Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তথ্যবিবরণী ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর: ২৭০১

 

প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত

                               -- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা

 

রাজেন্দ্রপুর (গাজীপুর), ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার বলেছেন, একটি শিশুর দ্বিতীয় জন্মের সূচনা হয় প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাক্ষরতা গ্রহণের মাধ্যমে, তাই প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নই আমাদের লক্ষ্য হওয়া উচিত।

 

উপদেষ্টা আজ গাজীপুরের রাজেন্দ্রপুরে ব্র্যাক সিডিএম অডিটরিয়ামে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর আয়োজিত ‘প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৫ এর ডিজাইনিং সংক্রান্ত ওয়ার্কশপ’ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় আরো বলেন, যেহেতু আমাদের রিসোর্স অপ্রতুল, সেহেতু আমাদের দেখতে হবে স্বল্প খরচে কীভাবে শিশুদের শিক্ষার মান উন্নয়ন করা যায়।

 

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঢাকা বিভাগের বিভাগীয় উপ-পরিচালক মোহাম্মদ আলী রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পিইডিপি-৪এর অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোহাম্মদ আতিকুর রহমান ও পিইডিপি-৪এর উপ-পরিচালক মোঃ ফরহাদ আলম।

 

এর আগে উপদেষ্টা গাজীপুরে বর্থা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং পূর্ব বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন এবং শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলেন।

 

#

 

জাহাঙ্গীর/পবন/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৫/২২০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ২৭০০

মরিশাসের রাষ্ট্রপতির সাথে বাংলাদেশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ

 পোর্ট লুইস, (১২ ফেব্রুয়ারি):

          আজ স্টেট হাউসে মরিশাস প্রজাতন্ত্রের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রপতি ধরমবীর গোখুল (Dharambeer Gokhool) এর সাথে মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ সাক্ষাৎ করেছেন। রাষ্ট্রপতি হাইকমিশনারকে তার অফিসে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান। উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। দু’দেশের সম্পর্কের উন্নয়ন, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, পর্যটন, শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগ সম্পর্কিত বিষয়গুলোর মধ্যে বিনিময় ও সহযোগিতা গভীরতর করার বিষয়ে মতবিনিময় করেন। তারা দু’দেশের মধ্যে শক্তিশালী দ্বিপাক্ষিক কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।

          হাইকমিশনার আন্তরিক সহযোগিতার জন্য মরিশাস সরকারকে তার কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি তার মেয়াদকালে দুই দেশের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দৃঢ়করণে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতার ক্ষেত্রকে নতুন পর্যায়ে উন্নীতকরণের সর্বোচ্চ চেষ্টা  চালিয়ে  যাওয়ার  প্রত্যয়  ব্যক্ত করেন। হাইকমিশনার আহাদ বাংলাদেশের বর্তমান পরিস্থিতি এবং ৩৬ জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন। উভয়ই সৌহার্দপূর্ণ পরিবেশে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা করেন। রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশের সাথে মরিশাসের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের প্রক্রিয়াধীন থাকা সমঝোতা স্মারক/চুক্তি চূড়ান্ত করার জন্য বাংলাদেশ হাইকমিশনের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হাইকমিশনারের সাথে সম্মত হন। রাষ্ট্রপতি আন্তরিকতার সাথে প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে ১৯৭৫ সালে দিল্লিতে তার ছাত্রজীবন থেকে স্মরণ করেন এবং তার সম্পর্কে উচ্চ ধারণা পোষণ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের সৃজনশীল কর্মকাণ্ড তখন থেকেই তার কাছে খুবই পরিচিত।

          দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে এক অনন্য মাত্রায় উন্নীত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টার আশ্বাস দেন। তিনি সরকারি পর্যায়ে সম্পর্কের পাশাপাশি জনগণের মধ্যে সম্পর্কের গুরুত্বের ওপর জোর দেন। এছাড়া তিনি দুই দেশের মধ্যে জনগণের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো এগিয়ে নেওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন।

           এ সময় হাইকমিশনার দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের সফর বিনিময়ের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন এবং মরিশাসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। এছাড়া তিনি পারস্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ ভ্রমণের জন্য মরিশাসের রাষ্ট্রপতিকে বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির আমন্ত্রণ জানান।

          বৈঠকে মরিশাসের স্টেট হাউস এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

জাহাঙ্গীর/পবন/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২১৫০ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর: ২৬৯৯

ফেব্রুয়ারির মধ্যে বেক্সিমকোর সকল শ্রমিকের আইনানুগ পাওনা পরিশোধ করা হবে

                                                                                        --- শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

          শ্রম ও কর্মসংস্থান এবং নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে বেক্সিমকোর সকল শ্রমিকের আইনানুগ পাওনা পরিশোধ করা হবে।

          আজ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৭ম সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

          সভা শেষে ব্রিফিংয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ইতোমধ্যে নতুন রিসিভার যোগদান করেছেন। আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তিনি বেক্সিমকোর প্রকৃত শ্রমিকের সংখ্যা ও পাওনাদি এবং ব্যাংকের মোট ঋণ নির্ধারণ করবেন। যে সকল ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ঋণ প্রদান করা হয়েছে সে সকল প্রতিষ্ঠানের এমডি  ঋণ সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য, লোনের মর্টগেজ মূল্য, সম্পদের মূল্য তালিকা সরবরাহ করবেন। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে শ্রমিকদের সকল পাওনা পরিশোধ করা হবে।

          শ্রমিকরা বেকার হবেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, এরা সবাই দক্ষ শ্রমিক। কোনো না কোনোভাবে কাজের ব্যবস্থা হবে। বিডা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছে বলে তিনি জানান।

           সভায় বাণিজ্য উপদেষ্টা, শিল্প উপদেষ্টা, শ্রম ও কর্মসংস্থান সচিব, অর্থসচিব, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব, বিডা চেয়ারম্যান, বেক্সিমকো লি. এর রিসিভার, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের প্রতিনিধি এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

মালেক/পবন/রানা/ফেরদৌস/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৫/২১১৫ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর: ২৬৯৮

পরিবেশ সুশাসন জোরদারে একসঙ্গে কাজ করবে বাংলাদেশ ও ইউএনওপিএস

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

          বাংলাদেশ সচিবালয়ে আজ পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পরিবেশ অধিদফতর (DoE) ও জাতিসংঘের প্রকল্প সেবা সংস্থা (UNOPS)-এর মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক (MoU) স্বাক্ষরিত হয়েছে। সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন পরিবেশ অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মোঃ কামরুজ্জামান, এনডিসি এবং UNOPS -এর এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক সঞ্জয় মাথুর। এই অংশীদারিত্বের লক্ষ্য পরিবেশ সুশাসন জোরদার করা, টেকসই উন্নয়নকে উৎসাহিত করা এবং জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করা।

          এই চুক্তির আওতায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও অভিযোজন এবং নীতি ও প্রকল্প বাস্তবায়নে উভয় পক্ষ একসঙ্গে কাজ করবে। প্রতিষ্ঠানগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি, আইন প্রয়োগ শক্তিশালীকরণ এবং নগর ও গ্রামীণ অঞ্চলে জলবায়ু সহনশীলতা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে। এছাড়া, পরিবেশ সংরক্ষণ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য আন্তর্জাতিক ও জাতীয় মানসম্মত নির্দেশিকা ও কৌশল প্রণয়ন করা হবে।

          এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে পরিবেশ সংরক্ষণে নতুন প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনী সমাধান অনুসন্ধান করা হবে। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেকসই কৃষি ও জলবায়ু-স্মার্ট পদ্ধতি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা হবে। জ্ঞান বিনিময় ও সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক সেরা অভ্যাস গ্রহণ ও প্রতিষ্ঠানগত নেটওয়ার্ক জোরদার করা হবে। উভয় পক্ষ পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নতুন নতুন সহযোগিতার ক্ষেত্রও অন্বেষণ করতে পারে।

          স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ড. ফাহমিদা খানম, জাতিসংঘের সহকারী মহাসচিব ও ইউএনওপিএস’র উপ-নির্বাহী পরিচালক ক্রিস্টিন দামকিয়ার এবং কান্ট্রি ডিরেক্টর সুধীর মুরলীধরন উপস্থিত ছিলেন।

          এই সমঝোতা স্মারক বাংলাদেশে পরিবেশ সুশাসন শক্তিশালী করার পাশাপাশি টেকসই উন্নয়ন ও জলবায়ু সহনশীলতা বৃদ্ধির প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

#

কামাল/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর: ২৬৯৭

১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ জুলাই বিপ্লবে মেয়েরা ছিল সর্বাগ্রে

                                      - মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, আমাদের যত সংগ্রাম আছে, যত সংকট আছে সেখানে পুরুষের পাশাপাশি আমাদের মেয়েরা সবসময় উজ্জ্বলভাবে থেকেছে। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এবং ২০২৪ জুলাই বিপ্লবে মেয়েরা ছিল সর্বাগ্রে কিন্তু কালক্রমে ইতিহাস থেকে তাদের অর্জন অবজ্ঞা করা হয়, যার ফলশ্রুতিতে সমাজ থেকে তারা হারিয়ে যায়। তিনি বলেন, জুলাই আন্দোলনে অংশ নিয়ে যে সকল নারীরা শহিদ হয়েছে, আহত হয়েছে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে তাদের অর্জন ধরে রাখতে হবে, নারীদেরকে আমরা আর হারিয়ে যেতে দেব না।

আজ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের আয়োজনে ‘অদম্য নারী পুরস্কার ২০২৪’ এর আওতায় ঢাকা বিভাগের অদম্য নারীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

উপদেষ্টা বলেন, আমার দেশের অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ মেরুদণ্ড হচ্ছে গার্মেন্টস শিল্প। এ শিল্পকে জাগিয়ে রেখেছে হাজার হাজার নারীশক্তি। অর্থনৈতিক মেরুদন্ডে আমার দেশের কৃষির গুরুত্ব কম নয় উল্লেখ করে বলেন, এ কৃষি কাজে আমার দেশের নারীর উপস্থিতি, পরিশ্রম এবং অবদান সেটা আমরা খুব সহজে ভুলে যাই। কালক্রমে তাদের অর্জন অবজ্ঞা করার ফলে তারা আমাদের ইতিহাস থেকে হারিয়ে যায়।

প্রতিটি নারীর জীবনে একটা সংগ্রাম থাকে, এ সংগ্রাম অতিক্রম করে নারীরা যে অর্জন করে তা অনেক বড় উল্লেখ করে উপদেষ্টা বলেন, যে সকল নারী কর্মে, মনোবলে, সংগ্রামে এবং সাহসের সাথে অসীম সাহসিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তারা শুধু সমাজের একটি পুরস্কার নয়, সমাজের এক বড় উজ্জ্বল নক্ষত্র, সেই বার্তাটি বহন করে এই পুরস্কার।

অনুষ্ঠানে পাঁচজন শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী যথাক্রমে অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী- স্বপ্না রানী ঘোষ, জেলা রাজবাড়ী; শিক্ষা ও চাকরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী- মাসুদা আক্তার, জেলা নারায়ণগঞ্জ; সফল জননী শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী- সেলিনা মজিদ, জেলা কিশোরগঞ্জ; নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করেছেন যে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী- লিপি বেগম, জেলা ফরিদপুর; এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রেখেছেন যে শ্রেষ্ঠ অদম্য নারী- সামর্তবান, জেলা ফরিদপুর। শ্রেষ্ঠ অদম্য ৫ ক্যাটেগরির নারীদের সাফল্য কথা বিভিন্ন অবদানের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরে উপদেষ্টা অদম্য নারী পুরস্কারে ভূষিত বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সাফল্য অর্জনকারী অদম্য নারীদের মধ্যে সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ প্রদান করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার শরফ উদ্দিন আহমদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মমতাজ আহমেদ এনডিসি, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কেয়া খান এবং ঢাকা বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) রাজা মুহম্মদ আব্দুল হাই প্রমুখ।

#

রফিকুল/পবন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৭২০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর: ২৬৯৬

বৈচিত্র্যময় পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে প্লাস্টিকের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ

                                                                  --- বাণিজ্য উপদেষ্টা

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

            পণ্য রপ্তানির সম্ভাবনাকে বৈচিত্র্যময় করার আমাদের যে আকাক্সক্ষা রয়েছে প্লাস্টিক পণ্য সেখানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।

            আজ ঢাকার বসুন্ধরা ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি (আইসিসিবি)-তে চার দিনব্যাপী ১৭ তম ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক, প্যাকেজিং এবং প্রিন্টিং ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফেয়ার অনুষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা মন্তব্য করেন।

            উপদেষ্টা বলেন, বাস্তবতার নিরীখে আমাদের নীতি নির্ধারণ করা দরকার। যার বিনিময়ে আমরা খারাপ প্লাস্টিককে রোহিত করব এবং ভালো প্লাস্টিকের সাথে বাস করব। দায়িত্বশীলতার সাথে আমাদের ভালো প্লাস্টিকের উৎপাদন ও ব্যবহার বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাতে হবে। তিনি বলেন, ২০২৬ সালের নভেম্বর মাসে আমাদের দেশ এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট হতে যাচ্ছে। এর ফলে রপ্তানির ক্ষেত্রে আমরা যে অগ্রাধিকার সুবিধা পাই তা থাকবে না। সরকারের পক্ষ থেকে কোন ইনসেন্টিভও (প্রণোদনা) দিতে পারব না। এক্ষেত্রে পরিস্থিতি উত্তরণের জন্য আমাদের প্রতিযোগী সক্ষমতা বাড়াতে হবে। উৎপাদনশীলতা ও পণ্য উৎপাদন ব্যয়ে প্রতিযোগী সক্ষম হতে হবে। সক্ষমতা না থাকলে দারুণভাবে বিপদে পড়ে যাব বলে উল্লেখ করেন তিনি।

            বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি কে এম ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস প্রজেক্টের ডেপুটি প্রজেক্ট ডাইরেক্টর শেখ মোঃ আবদুর রহমান, ইয়র্র্কস ট্রেড এন্ড মার্কেটিং সার্ভিস কোম্পানি লিমিটেড এর আকাই লিন, সার্ক চেম্বার্স অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি’র সভাপতি মোঃ জসিম উদ্দিন। বাংলাদেশ প্লাস্টিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শামীম আহমেদ অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।

            পরে বাণিজ্য উপদেষ্টা মেলায় বিভিন্ন স্টল পরিদর্শন করেন ।

            বাংলাদেশ প্লাস্টিক দ্রব্য প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশন ও হংকংভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ইওর্কক্স ট্রেড অ্যান্ড মার্কেটিং সার্ভিস যৌথভাবে আয়োজন করছে এ মেলাটি। ইন্টারন্যাশনাল প্লাস্টিক ফেয়ারে ৮শ’টির বেশি স্টল রয়েছে, যেখানে ১৮টি দেশ থেকে ৩৯০টিরও বেশি ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করছে। চীন, জার্মানি, ভারত, ইতালি, জাপান, ভিয়েতনাম, সংযুক্ত আরব আমিরাত, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য-সহ অন্যান্য দেশের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও প্রযুক্তি প্রদর্শন করছে এই মেলায়। এটি দর্শনার্থীদের জন্য প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।

#

কামাল/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৫/১৯০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর: ২৬৯৫

সেন্টমার্টিনের প্রতিবেশ রক্ষায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

পরিবেশগতভাবে সংকটাপন্ন সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করেছে সরকার। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ও স্থানীয় প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় ২০০ জন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক এতে অংশ নিয়েছেন। চলমান এ অভিযান আজ ও আগামীকাল চলবে। এছাড়া, গত দুই মাসে সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সও দ্বীপে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছে।

স্থানীয় প্রশাসনের উদ্যোগে গত দু’মাসে বিপুল পরিমাণ ময়লা-আবর্জনা ও সিঙ্গেল ইউজ প্লাস্টিক সংগ্রহ করে অপসারণ করা হয়েছে। নদী ও সমুদ্র দূষণরোধে জাহাজ ঘাট থেকে ২৪১ কেজি প্লাস্টিক ও ৮৭ কেজি পলিথিন সংগ্রহ করা হয়। প্লাস্টিক এক্সচেঞ্জ স্টোরের মাধ্যমে সেন্টমার্টিনে ১৪.৩ মেট্রিক টন এবং কক্সবাজারে ৬৭.৩ মেট্রিক টন প্লাস্টিক অপসারণ করা হয়েছে।

সেন্টমার্টিনে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটন ও প্লাস্টিক দূষণ কমাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে দৈনিক সর্বোচ্চ ২ হাজার পর্যটকের সীমা নির্ধারণ করা হয়। এ সময়ে গড়ে দৈনিক ১ হাজার ৬৯৪ জন পর্যটক দ্বীপে এসেছেন। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের দায়ে কয়েকটি জাহাজকে সতর্ক করা হয় এবং দুইটি জাহাজকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়।

পর্যটক ও স্থানীয়দের সচেতন করতে দ্বীপে তথ্যসংবলিত সাইনবোর্ড স্থাপন ও গ্রাফিতি অঙ্কন করা হয়েছে। বিচের পরিচ্ছন্নতা ও নিরাপত্তায় বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির (বিএমসি) অধীনে ১০ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মী ও ৬ জন লাইফগার্ড সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করছেন।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, সেন্টমার্টিনের পরিবেশ ও প্রতিবেশ সংরক্ষণের দায়িত্ব আমাদের সকলের। তিনি বলেন, দ্বীপের বাসিন্দাদের জন্য বিকল্প কর্মসংস্থানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। পর্যটন মন্ত্রণালয়-সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো এ বিষয়ে একযোগে কাজ করবে।

#

দীপংকর/রানা/রফিকুল/শামীম/২০২৫/১৭৩০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                           নম্বর: ২৬৯৪

একুশে বই মেলায় বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ ও তথ্য সেবা প্রদান

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের নির্দেশনায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা অমর একুশে বই মেলায় এবছর প্রথম বারের মতো বিনামূল্যে আইনগত পরামর্শ ও তথ্য সেবা কার্যক্রম চালু করেছে। সংস্থাটির কার্যক্রম এবার বই মেলায় নতুন মাত্রা যোগ করেছে।

আগত বিপুল সংখ্যক পাঠক ও দর্শনার্থী প্রতিদিনই সেবা গ্রহণের জন্য মেলার ১০৮৯ ও ১০৯০ নম্বর স্টলে উপস্থিত হচ্ছেন। সংস্থার তথ্য অনুযায়ী গত ০১ থেকে ১১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১১ দিনে ৭২০ জন একুশে বই মেলা থেকে আইনগত পরামর্শ ও তথ্য সেবা গ্রহণ করছেন। স্টল দুটি থেকে ছুটির দিনগুলোতে সকাল ১১টা থেকে রাত ৯টা এবং অন্যান্য দিনে বিকাল ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত বিনামূল্যে আইনি পরামর্শ ও তথ্য সেবা প্রদান করছেন লিগ্যাল এইড অফিসাররা।

সংস্থার পরিচালক (সিনিয়র জেলা জজ) মোহাম্মদ আল মামুন জানিয়েছেন, মাসব্যাপী আয়োজিত একুশে বইমেলায় আগত বিপুল সংখ্যক পাঠক ও দর্শনার্থীর মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতিদিনই একজন করে জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) ও একজন করে লিগ্যাল এইড প্যানেল আইনজীবী মেলায় উপস্থিত থেকে স্টলে আগত দর্শনার্থীদেরকে বিভিন্ন আইনগত পরামর্শ ও তথ্য প্রদান করছেন।

স্টলগুলোতে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ কর্তৃক প্রকাশিত বাংলাদেশ কোড এবং বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্তৃক প্রকাশিত আইন বিষয়ক জার্নাল ও গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনাসমূহ প্রদর্শন করা হচ্ছে।

#

 রেজাউল/তৌহিদ/শাহিদা/ফাতেমা/রমজান/সাঈদা/মাসুম/২০২৫/১৫০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ২৬৯৩

দেশ গড়ায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম

    -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজীপুর, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, দেশ গড়ায় আনসার বাহিনীর ভূমিকা অপরিসীম। তারা গ্রাম-গঞ্জে সব জায়গায় কাজ করে যাচ্ছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার পাশাপাশি সারাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে তারা অংশগ্রহণ করছে। ৫ আগস্টের পর অনেকেই নিজ দায়িত্ব থেকে পিছপা হটলেও আনসার বাহিনী তাদের দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ায়নি। সেজন্য আনসার বাহিনীকে সকলের ধন্যবাদ দেয়া উচিত। 

উপদেষ্টা আজ গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫তম জাতীয় সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। 

উপদেষ্টা বলেন, আনসার বাহিনীর যৌক্তিক দাবিগুলো গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। তবে অযৌক্তিক দাবিগুলো বিবেচনা করা হবে না।

‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, যতদিন ডেভিল থাকবে, ততদিন পর্যন্ত এ অপারেশন চলবে।

#

ফয়সল/তৌহিদ/শাহিদা/ফাতেমা/রমজান/সুবর্ণা/সাঈদা/মাসুম/২০২৫/১৪৪৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর: ২৬৯২

রাষ্ট্রের নিরাপত্তা ও উন্নয়নে আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে

         -স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

গাজীপুর, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ন্যায়ভিত্তিক, সুসংহত ও বৈষম্যহীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য নিরাপত্তা ও উন্নয়ন অপরিহার্য। আর এ নিরাপত্তা ও উন্নয়নে দেশের তৃণমূলের প্রশাসনিক স্তর পর্যন্ত বিস্তৃত আনসার বাহিনী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। নিরাপদ সমাজ কাঠামো গঠন, মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা এবং সামাজিক উন্নয়ন কার্যক্রম জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়ে এই বাহিনী এ ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখছে।

উপদেষ্টা আজ গাজীপুরের সফিপুরে বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপি একাডেমিতে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৪৫তম জাতীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। 

বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবদুল মোতালেব সাজ্জাদ মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি। 

উপদেষ্টা বলেন, দেশ সেবার ব্রত নিয়ে গড়ে ওঠা বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীতে অবদান অনস্বীকার্য। তিনি বলেন, এ বাহিনীর ৩৯টি পুরুষ আনসার ব্যাটালিয়ন, দুইটি মহিলা আনসার ব্যাটালিয়ন, একটি বিশেষায়িত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি) সহ মোট ৪২টি আনসার ব্যাটালিয়ন রয়েছে। তার মধ্যে ১৬টি আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দুর্গম পার্বত্য অঞ্চলে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় 'অপারেশন উত্তরণ'-এ নির্ভরশীল সহায়ক শক্তি হিসেবে সেনাবাহিনী, বিজিবি ও পুলিশের সাথে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দায়িত্ব পালন করছে। সামাজিক সম্প্রীতি ও অসাম্প্রদায়িক বন্ধন দৃঢ়কল্পে শারদীয় দুর্গাপূজাসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের সাথে একীভূত হয়ে রাষ্ট্রের অর্পিত যেকোনো দায়িত্ব আস্থার সাথে পালন করে যাচ্ছে এ বাহিনীর সদস্যরা। 

লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অবঃ) মোঃ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ভূমিদস্যু প্রতিরোধ, ভেজাল বিরোধী অভিযান ও মাদকমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠায় উপজেলা প্রশাসনের সাথে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অতন্দ্র প্রহরী সদস্যরা। দেশে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরিতে ও বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অক্ষুণ্ণ রাখতে দেশের কূটনৈতিক মিশনসমূহে নিরাপত্তা প্রদানে এ বাহিনীর ভূমিকা দৃশ্যমান। এই বাহিনীর বিশেষভাবে প্রশিক্ষিত আনসার গার্ড ব্যাটালিয়ন (এজিবি)-এর সদস্যরা কেপিআইসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা রাখছে। তাছাড়া দেশের অভ্যন্তরে প্রাকৃতিক এবং মানবসৃষ্ট সকল দুর্যোগে আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যরা মানবতার সেবায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছে।

সমাবেশ অনুষ্ঠানে উপদেষ্টা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর ১৮ জন কর্মকর্তা, কর্মচারী ও অন্যান্য পদবির সদস্য-সদস্যাদের মাঝে কৃতিত্বপূর্ণ ও প্রশংসনীয় কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ পদক প্রদান করেন। 

উল্লেখ্য, এ বছর সেবা ও সাহসিকতার চারটি বিভাগে মোট আটটি ক্যাটাগরিতে কর্মকর্তা, কর্মচারী, আনসার ব্যাটালিয়ন সদস্য এবং অন্যান্য পদবির সদস্যদের সর্বমোট ১৫৬ জন পদকপ্রাপ্ত হয়েছেন।

পরে উপদেষ্টা আনসার একাডেমি প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপণ করেন, ফটোসেশনে অংশ নেন ও কুটিরশিল্প প্রদর্শনী ঘুরে দেখেন। 

#

ফয়সল/তৌহিদ/শাহিদা/ফাতেমা/রমজান/সুবর্ণা/মাসুম/২০২৫/১২১০ ঘণ্টা

Handout                                                                                          Number: 2691

Bangladesh calls for renewed global commitment to financing

and technology transfer for inclusive social development

New York, 12 February:

 Ambassador Salahuddin Noman Chowdhury, Bangladesh’s Permanent Representative to the United Nations called for a reformed international financial system and enhanced technology support to address critical social development needs. Speaking at the sixty-third session of the Commission for Social Development at the UN Headquarters in New York yesterday, the Permanent Representative emphasized the importance of international cooperation in bridging existing gaps for sustainable and inclusive development.

Ambassador Chowdhury also highlighted Bangladesh’s key national initiatives under the current interim government led by Dr. Muhammad Yunus, prioritizing inclusive policies to advance social development. Referring to the Government’s thrust in eliminating poverty, unemployment and net carbon emission, the Permanent Representative also outlined Bangladesh’s efforts to address impacts on climate change through adaptation and mitigation programs in spite of its resource constrains. He also stressed the need for renewed global commitments in financing, technology transfer and capacity-building for creating a just, inclusive and resilient future.

The sixty-third session of the Commission for Social Development is being held at the United Nations Headquarters in New York from 10-14 February 2025. Bangladesh is a member of the Commission for 2023-2027.

#

Mission New York /Tohidul/Sahida/Fatema/Romzan/Saida/Masum/2025/912 hours

আজ বিকাল পাঁচটার আগে প্রচার করা নিষেধ

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ২৬৯০

বিশ্ব বেতার দিবসে প্রধান উপদেষ্টার বাণী

ঢাকা, ২৯ মাঘ (১২ ফেব্রুয়ারি):                                         

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫ উপলক্ষ্যে বাণী প্রদান করেছেন:  

“আগামী ১৩ ফেব্রুয়ারি ‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫’ উদ্‌যাপিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ বেতারের শিল্পী, কলাকুশলী, শ্রোতা ও সম্প্রচারকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

‘বিশ্ব বেতার দিবস-২০২৫’ এর প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘রেডিও ও জলবায়ু পরিবর্তন’ (Radio and Climate Change)। বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতিতে এ প্রতিপাদ্য অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।  

১৯৩৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর ‘ঢাকা ধ্বনি বিস্তার কেন্দ্র’ নামে বাংলাদেশ বেতার যাত্রা শুরু করে। দেশের প্রাচীনতম ইলেকট্রনিক গণমাধ্যম বাংলাদেশ বেতার তার প্রতিষ্ঠাকাল থেকেই এ অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার মানোন্নয়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, সাক্ষরতার হার বৃদ্ধি, শিক্ষার প্রসার, নারীর ক্ষমতায়ন, শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার হ্রাস, দেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য বিশ্ব দরবারে তুলে ধরাসহ দেশের সার্বিক উন্নয়নে অনবদ

2025-02-12-16-29-ba89f46e9066bf376338d7ec64c27d58.docx