তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২২০
ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধান জয়ে
টাইগারদের পরিকল্পনামন্ত্রীর অভিনন্দন
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ইনিংস ও ১৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে পরাজিত করে দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়লাভ করায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও আইসিসি’র সাবেক সভাপতি আ হ ম মুস্তফা কামাল। পরিকল্পনামন্ত্রী ক্রিকেট দলের সকলকে শুভেচ্ছা জানান। ভবিষ্যতে জয়ের এই ধারা ধরে রাখতে খেলোয়াড়রা তাদের প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
উল্লেখ্য, আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অনুষ্ঠিত ২য় টেস্ট ম্যাচের তৃতীয় দিনে টাইগারদের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে বড় জয় অর্জিত হয়েছে। প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশ ৫০৮ রানের পাহাড় গড়ে। এর জবাবে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ মাত্র ১১১ রানে ইনিংস গুটিয়ে নেয়। বাংলাদেশি স্পিনারদের ঘূর্ণিতেই চরম ব্যাটিং বিপর্যয় হয়েছে তাদের। তাই প্রথম ইনিংসেই ৩৯৭ রানের লিড পায় স্বাগতিকরা। শুধু তাই নয়, ফলোঅনে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথম কোনো দলকে ফলোঅনে পাঠিয়ে ইনিংস ব্যবধানে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ।
#
তৌহিদুল/আনোয়ার/রেজাউল/২০১৮/২২১৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৯
পোশাক শিল্পের গুণগত মানোন্নয়নে নেদারল্যান্ড সরকারের প্রশংসনীয় সহযোগিতা
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
পাঁচ বৎসরব্যাপী দ্বিপাক্ষিক সহযোগিতামূলক প্রকল্পের আওতায় নেদারল্যান্ডের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন CBI (the Centre for the Promotion of Imports from Developing countries) নামক একটি সংস্থা বাংলাদেশের নির্বাচিত ১০টি পোশাক শিল্প কারখানাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করে আসছে। সংস্থাটি কারখানাসমূহকে তাদের তৈরি পোশাকের গুণগত মান বৃদ্ধি থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব উপায়ে শিল্পকে কিভাবে বিদেশি ক্রেতাদের কাছে তুলে ধরা যায় সেজন্য সবরকম প্রশিক্ষণ প্রদান করে থাকে।
গত ২৬ নভেম্বর নেদারল্যান্ডে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে এক উন্মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। CBI-এর প্রতিনিধি বাংলাদেশে তাদের এই প্রকল্পকে সফলতার এক অনন্য উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বহিঃপ্রচার অনুবিভাগের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানা যায়।
#
আনোয়ার/রফিকুল/রেজাউল/২০১৮/১৮৪৬ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৭
বাংলাদেশ ক্রিকেটদলকে স্পিকারের অভিনন্দন
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বাংলাদেশ সফররত ওয়েষ্ট ইন্ডিজ ক্রিকেটদলকে টেস্ট ক্রিকেটে পরাজিত করে ২-০ ব্যবধানে সিরিজ জয় করায় বাংলাদেশ ক্রিকেটদলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আজ বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেটদল মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইনিংস ও ১৮৪ রানে পরাজিত করে সিরিজ জিতে নেয়।
এক অভিনন্দন বার্তায় স্পিকার বলেন, বিশ্বক্রিকেটে উদীয়মান শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ ক্রিকেটদলের এ বিজয় ভবিষ্যতে আরো বড় সাফল্য বয়ে আনতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
#
তারিক/রিফাত/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৫
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উদ্যাপনের উদ্যোগকে আমি স্বাগত জানাই। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠায় এ আয়োজন কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আমি মনে করি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তি আমাদের আপনজন। তাদেরও সকলের ন্যায় মৌলিক চাহিদা পূরণ, স্বাভাবিক ও সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার রয়েছে। জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রায় 'কাউকে পেছনে ফেলে বা বাদ দিয়ে নয়' এ প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ বছর ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য নির্ধারিত হয়েছে 'সাম্য ও অভিন্ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন' (Empowering persons with disabilities and ensuring inclusiveness and equality) যা বর্তমান প্রেক্ষাপটে যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শারীরিক, মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক প্রতিবন্ধকতার কারণে তাদের চলাফেরা ও কাজে কর্মে পারিবারিক, সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় সহযোগিতার প্রয়োজন হয়। এ লক্ষ্যে সরকার ইতিমধ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার সুরক্ষা আইন, ২০১৩ ও নিউরোডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩, ডিসঅ্যাবিলিটি কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৮ প্রণয়ন করেছে। পাশাপাশি সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচির আওতায় অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি প্রদান এবং প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মানসিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধ জীবন গঠনের পথকে প্রসারিত করছে।
প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয়। উপযুক্ত শিক্ষা ও প্রশিক্ষণের সুযোগ পেলে তারাও দক্ষতা ও পারদর্শিতার মাধ্যমে দেশের উন্নয়নে শামিল হতে পারে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের জীবনমান উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি সমাজ ও পরিবারেরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। প্রতিবন্ধীদের সুন্দর ও স্বাভাবিক পরিবেশ বেড়ে ওঠার সুযোগ করে দিতে সকলের সম্মিলিত প্রয়াস অব্যাহত থাকবে - এ প্রত্যাশা করি।
আমি ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে আয়োজিত সকল কর্মসূচির সার্বিক সফলতা কামনা করছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/রিফাত/জসীম/সেলিনা/আসমা/২০১৮/১২০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১৬
আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
"অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও ৩ ডিসেম্বর ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বের প্রতিবন্ধীদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
এবারের আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবসের প্রতিপাদ্য 'সাম্য ও অভিন্ন যাত্রায় প্রতিবন্ধী মানুষের ক্ষমতায়ন' (Empowering persons with disabilities and ensuring inclusiveness and equality) খুবই সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
আমরা রূপকল্প ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। এ লক্ষ্য অর্জনে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এজন্য আমরা প্রতিবন্ধীদের সমাজের মূলধারায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করছি। আমরা প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন ২০১৩, নিউরো ডেভেলোপমেন্টাল প্রতিরক্ষা সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন ২০১৩ ও ডিসঅ্যাবিলিটি কাউন্সিল অ্যাক্ট ২০১৮ প্রণয়ন করেছি। অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধীভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা উপবৃত্তি, সমন্বিত প্রতিবন্ধী শিক্ষা কার্যক্রম, থেরাপি সহায়তা ইত্যাদির মাধ্যমে সরকার প্রতিবন্ধী ব্যাক্তিদের সামাজিক সুরক্ষা প্রদানসহ তাদের উন্নয়নে সহযোগিতা করে যাচ্ছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের শিক্ষা ও বিনোদনের জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন স্কুল ও পার্ক স্থাপন করা হয়েছে।
বর্তমান সরকার টেকসই উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিবন্ধী ব্যক্তি বিষয়ক কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নসহ প্রতিবন্ধীদের জন্য বৃহৎ পরিসরে কাজ করে যাচ্ছে। দেশের প্রতিবন্ধীদের দ্বারা সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় পরিচালিত শারীরিক প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট, মৈত্রী শিল্পের মাধ্যমে মুক্তা ড্রিংকিং ওয়াটার, প্লাস্টিক কারখানায় নিত্য ব্যবহার্য সামগ্রী উৎপাদন ও বিপণন করা হচ্ছে। এর লভ্যাংশের পুরোটাই প্রতিবন্ধী অসহায় শিক্ষার্থীদের প্রদান করা হয়।
দেশের অগ্রগতি ও উন্নয়নে প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মেধা ও সৃজনশীলতা আমাদের কাজে লাগাতে হবে। আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে সক্ষম হব।
আমি ২৭তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২০তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।"
#
ইমরুল/রিফাত/জসীম/রেজ্জাকুল/আসমা/২০১৮/১২০০ ঘণ্টা