Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২১st নভেম্বর ২০২০

তথ্যবিবরণী ২০ নভেম্বর ২০২০

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৪৪৩২

 

শ্রমিক লীগ সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রীর শোক

 

 

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

 

          শ্রমিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্নেল (অব.) জাহিদ ফারুক  ও উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম।

 

          আজ প্রতিমন্ত্রী ও উপমন্ত্রী পৃথক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

 

#

 

আসিফ/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৯৪০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                    নম্বর : ৪৪৩১

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

 

 ‌                  স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৫ হাজার ৬০৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২ হাজার ২৭৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ লাখ ৪৩ হাজার ৪৩৪ জন।

 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১৭ জন-সহ এ পর্যন্ত ৬ হাজার ৩২২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

 

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৪৩১ জন।

#

 

হাবিবুর/সাহেলা/রফিকুল/আব্বাস/২০২০/১৮২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর :  ৪৪৩০

করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে বান্দরবানে মাস্ক বিতরণ করলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী

বান্দরবান, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলায় সবাইকে আরো বেশি সচেতন হতে হবে, মাস্ক ও স্যানিটাইজার ব্যবহারে গুরুত্ব দিতে হবে, ব্যক্তিগত সতর্কতা, পরিচ্ছন্নতা ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চললে করোনা ভাইরাস থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।

          মন্ত্রী আজ বান্দরবান প্রেস ক্লাব প্রাঙ্গণে প্রেস ক্লাবের আয়োজনে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে মাস্ক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          বীর বাহাদুর বলেন, করোনা ভাইরাস একটি বৈশ্বিক মহামারি। এ মহামারিকে মোকাবিলা করে আমাদের দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে প্রবৃদ্ধি-সহ অর্থনৈতিক সকল সূচকে বাংলাদেশ ভালো অবস্থানে রয়েছে।

          পরে মন্ত্রী বান্দরবানে কর্মরত সাংবাদিক, জনসাধারণ ও পত্রিকার হকারদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন। এ সময় ১০ হাজার পিস মাস্ক বিতরণ করা হয়।   

          অনুষ্ঠানে পুলিশ সুপার জেরিন আখতার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম, সিভিল সার্জন
ডা. অং সুই প্রু মারমা, প্রেসক্লাবের সভাপতি মনিরুল ইসলাম মনু প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন ।

#

নাছির/সাহেলা/রফিকুল/শামীম/২০২০/১৮৩৬ ঘণ্টা    

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৪৪২৯

বিএনপি মহাসচিবের স্ববিরোধী বক্তব্যের কারণ খোঁজা প্রয়োজন

                                                                 -তথ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, 'বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল সাহেব একবার বলছেন, সরকার না কি একদলীয় আচরণ করছে, আবার বলছেন, দেশে সরকার আছে কি না তা বোঝা যাচ্ছে না- তার এমন স্ববিরোধী অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণ খোঁজা প্রয়োজন।' 

          আজ ঢাকার মিন্টু রোডের সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে সদ্যপ্রয়াত সাবেক ডেপুটি স্পিকার কর্নেল (অব.) শওকত আলী স্মরণে জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে মন্ত্রী একথা বলেন। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট ও জনতার প্রত্যাশা যৌথভাবে এ সভা আয়োজন করে।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে, করোনাকালেও দেশের অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির ফলে এবছর বিশ্বের হাতেগোনা মাত্র কয়েকটি ধনাত্মক জিডিপি প্রবৃদ্ধির দেশের অন্যতম হওয়ায় দেশ ও বিশ্ববাসী আমাদের প্রশংসা করছে। 'কিন্তু দেশের এই অগ্রযাত্রার সময় দেশবিরোধী ষড়যন্ত্রও শুরু হয়েছে' বলে সতর্ক করেন ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

          আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান তাঁর বক্তব্যে  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর দ্রুত সুস্থতা এবং মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর যেনো সুস্থ থাকেন, সেজন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করেন। একইসাথে বিএনপিকে তাদের মহাসচিবের অসংলগ্ন বক্তব্যের কারণ বের করার অনুরোধ জানান।

          প্রয়াত কর্নেল (অব.) শওকত আলীর প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ও তাঁর আত্মার শান্তি কামনা করে মন্ত্রী বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা, আগরতলা ষড়যন্ত্র মামলার অন্যতম আসামি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর এবং ১৯৭৫ এর ১৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে অন্যতম মুখ্য ভূমিকা পালনকারী এবং জাতীয় সংসদের সাবেক ডেপুটি স্পিকার শওকত আলী অত্যন্ত জনপ্রিয় রাজনীতিবিদ ছিলেন। তিনি একাধারে ছয়বার জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। 

          ড. হাছান বলেন, নির্মোহ সদালাপী এ মানুষটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথেও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছেন। ২০০১ সালে বিএনপি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে যখন আওয়ামী লীগের হাজার নেতাকর্মী নির্যাতনের শিকার হচ্ছিল, তখন শওকত আলী অত্যন্ত সোচ্চার ছিলেন। নতুন প্রজন্মের রাজনীতিকদের কাছে অনুকরণীয় এ ব্যক্তিত্বের মৃত্যু শুধু দলের নয় সমগ্র দেশের রাজনীতির জন্যই এক অপূরণীয় ক্ষতি। 

          জনতার প্রত্যাশা সংগঠনের সভাপতি এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার পরিচালনায় সভায়  আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান  আকরাম হোসাইন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মিনহাজ উদ্দিন মিন্টু, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এফ এম শরিফুল ইসলাম শরীফ, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি লায়ন গণি মিয়া বাবুল, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান সভাপতি হুমায়ুন কবির, প্রেসিডিয়াম সদস্য নুরুজ্জামান ভুট্টো, প্রজন্ম লীগের রোকন উদ্দিন পাঠান, বঙ্গবন্ধু একাডেমির মহাসচিব হুমায়ুন কবির মিজি, এডভোকেট আবুল কালাম আজাদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/সাহেলা/রফিকুল/শামীম/২০২০/১৭৩০ ঘণ্টা    

                                                                                         

তথ্যবিবরণী                                                                                                                  নম্বর : ৪৪২৮

ধর্ম ব্যাবসায়ীরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে দিতে চায়না

                                                              -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

বোচাগঞ্জ (দিনাজপুর), ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ধর্মকে ব্যবহার করে যারা দেশকে নিশ্চিত অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিতে চায়, তাদেরকে কঠোরভাবে দমন করতে হবে। ধর্ম ব্যাবসায়ীরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশের ইতিহাস জানতে দিতে চায়না। তিনি বলেন, আজকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য নিয়ে কিছু ধর্ম ব্যাবসায়ী বিরূপ মন্তব্য করছে, তারা বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার বোচাগঞ্জ উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এক সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। বোচাগঞ্জ উপজেলার নয়টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, দু’টি রাস্তা এবং ফুটকিবাড়ী ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর জন্য ১০টি বাড়ি নির্মাণ বিষয়ক এ সমাবেশের আয়োজন করা হয়।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার এসব ভাস্কর্য দেখে প্রজন্মের পর প্রজন্ম বঙ্গবন্ধুকে জানবে। কিভাবে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে, বঙ্গবন্ধুকে না জানলে তা জানা যাবেনা। এ ধর্ম ব্যাবসায়ীরা নতুন প্রজন্মকে বাংলাদেশ সৃষ্টি সম্পর্কে জানতে দিতে চায়না। তিনি বলেন, তারা ভাস্কর্যকে মূর্তি হিসেবে উপস্থাপন করে দেশে অরাজকতা তৈরি করতে চায়। প্রকৃত ধর্ম অনুসরণ করেই বাংলাদেশ চলবে। ৯০ ভাগ মুসলমানের দেশ পবিত্র কোরআন ও হযরত মোহাম্মদ (সাঃ) এর নির্দেশনা অনুযায়ী চলবে। হিংসা, বিদ্বেষ ও সন্ত্রাসের জায়গা ইসলামে নেই বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শুরুতে বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসা নিয়ে শত সমালোচনা ছিল। এখন দেখা যাচ্ছে, ইউরোপ-আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের করোনা চিকিৎসা ভালো। বাংলাদেশে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে, আক্রান্ত হচ্ছে; কিন্তু মৃত্যুর হার নিয়ন্ত্রণে আছে। আমেরিকার নির্বাচনে বড় অস্ত্র হয়ে গেলো করোনা। দেশে করোনা মোকাবিলায় সব ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন এক ধরনের স্বাভাবিক অবস্থা চলে এসেছে।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনার মধ্যেও দেশে উন্নয়ন কর্মকান্ড থেমে নেই। বাংলাদেশের অর্থনীতি অনেক শক্তিশালি, আড়াই মাস মানুষের বাড়ি বাড়ি চাল, ডাল, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র পৌঁছে দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, করোনার সময়ে একদিনের জন্যও চট্টগ্রাম বন্দর বন্ধ হয়নি। খাদ্য সরবরাহ চালু ছিল। এ সাহস আমরা পেয়েছি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে। তিনি সাহস না দিলে আমরা মুখ থুবড়ে পড়তাম।

          উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ছন্দা পালের সভাপতিত্বে সুধী সমাবেশে আরো উপস্থিত ছিলেন সেতাবগঞ্জ পৌর মেয়র আব্দুস সবুর এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ।

#

জাহাঙ্গীর/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৬৩০ ঘণ্টা    

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৪৪২৭

শ্রমিক লীগ সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে মন্ত্রিপরিষদের সদস্যবৃন্দের শোক

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীবর্গ গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

          ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম  মোজাম্মেল হক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ, পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান, শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন, খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার, বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বিজ্ঞান ও প্রযু্ক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান, নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক, সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা।

          পৃথক পৃথক শোকবার্তায় মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

 

জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৫৩৬ ঘণ্টা    

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                 নম্বর :  ৪৪২৬

কৃষিবিদ হরলাল মধুর মৃত্যুতে কৃষিমন্ত্রী ও সচিবের শোক

 

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হরলাল মধুর মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক ও কৃষিসচিব মো: মেসবাহুল ইসলাম। 

          আজ এক শোকবার্তায় কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষিবিদ হরলাল মধু অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে গেছেন। করোনার ঝুঁকির মধ্যেও তিনি তাঁর দায়িত্ব সুচারুভাবে পালন করেছেন। কৃষির উন্নয়নে তাঁর অবদান সকলের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

          উল্লেখ্য, হরলাল মধু করোনায় আক্রান্ত হয়ে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতরাতে মৃত্যুবরণ করেন। 

          মন্ত্রী ও সচিব তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

 

কামরুল/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১৫১৮ ঘণ্টা    

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৪৪২৫

 

শ্রমিক লীগ সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে ওবায়দুল কাদেরের শোক

 

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :   

          জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

          মন্ত্রী আজ শোকবার্তায় মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। 

#

 

নাছের/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১২৩৫ ঘণ্টা                                                                                  

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪৪২৪

 

কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নের পূনর্বিন্যাস জরুরি

                                                      -রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা

নিউইয়র্ক, ২০ নভেম্বর :

          জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা বলেছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টির জন্য সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নের পূনর্বিন্যাস প্রয়োজন।

          আজ আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) এবং জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত দেশ, ভূবেষ্টিত উন্নয়নশীল দেশ ও উন্নয়নশীল ক্ষুদ্র দ্বীপ রাষ্ট্র (ইউএন-ওএইচআরএলএলএস) সমূহের উচ্চ-প্রতিনিধির কার্যালয় এর যৌথ উদ্যোগে নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত ‘কেউ যেন পিছে পড়ে না থাকে এবং কোভিড-১৯ থেকে আগের ভালো অবস্থায় ফিরে যাওয়া: স্বল্পোন্নত দেশসমূহের ভবিষ্যৎ কর্মসংস্থান’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

          বিশ্বায়নের চলমান ধারায় কোভিড-১৯ এর ভয়াবহ আঘাত এবং বৈশ্বিক চাকুরির বাজারে এর সম্মিলিত নেতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন আলোচকগণ। এ সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে উন্নয়ন অর্থায়ন, সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ প্রবাহ বৃদ্ধি, স্বল্পোন্নত দেশসমূহের কর্মীদের জন্য যথোপযুক্ত কর্মসংস্থান সৃষ্টির ওপর জোর দেন তাঁরা।

          স্বাগত বক্তব্যে রাষ্ট্রদূত শক্তিশালী কর্মসংস্থান নীতি ও প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ‘কর্মসংস্থানের সমৃদ্ধ দৃষ্টিভঙ্গি’ তৈরি, বিশ্বব্যাপী দারিদ্র্য, অর্ধাহার ও ক্ষুধা প্রতিরোধের জন্য উন্নত-সম্পদ এবং সামাজিক সুরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত দেশসমূহের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং সক্ষমতা বিনির্মাণের জন্য গ্লোবাল ভ্যেলূ চেইন এর অনুন্মোচিত সম্ভাবনাসমূহকে উন্মোচন করা প্রয়োজন আর ক্রমবর্ধমান ডিজিটাল অর্থনীতির সুযোগকে ব্যবহার করেই এটি করা সম্ভব। এ প্রসঙ্গে তিনি বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনসহ চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সুবিধা গ্রহণ এবং শিক্ষার প্রসার ও দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে ডিজিটাল বৈষম্য কমিয়ে আনার গুরুত্ব তুলে ধরেন। কোভিড-১৯ এর প্রেক্ষাপটে অভিবাসী শ্রমিকেরা যে অবর্ণনীয় দূরাবস্থার মধ্যে পড়েছে তা থেকে উত্তরণ ঘটাতে বৃহত্তর বৈশ্বিক সহযোগিতার আহ্বান জানান রাষ্ট্রদূত।

          অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন জাতিসংঘে নিযুক্ত কাতারের স্থায়ী প্রতিনিধি ও কাতারে অনুষ্ঠিতব্য এলডিসি-৫ এর প্রতিনিধি আলিয়া আহমেদ সাইফ আল-থানি, মালাওয়ি এর স্থায়ী প্রতিনিধি এবং এলডিসি গ্রুপের সভাপতি রাষ্ট্রদূত পার্কস্ লিগোইয়া, ইউএন-ওএইচআরএলএলএস এর উচ্চ প্রতিনিধি ফেকিতা মইলোয়া কাটোয়া উতোয়কামানু এবং আইএলও এর উপ-মহাপরিচালক মৌসা ঔমারো।

#

 

জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১১.৩৯ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৪৪২৩

 

শ্রমিক লীগ সভাপতি ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          জাতীয় শ্রমিক লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক মন্টুর মৃত্যুতে গভীর শোকপ্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

          ড. হাছান আজ শোকবার্তায় বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদান ও শ্রমিক অধিকার আদায়ের সংগ্রামের জন্য ফজলুল হক মন্টু স্মরণীয় হয়ে থাকবেন।

          মন্ত্রী মরহুমের রুহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

#

 

আকরাম/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১১.২১ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ৪৪২২

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :   

            প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

            ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস ২০২০’ উপলক্ষ্যে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই। ঐতিহাসিক এ দিনে আমি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের সকল বীর শহীদ এবং মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।

            সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের উদাত্ত আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁর দূরদর্শী, সাহসী এবং ঐন্দ্রজালিক নেতৃত্বে বাঙালি জাতি পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙ্গে ছিনেয়ে আনে স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য আর লাল সবুজের পতাকা।

            আমাদের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের ইতিহাসে ২১-এ নভেম্বর একটি বিশেষ গৌরবময় দিন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে পরিচালিত মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন ১৯৭১ সালের এ দিনে সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর অকুতোভয় সদস্যরা সম্মিলিতভাবে দখলদার বাহিনীর বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণের সূচনা করেন। মুক্তিবাহিনী, বিভিন্ন আধাসামরিক বাহিনীর সদস্যগণ ও দেশপ্রেমিক জনতা এই সমন্বিত আক্রমণে একতাবদ্ধ হন। দখলদার বাহিনী আত্মসমর্পণে বাধ্য হয়। হানাদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। মহান মুক্তিযুদ্ধে বাঙালি জাতির অগ্রযাত্রা ও বিজয়ের স্মারক হিসেবে প্রতি বছর ২১-এ নভেম্বর ‘সশস্ত্র বাহিনী দিবস’ পালন করা হয়।

            স্বাধীনতার পর জাতির পিতা একটি আধুনিক ও চৌকস সশস্ত্র বাহিনী গড়ে তোলার কাজ শুরু করেন।  সেনা বাহিনীর জন্য তিনি মিলিটারি একাডেমি, কম্বাইন্ড আর্মড স্কুল ও প্রতিটি কোরের জন্য ট্রেনিং স্কুলসহ আরও অনেক সামরিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউনিট গঠন করেন। তিনি চট্টগ্রামে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ঘাঁটি ঈসা খাঁ উদ্বোধন করেন। বঙ্গবন্ধুর ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৎকালীন যুগোশ্লাভিয়া থেকে নৌ বাহিনীর জন্য দু’টি জাহাজ সংগ্রহ করা হয়। বিমান বাহিনীর জন্য তিনি তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে সুপারসনিক মিগ-২১ জঙ্গি বিমানসহ হেলিকপ্টার, পরিবহন বিমান ও রাডার সংগ্রহ করেন।

            আমরা ২০০৯ সালে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নে নিরলস কাজ করে যাচ্ছি। আমরা সেনা, নৌ এবং বিমান বাহিনীকে দেশে ও বিদেশে উন্নততর প্রশিক্ষণ প্রদানসহ আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন সরঞ্জাম দিয়ে সজ্জিত করছি। জাতির পিতার নির্দেশে একটি স্বাধীন ও সার্বভৌমত্ব রাষ্ট্রের উপযোগী ১৯৭৪ সালে প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এর আওতায় তিন বাহিনীর পুনর্গঠন ও আধুনিকায়নের কার্যক্রমসমূহ পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

            পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি সশস্ত্র বাহিনী দুর্যোগ মোকাবিলা, অবকাঠামো নির্মাণ, আর্তমানবতার সেবা, বেসামরিক প্রশাসনকে সহায়তা এবং জাতিগঠনমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করছে। জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছেন। এভাবে সশস্ত্র বাহিনী আজ জাতির আস্থার প্রতীক হিসেবে গড়ে উঠেছে।

            আমি আশা করি, সশস্ত্র বাহিনীর প্রতিটি সদস্য মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে দেশপ্রেম, পেশাদারিত্ব এবং নৈতিকতার আদর্শে স্ব স্ব দায়িত্ব নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করে যাবেন।

            আমি সশস্ত্র ‘বাহিনী দিবস ২০২০’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

#

 

শাওন/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১১৩৮ ঘণ্টা                                                                                                                                                                                 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৪০২১

সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী 

 

ঢাকা, ৫ অগ্রহায়ণ (২০ নভেম্বর) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

          সশস্ত্র বাহিনী দিবসে আমি পরম শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যার নেতৃত্বে দীর্ঘ ন'মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করি। আমি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি সাতজন বীরশ্রেষ্ঠকে যাঁরা মাতৃভূমির জন্য জীবন উৎসর্গ করেছেন। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বিভিন্ন সময়ে দেশ ও দেশের বাইরে পেশাগত দায়িত্বপালনকালে আত্মোৎসর্গকারী সশস্ত্র বাহিনীর বীর সদস্যদের। আমি তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি। আমি সশস্ত্র বাহিনীর যুদ্ধাহত সদস্য ও শহীদ পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি।

          বাংলাদেশের ইতিহাসে ২১ নভেম্বর একটি স্মরণীয় দিন। মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন ১৯৭১ সালের এই দিনে তিন বাহিনী সম্মিলিতভাবে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর উপর সর্বাত্মক আক্রমণ পরিচালনা করে। তাদের সম্মিলিত আক্রমণে হানাদার বাহিনী দিশেহারা হয়ে পড়ে যা আমাদের বিজয় অর্জনকে ত্বরাণ্বিত করে। মুক্তিযুদ্ধে সশস্ত্র বাহিনীর অবদান ও বীরত্বগাথা জাতি গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।

          মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা সশস্ত্র বাহিনী জাতির গর্ব ও আস্থার প্রতীক। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার মহান দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি যে-কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায়, বেসামরিক প্রশাসনকে সহযোগিতাসহ জাতিগঠনমূলক কর্মকাণ্ডে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছেন। কেবল দেশেই নয়, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে অংশ নিয়ে পেশাগত দক্ষতা, সর্বোচ্চ শৃঙ্খলা, সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করে চলেছেন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশে করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ মাঠ পর্যায়ে নিয়োজিত থেকে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করেছেন। 

          সরকার সশস্ত্র বাহিনীর আধুনিকায়নের লক্ষ্যে ‘ফোর্সেস গোল-২০৩০’ প্রণয়ন করেছে। এ কর্মপরিকল্পনা নিঃসন্দেহে সশস্ত্র বাহিনীকে আরও আধুনিক, দক্ষ ও গতিশীল করবে। যে-কোনো বাহিনীর উন্নয়নের পূর্বশর্ত হলো নেতৃত্বের প্রতি গভীর আস্থা, পারস্পরিক বিশ্বাস, শ্রদ্ধাবোধ, পেশাগত দক্ষতা এবং সর্বোপরি শৃঙ্খলা। মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ নেতৃত্বের প্রতি পরিপূর্ণ অনুগত থেকে কঠোর অনুশীলন ও দেশপ্রেমের সমন্বয়ে সশস্ত্র বাহিনীর গৌরব সমুন্নত রাখতে সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালাবেন - এ প্রত্যাশা করি।

          আমি সশস্ত্র বাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি এবং বাহিনীসমূহের সকল সদস্য ও তাঁদের পরিবারবর্গের অব্যাহত সুখ, শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করছি।

         জয় বাংলা।

          খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

 

#

ইমরান/জুলফিকার/রেজ্জাকুল/শামীম/২০২০/১১.০৩  ঘণ্টা

 

2020-11-21-17-07-37ec41467d340b69472bbe50fa577602.docx