Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ জুলাই ২০২১

তথ্যবিবরণী ০৬ জুলাই ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর :  ৩১০৯

 

করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে করণীয় বিষয়ে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা

 

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) : 

 

          করোনা ভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারা দেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে আরোপিত বিধি-নিষেধ এবং মসজিদসমূহে জামায়াতে নামাজের জন্য আবশ্যিকভাবে নিম্নবর্ণিত শর্তসমূহ পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে -

 

          মসজিদের প্রবেশদ্বারে হ্যান্ড স্যানিটাইজার/হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে এবং আগত মুসল্লিদেরকে অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে; প্রত্যেক মুসল্লিকে নিজ নিজ বাসা থেকে ওযু করে, সুন্নত ও নফল নামাজ ঘরে আদায় করে শুধু ফরজ নামাজ মসজিদে আদায় করতে হবে এবং ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে;  মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের পূর্বে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দ্বারা পরিষ্কার করতে হবে, মুসল্লিগণ প্রত্যেকে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে; নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে হবে; শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তি জামায়াতে অংশগ্রহণ করা হতে বিরত থাকতে হবে; সংক্রমণরোধ নিশ্চিতকল্পে মসজিদের ওযুখানায় সাবান/হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না; সর্বসাধারণের সুরক্ষা নিশ্চিতকল্পে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে; করোনা মহামারির এ বৈশ্বিক মহাবিপদ হতে রক্ষা পেতে বেশি বেশি তওবা, আস্তাগফিরুল্লাহ ও কোরান তিলাওয়াত করতে হবে এবং আমাদের কৃত অন্যায়-অপরাধের জন্য নামাজ শেষে মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে; সম্মানিত খতিব, ইমাম এবং মসজিদ পরিচালনা কমিটি বিষয়গুলোর বাস্তবায়ন নিশ্চিত করবেন। 

 

          বিজ্ঞপ্তিতে অন্যান্য সকল ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান/উপাসনালয়ে প্রবেশের ক্ষেত্রে মাস্ক পরিধান, হ্যান্ড স্যানিটাইজার/সাবান দিয়ে হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে সামাজিক ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা যথাযথভাবে অনুসরণ করার বলা হয়েছে ।

 

          বিজ্ঞপ্তিতে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, উল্লিখিত নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।  এছাড়া, স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লেখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে । 

 

#

 

আনোয়ার/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২১৩৩ ঘণ্টা


Handout                                                                                                            Number : 3108

World leaders should work together to combat climate change issues
                    -- Minister for Environment, Forest and Climate Change
 

Dhaka, July 6 :

            The Minister for Environment, Forest and Climate Change Md. Shahab Uddin said World leaders should work together to combat global adverse impacts of climate change effectively. In this regard, substantial resources are required to be allocated for enhancing adaptive capacity and building the resilience of the most vulnerable countries. Long-term and adequate technical and financial support is a prerequisite for achieving the global goal on adaptation through Locally-led Adaptation actions.

            The Minister said this in virtual ‘Adaptation Action Coalition Event at the UN High-Level Political Forum on Locally-led Adaptation’ with some of the most prominent global climate leaders from different countries.

            The minister said under the strong leadership of  Hon’ble Prime Minister, Sheikh Hasina government is striving hard to continue the economic development while keeping an eye on achieving climate resilience. The level and progress for Climate Action in Bangladesh is quite noteworthy among leading South Asian countries. Bangladesh has a substantial amount of important policies and plans that support Climate Change adaptation. The government will capitalize on Good Locally Led Adaptation (LLA) practices at disaster-prone coastal areas by the vulnerable communities and integrate them into development plans and wider outreach.

#

Dipankar/Pasha/Nice/Rafiqul/Rezaul/2021/2124 hours

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩১০৭

 

জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় দরিদ্র দেশগুলোর পর্যাপ্ত সহায়তা প্রয়োজন

                                                                        -- পরিবেশ মন্ত্রী

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) : 

 

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব কার্যকরভাবে মোকাবিলা করতে বিশ্ব নেতাদের একযোগে কাজ করা উচিত। এ ক্ষেত্রে, সবচেয়ে দুর্বল দেশগুলোর অভিযোজন ক্ষমতা এবং জলবায়ু সহিষ্ণুতা বাড়ানোর জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দের সংস্থান করা দরকার। জলবায়ু পরিবর্তনে অভিযোজন সম্পর্কিত বৈশ্বিক লক্ষ্য অর্জনের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত দেশগুলোর দীর্ঘমেয়াদী ও পর্যাপ্ত প্রযুক্তিগত এবং আর্থিক সহায়তা অত্যাবশ্যক।

          মন্ত্রী আজ বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন দেশের বিশিষ্ট জলবায়ু নেতাদের সাথে "এডাপটেশন একশন কোয়ালিশন ইভেন্ট এট দ্য ইউএন হাই লেভেল পলিটিক্যাল ফোরাম অন লোকালি লেড এডাপটেশন" শীর্ষক অনুষ্ঠানে ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন হতে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন।

          মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জলবায়ু সহিষ্ণুতা অর্জনপূর্বক অর্থনৈতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে কঠোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় বাংলাদেশের কর্মকাণ্ড এবং অগ্রগতি দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য। সরকার জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজনকে সমর্থন করে এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ নীতিমালা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ সরকার জলবায়ু ঝুঁকির সম্মুখীন অনগ্রসর সম্প্রদায়ের নিজস্ব কার্যকর মোকাবিলা পদ্ধতি বাস্তবায়নের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে।

#

 

দীপংকর/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩১০৬

 

ঢাকা বিভাগে সরকারি ত্রাণ বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) : 

 

          করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে  সরকারের পক্ষ হতে ঢাকা বিভাগে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

          গতকাল ৫ জুলাই ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

 

          গোপালগঞ্জ জেলায় ৫ কোটি ১৫ লাখ ১৮ হাজার ৫ শত টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং শিশুখাদ্য হিসেবে ৫ লাখ  টাকা, গোখাদ্য হিসেবে ৫ লাখ টাকা  আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

 

#

আনোয়ার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩১০৫

 

চট্টগ্রাম বিভাগে চলমান কঠোর লকডাউনে সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত

 

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) : 

 

          কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ প্রতিরোধে ও জনগণের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সরকার আরোপিত চলমান কঠোর লকডাউনে সারা দেশেরন মতো চট্টগ্রাম বিভাগেও সরকারি ত্রাণ সহায়তা অব্যাহত আছে। চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ও কর্মহীন হয়ে পড়া বিভিন্ন প্রান্তিক, হতদরিদ্র ও দুস্থ জনগোষ্ঠীর মাঝে সরকারি ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলছে। 

 

          চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আজ নগরীর এম এ আজিজ স্টেডিয়াম সংলগ্ন জিমনেসিয়াম হলে চট্টগ্রাম মহানগর ছিন্নমূল সমন্বয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লি. এর ৩১০ জন কর্মহীন ও অসহায় ব্যক্তিকে  মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হয়। 

 

          চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমানের সভাপতিত্বে ত্রাণ বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত  বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। 

 

          অনুষ্ঠানে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত, অসহায় ও কর্মহীন প্রত্যেকের হাতে ৭ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি সয়াবিন তেল, ১ কেজি আলু ও ১টি সাবান তুলে দেয়া হয়।

 

          এদিকে নোয়াখালী জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় জিআর খাদ্যশস্য খাত হতে জেলার ৩০৫টি অসহায়, কর্মহীন ও দুস্থ পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ করেছে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিস। এ সময় প্রতিটি পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী হিসেবে ১০ কেজি চাল, ২ কেজি তেল, আধা কেজি হলুদ-মরিচ প্যাকেট ও ২ কেজি আলু প্রদান করা হয়।

 

#

ফয়সল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯৫৮ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩১০৪

৩৩৩-এ কল করে খাদ্য সহায়তা পেল রাজশাহীর ৩৮ পরিবার

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) : 

          ৩৩৩ নম্বরে কল দিয়ে সহায়তা চেয়ে  খাদ্য সহায়তা পেয়েছে  রাজশাহীর ৩৮টি পরিবার। আজ  ৩৮টি পরিবারের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেয়া হয়। এতে উপকারভোগী লোক সংখ্যা   ১৫২ জন।

                   খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিলো পরিবার প্রতি ১০ কেজি চাল, দুই লিটার সয়াবিন তেল, এক কেজি চিনি, সেমাই, শিশু খাদ্য হিসেবে এক প্যাকেট গুড়ো দুধ, নুডুলস ও পেঁয়াজ।

          আজ রাজশাহী জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কার্যালয়ের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

#

মারুফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউর/২০২১/১৯২২ ঘণ্টা


তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৩১০৩

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীকে চলচ্চিত্র শিল্পী সমাজের কৃতজ্ঞতা

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) :  

          'চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১' পাশ হওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছে দেশের চলচ্চিত্র শিল্পী সমাজ।

          আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি মিশা সওদাগর, সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, সহসভাপতি ডিপজল এবং রুবেলসহ চিত্রতারকা রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাস, তমা মির্জা, মিষ্টি জান্নাত, ববি প্রমুখ মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতাপত্র হস্তান্তর করেন। 

          উল্লেখ্য, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় প্রণীত এবং চলচ্চিত্রশিল্পীদের বহু প্রতীক্ষিত 'চলচ্চিত্র শিল্পী কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০২১' গত শনিবার ৩ জুলাই জাতীয় সংসদে পাশ হয়। 

          এ সময় মন্ত্রী বলেন, কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য চলচ্চিত্র শিল্পীদের দাবি অনেক পুরনো হলেও আগে কেউ এতে কর্ণপাত করেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে যখন চলচ্চিত্রশিল্পীরা এই দাবি উত্থাপন করে তখন তিনি এটি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। আপনারা লক্ষ্য করেছেন, দেশে যখন লকডাউন চলছে, সেই পরিস্থিতির মধ্যেও আমরা দিনরাত কাজ করে আইনটি সংসদে নিয়ে গেছি। 

          প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমগ্র দেশের সকল শিল্পীর জন্য সবসময় উদারপ্রাণ, উদারহস্ত এবং তাঁর কাছে আবেদন না করলেও কোনো বিষয় তাঁর চোখে পড়লে তিনি সবসময় সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন এবং চলচ্চিত্র শিল্পীদের কল্যাণকে একটি স্থায়ী কাঠামো দেবার জন্যই এই ট্রাস্ট, উল্লেখ করেন ড. হাছান।

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এ আইন প্রণয়নে দ্রুত সহায়তা দেবার জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি হাসানুল হক ইনু, সদস্যবৃন্দ, সকল সংসদ সদস্য এবং মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। পাশাপাশি তিনি জানান, সংসদে বিরোধীদলের সদস্যরা কেউ কেউ এই আইনের বিরোধিতা করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তার জবাবও তাকে দিতে হয়েছে।  

          চলচ্চিত্র শিল্পের উন্নয়নে সরকারের যুগান্তকারী উদ্যোগের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে ড. হাছান স্মরণ করিয়ে দেন, সরকার  সারা দেশে স্বল্প সুদে সিনেমা হল নির্মাণ ও সংস্কারে ১ হাজার কোটি টাকার ঋণ তহবিল গঠন করেছে। 

          চলচ্চিত্র শিল্পীদের পক্ষে অনুষ্ঠানে মিশা সওদাগর, জায়েদ খান ও অরুণা বিশ্বাস তাদের বক্তৃতায় কল্যাণ ট্রাস্ট আইনের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং তথ্যমন্ত্রীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা জানান। 

          সভাশেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেন, 'প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সরকারকে রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি-জামাতের প্ররোচনা ও ব্যবস্থাপনায় একটি গোষ্ঠী বিদেশে বসে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ও কিছু ওয়েবপোর্টালে দেশের বিরুদ্ধে গুজব রটায়। দেশবাসীকে এসব গুজবের বিরুদ্ধে সতর্ক এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সোচ্চার থাকার আহ্বান জানাই।' 

          এর পরপরই চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ আলীর স্মরণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সমিতি আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

#

আকরাম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                   নম্বর : ৩১০২

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) : 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৩৬ হাজার ৬৩১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১১ হাজার ৫২৫ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৪০৬ জন। 

          গত ২৪ ঘণ্টায় ১৬৩ জন-সহ এ পর্যন্ত ১৫ হাজার ৩৯২ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৫১৫ জন।

#

ফেরদৌস/পাশা/রফিকুল/রেজাউর/২০২১/১৯১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৩১০১

সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও কোভিড-১৯ বিষয়ক অনলাইন সভা অনুষ্ঠিত 

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) :  

 

          সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আবুল মনসুর আজ মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম ও কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক এক অনলাইন সভায় সভাপতিত্ব করেন।

 

          মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এতে অংশগ্রহণ করেন। 

 

          সচিব বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১, টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এবং মন্ত্রণালয়ের মিশন ও ভিশন অনুযায়ী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণপূর্বক দায়িত্বশীলতার সঙ্গে নিজ নিজ কর্ম সম্পাদনের জন্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নির্দেশ প্রদান করেন।

#

ফয়সল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮২০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৩১০০


ই-কমার্স নির্দেশিকা বিষয়ে ডিজিটাল কমার্সের আওতায় এমএলএম ব্যবসা করা যাবে না

                                                                      -- বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই) :  


            বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ডিজিটাল ব্যবসায় শুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা ২০২১” প্রণয়ন করা হয়েছে। গত ৪ জুলাই তা সরকারের গেজেট আকারে প্রকাশত হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা ও অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতে এ ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা তৈরি করা হয়েছে। এতে মার্কেটপ্লেসে বিক্রয়যোগ্য পণ্য ও সেবার তথ্য প্রদর্শন ও ক্রয়-বিক্রয়, সাধারণ নিয়মাবলি, মার্কেটপ্লেসে পণ্য বা সেবা বিক্রয়ের জন্য উপস্থাপন, পণ্য ডেলিভারি, অগ্রীম পরিশোধিত মূল্য সমন্বয় ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে, যা গ্রাহকদের জন্য সহায়ক হবে। মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্সের আওতায় নেশা সামগ্রী, বিস্ফোরক দ্রব্য বা অন্য কোনো নিষিদ্ধ সামগ্রী বা সেবা ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে না। জুয়া বা অনলাইন বিটিং বা অনলাইন গেমবলিং এর আয়োজন বা অংশগ্রহণ করা যাবে না। ডিজিটাল কমার্স প্রতিষ্ঠানসমূহ সরকারের পূর্বানুমোদন ব্যতত কোনো ধরনের লটারি’র আয়োজন করতে পারবে না। মাল্টি লেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) বা নেটওয়ার্ক ব্যবসায় পরিচালনা করা যাবে না।

            মন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি “ডিজিটাল কমার্স পরিচালনা নির্দেশিকা-২০২১” জারির বিষয়ে অবহিতকরণ সংক্রান্ত সভায় সভাপতিত্ব করে বক্তব্য প্রদানের সময় এসব কথা বলেন।

            মন্ত্রী বলেন, পণ্য বিক্রেতা বা তার সাথে চুক্তিবদ্ধ ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নিয়ন্ত্রণে না থাকলে “স্টকে নেই” কথাটি স্পষ্টভাবে পণ্যের পাশে লিপিবদ্ধ করেতে হবে। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যসামগ্রীর বা সংখ্যায় প্রকাশ করা যায় না এমন পণ্য বা সেবার ক্ষেত্রে স্টকের পরিমাণের পরিবর্তে  “এভেইলেবল  ফর ডেলিভারি” কাথাটি লেখা থাকতে হবে। অগ্রীম মূল্য আদায়ের ক্ষেত্রে প্রদর্শিত পণ্য অবশ্যই দেশের ভেতরে 'রেডি টু শিপ' পর্যায়ে থাকতে হবে।  সম্পূর্ণ মূল্য গ্রহণের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ডেলিভারি পারসন বা প্রতিষ্ঠানের নিকট হস্তান্তর করার মত অবস্থায় নেই এমন পণ্যের ক্ষেত্রে পণ্যমূল্যের ১০% এর বেশি অগ্রীম গ্রহণ করা যাবে না। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক অনুমোদিত নীতিমালার মাধ্যমে ১০০% পর্যন্ত অগ্রীম গ্রহণ করা যাবে। বিক্রয়ের জন্য প্রদর্শিত পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পণ্য ডেলিভারিম্যান বা ডেলিভারি সংস্থার নিকট হস্তান্তর করতে হবে এবং ক্রেতাকে তা টেলিফোন,                ই-মেইল বা এসএমএস এর মাধ্যমে জানাতে হবে।

            টিপু মুনশি বলেন, পণ্যের সম্পূর্ণ মূল্য পরিশোধ করা হয়ে থাকলে ক্রেতা ও বিক্রেতা একই শহরে অবস্থান করলে ক্রয়াদেশ গ্রহণের পরবর্তী সর্বোচ্চ পাঁচ দিন এবং ভিন্ন শহরে বা গ্রামে অবস্থিত হলে সর্বোচ্চ দশ দিনের মধ্যে পণ্য ডেলিভারি প্রদান করতে হবে। পচনশীল দ্রব্য দ্রুততম সময়ে ডেলিভারি দেয়ার ব্যবস্থা নিতে হবে এবং ডেলিভারির সময় যাতে পণ্যের কোনো ক্ষতি না হয় সেজন্য যথোপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। যে কোনো ধরনের ঘোষিত ডিসকাউন্ট বিক্রয় কার্যক্রমের সাথে সাথে কার্যকর করতে হবে। ক্যাশব্যাক অফার মূল্য পরিশোধের পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কার্যকর হতে হবে।

            বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষের সঞ্চালনায় বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক, বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের প্রতিনিধি, ই-ক্যাব এর সভাপতি শমী কায়সার, বিভিন্ন এসোসিয়েশনের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ ভার্চুয়ালি সংযুক্ত ছিলেন।

#

বকসী/পাশা/রফিকুর/রেজাউল/২০২১/১৮৫৪ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩০৯৯

আগামী অর্থ বছরে রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

                                                          -বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই):

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, দেশের ২০২১-২২ অর্থ বছরের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৫১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের সময় দেশের এবং আন্তর্জাতিক সকল বিষয় বিবেচনায় নেয়া হয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এর মধ্যে ৪৩.৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য এবং ৭.৫০ বিলিয়ন ডলার সেবাখাতে রপ্তানি হবে। এবার ১২.৩৭% রপ্তানি প্রবৃদ্ধি ধরে এ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

          বাণিজ্যমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষ থেকে ভার্চুয়ালি (জুম প্লাটফর্মে) ২০২১-২২ অর্থ বছরের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ও ঘোষণা সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের বর্তমান রপ্তানির ধারা অব্যাহত থাকলে এ লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব। রপ্তানির সাথে সংশ্লিষ্ট সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, বিশ্ব কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতেও বাংলাদেশের রপ্তানিখাত সচল রয়েছে এবং রপ্তানিখাত ঘুরে দাঁড়িয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ উদ্যোগে রপ্তানিখাতকে প্রণোদনা প্রদানসহ প্রয়োজনীয় সবধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখা হয়েছে। রপ্তানিপণ্য সংখ্যা বৃদ্ধি এবং বাজার সম্প্রসারণে সরকার বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

          মন্ত্রী আরো বলেন, বর্তমান ব্যবসাবান্ধব সরকার দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। সরকার বেশকিছু সেক্টরকে পণ্য রপ্তানিতে দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য প্রকল্প হাতে নিয়েছে। দেশের তৈরি পোশাকের পাশাপাশি লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, আইসিটি, লেদার ও লেদারগুডস, প্লাস্টিক এবং কৃষিজাত পণ্য রপ্তানির বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে। এ খাত গুলোকে শক্তিশালী করে গড়ে তোলার জন্য বিশ্বব্যাংকের সহযোগিতায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয় একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আশা করা যায়, এ খাতগুলোর রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে। দেশের রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ এর মতো বাণিজ্য চুক্তি করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে সরকার। এছাড়া, রপ্তানি বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন দেশে নিযুক্ত কমার্শিয়াল কাউন্সেলরগণ কাজ করছেন।

          অনুষ্ঠানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব তপন কান্তি ঘোষ এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর ভাইস চেয়ারম্যান
এ এইচ এম আহসান বক্তব্য রাখেন। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বিকেএমইএর সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হাতেম, বিজিএমই এর সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. সিদ্দিকুর রহমান, লেদার এন্ড ফুটওয়্যার ম্যান্যুফেকচারার্স এন্ড এক্সপোর্টার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল ইসলাম এবং টেনার্স এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট শাহীন আহমেদ।

#

লতিফ/অনসূয়া/জসীম/কুতুব/২০২১/১৬০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                     নম্বর : ৩০৯৮

খুলনায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগোষ্ঠীর মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ

খুলনা, ২২ আষাঢ় (৬ জুলাই):

          খুলনায় করোনায় কর্মহীন একশত দর্জি, দুইশত থ্রি-হুইলার চালক, ৪৩ রেল শ্রমিক, ৪৫ মাঝি  এবং ৫০ জন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর মানবিক সহায়তা বিতরণ করা হয়। খাদ্য সহায়তার মধ্যে ছিলো ১০ কেজি চাল, দুই কেজি আলু, ৫০০ গ্রাম ডাল, তৈল ৫০০ গ্রাম ও একটি সাবান।

          আজ খুলনা রেলস্টেশন চত্বরে অনুষ্ঠিত এই খাদ্য সহায়তা বিতরণে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ ইসমাইল হোসেন।

          খাদ্যসামগ্রী বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, ৩৩৩ কল এর মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। করোনায় যারা ঘর থেকে বের হতে পারছেন না তাদের ঘরে ঘরে গিয়ে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হবে বলেও তিনি এসময় উল্লেখ করেন। 

          খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে খাদ্য সহায়তা বিতরণে 

অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মোঃ ইউসুপ আলী, মোঃ সাদিকুর রহমান খান, খুলনা শ্রম দপ্তরের বিভাগীয় পরিচালক মোঃ মিজানুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। খুলনা জেলা প্রশাসন অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

#

অনসূয়া/জসীম/কুতুব/২০২১/১৫৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩০৯৭

প্রকল্প বাস্তবায়নে বাংলাদেশের সক্ষমতার প্রশংসা করলেন ইফাদ প্রেসিডেন্ট

রোম (ইটালি), ৬ জুলাই :  

            রোম-ভিত্তিক আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিল (International Fund for Agricultural Development, IFAD)-এর প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হুংবো (Gilbert F. Houngbo) বাংলাদেশ-কে বর্তমানে ইফাদের সর্ববৃহৎ পোর্টফোলিও হিসেবে উল্লেখ করে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও সম্পদ ব্যবহারে বাংলাদেশের সক্ষমতার ভূয়সী প্রশংসা করেন।

            ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান গতকাল ইফাদ প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে পরিচয়পত্র প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। কোভিড সৃষ্ট পরিস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অত্যন্ত উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে ইফাদ-এর সদর দপ্তরে এ আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়।

রাষ্ট্রদূত আহসান ইফাদ-এর স্থায়ী প্রতিনিধি হিসেবে তাকে আনু্ষ্ঠানিকভাবে গ্রহণ করার জন্য এবং চল্লিশ বছরেরও বেশি সময় ধরে দারিদ্র্য ও ক্ষুধা দূরীকরণে বাংলাদেশকে অব্যাহত সহায়তার জন্য ইফাদ প্রেসিডেন্ট-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। ইফাদ-এর ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হওয়ার জন্য গিলবার্ট হুংবো-কে রাষ্ট্রদূত অভিনন্দন জানান। গ্রামীণ অঞ্চল ও প্রান্তিক মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য প্রেসিডেন্ট হুংবো যেসব প্রশংসনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন তা অব্যাহত রাখার জন্য তাঁর এ পুননিয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ বলে রাষ্ট্রদূত উল্লেখ করেন। তিনি কোভিড সৃষ্ট পরিস্থিতির মধ্যেও রেকর্ড পরিমাণ ১.৫৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার তহবিল গঠনে ইফাদ প্রেসিডেন্টের গতিশীল নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। এর মাধ্যমে ২০২২-২৪ মেয়াদে উন্নয়নশীল দেশগুলো ইফাদ থেকে প্রায় ৩.৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার অনুদান ও ঋণ সহায়তা গ্রহণে সক্ষম হবে।

বাংলাদেশ আগামী দিনগুলোতে ঋণ ব্যবহারের সামর্থ্য ও সক্ষমতার বিবেচনায় ইফাদের মূল তহবিল (Core Fund) থেকে ঋণ সহায়তা গ্রহণের পাশাপাশি অন্যান্য তহবিল যেমন: ধারকৃত সম্পদ (Borrowed Resource), ক্লাইমেট ফান্ড, বেসরকারি তহবিল থেকেও প্রয়োজনীতার নিরিখে নমনীয় শর্তে না হলেও সহজ শর্তে ঋণ নিতে পারে। বাংলাদেশের এ সক্ষমতা অর্জন বিশ্বের অনেক উন্নয়নশীল দেশের জন্য অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত হিসেবে ইফাদ প্রেসিডেন্ট উল্লেখ করেন। এছাড়া, তিনি ইফাদ  থেকে সর্বোচ্চ উন্নয়ন সহায়তা গ্রহণ ও প্রকল্প বাস্তবায়নে প্রথম সারির দেশ হওয়ার পাশাপাশি ইফাদ-এর নির্বাহী পর্ষদে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী গুটি কয়ে

2021-07-06-16-12-618cfe680017b5af8b5fa5a5c04675ee.docx