তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২৩
বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে চায় তুরস্ক
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
আজ বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) ও ফরেন ইকোনমিক রিলেশন বোর্ড অভ্ তুর্কি (ডিইআইকে) এর যৌথ উদ্যোগে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে আয়োজিত ‘Turkey and Bangladesh: A New Era in Investment & Trade’ শীর্ষক ওয়েবিনারে বাংলাদেশে বিপুল বিনিয়োগ ও নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন ডিইআইকে’র সভাপতি Nail Olpak.
অনুষ্ঠানে উদ্বোধনী বক্তব্যে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এর নির্বাহী চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম বাংলাদেশের বিনিয়োগ পরিবেশ পরিস্থিতি ও গত বারো বছরে বাংলাদেশের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের ক্রয় ক্ষমতা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে, বাংলাদেশ ২০৩০ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালে উচ্চ আয়ের দেশে পরিণত হবে। বাংলাদেশে বিনিয়োগে রয়েছে বিশাল অভ্যন্তরীণ বাজার, যার ফলে বাংলাদেশ এখন নিরাপদ বিনিয়োগের আস্থায় পরিণত হয়েছে। তিনি বলেন, বিনিয়োগকারীদের আন্তর্জাতিক মানের সেবা দেওয়ার পরিকল্পনায় ওএসএস এর মাধ্যমে ৪১টি সেবা দেওয়া হচ্ছে। এ বছরের শেষ নাগাদ আরো ৩৫টি সংস্থার মাধ্যমে মোট ১৫৪টি সেবা দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এ সময় তিনি তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে অধিক হারে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
ওয়েবিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাংলাদেশ-তুরস্কের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর দক্ষ নেতৃত্বে গত বারো বছরে বাংলাদেশের আমূল পরিবর্তন হয়েছে, এখন আমাদের কাঠামোগত উন্নয়নগুলো ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে, যার ফলে বাংলাদেশ এখন দক্ষিণ এশিয়ার শীর্ষ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দেশ। বিশ্বে প্রবৃদ্ধির নিরিখে অগ্রসর ২০ দেশের অন্যতম দেশ বাংলাদেশ।
ডিইআইকে’র সভাপতি Nail Olpak বাংলাদেশের ক্রমোন্নয়নের প্রশংসা করেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহযোগী হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ প্রভূত উন্নয়ন করছে যা বিশ্বে বাংলাদেশকে নতুন ভাবে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে এবং তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী করে তুলেছে। এ সময় তিনি জানান, তুরস্কের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে এনার্জি, হেলথ কেয়ার, টুরিজম, আইসিটি, টেক্সটাইল এবং এগ্রি প্রসেসিং বিনিয়োগ-সহ বাংলাদেশে নিজস্ব অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করতে আগ্রহী ।
উল্লেখ্য ওয়েবিনারের শুরুতেই বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়ন ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার ওপরে একটি ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। বিডা’র পরিচালক শাহ্ মাহবুব পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বিডা’র সামগ্রিক কার্যক্রম তুলে ধরেন, ওয়েবিনারে অন্যান্যের মধ্যে হুলিয়া গেডিক, সভাপতি ডেইক বাংলাদেশ-তুরস্ক বিজনেস কাউন্সিল, বাংলাদেশে আইএফসি’র ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ম্যানেজার নুজহাত আনোয়ার, তুরস্কের বিনিয়োগকারী গোখান টেজেল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
#
প্রশান্ত/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১২৫ ঘণ্টা
Handout Number : 322
Bangladesh welcomes US rejoining Paris Climate Agreement
Dhaka, January 21:
Bangladesh welcomes the new US President Joe Biden’s announcement yesterday to re-enter the Paris Climate Agreement. Bangladesh also appreciated President Biden’s promise to put the United States on a track to net-zero emissions by 2050 and his call to reestablish the US as global climate leader.
On June 1, 2017, then-US President Donald Trump announced that his country would exit the accord and re-enter only on terms that are 'fair to the United States.'
Bangladesh, as the current President of the Climate Vulnerable Forum (CVF) and the Vulnerable Twenty Group (V20), plays a leading role in climate discourses and focuses on the urgent need to strengthen climate action and adaptation efforts by enhancing nationally determined contributions (NDCs).
Bangladesh hopes that US’s re-joining the global climate accord and re-prioritization of climate change issues will encourage other leading emitters to reduce global emissions and to make investment in clean energy.
On re-entering the Paris Agreement, the US Government also acknowledged that the Paris Agreement created an unprecedented framework for global action to avoid planetary warming and to build global resilience.
#
Tohidul/Roksana/Sahela/Mosharaf/Salim/2021/2120 Hrs.
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২১
ডিজিটাল বাংলাদেশে নারীরা ই-কমার্সে বিপ্লব সৃষ্টি করছে
-- মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেছেন, নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্য বাজারজাতকরণ এবং ব্র্যান্ডিং করার জন্য জয়িতা ফাউন্ডেশন গঠন করেছে সরকার। রাজধানীর ধানমন্ডিতে আগামী মার্চ মাসের মধ্যে জয়িতা ফাউন্ডেশন এর ১০ তলা ভবন নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করা হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তন থেকে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংযুক্ত হয়ে সিলেট বিভাগের শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় নারীদের কর্মসংস্থানের জন্য বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তাদের উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে তোলা হচ্ছে। নারীরা আজ আর ঘরে বসে নেই, তারা এখন সফল উদ্যোক্তা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ নির্মাণ করেছেন। ডিজিটাল বাংলাদেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে নারীরা ই-কমার্স ও ক্ষুদ্র ব্যবসায় বিপ্লব সৃষ্টি করেছে।
অনুষ্ঠানে শ্রেষ্ঠ জয়িতাদের সম্মাননা ক্রেস্ট, সনদ ও পুরস্কারের নগদ অর্থ প্রদান করা হয়। এ বছর সিলেট বিভাগীয় পর্যায়ে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ পাঁচ জন জয়িতা হলেন অর্থনৈতিকভাবে সাফল্য অর্জনকারী নারী ক্যাটেগরিতে সিলেটের ফরিদা আক্তার চৌধুরী, শিক্ষা ও চাকুরি ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জনকারী সুনামগঞ্জের নাসিমা আক্তার খানম, সফল জননী ক্যাটেগরিতে সিলেটের মন্দিরা রাণী ভট্টাচার্য, নির্যাতনের বিভীষিকা মুছে ফেলে নতুন উদ্যমে জীবন শুরু করা মৌলভীবাজারের পারভীন আক্তার এবং সমাজ উন্নয়নে অসামান্য অবদান রাখায় সুনামগঞ্জের মোছাঃ ফরিদা পারভীন ।
সিলেট জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সিলেট বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মোঃ মশিউর রহমান এনডিসি'র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কাজী রওশন আক্তার, ডিআইজি সিলেট রেঞ্জ মফিজ উদ্দিন আহমেদ ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মোঃ নিশারুল আরিফ।
#
আলমগীর/রোকসানা/তারেক/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩২০
উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় সঠিক তথ্য অপরিহার্য
---পরিকল্পনা মন্ত্রী
বরিশাল, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, উন্নয়ন কর্মপরিকল্পনায় সঠিক তথ্য অপরিহার্য উপাদান। তাই এবারের গণনায় সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করে নির্ভুল তথ্য উপস্থাপন করতে হবে। কাউকে বাদ দেওয়া যাবে না।
আজ বরিশাল সার্কিট হাউজে ‘জনশুমারি ও গৃহগণনা-২০২১’ বিষয়ক এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি গণনার কাজে নিয়োজিত তথ্য সংগ্রহকারীদের সহযোগিতা করার জন্য দেশবাসীকে আহ্বান জানান।
এখানে উল্লেখ যে, ১৯৭৪ সালে স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম জনশুমারি অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ১৯৮১, ১৯৯১, ২০০১, ২০১১ সালে যথাক্রমে দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম শুমারি অনুষ্ঠিত হয়েছিল। দেশব্যাপী ষষ্ঠ জনশুমারির মূল গণনা শুরু হওয়ার কথা ছিল ২ ফেব্রুয়ারি ২০২১ থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি ২০২১ পর্যন্ত। কিন্তু কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) এর কারণে মূল গণনা প্রায় সাড়ে আট মাস পেছানো হয়। পরিবর্তিত সূচি অনুযায়ী মূল গণনা ২৫ অক্টোবর ২০২১ থেকে শুরু হয়ে চলবে ৩১ অক্টোবর ২০২১ পর্যন্ত। এবারেই প্রথম বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশিদের এবং বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশিদের জনগণনায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে ।
বিভাগীয় কমিশনার ড. অমিতাভ সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মুহাম্মদ ইয়ামিন চৌধুরী, বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদল্লাহ এবং বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ৷
এ সময় বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহেদ/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/আব্বাস/২০২১/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৯
এডিস মশার মতো কিউলেক্সসহ অন্যান্য মশা নিধনের নির্দেশ স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম সকলের সমন্বিত উদ্যোগে এডিস মশার ন্যায় কিউলেক্স ও অ্যানোফিলিসসহ অন্যান্য প্রজাতির মশা নিধনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মন্ত্রী আজ অনলাইনে আয়োজিত ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগ প্রতিরোধে সিটি কর্পোরেশন এবং অন্যান্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ, দপ্তর ও সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনার জন্য অষ্টম আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় যুক্ত হয়ে সভাপতির বক্তব্যে এ নির্দেশ দেন।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, মন্ত্রণালয় থেকে মশা নিয়ন্ত্রণের জন্য কার্যকর ঔষধ, জনবল ও যন্ত্রপাতিসহ সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান এবং ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়রসহ সকলের সমন্বিত, কঠোর উদ্যোগের ফলে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করতে সরকার সক্ষম হয়েছে। এখন এডিস মশার প্রাদুর্ভাব না থাকলেও অন্যান্য প্রজাতির মশা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই রাজধানীবাসীসহ দেশের মানুষকে মশার যন্ত্রণা থেকে মুক্ত করতে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেন মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, নগরীর খালসমূহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে পারলে নগরবাসী যেমনি এর সুফল পাবে অন্যদিকে এডিস মশাসহ অন্যান্য প্রজাতির মশার প্রজননস্থল বিনষ্ট হওয়ায় মশা নিয়ন্ত্রণে আসবে।
একই কীটনাশক দীর্ঘদিন ধরে ব্যবহারের ফলে মশা সেটাতে সহনশীল হয়ে যায় উল্লেখ করে মোঃ তাজুল ইসলাম মশা নিধনে কার্যকর ঔষধ ক্রয়ের পাশাপাশি তদারকি বৃদ্ধির জন্য তাগিদ দেন।
মন্ত্রী জানান, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড, জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে মশা আছে। ঐ সকল দেশ যেভাবে মশার প্রজনন ক্ষেত্র ধ্বংস করে মশার প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে এনেছে বাংলাদেশ সরকারও সেভাবে কাজ করছে এবং সফল হয়েছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সঞ্চালনায় অনলাইন সভায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব, ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সকল সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাবৃন্দ অংশ নেন।
#
হায়দার/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৮
জনগণের মাঝে উন্নয়ন সুফল পৌঁছে দিতে
যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের নির্দেশ পরিকল্পনা মন্ত্রীর
বরিশাল, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, জনগণের মাঝে উন্নয়ন সুফল পৌঁছে দিতে অপচয় কমিয়ে যথাসময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে হবে।
আজ বরিশাল সার্কিট হাউজে বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের গতি বাড়ানো এবং মান বজায় রেখে যথাসময়ে প্রকল্প কাজ সমাপ্ত করতে হবে। যাদের প্রকল্পের অগ্রগতি ভালো তাদের সাধুবাদ জানিয়ে মন্ত্রী ধীরগতিসম্পন্ন প্রকল্প দ্রুত বাস্তবায়নের তাগিদ দেন।
উল্লেখযোগ্য যে, পরিকল্পনামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রকল্প কাজে বাস্তবায়ন গতি বাড়াতে সারাদেশে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহের প্রকল্প পরিচালকদের সাথে আলোচনা করার উদ্যোগ নেন মন্ত্রী। সারা দেশে ২০২০-২১ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাধ্যমে ২ লাখ ১৪ হাজার ৬১১ কোটি ৯ লাখ টাকা ব্যয়ে ১ হাজার ৭২৪ টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।
বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়ন করা হবে ৭ হাজার ১০৩ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ব্যয়ে ৬৭টি প্রকল্প যা এডিপির মোট বরাদ্দের ৩ দশমিক ৩১ শতাংশ। ৬৭টি প্রকল্পের মধ্যে শূন্য অগ্রগতির প্রকল্প ৬টি, ১ থেকে ২৫ শতাংশ অগ্রগতির প্রকল্প ১৩টি, ২৬ থেকে ৫০ শতাংশ অগ্রগতির প্রকল্প ১৯টি এবং বাকি ২৯টি প্রকল্প ৫০ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়েছে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত এবং এ সময়ে আর্থিক অগ্রগতি ১ হাজার ৬০৫ কোটি ৩৮ লাখ টাকা ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে এসময় বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী, বরিশাল বিভাগে বাস্তবায়নাধীন বিভিন্ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালকসহ বিভাগীয় ও জেলা প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
শাহেদ/রোকসানা/সাহেলা/মোশারফ/জয়নুল/২০২১/২০৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৭
দেশের মানুষের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাজ করছে সরকার
-- খাদ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, গত কয়েক বছরে বাংলাদেশের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নতিসহ সার্বিকভাবে দেশের অনেক উন্নতি সাধিত হয়েছে। দেশের সব মানুষের বিশেষ করে নারী ও শিশুদের পুষ্টি অবস্থার উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা হচ্ছে।
আজ জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেসের আহ্বানে আগামী সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে অনুষ্ঠেয় ‘UN Food Systems Summit 2021 আয়োজনের প্রস্তুতিতে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পর্যায়ের সংলাপ’ শীর্ষক অনলাইন সেমিনারে যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে মা ও শিশু মৃত্যুর হার কমানো ছাড়াও ক্ষুধা এবং দারিদ্র্যের হার কমানোর মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল (এমডিজি) অর্জনে বাংলাদেশ সফল হয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জনের লক্ষ্যে মা ও শিশুদের খাদ্য এবং পুষ্টি নিরাপত্তার উন্নয়নসহ শিশুদের খর্বতা ও অপুষ্টির হার উল্লেখযোগ্যভাবে কমানোর লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে সরকার। সামাজিক কর্মসূচির আওতায় বছরে ৫ মাস ৫০ লাখ দরিদ্র পরিবারকে মাত্র ১০ টাকা দামে প্রতি মাসে ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হচ্ছে।
সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ক্ষুধামুক্ত, নিরাপদ, আত্মনির্ভরশীল ও উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে অন্যান্য খাতের ন্যায় দেশের খাদ্য ব্যবস্থাপনাকেও আরো বাস্তবমুখী এবং শক্তিশালী করা হয়েছে। ‘জাতীয় খাদ্য ও পুষ্টি নীতি, ২০২০’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করার লক্ষ্য অর্জনের দ্বারপ্রান্তে সরকার এবং এই অগ্রগতির ধারাকে এগিয়ে নিয়ে ২০৪১ সালের মধ্যে পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোর সারিতে বাংলাদেশের অবস্থান নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর। ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ।
খাদ্য সচিব ড. মোসাম্মৎ নাজমানারা খানুমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থার প্রতিনিধি ছাড়াও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগী, বেসরকারী প্রতিষ্ঠান, এনজিও এবং সুশীল সমাজের প্রতিনিধি অংশগ্রহণ করেন।
#
সুমন/রোকসানা/তারিক/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৬
কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হলে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে
-- পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী
যশোর, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী স্বপন ভট্টাচার্য্য বলেছেন, কৃষিতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে হলে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার বাড়াতে হবে। কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহারে মানুষকে উৎসাহী করতে হবে। প্রচারাভিযান ও প্রদর্শনীর মাধ্যমে এর সুফল সম্পর্কে সাধারণ কৃষকদেরকে সচেতন করতে হবে। কৃষক যদি উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য না পায়, তাদের অর্থের সংস্থান না থাকে তাহলে আধুনিক কৃষি যন্ত্রপাতি কৃষকের হাতে পৌঁছাবে না। কৃষকদের হাতে সহজলভ্যভাবে কৃষি যন্ত্রপাতি পৌঁছানোর ব্যবস্থা করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী আজ যশোরে শেখ হাসিনা সফটওয়ার টেকনোলজি পার্ক অডিটোরিয়ামে ‘ভিশন-২০২১ এ এসে ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে কৃষির বাস্তবতা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
কৃষিতে সমবায়ের গুরুত্বের কথা উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, কৃষকের স্বার্থ রক্ষার জন্য এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি সমবায়ের ওপর যেভাবে গুরুত্বারোপ করেছিলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও একইভাবে গুরুত্বারোপ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলে যাচ্ছেন, দেশের এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কৃষি যন্ত্রপাতি ক্রয়, পরিচালনা এবং রক্ষণাবেক্ষণ যত সহজে সমবায়ের মাধ্যমে করা সম্ভব, তা ব্যক্তি মালিকানায় সম্ভব নয়।
বিআইএফএফএল’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম ফরমানুল ইসলামের সঞ্চালনায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আসাদুল্লাহর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন এসিআই এগ্রিবিজনেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এডভোকেট এফ এইচ আনসারী।
#
হাবীব/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৫
নৌ-পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার
-- পর্যটন প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন প্রতিমন্ত্রী মোঃ মাহবুব আলী বলেছেন, নৌ-পর্যটনের উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। বাংলাদেশের নদীকেন্দ্রিক পর্যটন শিল্পের বিকাশে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড ও বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ মুন্সীগঞ্জের লৌহজং-এ শিমুলিয়া ঘাট থেকে ঢাকা ক্রুজ এন্ড লজিস্টিকসের আয়োজনে ‘পদ্মা ক্রুজ’ নামে নৌভ্রমণ কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
মাহবুব আলী বলেন, সরকারের জাতীয় পর্যটন উন্নয়ন নীতিমালাতে নৌ-পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বারোপ করা হয়েছে। এছাড়া দেশের পর্যটন শিল্পের সমন্বিত উন্নয়নে যে পর্যটন মহাপরিকল্পনা প্রণয়ন হচ্ছে সেখানেও নৌ-পর্যটনকে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হচ্ছে। নৌ-পর্যটন টেকসই পর্যটন উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে পদ্মা সেতু আজ বাস্তবতা। এটি দেশের উন্নয়ন সক্ষমতার প্রতীক। এই সেতু নদীর দুই পাড়ের মানুষকে আরো গভীরভাবে সংযুক্ত করবে। অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করবে। বর্তমানে পর্যটন শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যটন আকর্ষণ এই সেতু।
মাহবুব আলী বলেন, পর্যটন শিল্পের বিকাশ ও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি অংশীজনদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পর্যটন শিল্পের বিকাশে বেসরকারি অংশীজনদের সহায়তা করার জন্য বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয় সবসময় আন্তরিক বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ্য, পদ্মায় নৌ-ভ্রমন আয়োজনে পদ্মা ক্রুজ নামে থাকবে দু’টি ভিন্ন ভিন্ন প্যাকেজ। মাওয়া ঘাট থেকে প্রতিদিন ডে ক্রুজ (সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১ টা) এবং বৈকালিক ক্রুজ ( দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা) পরিচালিত হবে। নৌ-ভ্রমণ প্যাকেজে অন্তর্ভুক্ত থাকবে দুপুরের খাবার ও হালকা নাস্তা এবং সার্বক্ষণিক চা ও কফি। পর্যটকদের চাহিদা অনুযায়ী ভ্রমণসূচি ও খাবার মেনু পরিবর্তনেরও সুযোগ রয়েছে।
#
তানভীর/রোকসানা/তারিক/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৯৫০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৪
প্রকল্পে অযৌক্তিক ব্যয় পরিহার করতে হবে
-- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, প্রকল্পে কোনো ধরনের অযৌক্তিক ব্যয় করা যাবে না। কেনা-কাটা-সহ অন্যান্য প্রক্রিয়ায় অস্বাভাবিক কিছু করা যাবে না। প্রকল্প প্রস্তাবে বাজারমূল্যের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ দাম নির্ধারণ করতে হবে। প্রকল্প নিয়ে কোনো নেতিবাচক প্রচারণায় সরকার থাকতে চায় না।
আজ রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন মৎস্য অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত প্রকল্পসমূহের অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যকালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রকল্প পরিচালকদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী বলেন, অনিয়ম, অস্বচ্ছতা বা দুর্নীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়া যাবে না। প্রকল্পের কাজ গতানুগতিকভাবে দপ্তরে বসে করা যাবে না, মাঠে যেতে হবে। আর শুধু মাঠ পরিদর্শন করলেই হবে না বরং মাঠে থাকতে হবে। একইসাথে মাঠ পরিদর্শনে প্রাপ্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রকল্প পরিচালকদের কাছ থেকে জনগণ পরিচ্ছন্ন সেবা প্রত্যাশা করে। আন্তরিকতা ও একাগ্রতা প্রত্যাশা করে। প্রকল্পের ধীর গতি কোনোভাবেই কাঙ্ক্ষিত নয়। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা, নিয়ম অনুসরণ করা এবং আইন প্রতিপালন করার জন্য কাজের সমন্বয় থাকতে হবে। প্রকল্পের কাজের সাফল্যে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় ও আওতাধীন দপ্তর-সংস্থায় যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এসেছে তা যেন ম্রিয়মান না হয়, এ ব্যাপারে কাজের প্রতি আরো আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান এবং সততার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
সভায় ২০২০-২১ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত মন্ত্রণালয়ের ১টি, মৎস্য অধিদপ্তরের ৮টি এবং বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ২টিসহ মোট ১১টি প্রকল্পের ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ, বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান কাজী হাসান আহমেদ, মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শ্যামল চন্দ্র কর্মকার ও মোঃ তৌফিকুল আরিফ-সহ সংশ্লিষ্ট প্রকল্প পরিচালকগণ এ সময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/রোকসানা/সাহেলা/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২০০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১৩
পৌঁছেছে ভারতের ভ্যাকসিন উপহার
সরকারের সাফল্যে বিএনপি’র মুখে উদভ্রান্তের প্রলাপ
--তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ৭ মাঘ (২১ জানুয়ারি) :
‘ভারতের উপহার ২০ লাখ ভ্যাকসিন দেশে পৌঁছেছে আর সরকারের সাফল্যে এখন বিএনপি’র মুখে উদভ্রান্তের প্রলাপ’ বলেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে বাংলাদেশ সম্পাদক ফোরাম প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী একথা বলেন। তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান ও প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকারের উপস্থিতিতে সম্পাদক ফোরামের উপদেষ্টা ইকবাল সোহবান চৌধুরী ও আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম রতন এ সময় ফোরামের বক্তব্য তুলে ধরেন।
বিএনপি’র সাম্প্রতিক মন্তব্য ‘সরকার ভ্যাকসিন নিয়ে রাজনীতি করছে’ এ সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে করোনার টিকা চলে এসেছে এবং এটি উপহার হিসেবে ভারত সরকার আমাদেরকে দিয়েছে। এজন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। আর এসময় বিএনপির বক্তব্য তাদের যে মানসিকতা তুলে ধরে, তা হলো-অপছন্দের প্রতিবেশীর কোনো ভালোই দেখতে না পারা এবং সবসময় অমঙ্গল কামনা করা।’
‘বিএনপি আশা করেছিল, দেশ এই করোনা মহামারি সামাল দিতে পারবে না, কিন্তু প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে সেটি সামাল দিয়েছেন এবং বিশ্বব্যাপী তার এই নেতৃত্ব প্রশংসিত হয়েছে’ উল্লেখ করে ড. হাছান বলেন, উপমহাদেশে করোনা মোকাবিলায় বাংলাদেশের সক্ষমতা সবার ওপরে, সমগ্র পৃথিবীতে ২০তম। করোনা মহামারির মধ্যে সারা বিশ্বে মাত্র ২২টি দেশে ধ্বনাত্মক জিডিপি গ্রোথ হয়েছে, তন্মধ্যে বাংলাদেশের অবস্থান