Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৯১৩

 

ক্যাশে লেনদেন কমাতে পারলে আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব

                                                               -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমে্‌দ পলক  সরকার ক্যাশলেস সোসাইটি তৈরিতে কাজ করছে উল্লেখ করে বলেছেন, ক্যাশে লেনদেন কমাতে পারলে দুর্নীতি, অনিয়ম কমিয়ে আনাসহ আর্থিক খাতের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকার স্থানীয় এক হোটেলে সোনালী ব্যাংকের হিসাব এবং বিকাশ একাউন্টের  মধ্যে লিংক স্থাপনের  মাধ্যমে লেনদেন কার্যক্রমের  উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ইন্টার অপারেটর ট্রানজেকশন প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে গ্রাহকদের কস্ট, ভিজিট এবং সময় সাশ্রয় হবে।

 

          পলক বলেন, ডিজিটাল আর্থিক লেনদেনের সেবাগুলো সাধারণ মানুষকে করোনাকালীন সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় আরো বেশি সক্ষমতা দিয়েছে। একই সঙ্গে এই সেবার গুরুত্ব এবং উপযোগিতাকে আরো স্পষ্ট করে বুঝিয়ে দিয়েছে। বৃহত্তম দুটি সরকারি-বেসরকারি আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এমন যৌথ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে আর্থিক অর্ন্তভুক্তি সহ সব ধরনের ডিজিটাল আর্থিক সেবা নিশ্চিত করার পথকে আরো সুগম করলো বলে তিনি জানান।

 

          পলক আরো বলেন, সারাদেশের সোনালী ব্যাংকের  সব গ্রাহকের লেনদেন এবার হবে বিকাশে। কেননা, এখন থেকে বিকাশ গ্রাহক ব্যাংক একাউন্ট থেকে ‘ট্রান্সফার মানি’ ও ‘অ্যাড মানি’ করতে পারবেন বিকাশ অ্যাপের মাধ্যমে।

 

          প্রতিমন্ত্রী ডিজিটাল লেনদেনে আর্থিক প্রণোদনা দেয়ার  জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

 

          সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আতাউর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিষয়ক সিনিয়র সচিব আসাদুল ইসলাম, সোনালী ব্যাংক চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান সিদ্দিকী এবং বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা সিইও কামাল কাদির।

 

#

 

শহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২২৫০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৯১২

বিশ্বের তরুণ ও যুব সমাজকে কুরআন তিলাওয়াত ও অধ্যয়নের  প্রতি আহ্বান ধর্ম প্রতিমন্ত্রীর

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          ধর্ম প্রতিমন্ত্রী মোঃ ফরিদুল হক খান বলেছেন, ‘পবিত্র কুরআনুল কারীম’ মানব জাতির হেদায়েত, কল্যাণ, শান্তি ও পরকালীন মুক্তির নির্দেশনা। প্রিয়নবী (সা.) ছিলেন এ পবিত্র গ্রন্থের প্রথম তিলাওয়াতকারী ও মহান শিক্ষক। এ পবিত্র কুরআনের তিলাওয়াত মানুষের আত্মশুদ্ধি ঘটায় এবং তাদেরকে মানুষ হিসেবে উচ্চতর মর্যাদায় আসীন করেন। তাই বিশ্বের তরুন ও যুব সমাজকে বেশি বেশি পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত  ও অধ্যয়নে মনোযোগী হতে হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ইসলামিক ফাউন্ডেশন বায়তুল মুকাররম মিলনায়তনে ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিট্যাল ঢাকা ২০২০ উপলক্ষে পবিত্র কুরআন তিলাওয়াত প্রতিযোগিতার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুষ্ঠিত কুরআন তিলাওয়াত, তাফসীর ও হিফজ প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ সবসময় শীর্ষস্থান লাভ করে দেশকে বিশ্ব দরবারে গৌরবোজ্জ¦ল করছে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীতে বাংলাদেশেই সর্বাধিক মসজিদ, মাদ্রাসা, মক্তব, হাফেজ, আলেম ও দীনের প্রচারক রয়েছে। দেশের আলেম - হাফেজগণের উন্নয়নে বর্তমান সরকার বহুমুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। ইতোমধ্যে বেসরকারি সকল  মাদ্রাসাকে  সরকারি স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে। বাংলাদেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় নিজস্ব অর্থায়নে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র প্রতিষ্ঠার কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। যেখানে হিফজুল কুরআনের ব্যবস্থাও রয়েছে।

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেন, দেশের তরুণ সমাজ ইসলাম ধর্ম সম্পর্কে সচেতন। এই প্রতিযোগিতা আয়োজনের মাধ্যমে ইসলামের সুমহান শিক্ষা অর্জনে তরুণ সমাজ অনেক বেশি অনুপ্রাণিত হবে। এই আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় আমাদের দেশের প্রতিযোগীরা অংশগ্রহণ করে বরাবরের মতই শীর্ষস্থান অধিকার করে দেশের জন্য সম্মান বয়ে আনবে। 

          ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ নূরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গভর্ণরস এর গভর্ণর ড. মাওলানা মোহাম্মদ কাফিলুদ্দিন সরকার, ওংষধসরপ ঈড়ড়ঢ়বৎধঃরড়হ ণড়ঁঃয ঋড়ৎঁস (ওঈণঋ) এর সভাপতি তাহা আয়হান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সচিব সাব্বির আহমেদ চৌধুরী, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আখতার হোসেন প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বিশিষ্ট ওলামায়ে কেরাম উপস্থিত ছিলেন। 

#

আনোয়ার/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৯১১

 

কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণসহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে সভা অনুষ্ঠিত

জামানতের বিকল্প হিসেবে কৃষি কার্ড ও কৃষি বিভাগের প্রত্যয়নপত্রের ওপর গুরুত্বারোপ

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

          কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক ঋণ সহায়তা বৃদ্ধির বিষয়ে সভা আজ ঢাকায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কৃষকদের প্রাতিষ্ঠানিক কৃষিঋণ সহায়তা কীভাবে বৃদ্ধি করা যায়, বিশেষ করে, প্রান্তিক কৃষকদের কাছে ঋণসুবিধা কীভাবে আরো বেশি পৌঁছে দেয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম।

 

          আলোচনায় প্রকৃত ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের ঋণপ্রাপ্তি সহজলভ্য করতে ডিএই, বিএডিসি ও কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের বিভিন্ন কর্মসূচি ও প্রকল্পের আওতায় যেসব ‘কৃষক গ্রুপ’ রয়েছে, তাদের সাথে ব্যাংকের সংযোগ বৃদ্ধি; মাঠ দিবস উদযাপন ও কৃষক প্রশিক্ষণের মডিউলে ‘কৃষিঋণ’ বিষয়কে অন্তর্ভুক্তকরণ ও স্থানীয় ব্যাংক কর্মকর্তাদেরকে প্রশিক্ষণে আমন্ত্রণ এবং দেশে কৃষিঋণের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণে সমীক্ষা পরিচালনার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।

 

          কৃষিঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে জামানতের পরিবর্তে ‘কৃষি কার্ড’ বা স্থানীয় পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের ‘প্রত্যয়নপত্র’কে আমলে নেয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। এছাড়া, কৃষিঋণ বিতরণের পরিসংখ্যানকে ঢেলে সাজিয়ে এর সাথে শস্য, কৃষকশ্রেণি ও অঞ্চলভিত্তিক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে কৃষিঋণ বিতরণের পরিসংখ্যান প্রণয়নের ওপরও গুরুত্বারোপ করা হয়। 

 

          কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রুহুল আমিন তালুকদারের সঞ্চালনায় সভায় কৃষি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোঃ নাসিরুজ্জামান, বিএডিসির চেয়ারম্যান (সম্প্রতি সচিব হিসেবে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পদোন্নতিপ্রাপ্ত) মোঃ সায়েদুল ইসলাম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ হাসানুজ্জামান কল্লোল, কৃষি সম্পরসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহ, কৃষি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, রাজশাহী উন্নয়ন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষিঋণ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

 

          সভায় জানানো হয়, দেশে ক্রমশ কৃষিঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০০১ সালে কৃষিঋণ বিতরণ লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩ হাজার ২০ কোটি টাকা যা বৃদ্ধি পেয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকা হয়েছে। কিন্তু ব্যাংকগুলো প্রদত্ত মোট ঋণের অনুপাতে কৃষিঋণের পরিমাণ কমেছে। ২০০১ সালে মোট ঋণের ৪ দশমিক ৬৮ শতাংশ ছিল কৃষিঋণ যা কমে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২ দশমিক ৬ শতাংশে  দাঁড়িয়েছে।

 

          সভায় আরো জানানো হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী, চলমান অর্থবছরে জানুয়ারি ২১ পর্যন্ত  মোট কৃষিঋণ ২৬ হাজার ২৯২ কোটি টাকার মধ্যে ১৪ হাজার ১৪৮ কোটি টাকা বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া, ৫ হাজার কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনার মধ্যে এখন পর্যন্ত  ৩ হাজার ৫১৪ কোটি টাকা বিতরণ হয়েছে।

#

 

কামরুল/রোকসানা/মাসুম/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১২০ ঘণ্টা  

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর : ৯১০

পুস্তকশিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে

                                            -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, পুস্তকশিল্প এমন একটি শিল্প যেটি জাতিকে আলোকিতকরণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। সৃজনশীল এ শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে সম্ভাব্য সবকিছুই করা হবে। বর্তমান সরকার করোনা মহামারিকালে অর্থনীতির বিভিন্ন ক্ষেত্রে ১ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকার বেশি প্রণোদনা প্রদান করছে। পুস্তকশিল্পকে এ প্রণোদনার আওতায় আনার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে বাংলাদেশ ব্যাংকে চিঠি দেয়া হবে। এছাড়া সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় হতে সরকারিভাবে পুস্তক ক্রয়ের অর্থ ৪ কোটি টাকা থেকে ১০ কোটি টাকায় বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। সম্ভব হলে উপযোজন করে মন্ত্রণালয়ের অব্যয়িত অর্থ হতেও পুস্তক ক্রয়ের ব্যবস্থা করা হবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাবাজারে বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি (বাপুস) কার্যালয়ে ‘বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গ্রন্থতালিকা’ -এর প্রকাশনা উৎসবে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          কে এম খালিদ বলেন, বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি পুস্তকশিল্প খাতে প্রতিনিধিত্বকারী দেশের বৃহত্তম সংগঠন। দেশের শিক্ষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও কৃষ্টির উন্নয়নে শতবর্ষী এ সংগঠনের ব্যাপক ভূমিকা রয়েছে। প্রতিমন্ত্রী এসময় বাপুস'কে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন এবং  মানসম্পন্ন বই প্রকাশ ও বিক্রয়ের আহ্বান জানান।

          বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সভাপতি আরিফ হোসেন ছোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন সমিতির উপদেষ্টা ওসমান গণি, সাবেক সভাপতি আলমগীর সিকদার লোটন, সিনিয়র সহ-সভাপতি কায়সার-ই-আলম প্রধান, সহ-সভাপতি শ্যামল পাল এবং রাজধানী শাখার সভাপতি মাজহারুল ইসলাম।

#

ফয়সল/রোকসানা/মাসুম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২১৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৯০৯

 

দেশে পৌঁছেছে আকাশ তরী

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

          বাংলাদেশ ও কানাডা সরকারের মধ্যে জিটুজিভিত্তিতে ক্রয় করা ৩টি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজের ২য় উড়োজাহাজ আজ দেশে পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই উড়োজাহাজের নাম রেখেছেন ‘আকাশ তরী’।

 

          বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে উড়োজাহাজটি গ্রহণ করেন। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোকাম্মেল হোসেন, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চেয়ারম্যান মোঃ সাজ্জাদুল হাসান, বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মোঃ মফিদুর রহমান ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মোকাব্বির হোসেন প্রমুখ।

 

          উড়োজাহাজটি গ্রহণের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরকে আধুনিকায়ন করার জন্য কাজ করছেন। তার অংশ হিসেবেই নতুন উড়োজাহাজ ‘আকাশ তরী’ আজ দেশে এসেছে।  আগামী ৪ মার্চ তৃতীয় ড্যাশ-৮  উড়োজাহাজটি দেশে এসে পৌঁছাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা ও তত্ত্বাবধানে ইতোমধ্যেই বিমানের বহরে সম্পূর্ণ নতুন ও অত্যাধুনিক ১৩টি নিজস্ব উড়োজাহাজ যুক্ত হয়েছে। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে এই ড্যাশ- ৮ উড়োজাহাজগুলো যুক্ত হওয়ার ফলে বিমান তার অভ্যন্তরীণ ও স্বল্প দূরত্বের  আন্তর্জাতিক রুটগুলোতে ফ্লাইট ফ্রিকোয়েন্সি বৃদ্ধি করবে। একই সাথে যাত্রীদের আরো উন্নত ইন-ফ্লাইট সেবা প্রদান করা সম্ভব হবে।

 

          কানাডার বিখ্যাত এয়ারক্রাফট নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডি হ্যাভিল্যান্ড নির্মিত অত্যাধুনিক নতুন ড্যাশ ৮-৪০০ চুয়াত্তর সিট সংবলিত উড়োজাহাজ। পরিবেশবান্ধব এবং অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধা সমৃদ্ধ এ উড়োজাহাজে রয়েছে হেপা (HEPA) ফিল্টার প্রযুক্তি যা মাত্র ৪ মিনিটেই ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাসসহ অন্যান্য জীবাণু ধ্বংসের মাধ্যমে উড়োজাহাজের অভ্যন্তরের বাতাসকে সম্পূর্ণ বিশুদ্ধ করে যা সম্মানিত যাত্রীগণের যাত্রাকে করে তোলে অধিক সতেজ ও নিরাপদ। এছাড়া এ উড়োজাহাজে বেশি লেগস্পেস, এল ই ডি লাইটিং এবং প্রশস্ত জানালা থাকার কারণে ভ্রমণ হয়ে উঠবে অধিক আরামদায়ক ও আনন্দময়।

 

          বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের নতুন উড়োজাহাজটি বহরে যুক্ত হওয়ার পর উড়োজাহাজের সংখ্যা হবে ২০টি । তন্মধ্যে ১৫টি নিজস্ব এবং ৫টি লিজ। নিজস্ব ১৫টির মধ্যে বোয়িং৭৭৭-৩০০ ইআর ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৮ ৪টি, বোয়িং ৭৮৭-৯ ২টি, বোয়িং ৭৩৭ ২টি এবং ড্যাশ-৮ ৩টি।

 

#

 

তানভীর/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর :  ৯০৮

 

খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

          বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

 

          যুক্তরাষ্ট্রে সফররত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায়  বলেন, খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ ছিলেন  অত্যন্ত সৎ ও দৃঢ়চিত্তের অধিকারী। তাঁর মৃত্যুতে  দেশ ব্যাংকিং ও আর্থিক সেক্টরের একজন বিশিষ্ট চিন্তাবিদকে হারালো।  তাঁর অবদান বাঙালি জাতি চিরকাল স্মরণ রাখবে।

 

          ড. মোমেন মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

#

 

তৌহিদুল/রোকসানা/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২১২৫ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                            নম্বর :  ৯০৭

 

দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমি ২৪ শতাংশে উন্নীত করা হবে

                                 -- পরিবেশ ও বন মন্ত্রী

 

বাহুবল (হবিগঞ্জ), ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি):

 

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, ২০৩০ সালের মধ্যে দেশে বৃক্ষাচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ ২৪ শতাংশে উন্নীত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে সরকার। গ্রামে-গঞ্জে, রাস্তার পাশের যেকোনো খোলা জায়গায় গাছ লাগিয়ে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে। মন্ত্রী বলেন, সকলের সহযোগিতায় ২০৩০সালের মধ্যেই টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবে বাংলাদেশ।

 

          আজ হবিগঞ্জের বাহুবল উপজেলার জয়পুরে শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর পূণ্যতীর্থ শ্রী শ্রী শচী অঙ্গনধামের ৪০তম বার্ষিক উৎসবের উদ্বোধন ও দাতাশ্রী সম্মান সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

          পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, সকল ধর্ম, বর্ণ, সম্প্রদায়ের মানুষ পরস্পর মিলে মিশে থাকলে, পরস্পরের বিপদে-আপদে পাশে দাঁড়ালে শান্তিময় পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ঐতিহ্যগতভাবে অসাম্প্রদায়িক এই বাংলাদেশে সকল ধর্মের মানুষের সৌহার্দ্যপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করে শান্তিময় পরিবেশ সৃষ্টিতে কাজ করছে সরকার। সকল ধর্মপালনে বিভিন্নভাবে সহায়তা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, নিজ নিজ ধর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে নিরহংকারী ও বিনয়ী হতে হবে, সবাইকে সম্মান দিতে হবে। সকল মানুষকে সমানভাবে দেখতে হবে। তবেই সমাজটাও হয়ে উঠবে সুন্দর ও শান্তিময়।

 

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য গাজী মোহাম্মদ শাহনওয়াজ, বাহুবল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান সৈয়দ খলিলুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্নিগ্ধা তালুকদার, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মহসিন আল মুরাদ, গোপালগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নীতিশ রায় এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সুব্রত পুরকায়স্থ প্রমুখ। প্রফেসর নিখিল ভট্টাচার্য্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভাটি পরিচালনা করেন উৎসব কমিটির সাধারণ সম্পাদক ভোরের কাগজের সাংবাদিক অভিজিৎ ভট্টাচার্য্য।

 

#

 

দীপংকর/রোকসানা/নাইচ/সঞ্জীব/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৯০৬

বাংলাদেশ থেকে ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ আমদানি করতে ভুটানের আগ্রহ

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          বাংলাদেশ ভুটানের পরীক্ষিত বন্ধুই নয়, গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যিক অংশীদার। বাংলাদেশ ভুটানের আধ্যাত্মিক ঐতিহ্যের একটি বড় উৎস। ভুটান বাংলাদেশ থেকে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট আমদানি করার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সাথে আজ ভার্চুয়াল আলোচনায় বাংলাদেশে ভুটানের রাষ্ট্রদূত রিনচেন কুয়েনতসি এ আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেছেন। ভুটানে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যান্ডইউথ রপ্তানির ব্যাপারে মন্ত্রী সম্ভাব্য সবধরনের সহযোগিতা প্রদানে আশ্বাস ব্যক্ত করেন।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বাংলাদেশ ও ভূটানের মধ্যকার বিদ্যমান চমৎকার বন্ধুপ্রতীম সম্পর্ক অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও ঐতিহাসিক বলে উল্লেখ করেন। তিনি মহান মুক্তিযুদ্ধে ভুটানের সহযোগিতা এবং স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বীকৃতি প্রদানকারী দেশ হিসেবে ভুটানের ভূমিকা তুলে ধরেন এবং ভুটানের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

          মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ও ভুটানের ভূপ্রকৃতি, ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং জীবনধারা প্রায় এক ও অভিন্ন। তিনি দেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে বাংলাদেশের অগ্রগতি তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশে পৃথিবীর যে কয়টি দেশ এগিয়ে বাংলাদেশ তার মধ্যে অন্যতম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা’র দূরদৃষ্টিসম্পন্ন  ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বিশ্বে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          মোস্তাফা জব্বার বলেন, আমরা দেশের প্রতিটি ইউনিয়নে ডিজিটাল সংযোগ পৌঁছে দিয়েছি। দেশের প্রতিটি গ্রামে সংযোগ পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ বাংলাদেশ এখন রপ্তানি করছে। রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যকার ঐতিহাসিক সম্পর্ককে আগামী দিনগুলোতে অনন্য এক উচ্চতায় উপনীত করতে তার প্রচেষ্টার কথা ব্যক্ত করেন। তিনি বাংলাদেশের ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের অব্যাহত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।

#

শেফায়েত/রোকসানা/মাসুম/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২১/২০৪৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৯০৫

পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দলের নেতৃত্বে এলে শেখ হাসিনার হাত আরো শক্তিশালী হবে

                                                                             -- তথ্যমন্ত্রী

পাবনা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দলের নেতৃত্বে এলে শেখ হাসিনার হাত আরো শক্তিশালী হবে। 

          মন্ত্রী আজ পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন। উপজেলার ওয়াজি উদ্দিন পৌর মিলনায়তনে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

          মন্ত্রী বলেন, 'ক্ষমতায় থাকলে নেতাকর্মীদের মধ্যে যদি আলস্য এসে যায়, সেটা হতে দেয়া যাবে না। পিঠ বাঁচাতে এবং সহজে টাকা আয় করতে অনেকেই আসবে, তাদের দরকার নাই। পরীক্ষিত নেতাকর্মীরা দলের নেতৃত্বে আসবে। তাহলে শেখ হাসিনার হাত আরো শক্তিশালী হবে।'

          নেতাকর্মীদের 'বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একটি সৃষ্টিশীল সংগঠনের নাম' স্মরণ করিয়ে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, 'এই সংগঠনের নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে। বঙ্গবন্ধু প্রাণ বাজী রেখে সংগ্রাম করে স্বাধীনতা এনেছেন। বঙ্গবন্ধু শুধু স্বাধীনতাই চাননি, চেয়েছিলেন উন্নত দেশ গড়তে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট তাকে হত্যা করায় সেই স্বপ্ন তিনি বাস্তবায়ন করতে পারেননি। আজ বঙ্গবন্ধুর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে দিবানিশি কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।' 

          শেখ হাসিনার যাদুকরি নেতৃত্বের কারণে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সরকারের পদক্ষেপগুলো বিশ্বব্যাপী প্রশংসিত উল্লেখ করে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, করোনার টিকা এখনও অনেক রাষ্ট্র পায়নি। বাংলাদেশ টিকা সংগ্রহে অনেক দেশের চাইতে এগিয়ে। আর বাস্তবতা হলো, সমালোচনা করলেও বিএনপির নেতারা নিজেরাই টিকা নিচ্ছেন।' 

          ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ খলিলুর রহমান খলিলের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফুল কবীরের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল, কার্যকরী সদস্য কবিতা জাহান কবিতা, পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপি, শামসুল হক টুকু এমপি, মোঃ মকবুল হোসেন এমপি, আহমেদ ফিরোজ কবীর এমপি, নুরুজ্জামান বিশ্বাস এমপি, নদিরা ইয়াসমিন জলি এমপি, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লাল প্রমুখ। 

          সকালে সড়কপথে পাবনার ফরিদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যাওয়ার পথিমধ্যে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ সিরাজগঞ্জে পশ্চিমাঞ্চল গ্যাস ফিল্ডের রেস্ট হাউসে যাত্রাবিরতিকালে স্থানীয় প্রশাসন, জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ তথ্যমন্ত্রীকে স্বাগত জানান।

#

আকরাম/রোকসানা/মাসুম/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৯০৪

 

বন্দরের জায়গা অবৈধভাবে দখল করার সুযোগ নেই

                                 -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

চট্টগ্রাম, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

           নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, চট্টগ্রাম বন্দরকে আধুনিক বন্দর হিসেবে গড়ে তুলতে এবং বিশ্বায়নের সাথ আরো ভালভাবে যুক্ত হতে বন্দরকে পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বন্দরের জায়গা অবৈধভাবে দখল করার সুযোগ নেই। যারা অবৈধভাবে দখল করে ফায়দা লুটছে, তাদের তালিকা হচ্ছে। চিহ্নিত অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে। উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। সরকার ও চট্টগ্রামবাসী চায় চট্টগ্রাম বন্দর আধুনিক হোক, বিশ্বায়নের সাথে আরো  যুক্ত হোক। কন্টেইনার হ্যান্ডলিংয়ের অবস্থান

৫৮ তম স্থান থেকে আরো উন্নত হোক।

          প্রতিমন্ত্রী আজ  চট্টগ্রামে শাহ আমানত বিমান বন্দরে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন। তিনি আগামীকাল অনুষ্ঠেয় চট্টগ্রাম মেরিন একাডেমির মুজিববর্ষ গ্র্যাজুয়েশন প্যারেডে যোগ দিতে চট্টগ্রামে এসেছেন।

          চট্টগ্রাম বন্দরের লালদিয়া এলাকায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো বন্দরের নিকট এত জনবসতি নেই এবং বন্দর দিয়ে এত লোক চলাচল করে না।

          এ সময় অন্যদের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এম শাহজাহান উপস্থিত ছিলেন।

#

জাহাঙ্গীর/রোকসানা/মাসুম/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৯০৩

 

প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধির প্রবণতা পরিহার করতে হবে

                                     -- সমাজকল্যাণমন্ত্রী

 

ঢাকা, ১১ ফাল্গুন (২৪ ফেব্রুয়ারি) :

          সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ বলেছেন, উন্নয়ন প্রকল্প নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে হবে। নির্দিষ্ট মেয়াদের পর প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি যথাসম্ভব পরিহার করতে হবে। আজ সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)ভুক্ত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন অগ্রগতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী মোঃ আশরাফ আলী খান খসরু ও সমাজকল্যাণ সচিব বেগম মাহফুজা আখতার উপস্থিত ছিলেন।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যাশানুযায়ী সুবিধা বঞ্চিত মানুষের নিকট সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সেবা সঠিকভাবে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করতে হবে।

          বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিসমূহ বাস্তবায়নে গতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে মন্ত্রী বলেন, গুণগত মান বজায় রেখে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে হবে। প্রকল্পের অগ্রগতি কাক্সিক্ষত মাত্রায় নির্ধারিত সময়ে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কর্মপরিকল্পনা প্রস্তুত করতে হবে। বিষয়টি মন্ত্রণালয়কে নিয়মিত মনিটরিং করতে হবে। মন্ত্রণালয় ও সংস্থার যৌথ অর্থে বাস্তবায়িত প্রকল্পের ক্ষেত্রে সংস্থার অর্থ নির্ধারিত ব্যাংক হিসাবে জমা রাখতে হবে এবং বিধি মোতাবেক সঠিকভাবে ব্যয় নিশ্চিত করতে হবে।

          মন্ত্রী বলেন, আর্থসামাজিক উন্নয়ন প্রকল্পের পাশাপাশি বাস্তবায়নকারী দপ্তর ও সংস্থার সক্ষমতা বৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়ন ও সংস্কার এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রকল্প গ্রহণ করতে হবে। সকল প্রকল্প কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রী সবাইকে সজাগ থাকার নির্দেশনা দেন।

          সভায় সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী প্রকৃত উদ্দেশ্য বজায় রেখে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানান।

#

জাকির/রোকসানা/মাসুম/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০১০ঘণ্টা

তথ

2021-02-24-22-52-921907543003057aa42ece95717bb226.docx