তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮২৫
শেখ হাসিনা দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন
-- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী
শরীয়তপুর, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর সকল ধর্মাবলম্বী মানুষ নিরাপদে ধর্মীয় অনুষ্ঠান করতে পারেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার টানা ক্ষমতায় আছে বলেই দেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রয়েছে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় আছে বলেই দেশ উন্নয়নে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আনার জন্য ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
আজ শরীয়তপুরের নড়িয়ার ঘরিষার পালপাড়া মন্দিরে তিনব্যাপী কিত্তন অনুষ্ঠানের শেষে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে উপমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
উপমন্ত্রী বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা ছাড়া বাংলাদেশ কারো হাতে নিরাপদ নয়। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে বিশ্বের বিস্ময়। সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার জন্য আসন্ন নির্বাচনে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় এনে শেখ হাসিনাকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানাতে হবে।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জহির সিকদার, নড়িয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসানুজ্জামান খোকন, জেলা আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক এসএম সিরাজুল ইসলাম, উপজেলার সহ-সভাপতি ও ঘরিষার ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রব খান, সহ-সভাপতি লিটন মোল্যা, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আদিল মুন্সী, যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক উজ্জ্বল মীর মালত, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নুর এ আলম আশিক, উপজেলার সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম আকাশ, মন্দিরের সভাপতি নীলকৃষ্ণ পাল ও সাধারণ সম্পাদক শান্তি ঘোষ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
গিয়াস/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮২৪
ক্রীড়া ক্ষেত্রে মণিপুরীরা সুনামের সাথে অবদান রাখছে
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
ক্রীড়া ক্ষেত্রে জাতীয়-আন্তর্জাতিক পর্যায়ে মণিপুরীরা সুনামের সাথে অবদান রাখছে। তাদের ক্রীড়া নৈপুণ্য ও আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সরকার কাজ করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
মন্ত্রী আজ সিলেটের আবুল মাল আব্দুল মুহিত ক্রীড়া কমপ্লেক্সে মাহা বাংলাদেশ আন্তঃমণিপুরী ফুটবল চ্যাম্পিয়ন ট্রফির পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন। বাংলাদেশ মণিপুরী স্পোটর্স এসোসিয়েশন এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সিলেটে ৪টি খেলার মাঠ বানানোর পরিকল্পনা সরকার নিয়েছে। ইতোমধ্যে ২টি মাঠের অনুমোদন পাওয়া গেছে। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সব ধরনের খেলাধুলার ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। খেলাধুলা যুবসমাজকে সঠিক পথে পরিচালিত করে। তাই মাদক থেকে যুবসমাজকে রক্ষা করার জন্য পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিতে হবে।
প্রতিযোগিতার ফাইনালে আজ ‘কমপ্রত্যাশা নহারোল ক্লাব ভানুগাছ’ ট্রাইব্রেকারে ‘পাথারি এক্সপ্রেস বড়লেখা’কে ৪-১ গোলে পরাজিত করে চ্যাম্পিয়ন হবার গৌরব অর্জন করে। ফাইনালের ম্যান অভ্ দ্য ম্যাচ এবং ম্যান অভ্ দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন নুংশি থৈবা, সেরা গোলকিপারের পুরস্কার পেয়েছেন নিরোদ শর্মা।
পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনোয়ারুজ্জান চৌধুরী, সিলেট জেলা ক্রীড়া সংস্থার সহসভাপতি বিজিত চৌধুরী, সিলেট জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি আল আজাদ প্রমুখ।
#
মাসুম/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২১৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮২৩
ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
দুবাই (১ ডিসেম্বর) :
জলবায়ু বিষয়ে কর্মকাণ্ডে নেতৃত্বের কণ্ঠস্বর হিসেবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিযুক্ত মানুষের পক্ষে বিশ্বব্যাপী অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ডে’ ভূষিত করেছে আইওএম এবং জাতিসংঘ সমর্থিত গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থা।
আজ দুবাইতে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন-কপ ২৮ এর সাইডলাইনে একটি উচ্চ-স্তরের প্যানেল অধিবেশনে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতি রাষ্ট্রদূত ডেনিস ফ্রান্সিস (Dennis Francis) এবং ইন্টারন্যাশনাল অর্গাইনাইজেশন ফর মাইগ্রেশন-আইওএম মহাপরিচালক অ্যামি পোপের (Amy Pope) কাছ থেকে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে পুরস্কারটি গ্রহণ করেন।
কপ-২৮ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের প্রধান তথ্যমন্ত্রী ও পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহ্মুদ এ সময় ‘অভিযোজন এবং সহনশীলতার জন্য জলবায়ু গতিশীলতাকে বাগে আনা’ (Harnessing Climate Mobility for Adaptation and Resilience) শীর্ষক উচ্চ-স্তরের এ প্যানেল অধিবেশনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
জলবায়ু গতিশীলতার বিষয়টিকে বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক আলোচনার মূলধারায় আনার এখনই উপযুক্ত সময় উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের ক্লাইমেট মোবিলিটি সামিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জলবায়ুজনিত কারণে বাধ্য হয়ে অভিবাসন এবং বাস্তুচ্যুতির দিকটি বিশ্ব নেতৃবৃন্দের তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে নিয়ে আসেন। এর আগেও বাংলাদেশ গত কয়েক বছর ধরে ঢাকায় আইওএমের সহযোগিতায় আয়োজিত দু’টি সংলাপ এবং গত বছর মিশরের শার্ম এল শাইখে কপ ২৭ এ বিষয়টি তুলে ধরেছে, জানান হাছান মাহ্মুদ।
একইসাথে কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত ৪ হাজার ৪শ’ পরিবারকে পুনর্বাসনের জন্য বিশ্বের বৃহত্তম বহুতল সামাজিক আবাসন প্রকল্প নির্মাণসহ জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উদ্যোগের নানা দিক তুলে ধরেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, ক্লাইমেট মোবিলিটি চ্যাম্পিয়ন লিডার অ্যাওয়ার্ড প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একটি উল্লেখযোগ্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি এবং জলবায়ু গতিশীলতা এবং এ থেকে উদ্ভূত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বাংলাদেশের ক্রমাগত নেতৃত্বের প্রতি বিশ্বের সমর্থন। তিনি বলেন, বাংলাদেশ সন্তুষ্ট যে, এখন জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর একটি বিস্তৃত জোট এই ইস্যুতে একযোগে কাজ করছে।
পুরস্কার প্রদানকারী গ্লোবাল সেন্টার ফর ক্লাইমেট মোবিলিটি সংস্থাটি জাতিসংঘ, আঞ্চলিক আন্তঃসরকারি সংস্থা এবং উন্নয়ন অর্থ সংস্থাগুলোর সাথে সহযোগিতায় জলবায়ু গতিশীলতা মোকাবিলায় সহযোগিতামূলক বিস্তৃত সমাধানের জন্য কাজে ব্যাপৃত।
কমনওয়েলথ মহাসচিবের সঙ্গে তথ্যমন্ত্রীর বৈঠক
এ দিন বিকেলে দুবাইয়ে কপ ২৮ সম্মেলনস্থলে কমনওয়েলথ সেক্রেটারি জেনারেল প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডের (Patricia Scotland) সাথে সাক্ষাতে মিলিত হন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ। বন ও পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, সংযুক্ত আরব আমিরাতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আবু জাফরসহ অন্যান্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পরে মন্ত্রী হাছান সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের অগ্রগতি হয়েছে, কমনওয়েলথ মহাসচিব তার ভূয়সী প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তার সাথে দেশের রাজনৈতিক বিষয় নিয়েও আলোচনা হয়েছে।’
#
আকরাম/সায়েম/রফিকুল/সেলিম/২০২৩/২১১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮২২
’৭১ সালে যুদ্ধ হয়েছে অস্ত্র নিয়ে, এবার হবে ব্যালটে
-মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ.ক.ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ৭১ সালে আমরা স্বাধীনতাবিরোধীদের পরাজিত করেছিলাম অস্ত্রের মাধ্যমে যুদ্ধ করে , এবার ব্যালট যুদ্ধের মাধ্যমে সেই স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর রচনা করতে হবে। তিনি বলেন, স্বাধীনতাবিরোধীদের কবর রচনা করতে না পারলে সবসময় তারা মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে কটাক্ষ করবে। এই সুযোগটা যাতে এবার যথার্থভাবে কাজে লাগাতে পারি সেলক্ষ্যে মুক্তিযোদ্ধাদের বিশেষ দায়িত্ব রয়েছে এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখতে হবে।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক খাদ্যমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য এডভোকেট কামরুল ইসলাম এমপি, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদের গামা, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা ওসমান আলীসহ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
মন্ত্রী বলেন, ১৯৭১ সালে আপনারা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ হয়েছিলেন। আজ তিনি নেই। তবে তাঁর উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থেকে সেই ৭১-এর বিজয়ের গৌরবকে আমরা সমন্বিত রাখবো।
স্বাধীনতাবিরোধীদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা ভাইদের কাছে অনুরোধ রাখবো, আমরা অনেকে বয়সের ভারে বৃদ্ধ হয়ে গেছি। কিন্তু আমাদের মনোবল হারাইনি। বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা অস্ত্র জমা দিয়েছিলাম, কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জমা দেইনি। আজকে যারা বলে ৭৫-এর হাতিয়ার গর্জে ওঠো, তাদের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।’
#
এনায়েত/সায়েম/মোশারফ/শামীম/২০২৩/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮২১
বুয়েটের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া OPCW-The Hague Award- এ ভূষিত
দ্য হেগ, ১ ডিসেম্বর ২০২৩:
বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া ‘OPCW-The Hague Award’ এ ভূষিত হয়েছেন। রাসায়নিক অস্ত্র নিষিদ্ধকরণ সংস্থার (OPCW) মহাপরিচালক, রাষ্ট্রদূত ফার্নান্দো আরিয়াস এবং ডাচ সরকারের পক্ষে রাষ্ট্রদূত হেঙ্ক ভ্যান ডার কোয়াস্ট, OPCW-এর ২৮তম বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যৌথভাবে তাঁর হাতে এ পুরস্কার তুলে দেন। এবছর OPCW-The Hague Award এর সহ-প্রাপক ছিলেন আফ্রিকান সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড ইন্টারন্যাশনাল সিকিউরিটির পরিচালক হুবার্ট কে ফয় এবং সুইজারল্যান্ডের স্পিজ ল্যাবরেটরি।
ড. রাজিয়াকে বাংলাদেশে রাসায়ানিক সুরক্ষা এবং সুরক্ষার উন্নয়নে অবদান এবং এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডের সদস্য হিসেবে তাঁর ভূমিকার জন্য এ স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। তিনি OPCW-এর বৈজ্ঞানিক উপদেষ্টা বোর্ডে ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত সদস্য হিসেবে কাজ করেছেন এবং ‘রাসায়নিক অস্ত্রমুক্ত বিশ্ব সুরক্ষিত’ করার জন্য নতুন জ্ঞান সৃজনে অবদান রেখেছেন।
২০১৩ সালে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার পর থেকে OPCW কনভেনশনের উদ্দেশ্যগুলোর সাথে সম্পর্কিত বিশ্বজুড়ে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে তাঁদের স্বতন্ত্র কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে ড. সৈয়দা সুলতানা রাজিয়া এ পুরস্কার অর্জন করেন।
#
সিদ্দিকী/জামান/রবি/সাজ্জাদ/বুদ্ধ/কামাল/২০২৩/১২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮২০
টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ডিসেম্বর) :
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা :
‘০২ ডিসেম্বর ২০২৩ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে সবাইকে শুভেচ্ছা- পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।’
#
মো: আজিজুল হক/সিদ্দীক/জুলফিকার/সাজ্জাদ/কামাল/২০২৩/১১৫০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮১৯
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটির সহিত পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির স্বাক্ষরিত চুক্তি’ অর্থাৎ পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে আমি পার্বত্য জেলাসমূহের সর্বস্তরের জনগণ ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর কোনো তৃতীয় পক্ষ বা বহিঃশক্তির মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক শান্তির দলিলটি স্বাক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা। পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির স্মারক।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত পশ্চাৎপদ পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় ফিরিয়ে আনেন এবং পার্বত্যবাসীর জীবনমান উন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের সমান সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ১৯৭৩ সালের জুন মাসে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে পাহাড়ী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের নির্দেশনা প্রদান করেন।
’৭৫ পরবর্তী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মধ্যে পরিকল্পিতভাবে বিরোধপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। খুন, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরো অস্থিতিশীল করে তোলে। বিএনপি-জামাত জোট সরকারও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তি চুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। এ অঞ্চলের শান্তিপ্রিয় মানুষ তাদের সেই হীন উদ্দেশ্য সফল হতে দেয়নি।
২০০৯ সাল থেকে বাংলাদেশের জনগণের বিপুল সমর্থন নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়ে আওয়ামী লীগ সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো ও মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকল খাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা গত বছর পার্বত্য অঞ্চলে একই দিনে ৪২টি সেতু উদ্বোধন করেছি। এ অঞ্চলের সকল বেইলী ব্রিজ অপসারণ করে নতুন সেতু নির্মাণ করে দিচ্ছি। রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির লক্ষ্যে গঠিত ভূমি কমিশন কর্তৃক বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড ও পার্বত্য জেলা পরিষদসমূহের মাধ্যমে তিন পার্বত্য জেলায় উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে।
-২-
পার্বত্য এলাকার যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না সেসব এলাকায় সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের কাজ অব্যাহত রয়েছে। পাড়াকেন্দ্রের মাধ্যমে এ অঞ্চলের নারী ও শিশুদের মৌলিক স্বাস্থ্যসেবা ও শিশুদের প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রদানের জন্য টেকসই সামাজিক সেবা প্রদান করা হচ্ছে। পার্বত্যবাসীদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সংরক্ষণ এবং গবেষণাসহ তাদের সাথে সমতল ভূমির জনগণের সেতুবন্ধন স্থাপনের লক্ষ্যে ঢাকার বেইলী রোডে প্রায় ২ একর জমির উপর একটি শৈল্পিক ও নান্দনিক কমপ্লেক্স ‘শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র’ নির্মাণ করা হয়েছে। পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সংরক্ষণ ও পর্যটন শিল্পের প্রসারে নানামুখী উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাসমূহ পিছিয়ে পড়া কোনো জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার।
আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে জাতির পিতার স্বপ্নের ক্ষুধা, দারিদ্র্যমুক্ত সুখী-সমৃদ্ধ ও শান্তিপূর্ণ “সোনার বাংলাদেশ” গড়ে তুলতে সক্ষম হবো, ইনশাআল্লাহ।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে শান্তি এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/সিদ্দীক/সাজ্জাদ/বুদ্ধ/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৮১৮
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৬ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন আগামীকাল ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে পার্বত্য এলাকার সকল অধিবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি, বান্দরবান এবং খাগড়াছড়ি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার। যুগযুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যমন্ডিত করেছে। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ও এ অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে; সূচিত হয় শান্তির পথচলা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ উদ্যোগ শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে বিশ্বে একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।
প্রাকৃতিক সম্পদে সমৃদ্ধ পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়নের ক্ষেত্রে একটি অত্যন্ত সম্ভাবনাময় অঞ্চল। শান্তি চুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের উন্নয়নে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ গঠিত হয়েছে। ফলশ্রুতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের আর্থ-সামাজিক, অবকাঠামো ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে টেকসই ও বেগবান করতে আমি দলমত নির্বিশেষে সংশ্লিষ্ট সকলকে আরো নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানাচ্ছি।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তির ধারাবাহিকতায় উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে এগিয়ে যাবে পার্বত্য অঞ্চল-এ প্রত্যাশা করি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
রাহাত/সিদ্দীক/সাজ্জাদ/বুদ্ধ/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘণ্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ