তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬৭
লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং পণ্য রপ্তানি করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে
-- বাণিজ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং বাংলাদেশের ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রের একটি গুরুত্বপূর্ণ এবং সম্ভাবনাময় খাত। এ সেক্টরকে রপ্তানিমুখী করতে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পকে ‘বর্ষ পণ্য-২০২০’ বা ইয়ার অফ দি প্রোডাক্ট-২০২০ ঘোষণা করেছেন। লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। দেশের অভ্যন্তরে বিশাল বাজার এবং বিদেশে এ পণ্যের বিপুল চাহিদা রয়েছে। অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এ শিল্প রপ্তানি মুখী হলে অনেক কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। দেশের রপ্তানি পণ্য সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, প্লাষ্টিক, কৃষি এবং লেদার সেক্টরকে রপ্তানি সক্ষম করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এক্সপোর্ট কমপিটিটিভনেস ফর জবস (ইসিফোরজে) নামে একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। এ সেক্টরের উদ্যোক্তাদের পরামর্শ নিয়ে সরকার পরিকল্পিতভাবে এগিয়ে যেতে চায়। চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের সাথে তাল মিলিয়ে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন হরা হচ্ছে। এজন্য এ সেক্টরের ব্যবসায়ীদের আন্তরিক সহযোগিতা এবং উদ্যোগ প্রয়োজন।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এবং বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্পমালিক সমিতির উদ্যোগে ‘লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প উন্নয়ন নীতিমালা প্রণয়ন’ শীর্ষক জাতীয় পর্যায়ে পরামর্শক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেছেন, সুনির্দিষ্ট ও কার্যকরী দক্ষতা সম্পন্ন কর্মী বাহিনী তৈরির মাধ্যমে লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং খাতে ব্যাপক কর্মসংস্থানের সুযোগ রয়েছে। নতুন নতুন পণ্য উৎপাদন এবং পণ্য বহুমুখী করণের ফলে রপ্তানি বাজার সম্প্রসারিত হবে। এ শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণারলয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ, এফবিসিসিআই’র প্রেসিডেন্ট মোঃ জসিম উদ্দিন, অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) এবং ইসিফোরজে প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক, মো. হাফিজুর রহমান। কর্মশালায় বিষয়ের ওপর খসড়া নীতিমালা উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্ডাষ্ট্রি ওনার্স এসোসিয়েশন এর টেকনিকেল এডভাইজার ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব এবং বিজনেস প্রমোশন কাউন্সিল এর কো-অডিনেটর মোঃ আব্দুল রহিমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প মালিক সমিতির সভাপতি মোঃ আবদুর রাজ্জাক। এ কর্মশালায় শিল্প মালিক ও প্রতিনিধিগণের পাশাপাশি এ খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
বকসী/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬৬
বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়ন কাজে সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে
-- প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্টদের কাজে সদিচ্ছা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা থাকতে হবে। সরকারি কাজে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধি এবং প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা উন্নয়নে বার্ষিক কর্মসম্পাদন (এপিএ) চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
আজ সচিবালয়ে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সভাকক্ষে এ বিভাগের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার সাথে বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রতিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি (এপিএ) সরকারের একটি অনন্য উদ্যোগ, এর মাধ্যমে সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের কাজের প্রতি দায়বদ্ধতা তৈরি হয়। জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সুশাসন নিশ্চিতকরণে সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টা অপরিহার্য। বাস্তবমুখী ও সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার মাধ্যমে শত প্রতিকূলতা সত্ত্বেও দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, উন্নত হচ্ছে। এপিএ চুক্তি বাস্তবায়নে যার যার অবস্থান থেকে সর্বোচ্চ ভূমিকা রাখতে দপ্তর, সংস্থার প্রধানদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান। এর ফলে সরকারের নতুন চ্যালেঞ্জ তথা টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য (এসডিজি) অর্জনে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ যোগ্য অংশিদারীত্বের প্রমাণ দিতে সক্ষম হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন প্রতিমন্ত্রী।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের আওতাধীন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি),সমবায় অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বার্ড), পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (আরডিএ), বঙ্গবন্ধু পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ও পল্লী উন্নয়ন একাডেমি (বাপার্ড), বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদনকারী সমবায় ইউনিয়ন লিঃ (মিল্কভিটা), পল্লী দারিদ্র্য বিমোচন ফাউন্ডেশন (পিডিবিএফ), ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশন (এসএফডিএফ) এর দপ্তর প্রধানগণ নিজ নিজ দপ্তর, সংস্থার পক্ষে পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিবের সঙ্গে ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের প্রণীত বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি স্বাক্ষর করেন।
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগের সচিব মো. রেজাউল আহসান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ এবং এ বিভাগের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আহসান/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬৫
কাজুবাদাম ও কফির সম্ভাবনা কাজে লাগানো হবে
-- কৃষিমন্ত্রী
বান্দরবন, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
দেশে কাজুবাদাম ও কফির সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ চলছে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, পাহাড়ী অঞ্চলসহ সারাদেশের যে সব অঞ্চলে কাজুবাদাম এবং কফির চাষাবাদের প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে; তা চাষের আওতায় আনতে ‘কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ শীর্ষক ২১১ কোটি টাকার প্রকল্প নেয়া হয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী আজ বান্দরবন জেলা পরিষদ মিলনায়তনে 'কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের অবহিতকরণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, শুধু দেশে উৎপাদন নয়, বিদেশ থেকে কাঁচা কাজুবাদম এনে প্রক্রিয়াজাত করেও প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব। সেজন্য কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাত বাড়াতে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। দেশে কাজুবাদামের প্রক্রিয়াজাতের সমস্যা দূর করা ও প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে ইতোমধ্যে কাঁচা কাজুবাদাম আমদানির উপর শুল্কহার প্রায় ৯০ শতাংশ থেকে নামিয়ে মাত্র ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে। কাজুবাদাম ও কফির মতো অর্থকরী উচ্চমূল্যের এসব ফসলের চাষ, উৎপাদন বৃদ্ধি এবং প্রক্রিয়াজাতে সব ধরনের সহযোগিতা দেয়া হচ্ছে জানান মন্ত্রী।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব ওয়াহিদা আক্তার, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোঃ বখতিয়ার, বান্দরবনের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বান্দরবনের উপপরিচালক একেএম নাজমুল হক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। কাজুবাদম, কফির সম্ভাবনা নিয়ে উপস্থাপনা তুলে ধরেন কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম। এসময় কৃষক, উদ্যোক্তা, প্রক্রিয়াজাতকারীসহ স্থানীয় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে কৃষিমন্ত্রী স্থানীয় হর্টিকালচার সেন্টারে উন্নত জাতের কফি ও কাজুবাদামের চারা উৎপাদন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন।
উল্লেখ্য, ২১১ কোটি টাকার কাজুবাদাম ও কফি গবেষণা, উন্নয়ন ও সম্প্রসারণ’ প্রকল্পটি ২০২১-২৫ মেয়াদে বাস্তবায়িত হবে। এর মাধ্যমে উচ্চফলনশীল ও উন্নত জাতের চারা উদ্ভাবন, প্রযুক্তি হস্তান্তর, কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হবে। পাশাপাশি প্রক্রিয়াজাত ও বাজারজাতে প্রশিক্ষণ দেয়া হবে।
প্রকল্পের পরিচালক শহিদুল ইসলাম জানান, পার্বত্য তিন জেলায় প্রায় ৫ লাখ হেক্টর অনাবাদি জমি রয়েছে। এর মধ্যে ২ লাখ হেক্টর জমিতে কাজুবাদাম আবাদ করতে পারলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকা আয় করা সম্ভব। পাশাপাশি, পাহাড়ি জমিতে কফি আবাদ করে দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করাও সম্ভব হবে। তিনি জানান, ১ লাখ হেক্টর জমিতে কফি চাষ করতে পারলে ২ লাখ টন কফি উৎপাদন সম্ভব যার বাজারমূল্য প্রায় সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা।
#
কামরুল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬৪
গুটিকয়েকের অনিয়মে জনপ্রতিনিধিদের অর্জন ম্লান হতে পারে না
-- স্থানীয় সরকার মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেছেন, গুটিকয়েক জনপ্রতিনিধির অনিয়ম এবং ভুলের কারণে ৬৫ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধির অর্জন ম্লান হতে পারে না। মন্ত্রী বলেন, স্থানীয় সরকার অর্থাৎ জনপ্রতিনিধিত্বশীল প্রতিষ্ঠানই পারে জনমানুষের আশা এবং প্রত্যাশা পূরণ করতে।
তিনি আজ গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরাম আয়োজিত 'করোনাকালে স্থানীয় সরকারের ভূমিকা ও বাজেট ২০২১-২০২২' শীর্ষক অনলাইন মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, সারা দেশে ৬৫ হাজারের বেশি জনপ্রতিনিধি আছে। তাদের মধ্যে অল্প সংখ্যক অনিয়মের সাথে জড়িত হলে এর জন্য সকল জনপ্রতিনিধিকে দোষারোপ করা ঠিক নয়। তিনি বলেন, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মহাসংকটে সরকার দেশে লকডাউন ঘোষণার পর সকল জনপ্রতিনিধি মাঠে-ময়দানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন। এসময়, দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে দু-একজনের ভুলত্রুটি হয়েছে। সেটা নিতান্তই নগণ্য। কিন্তু তাৎক্ষণিকভাবে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ায় তা নিয়ন্ত্রনে আসে।
গভর্নেন্স এডভোকেসি ফোরামের চেয়ারপারসন ও পিকেএসএফের চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত। এছাড়া মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম, ঢাবি উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডঃ আসিফ শাহান অন্যান্যের মধ্যে মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।
#
হায়দার/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬৩
নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হবে আগামী দিনের মূল জ্বালানি
-- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী
চট্টগ্রাম, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, নবায়নযোগ্য জ্বালানিই হবে আগামীদিনের মূল জ্বালানি। পাওয়ার সিস্টেম মাস্টারপ্ল্যান অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানির অবদান ক্রমশ বাড়ছে । ২০৪১ সালের মধ্যে নবায়নযোগ্য জ্বালানি থেকে ৪০ শতাংশ বিদ্যুৎ আসবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ চট্টগ্রামে কোরিয়ান ইপিজেডে ১৬ মেগাওয়াট রুফটপ সোলার পাওয়ারের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, নেট মিটারিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর রুফটপ সোলার জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পেশাদারিত্বের সাথে স্থাপন করতে পারলে এটা একটা ভালো বিজনেস মডেল হতে পারে।
প্রতিমন্ত্রী এ সময় আরো বলেন, সৌরবিদ্যুৎ করতে অনেক জমির প্রয়োজন। জমি কম লাগে এমন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে গবেষণা প্রয়োজন। বায়ু বিদ্যুৎ, ওশান রিনিউবল এনার্জি, বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ, সৌর বিদ্যুৎ ইত্যাদি আগামীর জ্বালানি মিশ্রণে ব্যাপক অবদান রাখবে। ২০৪১ সালের উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশের জ্বালানি হবে গ্রিন এনার্জি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বাংলাদেশে নিযুক্ত দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত Lee Jang- Keun ও কোরিয়ান ইপিজেডের চেয়ারম্যান Kihak Sung বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬২
চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালঞ্জ মোকাবিলায় নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে জোর দিতে হবে
-- শ্রম প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের চ্যালঞ্জ মোকাবিলা এবং রুপকল্প-২০৪১ এর সফল বাস্তবায়নে নতুন নতুন প্রযুক্তি উদ্ভাবনে বেশি জোর দিতে হবে। সব সেক্টরের কর্মজীবীদের নতুন নতুন প্রযুক্তিতে দক্ষ হতে হবে, তবে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে কোনো শ্রমিক যাতে কর্মহীন না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মন্ত্রণালয়ের উদ্ভাবনী টিম আয়োজিত চতুর্থ শিল্প বিপ্লব এবং ইনোভেশন শোকেসিং বিষয়ক দিনব্যাপী এক ভার্চ্যুয়াল কর্মশালার সমাপনী বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, গ্লোবাল ভিলেজে তথ্য প্রযুক্তির সৃষ্টিশীলতা আমাদের জন্য মূল্যবান সম্পদ। তথ্য প্রযুক্তিতে উন্নত জাতি আগামীর বিশ্বকে নেতৃত্ব দেবে। এই উপলব্ধি থেকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য উত্তরসূরি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০০৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে ডিজিটাল বাংলাদেশ ও ভিশন-২০২১ এর রূপরেখা প্রকাশ করে জাতিকে এক নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখান। তাঁর রূপরেখার মূল কথাই ছিল তথ্য প্রযুক্তিই হবে সব কর্মকান্ডের মূল হাতিয়ার। আজ তা বাস্তবতা।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকার প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব আহমেদ ওয়াজেদের দেখানো পথে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় অধিকাংশ সেবা ডিজিটাল সেবায় রূপান্তর করেছে। মন্ত্রণালয়ের সকল কার্যক্রম অটোমেশন করা হয়েছে, ই-ফাইলিং এর মাধ্যমে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফাইলের নিষ্পত্তি করা হচ্ছে। কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর হতে কলকারখানার লাইসেন্স প্রদান কার্যক্রম অনলাইনে সম্পন্ন করা হচ্ছে। LIMA নামক Apps-এর মাধ্যমে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হচ্ছে, শ্রমিকদের সুবিধার্থে টোল ফ্রি হটলাইন নম্বর ১৬৩৫৭ চালু করা হয়েছে। শ্রম অধিদপ্তরে Writ Management System, Inventory and Requisition Management System, Online Trade Union Registration System চালু করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় জনগণ তাদের দোরগোড়ায় কম সময়ে, স্বল্প খরচে এবং কম যাতায়াত করে সেবা পাচ্ছেন।
ভার্চুয়াল কর্মশালায় মন্ত্রণালয়ের সচিব কে এম আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত সচিব ড. রেজাউল হক, সাকিউন নাহার বেগম, জেবুন্নেসা করিম, ড. সেলিনা আকতার, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ নাসির উদ্দিন আহমেদ, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক গৌতম কুমার চক্রবর্তীসহ উদ্ভাবক, মন্ত্রণালয়ের অধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের উদ্ভাবনী টিমের সদস্যগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
আকতারুল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৬১
দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী কর্মীর স্ত্রীর হাতে ২৫ লাখ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
সৌদি আরবে দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসীর স্ত্রীর হাতে ২৫ লাখ টাকার চেক তুলে দিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ। মন্ত্রী আজ সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলা পরিষদ চত্বরে সৌদি আরবে লিফ্ট দুর্ঘটনায় নিহত প্রবাসী গোয়াইনঘাটের শাহীন আহমদের স্ত্রী লাকী বেগমের হাতে ক্ষতি পূরণের ২৫ লাখ টাকার চেক তুলে দেন।
অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, প্রবাসী কর্মীরা মারা গেলে মৃতদেহ দেশে আনার জন্য সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় সরকার। বিমানবন্দরে লাশ হস্তান্তরের সময় সেটি পরিবহন ও দাফনের খরচ হিসেবে দেওয়া হয় সরকারি অনুদান। এছাড়া মৃত প্রবাসী কর্মীর পরিবারের জন্য আর্থিক অনুদান আর মৃত্যুজনিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের ব্যবস্থাও করে থাকে।
গোয়াইনঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিলুর রহমানের সভাপতিত্বে এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন সিলেটের জেলা প্রশাসক এম কাজী এমদাদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ ইব্রাহিম, গোয়াইনঘাট সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ ফজলুল হক প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, গোয়াইনঘাট উপজেলার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের আশ্রব খাঁ এর ছেলে শাহীন আহমদ প্রায় ৩ বছর আগে নির্মাণ শ্রমিক হিসেবে সৌদি আরবে গমন করেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের গোড়ার দিকে লিফট দুর্ঘটনার শিকার হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। এসময় তার ওয়ারিশ হিসেবে রেখে যান স্ত্রী লাকী বেগমসহ ২ ছেলে ও ২ মেয়ে।
নিহত প্রবাসী কর্মী শাহীন আহমদের পরিবারের আর্থিক অসহায় অবস্থার কথা জানতে পেরে মন্ত্রী সৌদির নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান থেকে মোট ২২ লাখ টাকার ক্ষতি পূরণ আদায়ের ব্যবস্থা করেন। এছাড়া তিনি প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালেয়ের পক্ষ থেকে ৩ লাখ টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করেন।
#
রাশেদুজ্জামান/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৬৬০
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে
-- গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ফুলপুর (ময়মনসিংহ), ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ বলেছেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী ও যুগোপযোগী উদ্যোগ দেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ময়মনসিংহের ফুলপুর উপজেলা পরিষদ চত্বরে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ভূমি ও গৃহ প্রদান অনুষ্ঠানে একথা বলেন। আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ফুলপুর উপজেলায় প্রথম পর্যায়ে ৯৭টি পরিবার এবং দ্বিতীয় পর্যায়ে ৩০টি পরিবার মাঝে ২ শতক জমির কবুলিয়াত দলিলসহ নির্মিত ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বিভিন্ন দল রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছেন। কিন্তু তারা সকলেই নিজেদের আখের গোছাতে ব্যস্ত ছিলেন। তারা এতিমের টাকা মেরে খেয়েছেন, সাধারণ মানুষের অর্থে বিত্ত-বৈভব গড়েছেন। বিদেশে দেশের সম্পদ পাচার করে নিজেরা বিলাসী জীবন যাপন করেছেন। অন্যদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজের জীবনের সুখ-শান্তি বিসর্জন দিয়ে খেটে খাওয়া মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নে দিনরাত পরিশ্রম করছেন। ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ভূমি ও গৃহ প্রদানের মাধ্যমে এই পুনর্বাসন কার্যক্রম দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির অনন্য মাইলফলক হিসেবে ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে বলে প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
#
রেজাউল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫৯
জাতীয় কবির স্বীকৃতি সম্মানের, গেজেটভুক্তির বিষয় নয়
-- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, জাতীয় কবির স্বীকৃতি সম্মানের, গেজেটভুক্তির বিষয় নয়। কাজী নজরুল ইসলাম ও জাতীয় কবি উপাধি অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালের ২৪ মে কবি কাজী নজরুল ইসলামকে কলকাতা হতে ঢাকায় এনে জাতীয় কবির মর্যাদায় অভিষিক্ত করেন।
প্রতিমন্ত্রী আজ সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের ব্যবস্থাপনায় জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২২তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে 'নজরুল চেতনায় দেশপ্রেম' শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউট ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য ও কবির নাতনি খিলখিল কাজীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ বদরুল আরেফীন।
খিলখিল কাজী বলেন, কবি নজরুলের চেতনা ও দর্শন ছিল অন্যায়, অত্যাচার, বৈষম্য ও সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। তিনি তাঁর বলিষ্ঠ লেখনীর মাধ্যমে বাঙালি জাতিকে জাগিয়ে তুলেছিলেন। রচনা করেছেন অজস্র কবিতা ও গান।
সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ। মূল প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট নজরুল গবেষক ও বাঁশরী এর পরিচালক ড. খালেকুজ্জামান, কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং নজরুল গবেষক ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপসচিব মোঃ জেহাদ উদ্দিন।
কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোহাম্মদ জাকীর হোসেন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। সেমিনারে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, আওতাধীন দপ্তর-সংস্থার প্রধানগণ ও কবি নজরুল ইনস্টিটিউট এর কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
#
ফয়সল/মাসুম/রেজুয়ান/মোশারফ/সেলিম/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৮৫৮
টেকসই উন্নয়নের জন্য সমতাভিত্তিক আইনি কাঠামো অপরিহার্য
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ আষাঢ় (২০ জুন) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যে কোনো দেশের টেকসই উন্নয়নের জন্য একটি বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি কাঠামো অপরিহার্য। এজন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতিসংঘ টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) অন্যান্য অভীষ্টের সাথে বৈষম্যহীন আইন ও নীতি প্রয়োগ বিষয়ক লক্ষ্যমাত্রা ১৬(বি) বাস্তবায়নে বৈষম্যবিরোধী আইন প্রণয়নের উদ্যোগসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে।
আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক হোটেলে সোনারগাঁওয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ আয়োজিত লেজিসলেটিভ রিসার্চ বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা ১৬(বি) বাস্তবায়নে আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ মুখ্য ভূমিকা পালন করছে। এর অংশ হিসেবে ‘আইনি গবেষণার মাধ্যমে তারতম্যমূলক আইন ও নীতি চিহ্নিতকরণপূর্বক উহা সংস্কার বিষয়ক প্রকল্প’ গ্রহণ করা হয়েছে। এ প্রকল্পের আওতায় ১৭৯৯ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত প্রণীত ১২৮৬টি আইনে কোনো বৈষম্যমূলক বিধান রয়েছে কিনা তা গবেষণার মাধ্যমে চিহ্নিতকরণের জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় এবং ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদ/বিভাগকে গবেষণার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছিল। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আজ তাদের গবেষণালব্ধ ফলাফল উপস্থাপন করেছে। গবেষণার মাধ্যমে তারা বিভিন্ন আইনের বৈষম্যমূলক বিধান, বৈষম্যের বিভিন্নরূপ, যেমন- লিঙ্গভিত্তিক বৈষম্য, ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে বৈষম্য, প্রয়োগের মাধ্যমে বৈষম্য ইত্যাদির স্বরূপ উৎঘাটনপূর্বক বেশ কিছু সুপারিশ প্রদান করেছে। আইন মন্ত্রণালয় এসব সুপারিশ বিশ্লেষণ করবে যাতে সংশ্লিষ্ট আইনে প্রয়োজনীয় সংস্কার আনয়ন করা যায়। এছাড়া সরকার বৈষম্য বিরোধী আইন প্রণয়নের যে উদ্যোগ নিয়েছে সেখানে এসব সুপারিশ বিবেচনা করা হবে।
অন্যান্য সরকারের সময়ে বাংলাদেশে আইন প্রণয়নের বিষয়ে গবেষণার জন্য বিশেষ কোনো অর্থ বরাদ্দ না থাকার কথা জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর তিনি গবেষণার ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। গবেষণার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন।
মন্ত্রী বলেন, দুঃখের সাথে লক্ষ্যণীয় যে, কেউ কেউ আইন বিষয়ে গবেষণা এবং ভালোভাবে পড়াশোনা ছাড়াই আইন সম্বন্ধে কথা বলে থাকেন, আইনের ব্যাখ্যা দিয়ে থাকেন। আইন এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যে বিষয়ে ভালোভাবে পড়াশোনা ও গবেষণা না করে ব্যাখ্যা দেওয়া যায় না। দিলে জনগণ বিভ্রান্ত হন।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের সচিব মোঃ মইনুল কবিরের সভাপতিত্বে কর্মশালায় আইন ও বিচার বিভাগের সচিব মোঃ গোলাম সারওয়ার, লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের যুগ্ম-সচিব মোঃ হাফিজ আহমেদ চৌধুরী, প্রকল্প পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দীন বক্তব্য রাখেন।
এছাড়া কর্মশালায় বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক আইনি গব