তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৬
প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে
---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী
বিরল (দিনাজপুর) ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করার পর অমানবিক চিন্তাভাবনা নিয়ে এদেশ পরিচালনা করা হয়েছে। শিক্ষা ব্যবস্থাকে কঠিন করে তোলা হয়েছিল। বাংলাদেশের শিক্ষা নিয়ে বঙ্গবন্ধু ও শেখ হাসিনা ছাড়া আর কেউ ভাবেনি। বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালে শিক্ষার ভিত্তি প্রাথমিক শিক্ষা নিয়ে কাজ করেছিলেন। আর তাঁর কন্যা শেখ হাসিনা শিক্ষার ভিত্তি প্রাথমিক বিদ্যালয়কে সরকারি করেছে। আমরা যে উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার কারিগরই হচ্ছে প্রাথমিক শিক্ষকবৃন্দ। তাই প্রাথমিক শিক্ষকদের উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে উপজেলার ১৪৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঝে সরকারিভাবে প্রাপ্ত ল্যাপটপ বিতরণ এবং সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত সহকারি শিক্ষকদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা দলীয় দৃষ্টিভঙ্গিতে কাজ করি না বলেই দেশে সমন্বিত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির কারণেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতার জননী হিসাবে স্বীকৃতি পেয়েছেন।তিনি বলেন, দিন বদলের রূপকার প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার দেয়া দিন বদলের সনদের কারণে সব কিছুই বদলে গেছে। এখন বাংলাদেশের কোনো মানুষ না খেয়ে থাকে না। কোনো মানুষ চিকিৎসার অভাবে মারা যায় না। আগামী কিছু দিনের মধ্যে সকল কমিউনিটি ক্লিনিকগুলিতে ডায়াবেটিক রোগীদের ফ্রি ইনসুলিন প্রদান করা হবে বলেও তিনি জানান।
অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আফছানা কাওছারের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার মুহাঃ মুনিরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল ওয়াজেদ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র আলহাজ সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায় প্রমুখ।
#
জাহাঙ্গীর/রাহাত/রফিকুল/লিখন/২০২৩/১৭২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা থেকে আজ শুক্রবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ২৩ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৩২৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ৬ হাজার ৭৭১ জন।
#
সুলতানা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২৩/১৭১৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৪
মহান স্বাধীনতা দিবসের জাতীয় কর্মসূচি
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
আগামী ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস। দিবসটি যথাযোগ্য মর্যাদায় উদ্যাপনের লক্ষ্যে জাতীয় পর্যায়ে নানাবিধ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।
এদিন ঢাকাসহ সারাদেশে প্রত্যুষে একত্রিশবার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
এ দিবসে সকল সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে সূর্যোদয়ের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা এবং ঢাকা শহরে সহজে দৃশ্যমান ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। তবে ২৫ মার্চ গণহত্যার কালরাতে আলোকসজ্জা করা যাবে না।
ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদকদল বাদ্য বাজাবেন। এদিন সরকারি ছুটি। দিবসটি উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করবেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র, নিবন্ধ ও সাহিত্য সাময়িকী প্রকাশ করবে। ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠান প্রচার করছে।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমী, বাংলা একাডেমী, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমীসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা; সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান; শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা; মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র এবং চলচ্চিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে।
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা প্রদান করা হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাকটিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে। দেশের সকল হাসপাতাল, জেলখানা, শিশু পরিবার, বৃদ্ধাশ্রম, ভবঘুরে প্রতিষ্ঠান ও শিশু দিবাযত্ন কেন্দ্রসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে।
দেশের সকল শিশুপার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে। চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা ও পায়রা বন্দর এবং ঢাকার সদরঘাট, নারায়ণগঞ্জের পাগলা, বরিশাল ও চাঁদপুর বিআইডব্লিউটিএ ঘাটে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও কোস্টগার্ডের জাহাজসমূহ ঐদিন সকাল ৯ টা হতে দুপুর ২ টা পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ কর্মসূচি পালন করা হবে।
#
মারুফ/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১৩০০ ঘন্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২৩
মহান স্বাধীনতা দিবসে ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শুভেচ্ছা
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
ভুটানের পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক বাণিজ্য বিষয়ক মন্ত্রী ড. তান্ডি দর্জি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এবং বাংলাদেশের জনগণকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. তান্ডি দর্জি সম্প্রতি ড. মোমেনকে প্রেরিত একটি অভিনন্দন বার্তায় বলেন, উভয় দেশের মধ্যে অব্যাহত পারস্পরিক সহযোগিতা ও যোগাযোগ থাকায় একটি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক অটুট রয়েছে। তিনি অভিনন্দন বার্তায় আরো উল্লেখ করেন, ‘আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, বন্ধুত্বের এই বন্ধন আগামীতে আরো দৃঢ় হবে।’
ভুটানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের জন্য শুভকামনা জানিয়ে স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের মানুষের জন্য সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করেন।
#
মোহসিন/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘন্টা
Not to publish before 5 PM
Handout Number : 1221
Prime Minister’s Message on the occasion of the Genocide Day
Dhaka, 24 March :
Prime Minister Sheikh Hasina has given the following Message on the occasion of the Genocide Day :
“Today is Genocide Day. On this day in 1971, the invading forces of Pakistan carried out the most barbaric crackdown in Bangladesh. I remember with a heavy heart all martyrs who sacrificed their lives on the night of March 25. 1971, whose fresh blood inspired the brave Bengalis to be spirited to take up arms and fight for independence.
The greatest Bengali of all time, Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, sacrificed his whole life liberating the Bengali nation shackled for thousands of years. He was first arrested and imprisoned on March 11, 1948, while protesting to protect the dignity of the Bengali language. Since then, he led all the movements, including the language movement of '52, the twenty-one point of '54, the anti-Ayub movement of '62, the six points of '66, and the mass upsurge of '69 with great foresight. After the mass uprising of 1969, on December 5, on the death anniversary of Huseyn Shaheed Suhrawardy, he declared, ‘From today, the name of this eastern part of Pakistan will be solely Bangladesh, instead of East Pakistan.’ He left the Minister's portfolio, organized and strengthened the party, and prepared the nation for independence. The Awami League, led by the Father of the Nation, won a single majority in the National Assembly in the '70 elections. However, the Pak-military junta started delaying the transfer of power. By procrastinating in the name of the meeting, they launched a secret conspiracy to kill the unarmed Bengalis. Bangabandhu Sheikh Mujib called for a non-cooperation movement from March 2; in his historic speech on March 7, he clearly outlined the goal of overcoming the long 23-year rule and exploitation and called for compliance with the 35-point directive from March 15. Bangabandhu Sheikh Mujib's instructions were followed verbatim throughout East Bengal. Not only that, Bangladesh’s administrative, political, and economic activities are being carried out as he prescribed. Yahya's rule became utterly obsolete. Yahya-Bhutto repeatedly offered to compromise. But the undisputed leader of Bangladesh gave up the lure of power and remains steadfast for the freedom-loving people of this country. On March 23, Pakistan Day, the flag emblazoned with the map of Bangladesh was hoisted all over the country.
On the evening of March 25, Yahya left Dhaka secretly during the non-cooperation movement. At midnight, Pakistani troops launched ‘Operation Search Light’ with armored tanks and started killing unarmed Bengalis, Dhaka University, Pilkhana, and Rajarbag were attacked, and students, teachers, Bengali police, and military personnel were killed. Bangabandhu Sheikh Mujib was arrested at an early hour on March 26. Immediately before, the Father of the Nation wrote the final declaration of independence – ‘This may be my last message, from today Bangladesh is independent ---your fight must go until final victory is achieved, ‘- which was first broadcast on EPR’s wireless and then spread across the country through leaders and activists of the Awami League and Chhatra League. The Pakistanis tortured Bangabandhu Sheikh Mujib by imprisoning him in Mianwali prison in Pakistan and tried to kill him. On June 13, Anthony Mascarenhas, a Pakistani journalist, published a detailed article on the front page of The Sunday Times in the United Kingdom, entitled ‘GENOCIDE,’ based on a realistic picture of the Pakistanis’ brutality against Bengalis that accelerated the creation of world voice in favor of Bangladesh. Three million people were martyred in 9 months long armed war, two hundred thousand mothers and sisters lost their dignity, and the whole country went under the rubble. Finally, with the victory on December 16, the independent sovereign Bangladesh was established.
President Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, the Father of the Bengali nation, was released from solitary confinement in Pakistan, returned to his beloved independent motherland on January 10, 1972, and devoted himself to rebuilding the war-torn country. With the help of the allies, though there was an empty treasury, he rehabilitated the displaced people, restored and developed the infrastructure, and put the production sector and the economy on a solid foundation. In just three and a half years, the UN recognized the country as a Least Developed Country. But our misfortune is that the defeated anti-independence clique of '71 continues to conspire against him. On another mourning night on August 15, 1975, the incumbent President, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, was martyred by brutal bullets along with his family members. The murderous Mostaq-Zia and their successors illegally seized power and established a dictatorship in the country. The BNP tarnished the proud history of the Bengali nation by placing the perpetrators of the infernal massacre on March 25, criminals against humanity and war criminals, and murderers of the Father of the Nation, in the government.
Awami League formed the government after being elected by popular mandate in 1996 after a long 21-year struggle. On October 5, 1998, we accessed the United Nations Convention on the Prevention and Punishment of the Crime of Genocide. In 1997, we proposed a resolution on the Culture of Peace at the UN General Assembly, which was adopted in 1999. Accordingly, United Nations declared 2000 as the ‘International Year for the Culture of Peace’ and 2001-2010 as the ‘International Decade for a Culture of Peace and Non-Violence.’ We have been working tirelessly for more than fourteen years since 2008 to transform the fate of the people with their unwavering support in all elections. In the meantime, we tried the perpetrators of crimes against humanity and war criminals by establishing the International Crimes Tribunal. We ensured the people’s right to vote through the Fifteenth Amendment to the Constitution, which also barred the illegal seizure of power. A book titled ‘The Blood Telegram: Nixon, Kissinger, and a Forgotten Genocide’ was published in 2013, where the brutality of genocide carried out by Pakistanis in Bangladesh was described as reported by Mr. Archer K. Blood, the then American Consul General in Dhaka to the State Department. We have recognized March 25 as 'Genocide Day. We have sheltered more than 1.1 million displaced Rohingya people who escaped with their lives from genocide in neighboring Myanmar. We are working on the principle of ‘Zero Tolerance’ to eradicate militancy and terrorism. We have already made Bangladesh a developing country Bangladesh in 2041 will be ‘Smart Bangladesh.’ We are formulating and implementing the ‘Bangladesh Delta Plan-2100’: Future generations will be able to implement this plan with the amendment of their need.
We do not want war and conflict; killing men, women, and children dipped us in demise. We believe in peace. If sustainable peace prevails, the overall development of the country accelerates. We follow Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’s peace policy in running the country. I appeal to the country's people and the global people to build a society based on equality and free from all kinds of discrimination and sectarianism.
I wish successes to all the programs on the ‘Genocide Day’.
Joi Bangla, Joi Bangabandhu
May Bangladesh Live Forever.”
#
Hasan/Zulfikar/Rabi/Saida/Masum/2023/1100 hours
Not to publish before 5 PM
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২২
গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ভয়াল ২৫ মার্চ, গণহত্যা দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ঢাকাসহ সারাদেশে ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাকাণ্ড পরিচালনা করে। বাঙালির মুক্তি আন্দোলনকে স্তব্ধ করতে কাপুরুষের দল সেদিন নিরস্ত্র ও ঘুমন্ত বাঙালির ওপর নির্বিচারে হামলা চালায়। এ গণহত্যায় শহিদ হন ছাত্র, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, বিভিন্ন বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ ও তৎকালীন ইপিআর সদস্যসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার অগণিত মানুষ। এ দিনটিকে গণহত্যা দিবস হিসেবে পালন বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে ত্রিশ লক্ষ বাঙালির আত্মত্যাগের মহান স্বীকৃতির পাশাপাশি তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর নির্মম গণহত্যার বিরুদ্ধে চরম প্রতিবাদের প্রতীক।
আজকের এ দিনে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দীর্ঘ ন'মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয় আমাদের মহান স্বাধীনতা। আমি সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করি ২৫ মার্চ কালরাতের নৃশংস হত্যাকাণ্ডসহ পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মম গণহত্যার শিকার সকল শহিদকে। আমি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করি জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থকসহ দেশের জনগণকে, যাঁদের অসামান্য অবদান ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা অর্জন করেছি স্বাধীনতা।
১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর তৎকালীন অবিভক্ত পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সে নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। বঙ্গবন্ধুকে সরকার গঠনে আহ্বান জানানোর পরিবর্তে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ১৯৭১ সালের ১ মার্চ জাতীয় পরিষদ অধিবেশন অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত ঘোষণা করেন। পাকিস্তানের শাসকগোষ্ঠী সেই নির্বাচনে বিজয়ী শেখ মুজিবের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরে টালবাহানা শুরু করে। এর প্রতিবাদে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তানে অসহযোগ আন্দোলন শুরু হয়। ইয়াহিয়া খান বঙ্গবন্ধুর সাথে আলোচনায় বসলেও বাঙালি জাতিকে চিরতরে স্তব্ধ করে দিতে পর্দার অন্তরালে গণহত্যার পরিকল্পনা করতে থাকে, যা বাস্তবায়নের দায়িত্ব দেওয়া হয় বালুচিস্তানের কসাই খ্যাত জেনারেল টিক্কা খানকে।
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে তৎকালীন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালির ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালায়। ‘অপারেশন সার্চলাইট' নামে অভিযানটি পরিচালনার মাধ্যমে তারা স্বাধীনতাকামী ছাত্রজনতার প্রতিরোধকে স্তব্ধ করে দিতে চেয়েছিল। এর ব্যাপ্তি ছিল ঢাকাসহ সারাদেশ। হায়েনার দল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস, রাজারবাগ পুলিশ লাইনস, পিলখানাসহ (বর্তমানে বিজিবি সদর দপ্তর) যশোর, খুলনা, রাজশাহী, রংপুর, সৈয়দপুর, কুমিল্লা, সিলেট, চট্টগ্রামে একযোগে গণহত্যা চালায়। বিশ্বের সকল গণমাধ্যমেই গুরুত্বের সাথে স্থান পায় এ গণহত্যার খবর। ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে পাকিস্তানি বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তার আগেই তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে যান, যার পথ ধরে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ।
মুক্তিযুদ্ধকালীন ন'মাসে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ত্রিশ লক্ষ মানুষ। হত্যা-নিপীড়নের ভয়াবহতায় এক কোটি বাঙালি আশ্রয় নিয়েছিল প্রতিবেশী দেশ ভারতে। একাত্তরের বীভৎস গণহত্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, বিশ্বমানবতার ইতিহাসেও একটি কালো অধ্যায়। এমন গণহত্যা আর কোথাও যাতে না ঘটে, গণহত্যা দিবস পালনের মাধ্যমে সে দাবিই বিশ্বব্যাপী প্রতিফলিত হবে।
সকল বাধা পেরিয়ে মুক্তিযুদ্ধের মন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে চলেছে উন্নতি আর সমৃদ্ধির পথে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে স্বল্পোন্নত থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হয়েছে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালে উন্নত-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশে পরিণত করতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘রূপকল্প ২০৪১' ঘোষণা করেছেন। এ লক্ষ্য অর্জনে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে কার্যকর অবদান রাখার আহ্বান জানাচ্ছি। দেশকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত করার মধ্য দিয়েই আমরা একাত্তরের গণহত্যায় জীবনদানকারী প্রতিটি প্রাণের প্রতি জানাতে পারি আমাদের চিরন্তন শ্রদ্ধাঞ্জলি।
আমি গণহত্যা দিবসের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি আদায়ে বিদেশে বাংলাদেশ মিশনসমূহসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ফলপ্রসূ ভূমিকা রাখার আহ্বান জানাই।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক ।”
#
হাসান/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২২০
গণহত্যা দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১০ চৈত্র (২৪ মার্চ) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ২৫ মার্চ ‘গণহত্যা দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ‘গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তান হানাদার বাহিনী বাংলাদেশে বিশ্বের বর্বরতম হত্যাযজ্ঞ পরিচালনা করে। অত্যন্ত দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ে স্মরণ করি '৭১-এর ২৫শে মার্চের কালরাতে আত্মোৎসর্গকারী সকল শহিদদের, যাদের তাজা রক্তের শপথ বীর বাঙালিদের অস্ত্রধারণ করে স্বাধীনতা অর্জন না করা পর্যন্ত জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করেছিল।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হাজার বছর ধরে শৃঙ্খলিত বাঙালি জাতিকে মুক্ত করার প্রয়াসে সারা জীবন ত্যাগ স্বীকার করেছেন। তিনি বাংলা ভাষার মর্যাদা রক্ষা করতে গিয়ে ১৯৪৮ সালের ১১ই মার্চ প্রথম গ্রেফতার হন এবং কারাবরণ করেন। সেই থেকে '৫২-এর ভাষা আন্দোলন, '৫৪-এর একুশ দফা, '৬২-এর আইয়ুব বিরোধী আন্দোলন, '৬৬-এর ছয় দফা, '৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানসহ সকল আন্দোলন সংগ্রামে অত্যন্ত দূরদর্শীতার সঙ্গে নেতৃত্ব প্রদান করেছেন। তিনি ১৯৬৯ সালের ৫ই ডিসেম্বর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুবার্ষিকীতে ঘোষণা করেছিলেন, 'আজ হতে পাকিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় এদেশটির নাম হবে পূর্ব-পাকিস্তানের পরিবর্তে শুধু মাত্র বাংলাদেশ।' তিনি মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করেছিলেন এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য পুরো জাতিকে প্রস্তুত করেছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ '৭০-এর নির্বাচনে জাতীয় পরিষদে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কিন্তু, পাক- সামরিক জান্তা ক্ষমতা হস্তান্তরে নানা টালবাহানা শুরু করে। বৈঠকের মাধ্যমে সময় ক্ষেপণ করে নিরস্ত্র বাঙালি নিধনের উদ্দেশ্যে গোপন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২রা মার্চ থেকে অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেন; ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণে দীর্ঘ ২৩ বছরের শাসন-শোষণ থেকে মুক্তির লক্ষ্যে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা প্রদান করেন এবং ১৫ই মার্চ থেকে ৩৫ দফা নির্দেশনা পালনের আহ্বান জানান। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নির্দেশ সারা পূর্ব-বাংলায় অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের সকল প্রশাসনিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড তাঁর আদিষ্ট পথেই পরিচালিত হতে থাকে। বাংলাদেশে ইয়াহিয়ার শাসন সম্পূর্ণ অচল হয়ে যায়। ইয়াহিয়া-ভুট্টো বারবার সমঝোতার প্রস্তাব দিতে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের অবিসংবাদিত নেতা ক্ষমতার মোহ ত্যাগ করে এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পক্ষে অটল থাকেন। ২৩শে মার্চ পাকিস্তান দিবসে সারা দেশে বাংলাদেশের মানচিত্র খচিত পতাকা উত্তোলন করা হয়।
২৫শে মার্চ সন্ধ্যায় অসহযোগ আন্দোলনের মধ্যেই ইয়াহিয়া গোপনে ঢাকা ত্যাগ করেন। মধ্যরাতে পাকিস্তানি সৈন্যরা সাঁজোয়া ট্যাঙ্ক নিয়ে 'অপারেশন সার্চ লাইট' পরিচালনা করে ঘুমন্ত নিরস্ত্র বাঙালিদের হত্যা করতে শুরু করে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, পিলখানা এবং রাজারবাগে অতর্কিতে হামলা চালিয়ে ছাত্র-শিক্ষক, বাঙালি পুলিশ ও সামরিক সদস্যদের হত্যা করতে থাকে। ২৬শে মার্চ প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে গ্রেফতার করে। এর অব্যবহিত পূর্বেই জাতির পিতা স্বাধীনতার চূড়ান্ত ঘোষণা বার্তা লিখে যান- “ইহাই হয়তো আমার শেষ বার্তা, আজ হইতে বাংলাদেশ স্বাধীন-চূড়ান্ত বিজয় অর্জন না করা পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাও। যা প্রথমে ইপিআর এর ওয়্যারলেস এর মাধ্যমে প্রচারিত হয় এবং সঙ্গে সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্র লীগের নেতা-কর্মীদের মাধ্যমে এই বার্তা দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। পাকিস্তানিরা বন্দি নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব-এর ওপর অমানুষিক নির্যাতন চালায়; এমনকি তাঁকে হত্যা করার চেষ্টা করে। ১৩ই জুন পাকিস্তানি সাংবাদিক অ্যান্থনি মাসকারেনহাস যুক্তরাজ্যের 'The Sunday Times' পত্রিকার প্রথম পাতায় 'GENOCIDE' শিরোনামে বাঙালিদের ওপর পাকিস্তানিদের নির্মম বর্বরতার বাস্তব চিত্র নির্ভর একটি বিস্তারিত নিবন্ধ প্রকাশ করলে বাংলাদেশের পক্ষে বিশ্বজনমত সৃষ্টি ত্বরান্বিত হয়। দীর্ঘ ৯ মাস সশস্ত্র যুদ্ধে ৩০ লাখ মানুষ শহিদ হয়, ২ লাখ মা-বোন সম্ভ্রম হারায় এবং গোটা দেশ ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। অবশেষে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের মাধ্যমে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা লাভ করে।
বাঙালি জাতির পিতা, রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের নির্জন কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের ১০ই জানুয়ারি তাঁর প্রাণাধিক প্রিয় স্বাধীন মাতৃভূমিতে প্রত্যাবর্তন করে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। শূণ্য হাতে বন্ধুরাষ্ট্রগুলোর সহায়তা নিয়ে ছিন্নমূল মানুষকে পুনর্বাসন করেন, অবকাঠামো পুনস্থাপন ও উন্নয়ন করেন এবং উৎপাদন খাত ও অর্থনীতিকে একটি শক্ত ভিতের ওপর দাঁড় করান। মাত্র সাড়ে তিন বছরেই জাতিসংঘ বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশের স্বীকৃতি প্রদান করে। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, '৭১-এর পরাজিত স্বাধীনতা বিরোধী চক্র তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চালাতে থাকে। '৭৫-এর ১৫ই আগষ্ট আরেক কালরাতে ঘাতকদের নির্মম বুলেটের আঘাতে ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে শাহাদত বরণ করেন। খুনি মোস্তাক-জিয়া ও তাদের উত্তরসূরিরা অবৈধভাবে ক্ষমতা দখল করে দেশে স্বৈরশাসন কায়েম করে। বিএনপি ২৫শে মার্চে নারকীয় হত্যাযজ্ঞের কুশীলব, মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধী এবং জাতির পিতার খুনিদের ক্ষমতায় বসিয়ে বাঙালি জাতির গর্বিত ইতিহাসকে কলঙ্কিত করে।
দীর্ঘ ২১ বছর আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ জনগণের বিপুল ভোটে জয়লাভ করে সরকার গঠন করে। ১৯৯৮ সালের ৫ই অক্টোবর আমরা জাতিসংঘের গণহত্যা বিরোধী কনভেনশন অনুস্বাক্ষর করি। ১৯৯৭ সালে জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে শান্তির সংস্কৃতির ওপর রেজুল্যুশন গ্রহণের প্রস্তাব করি, যা ১৯৯৯ সালে গৃহীত হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘ ২০০০ সালকে 'আন্তর্জাতিক শান্তির সংস্কৃতির বর্ষ এবং ২০০১-২০১০ সময়কে 'শান্তির সংস্কৃতি এবং অহিংস দশক' ঘোষণা করে। আমরা ২০০৮ সাল থেকে সবকটি নির্বাচনে জনগণের অকুণ্ঠ সমর্থন নিয়ে গত ১৪ বছরের বেশি সময় একটানা তাঁদের ভাগ্যোন্ননের জন্য কাজ করছি। এরই মধ্যে আমরা 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে মানবতা বিরোধী অপরাধী ও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে। ২০১৩ সালে প্রকাশিত “The Blood Telegram: Nixon, Kissinger and a Forgotten Genocide”-শীর্ষক গ্রন্থে তৎকালীন ঢাকাস্থ আমেরিকার কনসাল জেনারেল আর্চার কে ব্লাড-এর স্টেট ডিপার্টমেন্টে লেখা নিয়মিত প্রতিবেদনেও বাংলাদেশে পাকিস্তানিদের পরিচালিত বর্বরতম গণহত্যার ভয়াল চিত্র উঠে এসেছে। আমরা ২৫শে মার্চকে 'গণহত্যা দিবস' হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান করেছি। প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে গণহত্যা এড়াতে ভীত-সন্ত্রস্ত ১১ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে আশ্রয় দিয়েছি। আমরা জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে 'জিরো টলারেন্স' নীতিতে কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যেই বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত করেছি। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে “স্মার্ট বাংলাদেশ”। আমরা 'বাংলাদেশ ব-দ্বীপ পরিকল্পনা-২১০০' প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছি: ভবিষ্যত প্রজন্ম এই পরিকল্পনাকে সময়োপযোগী করে বাস্তবায়ন করতে পারবে।
আমরা যুদ্ধ ও সংঘাত চাই না, নর-নারী-শিশু হত্যা আমাদের তীব্রভাবে ব্যাথিত করে। আমরা শান্তিতে বিশ্বাস করি। টেকসই শান্তি বিরাজমান থাকলে দেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। রাষ্ট্র পরিচালনার ক্ষেত্রে আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান- এর শান্তির নীতি অনুসরণ করি। সকল প্রকার বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতামুক্ত সমতা ভিত্তিক সমাজ বিনির্মাণে আমি দেশবাসীসহ বিশ্ববাসীর প্রতি আহ্বান জানাই।
আমি ‘গণহত্যা দিবস' উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১১০০ ঘন্টা
আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১২১৯
জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনের সভাপতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিউইয়র্ক, ২৪ মার্চ :
গতকাল পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন, জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের প্লেনারি অধিবেশনের তৃতীয় সভায় সভাপতিত্ব করেন। ২২ মার্চ বাংলাদেশ জাতিসংঘ পানি সম্মেলনের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার ধারাবাহিকতায় এই সভায় সভাপতিত্ব করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
এছাড়া, তিনি গতকাল বাংলাদেশ, গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপটেশন এবং নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক সংগঠন ডেল্টারেসের যৌথ উদ্যোগে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত ‘Water for Peace: From Source to Sea’ শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন। ‘From Source to Sea Approach’ এর ওপর ভিত্তি করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বক্তব্যে বৈশ্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য টেকসই পানি ব্যবস্থাপনার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরত্বারোপ করেন।
অনুষ্ঠানে বিদেশি কূটনীতিক, জাতিসংঘ এবং এর বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী নেদারল্যান্ডস সরকারের আমন্ত্রণে ‘ইন্টারন্যাশনাল প্যানেল অন ডেল্টাস অ্যান্ড কোস্টাল এরিয়াস’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
#
জুলফিকার/রবি/সাঈদা/মাসুম/২০২৩/১০৩০ ঘণ্টা