Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৮ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী ১৮ জুলাই ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৯
 
 
সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষায় বেসরকারি টিভির উদ্যোগ প্রশংসনীয় 
-- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :   
 
সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষায় এগিয়ে আসায় বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু। 
 
আজ রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ইউনিসেফ বাংলাদেশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সারা বর্ডাস এডি (ঝধৎধ ইড়ৎফধং ঊফফু) এর সভাপতিত্বে ইউনিসেফের সাথে পাঁচটি বেসরকারি টেলিভিশনের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী বলেন, ‘বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ব্যবসার পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা রক্ষা, বিশেষ করে শিশু কল্যাণে এগিয়ে আসছে, এটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় ও আশাব্যঞ্জক।’ 
 
তথ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ‘শিশুদের জন্য এক মিনিট’ শীর্ষক এ অনুষ্ঠানে ইউনিসেফের পক্ষে সারা বর্ডাস এডি এবং একুশে, বিজয়, একাত্তর, দুরন্ত ও বাংলা টিভির পক্ষে যথাক্রমে রাশেদ চৌধুরী, চৌধুরী মহিবুল হাসান, সামিয়া জামান, অভিজিৎ চৌধুরী ও সৈয়দ সামাদুল হক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন। 
 
সমঝোতা স্বাক্ষরকারী চ্যানেলগুলো তাদের প্রতিদিনের সম্প্রচারের গুরুত্বপূর্ণ সময় সন্ধ্যা সাড়ে ছ’টা থেকে রাত সাড়ে দশটা’র মধ্যে এক মিনিট ইউনিসেফ নির্মিত শিশু বিষয়ক ক্ষুদ্র অনুষ্ঠানটি বিনামূল্যে প্রচার করবে। এই সম্প্রচার কাজটি চ্যানেলগুলোর সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে গণ্য হবে।
 
‘তথ্য মন্ত্রণালয় এই সমঝোতাকে স্বাগত জানায় এবং এই পদক্ষেপ প্রকৃতপক্ষে  শিশুদের জন্য গণমাধ্যমের এক ধাপ এগিয়ে আসা। সরকার ও ইউনিসেফের সাথে শিশু কল্যাণে গণমাধ্যমের যুক্ত হওয়ার অর্থ দেশের ভবিষ্যৎ নির্মাণের পথে আরেক ধাপ অগ্রগতি’, বলেন হাসানুল হক ইনু।
 
মন্ত্রী এসময় গণতন্ত্র ও গণমাধ্যমকে হাতের এপিঠ-ওপিঠ বলে উলে¬øখ করেন ও শিশুদের সুরক্ষা, শিক্ষা ও শিশু ও মায়ের আপৎকালীন সেবায় সুদীর্ঘ ভূমিকার জন্য ইউনিসেফকে অভিনন্দন জানান। 
 
উল্লে¬খ্য, বাংলাদেশ টেলিভিশন, এটিএন বাংলা, দেশ টিভি, বৈশাখী টিভি, সময় টিভি, চ্যানেল ২৪ টিভি এবং গাজী টিভি এর আগে ইউনিসেফের সাথে একই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করে এবং তারা অনুরূপ সম্প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। 
#
 
আকরাম/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৯০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৮৫৮

শ্রমিক কল্যাণে জাহাজ ভাঙা শিল্পে পেনশন স্কিম চালু করা হবে
                                   --- শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মো. মুজিবুল হক (চুন্নু) বলেছেন, চলমান শ্রম আইন সংশোধন করে জাহাজ ভাঙা শিল্পের বিষয় এতে গুরুত্বসহকারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। শ্রমিকদের কল্যাণে পেনশন স্কিম চালুর পদক্ষেপ নেয়া হবে। শতভাগ ঝুঁকিপূর্ণ এবং স্পর্শকাতর হিসেবে জাহাজ ভাঙা শিল্পকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা গুরুত্ব দেয়া হবে।
তিনি আজ চট্টগ্রামের একটি হোটেলে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অভ্ লেবার স্টাডিজ (বিলস) সহ কয়েকটি বেসরকারি সংগঠনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত দু’দিনব্যাপী নিরাপদ ও টেকসই জাহাজ ভাঙা শিল্পে হংকং কনভেনশন শীর্ষক আন্তর্জাতিক সেমিনারের সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, নিবন্ধন ছাড়া কোন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ব্যবসা করতে পারবে না। অনিবন্ধিত প্রতিষ্ঠানের নিকট থেকে শিল্প মালিকগণ শ্রমিক সরবরাহ নিতে পারবে না। এসব বিষয় শতভাগ নিশ্চিত করার জন্য তিনি চট্টগ্রামের কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, প্রয়োজনে অনিবন্ধিত ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দিতে হবে।
জাহাজ ভাঙা শিল্পে হংকং কনভেনশন বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ হংকং কনভেনশনে স্বাক্ষরকারী দেশ। এ বিষয়ে সরকারের ঊর্ধ্বতন মহলে আলোচনা করা হবে।
সেমিনারে অন্যান্যের মধ্যে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মো. সামছুজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ মেটাল ফেডারেশন সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন সহসভাপতি ও ভারতীয় শ্রমিক নেতা ভি ভি রানে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল গ্লোবাল ইউনিয়ন ডিরেক্টর কান মুতসুযাকি, আঞ্চলিক সচিব অপুর্ভা কায়ওয়ার, বিলস এর নির্বাহী পরিচালক সৈয়দ সুলতান উদ্দিন আহমদ এবং শ্রমিক নেতা এ এম নাজিম উদ্দিনসহ শ্র্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ বক্তৃতা করেন। 
#

আকতারুল/মাহমুদ/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৮৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৮৫৭
 
ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস গ্লোবাল এওয়ার্ড পাচ্ছেন শিক্ষামন্ত্রী
 
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
শিক্ষাক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস গ্লোবাল এওয়ার্ড-২০১৭ এর জন্য মনোনীত হয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। আগামী ২৩-২৪ নভেম্বর ভারতের মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস সম্মেলনে তাঁকে এ পুরস্কার প্রদান  করা হবে। শিক্ষাক্ষেত্রে নেতৃত্ব ও অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ব্যক্তিগত ক্যাটেগরিতে তিনি এ পুরস্কার পাচ্ছেন। 
বিপুল সংখ্যক মানুষের জীবন পরিবর্তনে ভূমিকা রাখা এবং সামাজিক মূল্যবোধ পরিবর্তনে অবদান রাখতে সক্ষম ব্যক্তিদের এই এওয়ার্ড প্রদান করা হয়। এওয়ার্ড হিসেবে একটি ট্রফি ও সাইটেশন প্রদান করা হবে।
ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেসের এওয়ার্ডস্ ও একাডেমিক কমিটির চেয়ারম্যান এডওয়ার্ড স্মিথ (ঊফধিৎফ ঝসরঃয) বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীকে পাঠানো পত্রে বলেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আপনার নেতৃত্ব ও অবদান সুপরিচিত। এক্ষেত্রে আপনি গুরুত্বপূর্ণ ও আইকনিক ব্যক্তি।’ বাংলাদেশের শিক্ষামন্ত্রীকে তিনি চিন্তাবিদ, কর্মী এবং পরিবর্তনে বিশ্বাসী একজন রোল মডেল ব্যক্তি হিসেবে উল্লেখ করেন।  তিনি বলেন, এ এওয়ার্ডের লক্ষ্য হচ্ছে, সেরাদের মধ্যে সেরা নির্বাচন করা।
ওয়ার্ল্ড এডুকেশন কংগ্রেস-২০১৭ সম্মেলনে জনাব নাহিদকে বক্তব্য প্রদান এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তাঁর জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা বিনিময়ের জন্যও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এ সম্মেলনে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষাবিদসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করবেন।
#
 
আফরাজুর/মাহমুদ/শেফায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৫৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ১৮৫৬
 
    সরকার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ ও গৃহ পুনর্নির্মাণ করবে
                       --- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী
 
নীলফামারী, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, বীর বিক্রম বলেছেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধগুলো পুনরায় নির্মাণের ব্যবস্থা করবে সরকার। নদীভাঙনের শিকার গৃহহীনদের নতুন ঘর নির্মাণ করে দেয়া হবে।
বন্যা উপদ্রুত উত্তরাঞ্চল সফরের ৫ম দিনে তিনি আজ নীলফামারী জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন। জেলা প্রশাসক মোঃ খালেদ রহিমের সভাপতিত্বে সভায় সংসদ সদস্য গোলাম মোস্তফা, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামালসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, বন্যা উপদ্রুত এলাকায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি ও এনজিওদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করতে হবে। বন্যার পানি নেমে না যাওয়া পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের পাশে থাকতে হবে সবাইকে। বন্যার পানি নেমে যাওয়ার পর রাস্তাঘাট মেরামত প্রয়োজন হবে। কর্মসৃজন প্রকল্পের মাধ্যমে এসব কাজে নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা হবে। 
মন্ত্রী বলেন, বন্যা প্লাবিত মানুষের পাশে থাকবে সরকার। কষ্ট লাঘব না হওয়া পর্যন্ত ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত থাকবে। ত্রাণ তৎপরতা চালানোর পাশাপশি পানি নেমে যাওয়ার পর পুনর্বাসনের জন্য পরিকল্পনা প্রণয়ন করতে মন্ত্রী জেলা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন। স্বল্প সময়ে যাতে কৃষকরা ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে অনুযায়ী পরিকল্পনা প্রণয়নের ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন। মানবিক দিক বিবেচনা করে নতুন ফসল না উঠা পর্যন্ত এনজিও থেকে গৃহীত কৃষকদের ঋণের কিস্তি আদায় বন্ধ রাখার জন্য তিনি এনজিও প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি অনুরোধ করেন। গ্রামের দুঃখী মানুষদের বাঁচাতে সকলকে আন্তরিক হয়ে সাহায্য করার আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী এর আগে লালমনিরহাট জেলার হাতিবান্ধায় বন্যা প্লাবিত বিভিন্ন প্রত্যন্ত স্থান পরিদর্শন করেন, পানিবন্দি মানুষের সাথে কথা বলেন, তাদের কষ্ট লাঘব ও পুনর্বাসনের আশ্বাস দেন। এ সময় তিনি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেন। সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন। তিনি পরে নীলফামারী জেলার ডিমলায় বন্যা উপদ্রুত এলাকা পরিদর্শন ও ত্রাণ বিতরণ করেন।
#
 
ওমর ফারুক/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৭/১৭৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ১৮৫৫
 
সীতাকুন্ডের ত্রিপুরা পাড়ায় স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ স¦াস্থ্যমন্ত্রীর
 
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :
 
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলার ত্রিপুরা পাড়া এলাকায় একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশ দিয়েছেন। স্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র প্রতিষ্ঠার আগে সেখানে দ্রুততম সময়ের মধ্যে একটি অস্থায়ী স্বাস্থ্যকেন্দ্র চালু করারও নির্দেশ দেন তিনি। স্বাস্থ্যমন্ত্রীর নির্দেশে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কমিউনিটি বেইজড হেল্থ কেয়ার কর্মসূচির লাইন ডাইরেক্টর ডা. আবুল হাশেম আজ এলাকাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে স্বাস্থ্যকেন্দ্র স্থাপনের কাজ শুরুর জন্য স্থানীয় বিভাগীয় পরিচালক ও সিভিল সার্জনের সাথে বৈঠক করেছেন।
 
আগামীকাল থেকে ত্রিপুরা পাড়া ও সন্নিহিত আক্রান্ত এলাকার প্রতিটিতে একটি করে দু’টি অস্থায়ী টিকাদান কেন্দ্র, একটি করে স্যাটেলাইট স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র এবং পনের বছর বয়স পর্যন্ত শিশু-কিশোরদের হাম রোগের প্রতিরোধে বিশেষ টিকাদান কার্যক্রম শুরু হবে।
 
এদিকে, ত্রিপুরা পাড়ার শিশু মৃত্যুর ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার জন্য ৬ স্বাস্থ্য সহকারীকে বদলি করা হয়েছে। তাদেরকে তিন দিনের মধ্যে দায়িত্ব হস্তান্তর করে নতুন কর্মস্থলে যোগদান করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আজ চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন এই বদলির আদেশ জারী করেন।
 
আজ চট্টগ্রামের সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতাল ও চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৯২ জন রোগী ভর্তি হয়েছিল। এর মধ্যে আজই ২০ জন রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছে। বাকিরাও আশাঙ্কামুক্ত। সকলকে বিনামূল্যে ঔষধ, পরীক্ষা-নিরীক্ষা, পথ্য ও পুষ্টিকর খাবার সরবরাহ করা হয়েছে।  
 
#
 
 
পরীক্ষিৎ/মাহমুদ/সঞ্জীব/সেলিম/২০১৭/১৭২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৪ 

সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়
                                                           - প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
রংপুর, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :   

এলজিআরডি ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মো. মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, শিক্ষা মানব সম্পদ উন্নয়নের অন্যতম সোপান। সুশিক্ষা ছাড়া কোনো জাতির উন্নয়ন, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি অর্জন সম্ভব নয়। 
প্রতিমন্ত্রী আজ রংপুর মডেল কলেজের নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব  কথা বলেন।  
রাঙ্গাঁ বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষার সকল স্তরে তথ্যপ্রযুক্তি সম্পৃক্ত করে মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়ন করছে। ইতোমধ্যে সারাদেশে ২৪ হাজার প্রতিষ্ঠানে আইসিটি সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। রংপুর মডেল কলেজের শিক্ষার্থীরা দেশে-বিদেশে শিক্ষা, সাহিত্য, বিজ্ঞান, সংস্কৃতি ও ক্রীড়াসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা রেখে আসছে। তিনি এ অগ্রযাত্রা ধরে রাখতে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সমন্বিত ভূমিকা রাখার আহ্বান জানান। তিনি কলেজটির সার্বিক উন্নয়নের ঘোষণা দেন।
এর আগে রাঙ্গাঁ রংপুর মডেল কলেজের গভর্নিং বডির সভায় সভাপতি হিসেবে যোগদান করেন।
এ অনুষ্ঠানে কলেজের অধ্যক্ষ মো. মোখলেসুর রহমান, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যগণসহ রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
#
আহসান/অনসূয়া/সুবর্ণা/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫৩

গবেষণা ও নতুন উদ্ভাবন টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত
                                            - স্পিকার
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :   
স্পিকার ও সিপিএ নির্বাহী কমিটির চেয়ারপার্সন ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী  বলেছেন, গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন টেকসই উন্নয়নের পূর্বশর্ত। হরাইজন ২০২০ ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ গবেষণা কর্মসূচি- যার আওতায় বাংলাদেশ ও বিদেশি বিশেষজ্ঞদের সমসাময়িক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে যৌথ গবেষণা কর্মের সুযোগ রয়েছে।
স্পিকার আজ মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অভ্ কমার্স আয়োজিত হরাইজন ২০২০: অপরচুনিটিস ফর বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, হরাইজন ২০২০ এর কর্মসূচি ২০১৪ সাল থেকে শুরু হয়েছে যা ২০২০ সাল পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের ১৫টি যৌথ গবেষণা কর্ম ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন কর্তৃক গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, আগামী দিনগুলোতে আরো গবেষণা করার সুযোগ রয়েছে এবং যৌথ উদ্যোগের এই গবেষণা কর্ম একটি নতুন পদক্ষেপ যা থেকে আরো অনেক শেখার সুযোগ রয়েছে।
স্পিকার বলেন, জলবায়ুর পরিবর্তন ও বাংলাদেশের উপকূলবর্তী এলাকায় লবণাক্ততার প্রভাব মোকাবিলায় আমাদের দেশের কৃষিকে এগিয়ে নিতে কৃষিখাতে গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন নিয়ে কাজ করতে হবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এ ধরণের গবেষণা দেশের জন্য সুফল বয়ে আনবে। এছাড়া সামাজিক ও শিল্পখাতের বিভিন্ন বিষয়ে এ গবেষণা হতে পারে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের সমসাময়িক বিষয়গুলোর মধ্যে জনমিতি, তথ্যপ্রযুক্তি, পরিবেশসম্মত জ্বালানি, ঔষধ শিল্প, ব্লু-ইকনমি, সফটওয়ার শিল্প প্রভৃতি খাতে যৌথ গবেষণা কর্মের সুযোগ রয়েছে। তিনি এ সুযোগ কাজে লাগাতে বাংলাদেশের গবেষক ও উদ্ভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
তিনি আরো বলেন, মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অভ্ কমার্স বাংলাদেশের বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনায় স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠান। এ ধরণের মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য তিনি মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অভ্ কমার্সকে ধন্যবাদ জানান।
মেট্রোপলিটন চেম্বার্স অভ্ কমার্স এর সভাপতি নিহাদ কবীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ্ওসমান বক্তৃতা করেন। অন্যান্যের মধ্যে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আনোয়ার হোসেন, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেলিগেশন চরবৎৎব গধুধঁফড়হ বক্তৃতা করেন।
#
কামাল/অনসূয়া/সুবর্ণা/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৫১২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ১৮৫২ 
 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টার্স শেষ পর্বের রেজিস্ট্রেশন কার্ড অনলাইনে প্রদান শুরু
ঢাকা, ৩ শ্রাবণ (১৮ জুলাই) :   
 
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৪-১৫ শিক্ষাবর্ষে মাস্টার্স শেষ পর্ব (নিয়মিত ও প্রাইভেট) প্রোগ্রামে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ১৮ জুলাই ২০১৭ থেকে শুরু হয়ে আগামী ১০ আগস্ট পর্যন্ত অনলাইনে প্রদান করা হবে। 
এক্ষেত্রে িি.িহঁ.বফঁ.নফ/ধফসরংংরড়হং/ৎবমরপধৎফ লিংকে গিয়ে পড়ষষবমব ষড়মরহম পষরপশ করে পড়ষষবমব ঢ়ৎড়ভরষব এর ঘড়ঃরভরপধঃরড়হ খরহশ হতে প্রাপ্ত টংবৎ হধসব ও ঢ়ধংংড়িৎফ ব্যবহার করে রেজিস্ট্রেশন কার্ড উড়হিষড়ধফ  করে প্রিন্ট করা যাবে।  
#
ফয়জুল/অনসূয়া/জসীম/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৪৪৫ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর : ১৮৫১ 
 
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জাতীয় রিপোর্ট ভিএনআর সেশনে উপস্থাপন 
 
নিউইয়র্ক, ১৭ জুলাই :  
 
জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ১৭ জুলাই চলতি হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরামের ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ (ভিএনআর) সেশনে ঊৎধফরপধঃরহম ঢ়ড়াবৎঃু ধহফ ঢ়ৎড়সড়ঃরহম ঢ়ৎড়ংঢ়বৎরঃু রহ ধ পযধহমরহম ড়িৎষফ-শিরোনামে এসডিজি বাস্তবায়নের অগ্রগতি বিষয়ক বাংলাদেশের জাতীয় রির্পোট উপস্থাপন করা হয়। ১৭ থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত মন্ত্রী পর্যায়ের এই সেগমেন্টে ৪৪টি দেশ তাদের ন্যাশনাল রিপোর্ট উপস্থাপন করবে।
মন্ত্রী পর্যায়ের এ পর্বে বাংলাদেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল নেতৃত্ব দেন। ভিএনআর-এ বাংলাদেশের জাতীয় রির্পোট উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বাস্তবায়নের মুখ্য সমন্বয়ক আবুল কালাম আজাদ। 
মাল্টিমিডিয়া প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে গত দুইবছরে এসডিজি অর্জনে বাংলাদেশের অগ্রগতির এই ন্যাশনাল রিপোর্ট উপস্থাপন করা হয়। রিপোর্টটিতে এসডিজি’র ৭টি অভীষ্ট যথা: দারিদ্র্য নির্মূল, ক্ষুধা, সুস্বাস্থ্য ও কল্যাণ, লিঙ্গ সমতা, শিল্প উদ্ভাবন ও অবকাঠামো, জলজ জীবন ও বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব-বাস্তবায়নে বাংলাদেশের অর্জনসমূহ উল্লেখ করা হয়। এসডিজিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ এজেন্ডা হিসেবে উল্লেখ করে এর বাস্তবায়নে বাংলাদেশ সরকার গৃহীত বিভিন্ন কৌশল যেমন-সপ্তম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনায় এসডিজিকে সন্নিবেশিত করা, বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তিতে এসডিজিকে অন্তর্ভুক্ত করা, এসডিজি ট্রাকার সৃষ্টি, আন্তঃমন্ত্রণালয় এসডিজি বাস্তবায়ন ও মনিটরিং কমিটি গঠন, মন্ত্রণালয়ের ম্যাপিং এবং ডেটাগ্যাপ এনালাইসিস এর মতো বিষয়গুলোও এখানে তুলে ধরা হয়।
ভিএনআর প্রেজেন্টেশনে দেশের উন্নয়নের পরিমাপক হিসেবে বিভিন্ন আর্থসামাজিক প্রবৃদ্ধির তথ্য প্রদর্শন করা হয়। দেখানো হয় উচ্চ ও নি¤œ দারিদ্র্য রেখা যথাক্রমে শতকরা ২৪ দশমিক ৩ ও শতকরা ১২ দশমিক ৯ ভাগে নেমে এসেছে, যা ১৯৯১ সালে ছিল যথাক্রমে শতকরা ৫৬ দশমিক ৭ ও শতকরা ৪১ দশমিক ১। প্রধানমন্ত্রীর প্রাধিকার প্রকল্প একটি বাড়ি একটি খামারের পাশাপাশি উঠে আসে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অধিকার রক্ষা ও কল্যাণ, ডিজিটাল ফিনানসিয়াল সার্ভিস এবং জনগণের দোরগোড়ায় সেবা প্রদানের লক্ষ্যে গৃহীত বিশেষ বিশেষ কর্মসূচিগুলো। পদ্মা সেতুসহ মেগা অবকাঠামো প্রকল্পসমূহও এ রিপোর্টে স্থান পায়।
বাংলাদেশকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫টি ভিশন, যথা: ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করা, ২০৩০ সালে এসডিজি বাস্তবায়নের মাধ্যমে উন্নয়নের মহাসড়কে উপনীত হওয়া, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হওয়া, ২০৭১ সালে স্বাধীনতার শতবর্ষ পূর্তিতে বাংলাদেশকে উন্নয়নের বিস্ময়ে পরিণত করা এবং ২১০০ সালে ডেল্্টা প্লান বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশকে নিরাপদ   ব-দ্বীপ হিসেবে গড়ে তোলা-এ রিপোর্টে সন্নিবেশিত হয়। 
এসডিজি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কোন অবস্থানে রয়েছে, চ্যালেঞ্জসমূহ কী এবং এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশলসমূহ প্রতিফলনের পাশাপাশি এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বৈশ্বিক অংশীদারিত্বের ওপর জোর দেওয়া হয়েছে এই রিপোর্টে। 
#
 
অনসূয়া/জসীম/শহিদ/রফিকুল/আসমা/২০১৭/১৩৩০ ঘণ্টা 
Todays handout (3).docx