তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩৩
জেনেভায় শ্রম প্রতিমন্ত্রীর সাথে আইএলও মহাপরিচালকের বৈঠক
জেনেভা, (১৪ মার্চ) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক আজ জেনেভায় আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা- আইএলও সদর দপ্তরে আইএলও মহাপরিচালক গাই রাইডারের সাথে বৈঠক করেন। বৈঠকে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বাংলাদেশে পোশাক শিল্পের উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি গঠিত ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ গঠনের বিষয়ে আইএলও মহাপরিচালককে অবহিত করেন।
বৈঠকে আশুলিয়ার বর্তমান শ্রম পরিস্থিতি, ট্রেড ইউনিয়ন রেজিস্ট্রেশন সহজিকরণ, শ্রম আইন সংশোধন এবং ইপিজেড শ্রম আইনের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরা হয়। মহাপরিচালক গত ডিসেম্বরে বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত স্কিল সামিট আয়োজনের জন্য সরকারের প্রশংসা করেন। আইএলও এর মহাপরিচালক বাংলাদেশের বর্তমান শ্রম পরিস্থিতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং শ্রমমান উন্নয়নে আইএলও এর চলমান সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।
আগামী এপ্রিলে বাংলাদেশ ও ভুটানের যৌথ উদ্যোগে ভুটানে অনুষ্ঠেয় অটিজম সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য শ্রম প্রতিমন্ত্রী আইএলও এর উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি প্রেরণের জন্য বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে আহ্বান জানান।
বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে শ্রম ও র্কসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব মিকাইল শিপার, জেনেভায় নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভাস্থ জাতিসংঘ অফিসের বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি এম শামীম আহসান, যুগ্মসচিব খোন্দকার মোস্তান হোসেন, বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্র্স ফেডারেশন এর সাবেক সভাপতি এবং আইএলও গভর্নিং বডির মালিক প্রতিনিধি কামরান টি রহমান এবং বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন এর মহাসচিব ফারুক আহমেদ এবং আইএলও পক্ষে সহকারী মহাপরিচালক ও এশীয়, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক তোমোকো নিশিমোতো (ঞড়সড়শড় ঘরংযরসড়ঃড়) উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/মাহমুদ/আলী/জয়নুল/২০১৭/২০৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩২
মুক্তিযুদ্ধ বাঙালির জীবনে সবচেয়ে আলোকিত অধ্যায়
-- প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :
পলস্নী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, বাঙালি জাতির জীবনে সবচেয়ে আলোকিত অধ্যায় হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে অর্জিত হয় স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ, নিজস্ব জাতিসত্তা, পবিত্র সংবিধান ও লাল-সবুজের পতাকা।
তিনি আজ ঢাকায় এফডিসি মিলনায়তনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম বার্ষিকী উপলড়্গে শেরে বাংলা সামাজিক সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশন আয়োজিত এক আলোচনা সভা, গুণিজন সম্মাননা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এসব কথা বলেন।
সংগঠনের সভাপতি মো. মাহাবুবুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, মেজর জেনারেল (অব.) ইমামুজ্জামান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. মো. রফিকুল ইসলাম, হাজী মো. আব্দুস সাত্তার, ইন্সুরেন্স বিশেষজ্ঞ মো. আপেল মাহমুদ, মো. মোসত্মফা কামাল, মশিউর রহমান শিহাব প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, একটা জাতির নিজস্ব সংস্কৃতি চর্চার অর্জনসমূহ প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে স'ান করে দিতে পারলে প্রজন্মের পর প্রজন্ম নিজস্ব কৃষ্টি, সভ্যতা ও স্বকীয়তাকে জাগরূক রাখা সম্ভব। সমাজে সত্য, সুন্দর, শানিত্ম ও সমৃদ্ধি প্রতিষ্ঠায় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলোর সহায়ক ভূমিকা অপরিহার্য। দেশ ও জাতিকে বেশি বেশি আলোকিত সাদামনের মানুষ উপহার দিতে হলে নতুন প্রজন্মকে লেখাপড়ার পাশাপাশি ক্রীড়া, সাহিত্য, সংস্কৃতি ও বিজ্ঞান চর্চায় দড়্গতা ও যোগ্যতা অর্জন করতে হবে। তিনি শেরে বাংলা সামাজিক সাংস্কৃতিক ফাউন্ডেশনকে মুক্তচিনত্মা ও স্বাধীনতার স্বপড়্গের মননশীল ও সৃষ্টি ধর্মী সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে উলেস্নখ করে এর কর্মযজ্ঞকে তৃণমুল মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয়ার আহ্বান জানান। তিনি সংগঠনটিকে সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পরে প্রতিমন্ত্রী ফাউন্ডেশনের পড়্গ থেকে সমাজের বিভিন্ন ড়্গেত্রে অবদান রাখা কৃতী ব্যক্তিগণের হাতে ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন। এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথিসহ সকল অতিথিগণকেও সম্মাননা পদক প্রদান করা হয়।
#
আহসান/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩১
গভীর সমুদ্রে ব্লক-১২ এ তেল গ্যাস অনুসন্ধানের চুক্তি স্বাক্ষর
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :
আজ ঢাকায় পেট্রোবাংলায় পেট্রোবাংলা ও পসকো দেইয়ূ কর্পোরেশনের মধ্যে গভীর সমুদ্রে ব্লক-১২ এ তেল গ্যাস অনুসন্ধানের জন্য চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। এতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের উপসচিব খাদিজা নাজনীন ও পসকো দেইয়ূর পক্ষে কোম্পানিটির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং পেট্রোবাংলার সচিব মোঃ আসফাকুর রহমান স্বাক্ষর করেন।
প্রাথমিকভাবে এ চুক্তি ৫ বছরের জন্য, তবে তা আরো তিন বছর বৃদ্ধি করা যাবে। চুক্তি অনুযায়ী সমুদ্রের ১২ নং ব্লকে ৩ হাজার ৫৬০ বর্গ কিলোমিটারে ১ হাজার থেকে ২ হাজার মিটার গভীরে দেইয়ূ অনুসন্ধান করবে। ২ডি ও ৩ডি সিইসমিক সার্ভে তিন বছরের মধ্যে সম্পন্ন করে ৪র্থ ও ৫ম বছরে কূপ খননে যাবে। পেট্রোবাংলার প্রফিট শেয়ার থাকবে তেলে ৬৫ থেকে ৯০ শতাংশ এবং গ্যাসে ৬০ থেকে ৮৫ শতাংশ।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীর বিক্রম বলেন, জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চারটি বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দেয়া হয়েছে, তা হলো-জরিপ, অনুসন্ধান, কূপ খনন ও এলএনজি আমদানি। তিনি অনুসন্ধান কাজ দ্রুত সম্পাদন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের আহ্বান জানান।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেন, সরকার যথাসময়ে সকলের জন্য জ্বালানি নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। এলএনজি আমদানি করা হচ্ছে, এলপিজি ব্যবহার বাড়িয়ে উদ্বৃত্ত প্রাকৃতিক গ্যাস শিল্পে দেয়া হবে। গভীর সমুদ্রের ১৫টি ব্লকের মধ্যে আজ একটি ব্লকে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে। বাকী ব্লকেও অনুসন্ধান চালানোর উদ্যোগ নেয়া হবে। অগভীর সমুদ্রের ১১টি ব্লকের মধ্যে ইতোমধ্যে ৩টিতে কাজ চলছে, বাকীগুলোতে অনুসন্ধান চালানোর বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন। স্থলভাগে ১০৮ টি কূপ খননের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জুলাই ২০১৮ এর মধ্যে ২৮টি কূপ খনন সম্পন্ন করা হবে।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব নাজিমউদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোঃ তাজুল ইসলাম, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহাম্মদ ফয়জুল্লাহ ও বাংলাদেশে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এ এইচ এন সিয়ং দূও (অ ঐ ঘ ঝবড়হম উড়ড়) বক্তব্য রাখেন।
#
আসলাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/২০১০ঘণ্টা
থ্যবিবরণী নম্বর : ৭৩০
একনেকে ময়মনসিংহ সহ ৬ বিভাগে পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প অনুমোদিত
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ):
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) সভায় ময়মনসিংহ বিভাগকে অন্তর্ভুক্ত করে ৬টি বিভাগীয় সদরে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৬টি পূর্ণাঙ্গ টেলিভিশন কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প সহ ৫ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ টাকার প্রাক্কলিত ব্যয় সংবলিত ৭টি নতুন ও সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে জিওবি ৩ হাজার ৪৪৫ কোটি ৪৮ লাখ টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ১ হাজার ৭ শত ২৭ কোটি ১৬ লাখ টাকা।
আজ ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কেন্দ্রে প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপার্সন শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় এ অনুমোদন দেয়া হয়। একনেক সদস্যবৃন্দ, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীগণ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ফেব্রুয়ারি মাসে মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৩১ ভাগ হয়েছে বলে সভায় জানান। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে গরুর মাংস ও ভোজ্য তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে মূল্যস্ফীতি কিছুটা বেড়েছে। চলতি অর্থবছরে এ পর্যন্ত ৪৫ হাজার ৫ শত ৩২ কোটি টাকা এডিপি বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে। বাস্তবায়নের এ হার শতকরা ৩৭ ভাগ। গত বছর একই সময়ে এ হার ছিল শতকরা ৩৪ ভাগ এবং বাস্তবায়ন ব্যয় ছিল ৩৪ হাজার ৬ শত ৭৫ কোটি টাকা।
পরিকল্পনা মন্ত্রী একনেক সভা শেষে সভার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানান। তিনি বলেন, জনগণের মধ্যে জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে জাতীয় নীতিসমূহের প্রচার, রংপুর, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, বরিশাল এবং ময়মনসিংহ অঞ্চলের সাংস্কৃতিক, ঐতিহাসিক এবং বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান তৈরি ও প্রচার এবং স্পনসরিং অনুষ্ঠানও বিজ্ঞাপন প্রচারের মাধ্যমে সরকারের রাজস্ব আয় বৃদ্ধি; টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের লক্ষ্যে প্রণীত কার্যক্রমে তৃণমূল পর্যায়ের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে জনসচেতনতা বৃদ্ধি করা; অশুভ, জঙ্গি, বিশৃঙ্খল কাজের বিরুদ্ধে সংগ্রামের মধ্য দিয়ে জাতীয় শুদ্ধাচার ও গোষ্ঠীগত ঐক্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে সন্ত্রাস ও জঙ্গি তৎপরতার বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টি। তিনি বলেন, শিশুদের পূর্ণ মাত্রায় বিকশিত করতে খেলার মাঠ যেখানে হবে সেখানে শিশুদের খেলার ব্যবস্থা রাখতে প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। সরকার দেশের প্রতিটি অঞ্চলে বিশেষ অর্থনৈতিক এলাকা করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। এর ফলে কৃষি জমির অপচয় রোধ হবে। তিনি জানান গ্রামীণ রাস্তাসমূহ পরিকল্পিতভাবে করা উচিত। স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, সড়ক পরিবহণ ও মহাসড়ক বিভাগ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপণা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্টদের সমন্বয়ে পরিকল্পিতভাবে গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণের জন্য প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন। জাতীয় মহাসড়কগুলো পর্যায়ক্রমে চার লেনে রূপান্তরিত হবে এবং রাস্তার পাশে সার্ভিস লাইন থাকবে।
একনেক সভায় অনুমোদিত প্রকল্পসমূহ হচ্ছে বাংলাদেশ টেলিভিশনের ৬টি পূর্ণাঙ্গ টিভি কেন্দ্র স্থাপন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১৩৯১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ৪০২ দশমিক ৪৫ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৯৮৮ দশমিক ৫৫ কোটি টাকা। লিভারেজিং আইসিটি ফর গ্রোথ, এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গর্ভনেন্স (১ম সংশোধিত)” প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৫৪ দশমিক ২১ কোটি টাকা। এর জিওবি ১৫ দশমিক ৬০ কোটি টাকা এবং প্রকল্প সাহায্য ৭৩৮ দশমিক ৬১ কোটি টাকা। গ্রামীণ মাটির রাস্তাসমূহ টেকসইকরণের লক্ষ্যে হেরিং বোন বন্ড (এইচবিবি) করণ” প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ১২৩৮ দশমিক ২৭ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। বৃহত্তর পটুয়াখালী জেলার গুরুত্বপূর্ণ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন (পটুয়াখালী ও বরগুনা জেলা) প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৪৯২ দশমিক ২৫ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের নিমিত্ত ভূমি অধিগ্রহণ প্রকল্প (আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ ও মিরসরাই অর্থনৈতিক অঞ্চল” প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৬১ দশমিক ৭৪ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। যশোর-খুলনা জাতীয় মহাসড়কের যশোর অংশ (পালবাড়ী হতে রাজঘাট অংশ) যথাযথ মানে উন্নীতকরণ প্রকল্প। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ৩২১ দশমিক ৫৬ কোটি টাকা। এর পুরোটাই জিওবি। ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের উন্মুক্ত স্থানসমূহের আধুনিকায়ন, উন্নয়ন ও সবুজায়ন প্রকল্প। এ প্রকল্পটির প্রাক্কলিত ব্যয় ২৭৯ দশমিক ৫১ কোটি টাকা। এর মধ্যে জিওবি ২২৩ দশমিক ৬১ কোটি টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৫৫ দশমিক ৯০ কোটি টাকা।
#
শেফায়েত/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭২৯
স¦াস্থ্য মন্ত্রীর নয়াদিল্লী যাত্রা
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে ভারতের নয়াদিল্লীতে অনুষ্ঠেয় মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে যোগ দিতে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম আজ ঢাকা ত্যাগ করেছেন।
যক্ষ্মা নির্মূলের লক্ষ্যে চলমান কর্মসূচির মূল্যায়ন, নতুন কর্মসূচি প্রণয়ন এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনার জন্য দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রীদের দুই দিনব্যাপী এই বৈঠক ১৫ মার্চ শুরু হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী আগামী ১৭ মার্চ দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
#
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭২৮
তরুণ সমাজের জন্য প্ল্যাটফরম গড়ে তুলতে
কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারিয়ানদের প্রতি স্পিকারের আহ্বান
ঢাকা, ৩০ ফাল্গুন (১৪ মার্চ) :
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা, রাজনীতি ও সংসদীয় গণতন্ত্র সম্পর্কে বিশ্বের তরুণ সমাজকে আগ্রহী করে তুলতে এবং তরুণ নেতৃত্ব সৃষ্টিতে কমনওয়েলথ পার্লামেন্টারি এসোসিয়েশন (সিপিএ) অব্যাহত ভূমিকা রাখছে। তিনি তরুণ সমাজের কথায় গুরুত্ব প্রদান এবং তরুণ সমাজের জন্য প্ল্যাটফরম গড়ে তুলতে কমনওয়েথ পার্লামেন্টারিয়ানদের প্রতি আহ্বান জানান ।
স্পিকার ১৩ মার্চ লন্ডনের ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবেতে কমনওয়েলথ দিবস-২০১৭ এর ‘এ পিস বিল্ডিং কমনওয়েলথ’ বিষয়ে তরুণ সমাজের ভূমিকা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে প্যানেল বক্তব্যে একথা বলেন। এবারের কমনওয়েলথ দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘এ পিস বিল্ডিং কমনওয়েলথ’। প্রতিবছরের ন্যায় এবছরও সিপিএ’র বিভিন্ন অঞ্চল ও শাখাসমূহে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালিত হচ্ছে।
স্পিকার বলেন, বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যকে সামনে রেখে এবারের দিবসটি উদ্যাপন করা হচ্ছে। স্পিকার কমনওয়েলথভুক্ত দেশসমূহের মধ্যে শান্তি এবং স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় সদস্য দেশগুলোকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, কমনওয়েলথের মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠা এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে বিশ্ব শান্তি আরো সুদৃঢ় ও সুসংহত হবে।
তিনি বলেন, দেশে দেশে যুদ্ধাবস্থাই শুধু বিশ্ব শান্তির জন্য হুমকি নয়, বর্তমান বিশ্ব ব্যবস্থায় সন্ত্রাসবাদ, পরমাণু অস্ত্রের বিস্তার, ক্ষদ্র জাতি গোষ্ঠীর ওপর আক্রমনও বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় মারাত্মক হুমকি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন অংশে অব্যাহত সংঘাত ও সহিংসতার বিপক্ষে সিপিএ’র অবস্থান। বিশ্ব শান্তি প্রতিষ্ঠায় সিপিএ নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান বিশ্বের মোট জনসংখ্যার এক পঞ্চমাংশ তরুণ, এই তরুণ সমাজকে গণতান্ত্রিক চর্চায় উদ্বুদ্ধ করে বিশ্ব শান্তি, সমৃদ্ধি ও মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় কাজে লাগাতে হবে।
কমনওয়েলথ দিবস-২০১৭ এর অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে কমনওয়েলথ প্রধান ও সিপিএ,র প্যাট্রন রাণী দ্বিতীয় এলিজাবেথ, সিপিএ’র সেক্রেটারি জেনারেল আকবর খাঁন, সিপিএ’র ব্রাঞ্চসমূহের প্রতিনিধি, কমনওয়েলথ দেশসমূহের তরুণ প্রতিনিধি এবং ১ হাজার জন স্কুল শিক্ষার্থী অংশগ্রহণ করেন।
#
কামাল/অনসূয়া/নুসরাত/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭২৭
বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক খবর জনসম্মুখে তুলে ধরতে হবে
-তথ্যসচিব
লন্ডন, ১৪ মার্চ :
তথ্যসচিব মরতুজা আহমদ বাংলাদেশ সম্পর্কে ইতিবাচক খবরসমূহ আরো বেশি করে জনসম্মুখে তুলে ধরার আহ্বান জানিয়ে বলেন, বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সময়োপযোগী ও কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়নের ফলে সকল ক্ষেত্রে দেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতি পথে এগিয়ে যাচ্ছে।
তথ্যসচিব সম্প্রতি যুক্তরাজ্য সফরকালে সেখানকার ঐতিহ্যবাহী বাংলা পত্রিকা ‘জনমত’ এর অফিস পরিদর্শনকালে বৃটিশ-বাংলাদেশি প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। প্রেসমিনিস্টার নাদির কাদিরসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক এসময় উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যসচিব বলেন, ‘আমার জন্মভূমি প্রকল্পটি’ ব্রিটিশ-বাংলাদেশি সাংবাদিকদের জন্য মাতৃভূমির সাথে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে। তিনি মাতৃভূমির সাথে ব্রিটিশ বাংলাদেশি সাংবাদিকদের সেতুবন্ধ সুদৃঢ় করতে ‘আমার জন্মভূমি’ প্রকল্পটিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেয়ার ঘোষণা দেন। প্রকল্পটির গতিশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে তথ্য মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা সার্বিক তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব দেয়ার কথা উল্লেখ করেন। প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালে ‘আমার জন্মভূমি’ প্রকল্পটি চালু হয়।
তথ্যসচিব লন্ডনস্থ বিবিসি’র দাপ্তরিক অফিস পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি বিবিসি’র এশিয়া হেড জুলিয়ান লটির সাথে মতবিনিময় করেন। এ সময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক গৃহীত ভিশন-২০২১ এবং ২০৪১ সম্পর্কে বিবিসিতে প্রচারের বিষয়ে অনুরোধ জানান। পরে তিনি বিবিসি বাংলা সার্ভিসের বিভিন্ন বিভাগ ঘুরে দেখেন এবং বিবিসি বাংলা তার সাক্ষাৎকার গ্রহণ করেন।
এছাড়া লন্ডনে নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার মো. নাজমুল কাওনাইন তথ্যসচিবের সাথে সাক্ষাৎ করেন। পরে তিনি প্রেস উইং পরিদর্শন করেন এবং উইংয়ের কার্যক্রম প্রত্যক্ষ করেন।
#
নাদীম/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১২২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৭২৬
নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে মানবাধিকার ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে
কাজ করে যাচ্ছে বাংলাদেশ
নিউইয়র্ক, ১৪ মার্চ :
বাংলাদেশ নারীর ক্ষমতায়নকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়েছে এবং নারীর ক্ষমতায়নের মাধ্যমে মানবাধিকার ও টেকসই শান্তি নিশ্চিত করতে জাতির পিতার দেখানো পথে কাজ করে যাচ্ছে। জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি ও রাষ্ট্রদূত মাসুদ বিন মোমেন ১৩ মার্চ সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে কমিশন অন দ্য স্টাটাস অভ্ উইমেন (সিএসডব্লিউ) এর ৬১তম সভায় বাংলাদেশ মিশন আয়োজিত ‘ডড়সবহ ধহফ ঝঁংঃধরহধনষব চবধপব: ঊংংবহঃরধষ ভড়ৎ ঐঁসধহ জরমযঃং ঃড় চবধপব’ শীর্ষক এক সাইড ইভেন্টে একথা বলেন।
স্থায়ী প্রতিনিধি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ নারী উন্নয়ন ও নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের বুকে রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এরই স্বীকৃতিস্বরূপ প্রধানমন্ত্রী অর্জন করেছেন সাম্প্রতিক সময়ের ইউএন উইমেন এর ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ ও গ্লোবাল পার্টনারশিপ ফোরামের ‘এজেন্ট অভ্ চেঞ্জ অ্যাওয়ার্ড’সহ অসংখ্য আন্তর্জাতিক পুরস্কার।
মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের ভূমিকার কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত মোমেন বলেন, মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণার মূলনীতি ও ধারাসমূহকে ধারণ করেই প্রণয়ন করা হয়েছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান। বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার রক্ষা কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে জেনেভাস্থ মানবাধিকার রক্ষা কাউন্সিল কর্তৃক ‘মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে শান্তি নিশ্চিত’ করার আলোচনায় শুরু থেকেই কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ‘শান্তির সংস্কৃতি ও অসহিংসতা’ বিকাশের ক্ষেত্রে অন্যতম প্রবক্তা।
নারীর ক্ষমতায়নের লক্ষ্যে জাতিসংঘের বিভিন্ন কার্যক্রমে বাংলাদেশের সক্রিয় ভূমিকার কথা উল্লেখ করে স্থায়ী প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশ সবসময়ই জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। হাইতি ও কঙ্গোতে বাংলাদেশই প্রথম নারী পুলিশ কন্টিনজেন্ট প্রেরণ করে। জাতিসংঘ মিশনে কর্মরত নারীর সুরক্ষা ও যৌন নিপীড়ন প্রতিরোধ বিষয়েও বাংলাদেশ সুনির্দিষ্টভাবে ভূমিকা রেখেছে। এছাড়া ২০১৬ সালে জাতিসংঘ পিস্ বিল্ডিং কমিশন গৃহীত ‘জেন্ডার স্ট্রাটেজি’ বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ ফোকাল পয়েন্ট হিসেবে সফলতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে মর্মে রাষ্ট্রদূত মোমেন তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশের খ্যাতনামা কূটনীতিক, জাতিসংঘের সাবেক আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল রাষ্ট্রদূত আনোয়ারুল করীম চৌধুরী এই সাইড ইভেন্টটির মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে আরো বক্তব্য রাখেন নোবেল পুরস্কার বিজয়ী প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল পিস্ ব্যুরো’র জাতিসংঘের প্রতিনিধি ঈড়ৎধ ডবরংং, স্প্যানিস সোসাইটি ফর ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস্ ল’র সভাপতি ঈধৎষড়ং ঠরষষপ্সহ উঁৎপ্সহ, জাতিসংঘের শিশু অধিকার রক্ষা কমিটির সদস্য গরশরশড় ঙঃধহর এবং উইমেন ইউএন রিপোর্ট নেটওয়ার্ক এর সমন্বয়কারী খড়রং অ ঐবৎসধহ।
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৩ মার্চ শুরু হওয়া সিএসডব্লিউ’র এই ৬১তম সভার উদ্বোধন করেন জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্টোনিও গুতারেস। আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত এ সভার কার্যক্রম চলবে।
#
অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১১৫২ ঘণ্টা