তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৯৫
টেলিভিশনে স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য
সকল ইলেকট্রনিক মিডিয়া
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর ) :
সরকারি-বেসরকারি টিভি চ্যানেলসহ সকল ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে নিম্নোক্ত বার্তাটি স্ক্রল আকারে প্রচারের জন্য অনুরোধ করা হলো :
মূলবার্তা :
"মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল (৯ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি ঢাকায় ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে বেগম রোকেয়া পদক-২০২১ প্রদান এবং বেগম রোকেয়া দিবস উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগদান করবেন ।"
#
আলমগীর/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৯৪
বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ প্রচেষ্টায় অমিমাংসিত বিষয়ের সমাধান হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
খুলনা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ ও ভারত সরকারের যৌথ প্রচেষ্টায় পারস্পরিক বিশ্বাস ও আস্থা বৃদ্ধির মাধ্যমে উভয় দেশের অমিমাংসিত বিষয়সমূহ অচিরেই সমাধান হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ জেলা শিল্পকলা একাডেমি, খুলনায় বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ভারতীয় হাইকমিশন, ঢাকা, ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন, খুলনা, বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির যৌথ আয়োজনে এ প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে মুজিববর্ষ, মহাত্মা গান্ধীর সার্ধশতজন্মবর্ষ এবং ভারত-বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে দুই দেশের সরকারের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু ও মহাত্মা গান্ধীর জীবন ও কর্ম নিয়ে এ প্রদর্শনী আয়োজন করা হচ্ছে।
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, সংসদ সদস্য মোঃ আক্তারুজ্জামান, আব্দুস সালাম মুর্শেদী ও এস এম জগলুল হায়দার অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।
এছাড়াও ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার, খুলনা রাজেশ কুমার রাইনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, খুলনা বিএল কলেজের অধ্যক্ষ শরীফ আতিকুজ্জামান প্রমুখ এসময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘ভারত বাংলাদেশের পরীক্ষিত বন্ধু। দুই দেশের কিছু অভিন্ন স্বার্থ রয়েছে। অভিন্ন সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও আদর্শের ক্ষেত্রে দু’দেশের অনেক ভালো অবস্থান রয়েছে। আমাদের এক কোটি জনগণকে আশ্রয় দেয়া, মুক্তিযোদ্ধাদের প্রশিক্ষণ দেয়াসহ অন্যান্য সহযোগিতা প্রদানের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের সময় ভারতের জনগণ অসাধারণ ত্যাগ স্বীকার করেছেন। শুধু তাই নয় আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবন রক্ষার্থে ভারতের তৎকালীন সরকার প্রধান ইন্দিরা গান্ধী বিশ্ব পরিমণ্ডলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব যতদিন থাকবে ভারত ও বাংলাদেশের বন্ধুত্ব কোনভাবেই বিনষ্ট হবে না’।
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিসহ দু’দেশের মধ্যে অন্যান্য অমিমাংসিত বিষয় আমরা অবশ্যই সমাধান করতে পারবো। ইতোমধ্যে আমরা দু’দেশের স্থলসীমান্ত ও সমুদ্রসীমা সংক্রান্ত সমস্যা সর্বোচ্চ কূটনৈতিক প্রচেষ্টার মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করতে পেরেছি’।
‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ভারতের জাতির জনক মহাত্মা গান্ধীর যে লক্ষ্য ছিল, যে দর্শন ছিল, যে বিশ্বাস ছিল, মানবকল্যাণে আত্মোৎসর্গের জন্য তাদের যে রাজনীতি ছিল সে রাজনীতি হোক আমাদের পাথেয়। আর যখনই বাংলাদেশ কিংবা ভারত প্রান্তে সাম্প্রদায়িকতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে, শান্তির পৃথিবী নির্মাণের জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করে আমরা তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবো’-যোগ করেন মন্ত্রী।
পরে মন্ত্রী জেলা শিল্পকলা একাডেমি খুলনায় বঙ্গবন্ধু-বাপু ডিজিটাল প্রদর্শনীর উদ্বোধন ঘোষণা করেন।
#
ইফতেখার/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৯৩
বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন অনুষ্ঠানে
যোগ দিতে ভারতে গেলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহরিয়ার আলম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী এবং বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রীর ৫০ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আজ ভারতে গিয়েছেন।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী আগামী ১১ই ডিসেম্বর কলকাতার সিস্টার নিবেদিতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ফিফটি ইয়ার্স অভ্ ইন্ডিপেন্ডেন্ট অভ্ বাংলাদেশ’ বিষয়ে বক্তৃতা প্রদান করবেন। তিনি কলকাতায় বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশনে আয়োজনে মেজর (অব) এ. এস. এম শামসুল আরেফীন সম্পাদিত "Bangladesh @ 50" এবং সত্যম রায় চৌধুরী সম্পাদিত "Bangabandhu for You" বই দু’টির মোড়ক উন্মোচন, আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিবেন। ফ্রেন্ডস অভ্ বাংলাদেশ-এর সহযোগিতায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কারিগরি শিক্ষা এবং প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন দপ্তরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত রাষ্ট্রমন্ত্রী হুমায়ূন কবীর।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক ও ফ্রেন্ডস অভ্ বাংলাদেশ-এর সভাপতি গৌতম ঘোষ।
#
মোহসিন/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২১/২০২৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৯২
স্বাধীনতার জন্য ফুটবল দল বিশ্বে বিরল
-- যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল বলেছেন, দেশের স্বাধীনতার জন্য ফুটবল দল গঠন এবং সেই ফুটবল দল ম্যাচ খেলে অর্থ সংগ্রহ করে মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রদান করা বিশ্বের ইতিহাসে বিরল।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাফুফে ভবনে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) আয়োজিত স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের একটি ফুটবল দল দেশের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে জনমত অর্জন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সাহায্যার্থে অর্থ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে ভারতের বিভিন্ন স্থানে প্রদর্শনী ফুটবল খেলায় অংশ নেয়। এই দলটি স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল নামে পরিচিত ছিল। পৃথিবীর ইতিহাসে যুদ্ধকালীন প্রথম ফুটবল দল এটি।’
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল অবিচ্ছেদ্য অংশ উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশের ক্রান্তিকালে বল পায়ে স্বাধীনতার পক্ষে জনমত তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ফুটবলাররা। বাংলাদেশের স্বাধীনতার কথা উঠলে তাই স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের নাম উচ্চারিত হবেই।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ফুটবল খেলে দর্শকদের বিনোদন দেওয়া যাদের কাজ ছিল তারা সে উত্তাল সময়ে বসে থাকেননি। পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে দেশকে মুক্ত করতে তাঁরা খেলার মাঠে সৃষ্টি করেছিল মুক্তিযুদ্ধের আরো একটি ফ্রন্ট। দেশকে শত্রুমুক্ত করতে তাঁদের কণ্ঠে ধ্বনিত হয়েছিল স্বাধীনতার স্লোগান। তাঁদের হাতে হয়তো অস্ত্র ছিল না, কিন্তু মহান মুক্তিযুদ্ধে পায়ের ফুটবলটাই হয়ে উঠেছিল অস্ত্রের মতো ধারালো। তাঁদের খেলার মধ্যেই মিশে ছিল প্রতিবাদের ভাষা। স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের পতাকাতলে এই ফুটবলাররা ভারতের বিভিন্ন শহরে ১৭টি প্রদর্শনী ম্যাচ খেলে ১৬ লাখের বেশি ভারতীয় রুপি মুক্তিযুদ্ধের তহবিলে প্রদান করে। দেশের স্বাধীনতার জন্য ভিনদেশে প্রীতি ম্যাচ খেলে অর্থ সংগ্রহ বিশ্ব ক্রীড়াঙ্গনেই বিরল।
এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের সকল সদস্যকে সংবর্ধনা প্রদান করা হবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। এছাড়া মহান মুক্তিযুদ্ধে অনন্য অবদান রাখায় স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলকে স্বাধীনতা পুরস্কার প্রদানের জন্য আবেদন করা হবে বলেও জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব পরিমল সিংহ, বাফুফে সভাপতি কাজী মোঃ সালাউদ্দিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহফুজা আক্তার কিরণ, সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু নাইম সোহাগসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
#
আরিফ/রাহাত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিমুজ্জামান/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৯১
বাংলাদেশের আগাম দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থা প্রশংসিত
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশের আগাম দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থা গ্লোবাল ডায়লগ প্ল্যাটফর্ম অন অ্যান্টিসিপেটরি হিউম্যানিটারিয়ান অ্যাকশন ২০২১ আন্তর্জাতিক সম্মেলনে প্রশংসিত হয়েছে। অ্যান্টিসিপেশন হাব-এর আয়োজনে, ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম (ডব্লিউএফপি) এবং ফুড এন্ড এগ্রিকালচারাল অর্গানাইজেশন (এফএও) -এর সহায়তায় আজ অনলাইন প্ল্যাটফর্মে এ আন্তর্জাতিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীন এ সম্মেলনের ‘অ্যাডভান্সিং এন্টিসিপেটরি অ্যাকশন এট দ্যা ন্যাশনাল লেভেল’ শীর্ষক সেশনে কী-নোট বক্তব্য প্রদানকালে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫০ বছর আগে সর্বপ্রথম দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ধারণাটির সাথে পরিচয় করিয়ে দেন,যা সারা বিশ্ব অনুসরণ করছে। বঙ্গবন্ধুর দেখানো পথ অনুসরণ করে তাঁর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্যোগ সহনশীল জাতি বিনির্মাণে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তারই ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ আজ বিশ্বে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃত। সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব বাংলাদেশের আগাম ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থা নিয়ে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। এছাড়া আগাম ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থা কীভাবে দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে ভূমিকা পালন করে সেই বিষয়টিও তুলে ধরেন।
এ সময় ডব্লিউএফপি বাংলাদেশের ডেপুটি কান্ট্রি ডিরেক্টর Piet Vochten বাংলাদেশের এই আগাম দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস ব্যবস্থার প্রশংসা করেন।
উল্লেখ্য, দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাসে অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। যেকোনো দুর্যোগের আভাস পাওয়ামাত্র প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণসহ দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদি, ত্রাণ সামগ্রী সম্ভাব্য দুর্যোগ ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় প্রেরণ করাই অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের মূল ধারণা। অ্যান্টিসিপেটরি অ্যাকশনের ফলে দুর্যোগে জীবন ও সম্পদের ক্ষতি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে হ্রাস পায়।
#
সেলিম/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিজ্জামান/২০২১/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৯০
আবরার হত্যা মামলার রায়ে ন্যায়বিচার করা হয়েছে
-- আইনমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, আবরার হত্যা মামলার রায়ে প্রকৃত ও ন্যায়বিচার করা হয়েছে। আবরার হত্যা মামলা রায়ে এটা প্রমাণ হয় যে দেশে আইনের শাসন আছে।
মন্ত্রী আজ রাজধানীর গুলশানে নিজ আবাসিক কার্যালয়ে বুয়েটের ছাত্র আবরার হত্যা মামলার রায়ের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে এই মন্তব্য করেন।
আনিসুল হক বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপক্ষ প্রমাণ করতে পেরেছে দেশে আইনের শাসন আছে। এখন এরকম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়ে কোনো অপরাধী ঘুরে বেড়াতে পারবে না, তারা রাজনীতি করতে পারবে না, বিরোধী দলীয় নেতা হওয়ার 'অডাসিটি' দেখাতে পারবে না। তিনি বলেন, এই রায়ের নথিপত্র আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্টে চলে যাবে। সেখানে মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়ার ব্যাপারে সরকার সব ধরনের সহযোগিতা করবে।
মন্ত্রী বলেন, সমাজে কিছু কিছু হত্যাকাণ্ড আছে যা সমাজকে নাড়া দেয়, সমাজের বিবেককে নাড়া দেয়। এই সব হত্যাকাণ্ডের বিচার করা না হলে সমাজে হতাশা দেখা দেয়। সরকারের দায়িত্ব এই মামলাগুলো দ্রুত বিচার করে, দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করে সমাজকে আশ্বস্ত করা। তিনি বলেন, এই দায়িত্ব পালনে শেখ হাসিনার সরকার এখন পর্যন্ত সক্ষম হয়েছে।
পদত্যাগকারী তথ্য প্রতিমন্ত্রীর বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘তার কর্মকাণ্ডে আমি গভীরভাবে ক্ষুব্ধ। শুধু সাংসদ নয়, কোনো বিবেকবান মানুষ এটা করতে পারে না।’
#
রেজাউল/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২১/২০২০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৮৯
আইএমও কাউন্সিলে বাংলাদেশকে ‘সি’ ক্যাটেগরিতে ভোট দিতে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রীর আহ্বান
লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ৮ ডিসেম্বর :
আন্তর্জাতিক নৌ সংস্থা (আইএমও)-এর কাউন্সিল সদস্য নির্বাচনে বাংলাদেশকে ‘সি’ ক্যাটেগরিতে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে আইএমও’র সদস্য দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী।
প্রতিমন্ত্রী গতকাল লন্ডনে আইএমও’র নির্বাচনি ক্যাম্পেইন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) মধ্যে বাংলাদেশ এবছর একমাত্র প্রার্থী দেশ। বাংলাদেশ ‘সি’ ক্যাটেগরিতে নির্বাচিত হলে এলডিসি, ছোট দ্বীপভিত্তিক উন্নয়নশীল দেশ, ল্যান্ডলকড উন্নয়নশীল দেশগুলোর স্বার্থ প্রসারিত করবে। আইএমওতে বাংলাদেশ উন্নত এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সেতুবন্ধ হিসেবে কাজ করবে। নিরাপদ এবং পরিবেশগতভাবে টেকসই শিপিং এবং সামুদ্রিক বাণিজ্য নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সচেষ্ট থাকবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ ১৯৭৬ সালে আইএমও’র সদস্যপদ লাভ করে এবং বিভিন্ন সময়ে ‘সি’ ও ‘বি’ ক্যাটেগরিতে আইএমও’র কাউন্সিলের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে। তিনি বলেন, আইএমও কাউন্সিলে আমাদের অংশগ্রহণ বাংলাদেশকে সামুদ্রিক নিরাপত্তা, পরিবেশগত সুরক্ষা এবং শিপিং সেক্টরে দক্ষতা নিশ্চিত করতে আইএমও’র মিশনে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে শুধু সাহায্য করবে না, বাংলাদেশ আইএমওতে নেতৃত্বের ভূমিকাও নিতে পারবে।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের চাহিদা মিটাতে বন্দরগুলোর ভবনসহ অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন জেটি ও টার্মিনাল নির্মাণ, গভীর সমুদ্র বন্দর, পদ্মা সেতু, কর্ণফুলী নদীর নীচে টানেল নির্মাণে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাজেটে যথেষ্ট বরাদ্দ রেখেছেন। নতুন এসমস্ত অবকাঠামো নির্মাণ প্রতিবেশী ল্যান্ডলক দেশগুলোর ব্যবসা বাণিজ্য প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। বিশেষ করে আমাদের দু’টি বড় সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে নৌবাণিজ্য সম্প্রসারিত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ মেরিটাইম জাতি হিসেবে সবসময় সক্রিয়। আমরা বঙ্গোপসাগরের বৃহৎ অংশীজন। বিশ্বের বৃহৎ ডেল্টা হিসেবে বাংলাদেশ এখন মেরিটাইম সেক্টরের সমৃদ্ধি এবং টেকসই ব্লু ইকোনমির প্রবৃদ্ধির উপর ফোকাস করছে। এছাড়া সমুদ্র পথে বাণিজ্য ও পরিবহন কার্যক্রমে বাংলাদেশের আগ্রহ রয়েছে। কারণ বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের ৯৫%ভাগ সমুদ্রপথে হয়ে থাকে।
খালিদ মাহ্মুদ চৌধুরী বলেন, এবছর বাংলাদেশের জন্য একটি বিশেষ বছর। এবছর আমরা বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালন করছি। বঙ্গবন্ধু আমাদেরকে মেরিটাইম ভিশন দিয়ে গেছেন। তিনি ১৯৭৪ সালে মেরিটাইম জোনস অ্যাক্ট এবং বাংলাদেশের প্রথম মেরিন একাডেমি দিয়ে গেছেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, আইএমওতে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি সাঈদা মুনা তাসনীম, আইএমও’র সদস্য রাষ্ট্রগুলোর রাষ্ট্রদূত ও হাইকমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, আগামী ১০ ডিসেম্বর আইএমও’র কাউন্সিলে ‘সি’ ক্যাটেগরির নির্বাচন হবে।
#
জাহাঙ্গীর/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/মাহমুদ/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৮৮
নিজ নেতাদের অশোভন বক্তব্যে আ’লীগ ব্যবস্থা নেয়, বিএনপি পৃষ্ঠপোষকতা করে
-- তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগের কেউ অশোভন বক্তব্য দিলে তার বিরুদ্ধে দলের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হয় কিন্তু বিএনপি তাদের নেতাদের অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় না, বরং পৃষ্ঠপোষকতা করে।’
মন্ত্রী আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবর্ষ উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ সরকারি কর্মচারী কল্যাণ ফেডারেশন (বাসককফ) আয়োজিত শিশু-কিশোরদের রচনা ও কুইজ প্রতিযোগিতা ‘তারুণ্যের তর্জনী’র পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সমসাময়িক প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান, এমপি এবং ড. আনোয়ার হোসেন খান, এমপি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন।
সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ‘আপনারা ইন্টারনেটে দেখেছেন বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, ইশরাক হোসেন, যুক্তরাজ্য বিএনপি’র সভাপতি এম এ মালেকের অশোভন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের বিষয়ে বিএনপি কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করে নাই, কাউকে বিবৃতি দিতে দেখি নাই। সরকারি দলের কেউ বললে অবশ্যই প্রতিবাদ হবে, হওয়াটাই স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে আমাদের সরকার কিংবা দল যে কাউকে ছাড় দেয় না সেই প্রমাণ সবাই পেয়েছে। কিন্তু বিএনপি’র ক্ষেত্রে সবাই কেন নিশ্চুপ ছিলেন- সেটিই আমার প্রশ্ন।’
‘বিএনপি’র তারেক রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় তাদের নেতৃবৃন্দ এই অনাচারগুলো করছে’ উল্লেখ করে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘এম এ মালেক ইউকে থেকে যে ভাষায় বক্তব্য রেখেছে এরপর কি তার দলীয় পদ থাকা উচিত ছিলো? সেগুলো এখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া যায়। তাকে তো দল থেকে বাদ দেওয়া হয় নাই। তার অর্থ যারা এই ধরনের কর্মকাণ্ড করে ও নোংরা কথাবার্তা বলে, বিএনপি তাদের পৃষ্ঠপোষকতা করে। তাই মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবকে বলবো, আয়নায় নিজের দিকে তাকানোর জন্য, নিজের গায়ে দুর্গন্ধ মেখে অপরের দুর্গন্ধ খোঁজা উচিত না।’
ড. হাছান মাহ্মুদ বলেন, ‘আমার দায়িত্বাধীন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ডা. মুরাদ হাসানের সাম্প্রতিক কিছু বক্তব্য, কর্মকাণ্ড নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা হয়েছে এবং যেহেতু সেগুলো সরকার এবং দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেছে সেজন্য প্রধানমন্ত্রী তাকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, তাকে জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগ দলীয় পদ থেকেও বহিষ্কার করেছে। তার কিছু বক্তব্য নিয়ে বিভিন্ন সংগঠন এবং বিএনপি মহাসচিবসহ তাদের নেতৃবৃন্দও বক্তব্য রেখেছে। সেই বক্তব্যকে আমরা স্বাগত জানাই কারণ কেউ অন্যায় করলে অবশ্যই প্রতিবাদ হয়।’
‘কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি বিএনপি নেতারা যখন এ ধরনের অশোভন কথা বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড করেন, তাদের বিরুদ্ধে তাদের দল কখনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি, বিবৃতিও দেননি’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এমনকি নারী নেতৃবৃন্দ যারা মুরাদ হাসানের ক্ষেত্রে সোচ্চার হয়েছেন, তাদেরকেও বিএনপির অশোভন বক্তব্যের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখিনি।’
তথ্যমন্ত্রী এসময় সরকারি কর্মচারীদের কর্মদক্ষতার প্রশংসা করে বলেন, সরকারি কর্মপরিচালনায় তারা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
বাসককফ সভাপতি হেদায়েত হোসেনের সভাপতিত্বে সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি লুৎফর রহমান খান ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দের বক্তৃতা শেষে অতিথিবৃন্দ বিজয়ী প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
#
আকরাম/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৭৮৭
প্রচ্ছন্ন ক্ষুধা নিরসনে সার্ক দেশসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে
-- কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সার্কভুক্ত দেশসমূহে ‘হিডেন হাঙ্গার’ রয়েছে। এটি নিরসনে ফসলের জাত ও উৎপাদন প্রযুক্তি উদ্ভাবন, বিনিময়, মাঠে তা সম্প্রসারণ এবং উৎপাদিত ফসলের সুষ্ঠু বিপণনে দেশসমূহকে একসাথে কাজ করতে হবে। এতে সব দেশই উপকৃত হবে।
আজ রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল (বিএআরসি) অডিটোরিয়ামে ৩৭তম সার্ক (SAARC) চার্টার ডে উপলক্ষ্যে সার্ক কৃষি সেন্টার (এসএসি) আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
সার্ক দেশসমূহে প্রচ্ছন্ন ক্ষুধা বা ‘হিডেন হাঙ্গার’ নিরসনে কৌশলপত্র নিয়ে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন শ্রীলংকার কৃষি বিভাগের ডিরেক্টর জেনারেল ড. এসএইচএস অজন্তা ডি সিলভা।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, কৃষির টেকসই উন্নয়নে আধুনিক প্রযুক্তির কৃষিতে যেতে হবে। গ্রিন হাউস, গ্লাস হাউস প্রযুক্তিসহ সকল আধুনিক প্রযুক্তি কৃষকদের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে। এ বিষয়ে কৃষকদেরকে প্রশিক্ষণ দিতে হবে। সার্ক ফোরাম এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
ড. রাজ্জাক আরো বলেন, দেশের মানুষকে আমরা দানাদার খাদ্যের নিশ্চয়তা দিতে পেরেছি। কিন্তু এখনও পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার দিতে পারছি না। অনেক মানুষের আয়ও কম, সীমিত আয় দিয়ে তারা পর্যাপ্ত পুষ্টিকর খাবার কিনতে পারে না। দেশের ছেলেমেয়েদেরকে আরো মেধাবী ও সৃজনশীল হিসেবে গড়ে তুলতে হলে তাদেরকে আরো পুষ্টিকর খাবার দিতে হবে। সেজন্য, সরকার সকলের জন্য পুষ্টিকর খাবারের নিশ্চয়তা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এসব বিষয়ে সার্ক দেশসমূহের একসাথে কাজ করার সুযোগ রয়েছে।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী। বিএআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ারের সভাপতিত্বে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এডিশনাল ফরেন সেক্রেটারি (সার্ক ও বিমসটেক) মোঃ সামসুল হক, সার্ক কৃষি সেন্টারের পরিচালক মোঃ বখতিয়ার হোসেন, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের হর্টিকালচার বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ কামরুল হাসান, কেজিএফের প্রোগ্রাম বিশেষজ্ঞ ড. শাহাবুদ্দিন আহমেদ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
কামরুল/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৮৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৮৬
জনগণের কাছে যা কিছু গ্রহণযোগ্য নয়, তা
আওয়ামী লীগের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়
-- শিক্ষামন্ত্রী
চাঁদপুর, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর) :
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, জনগণের কাছে যা কিছু গ্রহণযোগ্য নয় তা আওয়ামী লীগের কাছেও গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, ‘কেউ কেউ বিভিন্ন আচরণ কিংবা কথার মাধ্যমে নিজেদের বিতর্কিত করছেন। এর মধ্যে অনেকেই সরকারের সঙ্গে সম্পৃক্ত রয়েছেন। এটি খুবই দুঃখজনক, যা আমাদের কাম্য নয়।’
মন্ত্রী আজ চাঁদপুর আউটার স্টেডিয়ামে মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয় মেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ মন্তব্য করেন।
মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জনগণের দল, শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। জনগণের কাছে যা গ্রহণযোগ্য নয়, সরকার ও জনগণ তার বিরুদ্ধে সবসময় অবস্থান নেবে। যদি সে দলের হয় অথবা সরকারের হয়, তাকে সেখান থেকে অপসারণ করা হবে।’
এ সময় জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান মজলিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়, সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ও স্টিয়ারিং কমিটির সভাপতি এম এ ওয়াদুদ, ফরিদগঞ্জ পৌরসভার মেয়র মুক্তিযোদ্ধা আবুল খায়ের পাটওয়ারী, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নরুল ইসলাম নাজিম দেওয়ান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা শাহনাজ ও চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল উপস্থিত ছিলেন।
#
খায়ের/রাহাত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৭৮৫
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৩ অগ্রহায়ণ (৮ ডিসেম্বর ) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২০ হাজার ৫৪৯ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৭৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাও