড়্গে রাজধানীর বনানী মাঠে আয়োজিত মহালয়া অনুষ্ঠানে মঙ্গলদীপ জ্বেলে দুর্গাবরণ সূত্রপাতের পর প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
গুলশান-বনানী সার্বজনীন পূজা পরিষদ আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রতিবারের মতো এবারও হাসানুল হক ইনু ভোর সাড়ে পাঁচটায় পৌঁছুলে তাকে পরিষদের সভাপতি সুভাষ চন্দ্র ঘোষ ও সম্পাদক সুধাংশু কুমার দাসসহ পূজারী ও শিল্পীবৃন্দ স্বাগত জানান।
মুক্তিযোদ্ধা হাসানুল হক ইনু তার সম্ভাষণে সকলকে শরতের সকালের স্নিগ্ধ শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন, ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার। দুর্গাপূজা সনাতন প্রথা তথা হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব হলেও এর আনন্দ সকলকে ছুঁয়ে দিয়ে এক সার্বজনীন রূপে আবির্ভূত হয়। এই শানিত্ম-সম্প্রীতিকে স'ায়ী করতে শুধু জঙ্গিদমনই যথেষ্ট নয়, জঙ্গির সঙ্গীদেরও দমন বাঞ্ছনীয়।
মহালয়ায় বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জনপ্রিয় শিল্পী সন্দীপনসহ বিশিষ্ট শিল্পীরা সংগীত ও নৃত্য পরিবেশন করেন।
#
আকরাম/মাহমুদ/নবী/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৭
জাতীয় সংসদের পড়্গ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারীর ড়্গমতায়নে অবদানের স্বীকৃতি স্বরূপ ‘পস্নানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও ‘এজেন্ট অভ্ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড ’ অর্জন করায় আজ জাতীয় সংসদ ভবনের উত্তর পাশের ক্রিসেন্ট লেক সংলগ্ন সড়কে সারিবদ্ধভােেব দাঁড়িয়ে জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ, হুইপ আতিউর রহমান আতিক, হুইপ মো. শহীদুজ্জামান সরকার, হুইপ ইকবালুর রহিম, হুইপ মো. শাহাব উদ্দিন, সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরম্নজ্জামান আহমেদ এবং সংসদ সদস্যবৃন্দ প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানান।
#
এমাদুল/মাহমুদ/নবী/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৬
কন্যা শিশুরাই ভবিষ্যতে দেশ গড়তে মূল ভূমিকা রাখবে
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেছেন, কন্যা শিশুরা নির্যাতন ও বাল্যবিবাহের শিকার হবে এটা কোনোমতেই মেনে নেয়া যায় না। বাল্যবিবাহের ফলে একজন শিশু আরেকজন অপুষ্ট শিশুকে জন্ম দেয়। এতে অপুষ্টির দুষ্টচক্র তৈরি হয় এবং দেশের সমৃদ্ধি বাধাগ্রসত্ম হয়। এজন্য সরকারের পাশাপাাশি সবাইকে বাল্যবিবাহ বন্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, আগে কন্যা শিশু জন্ম দেয়ার জন্য নারীদের অনেক নির্যাতনের শিকার হতে হতো। কিন' সনত্মান মেয়ে হবে না ছেলে হবে তা নারীর ওপর নির্ভর করে না, তা নির্ভর করে পুরম্নষের ওপর। বর্তমানে দৃষ্টিভঙ্গির অনেক পরিবর্তন হয়েছে। কন্যা শিশুরা এখন আর অপ্রত্যাশিত নয়। শিক্ষিত হলে তারা মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে এবং কন্যা শিশুরাই ভবিষ্যতে উন্নত দেশ গড়তে মূল ভুমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি ও জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসি ফোরামের যৌথ উদ্যোগে জাতীয় কন্যা শিশু দিবস-২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে একাডেমি মিলনায়তনে আয়োজিত এক র্যালি শেষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ সব কথা বলেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক সচিব নাছিমা বেগম বলেন, বর্তমান সরকার নারী ও কন্যাশিশুবান্ধব সরকার। ‘বাংলাদেশ জাতিসংঘের শিশু অধিকার সনদ অনুসমর্থনের প্রায় ১৬ বছর আগে ১৯৭৪ সালে শিশু আইন প্রণয়ন করে। সর্বশেষ ২০১১ সালে প্রণীত হয়েছে জাতীয় শিশুনীতি-২০১১।’ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কন্যা শিশুদের কল্যাণে কিশোরী ক্লাব গঠন এবং সেলাই ও বিউটিফিকেশনসহ বিভিন্ন প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমির পরিচালক মোশাররফ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় কন্যাশিশু এডভোকেসি ফোরামের সভাপতি ড. বদিউল আলম মজুমদার, সেভ দ্য চিলড্রেন-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মার্ক পিয়ার্স, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও বাংলাদেশ শিশু একাডেমির সাবেক পরিচালক ফালগুনী হামিদ এবং ইউনিসেফ-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর অ্যাডওয়ার্ড বেইবেডার উপসি'ত ছিলেন।
উলেস্নখ্য, এবারের জাতীয় কন্যা শিশু দিবসের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘শিশুকন্যার বিয়ে বন্ধ করি, সমৃদ্ধ দেশ গড়ি’ ।
#
খায়ের/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৫
সৃজনশীল প্রতিভাবান যুবসমাজই সোনার বাংলা গড়ার কারিগর
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরম্নল হামিদ বলেছেন, সৃজনশীল প্রতিভাবান যুবসমাজই সোনার বাংলা গড়ার কারিগর। তরম্নণদের উদ্ভাবনী শক্তি বিকাশে পস্নাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে এবং হচ্ছে। ইয়াং বাংলা, ইনোভেশন ডেভেলপমেন্ট ফোরাম, বাংলাদেশ এনার্জি এন্ড পাওয়ার রিসার্চ কাউন্সিল এ নিয়ে কাজ করছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় নটরডেম কলেজে বিজনেস ক্লাবের উদ্যোগে আয়োজিত ‘বিজনেস ফেস্ট বাংলাদেশ-২০১৬’-এর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
দু’দিনব্যাপী বিজনেস ফেস্টে বিভিন্ন সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, কর্মশালা ও আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ফেস্টে ৪০টি কলেজের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করছে। এ ফেস্টের মাধ্যমে বিজনেস স্টাডির ছাত্ররা ভবিষ্যতে তাদের করণীয়, চাকুরির সুযোগ ও সম্ভাবনা এবং বাংলাদেশের কর্পোরেট কালচার সম্পর্কে জানতে পারবে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নটরডেম বিজনেস ক্লাবের সভাপতি রাফাত মোসত্মফা, ক্লাবের মডারেটর ও শিড়্গক ফারজানা হোসেন, ছাত্র পরিচালনা পরিষদের প্রধান ফাদার আনত্মনি সুশানত্ম গোমেজ এবং বিজনেস পরিষদের প্রধান ড. ফাদার লিটন সিউবার্ট গোমেজ বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৪
আগামীকাল বরিশালে জঙ্গিবাদ বিরোধী সমাবেশে যোগ দেবেন শিক্ষামন্ত্রী
বরিশাল, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
বরিশাল বিভাগের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহের প্রধানদের অংশগ্রহণে আগামীকাল (শনিবার) সকাল ১০টায় বরিশাল বিএম কলেজে অনুষ্ঠিত হবে জঙ্গিবাদ বিরোধী এক মতবিনিময় সভা।
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
বরিশাল শিক্ষা বোর্ডের ব্যবস্থাপনায় ‘শিক্ষার পরিবেশ উন্নয়ন, জঙ্গিবাদমুক্ত শিক্ষাঙ্গন’ শিরোনামে এ মতবিনিময় সভায় ১ হাজার ৩শ’ মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজ, ১শ’ মাদরাসা এবং ৩০টি কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ অংশ নেবেন।
এর আগে আগামীকাল (শনিবার) সকাল সোয়া ৯টায় বরিশালে বিএম কলেজ প্রাঙ্গণে মাদকদ্রব্য বিরোধী এক মানববন্ধনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন শিক্ষামন্ত্রী।
#
সাইফুল্লাহ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৮০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬৩
২রা অক্টোবর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
জাতীয় পর্যায়ে সচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে দেশের শিল্প, কৃষি ও সেবাসহ বিভিন্নখাতে উৎপাদনশীলতা বাড়াতে ২রা অক্টোবর “জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবস” উদ্যাপন করা হবে। এ উপলক্ষে শিল্প মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঐদিন সকাল ৮টায় রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন সংলগ্ন সড়ক থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি বের হবে। কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরীর নেতৃত্বে এতে শিল্প ও কৃষি মন্ত্রণালয় এবং বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, শিল্প-কারখানার মালিক, শ্রমিক ও কর্মচারীরা অংশ নেবেন।
এছাড়া সকাল ১০টায় রাজধানীর এফবিসিসিআই মিলনায়তনে “টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হবে। ন্যাশনাল প্রোডাকটিভিটি অর্গানাইজেশন (এনপিও) এ সেমিনার আয়োজন করেছে।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রী পৃথক বাণী দিয়েছেন। এছাড়া দিবসটির গুরুত্ব তুলে ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশন টক শো সম্প্রচার করবে। জাতীয় দৈনিকে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে। পাশাপাশি মোবাইল ফোন অপারেটররা খুদে বার্তা ও ভয়েস মেইল প্রেরণ করে উৎপাদনশীলতা বিষয়ে জনগণকে সচেতন করবে।
দিবসটি উপলক্ষে ইতোমধ্যে এনপিও প্রচার সামগ্রী, বুকলেট, বর্ণিল স্যুভেনির ও পোস্টার প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, এ বছর জাতীয় উৎপাদনশীলতা দিবসের মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে, “টেকসই প্রবৃদ্ধির জন্য উৎপাদনশীলতা অপরিহার্য”।
#
জলিল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৬/১৭৫৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬২
জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬ উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পয়লা অক্টোবর হতে শুরম্ন হতে যাওয়া ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬’ উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রতি বছরের মত ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬’ উদ্যাপন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ আয়োজনের সাথে সংশিস্নষ্ট সকলকে আনত্মরিক অভিনন্দন জানাই।
আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে জনস্বাসে'্যর উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। স্যানিটেশন শুধু মৌলিক অধিকারই নয়, এর সাথে জনস্বাস'্য, শিড়্গা, চিকিৎসাসহ প্রায় সব মৌলিক অধিকার সম্পর্কিত। স্যানিটেশনের গুরম্নত্ব অনুধাবণ করে আমাদের সরকার সকলের জন্য স্যানিটেশন সুবিধা নিশ্চিত করার লড়্গ্যে নানামুখী কর্মসূচি পালন করছে। স্যানিটেশন সুবিধা সকলের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে আমরা বাসত্মবমুখী কৌশলপত্র ও নীতিমালা প্রণয়ন করেছি। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য জাতীয় স্যানিটেশন মাস, বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উদ্যাপনসহ বিভিন্ন জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আমাদের ধারাবাহিক কার্যক্রমের ফলে স্বাস'্য সচেতনতা বৃদ্ধি পাওয়ার পাশাপাশি অনিরাপদ পানি ও স্যানিটেশনের অভাবজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব উলেস্নখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে।
জাতিসংঘ স্যানিটেশনকে মানুষের মৌলিক অধিকার হিসেবে ঘোষণা করেছে। এমডিজি অর্জনের ড়্গেত্রে যে বিষয়গুলোকে সর্বাধিক গুরম্নত্ব দিয়ে টেকসই উন্নয়নে অনত্মর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে স্যানিটেশন অন্যতম। শুধু হাত ধোয়ার বিষয়টির গুরম্নত্ব অনুধাবণ করে আনত্মর্জাতিকভাবে ১৫ অক্টোবর বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত হচ্ছে। প্রতিবছর স্যানিটেশন মাস অক্টোবরে আমরা বিভিন্ন কর্মকা-ের মাধ্যমে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে দেশব্যাপী ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। গত সাড়ে সাত বছরে আমাদের সময়োপযোগী পদড়্গেপের ফলে স্যানিটেশন আজ সামাজিক আন্দোলনে রূপ নিয়েছে। আমি আশা করি, এই সামাজিক আন্দোলনকে আরো বেগবান করে টেকসই উন্নয়ন লড়্গ্যমাত্রা পূরণে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী সংস'া, গণমাধ্যমসহ দেশের প্রতিটি নাগরিক গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
স'ানীয় সরকার, পলিস্ন উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জনসচেতনামূলক এ আয়োজন সবার জন্য স্যানিটেশন নিশ্চিত করে জনস্বাসে'্যর উন্নয়নে তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রাখবে-এ আমার প্রত্যাশা।
আমি ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬’ এর সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুর এলাহি/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬১
জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬ উপলড়্গে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পয়লা অক্টোবর থেকে শুরম্ন হতে যাওয়া জাতীয় স্যানিটেশন মাস -অক্টোবর ২০১৬ উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘জনগণের মধ্যে স্বাস'্য সচেতনতা বৃদ্ধি ও স্যানিটেশন কার্যক্রমকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে অন্যান্য বছরের ন্যায় এবারও ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
জনস্বাস'্য রক্ষায় স্যানিটেশন গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। দেশব্যাপী জনগণের মাঝে স্যানিটেশন ও স্বাস'্য সচেতনতা বৃদ্ধি করাই জাতীয় স্যানিটেশন মাস উদ্যাপনের মূল উদ্দেশ্য। বাংলাদেশ স্যানিটেশন কর্মসূচিতে ‘সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে উলেস্নখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে যা আনত্মর্জাতিক পরিম-লে প্রশংসিত হয়েছে। এ সাফল্য অর্জনে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, উন্নয়ন সহযোগী দেশ ও সংস'া এবং গণমাধ্যমসহ নানা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের সমন্বিত সহায়তা ও ঐকানিত্মক প্রচেষ্টা মূল চালিকাশক্তি হিসেবে কাজ করছে। এ জন্য আমি সংশিস্নষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই।
সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা’ অর্জনে আমাদের নিরলস প্রচেষ্টা চালাতে হবে। এজন্য দেশব্যাপী স্যানিটেশন ব্যবস'াপনায় সংশিস্নষ্ট সকলকে আরো মনোযোগী হতে হবে এবং দেশের জনগণের সক্রিয় অংশগ্রহণ বাড়াতে হবে। আমি আশা করি দেশব্যাপী ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬’ উদ্যাপনের সকল কর্মসূচি কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য অর্জনে গুরম্নত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।
আমি ‘জাতীয় স্যানিটেশন মাস - অক্টোবর ২০১৬’ উদ্যাপনের লক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০১ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৬০
আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলড়্গে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পয়লা অক্টোবর আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘জাতিসংঘের সকল সদস্য দেশের মতো বাংলাদেশেও গুরম্নত্ব ও মর্যাদার মধ্য দিয়ে ১লা অক্টোবর ‘আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলড়্গে আমি সংশিস্নষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আনত্মরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- “বয়স বৈষম্য দূর করম্নন (ঞধশব ধ ঝঃধহফ অমধরহংঃ অমবরংস)" সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রবীণ জনগোষ্ঠী বা সিনিয়র সিটিজেন প্রতিটি দেশের মোট জনসংখ্যার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। প্রবীণ জনগোষ্ঠী তাঁদের কর্মময় জীবনে অত্যনত্ম উৎসাহ-উদ্দীপনা এবং আনত্মরিকতার সাথে দেশ তথা নিজ নিজ পরিবার ও সমাজ গঠনে অত্যনত্ম নিষ্ঠার সাথে কাজ করেছেন। প্রবীণদের জীবন সায়াহ্নে তাঁদের যথাযথভাবে দেখাশোনা করা এবং কল্যাণের লড়্গ্যে প্রয়োজনীয় পদড়্গেপ নেওয়া রাষ্ট্র, পরিবার তথা সমাজের অবশ্য কর্তব্য।
আওয়ামী লীগ সরকার প্রবীণদের সার্বিক কল্যাণে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ ও বাসত্মবায়ন করছে। প্রবীণদের সুরড়্গায় আমাদের বিভিন্ন পদড়্গেপ ইতোমধ্যে আনত্মর্জাতিক পরিম-লে যথেষ্ট প্রশংসিত হয়েছে। আমি আশা করি, সরকারের পাশাপাশি বাংলাদেশ প্রবীণ হিতৈষী সংঘ ও জরা বিজ্ঞান প্রতিষ্ঠান প্রবীণদের কল্যাণে আরো গুরম্নত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রবীণ-নবীন সকলে মিলে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ড়্গুধা, দারিদ্র্য ও নিরড়্গরতামুক্ত ‘সোনার বাংলা’ গড়বো- এ আমার প্রত্যাশা।
আমি দেশের প্রবীণ জনগোষ্ঠীর সুস্বাস'্য ও মঙ্গল কামনা করছি এবং আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলড়্গে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরম্নল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩০৫৯
আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলড়্গে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৫ই আশ্বিন (৩০শে সেপ্টেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পয়লা অক্টোবর আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস উপলড়্গে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ‘আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস’ যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের অভাবনীয় উন্নতিতে বিশ্বে মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলশ্রম্নতিতে পৃথিবীর সব দেশেই প্রবীণদের সংখ্যা ক্রমাগত বেড়ে চলেছে। প্রবীণ জনগোষ্ঠী সমাজে সম্মান ও শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁদের মেধা, মনন ও কর্মময় জীবনের পথ বেয়েই সভ্যতা ও উন্নয়ন এগিয়ে চলেছে। তাই প্রবীণ ব্যক্তিদের যথাযথ মর্যাদা ও সম্মান প্রদানসহ তাঁদের শারীরিক ও মানসিক স্বসিত্ম নিশ্চিত করা আমাদের সকলের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য।
দেশের বিদ্যমান আর্থিক ও সামাজিক অবস'ার প্রেক্ষাপটে দেখা যায় অনেক প্রবীণ ব্যক্তি অবনতিশীল স্বাস'্য, আর্থিক দৈন্য এবং সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে থাকেন। এতে প্রবীণদের মৌলিক ও মানবিক অধিকার ক্ষুণ্ন্ন হচ্ছে। প্রবীণরা যাতে সুখ-শানিত্ম এবং মর্যাদার সাথে বাঁচতে পারে সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া অতীব প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে পরিবারের ভূমিকা খুবই গুরম্নত্বপূর্ণ বলে আমি মনে করি। সরকার প্রবীণদের কল্যাণে বয়স্কভাতা, চিকিৎসাসেবা প্রদানসহ সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম বাসত্মবায়ন করছে। সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি এবং কল্যাণমূলক সংগঠন প্রবীণদের কল্যাণে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।
বার্ধক্যের বাসত্মবতাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। কারণ যে কোন ব্যক্তিকে স্বাভাবিক নিয়মেই একদিন প্রবীণত্বকে বরণ করতে হয়। আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘ঞধশব ধ ঝঃধহফ অমধরহংঃ অমবরংস' তথা ‘বয়স বৈষম্য দূর করম্নন’ যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি। কেননা এর মাধ্যমে প্রবীণদেরকে দূরে সরিয়ে না দিয়ে কাছে টানার ব্যাপারে উৎসাহিত করা হয়েছে। আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবসে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল প্রবীণের সুস্বাস'্য, স্বসিত্মময় ভবিষ্যৎ এবং তাঁদের কল্যাণ কামনা করছি।
আনত্মর্জাতিক প্রবীণ দিবস ২০১৬ উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচির সফলতা কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/১৭০২ ঘণ্টা