তথ্যবিবরণী নম্বর : ২৯৮৩
প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কার বিতরণ
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা
ঢাকা, ১৪ কার্তিক (২৯ অক্টোবর) :
দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রথমবারের মতো ‘বিজয় ফুল’ তৈরি, গল্প ও কবিতা রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাঙ্কন, একক অভিনয় ও চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে।
বিভাগ, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা তদারকি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা বাস্তবায়ন করবে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। সার্বিকভাবে প্রতিযোগিতার তত্ত্বাবধান করবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে গত ২৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ সচিবের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত সভার সূত্র অনুযায়ী গত ১৭ অক্টোবর থেকে আগামী ১৩ ডিসেম্বর সময়ের মধ্যে দেশব্যাপী এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। অন্যদিকে জাতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা আগামী ১৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতার জাতীয় পর্যায়ের পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠান আগামী ১৫ ডিসেম্বর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে যেখানে প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করবেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।
স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা পর্যায়ে দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আন্তঃশ্রেণি প্রতিযোগিতার মাধ্যমে শুরু হয়ে উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বিভাগীয় পর্যায়ে বাছাইকৃত প্রতিযোগীদের মধ্য থেকে চূড়ান্ত প্রতিযোগিতার মাধ্যমে জাতীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ প্রতিযোগী নির্বাচন করা হবে। প্রতিযোগিতা তিনটি স্তরে যথা: গ্রুপ-ক: শিশু থেকে পঞ্চম শ্রেণি, গ্রুপ-খ: ষষ্ঠ থেকে অষ্টম শ্রেণি এবং গ্রুপ- গ: নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যায়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিযোগিতায় ছেলে ও মেয়ে উভয়ের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা হবে। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়/বিভাগ উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে স্ব স্ব দপ্তরকে এ কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের জন্য যথাযথ নির্দেশনা প্রদান করবে। ‘বিজয় ফুল’ তৈরি ও অন্যান্য প্রতিযোগিতার কর্মসূচি তথ্য মন্ত্রণালয় ব্যাপক প্রচারের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে গত ৫ সেপ্টেম্বর এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়কের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সংক্রান্ত সভায় বিজয় ফুল তৈরি প্রতিযোগিতা আয়োজনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য আলোকপাত করে বলা হয়, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স এবং বেলজিয়াম প্রতি বছর ১১ নভেম্বর প্রথম বিশ্বযুদ্ধে নিহত তাদের বীর শহীদদের স্মরণে ‘রিমেমব্রারস ডে’ উদযাপন করে থাকে। যে সকল যোদ্ধা ও সাধারণ মানুষ যুদ্ধে নিহত হয়েছেন ঐদিন তাদের স্মরণে পোশাকে লাল পপি ফুল ধারণ করে থাকেন। বাংলাদেশেও আমরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও সাধারণ মানুষের স্মরণে ডিসেম্বর মাসে বিজয় ফুলের প্রচলন করতে পারি এবং বিজয়ের মাসে ১ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত পোশাকে বিজয় ফুলের প্রতীক ধারণ করতে পারি। বিজয়ফুল শুধু একটি প্রতীক বা একটি স্মারক নয়, এটি একটি পন্থাও বটে। এ ফুলের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশ, মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস, সংস্কৃতি আর ঐতিহ্যের কথা বলতে পারি। সেই সঙ্গে আমরা বিজয়ফুলকে নিয়ে সকল অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়তে পারি। শাপলা আমাদের জাতীয় ফুল। শাপলাকে বিজয়ফুলের প্রতীক করা যায়। বিজয়ফুলে ছয়টি পাপড়ি থাকবে যা বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে স্মরণ করাবে। ছয় দফা বাংলাদেশের স্বাধীনতার মূল বীজ বপন করেছিল।
উল্লেখ্য, সুন্দরভাবে তৈরি করা বিজয়ফুলের জন্য পুরস্কারের ব্যবস্থা করা হবে। তৈরি করা বিজয় ফুল বিক্রি করে অর্জিত অর্থ শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার অথবা প্রতিবন্ধীদের সহায়তায় প্রদান করা হবে।
#
ফয়সল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/২১৫৫ ঘণ্টা