তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১৬
এরশাদ হোসেনের মৃত্যুতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা কায়ছারুল আলমের মামা মোঃ এরশাদ হোসেনের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ এক শোকবার্তায় মন্ত্রী বলেন, মোঃ এরশাদ হোসেনের অকাল প্রয়াণে একজন কাছের মানুষকে হারালাম। তিনি প্রয়াতের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন ও তাঁর শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
#
আকরাম/পাশা/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২২১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১৫
তরুণরাই একদিন লাল সবুজের শতবর্ষ পালন করবে
-- খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের স্বাধীনতা দিয়েছেন। তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশকে করেছেন মধ্যম আয়ের দেশ। এ সময় ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর হাতিরঝিল এমফিথিয়েটারে ‘বিজয়ের ৫০ বছর লাল সবুজের মহোৎসব’ এর অঞ্চলভিত্তিক সাংস্কৃতিক উৎসবে (রাজশাহী ও বরিশাল বিভাগ) প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছি--দেশ স্বাধীন করেছি। সেই স্বাধীন দেশে এক সময় স্বাধীনতাবিরোধীদের গাড়িতে লাল সবুজের পতাকা তুলে দেয়া হয়েছিল। একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটা মেনে নিতে পারিনি। অপমানে আত্মহত্যার ইচ্ছা হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন তিনি।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ‘আমরা নতুন প্রজন্মকে নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছর এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। আজকের তরুণরাই এই বাংলাদেশের শতবর্ষ আরো জাঁকজমকভাবে পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।’
মন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকবান্ধব সরকারেরর যুগোপযোগী সিদ্ধান্তে গ্রামীণ অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। করোনা মহামারিকালেও দেশে খাদ্যের অভাব হয়নি, একজন মানুষও না খেয়ে মারা যায়নি। খাবারের অভাবে যেখানে একসময় মানুষ মারা যেত-সেই বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআই’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন।
#
কামাল/এনায়েত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১৩
আলালের মামলা প্রত্যাহারের দাবি প্রমাণ করে বিএনপি অশোভনীয়তাকে ইন্ধন দেয়
--- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, আলালের মামলা প্রত্যাহারের দাবি প্রমাণ করে, বিএনপি অশোভনীয়তাকে ইন্ধন ও প্রশ্রয় দেয়।
আজ রাজধানীর কাকরাইলে আইডিইবি ভবনে ইনস্টিটিউশন অভ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স, বাংলাদেশ'র ৪২তম জাতীয় কাউন্সিল উদ্বোধনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। আইডিইবি সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম হামিদের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক শামসুর রহমান সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি নেতা আলালের বিরুদ্ধে অশালীন এবং অশোভন বক্তব্য দেয়ার কারণে যে মামলা হয়েছে তা প্রত্যাহারের দাবি জানানোর মধ্য দিয়ে মির্জা ফখরুল সাহেব প্রমাণ করেছেন, তাদের দলের নেতারা যে অশোভন, অশালীন কথা বলছেন, এগুলো তাদের ইন্ধনেই বলছেন এবং সেগুলোকে তারা প্রশ্রয় দেন, না হয় বিএনপি মহাসচিব সে দাবি করতে পারতেন না।'
এসময় বিএনপি নেতা রিজভী আহমেদের বক্তব্য 'খালেদা জিয়ার প্রতি অবিচার হলে জনগণ মেনে নেবে না' এর জবাবে ড. হাছান বলেন, 'বেগম খালেদা জিয়া এবং তার স্বামী জিয়াউর রহমান বাংলাদেশে যে নিষ্ঠুরতা দেখিয়েছে, দেশের ইতিহাসের পাতায় যে কালিমা লেপন করেছে সেগুলো কালো অধ্যায় হিসেবে লিপিবদ্ধ থাকবে। জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধু হত্যাকান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন এবং তার মতো খালেদা জিয়াও হত্যাকারীদের পুনর্বাসন করেছেন, বঙ্গবন্ধুর এক হত্যাকারীকে ১৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের পর তারা বিরোধীদলীয় নেতা বানিয়েছিলেন।'
'খালেদা জিয়ার সময়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে তার পুত্রের পরিচালনায় ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা হয়। আমাদের দলের হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়। তার নেতৃত্বেই দেশে অগ্নিসন্ত্রাস-অগ্নিবোমার রাজনীতি হয়' উল্লেখ করেন সম্প্রচারমন্ত্রী।
'জিয়াউর রহমান বঙ্গবন্ধুর হত্যার বিচার যাতে না হয় সেজন্য ইনডেমনিটি অধ্যাদেশকে আইনে রূপান্তর করেছিলেন, ক্ষমতায় থাকাকালে হাজার হাজার সেনাবাহিনীর জওয়ান এবং অফিসারকে বিনা বিচারে মৃত্যুদন্ড দিয়েছিলেন, হত্যা করেছিলেন এবং লাখ লাখ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর ওপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন, হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীকে হত্যা করেছিলেন' বলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
'খালেদা জিয়ার এরকম নিষ্ঠুর আচরণ সত্ত্বেও প্রধানমন্ত্রী তার প্রতি যে সহানুভূতি, মহানুভবতা দেখিয়েছেন, দেখিয়ে যাচ্ছেন সেটি বাংলাদেশে আগে কখনো ঘটেনি, বিএনপি’র এ জন্য কৃতজ্ঞ হওয়া প্রয়োজন' উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'বেগম জিয়া আদালতে দন্ডিত আসামি। তিনি রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাইলে ক্ষমা করার প্রসঙ্গ আসবে। তিনি ক্ষমা চাইলে রাষ্ট্রপতি বিবেচনা করতে পারেন, নাও করতে পারেন। তিনি ক্ষমা চাওয়ার পরে এ প্রসঙ্গটি আসবে।'
এর আগে বক্তৃতায় মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ ইনস্টিটিউশন অভ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সংগঠন হিসেবে অভিহিত করে বলেন, 'এ সংগঠনের গোড়াপত্তন হয় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে। আজ সারাদেশে প্রায় ৫ লাখ ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার কাজ করছেন। কোনো একটি বিল্ডিং বানানোর ক্ষেত্রে দেখা যায় বড় ইঞ্জিনিয়ার অফিসে বসে থাকে ড্রয়িং করে আর মাঠে কাজ করেন ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়াররা। প্রধানমন্ত্রী ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারদের প্রতি অত্যন্ত সহানুভূতিশীল কারণ তারা দেশ গড়ার কারিগর হিসেবে কাজ করছেন।'
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৮৪৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১২
বাংলাদেশে গত ২০ বছরে ত্রিশোর্ধ জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের হার শতকরা ৩৫ ভাগ কমেছে
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বিশ্বে বর্তমানে প্রায় ২২০ কোটি মানুষ অর্থাৎ প্রতি দশজনে তিনজন দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যায় ভুগছেন। তাছাড়া পঞ্চাশোর্ধ জনসংখ্যার মধ্যে দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যা বেশি। বাংলাদেশের জন্য দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যা এবং অন্ধত্ব একটি বড় সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং স্বাস্থ্যগত সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত। কিন্তু এ সম্পর্কিত সঠিক এবং হালনাগাদ তথ্য এতদিন আমাদের হাতে ছিল না। ১৯৯৮-৯৯ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রথম সরকারের সময় Bangladesh National Council for the Blind (BNCB)এর কার্যক্রম শুরু হয়। গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতালে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব আই কেয়ার প্রকল্পের কাজ শুরুর মাধ্যমে বাংলাদেশে চক্ষু চিকিৎসার নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়। মন্ত্রী আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ‘ন্যাশনাল আই কেয়ার’ কর্তৃক রাজধানীর ওয়েস্টিন হোটেলে আয়োজিত ÔDissemination seminar on Nationwide Blindness Survey 2020 ReportÕ শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের দৃষ্টি ত্রুটিজনিত সমস্যার প্রকৃত চিত্র অনুধাবনের জন্য ১৯৯৯-২০০০ সালে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অধীনে প্রথমবারের মতো জাতীয় অন্ধত্ব জরিপ পরিচালিত হয়। সেই জরিপ থেকে আমরা জানতে পারি বাংলাদেশের ৩০ বছরের বেশি বয়সী জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্ধত্বের শতকরা হার ছিল ১ দশমিক ৫৩ ভাগ যা তৎকালীন জনসংখ্যার মধ্যে প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার জন। ২০০৭ সালে Vision 2020 Right to Sight এর আলোকে Strategy for National Eye Care for Vision 2020 in Bangladesh শুরু হয়। যাতে বাংলাদেশের অন্ধত্বের হার ১ দশমিক ৫৩ শতাংশ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে কমিয়ে ০ দশমিক ৭৭ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। তিনি বলেন, অত্যন্ত আনন্দের ব্যাপার যে ২০ বছর পর আবারও জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকারের সময়ে দেশব্যাপী অন্ধত্ব জরিপ ২০২০ পরিচালিত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমানে অন্ধত্বের হার ১ শতাংশ যা ২০ বছর পূর্বের অন্ধত্বের হারের চেয়ে প্রায় ৩৫ শতাংশ কম। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরো বলেন, এই জরিপ হতে অর্জিত তথ্যগুলো আমাদেরকে অন্ধত্ব নিবারণ এর জন্য পরবর্তী পরিকল্পনা প্রণয়নে সাহায্য করবে এবং আমরা প্রান্তিক জনগণের দোরগোড়ায় সঠিক চক্ষুসেবা পৌঁছে দিতে সক্ষম হবো। তিনি বলেন, বিগত ২০ বছরে চক্ষু সেবায় যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে। অন্ধত্ব দূরীকরণের জন্য ÔNational Eye CareÕ অপারেশনাল প্লানের মাধ্যমে বর্তমান প্রতিটি উপজেলায় কমিউনিটি ভিশন সেন্টার স্থাপন; প্রতিটি সদর জেলা সদর হাসপাতাল এবং বিভাগীয় মেডিকেল কলেজ হাসপাতালসমূহের চক্ষু সেবার মান উন্নয়ন এবং আধুনিকীকরণ; Outreach Mega Eye Camp এর মাধ্যমে বিনামূল্যে ছানি অপারেশন করা এবং চক্ষু রোগীর চিকিৎসা প্রদান করা; চক্ষু চিকিৎসা সেবা প্রদানের জন্য দক্ষ জনবল তৈরি; School Site Testing; Demand Side Financing সহ বিভিন্ন ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রী জনগণের দোরগোড়ায় চক্ষু সেবা পৌঁছে দিতে করণীয় সকল বিষয়ের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে সংশ্লিষ্ট সকল কর্তৃপক্ষকে বিশেষ করে ন্যাশনাল আই কেয়ারকে পরামর্শ প্রদান করেন।
জাতীয় চক্ষু বিজ্ঞান ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক প্রফেসর ডা. গোলাম মোস্তাফার সভাপতিত্বে সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন উপদেষ্টা প্রফেসর সৈয়দ মোদাচ্ছের আলী, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আলী নূর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর মোঃ শরফুদ্দিন আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এবিএম খুরশিদ আলম, প্রফেসর এএইচএম এনায়েত হোসাইন, প্রফেসর দীন মোহাম্মদ নুরুল হক, প্রফেশ্বর আভা হোসেন প্রমুখ। প্রফেসর ডা. একেএম ফজলুর রহমান সেমিনারে সিআইপিআরবি জরিপের ফলাফল উপস্থাপন করেন।
#
সুমন মেহেদী/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৮৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১১
সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে
-- শ ম রেজাউল করিম
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, ‘সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠা করতে হলে বাংলাদেশের সকল ধর্ম-বর্ণের মানুষ যেমন একত্রে কাজ করতে হবে, তেমনি দুই বন্ধু রাষ্ট্র বাংলাদেশ ও ভারতের সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের সুযোগ রয়েছে। আঞ্চলিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় নেতৃত্ব দেবে, এমনকি বিশ্বে নেতৃত্ব দেবে। বাংলাদেশ-ভারতের যৌথ নেতৃত্বে বিশ্ব অপার বিস্ময়ে দেখবে এ অঞ্চলের মানুষ ঐতিহ্য ও গৌরবকে কীভাবে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে’।
আজ রাজধানীর সিরডাপ আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত ‘মৈত্রীর বন্ধনে সুবর্ণ সম্প্রীতি’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সম্প্রীতি বাংলাদেশের আহ্বায়ক পীযূষ বন্দ্যোপাধ্যয়ের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অধ্যাপক ডা. মামুন আল মাহতাব স্বপ্নীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদান করেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আলী শিকদার (অব.) প্রমুখ।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, ‘বাংলাদেশ-ভারতের মৈত্রী নিবিড় বন্ধনে আবদ্ধ। অভিন্ন সীমান্ত, অভিন্ন ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিসহ অনেক কিছুতেই আমাদের সম্প্রীতি রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রেই আমাদের আবেগ-অনুভূতি ও পারস্পারিক স্বার্থ একই সূত্রে গাঁথা। আমাদের উন্নয়নের সহযোগী অনেক দেশ আছে, কিন্ত আমাদের ক্রান্তিকালে ভারত সরকার ও ভারতের জনসাধারণ যে আন্তরিকতা দেখিয়েছে বাংলাদেশের মানুষ তা স্মরণ করে। যারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাস করে, অসাম্প্রদায়িক চেতনায় বিশ্বাস করে, প্রগতিতে বিশ্বাস করে এবং যারা ধর্ম, বর্ণ, দল, মত নির্বিশেষ আমাদের মৌলিক মানবিক সত্তায় বিশ্বাস করে তারা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করে। স্বাধীনতার পরে বাংলাদেশ বিনির্মাণেও ভারত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে নির্মমভাবে হত্যার পরও বন্ধু রাষ্ট্র ভারত বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য কন্যাদের সহায়তা করেছে’।
তিনি আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতাবিরোধীদের কিছু সত্তা এখনো আছে। এরা পূর্ব পাকিস্তান পুনরুদ্ধার করতে চেয়েছিল। এদের উত্তরসূরিরা এখনো বাংলাদেশে আছে। তবে বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে বিশ্বাস করে। মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানের হাজার বছরের ঐতিহ্যে বিশ্বাস করে। যে বিশ্বাসের মূল কেন্দ্র হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ, আওয়ামী লীগের রাজনীতি এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্ব। এই বাংলাদেশে আর কোনোদিন স্বাধীনতাবিরোধী, মৌলবাদী, সন্ত্রাসীরা রাষ্ট্রক্ষমতায় আসতে পারবে না’।
শ ম রেজাউল করিম আরো বলেন, ‘বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর অহিংস নীতি বাংলাদেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধারণ করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বাংলাদেশের প্রতি আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ দেখিয়েছেন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে দুই দেশের সমুদ্রসীমা ও স্থলসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি করতে সক্ষম হয়েছি। আমাদের পারস্পারিক সহযোগিতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। আমরা চাইবো এ সহযোগিতার দিগন্ত যেন আরো সম্প্রসারণ হয়, যাতে আমরা বিশ্বের কাছে বিস্ময়কর বন্ধুত্বের নজির দেখাতে পারি। বাংলাদেশ ভারত-মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তির শুভক্ষণে দুই দেশের অমীমাংসিত বিষয়ের সমাধান হবে বলে আমি প্রত্যাশা করছি’।
#
ইফতেখার/পাশা/রাহাত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮১০
জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন (এনএইচডিআর)-২০২১ উদ্বোধন
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
আজ জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১-এর উদ্বোধন সম্পন্ন করা হয়েছে। গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে আনুষ্ঠানিকভাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১-এর কপি তুলে দেয়ার মাধ্যমে এর আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদ্যাপনকে কেন্দ্র করে ২০২১ সালে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ থেকে জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন (এনএইচডিআর) প্রণয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। বাংলাদেশের জনগণই সকল উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দু - বিষয়টিকে প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে পাঁচটি কৌশলগত বিষয় - বৈষম্য, জলবায়ু পরিবর্তন, যুব-যুবাদের কর্মসংস্থান, কিশোর-কিশোরীদের স্বপ্নে বাংলাদেশ এবং শান্তি ও সমৃদ্ধি অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যা বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মানব উন্নয়নের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১ এ Overview এবং সাতটি অধ্যায় রয়েছে : Reflecting on Human Progress in Bangladesh; Pathway for Future Human Development an analytical framework; Human Development and Inequality: the Bangladesh Perspective; Climate Change and Human Development in Bangladesh; Youth Employment a Key to Future Human Development of Bangladesh; Dreams of Adolescents; A peaceful and Prosperous Bangladesh : Strategies and Institutions.
বিগত ৫০ বছরের উন্নয়ন পথপরিক্রমায় বিশ্বমঞ্চে বাংলাদেশ আজ ‘উবাবষড়ঢ়সবহঃ গরৎধপষব’ হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। জাতির পিতার দূরদৃষ্টি ও উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য নেতৃত্ব এ যাত্রার পথপ্রদর্শক। এ প্রতিবেদনে উল্লিখিত ৫টি বিষয়ের মাধ্যমে উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশের সাফল্য, চ্যালেঞ্জ একইসাথে ২০৩০ খ্রিঃ এর মধ্যে সহস্রাব্দের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ খ্রিঃ এর মধ্যে একটি উন্নত দেশের মর্যাদা অর্জনের লক্ষ্যে বাংলাদেশের জন্য করণীয় বিষয় সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। জাতীয় মানব উন্নয়ন প্রতিবেদন ২০২১ উন্নয়ন আলোচনায়, গবেষণায় এবং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ মানব উন্নয়নের লক্ষ্যে কৌশল প্রণয়নে অবদান রাখবে।
#
তৌহিদুল/পাশা/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/১৮১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮০৮
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর ) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬২ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৮ হাজার ৫৫০ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় কেউ মুত্যুবরণ করেনি। এ পর্যন্ত ২৮ হাজার ১৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪৩ হাজার ৪৯১ জন।
#
কবীর/পাশা/রাহাত/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/১৭৩৭ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮০৬
ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস ১২ ডিসেম্বর
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
‘ডিজিটাল বাংলাদেশের অর্জন, উপকৃত সকল জনগণ’- এ প্রতিপাদ্য নিয়ে আগামী ১২ ডিসেম্বর দেশব্যাপী এবং বিদেশে বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহে উদ্যাপিত হবে ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস- ২০২১। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১২ ডিসেম্বর সকাল ১১টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে দিবসটি উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক আজ ঢাকায় আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল মিলনায়তনে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ দিবস-২০২১’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে ১২ ডিসেম্বর সকাল ৭টায় ধানমন্ডিস্থ জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন এবং সকাল ৮টায় জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজা হতে খামারবাড়ি মোড় পর্যন্ত র্যালি অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া বিকেল ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে প্রতিপাদ্যভিত্তিক জাতীয় সেমিনার এবং একই সময় ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ কনসার্ট’ অনুষ্ঠিত হবে।
এদিন সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তর স্ব স্ব সাফল্য এবং অর্জন নির্ভর সেমিনার, আলোচনা সভা আয়োজন করবে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত সকল বাংলাদেশ মিশনে দিবসটি একযোগে পালন করবে বলে তিনি জানান।
এছাড়াও দিবসটি উপলক্ষ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে ১২ বছরের সাফল্য ও অর্জন তুলে ধরে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় দৈনিক পত্রিকাসমূহে ক্রোড়পত্র প্রকাশ, কেন্দ্রীয়ভাবে অনলাইন কুইজ প্রতিযোগিতা, দেশব্যাপী জেলা ও উপজেলায় ডিজিটাল বাংলাদেশের স্বপ্নপূরণ বা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিষয়ক রচনা, উপস্থিত বক্তৃতা, কবিতা আবৃতি, চিত্রাঙ্কণ প্রতিযোগিতা এবং সভা/সেমিনার-এর আয়োজন করা হবে। সচেতনতামূলক নাটিকা পরিবেশন, শ্রেষ্ঠব্যক্তি, দল ও প্রতিষ্ঠানকে সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে সাধারণ ও কারিগরি ক্ষেত্রে তথ্যপ্রযুক্তিতে অনন্য অবদানের জন্য ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ পুরস্কার-২০২১’ বিতরণ করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আইসিটি প্রতিমন্ত্রী উপস্থিত সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সবার সহযোগিতা কামনা করেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিকর্ণ কুমার ঘোষ এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো: রেজাউল মাকছুদ জাহেদী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন।
#
শহিদুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/রেজ্জাকুল/কুতুব/২০২১/১৬৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮০৫
বিএনপি নেতা আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়
-কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৪ অগ্রহায়ণ (৯ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে অশালীন, কুরুচিপূর্ণ ও শিষ্টাচারবহির্ভূত বক্তব্য দেয়ায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলালকে রাজনীতি ও দল থেকে পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আলাল যে বক্তব্য দিয়েছেন, তা আমাদের সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় মূল্যবোধের চরম পরিপন্থী, অসঙ্গতিপূর্ণ এবং অসভ্যতার চরম উদাহরণ। কোন সভ্য সমাজের সভ্য রাজনৈতিক কর্মী এ ধরনের কথা বলতে পারে না। আলালের রাজনীতিতে থাকা উচিত নয়।
আজ বৃহস্পতিবার সকালে ডেমরার আমুলিয়া ব্রিটিশ স্কুল প্রাঙ্গণে ৭০নং ওয়ার্ড আওতাধীন ইউনিট আওয়ামীলীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
কৃষিমন্ত্রী শালীনতা বজায় রেখে বিএনপি নেতাকর্মীদেরকে কথা বলার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিএনপির নেতাকর্মীরা অশালীন বক্তব্যকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন। যেখানে আওয়ামীলীগ অশালীন বক্তব্যকে কখনো প্রশ্রয় দেয় না, বরং নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেয়।
বুয়েটছাত্র আবরার হত্যাকাণ্ডের রায়ের প্রসঙ্গ তুলে ধরে ড. রাজ্জাক আরো বলেন, এ রায় আবারও প্রমাণ করেছে সরকার আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। ছাত্রলীগ, আওয়ামীলীগ, যুবলীগ যাই করুক, অন্যায় করলে তাকে আইনের আওতায় আসতে হবে; আওয়ামীলীগ কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় দেয় না। এটাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার।
ছাত্রদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, রাজনীতি করতে হলে বঙ্গবন্ধুর ও আওয়ামী লীগের আদর্শ ও চেতনা মেনে চলতে হবে। রাজনীতি করতে এসে অপকর্মে জড়িত হওয়া যাবে না। আবরার হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়েছে। এ রায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং আবরার হত্যাকাণ্ডের মতো ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
ডেমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবুর রহমান হাবুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশারের সঞ্চালনায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, স্থানীয় সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/জসীম/রেজ্জাকুল/মাসুম/২০২১/১৫৪৪ ঘণ