Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ৯ অক্টোবর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২১৪

 

সনাতন ধর্মাবলম্বীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনের আহ্বান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার

 

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): 

 

সকল সনাতন ধর্মাবলম্বীকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে দুর্গাপূজা উদ্‌যাপনের আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী (অব.)।

 

উপদেষ্টা আজ রাতে রাজধানীর বারিধারা ডিওএইচএস কনভেনশন সেন্টারে বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটি আয়োজিত ‘মহাষষ্ঠীর সায়ংকালে দুর্গাদেবীর বোধন ও অধিবাস’ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান।

 

উপদেষ্টা বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীরা যাতে নির্বিঘ্নে ও শান্তিপূর্ণভাবে পূজা উদ্‌যাপন করতে পারে সেজন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আট দফা নির্দেশনা মাঠ প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ, র‌্যাব ও আনসারের পর্যাপ্ত সদস্যদের পাশাপাশি সীমান্তে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীকে ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা দিয়ে মোতায়েন করা হয়েছে।

 

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমরা বাংলাদেশিরা শান্তিপ্রিয় জাতি। সারাবিশ্বে যুদ্ধ, সংঘাত বন্ধ করে শান্তি ও মানবতা প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ সবসময় সমর্থন দিয়ে আসছে। তিনি বলেন, পৃথিবীর সকল ধর্মের মূল বাণী শান্তি। উপদেষ্টা এ সময় দুর্গাপূজায় শোষণমুক্ত, বৈষম্যহীন আর কল্যাণমুখী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে তাদের প্রার্থনায় প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রতি আহ্বান জানান।

 

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকারের নানাবিধ চ্যালেঞ্জ রয়েছে। এরমধ্যে অন্যতম চ্যালেঞ্জ হলো আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরো উন্নতিকরণ-সহ সমাজে শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। সে লক্ষ্যে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি এ সময় সফলভাবে পূজা আয়োজনের জন্য বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটি-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানান।

 

বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটির সভাপতি মেজর জেনারেল জীবন কানাই দাস (অব.) এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তৃতা করেন বারিধারা ডিওএইচএস পরিষদের সিনিয়র সহসভাপতি লে. কর্নেল আকরাম হোসাইন (অব.)। অভিনন্দন বার্তা পাঠ করেন বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটির সহসভাপতি লে. কর্নেল শ্রী চন্দ্র কান্ত দাস (অব.)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহসভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জয়ন্ত কুমার সেন এনডিসি (অব.)। অনুষ্ঠানে চন্ডীপাঠ করেন ধীমান দাস। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বারিধারা ডিওএইচএস পূজা কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রবীর কুমার সাহা (বিদ্যুৎ)।

 

#

 

ফয়সল/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২২২৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২২৮

 

ধর্ম উপদেষ্টার সাথে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশন নেতৃবৃন্দের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): 

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে বাংলাদেশ বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করেছেন। আজ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার অফিস কক্ষে তাঁরা সাক্ষাতে মিলিত হন।

 

বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বরী যাতে আসন্ন প্রবারণা উৎসব ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদ্‌যাপন করতে পারে সে বিষয়ে নেতৃবৃন্দ উপদেষ্টার সুদৃষ্টি কামনা করেন। এছাড়া, এ উৎসব উপলক্ষ্যে ঢাকা আন্তর্জাতিক বৌদ্ধবিহার পরিদর্শন ও ফানুস উড্ডয়নের উদ্বোধন করার জন্য উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।

 

ধর্ম উপদেষ্টা প্রবারণা উৎসব আনন্দমুখর পরিবেশে ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সাথে উদ্‌যাপনের ক্ষেত্রে সকল ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন। এছাড়া, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার পরিদর্শনের আমন্ত্রণ সাদরে গ্রহণ করেন।

 

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বুদ্ধিস্ট ফেডারেশনের উপদেষ্টা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. সুকোমল বড়ুয়া, আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহারের অধ্যক্ষ শ্রীমৎ ধর্মমিত্র মহাস্থবির, উপ-অধ্যক্ষ শ্রীমৎ বুদ্ধানন্দ মহাস্থবির ও ভদন্ত সুনন্দ মহাস্থবির এবং বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব জয়দত্ত বড়ুয়া উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

আবুবকর/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২২৭

 

সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে

                                               -- ধর্ম উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): 

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে।

 

আজ রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরে শারদীয় উৎসব শ্রী শ্রী দুর্গাপূজা ২০২৪ উপলক্ষ্যে সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের আয়োজনে বস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা একথা বলেন।

 

ড. খালিদ বলেন, বংশানুক্রমিকভাবেই আমাদের অন্তর সংকীর্ণ। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান, জৈন ও বিভিন্ন উপজাতির মানুষ যারা এদেশে বসবাস করে তাদের সকলের ক্ষেত্রেই এটা প্রযোজ্য। আমরা অন্যদেরকে আমাদের অন্তরে স্থান দিতে পারি না। আমরা প্রচণ্ডরূপে আত্মকেন্দ্রিক। এই অচলায়তন ভেঙে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রসারিত করতে হবে। পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি বাড়াতে হবে।

 

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, পূর্বের সরকারগুলো দুর্গাপূজাতে পূজামণ্ডপগুলোতে সহযোগিতা করার জন্য সাধারণত দুইকোটি বরাদ্দ দিতো। কিন্তু বর্তমান সরকার এবছর চারকোটি বরাদ্দ দিয়েছেন। এছাড়া, এবারই প্রথম প্রথাগত নিয়ম ভেঙে দুর্গাপূজার ছুটি একদিন বাড়ানো হয়েছে। আবহমানকাল থেকেই সনাতন ধর্মাবলম্বীরা ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শারদীয় দুর্গোৎসব উদ্‌যাপন করে থাকে। এটি বাংলাদেশের ঐতিহ্য। এবছরও তারা আনন্দমুখর পরিবেশে দুর্গোৎসব উদযাপন করতে পারবে। এলক্ষ্যে সকল ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে এবং আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

 

ড. খালিদ বলেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর ইতোমধ্যেই বেশ কিছু মন্দির, গির্জা ও প্যাগোডা পরিদর্শন করেছি। কয়েকটি মন্দিরে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করছি। পরবর্তীতেও বিভিন্ন উপাসনালয় পরিদর্শনে যাব। আমরা সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করে আসছি, আগামীদিনেও আমরা এটা রক্ষা করব।

 

উপদেষ্টা বলেন, পারস্পরিক হিংসা-বিদ্বেষ আমাদেরকে ছোট করে দেয়। বাংলাদেশ আমাদের সবার।  সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। আমাদের সকলের অধিকার সমান। ধর্মচর্চা, ধর্ম পালন ও ধর্ম অনুশীলন আমাদের সাংবিধানিক অধিকার। যেসকল দুর্বৃত্ত আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে বিনষ্ট করতে চায় তাদেরকে সরকার কঠোর হাতে দমন করবে।

 

সিদ্ধেশ্বরী সর্বজনীন পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের সভাপতি নিবাস চন্দ্র মাঝির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদান করেন ধর্মসচিব মুঃ আঃ হামিদ জমাদ্দার ও সিদ্ধেশ্বরী কালী মন্দিরের স্টিয়ারিং কমিটির চেয়ারম্যান তপন মজুমদার প্রমুখ। এ সময় অন্যান্যের মাঝে মন্দির কমিটির সাধারণ সম্পাদক নারায়ণ চন্দ্র দত্ত,  স্টিয়ারিং কমিটির সদস্য সচিব সমীর গুপ্ত, সদস্য প্রণীতা সরকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

পরে উপদেষ্টা সনাতন ধর্মাবলম্বী দুস্থ-অসহায় মানুষের মাঝে বস্ত্র বিতরণ করেন।

 

#

 

আবুবকর/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২১১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২২৬

 

ঢাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর): 

 

তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম আজ ঢাকার বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের শুরুতে উপদেষ্টা  ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে যান। এ সময় সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতৃবৃন্দ তাঁকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান। সেখানে তিনি দুর্গাপূজার সার্বিক ব্যস্থাপনার খোঁজখবর নেন এবং সনাতন ধর্মাবলম্বী প্রতিনিধিদের সঙ্গে দুর্গাপূজার শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এরপর উপদেষ্টা বাংলাদেশ পূজা উদ্‌যাপন পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত শারদীয় শুভেচ্ছা বিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। এ সময় তিনি বলেন, ধর্মীয় উৎসব সমাজে সৌহার্দ্য  ও সম্প্রীতি বৃদ্ধি করে। ধর্মীয় উৎসবের মাহাত্ম্য ও নৈতিক শিক্ষা ব্যক্তি জীবনে প্রতিফলনের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

 

বৈষম্যবিরোধী বাংলাদেশ বিনির্মাণে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগের কথা উল্লেখ করে নাহিদ ইসলাম বলেন, জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থানের সময় ধর্মের ভিত্তিতে কোনো বিভাজন ছিল না। এই অভ্যুত্থানে সকল ধর্মের মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে যে ঐক্য সৃষ্টি হয়ে তা বজায় রাখতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান। দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পূজামণ্ডপে নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তৎপর রয়েছে। কেউ বিশৃঙ্খলা করলে তাকে অবশ্যই আইনের আওতায় আনা হবে। পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের গাফিলতি পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

ঢাকেশ্বরী পূজামণ্ডপ পরিদর্শন শেষে উপদেষ্টা রমনা কালী মন্দির পূজামণ্ডপে যান। সেখানে তিনি সনাতন  ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। এ সময় তিনি বলেন, সবাই যেন ধর্মীয় অধিকার ও ধর্মীয় উৎসব নির্বিঘ্নে পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে। ধর্মের ভিত্তিতে আমরা কোনো বৈষম্য বাংলাদেশে দেখতে চাই না উল্লেখ করে তিনি বলেন, সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের দাবি পূরণে সরকার কাজ করছে। সাম্প্রতিক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, সরকার তাঁদের ক্ষতি পূরণের ব্যবস্থা করেছে। যারা সংখ্যালঘু হামলায় জড়িত তাদের বিচারের আওতায় আনা হবে বলেও উপদেষ্টা আশ্বাস দেন। তিনি সুখী-সমৃদ্ধ ও সম্প্রীতির বাংলাদেশ বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।

 

রমনা কালী মন্দির পূজামণ্ডপ পরিদর্শনের পর তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের পূজামণ্ডপ যান। সেখানে তিনি সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

 

#

 

মামুন/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০৫০ ঘণ্টা

             

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২২৫

 

ইসলামাবাদস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনে বিশ্ব শিশু দিবস উদ্‌যাপিত

 

ইসলামাবাদ (পাকিস্তান), ৯ অক্টোবর: 

 

ইসলামাবাদে বাংলাদেশ হাইকমিশনে গতকাল যথাযথ গুরুত্ব সহকারে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ ২০২৪ উদ্‌যাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয়। দিবসটি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টার বাণী পাঠ করা হয়। আলোচনা পর্বে বক্তাগণ শিশুর অধিকার ও বিশ্ব শিশু পরিস্থিতি তুলে ধরেন। হাইকমিশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীগণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

 

পাকিস্তানে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মোঃ রুহুল আলম সিদ্দিকী তাঁর সমাপনী বক্তব্যে শিশু অধিকার বাস্তবায়নে পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র ও বিশ্ব সম্প্রদায়কে যথাযথভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। তিনি বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে শিশুদের উন্নয়নে কাজ করে যাবার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন এবং যথাযথভাবে শিশুর বেড়ে ওঠা, মানসিক বিকাশ, সুরক্ষা ও অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করার প্রতি জোর দেন। বিশেষ করে কন্যা শিশুর প্রতি যত্নশীল হবার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

 

উল্লেখ্য, দিবসটি উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে ৬ অক্টোবর রবিবার শিশুদের অংশগ্রহণে হাইকমিশনে বেশকিছু প্রতিযোগিতামূলক খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্নের পর ইসলামাবাদের রাজনৈতিক অবস্থা বিবেচনায় তা স্থগিত করা হয়।

 

#

 

তৈয়ব/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/২০১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১২২৪

নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টার সাথে ভারতের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

বাংলাদেশের জাতীয় স্বার্থ রক্ষাই বর্তমান সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):

ভারতের সাথে বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ সম্পর্ক নিরূপণের ক্ষেত্রে উভয় দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও জাতীয় স্বার্থ রক্ষা প্রাধান্য পাবে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

 আজ সচিবালয়ে উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎকালে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

এ সময় ভারতের সাথে আন্তঃসংযোগ নৌ ও স্থলবন্দরের নানাবিধ উন্নয়ন নিয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। উপদেষ্টা স্থলবন্দরসমূহের কার্যক্রমকে দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করে কিভাবে আরো বেশি গতিশীল করা যায় এবং উভয় দেশই স্থলবন্দরগুলো থেকে কিভাবে অর্থনৈতিকভাবে আরো বেশি লাভবান হতে পারে, সে বিষয়ে আলোকপাত করেন। 

উপদেষ্টা বলেন, ভারত আমাদের নিকটতম প্রতিবেশী ও বন্ধুরাষ্ট্র। চট্রগ্রাম, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরের মাধ্যমে বাংলাদেশ নৌপথে আন্তর্জাতিক ব্যবসা বাণিজ্য পরিচালনা করে আসছে। এজন্য সড়ক যোগাযোগের পাশাপাশি ভারতের সাথে নৌযোগাযোগও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ভারতের সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প চলমান রয়েছে। জনমুখী এ সকল প্রকল্প বাস্তবায়ন ও ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক নিরূপণের ক্ষেত্রে উভয় দেশ একসাথে কাজ করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, ভারত বাংলাদেশের সম্পর্ক দুই দেশের জনগণের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের উপর প্রতিষ্ঠিত।

ভারতের হাইকমিশনার বলেন, বাংলাদেশ ভারতের পরীক্ষিত বন্ধু। অনুরূপভাবে, ভারত বাংলাদেশের জনগণের উন্নয়নে সবসময় পাশে রয়েছে। ভারত বাংলাদেশের সাথে পারস্পরিক সমঅংশীদারিত্ব, আস্থা ও বন্ধুত্বে বিশ্বাসী। উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর যেকোনো উদ্যোগে ভারত সরকার বাংলাদেশকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।

বৈঠকে ভারতের বিনিয়োগকৃত আশুগঞ্জ নৌ-বন্দর, পায়রা বন্দর, মোংলা বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের উন্নয়নের পাশাপাশি খাগড়াছড়ির রামগড় স্থলবন্দর ও বেনাপোল স্থলবন্দরের কার্যক্রম ও চলমান উন্নয়ন প্রকল্প নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। 

এ সময় উপদেষ্টা বলেন, পরিবেশগত কারণে সারা বিশ্বেই প্লাস্টিকের পরিবর্তে পাট ও পাটজাত পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তিনি পাট ও পাটজাত পণ্যের ওপর থেকে ভারত কর্তৃক আরোপিত অ্যান্টিডাম্পিং ট্যাক্স প্রত্যাহারের জন্য ভারত সরকারকে অনুরোধ জানান।

সাখাওয়াত হোসেন বাংলাদেশি নাবিকদের সহজে ভারতের ভিসা প্রাপ্তি ও কলকাতা বন্দরে জাহাজ থেকে স্থলে যাওয়ার বিষয়টি সহজ করার জন্য হাইকমিশনারকে অনুরোধ জানান। নৌ প্রটোকল রুটের বিষয়গুলো ত্বরান্বিত করার বিষয়ে তাঁদের মধ্যে আলোচনা হয়। 

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম, অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম এবং বিআইডব্লিউটি-এর চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা উপস্থিত ছিলেন।

#

আরিফ/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/শামীম/২০২৪/১৮৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১২২৩

নৌপরিবহন উপদেষ্টার সাথে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

বন্দর অবকাঠামো-সহ জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী ডেনমার্ক

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):

বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো এবং জাহাজ নির্মাণ শিল্পে বিনিয়োগের আগ্রহ প্রকাশ করেছে ডেনমার্ক। আজ সচিবালয়ে নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবঃ) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সাথে ঢাকায় নিযুক্ত ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার সাক্ষাৎ করে এমন আগ্রহের কথা প্রকাশ করেন।

সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূত ছাত্র জনতার বিপ্লবের মধ্য দিয়ে গঠিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ডেনমার্কের সরকার প্রধান বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টাকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন এবং বাংলাদেশ ও ডেনমার্কের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে আরো এগিয়ে নিতে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। রাষ্ট্রদূত বলেন, ডেনমার্ক বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশ-ডেনমার্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ও সহযোগিতার পঞ্চাশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন-সহ বৈশ্বিক বিভিন্ন ইস্যুতে সমভাবাপন্ন দৃষ্টিভঙ্গি দেশ দুটিকে একাত্ম করেছে। বন্দর ও জাহাজ শিল্পে ডেনমার্কের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ডেনিশ সরকার বাংলাদেশের বন্দর অবকাঠামো-সহ জাহাজ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। এ সময় রাষ্ট্রদূত চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় লালদিয়ার চরে কন্টেইনার টার্মিনালে বিনিয়োগের বিষয়ে তাঁদের আগ্রহ প্রকাশ করেন।

বাংলাদেশের জাহাজ নির্মাণ শিল্প ও বন্দর অবকাঠামো উন্নয়নে ডেনমার্কের বিনিয়োগের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বর্তমান সরকার বিনিয়োগবান্ধব সরকার। ছাত্র-জনতার বিপ্লবে গঠিত নতুন বাংলাদেশে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের অপার সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দর নির্মাণ প্রকল্প হাতে নিয়েছে। এ সময় উপদেষ্টা মাতারবাড়ি গভীর সমুদ্রবন্দরের শিপইয়ার্ড নির্মাণে ডেনিশ সরকারের কারিগরি ও আর্থিক সহায়তা কামনা করেন।

উপদেষ্টা আরো বলেন, বাংলাদেশে পঁচিশটি করে রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকল ও বস্ত্রকল রয়েছে। যেগুলোর অধিকাংশ অবস্থান বন্দরের নিকটে। এ খাতে দক্ষ জনবল রয়েছে। এসকল খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে উভয় দেশই উপকৃত হতে পারে বলে উপদেষ্টা উল্লেখ করেন।

এ সময় বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) দেলোয়ারা বেগম ও অতিরিক্ত সচিব মোঃ মুহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।

#

আরিফ/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                                     Number: 1222

 

Bangladesh protests the killing of a Bangladeshi national by BSF

 

Dhaka, October 9:

 

The Ministry of Foreign Affairs today protested to the Government of India on the killing of a Bangladeshi national, Md. Kamal Hossain hailing from Sadar South upazila, Cumilla district, who was shot and killed by the Border Security Force (BSF) of India on 07 October 2024. 

 

In the Note sent to the Indian High Commission in Dhaka, today, Bangladesh expresses serious concern that despite repeated commitments from the concerned authorities of India to bring down border killings to ‘zero level’, such incidents by the BSF continue to recur.

 

The Government of Bangladesh stressed that such incidents of border killing are undesirable and unwarranted; and such actions violate the provisions of the Joint Indo-Bangladesh Guidelines for Border Authorities, 1975. 

 

The Government of Bangladesh calls upon the Government of India to stop the recurrence of such heinous acts and conduct enquiries into all the border killings, as also identify those responsible and bring them to justice.

#

Kamrul/Rana/Rafiqul/Salim/2024/19.30 Hrs.

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১২২১

 

তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আধুনিক বাংলাদেশ গড়তে চাই

                                                --- যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):

          যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, দেশ পুনর্গঠনে তরুণদের দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে একটি আধুনিক দেশ গড়তে চাই। এজন্য ট্রাফিক আইন সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে। ট্রাফিক আইন বিষয়ে সকলের মাঝে সামাজিক সচেতনতা ছড়িয়ে দিতে হবে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাকে ম্যানুয়াল পদ্ধতি থেকে আধুনিকায়নে উত্তরণ ঘটাতে হবে।

          আজ ঢাকায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ মিলনায়তনে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর আয়োজিত ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা ও সামাজিক সচেতনতা বিষয়ক দুই দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কোর্সের (২য় পর্যায়) উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এই কোর্সে প্রতি ব্যাচে ৩০০ জন করে ৭টি ব্যাচে মোট ২ হাজার ১০০ প্রশিক্ষণার্থীকে প্রশিক্ষণ  দেওয়া হবে।

           উপদেষ্টা বলেন, যানজট বাংলাদেশের একটি অন্যতম সমস্যা। গত ৫ আগস্ট ফ্যাসিবাদী সরকার পতনের পর শৃঙ্খলা ফেরাতে শিক্ষার্থীরা রাস্তায় নেমে আসে। যানজট নিরসনে ছাত্ররাই প্রথম ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় এগিয়ে আসে। কোনো প্রশিক্ষণ না থাকা সত্ত্বেও তরুণ ছাত্র-যুবরা সড়কের ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় নিরলসভাবে কাজ করে।

          অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান।

#

নূর আলম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা
 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ১২২০

ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ২ লাখ ৩৮ হাজার লোক

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):

          সাম্প্রতিক সময়ে বন্যায় আক্রান্ত শেরপুর, ময়মনসিংহ ও নেত্রকোনা জেলার ১৩টি উপজেলা ও ৭৩টি ইউনিয়ন/পৌরসভা বন্যাকবলিত এবং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তিন জেলায় মোট ৬৩ হাজার ১৭১ পরিবার পানিবন্দি রয়েছে। মোট ক্ষতিগ্রস্ত লোকসংখ্যা ২ লাখ ৩৮ হাজার ৩৯১ জন।

          আজ সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে দেশের চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী রেজা। এ সময় বন্যা পরিস্থিতির ক্রমে উন্নতি হচ্ছে বলে তিনি জানান।

          অতিরিক্ত সচিব জানান, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও নেত্রকোনায় বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে ৭২ লাখ টাকা, ৪ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন চাল, ৭ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া শিশুখাদ্য বাবদ ১৫ লাখ এবং গো-খাদ্য বাবদ ১৫ লাখ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।

          বন্যায় মোট ১০ জন মারা গেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, বন্যায় শেরপুর জেলায় আটজন ও ময়মনসিংহে দুইজন মারা গেছেন। মারা যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে আটজন পুরুষ ও দুইজন নারী।

          আলী রেজা আরো বলেন, পানিবন্দি ক্ষতিগ্রস্ত লোকদের আশ্রয় দিতে মোট ১৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে এবং আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে বর্তমানে মোট এক হাজার ৩৩৭ জন এবং ৫৬১টি গবাদিপশু রয়েছে। তিন জেলায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসা দিতে মোট ২০টি মেডিকেল টিম চালু রয়েছে।

#

এনায়েত/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর: ১২১৯

 

অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নামে গরিবের ঘর-বাড়ি ভাঙা হয়েছে

                                                --- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):

          স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, বিগত বছরগুলোতে নদীর আশপাশের অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদের নামে গরিবের ঘর-বাড়ি ভাঙা হয়েছে৷ অথচ এসব ঘর-বাড়ির পাশেই রয়েছে বিশাল ভবন। তিনি আরো বলেন, উচ্ছেদের নামে যেসব এলাকার ঘর-বাড়ি ভাঙা হয়েছে, রাজধানীর অধিকাংশ গৃহপরিচারিকারা এসব ঘর-বাড়িতে থাকেন। এভাবে উচ্ছেদ করা ঠিক নয়।

          উপদেষ্টা আজ ঢাকার পানি ভবনে ‘ব্লু নেটওয়ার্ক এরাউন্ড ঢাকা সিটি’ শীর্ষক সেমিনারে সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে সেমিনারে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্প মন্ত্রণালয় এবং গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

          হাসান আরিফ বলেন, আমরা বিশেষজ্ঞগণকে সমন্বয় করে কমিটি গঠন করেছি৷ আমাদের প্রথম কাজ হবে তাঁদের পরামর্শের ভিত্তিতে সমস্যা চিহ্নিত করা। তারপর সমাধানের পথ খুঁজে বের করা৷ আমরা জানি, রাস্তা নির্মাণে সঠিক নিয়ম-নীতি অনুসরণ করা হয়নি। আমাদের সমন্বিতভাবে এখন একশন প্ল্যান শুরু করতে হবে৷ বিশেষজ্ঞমহল থেকে যে প্রস্তাবনা আসছে তা যাচাই-বাছাই করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে৷

          আদিলুর রহমান জানান, ঢাকা শহরে খাল-বিল, নদী-নালা বন্ধ হতে হতে এমন অবস্থায় এসেছে যা আমরা কখনো প্রত্যশা করিনি। অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ অভিযান শুরু করতে হবে৷ অবৈধ দখলদারদের থেকে যদি নদী-নালা উদ্ধার করতে না পারি তাহলে জুলাই-আগস্ট মাসে অভ্যুত্থানের ফলাফল জনগণ দেখতে পাবে না। এজন্য মন্ত্রণালয় থেকে যা করার দরকার তা করা হবে।

          সভাপতির বক্তব্যে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, আমরা যদি ঢাকার খাল ও নদী নিয়ে না ভাবি তাহলে ঢাকাকে বাঁচাতে পারব না। ঢাকার নদী ও খালগুলোকে বাঁচাতে হলে সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। ঢাকার প্রত্যেকটা খালের বাস্তব চিত্র খুঁজে বের করতে হবে। ঢাকার নদী ও খালগুলোকে রক্ষা করতে আমাদের তাৎক্ষণিক, মধ্যমেয়াদী ও ৩ বছরের রোডম্যাপ এবং সমন্বিত একশন প্ল্যান তৈরি করতে হবে। রাজধানীতে বর্তমান প্রজন্ম কোনো পরিষ্কার খাল দেখেনি। তিনি তাঁর বক্তব্যে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, রাজউক, সিটি কর্পোরেশন-সহ সংশ্লিষ্ট সকলকে যুক্ত করে দ্রুত ঢাকার খাল ও নদী  দখলমুক্ত করার কর্মসূচি গ্রহণ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়া তিনি  ঢাকার খালগুলো দূষণ এবং দখলমুক্ত করার প্রকল্প বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের ব্যয় সাশ্রয়ী হওয়ার তাগিদ দেন।

          সেমিনারে পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমুল হাসান, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের মহাপরিচালক মুহাম্মদ আমিরুল হক ভূঞা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

#

পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ১২১৮

 

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ

 

ঢাকা, ২৪ আশ্বিন (৯ অক্টোবর):

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীকের সাথে আজ সচিবালয়ে তাঁর অফিসকক্ষে বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত ইওয়ামা কিমিনরি (IWAMA Kiminori) সাক্ষাৎ করেন। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ও চলমান বন্যা, বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প, বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের বিষয়ে আলোচনা হয়।

          উপদেষ্টা জানান, বন্যা দুর্গত এলাকার জন্য সরকার কম পানিতে চলাচলে সক্ষম স্পিড বোট সংগ্রহের চেষ্টা করছে। বন্যায় অনেক গ্রামীণ রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া এবং হেরিং বোন বন্ড রাস্তার বিষয়ে জাপানের সম্পৃক্ততার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

2024-10-09-16-33-584ba39a7d0c42070b0e7367a97ca752.docx