Handout Number: 350
Meeting between Bangladesh Foreign Minister and China Ambassador to Bangladesh
Dhaka, 27 January:
Ambassador of China to Bangladesh Zhang Zuo paid a courtesy call on Foreign Minister A.K. Abdul Momen at his office today.
Chinese Ambassador wished deeper engagement with Foreign Minister to bring China-Bangladesh bilateral relations to a newer height. Chinese Ambassador expressed his commitment to work with the Government of Bangladesh to implement the decisions reached through consensus between two leaders of China and Bangladesh during President of China Xi Jinping’s visit to Bangladesh in October 2016. He wished to strengthen practical cooperation between two countries and accelerate implementation of the projects for common development and prosperity under Belt and Road Initiative. Ambassador Zhang underlined the importance of the bilateral consultation mechanisms to steer the practical cooperation between the two countries.
Foreign Minister emphasized on Economic Diplomacy and acknowledged tremendous contribution of China in Bangladesh’s economic development. Foreign Minister expressed gratitude to China for signing 27 Agreements and MOU, worth billions of dollar investment, during Xi Jinping’s visit to Bangladesh in 2016 when bilateral relationship was elevated to strategic partnership. Foreign Minister requested Ambassador to take effective measures for speedy implementation of projects funded by China’s development assistance. Chinese Ambassador stated measures taken by Chinese Government to reduce the trade gap between Bangladesh and China and increasing level of Chinese investment in Bangladesh for development of industries.
While appreciating Chinese humanitarian assistance for the displaced people of Rakhine State, Foreign Minister sought China’s strong support so that Myanmar moves in the right direction for resolving Rohingya crisis. Ambassador Zhang asserted that China is willing to play constructive role to realize repatriation of displaced people and will maintain close communication with Bangladesh and Myanmar to find a practical solution of the crisis.
#
Tohidul/Nice/Mosharaf/Joynul/2019/2245hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৯
পুলিশ বাহিনীকে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে
--- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
গাজীপুর, ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, পুলিশ জনগণের বন্ধু। সাধারণ জনগণের নিরাপত্তা বিধানের দায়িত্ব পুলিশের। তাই পুলিশ বাহিনীকে সর্বোচ্চ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে। জনগণের সেবক হিসেবে জনগণের পাশে থাকতে হবে। পেশাদারিত্ব বজায় রেখে ব্যক্তিস্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ ও জনগণের সেবা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ টঙ্গী থানার পুলিশ সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন ।
মহান মুক্তিযুদ্ধসহ দেশের যে কোনো ক্রান্তিকালে পুলিশ বাহিনীর ভূমিকা গৌরবোজ্জ¦ল উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেও রয়েছে পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। তাই তিনি পুলিশ বাহিনীকে ধন্যবাদ জানান। পুলিশ বাহিনী তাদের ওপর অর্পিত রাষ্টীয় দায়িত্ব যথাযথভাবে পালন করবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছেন। তাই পুলিশের সেবাকে জনগণের দৌরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পুলিশের এই উদ্যোগ প্রশংসার দাবি রাখে। তিনি গাজীপুরকে মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ মুক্ত রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি পুলিশের পাশাপাশি জনগণকে ঐক্যবদ্ধভাবে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র এডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ূন কবীর, সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ওয়াই এম বেলালুর রহমান। পুলিশ সেবা সপ্তাহ আজ থেকে শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি শেষ হবে। এ সপ্তাহ উপলক্ষে রক্তদান কর্মসুচি, শীতবস্ত্র বিতরণসহ নানা কর্মসুচি গ্রহণ করা হয়েছে।
#
আরিফ/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২১২০ঘণ্টা
Handout Number : 348
Prime Minister of Slovak Republic
congratulates his counterpart Sheikh Hasina
Dhaka, 27 January 2019 :
Prime Minister of Slovak Republic Peter Pellegrini has congratulated Prime Minister Sheikh Hasina on her re-appointment as the Prime Minister of Bangladesh.
In his message, the Slovak Prime Minister has also expressed conviction that the relations between Bangladesh and Slovak Republic would be processing in all areas of mutual interest.
#
Tohidul/Farhana/Sanjib/Rezaul/2019/2025 hours
Handout Number : 347
Slovak Foreign Minister
congratulates his counterpart A K Abdul Momen
Dhaka, 27 January 2019 :
Minister of Foreign and European Affairs of the Slovak Republic Miroslav Lajčák has congratulated Dr. A K Abdul Momen on his appointment as the Foreign Minister of Bangladesh.
The Slovak Minister of Foreign and European Affairs, in his message, has expressed conviction that the relations between Bangladesh and Slovak Republic will develop in all areas of common interest and the two Foreign Ministries will contribute to this endeavor.
#
Tohidul/Farhana/Sanjib/Rezaul/2019/2024 hours
Handout Number : 346
Foreign Minister of Uzbekistan
congratulates his counterpart A K Abdul Momen
Dhaka, 27 January 2019 :
Foreign Minister of Uzbekistan Abdulaziz Kamilov has congratulated Dr. A K Abdul Momen on his appointment as the Foreign Minister of Bangladesh.
Mentioning that the two peoples are bound by common values and religious sentiments, the Uzbek Foreign Minister has expressed his conviction that the two countries would be able to create favourable conditions by joint efforts for the consistent and effective development of cooperation.
#
Tohidul/Farhana/Sanjib/Rezaul/2019/2022 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৫
জ্বালানি খাতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে জাইকা সহযোগিতা করতে পারে
---বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরল হামিদ বলেছেন, জ্বালানি খাতে সমন্বিত মহাপরিকল্পনা প্রণয়নে জাইকা সহযোগিতা করতে পারে। গ্যাস সেক্টরের জন্য একটি পরিকল্পনা জাইকার সহযোগিতায় করা হচ্ছে। তেল, গ্যাস, পাইপ লাইন, মানব সম্পদ উন্নয়ন, চাহিদা-প্রত্যাশা-প্রাপ্তি ও সেবা প্রদান নিয়ে একটি মহাপরিকল্পনা করার জন্য অনুরোধ জানান।
আজ সচিবালয়ে জাইকার দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক শোহেই হারা (ঝযড়যবর ঐধৎধ) প্রতিমন্ত্রীর সাথে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সামগ্রিক অবকাঠামো উন্নয়নে জাইকা আরো প্রকল্প নিতে পারে। প্রশিক্ষণ ও পূনর্বাসন প্রকল্পগুলো ঐক্যবদ্ধভাবে সম্পন্ন করা প্রয়োজন। জ্বালানিখাত, ইলেকট্রিক চার্জিং স্টেশন, ভূগর্ভস্থ সাব-স্টেশন ইত্যাদি কাজে প্রযুক্তিগত সহযোগিতায় জাইকার কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
এসময় জাইকার দক্ষিণ এশিয়ার মহাপরিচালক বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষণীয় ও অভূতপূর্ব। তিনি বলেন, মাতারবাড়ি প্রকল্পকে জাইকা অনেক গুরুত্ব প্রদান করে। স্থানীয় লোকদের সম্পৃক্ত করে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন। বাংলাদেশের অবকাঠামো ও প্রাইভেট সেক্টরেও উন্নয়নে জাইকা কাজ করছে।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জাইকা বাংলাদেশ অফিসের প্রধান প্রতিনিধি হিতোশি হিরাতা (ঐরঃড়ংযর ঐরৎধঃধ) উপস্থিত ছিলেন।
#
আসলাম/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০২৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৪
সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরকে স্বস্তিজনক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে
--- এলজিআরডি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, আমরা বর্তমানে সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় আছি। ঢাকা শহরকে মানুষের বাসযোগ্য করে গড়ে তুলতে ১০০ থেকে ২০০ বছরের জন্য মাস্টার প্ল্যান তৈরি করতে হবে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর ফুলবাড়িয়াস্থ ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের দাপ্তরিক ও উন্নয়ন কার্যক্রম পর্যালোচনা, পরিদর্শন ও ‘আধুনিক নাগরিক সেবা ও করণীয়’ শীর্ষক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য, স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এস এম গোলাম ফারুক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমানসহ মন্ত্রণালয় ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ঢাকা মহানগরীর ছেলে-মেয়েদের খেলাধুলার বিষয়টি মাথায় না রেখে কোনো আইন প্রণয়ন করা যাবে না। প্রয়োজনে আবারও সিটি কর্পোরেশন আইন পরিবর্তন করা হবে। এক্ষেত্রে জনগণকে সম্পৃক্ত করে কর্মসূচি নিলে সাফল্য পাওয়া যাবে। মন্ত্রী ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের কল্যাণে কাজ করছেন কিনা সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আগামী দিনেও এই মহানগর ও দেশের জন্য আপনাদের এক সাথে কাজ করতে হবে। ফুটপাতে চলাচলে জনগণের যাতে অসুবিধা না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। আর কাজ করার ক্ষেত্রে ত্রুটি-বিচ্যুতি হতে পারে, সমালোচনা হতে পারে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ঢাকা শহরকে স্বস্তিজনক অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে হবে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, আধুনিক নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণের জন্য সমন্বিত কর্তৃপক্ষ গঠনের কোনো বিকল্প নেই। সেবামূলক প্রতিষ্ঠানগুলোকে টেকসই দীর্ঘস্থায়ীকরণের জন্য সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।
মতবিনিময় সভায় সিটি কর্পোরেশন ও ঢাকা ওয়াসা এই দুটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কাজ সম্পাদনের ক্ষেত্রে যাতে সমন্বয়হীনতা না থাকে সেদিকে গুরুত্বারোপ করা হয়। ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতার কারণগুলো চিহ্নিত করে মহানগরীর খাল ও চারপাশের নদীসমূহ দখলমুক্ত করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনার বিষয়েও আলোচনা করা হয়। এছাড়া ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ তাদের সমস্যা ও মতামত তুলে ধরেন এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরাও এতে অংশগ্রহণ করেন।
#
মাহমুদুল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪৩
জনকল্যাণের মনোভাব নিয়ে সকলকে কাজ করতে হবে
--- প্রবাসী কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, চাহিদাভিত্তিক বৈশ্বিক কর্মসংস্থানের যে সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে তা যথাযথভাবে কাজে লাগাতে হবে। তিনি বলেন, জনশক্তির বৈদেশিক কর্মসংস্থান বাড়াতে হলে ট্রেনিং বাড়াতে হবে। আর ভাষা শিক্ষাকে প্রাধান্য দিয়ে প্রশিক্ষণের মান বাড়াতে হবে। প্রশিক্ষণ মডিউল প্রস্তুত রাখার নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টিই সরকারের মূল লক্ষ্য।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় কাকরাইলে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর কনফারেন্স রুমে বিএমইটি’র কর্মকর্তাদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্নীতির ব্যাপারে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। আর দুর্নীতি দূর হলেই সুশাসন চলে আসবে। তিনি বলেন, নিজের ওপর নিজের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং সবাইকে জনকল্যাণের মনোভাব নিয়ে কাজ করতে হবে।
বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় ভারপ্রাপ্ত সচিব রৌনক জাহান বলেন, বিদেশে দক্ষ জনশক্তি প্রেরণে বিএমইটি নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। নতুন শ্রমবাজার সৃষ্টি ও বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনে বিএমইটিকে সম্প্রসারণ করা হবে।
বিএমইটি’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ সেলিম রেজার সভাপতিত্বে বোয়েসেল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মরণ কুমার চক্রবর্তী, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহতাব জাবিন এবং বিএমইটি’র উপপরিচালক রেজওয়নুল হক চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।
#
রাশেদুজ্জামান/ফারহানা/রফিকুল/জয়নুল/২০১৯/২০১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪২
ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত-বাণিজ্যমন্ত্রী বৈঠক মার্চে পর্যটকরা নৌযানে ভ্রমণ শুরু করবেন
ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্শি বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়ছে। আগামী দিনগুলোতে একসাথে কাজ করতে আমরা একমত। এতে করে উভয় দেশের বাণিজ্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধি পাবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোনে তিনটিতে ভারত বড় ধরনের বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। মংলায় ১১০ একর জমির ওপর স্পেশাল ইকোনমিক জোনের কাজ অল্পদিনের মধ্যেই শুরু করবে। মিরেরশরাইয়ে এক হাজার একর জমির ওপর এবং ভেড়ামারায় অপর একটি ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ভারত।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দিনাজপুরের চিলাহাটি সীমান্তে একটি স্থলবন্দর নির্মাণের জন্য বাংলাদেশ প্রস্তাব দিয়েছে। চলমান বর্ডারহাটের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য আমরা উভয় দেশ একমত হয়েছি। চলমান বর্ডার হাটের পাশাপাশি আরো ৬টি বর্ডারহাট চালু করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী মার্চে উভয় দেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। এতে উভয় দেশের পর্যটকরা নৌপথে ভ্রমণ শুরু করবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর কার্যালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত উৎ. অফধৎংয ঝধিরশধ এর সাথে মতবিনিময় করে সাংবাদিকদের এ সব কথা বলেন।
টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা ইস্যুর ক্ষেত্রে জটিলতা নিরসনের জন্য ভারতকে অনুরোধ জানানো হয়েছে। বাংলাদেশি পণ্য ভারতে রপ্তানির ক্ষেত্রে সমস্যাগুলো দূর করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য ব্যবধান দূর করতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। উভয় দেশের বর্তমান বাণিজ্য ৯ হাজার ৪ শ’ ৯২ দশমিক ৬৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। গত বছর ভারতের বাজারে বাংলাদেশি পণ্যের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভারতের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী কিছুদিনের মধ্যে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পর্যটকবাহী নৌযান চালু হবে। প্রথমে ভারতের পর্যটক দল নৌপথে বাংলাদেশের সুন্দরবন ভ্রমণ করবে। ভারত বাংলাদেশিদের ভিসা সহজ করতে রাজধানী ঢাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানে ১৫টি ভিসা ইস্যু সেন্টার চালু করেছে। চলমান বর্ডার হাটের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে তা দ্রুত সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এ সময় বাণিজ্য সচিব মোঃ মফিজুল ইসলাম, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এফটিএ) মোঃ শফিকুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০১৯/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪১
উন্নয়ন পরিকল্পনায় রেলকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ হচ্ছে
-- রেলপথমন্ত্রী
চট্টগ্রাম , ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি):
রেলপথ মন্ত্রী মোঃ নূরুল ইসলাম সুজন বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যাশায় আমাদের সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে। রেলেওয়ের ক্ষেত্রেও আমরা একইভাবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নকে লালন করে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই । উন্নয়ন পরিকল্পনায় রেলকে গুরুত্ব দিয়ে বাজেট বরাদ্দ হচ্ছে। তিনি এ সময় চলমান বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন ।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে রেলওয়ের ৪০তম বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিতরণ করেন।
কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি জানান, রেলওয়ে আজ পরিবহণের প্রধান বাহন । মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে রেলকে সাধারণ মানুষের বাহনে পরিণত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম থেকে কক্সবাজার পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ কাজ চলছে, পাশাপাশি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প। পদ্মা সেতু রেল সংযোগের ফলে দক্ষিণাঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্থাপিত হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত হাইস্পিড ট্রেন নির্মাণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ১ ঘণ্টা ৯ মিনিটে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের মধ্যে যাতায়াত করা যাবে। এতে দেশের জিডিপিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ।
মন্ত্রী আরো বলেন, ১৯৬৫ সালের আগে ভারতের সাথে যে সকল রেল সংযোগ স্থাপিত ছিল পরবর্তী সময়ে সেগুলো বন্ধ হয়ে যায়। পুনরায় সেগুলো চালু করে আন্তঃদেশীয় যোগাযোগ স্থাপন করা হবে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রেলওয়ের হারানো গৌরব ফিরে পাব বলে মন্ত্রী এ সময় উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ের মহাপরিচালক কাজী রফিকুল আলম, অতিরিক্ত মহাপরিচালকগনসহ রেলওয়ের সকল পর্যায়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
#
শরিফুল/ফারহানা/রফিকুল/রেজাউল/২০১৯/১৯৪৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৪০
পার্বত্য অঞ্চলের টেকসই উন্নয়নে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণে আন্তঃমন্ত্রণালয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৪ মাঘ (২৭ জানুয়ারি) :
আজ পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলে জীব বৈচিত্র্য, বন ও পরিবেশ সংরক্ষণ বিষয়ক আন্তঃমন্ত্রণালয় মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং সভায় সভাপতিত্ব করেন।
বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে নতুন বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য ৫৬৫ কোটি টাকার প্রকল্প চলমান আছে। তাছাড়া ১০ হাজার ৮শ’ পরিবারকে সোলার প্রদান করা হয়েছে এবং ৩০ হাজার পরিবারকে প্রদানের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, পার্বত্য অঞ্চলের স্থানীয় জনগণের চাহিদা ও প্রয়োজনকে প্রাধান্য দিয়ে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হবে। যাতে পার্বত্যবাসীর সামাজিক সেবা নিশ্চিতকরণে স্বাস্থ্য, শিক্ষা, সড়ক ও মহাসড়কসহ অনান্য বিষয়ে সমন্বয় সাধন করা হবে।
সভায় জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিগত ১০ বছরে পার্বত্য চট্টগ্রামের ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হলেও দুর্গমতা ও পশ্চাৎপদতার কারণে এ অঞ্চলে শিক্ষা, দারিদ্র্য তথা উন্নয়নের হার কাক্সিক্ষত মাত্রায় পৌঁছায়নি। তাই পার্বত্য অঞ্চলের জীব বৈচিত্র্য, বন ও পরিবেশকে অক্ষুণœ রেখে সমন্বিত টেকসই উন্নয়ন জরুরি। টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে পার্বত্য বিষয়ক উপাদানগুলো যাতে প্রাধান্য পায় সেদিকে সর্বাধিক গুরুত্বারোপ করতে হবে। এক্ষেত্রে বান্দরবান পার্বত্য জেলার থানচি উপজেলাকে একটি উন্নত সমৃদ্ধ তথা মডেল উপজেলা হিসেবে উন্নীতকরণে একটি সমন্বিত প্রকল্প গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। পালাক্রমে সমগ্র পার্বত্য অঞ্চলের সব উপজেলায় একইভাবে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। উন্নয়নের জন্য মিশন, ভিশন ও একশন প্লান নির্ধারণপূর্বক সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাথে সমন¦য় করে প্রকল্প গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
মতবিনিময় সভায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান, তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল আমিন, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন সচিব আবদুল্লাহ আল মোহসীন চৌধুরী, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ সচিব মোঃ শাহ কামাল, বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্যশৈ হ্লা সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
জুলফিকার/ফারহানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৯/১৯২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৮
একাদশ সংসদ নির্বাচনে গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির বাংলাদেশের পক্ষে রায় দিয়েছে জনগণ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এদেশের জনগণকে স্বপ্ন দেখিয়েছেন উন্নত বাংলাদেশের। দশ বছর ধরে তার নেতৃত্বে অর্থনীতি ও সামাজিক চিত্র বদলে দিয়েছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যম, স্বদেশ প্রেম, বিচক্ষণতা, প্রশাসনিক দক্ষতা, গণমুখীনতাকে নিজের মধ্যে আত্মস্থ করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন এক অনন্য উচ্চতায়। উন্নয়নের এই অভিযাত্রাকে আরো বেগবান ও টেকসই করতে সকলকে একসাথে কাজ করতে হবে।
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক আজ টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জেলা সদরের শহীদ স্মৃতি পৌর উদ্যানে জেলার সকল সংসদ সদস্যের সৌজন্যে আয়োজিত গণসংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। এর আগে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে প্রশাসনের আয়োজনে কর্মকর্তাদের সাথে কৃষিমন্ত্রীর পরিচিতি ও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষির সাফল্য আজ বিশ্ব স্বীকৃত। উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং আসন্ন দশকগুলোতে খাদ্য ও পুষ্টিনিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার প্রতিশ্রুতিবব্ধ। একটি সফল বাণিজ্যিক কৃষি ব্যবস্থার মাধ্যমে কৃষি খাতে দৃষ্টান্তমূলক সাফল্য আসবে। বাণিজ্যিকীকরণ, আধুনিক কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও কৃষির বহুমুখীকরণের মাধ্যমেই কৃষির উন্নয়ন করা হবে। স্থানীয় এবং আর্ন্তজাতিক পরিম-লে বাজারজাত নিশ্চিত করতে পারলে কৃষির টেকসই সফলতা আসবে বলে উল্লেখ করেন কৃষিমন্ত্রী।
কৃষিমন্ত্রী আরো বলেন, দেশে এখন শান্তি বিরাজ করছে। যদি কোন অপশক্তি রাজনীতির নামে জনগণের শান্তি শৃঙ্খলায় বিঘœ ঘটাত চায়, তবে তাদের পরিণতি হবে ভয়াবহ। নির্বাচনে না এসে জনগণের জানমালের ক্ষতি করবে তা মেনে নেয়া হবে না। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশের কাতারে নিজেদেরকে নিয়ে যাবো। এসময় বাংলাদেশ হবে শান্তিপূর্ণ, সমৃদ্ধ, সুখী ও উন্নত জনপদের দেশ।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ফজলুর রহমান খান ফারুকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলার সংসদ সদস্যবৃন্দ, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, পৌর সভার মেয়র ও উপজেলা চেয়াম্যান।
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩৩৭