তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১২
অঞ্চলভিত্তিক সংগঠনগুলো সম্পৃক্ত হলে জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে
-- স্পিকার
ঢাকা, ৩০শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর) :
জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেছেন, দেশের অঞ্চলভিত্তিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলো সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত হলে সকল অঞ্চলের উন্নয়ন তথা জাতীয় উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে।
স্পিকার আজ ঢাকায় কৃষিবিদ ইনস্টিউটিশনে শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি, ঢাকা কর্তৃক আয়োজিত শরীয়তপুর সম্প্রীতি সমাবেশ ও গুণিজন সংবর্ধনা -২০১৬ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এ কথা বলেন।
স্পিকার বলেন, বাংলাদেশে সকল এলাকায় বিভিন্ন পেশাভিত্তিক সংগঠন রয়েছে। এলাকার উন্নয়নই এসকল সংগঠনের মূল লড়্গ্য। এসকল সংগঠন দেশের তরম্নণ সমাজকে সম্পৃক্ত করে তাদেরকে সুশিড়্গায় শিড়্গিত করে দেশের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব।
স্পিকার বলেন, গণমাধ্যমকর্মীরা সমাজের দর্পণ। তারা তাদের লেখনীতে সমাজের বিভিন্ন সমস্যার বিষয় তুলে ধরেন এবং পরবর্তীতে এসকল সমস্যা সমাধানের জন্য পদড়্গেপ গ্রহণ করা হয়। তিনি শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতি কর্তৃক গুণিজন সংবর্ধনা ও সম্প্রীতি সমাবেশের প্রশংসা করে বলেন, যে জাতি তার গুণিজনকে সম্মান প্রদান করে, সে জাতি বিশ্বে অনন্য উচ্চতায় অবস'ান করে। স্পিকার দেশের বিভিন্ন এলাকায় যে সকল গুণিব্যক্তি রয়েছেন তাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের ওপর গুরম্নত্বারোপ করেন। স্পিকার বলেন, বর্তমান সরকার শিড়্গা, স্বাস'্য, দারিদ্র্যদূরীকরণসহ দেশের উন্নয়নে সামগ্রিক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। তিনি সরকারের এসকল কর্মসূচিকে সফল করতে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
শরীয়তপুর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) শওকত আলী, সংসদ সদস্য নাহিম রাজ্জাক ও এডভোকেট নাভানা আক্তার উপসি'ত ছিলেন ।
অনুষ্ঠানে শরীয়তপুরের ৬ জন গুণী ব্যক্তিকে রাজনীতি, মুক্তিযুদ্ধ, সাহিত্য, সমাজসেবা ও সাংবাদিকতা ড়্গেত্রে বিশেষ অবদান রাখার জন্য সম্মাননা প্রদান করা হয়। তারা হলেন আব্দুর রাজ্জাক (মরোনোত্তর), সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) শওকত আলী, অতুল প্রসাদ সেন (মরনোত্তর), আজিজুল হক মলিস্নক, মোসত্মাক হোসেন মোবারকী ও মাহমুদ শফিক।
#
কামাল/আফরাজ/নবী/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০১৬/২১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১১
ঈশ্বরদীতে প্রতিবন্ধীদের হুইল চেয়ার বিতরণ ভূমিমন্ত্রীর
ঈশ্বরদী, ৩০শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর):
বিশ^ সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবস উপলক্ষে আজ ঈশ^রদীর চররূপপুর প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এক অনুষ্ঠানে একশ’ প্রতিবন্ধীর মাঝে ১০০টি হুইল চেয়ার তুলে দেন ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। ‘কর্মীর হাত গাইবান্ধা’ কর্তৃক বিনামূল্যে এ চেয়ারগুলো বিতরণ করা হয়। জেলা সমাজসেবা কার্যালয় ও প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন ও মানবাধিকার সমিতি, ঈশ^রদী এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে পাবনা জেলা প্রশাসক রেখা রাণী বালো, ঈশ^রদী উপজেলা চেয়ারম্যান মখলেছুর রহমান মিন্টু, পাবনা সমাজ সেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল মমিন, ঈশ^রদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাকিল মাহমুদ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানটির সভাপতিত্ব করেন ঈশ^রদী প্রতিবন্ধী পুনর্বাসন ও মানবাধিকার সমিতির সভাপতি দৃষ্টি প্রতিবন্ধী সানোয়ার হোসেন এবং এর সঞ্চালক ছিলেন রেজাউল করিম রাজা। বিশ^ সাদা ছড়ি নিরাপত্তা দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ‘সাদা ছড়ি হোক আত্মনির্ভরশীলতার প্রতীক’।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রতিবন্ধীদের মঙ্গল চিন্তা করতেন, সরকারিভাবে তাদের সুযোগসুবিধা দিতেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমাজের নি¤œ অসহায় ও অক্ষম মানুষের জন্য বাস্তব পদক্ষেপ নিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর কন্যা সায়মা ওয়াজেদ প্রতিবন্ধীদের উন্নয়নে সক্রিয় অংশ নিয়ে আন্তর্জাতিকভাবে সুনাম অর্জন করছেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধী কারো বোঝা নয়, প্রতিবন্ধী এখন কোনো লজ্জার বিষয়ও নয়। প্রতিবন্ধীদের জন্য গণসচেতনতা সৃষ্টি হয়েছে। সকল শ্রেণিপেশার মানুষসহ বিত্তবানরা প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসছেন। প্রতিবন্ধী প্রতিষ্ঠানে কোনো দুর্নীতি নেই।
#
রেজুয়ান/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৮১৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১০
স্বাধীনতাবিরোধীদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না
-- নৌপরিবহণমন্ত্রী
ঢাকা, ৩০শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর):
নৌপরিবহণমন্ত্রী শাজাহান খান বলেছেন, স্বাধীনতাবিরোধীরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যার মাধ্যমে তাঁর আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাদের সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। ভবিষ্যতেও তাদের ষড়যন্ত্র সফল হবে না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় হোটেল রাজমনি ঈশাখাঁতে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ‘শুভ জন্মদিনের গান’ এর সিডির মোড়ক উন্মোচন ও আলোচনাসভায় এ আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, সমাজে যাতে কেউ জঙ্গি ও সন্ত্রাস সৃষ্টি করতে না পারে সেদিকে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। বাংলার মাটিতে জঙ্গিবাদের কোন স্থান হবে না। তাদেরকে চিরতরে নির্মূল করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। জঙ্গিবাদের প্রশ্রয় ও মদতদাতাদেরকে বিচারের আওতায় আনা হবে। ২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত যারা পেট্রোল বোমা মেরে পুড়িয়ে, পিটিয়ে মানুষ হত্যা করেছে বাংলার মাটিতে তাদেরও বিচার হবে।
মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নে তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন দেশের উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন, ঠিক সে সময়ে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র দেশকে অস্থিতিশীল করতে জঙ্গি হামলা চালিয়ে মানুষ হত্যা করছে। তিনি বলেন, বিএনপি নেত্রী দেশের মানুষের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে বিদেশিদের এবং জঙ্গি, সন্ত্রাস ও অবৈধ অর্থের ওপর নির্ভর করেছিলেন। বাংলার জনগণ ও বিদেশিরা তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে।
মুক্তিযোদ্ধা আহসান উল্লাহ মনির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা ইসমত কাদির গামা, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিম, কামাল চৌধুরী ও অরুন সরকার রানা বক্তব্য রাখেন।
#
জাহাঙ্গীর/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭৩৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২০৯
বিশ্ব খাদ্য দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৩০শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর):
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ই অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
“বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ১৬ই অক্টোবর ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৬’ পালন করা হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাদ্য এবং কৃষিও বদলাবে’ অত্যন্ত সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।
বিশ্বে জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান খাদ্য চাহিদা মেটাতে সারাবিশ্বেই খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব ও অধিক খাদ্য উৎপাদনের ফলে কৃষিজমির উপর বিরূপ প্রভাব পড়ছে। তাই কৃষি উৎপাদন বাড়ানোর পাশাপাশি দরকার টেকসই কৃষি পরিবেশ নিশ্চিত করা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার পর পরই কৃষিখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিলেন। তাঁর সরকার কৃষকদের কল্যাণে পঁচিশ বিঘা পর্যন্ত জমির মালিকদের খাজনা মওকুফ করে দিয়েছিলেন। তিনি উন্নত পদ্ধতিতে চাষাবাদ, উন্নত বীজ, সেচ ও অন্যান্য কৃষি উপকরণ সরবরাহ করে কৃষিক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতা ও উৎপাদন বৃদ্ধির মাধ্যমে খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে সরকার পরিচালনার দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমাদের সরকার কৃষির সার্বিক উন্নয়নে কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও সময়োপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। সার, বীজসহ সকল কৃষি উপকরণের মূল্যহ্রাস, কৃষকদের সহজশর্তে ও স্বল্পসুদে ঋণ সুবিধা প্রদান, ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার সুযোগসহ তাঁদের নগদ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। আমাদের এসকল পদক্ষেপের ফলে আমরা খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছি।
ফসল উৎপাদনের শুরু থেকে ভোক্তা পর্যন্ত খাদ্য পৌঁছে দেওয়ার প্রতিটি স্তরেই আধুনিক লাগসই কৃষি প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়েছে। পরিবর্তিত জলবায়ুর ঝুঁকি মোকাবিলা করে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে আমরা কৃষি গবেষণার উপর অধিক গুরুত্বারোপ করেছি।
আমি আশা করি, কৃষির উপর জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলা করে ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ‘সোনার বাংলা’ গড়তে আমরা সক্ষম হব।
আমি বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৬ এর সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
নজরুল/আফরাজ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৬/১৭৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২০৮
বিশ্ব খাদ্য দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৩০শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর):
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ১৬ই অক্টোবর বিশ্ব খাদ্য দিবস উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন:
প্রতি বছরের মতো এবারও বিশ্বের অন্যান্য দেশের সাথে বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব খাদ্য দিবস-২০১৬’ উদ্যাপিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। দিবসটি উপলক্ষে খাদ্য উৎপাদনে গবেষণা, সম্প্রসারণ, বিপণনের সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে জানাচ্ছি আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন।
কৃষি আমাদের ঐতিহ্যের অবিচ্ছেদ্য অংশ। আবহমানকাল থেকেই কৃষি দেশের উন্নয়নের প্রধানতম খাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে। সীমিত জমি থেকে বর্ধিত জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করা এখন সময়ের দাবি। পরিবর্তিত জলবায়ুতে সবার জন্য নিরাপদ খাদ্যের বলয় তৈরিতে কৃষিতেও টেকসই প্রযুক্তির সমন্বয় জরুরি। ফসল উৎপাদন এবং পরবর্তী প্রতিটি ধাপে লাগসই প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মল পরিবেশ নিশ্চিত করার মাধ্যমেই অধিক উৎপাদনের দিকে এগিয়ে যেতে হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে অভিযোজন উপযোগী ফসলের নিত্যনতুন জাত ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং তা সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সকলে আরো মনোনিবেশ করবেন, এ প্রত্যাশা করি।
সরকারের সময়োপযোগী বিভিন্ন নীতি ও পদক্ষেপ গ্রহণ এবং সংশ্লিষ্ট সবার ঐকান্তিক প্রয়াসেই আমরা আজ খাদ্যে স্বয়ম্ভরতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছি। উপরন্তু বিদেশে খাদ্য ও কৃষি পণ্য রপ্তানি করে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করতে পারছি। উন্নয়নের এ ধারাবাহিকতাকে টেকসই রূপ দিতে সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমি উদাত্ত আহ্বান জানাই।
এ বছরের বিশ্ব খাদ্য দিবসের প্রতিপাদ্য ‘জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে খাদ্য এবং কৃষিও বদলাবে’ অত্যন্ত যৌক্তিক ও সময়োপযোগী বলে আমি মনে করি। বৈশ্বিক উষ্ণকরণের যুগে জলবায়ু পরিবর্তনকে বিবেচনায় নিয়ে টেকসই উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ ও খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার মাধ্যমে সুখী ও সমৃদ্ধ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়ে তুলতে সবাই নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবেন- এ কামনা করি।
আমি বিশ্ব খাদ্য দিবস ২০১৬ উদ্যাপনের সার্বিক সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।
#
আজাদ/আফরাজ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৬/১৭২৪ ঘণ্টা
Handout Number: 3207
Sheikh Hasina attends BRICS-BIMSTEC Outreach Summit
Dhaka, 15th October:
At the invitation of the Prime Minister of India, the Prime Minister of Bangladesh Sheikh Hasina is attending the BRICS-BIMSTEC Outreach Summit to be held on 16th October in Goa, India.
The theme of the Summit is 'A partnership in Opportunities'.
The Outreach Summit is being organized at the sideline of BRICS Summit to be convened on 15-16 October. Heads of States/Heads of Governments of other BIMSTEC member states are also expected to attend the Outreach Summit on 16th October.
Prime Minister Sheikh Hasina will leave for Goa tomorrow and is expected to return on 17th October.
#
Kamruzzaman/Afraz/Sanjib/Rezaul/2016/1704 hours
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২০৬
বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস পালিত
ঢাকা, ৩০শে আশ্বিন (১৫ই অক্টোবর) :
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনের জন্য সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার বিকল্প নেই। তিনি সঠিক নিয়মে খাওয়ার পূর্বে ও টয়লেট করার পরে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তন চত্বরে স্থানীয় সরকার বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস ২০১৬ উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানের উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা করছিলেন। এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য ’হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ি’।
স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব নাছরিন আক্তারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, ইউনিসেফের বাংলাদেশ প্রতিনিধি উুরফঁষধ গধংরশঁ ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ওয়ালিউল্লাহ।
মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপনের জন্য আমাদের দেশের মানুষের গড় আয়ু ৪০ বছর থেকে বেড়ে ৭০ বছরে উন্নীত হয়েছে। তিনি বলেন, দেশের সকলের জন্য সুপরিকল্পিত স্যানিটেশন ব্যবস্থা জোরদার করতে বর্তমান সরকার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছে। সে কারণে বাংলাদেশ স্যানিটেশন ব্যবস্থায় ব্যপক সাফল্য অর্জন করেছে। স্যানিটেশনের ক্ষেত্রে দক্ষিণ এশিয়াতে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন করতে যতটা না বেশি অর্থের প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি প্রয়োজন স্বাস্থ্যসম্মত আচরণের অভ্যাস করা। তিনি বলেন, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে হাইজিন শিক্ষা ও এর অভ্যাস নিশ্চিতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্বাস্থ্যসম্মত স্যানিটেশন ব্যবস্থা এবং হাত ধোয়া কর্মসূচি সফল করতে তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
মন্ত্রী বলেন, আমাদের অভ্যন্তরীণ পানির স্তর প্রতিনিয়ত নিচে নেমে যাচ্ছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে অচিরেই আমরা পানি সঙ্কটে পড়ব। বর্তমানে আমরা ৭০/৮০ ভাগ পানি ভূগর্ভস্থ উৎস হতে সংগ্রহ করছি। ভূগর্ভস্থ উৎস হতে পানি সরবরাহের পরিবর্তে ভূউপরিস্থ উৎস হতে শতকরা ৭০ ভাগ পানি সরবরাহের জন্য জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের মাধ্যমে বর্তমান সরকার পুকুর খনন প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই প্রকল্পের মাধ্যমে ভূউপরিস্থ উৎস হতে সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হবে।
এর আগে বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস উপলক্ষে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে ওসমানী উদ্যানে গিয়ে শেষ হয়। এতে সরকারি বেসরকারি ও এনজিওসমূহের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীগণ অংশগ্রহণ করেন।
#
শহীদুল/আফরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০১৬/১৭০৭ ঘণ্টা