তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৭
যুবসমাজকে বেশি বেশি সাহিত্য চর্চার আহবান যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
আজ বাংলা একাডেমি চত্বরে অমর একুশে বইমেলা ২০২২ উপলক্ষে প্রকাশিত তরুণ প্রজন্মের জনপ্রিয় কবি মালেক মুস্তাকিম'র নতুন কাব্যগ্রন্থ "আমি হাঁটতে গেলে পথ জড়িয়ে যায় পায়ে" এর মোড়ক উন্মোচন করেছেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিব মেজবাহ উদ্দিন ও গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র আসাদুর রহমান কিরণ ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব মালেক মোস্তাকিম শুধু একজন মেধাবী কর্মকর্তাই নন, একজন প্রতিভাবান কবি ও কথাসাহিত্যিক। তার অনবদ্য লেখনীতে রয়েছে সৃজনশীলতা ও আধুনিকতার ছোঁয়া। ইতিমধ্যে তার প্রকাশিত ৬ টি কাব্যগ্রন্হ ও ৩ টি উপন্যাস পাঠকের মন জয় করতে পেরেছে। আমি তরুণ উদীয়মান কবি মালেক মোস্তাকিমের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করছি।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, সাহিত্য সমাজের দর্পনস্বরূপ। সমাজের ইতিবাচক পরিবর্তনে এটি অত্যন্ত শক্তিশালী মাধ্যম। আমি তরুণ প্রজন্মকে বেশি বেশি সাহিত্য চর্চার উদাত্ত আহবান জানাই।তিনি বলেন, অমর একুশে বই মেলা বাঙালির প্রাণের মেলা। মহান ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে সমুজ্জ্বল রেখে ‘অমর একুশে বইমেলা’ বাংলা ভাষা, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের ধারক-বাহক হয়ে উঠবে বলে আমি বিশ্বাস করি।
উল্লেখ্য, মালেক মুস্তাকিম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের প্রাক্তন ছাত্র। বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসের প্রশাসন ক্যাডারের ৩০তম ব্যাচের মেধাবী ও চৌকস এ কর্মকর্তা বর্তমানে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব হিসেবে কর্মরত ।
#
আরিফ/সাহেলা/শামীম/২০২২/২২৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৬
ডিজিটাল প্রযুক্তিতে বাংলা হবে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা
--মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বিশ্বের ৩৫ কোটি বাংলা ভাষাভাষী মানুষের মাতৃভাষা বাংলার রাজধানীতে পরিণত হয়েছে বাংলাদেশ। আগামী পঞ্চাশ বছরে বাংলা ভাষা কেবল জনসংখ্যার হিসেবেই নয় ডিজিটাল প্রযুক্তিতে ব্যবহারের দিক থেকেও বাংলা হবে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম ভাষা। প্রযুক্তিতে বাংলাভাষার প্রয়োগ সহজতর করতে ইতোমধ্যে সরকার ১৫৯ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৬টি টুলস উন্নয়নসহ প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার উন্নয়নে কাজ করছে। মন্ত্রী প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যববহারকে আরো এগিয়ে নিতে বাংলায় গুণগত কনটেন্ট এবং সকল মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
মন্ত্রী আজ ঢাকায় মোবাইল অপারেটর রবি আয়োজিত প্রযুক্তিতে বাংলার ব্যবহার শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন।
মুদ্রণ প্রযুক্তিতে রোমান হরফ থেকে বাংলা হরফ ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে গত এক দশকে পৃথিবীর অন্যান্য শক্তিশালী ভাষার সমান্তরালে প্রয়োগের সক্ষমতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, বাংলা পৃথিবীর অন্য দশটা ভাষার মতো সাধারণ ভাষা নয়। বাংলা ভাষার শক্তি অনেক সুদৃঢ়। বিশ্বের কোন ভাষারই এমন কোন উচ্চারণ নেই যা বাংলা হরফ দিয়ে লেখা যায় না। এমনকি চীনা ভাষায় হাজার হাজার বর্ণ থাকার পরও ল লেখা যায় না। মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের আগে ডিজিটাল যন্ত্রে বিজ্ঞানসম্মতভাবে বাংলা লেখার কোন উপায়ই ছিল না। এই সফটওয়্যারে সীশার টাইপের ৪৫৪ বর্ণকে মাত্র ২৬টি বোতামে নিয়ে আসা হয়েছে।
১৯৯৩ সাল এর মধ্যে দেশের প্রায় সকল পত্রিকা এবং বইসহ বিভিন্ন প্রকাশনা বিজয় বাংলা সফটওয়্যারের মাধ্যমে প্রকাশনা শুরু হয়, এরই ধারাবাহিকতায় দেশে প্রকাশনা ও মুদ্রণ শিল্পে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের সূচনা হয় বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মন্ত্রী প্রযুক্তিতে বাংলা ভাষার প্রয়োগে রবি আজিয়াটার উদ্যোগকে একটি অনুকরণীয় উদ্যোগ বলে প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, একটি বিদেশি কোম্পানি হওয়া সত্ত্বেও প্রতিষ্ঠানটি তার নামের মধ্যেও বাংলার প্রতি তাদের ভালবাসার স্বাক্ষর রেখেছে।
রবি’র ভারপ্রাপ্ত সিইও রিয়াজ রশিদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিজয় ডিজিটাল- এর সিইও জেসমিন জুই, টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদী এবং টেকশহর সম্পাদক মুহাম্মদ খান অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। বিটিআরসি’র মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাসিম পারভেজ অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
#
শেফায়েত/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২১০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৫
২০২৩ সাল থেকে দেশের মাধ্যমিক পর্যায়ের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন
-শিক্ষামন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি):
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২৩ সাল থেকে মাধ্যমিক পর্যায়ের দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুই দিন হবে। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) নতুন জাতীয় কারিকুলাম পাইলটিংয়ের জন্য ষষ্ঠ শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই বিতরণ অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি। অনুষ্ঠানে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফরহাদুল ইসলামসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এখনই সাপ্তাহিক দুইদিন ছুটি আছে। মাধ্যমিকে ও উচ্চমাধ্যমিকে কোথাও কোথাও এখন দুইদিন আছে। আমরা যখন কারিকুলামের রূপরেখা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে গিয়েছিলাম তখনই মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষায় দুইদিন ছুটি করতে চাই। পাঁচদিন খুব মনোযোগ করে পড়বে তারপর দুইদিন ছুটি থাকা দরকার। প্রাথমিক একদিন প্রস্তাব করেছিলো। প্রধানমন্ত্রী তখন প্রাথমিকের পক্ষ নিয়ে বললেন— আমাদেরও দুইদিন লাগে। আমরা ঠিক করেছি। সব শিক্ষা প্রাতষ্ঠানেই দুইদিন হবে। এখন যারা পাইলটিংয়ে যাবে তাদের দুইদিন ছুটি থাকবে। আশা করি ২০২৩ সাল থেকে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাপ্তাহিক ছুটি দুইদিন থাকবে।
দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা চালু করা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, একসঙ্গে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা চালু করতে বিশাল আকারের বিনিয়োগ করতে হবে। সকল প্রতিষ্ঠানে কারিগরি করতে আমাদের ওয়ার্কশপ লাগবে, ল্যাবরেটরি লাগবে, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অবকাঠামোগত বড় পরিবর্তন আনতে হবে। সমস্ত সরঞ্জাম দিতে হবে, শিক্ষক নিয়োগ করতে হবে, ল্যাবরেটরি অ্যাসিটেন্ট নিয়োগ করতে হবে। এটা একটি বড় বিনিয়োগ। শিক্ষায় আমাদের বড় বিনিয়োগ করতেই হবে। ইতোমধ্যে ৬০০ প্রতিষ্ঠানে কারিগরি শিক্ষা চালু করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, শিক্ষায় মেগা প্রকল্প হবে। কাজেই আমাদের সমস্যা থাকবে না। এখন যে নতুন কারিকুলাম সেখানে জীবন-জীবিকা অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এসব কাজ একবারে হবে না, ধাপে ধাপে হবে। অনেক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বেসরকারি, তাদের অনেকেই নিজেরা ল্যাবরেটরিসহ অন্যানা কাজ করতে পারবে।
শিক্ষার্থীদের নির্দিষ্ট সময়ে সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে নতুন কারিকুলাম করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
অনুষ্ঠানে ৬২ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ষষ্ঠ শ্রেণির বই বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মন্ত্রী। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরুর দিন আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে পাইলটিং শুরু হবে মাধ্যমিক স্তরের ৬২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে।
#
খায়ের/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২০২২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৪
শান্তি চুক্তির ফসল-পাহাড়ে এত উন্নয়ন
--পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী
বান্দরবান, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি):
পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের একটি সমস্যার সমাধানের পথ বের করেছেন। পার্বত্য অঞ্চলের মানুষের শান্তি ও সম্প্রীতির জন্য সারাক্ষণ কাজ করেন তিনি। শান্তি চুক্তির ফসল-পাহাড়ে এত উন্নয়ন। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, বিদ্যুৎ, যোগাযোগসহ প্রত্যেক খাতে পাহাড়ে উন্নয়ন হচ্ছে এবং অব্যাহত থাকবে।
আজ বান্দরবান জেলা সদরের কালাঘাটায় এলজিইডি নির্মিত বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ জনবান্ধব দল। জনকল্যাণে কাজ করাই আওয়ামী লীগের ব্রত। যখনই আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসে তখন পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগণের ভাগ্যের উন্নয়ন ঘটে। বর্তমান সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে যে উন্নয়ন হয়েছে অতীতে কোন সরকারের সময়ে পার্বত্য চট্টগ্রামে এত উন্নয়ন হয়নি। তিনি আরও বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে নিয়ে একটি গোষ্ঠী সবসময় চক্রান্তে লিপ্ত থাকে, তাদের এ হীন উদ্দেশ্য কোন দিন বাস্তবায়িত হবে না।
এসময় মন্ত্রী বান্দরবান পৌর এলাকার কালাঘাটায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের বাস্তবায়িত ৩৪ কোটি ১৫ লাখ টাকার কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। এছাড়াও বান্দরবান পৌর সভার ৩নং ওয়ার্ডে
৪ কোটি ১৭ লাখ টাকা ব্যয়ে ড্রেইন নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন।
এসময় বান্দরবান পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবরিনা আফরিন মোস্তফা, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তররে নির্বাহী প্রকৌশলী মো: জিল্লুর রহমান ও পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন মো: ইয়াসিন আরাফাত উপস্থিত ছিলেন।
#
নাছির/সাহেলা/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২০২৪ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫৩
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ভবন উদ্বোধন করলেন গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী
ময়মনসিংহ, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি):
ময়মনসিংহের তারাকান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নবনির্মিত ৫০ শয্যাবিশিষ্ট ভবন উদ্বোধন করেছেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কমপ্লেক্সটি উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানের আয়োজক ছিল উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য অধিদফতর।
ময়মনসিংহের সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তারাকান্দা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. ফজলুল হক।
স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের তত্ত্বাবধানে ২৬ কোটি ৯০ লাখ টাকা ব্যয়ে নির্মিত তারাকান্দায় ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি নির্মাণ করা হয়েছে।
#
রেজাউল/সাহেলা/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/২০০৬ ঘণ্টা
তথ্যবিরণী নম্বর: ৬৫২
সুযোগ পেলে আবার হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলবে বিএনপি
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
পাবনা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, সুযোগ পেলে বিএনপি আবার হাওয়া ভবন-খোয়াব ভবন খুলবে, পাঁচশ' নয় হাজার জায়গায় বোমা ফাটাবে, কিন্তু জনগণ তাদের সেই সুযোগ দেবে না।
তিনি বলেন, 'রিজভী সাহেব বলেছেন- আমাদের নাকি বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে। নয়াপল্টনে বসে গত ১২ বৎসর ধরে আমাদের বিদায় ঘণ্টা বাজাচ্ছেন। তারা যত ঘণ্টা বাজায় তত আমাদের ভোট বাড়ছে। আমাদের নয়, আসলে তাদের বিদায় ঘণ্টা বেজে গেছে।'
আজ পাবনায় পুলিশ লাইন মাঠে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী একথা বলেন।
আওয়ামী লীগের পাবনা জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মোঃ রেজাউল রহিম লালের সভাপতিত্বে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের প্রধান অতিথি হিসেবে এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবদুর রহমান, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামাল হোসেন, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডাক্তার রোকেয়া সুলতানা, আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক-সহ দলীয় নেতৃবৃন্দ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
মন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি সুযোগ পেলে এখন যারা গ্রামে গ্রামে ভাতা পাচ্ছেন সেটা বন্ধ হয়ে যাবে, ওএমএস এর চাল বন্ধ হয়ে যাবে, যারা ঘর পাচ্ছে সেই ঘর বিএনপির গুন্ডাপান্ডারা দখল করে নেবে। খালেদা জিয়া ক্ষমতায় আসার পর ৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক দখল করে নিয়েছিল। আবার তারেক জিয়া আসবে, সব ব্যবসা থেকে চাঁদা তুলবে। আবার শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলা ভাইয়ের সৃষ্টি হবে।
বিএনপি-জামাতের কোন রাজনীতি নেই, করোনাকালে বিএনপি নেতাদেরকে মানুষের পাশে দেখা যায়নি উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি আওয়ামী লীগের ভুল ধরা আর বেগম জিয়ার তাপমাত্রা আর ব্যথা নিয়ে। তাকে আলোচনায় রাখার জন্য কানাডার একনেতা এওয়ার্ড দিয়েছে। এই হলো তাদের রাজনীতি। আর তাদের পক্ষে যারা রাত ১২টার পর টেলিভিশন গরম করে, তারা ফকিরকে ভিক্ষাও দেয় না, এদের বাড়িতেও কেউ যায় না’।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ নেতারা দেশব্যাপী ত্রাণ ও করোনা প্রতিরোধসামগ্রী দিয়েছেন, মোহম্মদ নাসিম, ইসরাফিল আলমসহ ৫ জন আওয়ামী লীগ নেতা করোনায় সেবা দিতে গিয়ে মারা গেছেন, বলেন মন্ত্রী। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে প্রতিটি মানুষের ভাগ্যে পরিবর্তন এসেছে, শতভাগ মানুষ বিদ্যুৎ পাচ্ছে, তিন কোটি মানুষ ভাতা পাচ্ছে, প্রধানমন্ত্রী নিজ উদ্যোগে ষাটোর্ধ্ব সবার জন্য পেনশন স্কিম চালু করছেন, এসব মানুষের কাছে তুলে ধরতে হবে।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল রহিম লালকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং গোলাম ফারুক প্রিন্স এমপিকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়।
#
আকরাম/সাহেলা/এনায়েত/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২২/১৯৫২ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৫১
জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত গবেষণায় সহায়তা প্রদান সরকারের অগ্রাধিকার
- পরিবেশমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফ্রেব্রুয়ারি):
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে বৈজ্ঞানিক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে। যখনই পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড থেকে তহবিলের জন্য গবেষক এবং বিখ্যাত গবেষণা সংস্থার কাছ থেকে গবেষণা প্রস্তাব পায় তখন এটি অগ্রাধিকারভিত্তিতে সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হয়। তিনি দেশের প্রেক্ষাপটে জলবায়ু পরিবর্তন এবং বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধারের বিষয়ে আরো নির্ভর যোগ্য বৈজ্ঞানিক গবেষণা গ্রহণের জন্য সমস্ত শিক্ষাবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।
আজ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আয়োজিত পরিবেশ বিষয়ক ‘জলবায়ু পরিবর্তন ও বাস্তুতন্ত্র পুনরুদ্ধার’ শীর্ষক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এ কথা বলেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার এবং সভাপতিত্ব করেন খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেন। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রফেসর ইমেরিটাস ডক্টর আইনুন নিশাত।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ‘বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন কৌশল ও কর্মপরিকল্পনা’ নামে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে এবং নিজস্ব সম্পদ থেকে একটি জাতীয় জলবায়ু অর্থব্যবস্থা ‘বাংলাদেশ জলবায় পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ড’ প্রতিষ্ঠা করেছে। এর মাধ্যমে প্রায় ৮০০টি প্রকল্পে সহায়তা করতে ৪৮০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ করা হয়েছে। দেশের জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার জন্য ট্রাস্ট তহবিল ব্যবহার করে ১০ বছরের পরিকল্পনায় আরো বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধ এবং ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে যা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করেছে, লবণাক্ততা, খরা এবং বন্যা সহনশীল ফসলের জাত প্রবর্তনের মাধ্যমে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, গত কয়েক বছরে আমরা দেশের অফ গ্রিড এলাকায় ৬ মিলিয়নেরও বেশি সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করেছি এবং ১৮ মিলিয়ন মানুষকে সৌরবিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপনে আমরা সারাদেশে এক কোটিরও বেশি গাছের চারা রোপণ করেছি। আমরা
২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ বা ৮৯ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন টন কার্বন-ডাই-অক্সাইড নির্গমণ হ্রাসের আরো যুগোপযোগী লক্ষ্যমাত্রা সহ গত বছর জাতীয়ভাবে নির্ধারিত অবদান আপডেট করেছি।
শাহাব উদ্দিন বলেন, সরকার এখন জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা তৈরি করছে যা জাতীয় পর্যায়ে অভিযোজন মোকাবিলার প্রধান অবলম্বন হবে। আমরা ইতোমধ্যেই মুজিব জলবায়ু পরিবর্তন সমৃদ্ধি পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে যাতে আমাদের উন্নয়নের গতিপথ দুর্বল থেকে স্থিতিস্থাপকতা থেকে সমৃদ্ধিতে স্থানান্তরিত হবে। এ পরিকল্পনায় স্থানীয়ভাবে পরিচালিত অভিযোজন, বাস্তুতন্ত্রভিত্তিক পদ্ধতি, সবুজ বৃদ্ধি এবং প্রকৃতিভিত্তিক সমাধানগুলোকে সর্বোচ্চ বিবেচনা করা হয়েছে।
#
দীপংকর/সাহেলা/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৯২৩ ঘণ্টা
Government gives research funding on climate change the highest priority
-- Environment Minister
Dhaka, February 19:
The Minister for Environment, Forest and Climate Change Md. Shahab Uddin said that Bangladesh government has given due considerations on the needs of scientific research on climate change. Whenever Environment ministry gets research proposal from academia and other renowned research organizations for funding from BCCTF, it gives highest considerations on a priority basis. He urged all academics to take more credible scientific research on climate change and ecosystem restorations in the country context so that the government decisions and resource allocations can be backed by scientific knowledge and facts.
Environment Minister said this today virtually as the chief guest in the inaugural session of the First International Conference on Environment "Climate Change and Ecosystem Restoration" arranged by Khulna University. Begum Habibun Nahar, Deputy Minister of Environment, Forest and Climate Change was present as the Special Guest whereas Professor Dr. Mahmood Hossain, Vice Chancellor of Khulna University presided over the function. Key Paper was presented by Professor Emeritus Dr Ainun Nishat.
The environment minister said, the Government has formulated a comprehensive plan, ‘Bangladesh Climate Change Strategy and Action Plan’ and established a national climate finance mechanism, ‘Bangladesh Climate Change Trust Fund’ from its own resources and allocated $480 million that supports about 800 projects in pursuit of building the country climate resilience. The 10-year plan using the trust fund built more resilient flood defenses and cyclone shelters, strengthened disaster management systems, improved food security through introduction of salinity, drought and flood tolerant crop varieties and funded climate research.
The minister said over the last few years, we have installed more than six million solar home systems in off grid areas of the country ensuring supply of solar electricity to 18 million people. Celebrating the birth centenary of the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, we planted more than 10 million tree saplings across the country last years. We updated our Nationally Determined Contribution last year with more ambitious targets of 21.85% or 89.47 million ton of Carbon-di-Oxide emission reduction below business-as-usual level by 2030.
Shahab Uddin said now government is preparing the National Adaptation Plan which will be the main vehicle to address adaptation at the national level. We have already drafted Mujib Climate Change Prosperity Plan with long term vision of shifting our development trajectory from vulnerable to resilience to prosperity where locally led adaptations, ecosystem based approaches, green growth and nature-based solutions are given highest considerations.
#
Dipankar/Sahela/Anayet/Sanjib/Shamim/2022/2101hour
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৪৯
কৃষি উদ্ভাবন মিশন মিটিংয়ে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আমন্ত্রণে জলবায়ুর জন্য কৃষি উদ্ভাবন মিশনের (এগ্রিকালচার ইনোভেশন মিশন ফর ক্লাইমেট/AIM for Climate) প্রথম মন্ত্রিপর্যায়ের মিটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে দুবাই যাচ্ছেন কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক। আগামী ২০-২১ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ের ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে এ মিটিং অনুষ্ঠিত হবে।
এআইএম ফর ক্লাইমেট সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি যৌথ উদ্যোগ। গতবছর স্কটল্যান্ডের গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত ২৬তম জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলনে (কপ-২৬) আনুষ্ঠানিকভাবে এর যাত্রা শুরু। ২০২১-২৫ মেয়াদে ৫ বছরব্যাপী এ উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় জলবায়ু স্মার্ট কৃষি প্রযুক্তি ও ফুড সিস্টেম উদ্ভাবনে ও ইনোভেশনে বর্ধিত বিনিয়োগ, গবেষণা ও সহযোগিতা সম্প্রসারণ। প্রাথমিকভাবে এখাতে ৪ বিলিয়ন ডলার বর্ধিত বিনিয়োগ করা হয়েছে। বাংলাদেশসহ বর্তমানে ৩৬টি দেশের সরকার ও ৭৫ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এআইএম’র অংশীদার।
মিটিংয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ মন্ত্রী মারিয়ম আলমেইরি, যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অভ্ এগ্রিকালচার থমাস জে ভিলস্যাকসহ প্রায় ৩০ টি দেশের কৃষিমন্ত্রী ও অন্যান্য বেসরকারি প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করবেন।
কৃষিমন্ত্রী ড. মো: আব্দুর রাজ্জাক মিটিংয়ে বাংলাদেশের কৃষিখাতে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, মোকাবিলায় সরকারের উদ্যোগ ও চ্যালেঞ্জ তুলে ধরবেন। বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের অন্য সদস্যরা হলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো: সায়েদুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব মো: রুহুল আমিন তালুকদার ও বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোহাম্মদ বখতিয়ার।
এআইএম মিটিং শেষে কৃষিমন্ত্রী দুবাই ওয়ার্ল্ড এক্সপোতে ফুড, এগ্রিকালচার ও লাইভলিহুডস সপ্তাহে কৃষি মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় আয়োজিত সেমিনারে অংশগ্রহণ করবেন। এছাড়া, তিনি বাংলাদেশি ও প্রবাসী ব্যবসায়ীদের সাথে মতবিনিময় করবেন। আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি মন্ত্রীর দেশে ফেরার কথা রয়েছে।
#
কামরুল/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৮১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৬৪৮
উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে
--বাণিজ্য মন্ত্রী
রংপুর, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, উত্তরাঞ্চলের উন্নয়নে ব্যাপক কার্যক্রম দ্রুত এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ একের পর এক নির্বাচনি ইশতেহার পূরণ করে যাচ্ছে। ঢাকা-রংপুর রাস্তা ফোর লেন হচ্ছে, রেলযোগাযোগ উন্নত হয়েছে, সেবার মান বেড়েছে। সৈয়দপুর বিমান বন্দরকে আঞ্চলিক বিমান বন্দর ঘোষণা দেয়া হয়েছে, বিমান বন্দরের উন্নয়নমূলক কাজ এগিয়ে চলছে। বিমান বন্দরে সেবার মান বেড়েছে। আজ প্রায় ১৬টি ফ্লাইট চলাচল করছে, আগামীতে আরো বাড়বে। ঠাকুরগাঁও বিমান বন্দর চালু করার চেষ্টা করছি। মন্ত্রী বলেন, আমাদের ভাগ্যের পরিবর্তন করতে হলে শিক্ষার উন্নয়ন করতে হবে। রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে, কুড়িগ্রামে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়িত হচ্ছে, লালমনিরহাটে বঙ্গবন্ধু এভিয়েশন এ্যান্ড অ্যারোস্পেস বিশ্ববিদ্যালয় বাস্তবায়িত হচ্ছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী আজ রংপুরে আরডিআরএস বাংলাদেশ এর বেগম রোকেয়া মিলনায়তনে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি), সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এবং জাতিসংঘ ডেমোক্রেটিক্রেসি ফান্ড এর যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতীয় উন্নয়নে অঙ্গীকার: শিক্ষা, শোভন কর্মসংস্থান, জেন্ডার সমতা’ শীর্ষক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও এবং লালমনিরহাট জেলায় চা উৎপাদন শুরু হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুপ্রেরণায় কাজী গ্রুপ পঞ্চগড়ের চা উৎপাদন শুরু করে। আজ দেশের মোট চা উৎপাদনের ১৪ ভাগ দেশের উত্তরাঞ্চলে উৎপাদিত হচ্ছে। প্রায় সাড়ে আট হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে তিস্তা প্রকল্প বাস্তবায়নের চেষ্টা চলছে। চিলমারী বন্দরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। চলমান কাজগুলো শেষ হলে উত্তরাঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের আমূল পরিবর্তন ঘটবে।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের গবেষণা পরিচালক ড. খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেমের সভাপতিত্বে আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন রংপুর সিটি করপোরেশনের মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন সুজন-সুশাসনের জন্য নাগরিক এর সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার।
পরে মন্ত্রী তাঁর নির্বাচনি এলাকা কাউনিয়া এবং পীরগাছা উপজেলার বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর নেতাকের্মীদের সাথে মতবিনিময় করেন।
#
বকসী/এনায়েত/সঞ্জীব/শামীম/২০২২/১৯০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৬৪৭
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ৬ ফাল্গুন (১৯ ফেব্রুয়ারি) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে শনিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২ হাজার ১৫০ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৮ দশমিক ৭১ শতাংশ। এ সময় ২৪ হাজার ৬৯৮ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
&