Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী ১৩ ডিসেম্বর ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৫৮৮৯

 

মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে বান্দরবানে গৃহহীনদের ঘর হস্তান্তর করলেন পার্বত্য মন্ত্রী

 

বান্দরবান, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় দেশের দরিদ্র, অসহায় ও গৃহহীনরা বিনামূল্যে ঘর পাচ্ছে, সারা দেশের মতো বান্দরবানের দুর্গম এলাকাগুলোতে গরিব ও অসহায় মানুষ ঘর পাচ্ছে।  তিনি বলেন, শেখ হাসিনার কল্যাণেই সারা দেশের গৃহহীন পরিবার জমির মালিকানাসহ নতুন ঘর পাচ্ছে। মুজিববর্ষ উপলক্ষ্যে পার্বত্য চট্টগ্রামের তিন জেলার ৩০০শত গৃহহীন পরিবারের মাঝে নতুন ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে। 

          আজ বান্দরবান সদর উপজেলার রেইচা থলিপাড়ায় বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের বাস্তবায়নে গরিব, অসহায় ও গৃহহীনদের মাঝে নবনির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী।

          মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাত ধরেই পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তির সুবাতাস বইছে। আবার তার হাতেই পার্বত্য চট্টগ্রামের উন্নয়নের জোয়ার বইছে। শেখ হাসিনার আন্তরিকতার কারণেই পার্বত্য চট্টগ্রামের

আনাচে-কানাচে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে ব্যাপক উন্নয়ন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

          এসময় বান্দরবান সদর উপজেলার রেইচা থলিপাড়ায় ১৪টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে নবনির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয় এবং শীতার্ত পরিবারের মাঝে বান্দরবান জেলা পরিষদের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়।

          অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অশোক কুমার পাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাবরিনা আফরিন মুস্তাফা, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল ইসলাম, জেলা পরিষদের নির্বাহী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের সদস্য কাজল কান্তি দাশ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

#

নাছির/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/২০৪৫ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৫৮৮৮

 

উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন

                                                  -- পরিবেশ মন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এই কাজে বেসরকারি সংস্থাগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। অধিকার বঞ্চিত ও অবহেলিত তৃণমূল মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে সকলকে একত্রে কাজ করতে হবে।

          আজ বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ‘সুশীলন’-এর ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত মাসব্যাপী উৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ কথা বলেন।

          সুশীলনের চেয়ারম্যান আ জ ম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়ুাল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর মহাপরিচালক কে এম তারিকুল ইসলাম, খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ ইসমাইল হোসেন, সুশীলনের নির্বাহী প্রধান মোস্তফা নুরুজ্জামান এবং সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক নিখিল ভদ্র প্রমুখ।

          অনুষ্ঠানে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে উপকূলের প্রাণ-প্রকৃতি রক্ষায় সরকার সচেষ্ট রয়েছে। সরকার উপকূলের উন্নয়নে ডেল্টা প্লান প্রণয়ন করেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমিয়ে ওই অঞ্চলের মানুষকে উন্নয়নের ধারায় সম্পৃক্ত করা হচ্ছে। এক্ষেত্রে তিনি সুশীলনের মতো সংগঠনগুলোকে সরকারের কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়নের বিশেষ পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানান।

          পরিবেশ উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, উপকূলের মানুষের সীমাহীন দুর্ভোগ মোকাবিলায় সমন্বিত পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, জনগণের ক্ষমতায়নের জন্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আর্থিক সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

#

 

দীপংকর/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ৫৮৮৬

 

প্রতিটি জেলা হাসপাতালে মানসিক স্বাস্থ্য পরামর্শ কেন্দ্র করা হবে
                                                -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

            স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, "চলমান করোনার কারণে দেশের বহুসংখ্যক মানুষেরই নানারকম মানসিক সমস্যা দেখা দিচ্ছে। দেশে আত্মহত্যার হারও কম নয়। উন্নত বিশ্বের প্রায় সব দেশেই মানসিক স্বাস্থ্য খুব গুরুত্বের সাথে দেখা হয়। আমাদের দেশে সামাজিক নানারকম অপপ্রথা থাকায় সহজে কেউ মানসিক চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না। তবে, মানসিক বিষয়টিকে সরকার আর হালকাভাবে নিচ্ছে না। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করেই আমরা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি দেশের সব জেলাতেই একটি করে আলাদা মানসিক স্বাস্থ্য ইউনিট করা হবে।"

            মন্ত্রী আজ রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার স্পেশাল ইনিশিয়েটিভ ফর মেন্টাল হেলথ বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

            এ সময় বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়া দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন নিয়ে যদি সবাই নিজ থেকে সতর্ক না হয়, তাহলে এটিকে ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেছেন, আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে, কিন্তু ওমিক্রনে আক্রান্ত দেশগুলোতে প্রতিনিয়ত লোকজন আসা যাওয়া করছে। এই আসা যাওয়ার কারণেই আমাদের ভয় হচ্ছে।

            দু’জন নারী ক্রিকেটারের দেহে ওমিক্রন থাকা নিয়ে মন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, বাংলাদেশের নারী ক্রিকেট দল জিম্বাবুয়েতে গিয়েছিল, সেখান থেকে আসার পর তাদেরকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। তারপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে দু’জনের দেহে ওমিক্রন পেয়েছি। তারা উভয়েই সুস্থ আছেন। এখন পর্যন্ত তাদের মাধ্যমে অন্য কারো দেহে ওমিক্রন ছড়ায়নি।

            ওমিক্রন নিয়ে এখন সবাইকে আরো সচেতন থাকতে বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদেরকে অবশ্যই এ বিষয়টি নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ হলো আমাদের দেশের অনেক মানুষ বিদেশে আসা-যাওয়া করছে। ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়া ইউরোপ, আমেরিকাসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রতিদিনই অসংখ্য মানুষ আমাদের দেশে আসছে। কাজেই আমরা যদি নিজেরা সতর্ক না হই, তাহলে ওমিক্রন ঠেকিয়ে রাখা খুবই কঠিন।

            জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে। করোনা হাসপাতাল যেগুলো ছিল, সেগুলোকে যেভাবে আমরা প্রস্তুত করেছিলাম, সেগুলো সে অবস্থাতেই আছে। বরং ওমিক্রন মোকাবিলায় হাসপাতালগুলোকে আপগ্রেড করা হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, আমাদের টিকা নিয়ে কোনো শঙ্কা নেই। ৩০ কোটি ডোজ টিকা সংগ্রহ করার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। ৪ কোটি ডোজ হাতে মজুত আছে।

            বুস্টার ডোজ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, আমরা বুস্টার ডোজের বিষয়ে কাজকর্ম করছি। ষাটোর্ধ্ব ও ফ্রন্টলাইনারদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার বিষয়ে আমাদের পরিকল্পনা রয়েছে। আগামী ৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যেই বুস্টার ডোজ দেওয়া শুরু হবে। বুস্টার শুরুর আগে আমাদের সংখ্যাটি নির্ধারণ করতে হবে। এছাড়াও আরো কিছু কাজকর্ম আছে। এই মুহূর্তে আমরা সুরক্ষা অ্যাপটিকে আপগ্রেডের কাজ করছি।

            স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ প্রতিনিধি ডা. বার্ধন জং রানা, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার, স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন।

#


মাইদুল/পাশা/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২০০৮ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৫৮৮৭

 

বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ১০০টি স্কলারশিপ দিবে তুরস্ক

 

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

          তুরস্ক সরকার বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য একশতটি স্কলারশিপ প্রদানের ঘোষণা দিয়েছে। গতকাল আংকারায় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত চাভুসুগ্লুর সাথে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের বৈঠকে এ ব্যাপারে আশ্বাস পাওয়া গেছে।

          সরকারি সফরে তুরস্কে অবস্থানরত পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং তাঁর স্ত্রীর সম্মানে গতকাল তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাসভবনে নৈশভোজের আয়োজন করেন। বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের সম্মানে নৈশভোজের আয়োজন, আন্তরিকতাপূর্ণ আতিথেয়তা ও উষ্ণ অভ্যর্থনার জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।

          এসময় উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দ্বিপাক্ষিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। ড. মোমেন বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য তুরস্ক সরকারের প্রদত্ত স্কলারশিপের সংখ্যা বৃদ্ধি করে একশতটি করার জন্য অনুরোধ জানালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সম্মানে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে সম্মত হন।

          ড. মোমেন তুর্কি প্রজাতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা কামাল আতাতুর্কের নামে ঢাকায় পার্ক উদ্বোধন উপলক্ষে বাংলাদেশ সফরের জন্য তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানালে তিনি সাদরে আমন্ত্রণ গ্রহণ করেন। এছাড়া আগামী বছর তুরস্কের প্রেসিডেন্টের বাংলাদেশ সফরের বিষয়েও উভয় দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বৈঠকে আলোচনা করেন।

          বৈঠকে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি তুরস্কের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য বৃদ্ধিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে ড. মোমেনের ভূমিকারও প্রশংসা করেন। উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির পদক্ষেপগুলো আরো এগিয়ে নিতে একসাথে কাজ করতে উভয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

          ড. মোমেন এসময় বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের আকর্ষণীয় সুযোগের বিষয়গুলো তুলে ধরে বাংলাদেশে তুরস্কের বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানান। তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশে তাঁর দেশের বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং এবিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ গ্রহণের আশ্বাস প্রদান।

          ড. মোমেন বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে তুরস্ক সরকারের সমর্থন ও সহযোগিতার জন্য তুরস্ক সরকারের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পক্ষে আগামীতেও তুরস্কের সহযোগিতা ও সমর্থন অব্যাহত রাখার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেন।

          এ সময় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম, তুরস্কে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মসয়ূদ মান্নান এবং তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

 

মোহসিন/পাশা/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/২০০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৫৮৮৫

 

বরিশালে অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী

 

বরিশাল, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

          বরিশাল সদর উপজেলা ও সিটি করপোরেশনের ৫০টি অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক।

          আজ বান্দরোডস্থ বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ড রেস্টহাউজের সমুখে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর নিজ অর্থায়নে ৫০টি অসহায় পরিবারের মাঝে সেলাই মেশিন বিতরণ করা হয়।

          এসময় মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আলহাজ্ব মাহমুদুল হক খান মামুনসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

#

 

আসিফ/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯১০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৫৮৮৪

 

 

পৃথিবীর মানুষকে রক্ষায় রাষ্ট্রসমূহের উদ্যোগ এখনো অপর্যাপ্ত :

কপ২৬ বিষয়ে সেমিনারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘পৃথিবীতে মানুষকে রক্ষা করার জন্য আমরা মনুষ্য সম্প্রদায় ও রাষ্ট্রসমূহ যেসব পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত গ্রহণ করেছি, মানুষকে দীর্ঘমেয়াদে রক্ষা করার জন্য সেগুলো যথেষ্ট নয়। এখানে উন্নত রাষ্ট্রগুলো বিশেষ করে যারা গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ বেশি ঘটাচ্ছে, তাদের আরো এগিয়ে আসা প্রয়োজন।’

          আজ রাজধানীর কাকরাইলে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরাম (বিসিজেএফ) এবং আইডিইবি আয়োজিত ‘কপ২৬: প্রাপ্তি ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন। ইনস্টিটিউশন অভ্ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ-আইডিইবি প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার এবং পাওয়ার সেলের মহাপরিচালক প্রকৌশলী মোহাম্মদ হোসেন।

          বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ২৬ মূল্যায়ন বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা কপ২৬ কে সফল না বললেও ব্যর্থ বলতে পারি না। আমাদের অনেক প্রত্যাশা থাকে কপ মিটিংয়ের আগে, কিন্তু সব প্রত্যাশা পূরণ হয় না। কপ২৬ এর ভালো দিক হচ্ছে, সেখানে কয়েকটা বিষয়ে ঐকমত্য স্থাপিত হয়েছে। যেমন পৃথিবীর ১৪১ টা দেশ বনায়ন বৃদ্ধি এবং কয়লা থেকে শক্তি উৎপাদন কমিয়ে ফেলার বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেছে। কিন্তু রাষ্ট্রসমূহ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে তা পৃথিবীতে মানুষকে ঝুঁকিমুক্ত করার জন্য যথেষ্ট নয়।

          এক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ যেসব পদক্ষেপ নিয়েছে সেগুলো পৃথিবীর অনেক দেশকে পথ দেখিয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের নিষ্পাপ শিকার, কারণ আমরা জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য কোনভাবেই দায়ী নই। আমাদের জনপ্রতি গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ উন্নত দেশগুলোর তুলনায় নগণ্য। অথচ বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের চেয়ারপারসন। বাংলাদেশের ওপর কোনো বাধ্যবাধকতা না থাকা সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন ২০৪১ সাল নাগাদ আমাদের শক্তি উৎপাদনের ৪০ শতাংশ সবুজ প্রযুক্তিতে হবে। এটি অত্যন্ত উচ্চাভিলাসী পরিকল্পনা। এটি কেউ আমাদের করতে বলেনি, প্রধানমন্ত্রী স্বপ্রণোদিত হয়ে এ ঘোষণা দিয়েছেন এবং ২০৫০ সাল নাগাদ আমাদের স্বপ্ন আছে গ্রিন হাউজ গ্যাস নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নিয়ে যাওয়া।

          পরিবেশবিদ ড. হাছান মাহমুদ আক্ষেপ করে বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যখন প্যারিস চুক্তি থেকে সরে আসে, বুঝতে হবে যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি বুঝতে ব্যর্থ হয়েছে। এটি খুবই দুঃখজনক যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যে প্যারিস চুক্তি থেকে বেরিয়ে এসেছিলো। এটিও খুবই দুঃখজনক যে মুনাফালোভী গোষ্ঠী তেলের চাহিদা যাতে কমে না যায় সেজন্য সবুজ প্রযুক্তি থাকা সত্ত্বেও তা বিশ্বের মানুষের কাছে পৌঁছাতে দিচ্ছে না।’

          বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে যোগদান করা দেশের সাংবাদিকদেরকে আরো যত্নবান হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘এবার সাংবাদিক ক্যাটেগরিতে গেছেন দুইশ’র বেশি সাংবাদিক। তাদের বেশিরভাগকে সেখানে খুঁজে পাওয়া যায়নি। এটি একটি চিন্তার বিষয়। এটি ভবিষ্যতে খেয়াল রাখতে হবে। মন্ত্রণালয়ের যেমন দায়িত্ব রয়েছে তেমনি সাংবাদিকদেরও দায়িত্ব রয়েছে সঠিক তথ্য সংগ্রহ ও পরিবেশনের।’

          পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার তার বক্তৃতায় সেমিনার আয়োজনের জন্য বিসিসিজেএফ-কে ধন্যবাদ জানান এবং এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।

          বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্ট ফোরামের সভাপতি কাওসার রহমানের সঞ্চালনায় সেমিনারে পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিচালক মির্জা মোঃ শওকত আলী মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন সেন্টার ফর ক্লাইমেট জাস্টিস বাংলাদেশের পরিচালক হাফিজুল ইসলাম খান, স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক ড. আহমেদ কামরুজ্জামান মজুমদার, মোঃ ফারুক রহমান রুমি এনসিসিবি ও বিসিসিজেএফ সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন।

#

 

 

আকারম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                              নম্বর : ৫৮৮৩                                                                              

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ অর্জন

দুবাই, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

            দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় ‘ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর নারী ক্ষমতায়ন’ উদ্যোগের স্বীকৃতি হিসেবে 'এসডিজি অর্জনে জেন্ডার-রেসপন্সিভ সেবা’ ক্যাটেগরিতে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ এ ভূষিত হয়েছে।

            সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে ১৩ ডিসেম্বর জাতিসংঘ আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ এনামুর রহমান এই পদকটি গ্রহণ করেন। পদক গ্রহণ অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন উপস্থিত ছিলেন।

            জাতিসংঘের জনসেবা পদক গ্ৰহণের প্রাক্কালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে গভীরভাবে স্মরণ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এই কৃতিত্ব বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তিনি বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মহান বিজয়ের এই মাসে জনসেবায় শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি তথা জাতিসংঘের এই পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্তি নিঃসন্দেহে শেখ হাসিনার সরকারের অন্যতম সেরা অর্জন।

            প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাতেগড়া প্রতিষ্ঠান ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি)। ১৯৭০ সালের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের প্রেক্ষাপটে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদূরপ্রসারী পরিকল্পনায় প্রতিষ্ঠানটি বহুমাত্রিক দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হয়ে ৫০ বছরে পদার্পণ করেছে। একটি নিবেদিতপ্রাণ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনীর মাধ্যমে সমাজভিত্তিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের জন্য প্রতিষ্ঠানটি সারা বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করেছে।

            উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এক সময় নারীরা যেকোন দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত হতো। কিন্তু এ চিত্র পাল্টে গেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অঙ্গীকার বাস্তবায়নের ফলে নারীরা এখন লিঙ্গ বৈষম্যহীন দুর্যোগ সহনীয় সমাজ ও রাষ্ট্র গঠনের অন্যতম শক্তি হিসেবে পরিগণিত হচ্ছে। তারা দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাস ও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সেবাদানকারী হিসেবে গৃহে, কর্মক্ষেত্রে ও সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে চলেছে।

            সিপিপির স্বেচ্ছাসেবক কাঠামোয় নারী স্বেচ্ছাসেবক সংখ্যা পুরুষের এক-তৃতীয়াংশ ছিল। সক্ষমতা, অংশগ্রহণ ও নেতৃত্বেও তারা পিছিয়ে ছিল। এ অসমতা দূর করার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০২০ সালে ‘আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন’ দিবসে সিপিপিতে ১৮ হাজার ৫০৫ জন ‘নতুন নারী স্বেচ্ছাসেবক অন্তর্ভুক্তি’ উদ্বোধন করেন। এরপরে ধারাবাহিকভাবে নারী স্বেচ্ছাসেবকগণের গুনগত মানোনন্নয়ন ও দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য নিবিড় প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং উপকরণ সরবরাহ করা হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন দুর্যোগ সাড়াদানে তাদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধির জন্যও বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবায় নারী নেতৃত্ব সৃষ্টির জন্য ‘সিপিপি স্বেচ্ছাসেবক নির্দেশিকা ২০২১’ এ বিশেষ বিধান সৃষ্টি করা হয়েছে।

            বর্তমানে উপকূলীয় এলাকায় সিপিপির ৭৬ হাজারের বেশি স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত রয়েছে, যার অর্ধেক নারী। সিপিপির প্রশিক্ষিত ও উপকরণে সজ্জিত নারী স্বেচ্ছাসেবকগণ বর্তমানে দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত হয়েছে। নারী স্বেচ্ছাসেবকদের ব্যাপক অংশগ্রহণের ফলে উপকূলীয় এলাকায় বিশেষত নারীদের মধ্যে দুর্যোগের আগাম প্রস্তুতি, নিরাপদ আশ্রয় গ্রহণ এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় করণীয় সম্পর্কে সচেতনতা লক্ষ্যণীয় হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। যেই নারীদের দুর্যোগে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবা হতো, তারাই আজ দুর্যোগ মোকাবিলায় অর্ধেক শক্তি। ‘গৃহিনী’ থেকে ‘সাড়াদানকর্মী’ হিসেবে রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় সিপিপি নারী স্বেচ্ছাসেবকগণ ‘পরিবর্তনের দূত’ হিসেবে কাজ করছে, যার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ জেন্ডার-রেসপন্সিভ টেকসই উন্নয়নের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগেরই স্বীকৃতি হিসেবে জাতিসংঘ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে ‘জাতিসংঘ জনসেবা পদক ২০২১’ প্রদান করেছে।

            উদ্যোগটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকনির্দেশনায় দুর্যোগ ঝুঁকিহ্রাসে নারীর ক্ষমতায়নের এক অভিনব উদাহরণ। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের এ পুরস্কার প্রাপ্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বের আরেকটি মাইলফলক। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষে বিজয়ের মাসে এ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ও বাংলাদেশের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিশ্ব সমাজে এক নতুন মর্যাদায় আসীন হলো।

            জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড হল জনসেবায় শ্রেষ্ঠত্বের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এটি জনসেবা প্রতিষ্ঠানের সৃজনশীল সাফল্য এবং অবদানের স্বীকৃতি দেয়, যা বিশ্বব্যাপী দেশগুলোকে আরও কার্যকর এবং সেবামূলক জনপ্রশাসনের দিকে পরিচালিত করে। জাতিসংঘের পাবলিক সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড জনসেবার ভূমিকা, পেশাদারিত্ব এবং দৃশ্যমানতা প্রচার করে।

#

সেলিম/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৮২০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৫৮৮২

 

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও

বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং

 

ঢাকা, ২৮ অগ্রহায়ণ (১৩ ডিসেম্বর) :

          জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্্যাপন উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় ‘মহাবিজয়ের মহানায়ক’ প্রতিপাদ্যে আগামী ১৬-১৭ ডিসেম্বর ২০২১ পর্যন্ত দুই দিনব্যাপী বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হচ্ছে। মুজিববর্ষ উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি এ আয়োজন করছে। বিদ্যমান কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করে আয়োজিত এসব অনুষ্ঠানে ১০টি পয়েন্টে করোনা টেস্ট করে সার্টিফিকেটসহ দেশিবিদেশি অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিং-এ সাংবাদিকদের এসব কথা জানান।

          ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আগামী ১৬-১৭ ডিসেম্বর বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজনের সকল প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। তিনি জানান, দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার ১ম দিন অনুষ্ঠান শুরু হবে বিকেল সাড়ে ৪টায় এবং অনুষ্ঠানের শুরুতেই প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পরিচালনায় থাকবে সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের শপথ। সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে জাতীয় পতাকা হাতে দেশের সর্বস্তরের মানুষ এ শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন। শপথগ্রহণ শেষে আলোচনা পর্বে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। সম্মানীয় অতিথির বক্তব্য রাখবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি শ্রী রাম নাথ কোবিন্দ। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখবেন  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এবং স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং স্বাগত বক্তব্য রাখবেন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। এ অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ রেহানা কর্তৃক সম্মানীয় অতিথিকে ‘মুজিব চিরন্তন’ শ্রদ্ধাস্মারক প্রদান করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          প্রত্যেক দিনের অনুষ্ঠান বাংলাদেশ টেলিভিশন এবং বেতারের মাধ্যমে বিভিন্ন বেসরকারি চ্যানেল ও মিডিয়ায় সরাসরি সম্প্রচারের মাধ্যমে দেশ এবং বিদেশে প্রচার করা হবে বলে প্রধান সমন¦য়ক উল্লেখ করেন।

          অনুষ্ঠানের সময় সম্পর্কে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ১৬ই ডিসেম্বর ২০২১ তারিখের অনুষ্ঠান বিকাল ০৪:৩০টায় শুরু হবে এবং রাত ০৮:০০টায় শেষ হবে। অনুষ্ঠানে সন্ধ্যা ৫.০০ টা থেকে ৫:২৫টা পর্যন্ত ২৫ মিনিটের বিরতি থাকবে। পরদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। সন্ধ্যা ৫:৩০টায় শুরু হয়ে চলবে ৭:০০টা পর্যন্ত। 

          প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সাংস্কৃতিক উপকমিটির আহ্বায়ক, সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, এডিটরস গিল্ড-এর সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু, সে¦চ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক আফজালুর রহমান বাবু, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

নাসরীন/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/মাহমুদ/জয়নুল/২০২১/১৮২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৫৮৮১

 

জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির উদ্যোগে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে ই-পোস্টার প্রকাশ

 

ঢাকা, ২৮ অগ্রহা

2021-12-13-15-21-8a41461aded4c9b2ae5f67e8d4b0fcca.doc