Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী                                                                                 নম্বর : ৩৫৬৯
 
জঙ্গিদমনে সরকারের অসিযুদ্ধ কৌশল
                         --- তথ্যমন্ত্রী
 
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :
দেশকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতার ছোবলমুক্ত রাখতে শেখ হাসিনা সরকারের অভিযানে রয়েছে অসিযুদ্ধ ক্রীড়ানুরূপ কৌশলও, বলেছেন তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু।
আজ রাজধানীর মিরপুরে শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে পঞ্চম প্রেসিডেন্ট কাপ ফেন্সিং চ্যাম্পিয়নশিপ ২০১৭ -এ প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন। সেনা, নৌ ও বিজিবি সদস্যসহ স্কুল-কলেজের ২০০ প্রতিযোগী আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৫ দিনব্যাপী এ চ্যাম্পিয়নশিপে ফয়েল, সেবার ও ইপি তিন বিভাগে অংশ নিচ্ছে।
ফেন্সিং বা অসিযুদ্ধ ক্রীড়াকে আত্মরক্ষা ও আক্রমণের যৌথকৌশল এবং মন ও শরীরের ক্ষিপ্রতার প্রতীক হিসেবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সমাজ থেকে অনাচার, কুসংস্কার ও রাজনীতি থেকে জঙ্গিবাদ ও সাম্প্রদায়িকতা নির্মূল করতে সরকার এ অসিক্রীড়ার রণকৌশলও প্রয়োগ করছে।
সম্ভাবনাময় এ ক্রীড়াকে জনপ্রিয় করতে গণমাধ্যমে এর ব্যাপক প্রচার এবং এর প্রসারে ব্যক্তি ও প্রাতিষ্ঠানিক পৃষ্ঠপোষকতা একান্ত প্রয়োজন, বলেন মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক বরেণ্য ক্রীড়াবিদ হাসানুল হক ইনু।
প্রতিযোগিতার আয়োজক বাংলাদেশ ফেন্সিং এসোসিয়েশন সভাপতি এম শোয়েব চৌধুরীর সভাপতিত্বে রূপালী ব্যাংক চেয়ারম্যান মঞ্জুর হোসেন, ফেন্সিং এসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি লে জেনারেল (অব.) এটিএম জহিরুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন কোষাধ্যক্ষ কাজী রাজীব উদ্দিন আহমেদ চপল বিশেষ অতিথি হিসেবে এবং আয়োজক সংস্থার সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম স্বাগত বক্তব্য দেন।
#
 
আকরাম/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৫০ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৩৫৬৮
মে মাসে প্রতিবন্ধিতাবান্ধব দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায়
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :
মে মাসে প্রতিবন্ধিতাবান্ধব দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলন ঢাকায় অনুষ্ঠিত হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মেলন উদ্বোধন করবেন।
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে প্রতিবন্ধিতাবান্ধব দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনা বিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের দ্বিতীয় সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
 টাস্কফোর্সের সভাপতি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া সভায় সভাপতিত্ব করেন। টাস্কফোর্সের প্রধান উপদেষ্টা সায়মা হোসেন সভায় উপস্থিত ছিলেন। অন্যান্যের মধ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ শাহ্ কামাল, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবদুল মালেক, জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব মোস্তফা কামাল উদ্দিন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাসিমা বেগম, সুরক্ষা সেবা বিভাগের সচিব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব জিল্লার রহমান, স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের সচিব ফয়েজ আহম্মদসহ বিভিন্ন মন্ত্রণাপলয়, বিভাগ ও এনজিও এর প্রতিনিধিগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন। 
সভায় জানানো হয়, সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ঘূর্ণিঝড়প্রবণ ১৯টি জেলার প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ ও ডাটাবেজ প্রণয়ন করেছে। ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখ পর্যন্ত সারাদেশের ১৫ লাখ ৪১ হাজার ১৪৯ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিকে ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। ডাটাবেজে অন্তর্ভুক্তির কার্যক্রম চলমান আছে।
 প্রশিক্ষণ কারিকুলামে অন্তর্ভুক্তকরণ প্রসঙ্গে জানানো হয়, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটিসমূহের ও কর্মকর্তাদের বুনিয়াদি প্রশিক্ষণ মডিউলে প্রতিবন্ধিতা বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর ও ‘নারী কনসোর্টিয়াম’-এর যৌথ উদ্যোগে জেলা  পর্যায়ে প্রশিক্ষণ কোর্সটির পাইলটিং করা হয়েছে। এ প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য মাস্টার ট্রেইনার পুল তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ট্রেনিং কোর্সে প্রতিবন্ধিতা বিষয় অন্তর্ভুক্তকরণে একটি পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ বছরে ৩টি জেলার  জেলা, উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্যদের প্রশিক্ষণ কোর্সে প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে ওরিয়েন্টেশন দেয়া হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব সভায় অবহিত করেন যে, স্থানীয় সরকার বিভাগের আওতাধীন জাতীয় স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান কর্তৃক প্রতিবন্ধীদের দুর্যোগ-পূর্ব, দুর্যোগের সময় এবং দুর্যোগের পরবর্তী সময়ে বিপদাপন্ন অবস্থা থেকে উদ্ধার করা তথা সহায়তা প্রদানের বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের প্রতিবন্ধিতা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হচ্ছে। 
স্বাস্থ্য সচিব সভাকে জানান যে, দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ট্রমা ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা অন্তর্ভুক্তির লক্ষ্যে মাস্টার ট্রেইনার তৈরির জন্য প্রথম ব্যাচে সরকারি ও বেসরকারি ২২ জন কর্মকর্তাকে প্রশিক্ষণ প্রদান করা হয়েছে।
‘ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট’ বিষয়ে স্থানীয় পর্যায়ে সাড়া দানকারী দক্ষ জনবল তৈরির লক্ষ্যে মাস্টার ট্রেইনারগণ ৫টি ব্যাচে ১০০ জন অংশগ্রহণকারীকে দুর্যোগঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ট্রমা ও মানসিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন।
মাস্টার ট্রেইনার তৈরির লক্ষ্যে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে প্রশিক্ষণার্থীদের ৬টি গ্রুপে বিভক্ত করে কক্সবাজারের বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য নির্মিত ক্যাম্পে ৫ দিনব্যাপী মাঠ সংযুক্তি সম্পন্ন করা হয়েছে। উক্ত প্রশিক্ষণার্থীবৃন্দ ক্যাম্পে ১ হাজার ৩৯ জনকে মানসিক স্বাস্থ্যসেবা প্রদান করেছে।
সভায় সায়মা হোসেন বলেন, প্রতিবন্ধীদের সহযোগিতায় সকলকে আন্তরিকতা ও মমতা নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। প্রতিবন্ধীদের চলার ও বেঁচে থাকার পথ সুগম করে দিতে হবে। একে সামাজিক আন্দোলন হিসেবে সমাজের সকল স্তরে ছড়িয়ে দেয়ার উপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।
 # 
দেওয়ান/নাইচ/শেফায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২১২০ঘণ্টা  
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৫৬৭
 
বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধি দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোনোভাবেই ক্ষুণœ হয়নি
                                                                        --- আইনমন্ত্রী
 
            ঢাকা, ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, অধঃস্তন আদালতের বিচারকদের জন্য যে শৃঙ্খলাবিধি প্রণয়ন করা হয়েছে তা দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোনোভাবেই ক্ষুণœ হয়নি। তাছাড়া সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত রাষ্ট্রপতির ক্ষমতাও এই শৃঙ্খলাবিধিতে ন্যস্ত আছে।
আজ ঢাকায় বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে জিপি (সরকারি কৌসুলী) এবং পিপি (পাবলিক প্রসিকিউটর) গণের জন্য আয়োজিত ১৯তম বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি।
আইনমন্ত্রী বলেন, মাসদার হোসেন মামলার রায়ের পরে এবং সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে বিচারকদের জন্য একটি শৃঙ্খলাবিধি তৈরি হওয়ার প্রয়োজনীয়তা ছিল। ২০০৭ সালের পহেলা নভেম্বর যখন বিচার বিভাগ স্বাধীন হয় তখন এই শৃঙ্খলাবিধির প্রয়োজনীয়তা আরো বৃদ্ধি পায়। এর প্রয়োজনীয়তা বৃদ্ধি পেলেও ২০১৪ সালের আগে এই শৃঙ্খলাবিধি তৈরি হয়নি। এটি তৈরি করেছে আইন মন্ত্রণালয়। এর খসড়া তৈরি করার পর যখন তার সামনে আসে তখন তিনি এটি দেখার জন্য সুপ্রিম কোর্টে পাঠানোর প্রয়োজনীয়তা মনে করেন এবং তা সুপ্রিম কোর্টে পাঠান এবং প্রায় এক বছর এটি সুপ্রিম কোর্টের বিবেচনায় ছিল। তিনি বলেন, সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদে রাষ্ট্রপতির যে ক্ষমতা ছিল সেটা এই শৃঙ্খলাবিধির মাধ্যমে নিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং এই চেষ্টা ছিল সংবিধানবিরোধী। তিনি বলেন, এ বিষয়ে আপিল বিভাগের বিচারপতিগণের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে রাষ্ট্রপতিকে দেখিয়ে শৃঙ্খলাবিধির গেজেট করা হয়েছে এবং সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদের আলোকে এই শৃঙ্খলাবিধি করা হয়েছে। শৃঙ্খলাবিধির ২৯(২) উপধারায় পরিষ্কারভাবে বলা আছে যদি রাষ্ট্রপতি ও সুপ্রিমকোর্টের মধ্যে কোনো বিষয়ে দ্বিমত দেখা দেয় এবং সেটা যদি নিরসন না হয় তাহলে সুপ্রিম কোর্টের শেষ পরামর্শ যেটা সেটাই প্রধান্য পাবে। তাই এই শৃঙ্খলাবিধি দ্বারা বিচার বিভাগের স্বাধীনতা কোনোমতেই ক্ষুণœ হয়নি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের মতো বিচার বিভাগের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আজ পর্যন্ত দেশে কোনো সরকার গঠন হয় নাই এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা আওয়ামী লীগ সরকারই সমুন্নত রেখেছে। তিনি বলেন, অন্যান্য যেসব সরকার দেশ চালিয়েছে সেগুলো ইধংরপ জঁষব ড়ভ খধি এর যে চৎরহপরঢ়ষব সেগুলো লঙ্ঘন করে দেশ চালিয়ে গেছে। 
জিপি এবং পিপিগণের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, শুধু সরকারি মামলায় সরকারকে যথাযথভাবে প্রতিনিধিত্ব করা নয়, সরকারি আইনজীবী হিসেবে আপনাদের স্ব স্ব অফিসের সঠিক ব্যবস্থাপনা, সঠিকভাবে মামলার ফাইল পরিচালনা করা, সরকারসহ সরকারি স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমন্বিতভাবে মামলা পরিচালনা করে অপপবংং ঃড় ঔঁংঃরপব-কে বিস্তৃত করার ক্ষেত্রে আপনাদেরকে সেবার মানসিকতা নিয়ে দায়িত্ব পালন করতে হবে। সর্বঅবস্থায় আদালতের নির্দেশনা পালন করে আদালতের মামলা ব্যবস্থাপনা প্রক্রিয়াকে সহায়তা করতে হবে। 
 
মামলার জট কমিয়ে আনার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কতিপয় উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেওয়ানি কার্যবিধি এবং অর্থঋণ আদালত আইন সংশোধনের মাধ্যমে বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির বিধান অন্তর্ভুক্ত করে দ্রুত বিচার নিষ্পত্তির সহায়ক আইন করা হয়েছে। এ আইনের বিধানগুলো অনুসরণ করতে হবে এবং বিচারপ্রার্থী জনগণসহ আইনজীবীগণকে এ বিষয়ে উৎসাহ প্রদান করতে হবে।  
 
এসময় জিপি-পিপিগণকে নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করার আহ্বান জানিয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয় যে সহযোগিতা করে আসছে তা ধরে রাখার দায়িত্ব জিপি-পিপিগণের নিজেদেরই।
বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক বিচারপতি খোন্দকার মূসা খালেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আইন সচিব আবু সালেহ শেখ মোঃ জহিরুল হকও বক্তৃতা করেন।
#
 
রেজাউল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/২০৪০ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৬৬
 
সাংবাদিকগণকে মেশিন রিডেবল  (জঋওউ)  অস্থায়ী আইডি কার্ড প্রদান প্রসঙ্গে
 
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :
যে সকল সাংবাদিক সংসদ বিট্-এর সংবাদ সংগ্রহে কর্মরত তাদেরকে এক বছর মেয়াদি মেশিন রিডেবল (জঋওউ) অস্থায়ী আইডি কার্ড প্রদানের বিষয়ে জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নীতিগত সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে উক্ত আইডি কার্ড প্রদানের নিমিত্ত সাংবাদিকগণের তালিকাসহ নি¤œবর্ণিত তথ্যাদি গত ২১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখের মধ্যে ডেপুটি সার্জেন্ট এট আর্মস (অরারেশন্স) অফিসে প্রেরণ করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল। কিন্তু অদ্যাবধি যে সকল সাংবাদিক উক্ত ছক পূরণ করে তালিকা প্রেরণ করেননি তাদেরকে আগামী ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখের মধ্যে তালিকা প্রেরণ করার জন্য পুনরায় অনুরোধ করা হলো। সে মোতাবেক নিম্নবর্ণিত চাহিদার আলোকে সংযুক্ত ছক মোতাবেক আপনার প্রতিষ্ঠান থেকে দুইজন করে সাংবাদিকের নাম এ অধিশাখায় প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হলো।
ফরমের সাথে সংযুক্ত করতে হবে-এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি, এক কপি গণসংযোগ অধিশাখার সুপারিশ সংবলিত তথ্যাদি, এক কপি জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি ও এক কপি পিআইডির এক্রেডিটেশন কার্ডের সত্যায়িত ফটোকপি ।
উল্লেখ, জাতীয় সংসদ ভবন একটি কবু চড়রহঃ ওহংঃধষষধঃরড়হ (কচও) এলাকা এবং সাংবাদিকগণ সর্বোচ্চ দুইটি মোবাইল ফোন ব্যবহারের অনুমতিপ্রাপ্ত বিধায় সংসদ এলাকায় ব্যবহারযোগ্য সর্বোচ্চ দুইটি মোবাইল ফোন নম্বর  সংযুক্ত ফরমে উল্লেখ করতে হবে। বর্ণিত মোবাইল নম্বর ব্যতীত অন্য কোনো মোবাইল ফোন সংসদ এলাকায় প্রবেশাধিকার প্রাপ্ত হবেন না। 
#
 
তারিক/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৫৫ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৬৫
 
মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত
 
উখিয়া (কক্সবাজার), ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :
কক্সবাজ.রের উখিয়া ও টেকনাফের ১২টি অস্থায়ী আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে বেসরকারি উৎস হতে প্রাপ্ত ত্রাণ সরকারি উদ্যোগে বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। 
      উখিয়ায় স্থাপিত নিয়ন্ত্রণকক্ষে আজ ২৩ জন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ৩৯ ট্রাকের মাধ্যমে ৮৫ মেট্রিক টন ত্রাণ জমা দিয়েছে। প্রাপ্ত ত্রাণসামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ৮ হাজার ৫ শত ১০ প্যাকেট শুকনো খাবার, ৩ শত ৩০ প্যাকেট শিশু খাদ্য, ১৬ হাজার ২ শত পিস কাপড় চোপড়, ২৬ হাজার ৬ শত ৫৯ পিস গৃহস্থালিসামগ্রী, ৬টি স্যানিটেশন সামগ্রী, ৬ হাজার পিস গৃহনির্মাণসামগ্রী। এসব ত্রাণ আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমার নাগরিকদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।  
#
 
সাইফুল/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৩০ঘণ্টা    
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৬৩
 
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির বার্ষিক সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী রাঙ্গাঁ
বিদ্যমান পরিবহণ নীতিমালা সংস্কার আবশ্যক
 
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মোঃ মসিউর রহমান রাঙ্গাঁ বলেছেন, পরিবহন মালিক, শ্র্রমিক ও যাত্রীসাধারণের কল্যাণে বিদ্যমান পরিবহণ নীতিমালা সংস্কার করা আবশ্যক। 
তিনি আজ রমনা আইইবি মিলনায়তনে সমিতির বার্ষিক সাধারণ সভায় সভাপতির বক্তব্যে একথা বলেন।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ, সমিতির নেতৃবৃন্দের পক্ষে সর্দার শাহ আলম, রুস্তম আলী খান, কফিল উদ্দিন, আলী আকবর, গোলাম রসুল বাবুল, মোঃ গোলাম নবী প্রমুখ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন বিশ দলীয় জোট আন্দোলন সংগ্রামের নামে দেশব্যাপী পরিবহন খাতের ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি সাধন করে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষতিগ্রস্ত মালিক-শ্রমিকদের ক্ষয়-ক্ষতি পূরণে প্রায় ৪০ কোটি টাকা অনুদান প্রদান করে পরিবহনবান্ধব সরকার হিসেবে দেশে-বিদেশে সুপরিচিত। অতীতে কোনো সরকারই পরিবহন খাতে এ ধরণের আর্থিক সহায়তা দেয়নি। ইতোমধ্যে বর্তমান সরকার পরিবহন খাতকে শিল্প হিসেবে ঘোষণা করেছে। 
মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ উত্থাপিত দাবিদাওয়া সম্পর্কে প্রতিমন্ত্রী বলেন গাড়ির রেজিস্ট্র্রেশন, ট্যাক্স টোকেন ফি কার্যক্রম বিকেন্দ্রীকরণ, সড়ক পথে হয়রানি ও চাঁদাবাজি বন্ধ, যানজট হ্রাস, প্রতিটি জেলায় আধুনিক ট্রাক টার্মিনাল নির্মাণ, সড়ক দুর্ঘটনারোধে আঞ্চলিক ও মহাসড়কে অবৈধ যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধসহ পরিবহন মালিক-শ্রমিকদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি বিভিন্ন হাইওয়েতে সমন্বিত চেকপোস্ট স্থাপন ও বিভিন্ন পৌর কর্তৃপক্ষের ইচ্ছামাফিক চাঁদা আদায় কার্যক্রম বন্ধ করার আশ্বাস দেন। তিনি সমিতির সদস্যদেরকে সরকারের চলমান অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নেয়ার আহ্বান জানান।
#
 
আহসান/নাইচ/মোশারফ/জয়নুল/২০১৭/১৯৪০ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৬২
 
প্রত্যেক জেলায় বিএসটিআই’র অফিস চালুর উদ্যোগ নিতে শিল্পসচিবের নির্দেশ
 
ঢাকা, ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :  
 
জনগণের জন্য মানসম্মত পণ্য ও সেবা নিশ্চিত করতে প্রত্যেক জেলায় বিএসটিআই’র অফিস চালুর উদ্যোগ নিতে নির্দেশনা দিয়েছেন শিল্পসচিব মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ্। তিনি বলেন, শুধুমাত্র কয়েকটি চিহ্নিত জেলায় অফিস সম্প্রসারণ না করে দেশের সকল জেলা ও আঞ্চলিক পর্যায়ে বিএসটিআই’র অফিস চালু করতে হবে। এ লক্ষ্যে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যে একটি আদর্শ জনবল কাঠামোর প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য নির্দেশনা দেন তিনি। 
 
২০১৭-২০১৮ অর্থবছরে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পগুলোর বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতিত্বকালে শিল্পসচিব এ নির্দেশনা দেন। শিল্প মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে আজ এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় শিল্প মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন সংস্থা ও কর্পোরেশনের প্রধান এবং সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন। 
 
সভায় জানানো হয়, শিল্প মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে মোট ৪৩টি উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এর মধ্যে ৩৯টি বিনিয়োগ প্রকল্প, ৩টি কারিগরি এবং ১টি নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত প্রকল্প রয়েছে। সবমিলিয়ে এসব প্রকল্পে বরাদ্দের পরিমাণ ১ হাজার ৩৭৬ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এর মধ্যে জিওবিখাতে ১ হাজার ৩২০ কোটি ৩৮ লাখ টাকা, প্রকল্প সাহায্যখাতে ৬ কোটি ৪০ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নখাতে ৫০ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে।  
 
সচিব বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকদের আরো তৎপর হতে হবে। নতুন প্রকল্প প্রণয়ন ও তা সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা সেল ও সংশ্লিষ্ট দপ্তর প্রধানদের নিবিড় তদারকি চালিয়ে যাওয়ারও নির্দেশনা দেন তিনি। 
#
 
জলিল/অনসূয়া/শহিদ/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১৫৪৯ ঘণ্টা  
 
তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩৫৬১
 
শিশুরাই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর
           -জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী
 
কেশবপুর (যশোর), ১২ পৌষ (২৬ ডিসেম্বর) :  
 
জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক বলেছেন, ছাত্রছাত্রীদের ওপর সবসময় নজর রাখতে হবে। তারা যাতে সন্ধ্যার পর বাইরে ঘোরাফেরা না করে পড়তে বসে সেজন্যও পিতামাতাকে সজাগ থাকতে হবে। তিনি ছাত্রছাত্রীদের নিয়মশৃঙ্খলা ও আদবকায়দা শিখানোর বিষয়ে আরো সচেতন হবার জন্য শিক্ষকদের প্রতি আহ্বান জানান। তিনি বলেন, শিশুরাই উন্নত বাংলাদেশ গড়ার কারিগর। তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।  
 
প্রতিমন্ত্রী ২৫ ডিসেম্বর যশোরের কেশবপুরে শহিদ খালেক প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ছাত্রছাত্রীদের টিফিন বক্স প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় একথা বলেন। কেশবপুরের উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. মিজানুর রহমান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। 
 
অনুষ্ঠানে আগত মায়েদের উদ্দেশে সাদেক বলেন, ‘মেয়েদের অল্প বয়সে বিয়ে দিবেন না। মেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হলে তারা দেশ ও জাতির কল্যাণে ভূমিকা রাখতে পারবে’।
 
মঙ্গলকোট ইউনিয়নের ৩য় থেকে ৫ম শ্রেণির ১১শ’ ৬১ জন ছাত্রছাত্রীকে প্রতিমন্ত্রীর স্বেচ্ছাধীন তহবিল হতে টিফিন বক্স বিতরণ করা হয়। পাবলিক প্রসিকিউটর রফিকুল ইসলাম পিটু, মঙ্গলকোট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনোয়ার হোসেন  ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার আকবর হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। 
 
পরে, প্রতিমন্ত্রী একই উপজেলার পাঁজিয়া ইউনিয়নের ১২শ’ ২২ জন ছাত্রছাত্রীকে টিফিন বক্স প্রদান করেন। উল্লেখ, ২০১৭-১৮ অর্থবছরে কেশবপুরের প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহে ১৩ হাজার শিক্ষার্থীকে টিফিন বক্স বিতরণ করা হয়েছে।
 
#
 
মাসুম/অনসূয়া/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১২০৫ ঘণ্টা  
 
 
Todays handout (3).docx