তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৫০
স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ভারতকেও গর্বিত করবে
-- পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
কলকাতা (ভারত), ১১ ডিসেম্বর :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম বলেছেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন ভারতকেও গর্বিত করবে। ভারতের জনগণও অনুধাবন করবেন ১৯৭১ সালে তাদের সহযোগিতা বৃথা যায়নি।
আজ ভারতে কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর জন্মশতবার্ষিকী, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে কলকাতা ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় মেজর (অবঃ) এএসএম শামসুল আরেফীন কর্তৃক সম্পাদিত “Bangladesh@50” এবং শ্রী সত্যম রায় চৌধুরী কর্তৃক সম্পাদিত “Bangabandhu for you” শীর্ষক দু’টি বই এর মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র থেমে নেই। দেশে-বিদেশে এখনো শেখ হাসিনা সরকারকে বাধাগ্রস্ত করার নানা অপচেষ্টা চলছে।
অনুষ্ঠানের সম্মানীয় অতিথি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ূন কবীর মনে করেন এই দুই বই আগামী বহু বছর গবেষণাসহ নানা কাজে রেফারেন্স হিসেবে কাজে লাগবে।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা, লেখক ও গবেষক মেজর (অবঃ) এএসএম শামসুল আরেফীন, ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ এর সহ-সভাপতি সত্যম রায় চৌধুরী, বিবেকানন্দ ইন্টারন্যাশনাল ফাউন্ডেশন এর সিনিয়র ফেলো ড. শ্রীরাধা দত্ত, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মৈত্রী সম্মাননাপ্রাপ্ত বিশিষ্ট সাংবাদিক মানস ঘোষ ও কলকাতা প্রেসক্লাব এর সভাপতি স্নেহাশিষ সূর। উপ-হাইকমিশনার তৌফিক হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক গৌতম ঘোষ সভায় সভাপতিত্ব করেন।
#
শামীমা/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪৯
একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের ওপর নির্ভর করছে উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ
-- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ছাত্রজীবন থেকেই ছাত্রদের মাঝে উদ্ভাবনী চিন্তা আসতে হবে। একাডেমিয়া-ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে আন্তঃসম্পর্কের ওপর নির্ভর করছে উদ্ভাবনের ভবিষ্যৎ। এ প্রসঙ্গে তিনি অক্সফোর্ড, স্ট্যানফোর্ড, হার্ভার্ড ও এমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সপ্তম বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এই মন্তব্য করেন।
জনাব পলক বলেন, সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখেই বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে ইনকিউবেটর স্থাপনের জন্য দেশের ১৫০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিদের কাছে আইসিটি বিভাগ জমি বরাদ্দের জন্য অনুরোধ করে। এ ব্যাপারে কুয়েট ও চুয়েট সাড়া দেয়। এজন্য প্রধানমন্ত্রী ১০০ কোটি টাকার ওপর বরাদ্দ দিয়েছেন। আগামীকালই কুয়েটে ইনকিউবেটর উদ্বোধন হবে। ‘আগামীতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোই হবে ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান গড়ার সূতিকাগার।’
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বিশ্বের ট্রিলিয়ন কোম্পানিগুলোর উদ্ভাবনী আইডিয়াগুলো এসেছে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। আজকে যেমন কুয়েট ও বুয়েট থেকে এসেছে নাসা’র বিশ্বজয়ী ‘মহাকাশ’ ধারণা। এই ধারাণাগুলোর বাণিজ্যিকীকরণের জন্য প্রয়োজন হয় পৃষ্ঠোপোষকতার। এই গ্যাপ রিডিউস করতে আমরা ইউনিভার্সিটি ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছি।
বেসিস সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ব্যাংক এশিয়ার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আরফান আলী, মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ সৈয়দ মাকসুদ কামাল, বেসিস আউটসোর্সিং অ্যাওয়ার্ড ২০২১ বিচারক প্যানেলের প্রধান রফিকুল ইসলাম রাউলি এবং বেসিস এর জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ফারহানা এ রহমান।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে ২০টি এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ৭৯টি অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
#
শহিদুল/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২২২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪৮
সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষা নয় বরং সার্টিফিকেট যাতে কাজে লাগে এ ধরনের শিক্ষা দরকার
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষা নয় বরং সার্টিফিকেট যাতে কাজে লাগে এ ধরনের শিক্ষা দরকার। তিনি বলেন, শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর বড় সংকটের নাম কর্মসংস্থান। একজন শিক্ষার্থীর নূন্যতম ডিজিটাল দক্ষতা এবং প্রকাশের সক্ষমতা বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সার্টিফিকেট পাওয়ার জন্য এ দুটি বিষয় গুরুত্ব দিতে হবে। তিনি বলেন, ডিজিটাল বিশ্বের উপযোগী করে আমাদের শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলার জন্য শিক্ষার প্রাথমিক স্তর থেকেই প্রোগ্রামিং শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা অপরিহার্য। তিনি ইউজিসিসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে এ ব্যাপারে ভূমিকা গ্রহণের আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় ইউজিসি আয়োজিত ‘চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং তার পরবর্তী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনে চতুর্থ শিল্প বিপ্লব যুগে ইন্ডাস্ট্রি এবং একাডেমিয়া লিংকেজ বিষয়ক প্যানেল আলোচনায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
দেশের প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের যেমন আলাদা সক্ষমতা আছে তেমনি দুর্বলতাও আছে উল্লেখ করে শিক্ষায় ডিজিটাল রূপান্তরের অগ্রনায়ক মোস্তাফা জব্বার বলেন, এসব চিহ্নিত করে কাজ করা উচিত। তিনি বলেন, উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য উদ্ভাবনী ক্ষমতা দরকার, সব উদ্ভাবন বাণিজ্যিকভাবে হবে না। আমাদের যারা উদ্ভাবক তারা মেধা সম্পদের গুরুত্ব দেয় না উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উদ্ভাবক মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়েরই আলাদা বৈশিষ্ট্য আছে, সক্ষমতা আছে দুর্বলতাও আছে। সে গুলো চিহ্নিত করতে পারলে ভাল সুফল জাতি পাবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
আগামীকাল ১২ ডিসেম্বর বাংলাদেশ বিশ্বের নবম ফাইভ-জি প্রযুক্তির সক্ষমতা অর্জন করতে যাচ্ছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আমাদের এই যাত্রা ঐতিহাসিক যাত্রা। প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছর পিছিয়ে থেকে বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল প্রযুক্তিতে পৃথিবীর উন্নত দেশের সমান্তরালে এগিয়ে যাওয়ার সক্ষমতাই নয় চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে নেতৃত্ব করার যোগ্যতায় উপনীত হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ফলে। তিনি বলেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লব উন্নত দেশের জন্য যন্ত্রকে মানুষের স্থলাভিসিক্ত করার জন্য প্রয়োজন কারণ তাদের মানুষের অভাব। কিন্তু আমরা যন্ত্রকে মানুষের জায়গায় বসাব না। আমরা উন্নত দেশের জন্য যন্ত্র তৈরি করবো। ইতোমধ্যেই আমরা ডিজিটাল ডিভাইস আমদানিকারক দেশ থেকে রপ্তানিকারক দেশে রূপান্তরের অভিযাত্রা শুরু করেছি। ফাইভ-জি প্রচলিত ব্রাউজিং নয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ফাইভ-জি হবে একটি শিল্প পণ্য। শিল্প, বাণিজ্য কৃষি ও মৎস্য চাষে দেশে ফাইভ-জি বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা করবে বলে মন্ত্রী দৃঢ় আশাবাদ প্রকাশ করেন।
ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্সের সভাপতি রিজওয়ান রাহমানের সভাপতিত্বে প্যানেল আলোচনায় ইউজিসির সদস্য ড. মোঃ সাজ্জাদ হোসেন প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে ডেফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চেয়ারম্যান ড. সবুর খান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
বক্তার চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রচলিত শিক্ষাকে ডিজিটাল শিক্ষায় রূপান্তরের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
#
শেফায়েত/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৮৪৭
দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে টেনিস কোর্ট নির্মাণ করা হচ্ছে
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ ( ১১ ডিসেম্বর):
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, টেনিস খেলাকে তৃণমূল পর্যায়ে পৌঁছে দিতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্হানগুলোতে টেনিস কোর্ট নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। এ বছরই দেশের ২০টি জেলায় আধুনিক মানের টেনিস কোর্ট নির্মাণ করা হবে। এছাড়া টেনিসকে জনপ্রিয় করতে বিভিন্ন ক্রীড়া ক্লাব ও গুরুত্বপূর্ণ স্হানগুলোতে টেনিস কোর্ট নির্মাণের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। পর্যায়ক্রমে দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় সম্প্রসারণ করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে ইঞ্জিনিয়ার্স রিক্রিয়েশন সেন্টার আয়োজিত জব্বার স্মৃতি টেনিস প্রতিযোগিতা ২০২১ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ক্রীড়াবান্ধব প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে সার্বিক সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতায় দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলছে দেশের ক্রীড়াঙ্গন। তিনি অসুস্হ ও অস্বচ্ছল ক্রীড়াবিদদের সহায়তায় করোনাকালে বঙ্গবন্ধু ক্রীড়াসেবী কল্যাণ ফাউন্ডেশনকে ১০ কোটি টাকা প্রদান করেছেন। গত বৃহস্পতিবারে তিনি এ ফাউন্ডেশনকে আরও ২০ কোটি টাকা প্রদানের ঘোষণা দিয়েছেন। স্পোর্টস এর উন্নয়নে সবসময় পাশে থাকার জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি অশেষ ধন্যবাদ জানাই।
অনুষ্ঠানে ইআরসি'র ভাইস চেয়ারম্যান প্রকৌশলী গোলাম মোহাম্মদ আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী মোঃ নুরুল হুদা।
#
আরিফ/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/শামীম/২০২১/ ২০১৫ ঘণ্টা
Handout Number : 5846
Government is going to implement an action plan for sustainable plastic management
-- Environment Minister
Dhaka, 11 December :
Ministry of Environment, Forest and Climate Change is going to implement an action plan for sustainable plastic management in phases such as short term (2022–23), medium term (2024–26), and long term (2027–30). Implementation of the action plan identifies policy and regulatory reforms and economic instruments, technology and infrastructure, and capacity building to design sustainable products, promote circular economy processes, encourage sustainable consumption, and thus ensuring the waste management. The Action Plan is aligned to the 8th five-year plan, Sustainable Development Goals (SDGs) and other policies. Moreover, Environment Ministry has endorsed a roadmap through gazette notification to phase out single-use plastic in coastal areas.
The Environment Minister Md. Shahab Uddin said this as the chief guest in a webinar on High level Policy Dialogue on the Global Agreement on Marine Litter & Plastic Pollutions for the upcoming fifth session of the United Nations Environment Assembly- UNEA 5.2 organized by Environment and Social Development Organization ( ESDO) in Saturday Evening.
The Environment Minister said The Ministry of Environment, Forest, and Climate Change banned the use of plastic shopping bags, but this had limited results. In 2010, “Jute Packaging Act” was enacted to combat the use of plastics. The 8th Five-Year Plan (2020–2025) acknowledges that the dumping of household waste into water bodies and neighborhoods is a major source of air and water pollution. Proposed Solid Waste Management Rules, 2021 has drawn up under the Environmental Conservation Act 1995 will be the overarching regulatory framework for plastic waste management in the country.
Shahab Uddin said in the Ministerial Conference on Marine Litter and Plastic Pollution under the UN Environment Assembly, Bangladesh emphasizes that global solidarity and the involvement of all stakeholders must be guiding principles. Bangladesh also highlights the necessity for a Global Agreement, aligned with the 2030 Agenda to achieve the elimination or minimization of all negative impacts of plastic throughout its life cycle, including the significant reduction and progressive elimination of direct and indirect discharges of plastic into the environment, sustainable alternatives and the reduction of virgin plastic production. I hope that with the combined effort of all of us, we will be able to create a plastic pollution-free world.
Former Secretary & ESDO president Syed Marghub Murshed chaired the webinar while the Japanese Ambassador to Bangladesh ITO Naoki and Additional Secretary (Environment) Md. Moniruzzaman spoke among others. ESDO Secretary General Dr. Shahriar Hossain conducted an open discussion session where different experts and professors shared their opinion in plastic management.
#
Dipankar/Nice/Anayet/Sanjib/Shamim/2021/2052 hour
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪৫
স্বাধীনতা বিরোধীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা বিরোধীদের বিষয়ে সজাগ থাকতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হলেও স্বাধীনতা বিরোধীদের তৎপরতা শেষ হয়ে যায়নি। বঙ্গবন্ধু সর্বশক্তি দিয়ে বাঙালি জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। কিন্তু পরাজিত শক্তি থেমে থাকেনি। মন্ত্রী বলেন, দেশি-বিদেশি স্বাধীনতার শক্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। তারা স্বাধীনতা যুদ্ধের স্লোগান রাতারাতি বদল করে জয় বাংলার পরিবর্তে বাংলাদেশ জিন্দাবাদ করে। এতেই প্রমাণিত হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা তারা মেনে নেয়নি। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন বাঙালিদের একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র্র এবং বাঙালিদের অর্থনৈতিক মুক্তি। বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন। আজ তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে, বিশ্ববাসী বাংলাদেশের উন্নয়নের প্রশংসা করছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বিয়াম অডিটোরিয়ামে রংপুর বিভাগ সমিতি, ঢাকা আয়োজিত "বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ" শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
সেমিনারে সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ, হুইপ ইকবালুর রহিম ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙ্গা এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন। এছাড়া, সমিতির সাধারণ সম্পাদক এবং রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মোঃ আবু কালাম সিদ্দিক সেমিনারে বক্তৃতা করেন।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন উপাচার্য প্রফেসর ড. রাশিদ আসকারী।
পরে বাণিজ্যমন্ত্রী ঢাকায় সোনারগাঁও হোটেলে ‘আইসিএবি’ ন্যাশনাল এ্যাওয়ার্ড বিতরণ করেন।
#
বকসী/নাইচ/এনায়েত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/২০০৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪৪
নতুন প্রজন্মের ভেতরের শূন্যতা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ জরুরি
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
নতুন প্রজন্মের ভেতরের শূন্যতা পূরণে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পাঠ জরুরি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উন্মুক্ত মঞ্চে 'স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিজয়ের উৎসব' শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অ্যালামনাই এসোসিয়েশন এ অনুষ্ঠান আয়োজন করে। ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক তানভীর হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল। উৎসবের উদ্বোধক ছিলেন ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটির বোর্ড অভ্ ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার।
মন্ত্রী বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা দিয়ে গেছে তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হলে মুক্তিযুদ্ধের কথা জানতে হবে। আমি তরুণ প্রজন্মকে রাজনৈতিক দল করতে বলি না। কিন্তু এ দেশের একজন মানুষ হিসেবে তাদের বঙ্গবন্ধুকে জানতে হবে, তাঁর আত্মজীবনী পড়তে হবে, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস পাঠ করতে হবে। তাহলে তরুণ প্রজন্মের ভেতরে যে অসম্পূর্ণতা আছে, যে শূন্যতা আছে তা পরিপূর্ণ হবে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘নতুন প্রজন্মকে নিয়ে আমার একটি স্বপ্ন আছে। আগামীর বাংলাদেশে তাদেরকে সঠিক নেতৃত্ব দিতে হবে। তাদের হতে হবে আমাদের গর্ব, আমাদের সম্পদ। নতুন প্রজন্ম যেন অন্ধকারে বিলীন না হয়ে যায় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হবে’।
তিনি আরো বলেন, ‘এ দেশটা ত্রিশ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত। মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মত্যাগ কোনো কিছুর বিনিময়ে ভুলে যাওয়ার মতো নয়। তাদের রক্তের বিনিময়ে, তাদের ত্যাগের মধ্য দিয়ে আমাদের জাতীয় পতাকা আজ পতপত করে উড়ছে। মুক্তিযোদ্ধাদের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনিই বাংলাদেশ। তিনি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে আমাদের মুক্তি এনে দিয়েছিলেন। বিশ্বব্রহ্মাণ্ডে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য লাল সবুজের পতাকা এনে দিয়েছেন’।
শ ম রেজাউল করিম আরো যোগ করেন, "আজ আমরা এমন একটি সময়ে দাঁড়িয়ে কথা বলছি যখন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে বিশ্বের বিস্ময়কর নেতা মনে করা হয়। বাংলাদেশকে বলা হয় উন্নয়নের রোল মডেল। আর রোল মডেল বাংলাদেশের ক্যাপ্টেনকে বলা হয় উন্নয়নের ম্যাজিশিয়ান। সেই ম্যাজিশিয়ান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা"।
পরে মন্ত্রী অতিথিদের নিয়ে স্বাধীনতার ৫০ বছরে বিজয়ের উৎসব উপলক্ষ্যে কেক কাটেন।
#
ইফতেখার/নাইচ/এনায়েত/মোশারফ/রেজাউল/২০২১/১৯৫৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪৩
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে সরকার
-- শিল্পমন্ত্রী
নরসিংদী, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সারের উৎপাদন বৃদ্ধিতে জোর দিচ্ছে সরকার বলে জানিয়েছেন শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
আজ নরসিংদীর পলাশ উপজেলায় "ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প" পরিদর্শনকালে মন্ত্রী একথা বলেন।
এসময় মন্ত্রী বলেন, দেশে বছরে ইউরিয়া সারের চাহিদা প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। এর মধ্যে আমদানি করতে হয় প্রায় ১৬ লাখ মেট্রিক টন। আমদানিনির্ভরতা কমানো ও উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য নরসিংদীর পলাশ ও ঘোড়াশাল সার কারখানা দুটিকে একত্রিত করে ইউরিয়া সার উৎপাদনে নতুন এই প্রকল্পের কাজ এগিয়ে চলেছে। এ পর্যন্ত প্রকল্পের শতকরা ৫৩ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্ধারিত প্রকল্পটি উৎপাদনে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে এটিই হবে বাংলাদেশের বৃহত্তম সার কারখানা।
মন্ত্রী সারের উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি কৃষকদের সুবিধায় সরকারি সংস্থাগুলোকে একসাথে কাজ করার ওপর জোর দেয়ার কথা বলেন। বিশেষ করে ডিলার ও প্রান্তিক পর্যায়ে সার সরবরাহ নির্বিঘ্ন করতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা প্রয়োজন বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড (বিসিআইসি) এর চেয়ারম্যান, "ঘোড়াশাল-পলাশ ইউরিয়া ফার্টিলাইজার প্রকল্প" এর প্রকল্প পরিচালকসহ শিল্প মন্ত্রণালয় ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
মাহমুদুল/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪২
জানুয়ারিতে ‘টুঙ্গিপাড়া : হৃদয়ে পিতৃভূমি’ শীর্ষক
জাতির পিতার সমাধিসৌধে অনুষ্ঠান আয়োজনের লক্ষ্যে বিশেষ সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির ব্যবস্থাপনায় ‘টুঙ্গিপাড়া : হৃদয়ে পিতৃভূমি’ প্রতিপাদ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে আগামী জানুয়ারি মাসে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান সুষ্ঠুভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে এক বিশেষ সভা আজ জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান আয়োজনসহ বিবিধ বিষয়ে আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের লক্ষ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, এমপি-র সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে সভায় উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জাতীয় কমিটি এবং বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দ কর্তৃক জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। তিনি বলেন, গত নভেম্বর মাসের শেষ দিকে অনুষ্ঠানটি আয়োজনের প্রাথমিক পরিকল্পনা থাকলেও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষাকে বিবেচনায় নিয়ে জানুয়ারি মাসের যে কোনো সুবিধাজনক সময়ে এই অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সদয় নির্দেশনা প্রদান করেন। সে অনুযায়ী অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে তিনি সবাইকে অবহিত করেন।
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠানটি যথাযথ ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণভাবে আয়োজনের ওপর গুরুত্বারোপ করে টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে শ্রদ্ধানিবেদন অনুষ্ঠানের খসড়া তারিখ ও রূপরেখা প্রণয়ণের পাশাপাশি লোকজ মেলা আয়োজনের সম্ভাব্য তারিখ, ভেন্যু এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পরিবেশনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। পাশাপাশি, অনুষ্ঠানটি দেশে এবং বিদেশে সরাসরি সম্প্রচারের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সাবেক বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রী ফারুক খান, সংসদ সদস্য মোঃ আবদুর রহমান এবং জাহাঙ্গীর কবির নানক, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপকমিটির আহ্বায়ক আসাদুজ্জামান নূর, শেখ সালাউদ্দিন জুয়েল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন, রাজনীতিবিদ মাহমুদ সালাউদ্দিন চৌধুরী, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার মোঃ খলিলুর রহমান এবং বাস্তবায়ন কমিটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
নাসরীন/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২১/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৮৪১
হাজার বছরের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো দেশের স্বাধীনতা
-- কৃষিমন্ত্রী
টাঙ্গাইল, ২৬ অগ্রহায়ণ (১১ ডিসেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বাঙালি জাতির হাজার বছরের সবচেয়ে বড় অর্জন হলো পৃথিবীর বুকে বাংলাদেশকে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম জাতিরাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা। কিন্তু যে স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করেছিল ও বাংলাদেশের স্বাধীনতা মেনে নেয়নি, সেই স্বাধীনতাবিরোধী অপশক্তি ও ধর্মান্ধরা স্বাধীনতার ৫০ বছর পরেও দেশে সক্রিয় রয়েছে। তারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র লিপ্ত। দেশের সুনামহানি ও উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে তারা নানান পাঁয়তারা চালাচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
আজ টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বহেড়াতৈল গণ উচ্চবিদ্যালয় মাঠে ৫০তম টাঙ্গাইলমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে ‘বিজয় ৭১ সমাবেশে’ প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বৃহত্তর ময়মনসিংহ সমন্বয় পরিষদ, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম ও টাঙ্গাইল আঞ্চলিক উন্নয়ন কমিটি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
টাঙ্গাইলে স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম পতাকা উত্তোলনকারী, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার, সংসদ সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. রাজ্জাক আরো বলেন, ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, পদ্মা, মেঘনা, যমুনা পাড়ের এ ভূখন্ডটি সত্যিকার অর্থে কোনদিনই স্বাধীন ছিল না। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ দেশের ৭ কোটি মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করেছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এ দেশের মুসলমান, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, নারী-পুরুষ তথা সর্বস্তরের মানুষ জীবনবাজি রেখে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল ও বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে এসেছিল। বাঙালি জাতির সবচেয়ে বড় অর্জন এ স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে আমাদের সবাইকে ধর্মান্ধ, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি ও দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে হবে।
সাবেক সচিব ড. খোন্দকার শওকত হোসেনের সভাপতিত্বে স্থানীয় সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট জোয়াহেরুল ইসলাম, প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
একই দিন কৃষিমন্ত্রী টাঙ্গাইল শহরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে টাঙ্গাইল হানাদারমুক্ত দিবস উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগদান করেন।
আজ টাঙ্গাইল হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর কবল থেকে টাঙ্গাইলকে মুক্ত করে। ১০ ডিসেম্বর রাতেই মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বর্তমানে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক টাঙ্গাইল সদর থানা দখল করে সেখানে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন। তাঁর হাতেই পাকিস্তানি বাহিনী অস্ত্র সমর্পণ করে। জয় বাংলা স্লোগানে মুখরিত হয় পুরো জেলা। মানুষ পায় মুক্তির স্বাদ।
#