তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২৩
বাজার তদারকি
২৩ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৩৮ হাজার টাকা জরিমানা
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের কর্মকর্তার নেতৃত্বে টাঙ্গাইল, চট্টগ্রাম, ময়মনসিংহ, পাবনা ও মৌলভীবাজারে আজ বাজার তদারকিতে ২৩টি প্রতিষ্ঠানকে মোট ১ লাখ ৩৮ হাজার ৭শ’ টাকা জরিমানা করা হয়।
টাঙ্গাইলের সখিপুর এলাকায় মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের অপরাধে ফ্রেঞ্চ মেডিকেলকে ২ হাজার টাকা, আনোয়ার ফার্মেসিকে ১০ হাজার টাকা, জামান মেডিকেলকে ৫ হাজার টাকা, সেতু মেডিকেলকে ৫ হাজার টাকা ও মিতু মেডিকেলকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অস্বাস্থ্যকর উপায়ে খাদ্যপণ্য উৎপাদনের অপরাধে আল্লাহর হাওলা হোটেলকে ৫ হাজার টাকা, নান্নু মিয়ার হোটেলকে ৭ হাজার টাকা, ভাই ভাই হোটেলকে ৭ হাজার টাকা, করিমের হোটেলকে ১ হাজার টাকা ও সাজ্জাদের হোটেলকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া, কলাতে নিষিদ্ধদ্রব্য মিশ্রণের অপরাধে আমজাদ কলার আড়ৎকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
অপরদিকে, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন লঙ্ঘনের কারণে চট্টগ্রামের বন্দর থানা ও পাহাড়তলী এলাকায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ২৫ হাজার টাকা, ময়মনসিংহ সদরের বিভিন্ন এলাকায় ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১১ হাজার টাকা, পাবনার চাটমোহর উপজেলায় ২টি প্রতিষ্ঠানকে ২ হাজার ৫শ’ টাকা এবং মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলায় ৩টি প্রতিষ্ঠানকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
#
আহাদ/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২২
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
দশম জাতীয় সংসদের পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ১৩তম বৈঠক আজ সংসদভবনে অনুষ্ঠিত হয়। কমিটির সভাপতি মোহাম্মদ হাছান মাহ্মুদ এতে সভাপতিত্ব করেন।
কমিটির সদস্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন, উপমন্ত্রী আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব, নবী নেওয়াজ, মোঃ ইয়াহ্ ইয়া চৌধুরী, টিপু সুলতান এবং মজিবুর রহমান চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়নে ইটের প্রয়োজনীয়তা বিবেচনায় রেখে পরিবেশ ও প্রতিবেশের ওপর ক্ষতিকর ও বিরূপ প্রভাব রোধ এবং দূষণ নিয়ন্ত্রণের উদ্দেশ্যে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ ) আইন, ২০১৩ অনুযায়ী ইটভাটাসমূহের আধুনিকায়নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।
নিষিদ্ধঘোষিত পলিথিন উৎপাদন, প্রক্রিয়াকরণ, বাজারজাতকরণ ও ব্যবহার বন্ধে গঠিত সাবকমিটির সুপারিশসমূহ বাস্তবায়নের হালনাগাদ তথ্য বৈঠকে উপস্থাপন করা হয়। সবধরণের বিজ্ঞাপনচিত্রে পরিবেশবান্ধব চিন্তা চেতনা, প্রতিশ্রুতি ও দায়বদ্ধতা তুলে ধরার জন্য বিজ্ঞাপন নির্মাতাদের সচেতন করার ব্যাপারে মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নেয়ার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়া, বৈঠকে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ ট্রাস্ট কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়। এ ফান্ডের অর্থায়নে ‘বায়োগ্যাস এবং উন্নত চুলা সম্প্রসারণ’ শীর্ষক প্রকল্প ‘পরিবেশ পদক, ২০১৩’ অর্জন করায় বৈঠকে সন্তোষ প্রকাশ করা হয়।
পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রধান বন সংরক্ষক এবং সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
লাবণ্য/মিজান/নবী/রফিকুল/সেলিম/২০১৫/১৮৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২১
ভাস্কর নভেরা আহমেদের মৃত্যুতে বিমানমন্ত্রীর শোক
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
বেসামরিক বিমান পরিবহণ ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন খ্যাতনামা ভাস্কর নভেরা আহমেদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ।
মন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় নভেরা আহমেদকে বাংলাদেশের ভাস্কর্যশিল্পের অন্যতম অগ্রদূত উল্লেখ করে বলেন, বায়ান্ন’র মহান ভাষা আন্দোলনের অমর স্মৃতি জাতীয় শহীদ মিনারের মডেল নির্মাণে অবদানের জন্য বাঙালির হৃদয়ে ভাস্কর নভেরা চিরজাগরূক হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, পেইন্টিং স্কাল্পচার এন্ড গ্রাফিক আর্টসে নভেরা আহমেদের বিরল অবদান জাতি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে কাল থেকে কালান্তর। তাঁর মৃত্যুতে ভাস্কর্যশিল্প অঙ্গনে যে শূন্যতার সৃষ্টি হয়েছে তা পূরণ হবার নয়।
মন্ত্রী মরহুমা নভেরা আহমেদের অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদনসহ তাঁর বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। তিনি মরহুমার পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন ।
#
শেফায়েত/মিজান/নবী/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৫/১৮০৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩২০
স্পিকারের সাথে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ও কমনওয়েল্থ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) এর নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সাথে আজ তাঁর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সুজা আলম (Shuja Alam)) সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু’দেশের সংসদ এবং সংসদীয় পদ্ধতির বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেন। এসময় পাকিস্তানের হাইকমিশনার সিপিএ’র নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হওয়ায় স্পিকারকে অভিনন্দন জানান।
সাক্ষাৎকালে স্পিকার বলেন, সিপিএ কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান। কমনওয়েল্থভুক্ত দেশগুলোর উন্নয়নে সিপিএ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।
#
মঞ্জুর/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৭৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৯
সিআইপি কার্ড পেলেন ৫৬ শিল্প উদ্যোক্তা
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে ) :
শিল্প উদ্যোক্তাদের দক্ষতা, পেশাদারিত্ব ও উদ্যোক্তাসুলভ মানসিকতার কারণে হরতাল-অবরোধের নামে ধ্বংসাত্মক রাজনীতির মধ্যেও দেশের অর্থনীতি সচল রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু। তিনি বলেন, গত ছয়বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে ৬ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রেখে বাংলাদেশ উন্নয়নের কাক্সিক্ষত গন্তব্যের পথে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বমন্দার কারণে উন্নত দেশগুলোতে লাখ লাখ শ্রমিক ছাঁটাই হলেও বাংলাদেশে কোনো শ্রমিক কর্মচ্যুত হয়নি।
শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু আজ ঢাকায় হোটেল পূর্বাণীতে শিল্প মন্ত্রণালয় আয়োজিত বাণিজ্যিক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি বা সিআইপি (শিল্প)-২০১৪ হিসেবে নির্বাচিত উদ্যোক্তাদের মাঝে কার্ড বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
শিল্পসচিব মোঃ মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ ফরহাদ উদ্দিন, সিআইপি (শিল্প) কার্ডপ্রাপ্ত উদ্যোক্তা ও এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ এবং এসিআই ফরমুলেশনস লিমিটেডের চেয়ারম্যান এম আনিস উদ দৌলা বক্তব্য রাখেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, শুধুমাত্র কৃষির ওপর নির্ভর করে একটি দেশের উন্নয়ন অভিযাত্রা এগিয়ে নেয়া সম্ভব নয়। এর জন্য শিল্পখাতে টেকসই বিকাশ প্রয়োজন। সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগে শিল্পখাত এগিয়ে নেয়া সম্ভব। বেসরকারিখাতের নেতৃত্বে দেশে সূচিত শিল্পায়নের ধারাকে এগিয়ে নিতে শিল্প মন্ত্রণালয় সহায়কের ভূমিকা পালন করছে। দেশে শক্তিশালী বেসরকারিখাত গড়ে তোলার পাশাপাশি শিল্প ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে সরকার জাতীয় শিল্পনীতি-২০১৫ প্রণয়ন করছে বলে তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী সাত ক্যাটাগরিতে ৫৬ জন শিল্প উদ্যোক্তার মাঝে সিআইপি (শিল্প) পরিচয়পত্র বিতরণ করেন। এর মধ্যে পদাধিকারবলে ১২ জন, বৃহৎ শিল্প ক্যাটাগরিতে ২১ জন, মাঝারি শিল্প ক্যাটাগরিতে ৯ জন, ক্ষুদ্র শিল্প ক্যাটাগরিতে ৬ জন, মাইক্রো শিল্প ক্যাটাগরিতে ২ জন, কুটিরশিল্প ক্যাটাগরিতে ১ জন এবং সেবাশিল্প ক্যাটাগরিতে
৫ জন সিআইপি নির্বাচিত হয়েছেন। বেসরকারিখাতে শিল্প স্থাপন, পণ্য উৎপাদন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং জাতীয় আয় বৃদ্ধিসহ সামগ্রিক অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে তাঁরা নির্বাচিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, সিআইপি (শিল্প) পরিচয়পত্রধারীরা আজ থেকে আগামী একবছরের জন্য সরকারপ্রদত্ত বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা ভোগ করবেন। এটি বাংলাদেশ সচিবালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে প্রবেশপত্র হিসেবে গণ্য হবে। কার্ডধারীরা বিভিন্ন জাতীয় অনুষ্ঠান এবং সিটি কর্পোরেশন আয়োজিত নাগরিক সংবর্ধনায় আমন্ত্রণ পাবেন। তাঁদের ব্যবসাসংক্রান্ত ভ্রমণের সময় বিমান, রেলপথ, সড়ক ও জলপথে সরকারি যানবাহনে আসনসংরক্ষণে অগ্রাধিকার থাকবে। ব্যবসার কাজে বিদেশ ভ্রমণের ক্ষেত্রে ভিসাপ্রাপ্তির জন্য তাঁদের অনুকূলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে সংশ্লিষ্ট দূতাবাসে ‘লেটার অভ্ ইনট্রোডাকশন’ দেয়া হবে। স্ত্রী, পুত্র, কন্যা ও নিজের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালের কেবিন সুবিধার ক্ষেত্রে তাঁরা অগ্রাধিকার পাবেন। কার্ডধারীরা বিমানবন্দরে ভিআইপি লাউঞ্জ-২ ব্যবহারের সুবিধাও পাবেন।
#
জলিল/মিজান/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৫/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৮
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ১ম বর্ষ স্নাতক পাস এবং স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল ভর্তির ২য় মেধাতালিকার বিষয় পরিবর্তন ও কোটার মেধাতালিকা ১০ মে প্রকাশ
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে ১ম বর্ষ স্নাতক (পাস) ও ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল ভর্তি কার্যক্রমের ২য় মেধাতালিকার বিষয় পরিবর্তন ও কোটার মেধাতালিকা ১০ মে প্রকাশ করা হবে।
উক্ত মেধাতালিকা SMS এর মাধ্যমে বিকেল ৪টা থেকে যেকোনো মোবাইল মেসেজ অপশনে গিয়ে- ১ম বর্ষ স্নাতক পাস এর জন্য NUATPHRoll No. এবং ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) প্রফেশনাল এর জন্য NUATDGRoll লিখে ১৬২২২ নম্বরে মেসেজ Send করলে ফলাফল জানা যাবে। রাত ৯টা থেকে www.nu.edu.bd/admissions অথবা admissions.nu.edu.bd ওয়েবসাইট থেকেও ফলাফল পাওয়া যাবে।
#
ফয়জুল/মিজান/রফিকুল/্রসেলিম/২০১৫/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৭
আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গ্রাম পুলিশ সেতুবন্ধনের কাজ করছে
- স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী
রংপুর, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
স্থানীয় সরকার, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, দেশের গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর নিরাপত্তা, মানবাধিকার রক্ষা ও আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে গ্রাম পুলিশ সরকারের সাথে সেতুবন্ধনের কাজ করছে।
তিনি আজ রংপুর টাউন হল মিলনায়তনে বাংলাদেশ গ্রাম পুলিশ কর্মচারী ইউনিয়নের বিভাগীয় সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন। এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের নেতা এম এ আলীম, মোঃ মোস্তফা কামাল প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশদলীয় জোটের সাম্প্রতিক আন্দোলনে সড়ক, সেতু ও রেলপথসহ বিভিন্ন স্থাপনা রক্ষায় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে সহায়ক ভূমিকা রাখতে গিয়ে গ্রাম পুলিশের সদস্যগণের হতাহতের ঘটনা ঘটে। তিনি তাদের ৪র্থ শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে স্বীকৃতি, বেতন স্কেল, অবসর ও ঝুঁকি ভাতাসহ ৭-দফা দাবি পূরণে এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সার্বিক সহায়তার ঘোষণা দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী রংপুর জেলা স্কুল অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ পরিষদের রংপুর আঞ্চলিক পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
#
আহসান/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১৫০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৬
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে
বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির লভ্যাংশ প্রদান
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে লভ্যাংশের টাকা দিয়েছে বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি বাংলাদেশ। আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক এর অফিসকক্ষে বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানি বাংলাদেশ লিমিটেডের কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স বিভাগের প্রধান শহিদ জুবায়ের ৫ কোটি টাকার এ চেক হস্তান্তর করেন।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক ফয়জুর রহমান, এবং বৃটিশ আমেরিকান টোবাকো কোম্পানির মানব সম্পদ বিভাগের প্রধান মেহেদী আরিফ মোজ্জামেল এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, শ্রম আইন ২০০৬ অনুযায়ী কোম্পানির নিট লভ্যাংশের দশমিক ৫ শতাংশ বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনে জমা দিতে হয়।
#
আরিফুজ্জামান/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/আসমা/২০১৫/১৪৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৫
ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই
- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী
নওগাঁ, ২৪ বৈশাখ (৭ মে):
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী মুহা. ইমাজ উদ্দিন প্রামাণিক বলেছেন, দেশের উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে বিদ্যুতের কোন বিকল্প নেই। তাই বর্তমান সরকার দ্রুততম সময়ে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে বিনামূল্যে বিদ্যুতের আলো পৌঁছে দেয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
মন্ত্রী গতকাল বুধবার বিকেলে নওগাঁর মান্দা উপজেলার নূরুল্যাবাদ, গোয়ালমান্দা, বাথইল, হাট চকগৌরী, নলতৈর, চকরামপুর, ভরট্ট শিবনগর, দ্বারিয়াপুর ও পাইকপাড়া নামক ৯টি গ্রামে নতুন বিদ্যুতায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ছাদেকুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি বাবু বিষ্ণুপদ চন্দ্র, সাধারণ সম্পাদক সরদার মো.জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন।
পরে মন্ত্রী সুইচ টিপে ৯টি গ্রামে ৩৬ লাখ ৮৫ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত ৩ দশমিক ৩৫ কিলোমিটার নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ লাইনে ২৮৫ জন গ্রাহককে বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদান কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।
#
রেজাউল/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১৪
নৌ পরিবহণ মন্ত্রীর নেতৃত্বে সিলেট অভিমুখে ‘জনতার অভিযাত্রা’ শুরু
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের উদ্যোগে অবরোধ-হরতালের নামে পেট্রোল বোমা মেরে সন্ত্রাস ও নাশকতা সৃষ্টিতে জড়িত সকল খুনি ও সন্ত্রাসীদের শাস্তির দাবিতে সিলেট অভিমুখে ‘জনতার অভিযাত্রা’ শুরু হয়েছে। শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ এর আহ্বায়ক এবং নৌপরিবহণ মন্ত্রী শাজাহান খান ‘জনতার অভিযাত্রা’ কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
আজ সকালে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের পূর্ব গেট থেকে জনতার অভিযাত্রা শুরু হয়। অভিযাত্রাটি নরসিংদী, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার, হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার হয়ে সিলেটে পৌঁছাবে। ৮ মে বিকেলে সিলেট বাস টারমিনালে সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি, শ্রমিক ইউনিয়ন এবং শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
অভিযাত্রা শুরুর পূর্বে এক সমাবেশে শাজাহান খান বলেন, শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের আন্দোলন ততদিন চলবে, যতদিন খুনের দায়ে দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তি না হবে। তিনি বলেন, আগামী ২২, ২৩, ও ২৪ মে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদের পক্ষ থেকে উত্তরবঙ্গে অনুরূপ ‘জনতার অভিযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মালেক মিয়া, পরিবহণ শ্রমিক নেতা ওসমান আলীসহ শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ শ্রমিক ঐক্য পরিষদের নেতৃবৃন্দ অভিযাত্রায় অংশ নিচ্ছেন।
#
জাহাঙ্গীর/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১৩০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩০৮
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতির উদ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উদ্যাপনের মধ্য দিয়ে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হবে বলে আমার বিশ্বাস।
থ্যালাসেমিয়া একটি জিনবাহিত রোগ যা বাহকের মাধ্যমে ছড়ায়। আমি জানতে পেরেছি বাংলাদেশে শতকরা ১০ থেকে ১২ ভাগ মানুষ থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক। চিকিৎসকদের মতে স্বামী-স্ত্রী উভয়ই থ্যালাসেমিয়া রোগের বাহক হলে তা জিনগত কারণে তাদের সন্তানদের মধ্যে এ রোগের বিস্তার ঘটতে পারে। এ জন্য পুরুষ বা মহিলা যে কেউ এ রোগের বাহক কিনা তা বিবাহপূর্ব পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা জরুরি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে থ্যালাসেমিয়া জিন বাহক নারী-পুরুষের মধ্যে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনে সতর্কতা অবলম্বন করা হয়ে থাকে। আমাদের দেশেও এ রোগ প্রতিরোধে সামাজিক আন্দোলনের মাধ্যমে জনগণকে এই রোগ সম্পর্কে সচেতন করতে হবে যাতে তারা বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপনের পূর্বে থ্যালাসেমিয়া রোগের জিন বাহক কি না তা নির্ণয় করতে আগ্রহী হয়। থ্যালাসেমিয়া রোগ প্রতিরোধে সমাজের সচেতন নাগরিক, অভিভাবক, ছাত্রছাত্রী, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি ‘বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩০৯
বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ৮ মে বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস পালন করছে জেনে আমি আনন্দিত।
থ্যালাসেমিয়া একটি বংশগত দুরারোগ্য রক্তরোগ। এ রোগ প্রতিরোধে বাংলাদেশ থ্যালাসেমিয়া সমিতি তাৎপর্যপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। বাংলাদেশে এই রোগের জিন বাহকের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। বাহকে-বাহকে বিয়ে হলে দম্পতির সন্তান থ্যালাসেমিয়া রোগী হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সে জন্য বিবাহযোগ্য ছেলে-মেয়েরা তাদের বিবাহপূর্ব এই রোগের জিন বাহক কিনা তা জেনে নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।
দুরারোগ্য ব্যাধি থ্যালাসেমিয়া এবং এর বাহকে-বাহকে বিয়ে প্রতিরোধের জন্য দেশের প্রতিটি বাড়িতে বাড়িতে, মহল্লায় মহল্লায় সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি আমি সকল পেশাজীবী ব্যক্তি ও সংগঠন, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন, গণমাধ্যম, অভিভাবকসহ সচেতন নাগরিক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
আমি বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নুরএলাহি/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১০
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আমি এই ক্ষণজন্মা কবির অম্লান স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাই।
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী সমগ্র বাংলা ভাষাভাষী জনগোষ্ঠীর জন্যেই আনন্দের বার্তাবহ কারণ বাংলা ভাষা-সাহিত্য ও বাঙালি জাতিকে তিনি দিয়েছেন শুভ-সুন্দর ও কল্যাণের শাশ্বত বার্তা। তাই রবীন্দ্রনাথকে স্মরণ মানেই মহৎ মানবিক মূল্যবোধকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন যা ধর্মবর্ণ ও গোত্রের সংকীর্ণ সীমা ভেদ করে রূপসাগরে গান গায় অরূপরতনের। কবির এই অরূপরতন তো প্রকৃতপক্ষে তাঁর জীবনদর্শনেরই নাম যে দর্শনের মূলে রয়েছে সাধারণ মানুষের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্নার শিল্পিত রূপায়ণ। বাংলা সাহিত্যের সর্ব শাখায় তো বটেই বাঙালি সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রকে প্রায় একক চেষ্টায় তিনি দান করেছেন নতুনতর মাত্রা। সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে বিশ্বসাহিত্যের বৃহৎ পরিসরে বাংলা সাহিত্যের অভিষেক ঘটানোর পাশাপাশি তাঁর কৃষি ব্যাংকিং-সমবায় উদ্যোগ-শিক্ষা সংগঠন একজীবনে তাঁকে দিয়েছে বিশাল ব্যাপ্তি। তিনি সবসময় মানুষের আত্মশক্তির উদ্বোধন চেয়েছেনÑচাপিয়ে দেয়া দর্শন, সাম্রাজ্যবাদ ও অশুভের বদলে মানুষের সুকুমার সত্তার বিকাশ সাধনই ছিল রবীন্দ্রদর্শনের মর্মকথা।
বাংলাদেশ রবীন্দ্রনাথের একান্ত সুহৃদজন। এদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলসমূহে জমিদারিসূত্রে মাটিবর্তী মানুষের কথা যেমন তাঁর সাহিত্যে ফুটিয়ে তুলেছেন তেমনি তাদের জীবনমানের সার্বিক উন্নয়নে রেখেছেন উল্লেখযোগ্য ভূমিকা। বাংলাদেশ এবং এর জনগণ কবির স্মৃতি ও কৃতিকে গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করে। কয়েক বছর আগে বাংলাদেশ-ভারত উভয় রাষ্ট্রের যৌথ উদ্যোগে রবীন্দ্র সার্ধশত জন্মবর্ষ এবং তাঁর নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তির শতবর্ষ পালনের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে রবীন্দ্রস্মৃতি সংরক্ষণে বাংলাদেশ বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করে আসছে।
রবীন্দ্রনাথের বিশালতা এবং তাঁর সৃষ্টির অপূর্ব মাধুর্যকে অন্তরাত্মা দিয়ে উপলব্ধি করতে হলে রবীন্দ্র চর্চার বিকল্প নেই। আমি আশা করবো জগৎ-সংসারকে জানতে তরুণ প্রজন্ম রবীন্দ্র সাহিত্যে অবগাহন করবে, রবীন্দ্রচর্চায় থাকবে ব্যাপৃত। রবীন্দ্রচেতনার আলোকে ন্যায়ভিত্তিক-শান্তিময় সমাজ প্রতিষ্ঠা পাবে-মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির বন্ধন আরও দৃঢ় হবে-এটাই কামনা করি।
আমি ১৫৪তম রবীন্দ্রজন্মবার্ষিকীর জাতীয় অনুষ্ঠানমালার সার্বিক সাফল্য কামনা করি এবং রবীন্দ্রচেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে কল্যাণকর সমাজ বিনির্মাণে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মোহাম্মদ আলী/অনসূয়া/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৫/১০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৩১১
বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২৪ বৈশাখ (৭ মে) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ১৫৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।
বিশ্বসাহিত্যের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাংলা ও বাঙালির শৈল্পিক অহংকারের এক বিশ্বব্যাপ্ত নাম। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী, কালজয়ী এ কবি জীবন ও জগৎকে দেখেছেন অত্যন্ত গভীরভাবে যা তাঁর কবিতা, ছোটগল্প, উপন্যাস, নাটক, গীতিনাট্য, প্রবন্ধ ও ভ্রমণকাহিনী, সংগীত ও চিত্রকলায় সহ¯্রধারায় উৎসারিত হয়েছে।
সাহিত্য, সংগীত ও শিল্পমাধ্যমের প্রতিটি শাখায় তাঁর অনায়াস বিচরণ সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি ছিলেন শান্তির কবি, মানবতার কবি। তিনি ছিলেন প্রকৃতির চিরন্তন সৌন্দর্য ও বৈচিত্র্যের সাধক। ১৯১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করে তিনি বাংলা সাহিত্যের বৈশ্বিক অভিযাত্রাকে বেগবান করেছেন।
বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলন, ২৪ বছরের স্বাধীনতা সংগ্রাম এবং মহান মুক্তিযুদ্ধসহ সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রবীন্দ্রনাথের লেখনী আমাদেরকে উজ্জীবিত করেছে। তাঁর জাতীয়তাবোধ বাঙালির অনন্ত প্রেরণার উৎস। কবির প্রতি অন্তহীন ভালবাসায় ১৯৬১ সালে বৈরী পাকিস্তানি শাসকচক্রের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে আমরা যেমন রবীন্দ্রজন্মশতবর্ষ পালন করেছি তেমনি ১৯৭১ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে রবীন্দ্রনাথের কবিতা ও গান হয়ে ওঠেছিল মুক্তিকামী বাঙালির সাংস্কৃতিক সহায়সূত্র। জীবনের প্রতিটি সমস্যা-সঙ্কট, আনন্দ-বেদনা এবং আশা-নিরাশার সন্ধিক্ষণে রবীন্দ্রসৃষ্টি আমাদের চেতনাকে স্পর্শ করে।
রবীন্দ্রনাথ ছিলেন প্রকৃতিলগ্ন ও জীবনমুখী শিক্ষাদর্শনের পথপ্রদর্শক। তাঁর শিক্ষাভাবনা আমাদেরকে বিজ্ঞানভিত্তিক আধুনিক শিক্ষায় অগ্রগামী হতে অনুপ্রাণিত করে। বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের তিনি একান্ত আপনজন। শিলাইদহ ও পতিসর অঞ্চলেই তিনি রচনা করেছিলেন ‘ছিন্নপত্র’র সিংহভাগ এবং অসামান্য কিছু গান। এই অঞ্চলের গ্রামীণ দরিদ্র ও অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষের জন্য তাঁর পল্লিউন্নয়ন প্রচেষ্টা আজও আমাদের কাছে অনুসরণীয় হয়ে আছে।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতির স্বপ্ন পূরণের লক্ষে কালোত