তথ্যবিবরণী নম্বর : 2134
রংপুর বিভাগে কর্মহীন-দরিদ্র-অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সহায়তা বিতরণ
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আজ রংপুর বিভাগের রংপুর , দিনাজপুর, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাট, নীলফামারী, গাইবান্ধা, ঠাকুরগাঁও ও পঞ্চগড় জেলায় করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
রংপুর মহানগরীর জেলা স্কুল মাঠে জেলার ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয় হতে সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় বিভিন্ন শ্রেণি পেশার ২৫০টি পরিবারের মাঝে ৫০০ টাকা করে নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়।
আজ দিনাজপুরের বিরল উপজেলা পরিষদ প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিল হতে ৯টি ইউনিয়নে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ৫০০০ গরিব -দুস্থ-অসহায় মানুষকে নগদ ৫০০ টাকা করে মোট ২৫ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা দিয়েছে।
গাইবান্ধা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসন জেলার ৫২২৩টি গরিব-দুস্থ-অসহায় পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর ঈদ উপহার হিসেবে নগদ ৪৮৪ টাকা করে দিয়েছে। এছাড়া ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় ১৬,৩৩২টি পরিবারকে নগদ ৪৫০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হয়েছে।
ঠাকুরগাঁও শহরের শহিদ মোহাম্মদ আলী স্টেডিয়ামে করোনাভাইরাসে ক্ষতিগ্রস্ত ৫০৯ জন দরিদ্র, অসহায় ও কর্মহীন মানুষকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তহবিলের ত্রাণ বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে ছিল চাল, ডাল, চিনি, লবণ, সয়াবিন তেল ও চিড়া।
নীলফামারী জেলার সদর, ডোমার, ডিমলা, জলঢাকা ও সৈয়দপুর উপজেলার ৮৯০৩টি পরিবারকে ৪৪ লাখ ৫১ হাজার ৫০০ টাকা নগদ আর্থিক সহায়তা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট উপজেলা প্রশাসন।
কুড়িগ্রাম স্টেডিয়ামে জেলা প্রশাসন ৫০০ মোটর শ্রমিককে ১০ কেজি চালসহ, ডাল,চিড়া, চিনি ও সাবান সহায়তা দিয়েছে। এ ছাড়া জেলার নাগেশ্বরী উপজেলায় ১২০০ পরিবারকে ৪০০ টাকা করে এবং কুড়িগ্রাম পৌরসভায় ১২০০ পরিবারকে ৪৫০ টাকা করে নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় ১৬৭১টি পরিবারকে ১৫ লাখ টাকা এবং আটোয়ারী উপজেলায় ৫৫৫টি পরিবারকে ৫ লাখ টাকা নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসন করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত ১৬টি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে।
#
রেজাউল/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০১৬ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৩৩
রাজশাহী বিভাগে করোনাকালীন সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
রাজশাহী বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের বিভিন্ন ত্রাণ সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলার জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
রাজশাহী জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৫০ হাজার ৩০০ হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ২ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ৫৫ হাজার ৭৯০ পরিবারের মাঝে ৭ কোটি ১০ লাখ ৫ হাজার ৫০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নওগাঁ জেলায় করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় সরকারের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত ২ লাখ ১৩ হাজার ৪৮৯ পরিবারকে মানবিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। এর মধ্যে ১৫ হাজার ২৫০ পরিবারের মাঝে ৩০৫ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। ২১ হাজার ৫৫১ পরিবারকে নগদ ২ কোটি ২১ লাখ ৮৭ হাজার ৫০০ টাকা প্রদান করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ৯৭ হাজার ৭৬০ পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৯৫ লাখ ১০ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ১০ টাকা কেজি দরে ১ লাখ ১৮ হাজার ৯২৮ পরিবারের মাঝে ১৭ হাজার ৭৯৪ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, করোনায় গবাদি পশুকে বাঁচিয়ে রাখতে এ জেলায় ১১ লাখ টাকা গো-খাদ্য হিসেবে বরাদ্দ পাওয়া গেছে এবং দরিদ্র খামারিদের মাঝে বিতরণ করা হচ্ছে ।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলায় নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৫ হাজার হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ১ লাখ ১৮ হাজার ৯৪ পরিবারের মাঝে ৫ কোটি ৩১ লাখ ৪২ হাজার ৩০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
নাটোর জেলায় করোনার মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বিভিন্ন হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৪৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা ১ লাখ ১৯ হাজার ৬০০ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৪৩ লাখ ৭৪ হাজার ৪০০ টাকা দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হচ্ছে। এছাড়া শিশু খাদ্য ও গো খাদ্য হিসেবে শাপলা করে মোট ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে।
বগুড়া জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা ৪০ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯ কোটি ৮৩ লাখ ৩৪ হাজার ৪৫০ টাকার ২ লাখ ১৮ হাজার ৫২১ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া গো খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে, যা অচিরেই বিতরণ হবে।
পাবনা জেলায় আজ জিআর (ক্যাশ) খাতে ৭ লাখ ৬২ হাজার টাকা ১ হাজার ৫৬২ জনের মাঝে এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে ৫১ লাখ ৯৭ হাজার ৫০ টাকা ১১ হাজার ৫৪৯ জনের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।
জয়পুরহাট জেলায় জিআর (ক্যাশ) খাতে ৪৪ লাখ ৫ হাজার টাকা ৯ হাজার ২০০ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে, যাতে উপকারভোগী ৩৬ হাজার ৮০০ জন।
সিরাজগঞ্জ জেলায় গতকাল ৮১ জনের মাঝে ৪৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে।
#
মারুফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০২ ঘণ্টা
তথ্যববিরণী নম্বর : ২১৩২তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৩১
কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে
শ্রম মন্ত্রণালয়ের নেয়া উদ্যোগ ভাল ভূমিকা রাখছে
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করে কারখানা পর্যায়ে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চত করতে এবং শ্রমিকদের মাঝে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে শ্রম মন্ত্রণালয়ের অধীন কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণের মাধ্যমে গৃহীত পদক্ষেপ ভাল ভূমিকা রাখছে।
করোনাকালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষায় শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে দেশের শ্রমঘন এলাকা ঢাকা, গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ এবং চট্টগ্রামের উপ-মহাপরিদর্শকদের গৃহীত পদক্ষেপ থেকে বিষয়টি জানা গেছে। কারখানার উৎপাদন সচল রাখতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তা, মালিক এবং শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত ২৩টি বিশেষ ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কমিটি নিরলস কাজ করছে।
কমিটির সদস্যগণ আইএলও এর সহযোগিতায় তৈরি করা পেশাগত স্বাস্থ্য সুরক্ষা নির্দেশিকা এবং সচেতনতা বৃদ্ধিমূলক পোস্টার কারখানা পর্যায়ে বিলি করছে। এর সাথে শ্রমিকদের মধ্যে স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধিতে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে আলোচনা করে শ্রমঘন এলাকায় মাইকিং এর ব্যবস্থা করেছেন।
করোনাকালীন শ্রমিকের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করে উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখতে মাঠ পর্যায়ে পদক্ষেপ সম্পর্কে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের গাজীপুরের উপ-মহাপরিদর্শক আহমেদ বেলাল জানান গাজীপুরে গার্মেন্টসসহ বিভিন্ন ধরনের কারখানায় প্রায় ৩১ লাখ শ্রমিক কাজ করেন। বিশাল সংখ্যক শ্রমিক কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতি পালনে নিজেরা সচেতন না হলে তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি মানানো বিরাট চ্যালেঞ্জ। করোনা সংক্রমণের প্রথম থেকেই প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান এবং সচিব কে এম আব্দুস সালাম এর নির্দেশ মোতাবেক স্থানীয় প্রশাসনের সাথে সমন্বয় করে শ্রমিকদের সচেতনতা বৃদ্ধিতে কাজ করছেন। মালিক শ্রমিকদের সাথে নিয়মিত আলোচনা করেন। এবিষয়ে মালিক-শ্রমিক সকলের সহযোগিতা পাচ্ছেন বলে জানান।
এ বিষয়ে ঢাকার উপমহাপরিদর্শক একে এম সালাউদ্দিন জানান ঢাকার শ্রমঘন এলাকা অনেক বড় বিশেষ করে সাভার আশুলিয়া এলাকার কারখানাগুলোতে লক্ষ লক্ষ লোক কাজ করেন। আমাদের পরিদর্শকগণ কারখানা পর্যায়ে করোনা সচেতনতায় বিরামহীন কাজ করছেন। শ্রমিকদের মাস্কপরা, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কাজ করার বিষয়ে মালিক শ্রমিক সকলকে উৎসাহ দিচ্ছেন, পোস্টার বিলি করছেন। শ্রমিকদের স্বাস্থ্যসেবা বিষয়েও গুরুত্ব দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম অঞ্চলের কারখানাগুলোতে শ্রমিকদের স্বাস্থ্য সচেতনতার বিষয়ে উপ-মহাপরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল শাকিব মোবাররাত জানান, কারখানা পর্যায়ে স্বাস্থ্যবিধি পালনে শ্রমিকরা আন্তরিক। শ্রম অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে নিয়ে করোনাকালীন বিশেষ শ্রম পরিদর্শনের ব্যবস্থা করছেন, লিফলেট বিতরণ করছেন। কারখানা মালিকগণও এ বিষয়ে বাস্তবমূখি পদক্ষেপ নেওয়ায় শ্রমিকদের মাঝে সংক্রমণ নেই। স্বাস্থ্য বিধি প্রতিপালনে শ্রমিকরাও আগের থেকে এখন অনেক সচেতন বলে জানান।
#
আকতারুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১৩০
বরিশাল বিভাগে করোনাকালীন সরকারি মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
বরিশাল বিভাগের কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ পরিস্থিতিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ মানবিক সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রয়েছে। এ বিভাগের বিভিন্ন জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা ও ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কার্যক্রমের আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ভোলা জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলা এ পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ১ হাজার ১৮৮টি পরিবার বা ৪ হাজার ১৬১ জনের মাঝে ৮ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ১৭৬টি পরিবার বা ৬১৬ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
বরগুনা জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবিলা এ পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৩৬১টি পরিবার বা ১ লাখ ৯ হাজার ৪৪৪ জনের মাঝে ১ কোটি ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ লাখ ৩০ হাজার ১২২টি পরিবার বা ৫ লাখ ২০ হাজার ৪৮৮ জানের মাঝে ৫ কোটি ৮৫ লাখ ৫৪ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৭টি পরিবার বা ২৮ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
ঝালকাঠি জেলায় কোভিড-১৯ মোকাবেলা এ পর্যন্ত নগদ অর্থ সহায়তা খাতে এ পর্যন্ত ৪ হাজার ৫৪৯টি পরিবার বা ১৯ হাজার ১৯৫ জনের মাঝে ২০ লাখ ৪৭ হাজার ৯৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ২ হাজার ৮৮ টি পরিবার বা ১০ হাজার ৪৪০ জনের মাঝে ২ লাখ ৮৬ হাজার ২০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ৩৩ টি পরিবার বা ৯৩ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
পিরোজপুর জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ২৮৪টি পরিবার বা ৯ হাজার ১৩৬ জনের মাঝে ৮ লাখ ৫৬ হাজার টাকা ত্রাণকার্য (নগদ অর্থ) বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তার অংশ হিসেবে ১ হজার ২টি পরিবার বা ৪ হাজার ৮ জনের মাঝে ৪ লাখ ৫০ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া ৩৩৩ এ কলের মাধ্যমে ২০ টি পরিবার বা ৮০ জনের মাঝে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
জেলাসমূহের জেলা তথ্য এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তার কার্যালয়ের প্রতিবেদনে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
#
জাহাঙ্গীর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২৯
খুলনা বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত জনগণের মাঝে ত্রাণ বিতরণ
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
কোভিড-১৯ মোকাবিলার অংশ হিসেবে আজ খুলনা বিভাগের চুয়াডাঙ্গা, যশোর, মাগুরা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর, সাতক্ষীরা ও নড়াইল জেলায় করোনায় কর্মহীন মানুষের মাঝে নগদ অর্থ ও খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
করোনা কালীন মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার মানবিক সহায়তা কার্যক্রমের অধীনে ত্রাণ বিতরণের অংশ হিসেবে চুয়াডাঙ্গার জেলা প্রশাসক মোঃ নজরুল ইসলাম সরকার আজ ১শত ৬০ জন মুচি, সেলুনের কর্মচারী, দিনমজুর, অসহায় ও দুস্থ শিল্পীকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন। এসময় প্রত্যেককে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ২ কেজি আলু, ১ কেজি পেয়াজ, ১লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি ও ১ প্যাকেট সেমাই প্রদান করা হয়।
নড়াইল জেলায় জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ১ শত ৫০ জন শ্রমিকের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। খাদ্যসামগ্রীর মধ্যে ছিলো চাল, আলু, ডাল ও তেল। নড়াইলের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন।
মাগুরা জেলা প্রশাসনের নিজস্ব বরাদ্দ হতে ২১ জন দুস্থ রিক্সা চালকের প্রত্যেককে পাঁচশত টাকার খাদ্যসামগ্রী এবং জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তর হতে ২ শত পরিবারের মধ্যে সাত কেজি চাল ও এক কেজি করে ডাল বিতরণ করা হয়।
কুষ্টিয়া জেলায় ২৮টি পরিবারের মাঝে ২৮ হাজার টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া, মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এক হাজার উপকারভোগী পরিবারের মাঝে চার লাখ টাকার খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
যশোর জেলায় এ পর্যন্ত ২৯ হাজার তিনশত ৭৭টি পরিবারের মাঝে এক কোটি ৪৬ লাখ ৮৮ হাজার পাঁচশত টাকার নগদ অর্থ এবং ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় এক লাখ ৫৫ হাজার তিনশত ৯৯টি পরিবারের মাঝে ছয় কোটি ৯৯ লাখ ২৯ হাজার পাঁচশত ৫০ টাকা নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে এক হাজার চারশত ২০টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে এ পর্যন্ত ত্রাণ হিসেবে পাঁচ হাজার পাঁচশত পরিবারের মাঝে ২৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়। ভিজিএফ কর্মসূচির আওতায় তিন হাজার পরিবারের মাঝে ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ বিতরণ করা হয়। এছাড়া ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে ২৫ টি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়।
খুলনা বিভাগের অন্যান্য জেলাতে অনুরূপ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে।
#
দীপংকর/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২৮
দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের কোন ছাড় নয়
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
দেশের মৎস্য সম্পদের উৎপাদন ব্যাহতকারীদের কোনো ছাড় না দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ রাজধানীর গুলশানে নৌ পুলিশ সদর দপ্তরে নৌ পুলিশ কর্মকর্তাদের সাথে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন সংক্রান্ত এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে মন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। নৌ পুলিশ এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করে।
নৌ পুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিতি ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব এস এম ফেরদৌস আলম, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজিগণ ও পুলিশ সুপারগণসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এসময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, “দেশের মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধির স্বার্থে যেভাবে যা করা দরকার, তা করবে সরকার। ইতোমধ্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ইলিশসহ অন্যান্য মৎস্য সম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধিতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। মাছের অভয়াশ্রম প্রতিষ্ঠা, বছরে ২২ দিন মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান পরিচালনা, প্রতিবছর নভেম্বর থেকে জুন পর্যন্ত আট মাস জাটকা ধরা নিষিদ্ধ করা এবং জাটকা সংরক্ষণে বিশেষ কম্বিং অপারেশনসহ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা, সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ ধরা নিষিদ্ধ করা, দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন কেন্দ্র হালদায় কার্প জাতীয় মা মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে মনটিরিং এর ব্যবস্থা গ্রহণ, কাপ্তাই হ্রদে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে মে-জুলাই মাসে মাছ ধরা বন্ধ করা ও পোনা অবমুক্ত করাসহ ৫ বছর মেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করাসহ নানা কার্যক্রম নেয়া হয়েছে। এছাড়া মাছ ধরা বন্ধ থাকাকালে ভিজিএফ সহায়তার পাশাপাশি জেলেদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টির ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের এসকল পদক্ষেপের কারণে মৎস্য উৎপাদনে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে। এ সাফল্যের পথে কেউ বাধা সৃষ্টি করতে চাইলে তাদের ছাড় দেয়া হবে না, কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ ও উন্নয়নে দায়িত্ব পালনের জন্য নৌ পুলিশ সদস্যদের এসময় আন্তরিক ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী এবং একইসাথে এ ভূমিকা আরো প্রসারিত করার অনুরোধ জানান তিনি।
#
ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২১২৭
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
ঢাকা, ২২ বৈশাখ (৫ মে) :
চট্টগ্রাম বিভাগে করোনা মহামারিতে ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীর মাঝে বিভিন্ন সরকারি সহায়তা ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পুরোদমে অব্যাহত রয়েছে। চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা, ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা, শিশু খাদ্য ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ নগদ সহায়তা, ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা প্রভৃতি কর্মসূচির আওতায় গরিব, অসহায়, দুস্থ দিনমজুরসহ হতদরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে এসব ত্রাণ বিতরণ করা হয়।
চট্টগ্রাম জেলায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে কোভিড-১৯ দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৮৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ৪০,২৯২ দুস্থ পরিবারের মাঝে ২ কোটি ১৪ লাখ ৫৮ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার সুফল ভোগ করেছে ২,০১,৪৬০ জন প্রান্তিক, কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৮ কোটি ২৩ লাখ ৬৩ হাজার ৯৫০ টাকা। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৬৫ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৫ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় এ পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১৩৯০টি পরিবার।
কক্সবাজার জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ১০ লাখ ৭৭ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৩৫ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৭ কোটি ৮৬ লাখ ২৭ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৪৫ লাখ ৮৮ হাজার ৯০০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে মোট ১,৫৭,৩৩১টি প্রান্তিক পরিবার ও ৭,২৩,০৩০ জন মানুষ। তাছাড়া এ জেলায় ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ৭৩৫টি পরিবার। জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
রাঙ্গামাটি জেলায় জিআর(ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৫৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যবধি ১ কোটি ১৭ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ২৩,৪০০ পরিবার ও ৮১,৯৯০ জন প্রান্তিক কর্মহীন মানুষ। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জেলায় বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার ৯০০ টাকার মধ্যে এ যাবৎ ২১,৮০০ দরিদ্র পরিবারের মাঝে ৯৮ লাখ ১০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ১০ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে।
খাগড়াছড়ি জেলায় নগদ অর্থ সহায়তা (জিআর ক্যাশ) খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ২৬ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ১৭,৭৮৮টি কর্মহীন পরিবারের মাঝে ৯৩ লাখ ৪২ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪৯ লাখ ২৫ হাজার ১৫০ টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৩৬ লাখ ৪৮ হাজার ৪৫০ টাকা ৮,০৫৩ টি দুস্থ অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া জেলাটিতে শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ০৮টি পরিবার।
বান্দরবান জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৯৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ৬৬ লাখ টাকা ১৩,২০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে জেলাটিতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ২ কোটি ৬৫ লাখ ৮৬ হাজার ৯০০ টাকা যার মধ্যে এ যাবৎ ২২,০৪৪টি দুস্থ পরিবারের মাঝে ৯৯ লাখ ১৯ হাজার ৫৭৫ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৭ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ইতোমধ্যে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে ১৩২টি পরিবার। তাছাড়া জেলাটিতে ১৪২৮টি অসহায় দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১৪২৮ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে।
পাতা-২
লক্ষ্মীপুর জেলায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সরকার কর্তৃক মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার মধ্যে অদ্যবধি ২০,২০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১ কোটি ৫২ লাখ ৫০ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় ভিজিএফ সহায়তা (নগদ) অর্থ খাতে বরাদ্দকৃত ৩ কোটি ৩৭ লাখ ৭৬ হাজার ৫৫০ টাকার পুরোটাই ইতোমধ্যে দুস্থ, অসহায় পরিবারের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ ১৩ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যা শীঘ্রই বিতরণ করা হবে।
নোয়াখালী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ২ কোটি ৫৮ লাখ টাকার মধ্যে এ পর্যন্ত ২১,০০০ প্রান্তিক অসহায় পরিবারের মাঝে ১ কোটি ০৫ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে এ জেলায় বরাদ্দ দেয়া হয়েছে ৭ কোটি ৫৪ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫০ টাকা যার মধ্যে অদ্যাবধি ১৬,০০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে ৭২ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১০৯টি পরিবার। তাছাড়া জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৯ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ৯ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
ফেনী জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৪১ লাখ ৭৫ হাজার টাকার মধ্যে ২ লাখ টাকা বিভিন্ন দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ১ কোটি ৬৫ লাখ ৬০ হাজার টাকার মধ্যে অদ্যাবধি ২০ লাখ ০৮ হাজার ৭৫০ টাকা বিতরণ করা হয়েছে যার ফলে উপকৃত হয়েছে ৩৬,৮০০টি প্রান্তিক হতদরিদ্র পরিবার। ফেনী জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকা ইতোমধ্যে ৬০০ দুস্থ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ জেলায় বরাদ্দকৃত ৬ লাখ টাকার বিতরণ প্রক্রিয়া অচিরেই শুরু হবে। তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ১০০টি পরিবার।
কুমিল্লা জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ খাতে বরাদ্দকৃত ৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকার মধ্যে ১ কোটি ৩৬ লাখ ৫০ হাজার টাকা এবং ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৮ কোটি ৬০ লাখ ১৩ হাজার টাকার মধ্যে ৭৬ লাখ ৫২ হাজার ৭০০ টাকা মোট ৪৪,৩০৬টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে অদ্যাবধি বিতরণ করা হয়েছে। জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় বাবদ ৪২ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় বাবদ আরো ১৭ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে যার বিতরণ প্রক্রিয়া শীঘ্রই শুরু হবে।তাছাড়া ৩৩৩ হেল্পলাইনের মাধ্যমে জেলায় ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে আরো ২৬০০ পরিবার।
চাঁদপুর জেলায় জিআর (ক্যাশ) নগদ অর্থ সহায়তা খাতে ২ কোটি ৭২ লাখ ২৫ হাজার টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে যার মধ্যে এ পর্যন্ত ২ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ৪৭,৬০০টি প্রান্তিক দরিদ্র পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলায় ভিজিএফ আর্থিক সহায়তা খাতে বরাদ্দকৃত ৪ কোটি ৫৫ লাখ ৫১ হাজার ২৫০ টাকা ১,০১,২২৫ টি দুস্থ ও অসহায় পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে। তাছাড়া এ জেলায় শিশু খাদ্য ক্রয় খাতে ৮ লাখ টাকা ও গো-খাদ্য ক্রয় খাতে আরো ৮ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।
&am