Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৯ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৯ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১১০

 

রাষ্ট্রপতির কাছে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

 

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদের কাছে পরিচয়পত্র পেশ করেছেন বাংলাদেশে নবনিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ।

          আজ বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রদূতকে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল গার্ড অভ্ অনার প্রদান করে।

          চীনের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, চীন বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপাক্ষিক উন্নয়ন সহযোগী এবং বাণিজ্য বিনিয়োগের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দেশ। বিভিন্ন মেগা প্রকল্প বাস্তবায়নসহ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি আশা প্রকাশ করেন, আগামীতে বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাণিজ্য-বিনিয়োগ বৃদ্ধিসহ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে।

          রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এসময় করোনা মোকাবিলায় সহায়তার জন্য চীন সরকারকে ধন্যবাদ জানান। তিনি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গারা যাতে দ্রুত সম্মানের সাথে নিজ মাতৃভূমিতে ফিরে যেতে পারে সে ব্যাপারে চীন জোরালো ভূমিকা রাখবে মর্মে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

          সাক্ষাৎকালে চীনের নতুন রাষ্ট্রদূত দায়ি়ত্ব পালনে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন। 

          পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া, সামরিক সচিব মেজর জেনারেল এস এম সালাহ উদ্দিন ইসলাম, প্রেস সচিব মোঃ জয়নাল আবেদীন এবং সচিব সংযুক্ত মোঃ ওয়াহিদুল ইসলাম খান এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

 

ইমরানুল/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২০৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১০৯

 

১৪ বছরে মালয়েশিয়াসহ ২৫ দেশকে পেছনে ফেলে ৩৫তম জিডিপির দেশ বাংলাদেশ

                                                                         --- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, ২০০৯ সালে আমাদের সরকার গঠনের সময় বাংলাদেশ ছিল ৬০তম অর্থনীতির দেশ, গত ১৪ বছরে আজকে সেটি ৩৫তম অর্থনীতির দেশে গিয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ বদলে গেছে এবং বদলে যাচ্ছে।

          সিঙ্গাপুর এবং মালয়েশিয়া জিডিপির আকারে আমাদের চেয়ে ছোট অর্থনীতির দেশ, পাকিস্তান তো বটেই, আর কোনো কোনো সমীক্ষা মতে বাংলাদেশের অবস্থান পিপিপিতে ৩১তম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা না হলে, সাড়ে ৯ শতাংশের বেশি অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি যদি অব্যাহত থাকতো তাহলে দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া এমন কি সিঙ্গাপুরের আগেই পৃথিবীর মানুষ বাংলাদেশের বদলে যাওয়ার গল্প শুনতো।’

          আজ রাজধানীর তেজগাঁওয়ে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনের জহির রায়হান হলে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি (বাচসাস) আয়োজিত তিন দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধু চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৩ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ সব কথা বলেন। উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক অর্থ তহবিলের (আইএমএফ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রকাশিত সাম্প্রতিক ‘দি টপ হেভি গ্লোবাল ইকোনমি’ তালিকায় ৩৫তম স্থানে উঠে এসেছে বাংলাদেশ।

          সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে এই খবরে দেশের গণমাধ্যমে যেভাবে প্রশংসা হওয়া দরকার আমি কিন্তু সেটা দেখছি না। যদি বাংলাদেশ কোনো সূচকে পিছিয়ে যায়, তখন গণমাধ্যমে সেটি যেভাবে ফলাও করে প্রচার হয় কিন্তু অর্থনীতির আকার অনুযায়ী জিডিপির হিসাব অনুযায়ী আমরা যখন এগিয়ে গেলাম, সেটিও ফলাও করে প্রচার হওয়া প্রয়োজন।'

          গত বছরের অসামান্য অর্জনের চিত্র তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘২০২২ সালে পৃথিবীর জন্য একটি দুঃসময় কেটেছে। ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হয়েছে গতবছর এবং কোনো কোনো দেশে করোনা মহামারি আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। সেই পরিস্থিতির মধ্যে নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করে প্রধানমন্ত্রী সেটি উদ্বোধন করেছেন, ঢাকায় মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে।’

          বিদেশি গণমাধ্যমে দেশের উচ্ছ্বসিত প্রশংসার উদাহরণ দিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, 'কলকাতার আনন্দবাজার পত্রিকা ঢাকায় মেট্রোরেল শুরু হওয়ার পর একটি ফিচারে লিখেছে- ঢাকার মেট্রোরেল আমাদের অনেক পরে শুরু হলেও আধুনিকতার দিক দিয়ে কলকাতার চেয়ে এগিয়ে। ... এবং তিন দশক পরেও কলকাতায় মেট্রোরেলে কোনো মহিলা চালক নেই। আর ঢাকার প্রথম মেট্রোরেল একজন মহিলা চালিয়েছে এবং ৬ জন চালক মহিলা। অর্থাৎ দেশের উন্নতির সাথে সাথে এখানে নারীর ক্ষমতায়ন হয়েছে।’

চলমান পাতা - ২

         

 

 

 

 

--- ২ ---

 

          বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মন্ত্রী হাছান বলেন, একাত্তর সালের ১৬ ডিসেম্বর আমরা বিজয় লাভ করলেও আমাদের স্বাধীনতা তখনও পূর্ণতা পায়নি। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি যিনি হাজার বছরের ঘুমন্ত বাঙালির জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটিয়ে ‘বীর বাঙালি অস্ত্র ধরো, বাংলাদেশ স্বাধীন করো’ স্লোগান শিখিয়েছেন, এক সাগর রক্ত পাড়ি দিয়ে যার নেতৃত্বে দেশের স্বাধীনতা এসেছে, ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি সেই বঙ্গবন্ধুর প্রত্যাবর্তনেই আমাদের স্বাধীনতা সত্যিকার অর্থে পূর্ণতা পেয়েছিল।’

          আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের ভিডিওতে  দেখা যায়, বঙ্গবন্ধুর বাবা শেখ লুৎফর রহমান এক কোনায় বসে আছেন, আর ছেলে বঙ্গবন্ধু মুজিব জনতার কাছে। কারণ জাতির পিতা মুজিব তখন শুধু শেখ লুৎফর রহমানের সন্তান নন, তিনি জনগণের মুজিব। এটিই হচ্ছে বঙ্গবন্ধু।’

          জাতীয় জীবনে চলচ্চিত্রের ভূমিকার কথা বর্ণনা করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের চলচ্চিত্র যেন সমাজের অসঙ্গতি দূর করে দেশটাকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে সহায়তা করে। বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি সমাজকে পরিশুদ্ধ, পরিশীলিত করার জন্যে যেন ভূমিকা রাখে, আজকের দিনে সেটিই আমার প্রত্যাশা।

          অনুষ্ঠানে বাচসাস সভাপতি রাজু আলীমের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বিএফডিসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুজহাত ইয়াসমিন, চলচ্চিত্র অভিনেত্রী অরুনা বিশ্বাস এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিমন মাহফুজ বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/রাহাত/এনায়েত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/২০৪০ ঘণ্টা

                 তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ১০৮

 

টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রসার দ্রুত করা আবশ্যক

                                      -- বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

 

বিদ্যুৎ, জ্বালানি  ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, টেকসই উন্নয়নের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির প্রসার দ্রুত করা আবশ্যক। তিনি বলেন ‘পাওয়ার সেক্টর মাস্টারপ্ল্যান’ অনুযায়ী নবায়নযোগ্য জ্বালানি হতে বর্তমানে ১০ শতাংশ বিদ্যুৎ পাওয়ার চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ক্লিন এনার্জি থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই পূর্ণ হবে।

প্রতিমন্ত্রী আজ বিদ্যুৎ ভবনে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে ৬৮ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সিরাজগঞ্জ সোলার পার্ক প্রকল্পের পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট (আইএ) স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 প্রতিমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সোলার প্রজেক্ট করার মতো অকৃষি জমি পাওয়া দুষ্কর। যতটা অকৃষি জমি পাওয়া যায় তাতেই সোলার বা নবায়নযোগ্য জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ হতে দ্রুত ২০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের কাজ চলমান রয়েছে।

বিদ্যুৎ বিভাগের পক্ষে যুগ্ম সচিব নিরোদ চন্দ্র মন্ডল, বিউবোর পক্ষে বোর্ড সচিব মোহাম্মদ সেলিম রেজা এবং বাংলাদেশ-চায়না রিনিউএবল এনার্জি কোম্পানি লিমিটেডের পক্ষে কোম্পানির সচিব বিমল চন্দ্র রায় চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি বিসিআরইসিএল এবং কনসোর্টিয়াম অভ্ প্যারিওশেন-ফেডি-সিনোহাইড্রো, চায়না’র মধ্যে এই প্রকল্পের ইপিসি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ২০ বছরের লেভেলাইজড ট্যারিফ ১০ দশমিক ২০ ইউএস সেন্ট/কিলোওয়াট-আওয়ার। প্রকল্পটির করিগরি পরামর্শক ZTENCO Limited, Bangladesh এবং ব্যয় ৮৭ দশমিক ৭১ মিলিয়ন ডলার।

বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব মোঃ হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে স্রেডার চেয়ারম্যান মুনীরা সুলতানা, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মোঃ মাহবুবুর রহমান ও
নর্থ-ওয়েস্ট পাওয়ার জেনারেশন কোম্পানি লিমিটেড-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা প্রকৌশলী খোরশেদুল আলম বক্তব্য রাখেন।

#

 

আসলাম/রাহাত/মোশারফ/লিখন/২০২২/১৭৩৩ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১০৭

 

বাণিজ্যমন্ত্রীর সঙ্গে ডিসিসিআই-এর কর্মকর্তাদের বৈঠক

 

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির সঙ্গে ঢাকা চেম্বার অভ্ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রিজ (ডিসিসিআই) এর নবনির্বাচিত কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠক করেছেন।

          আজ ডিসিসিআই এর নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোঃ সামের সাত্তারের নেতৃত্বে পরিষদের পরিচালকগণ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্যমন্ত্রীর অফিস কক্ষে এ বৈঠক করেন।

          এ সময় নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট মোঃ সামের সাত্তার ডিসিসিআই এর বর্তমান অবস্থা ও কার্যক্রম সম্পর্কে বাণিজ্যমন্ত্রীকে অবহিত করেন। পরিষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, চলমান বিশ^ পরিস্থিতিতে দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার জন্য সরকারের বিশেষ সহযোগিতা প্রয়োজন।

          বাণিজ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে নবনির্বাচিত প্রতিনিধিবৃন্দ বলেন, বাংলাদেশ ২০২৬ সালে এলডিসি গ্রাজুয়েশন করবে, যা ২০২৯ সাল থেকে কার্যকর হবে। তখন বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনার ক্ষেত্রে অনেক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে। এসময় বিভিন্ন দেশের সাথে পিটিএ বা এফটিএ এবং সেফা এর মতো বাণিজ্য সহযোগিতা চুক্তি করে বিভিন্ন দেশ থেকে বাণিজ্য সুবিধা আদায়ের উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। এছাড়া ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের কাছ থেকে জিএসপি প্লাস সুবিধা আদায়, ভারত-বাংলাদেশ বাণিজ্য সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ক্ষেত্রে এলসি খোলার সমস্যার সমাধান, বিশ^বাণিজ্য সংস্থার বিধি-বিধান কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য এগিয়ে নিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতা কামনা করা হয়।

#

 

বকসী/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯০০ঘণ্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১০৬

 

রুশানারা আলীর সঙ্গে বাণিজ্যমন্ত্রীর বৈঠক

স্পেশাল ইকোনমিক জোন এবং হাই-টেক পার্কে বিনিয়োগের আহ্বান

 

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

          বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বাংলাদেশ এখন বিনিয়োগের জন্য সবচেয়ে লাভজনক স্থান। বাংলাদেশে বিনিয়োগ এখন অনেক সহজ করা হয়েছে, বৈদেশিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেশকিছু সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে এনার্জি, রেলওয়ে, টেলি-কমিউনিকেশন, ইনফরমেশন টেকনোলজি, ফার্মাসিউটিক্যাল, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, সেবা, শিক্ষা এবং তৈরি পোশাক খাতে বিনিয়োগের বিপুল সম্ভাবনা রয়েছে।

          মন্ত্রী আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে তাঁর অফিস কক্ষে ঢাকায় সফররত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ বিষয়ক বাণিজ্য দূত রুশানারা আলী এমপি’র সাথে মতবিনিময়ের সময় এসব কথা বলেন।

          বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাজ্যের ঐতিহাসিক সম্পর্ক রয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কারামুক্ত হয়ে পাকিস্তান থেকে স¦াধীন বাংলাদেশে ফেরার পথে যুক্তরাজ্যে যাত্রাবিরতি করেন। যুক্তরাজ্য বাংলাদেশের বন্ধু রাষ্ট্র। যুক্তরাজ্যের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। বর্তমানে দুই শতাধিক ব্রিটিশ কোম্পানি বাংলাদেশে প্রায় ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করেছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশনায় দেশের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১০০টি স্পেশাল ইকোনমিক জোন গড়ে তোলার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। অনেকগুলোর কাজ এখন শেষ পর্যায়ে, এছাড়া ৩৩টি হাই-টেক পার্ক এর কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। এগুলোতে বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এছাড়া বাংলাদেশের অনেক ছেলে-মেয়ে ব্রিটেনে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করছে। এ সকল ব্রিটিশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে থাকলে ছেলে-মেয়েরা কম খরচে উন্নত শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাবে। ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীগণ এ সুযোগ গ্রহণ করতে পারেন।

          সফররত বাণিজ্য দূত রুশানারা আলী  বলেন, ব্রিটেন বাংলাদেশে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়াতে চায়।

এক্ষেত্রে জটিলতা দূর করলে বাংলাদেশে ব্রিটিশ বিনিয়োগ বাড়বে। ব্রিটিশ অনেক কোম্পানি বাংলাদেশে সুনামের সাথে কাজ করছে। সেবা ও শিক্ষা খাতে বিনিয়োগ করতে অনেক ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী আগ্রহী। বাংলাদেশের স্পেশাল ইকোনমিক জোন বিদেশি বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করেছে। ব্রিটেনের বিনিয়োগকারীগণ বাংলাদেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগে আগ্রহী। উভয় দেশের বাণিজ্য বাড়লে কার্গো জাহাজ চলাচলের সুযোগ সৃষ্টি হবে। এসময় বাংলাদেশের উন্নয়ন এবং অগ্রযাত্রার প্রশংসা করে তিনি বলেন, মেড ইন বাংলাদেশ ব্রিটেনে জনপ্রিয় ব্র্যান্ড। রুশানারা আলী বাংলাদেশের সেবা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বিমান পরিবহন খাতে ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের  আগ্রহের কথা উল্লেখ করেন।             

          এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষসহ বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র কর্মকর্তাবৃন্দ  এবং ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাই কমিশনার রবার্ট চেটার্সন ডিকসনসহ ডেলিগেশনের সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

বকসী/রাহাত/মোশারফ/জয়নুল/২০২৩/১৯০০ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ১০৫

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :   

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী রবিবার সকাল ৮টা থেকে আজ সোমবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৭২ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৩৭০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৭১৪ জন।

 

#

কবীর/রাহাত/মোশারফ/রেজাউল/২০২৩/১৭৩৫ ঘণ্টা

 

 

 

 

Handout                                                                                                                       Number : 104

 

Prime Minister’s message on the Homecoming Day of Bangabandhu

 

Dhaka, 9 January :

 

            Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’s Homecoming Day.

“The greatest Bengali of all time in the history of the Bengali liberation struggle, the Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, was released from prison in Pakistan and returned home on this day in 1972. The people of newly independent Bangladesh got back their most beloved leader. With the arrival of our Great Leader, the joy of the final victory of our liberation war was fulfilled.

The Father of the Nation struggled for 24 long years to unfetter the Bengali nation from the shackles of subjugation. He led on all fronts, from the language movement to the Independence War. He endured prison-torture, always made far-sighted decisions, and organized the party well beyond personal interests. Bangladesh Awami League won an absolute majority in the 1970 elections under his leadership. But the Pakistani military junta ignored the people’s verdict and started a farce. The unarmed people of Bengal were shot and killed indiscriminately. To achieve the ultimate independence, Father of the Nation declared in a crowd of a million at the racecourse maidan on 7 March 1971, ‘...turn every house into fortress...... The struggle this time is a struggle for emancipation. The struggle this time is a struggle for independence.’ The Pakistani occupation forces launched a brutal killing mission on the innocent Bengalis on the darkest night on 25 March. Bangabandhu proclaimed the Independence of Bangladesh in the first hour of 26 March. 

Soon after the declaration of independence, the Pakistani forces arrested the Father of the Nation and confined him in unknown place in Pakistan, where he was subjected to inhuman torture. He was elected as the President of the Mujibnagar Government on 10 April 1971. He rejoiced the spirit of Bengalis while counting the moments of execution as a convict in the farcical trial of Pakistan's Kangaroo court. He was the flame of hope to the freedom fighters. Under his unwavering leadership, the Bengali nation fought to the death and snatched victory on 16 December. The defeated Pakistani rulers were compelled to free Bangabandhu in the early hours of 8 January 1972. He landed in London in the morning on the same day. There he met the British Prime Minister, and participated in a press conference. The Father of the Nation kissed the ground of his beloved motherland at noon on 10 January 1972, with a short stopover in Delhi in the morning. In a speech to a crowd of millions at the racecourse that day, he described the brutal torture of the Pakistani military junta and called on the United Nations to bring the Pakistani army to justice for committing heinous crimes and genocide during the Great Liberation War.

On 12 January 1972, the Father of the Nation assumed as the Prime Minister and deployed wholehearted efforts to rebuild war-torn Bangladesh. Due to his strong move, the Indian allied forces left Bangladesh by 15 March. On 14 December, he signed the first constitution of Bangladesh. Due to the successful bilateral and multilateral diplomatic efforts of the Father of the Nation, Bangladesh gained recognition from 123 countries of the world and 16 international organizations. From a war-torn country, it emerged as the least developed country in just three and a half years, and Bangladesh stood with a high head in the globe.

 

Page/2

 

 

 

-2-

 

On 15 August 1975, the anti-independence and war criminal faction brutally killed the Father of the Nation, including his family members, and introduced the politics of killing, coup, and conspiracy in this country. They obstructed the way for the trial of Bangabandhu’s assassination by issuing an indemnity ordinance on 26 September 1975. The Mostaq-Zia gang rewarded the killers with diplomatic status in Bangladesh embassies and also established them politically. Ruined democracy by declaring Martial Law. Distorted the glorious history of our independence. Defaced the constitution and choked press freedom. The BNP-Jamat government continued the trend.

After 21 years of a long struggle and so many sacrifices, Bangladesh Awami League formed the Government in 1996. On 12 November of the same year, we adopted the ‘Indemnity Ordinance Repeal Act, 1996’ and started the trial of the assassination of the Father of the Nation. We reinstated the real history of independence and liberation war in the textbooks. We won a landslide victory in the 2008 election and were elected by popular mandate three times in a row. We have executed the verdict of the killers of the Father of the Nation. We have tried war criminals through the establishment of the International Criminal Tribunal. We have ensured the right of the people to vote through the fifteenth amendment to the constitution, thus stopped the illegal seizure of power.

We are working tirelessly to materialize the dream of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. By overcoming various hurdles, we are taking Bangladesh forward on the path of prosperity. On the occasion of the birth centenary of the Father of the Nation and the golden jubilee of Independence, the United Nations recognized Bangladesh as a developing country, which is a unique achievement of our government. 

Bangabandhu Sheikh Mujib’s dream was that one day the people of this country would design their own fate. For that purpose, he prepared the entire nation to fight and, with courageous leadership, created an opportunity to enjoy the taste of freedom. The Awami League government’s ultimate achievement is that the people of independent Bangladesh present themselves proudly on the world stage without showing leniency to foreign powers. On this auspicious occasion of Homecoming Day, let us pledge-resisting all domestic and foreign conspiracies and being inspired by the spirit of the Great Liberation War, we will together play an effective role in the construction of the Father of the nation's dream of ‘Golden Bangladesh’ and a developed and prosperous ‘Smart Bangladesh’ by 2041.

I wish the overall success of all the programs taken at the national and international level on the occasion of Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman’s Homecoming Day.

Joi Bangla, Joi Bangabandhu

     May Bangladesh Live Forever."

#

 

Sarwer/Parikshit/Shammi/Koli/Asma/2023/1145 hours

 

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১০৩

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :

 

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেন :

 

 “বাঙালির মুক্তি-সংগ্রামের ইতিহাসে এক কালজয়ী মহাপুরুষ, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে ১৯৭২ সালের এই দিনে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রাণপ্রিয় নেতাকে ফিরে পায়। আমাদের মহান নেতার আগমনে মুক্তিযুদ্ধের চূড়ান্ত বিজয়ের আনন্দ পরিপূর্ণতা লাভ করে । 

 

জাতির পিতা পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে বাঙালি জাতির মুক্তির জন্য দীর্ঘ ২৪ বছর সংগ্রাম করেছেন। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম সকল ক্ষেত্রেই তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন। জেল-জুলুম সহ্য করেছেন, সব সময় দূরদর্শী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন এবং ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে গিয়ে দলকে সুসংগঠিত করেছেন। তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৯৭০-এর নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ করে। কিন্তু পাকিস্তানি সামরিক জান্তা পূর্ব বাংলার জনগণের এ রায়কে উপেক্ষা করে, শুরু করে প্রহসন। বাংলার নিরস্ত্র মানুষকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করে। চূড়ান্ত স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে জাতির পিতা ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ রেসকোর্স ময়দানের এক জনসমুদ্রে ঘোষণা করেন ‘... প্রত্যেক ঘরে ঘরে দূর্গ গড়ে তোলো।... এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম; এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ ২৫ মার্চ কালরাতে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বাঙালি নিধন শুরু করে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। 

 

স্বাধীনতা ঘোষণা করার পরপরই পাকিস্তানি বাহিনী জাতির পিতাকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের অজ্ঞাত স্থানে কারান্তরীণ করে রাখে এবং তাঁর উপর অবর্ণনীয় নির্যাতন চালাতে থাকে। তিনি ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল গঠিত মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। পাকিস্তানের সামরিক আদালতে প্রহসনের বিচারে ফাঁসির আসামী হিসেবে মৃত্যুর প্রহর গুণতে গুণতেও তিনি বাঙালির জয়গান গেয়েছেন। তিনি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের প্রাণশক্তি। তাঁর অবিচল নেতৃত্বে বাঙালি জাতি মরণপণ যুদ্ধ করে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় ছিনিয়ে আনে। পরাজিত পাকিস্তানি শাসকগোষ্ঠী ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয়। একই দিন সকালে তিনি লন্ডনে অবতরণ করেন। সেখানে তিনি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন। তিনি ১০ জানুয়ারি সকালে দিল্লিতে যাত্রা বিরতি দিয়ে দুপুরে তাঁর প্রিয় মাতৃভূমিতে পদার্পণ করেন। ঐদিন রেসকোর্স ময়দানে বিশাল জনসমুদ্রে এক ভাষণে তিনি পাকিস্তানি সামরিক জান্তার ভয়াবহ ও নির্মম নির্যাতনের বর্ণনা দেন, সেই সঙ্গে মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় গণহত্যা সংঘটনের দায়ে পাকিস্তানি সেনাবাহিনীকে বিচারের মুখোমুখী করতে জাতিসংঘের প্রতি আহ্বান জানান। 

 

জাতির পিতা ১৯৭২ সালের ১২ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী'র দায়িত্ব গ্রহণ করে যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশ পুনর্গঠনে আত্মনিয়োগ করেন। তাঁর বলিষ্ট পদক্ষেপে ভারতীয় মিত্রবাহিনী ১৫ মার্চ এর মধ্যে বাংলাদেশ ত্যাগ করে। তিনি একই বছর ১৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশের প্রথম সংবিধানে স্বাক্ষর করেন। জাতির পিতার সফল দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক কূটনৈতিক তৎপরতায় বাংলাদেশ বিশ্বের ১২৩টি দেশ এবং ১৬টি আন্তর্জাতিক সংস্থার স্বীকৃতি লাভ করে। একটি যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে এবং বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ায়। 

পাতা/২

-২-

 

১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীনতা বিরোধী ও যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে এদেশে হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি চালু করে। তারা '৭৫-এর ২৬ সেপ্টেম্বর দায়মুক্তি অধ্যাদেশ জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ রুদ্ধ করে দেয়। মোস্তাক-জিয়া চক্র খুনিদের বাংলাদেশ দূতাবাসগুলোতে কূটনীতিকের চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করে, রাজনৈতিকভাবেও প্রতিষ্ঠিত করে। মার্শাল ল' জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। বিএনপি-জামাত সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে

 

২১ বছরের দীর্ঘ সংগ্রাম ও অগণিত মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে। আমরা একই বছর ১২ নভেম্বর ‘দায়মুক্তি অধ্যাদেশ বাতিল আইন, ১৯৯৬’ প্রণয়ন করে জাতির পিতা হত্যার বিচার কার্যক্রম শুরু করি। পাঠ্যপুস্তকে স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস তুলে ধরি। পরবর্তীতে ২০০৮ সালের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন করি এবং পরপর তিনদফা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করি। আমরা জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচারের রায় কার্যকর করেছি। 'আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনাল' প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছি। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করেছি, ফলে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ হয়েছে 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। নানা প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে আমরা বাংলাদেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের মাহেন্দ্রক্ষণে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি দিয়েছে- যা আমাদের সরকারের একটি অনন্য অর্জন। 

 

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের স্বপ্ন ছিল একদিন এদেশের মানুষ নিজেদের ভাগ্য নিজেরাই নির্ধারণ করবে। সে লক্ষ্যেই তিনি গোটা জাতিকে লড়াই করার জন্য প্রস্তুত করেছিলেন এবং সঠিকভাবে নেতৃত্ব দিয়ে স্বাধীনতার স্বাদ আস্বাদনের সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। ভিনদেশি শক্তির কাছে মাথা নত করে নয়, জাতির পিতার স্বাধীন বাংলাদেশের মানুষ আজ বিশ্বের বুকে গর্বের সঙ্গে মাথা উঁচু করে চলছে সেটাই আওয়ামী লীগ সরকারের পরম পাওয়া। স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আসুন আমরা প্রতিজ্ঞা করি- দেশি-বিদেশি সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে জাতির পিতার স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ তথা ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে কার্যকরি ভূমিকা রাখবো। 

 

আমি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে গৃহীত সকল কর্মসূচির সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”                                                                                          

#

সরওয়ার/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/কলি/ইমা/২০২৩/১১৪৫ ঘণ্টা

 

                                                                          

তথ্যবিবরণী                                                                                                           নম্বর : ১০২

বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে রাষ্ট্রপতির বাণী

 

ঢাকা, ২৫ পৌষ (৯ জানুয়ারি) :  

 

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ১০ জানুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

          “আজ ঐতিহাসিক ১০ জানুয়ারি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস দীর্ঘ মাস ১৪ দিন পাকিস্তানের কারাগারে বন্দিজীবন শেষে ১৯৭২ সালের এই দিনে জাতির পিতা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করেন সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হলেও ১০ জানুয়ারি ১৯৭

2023-01-09-15-22-b929848beafcd80d70405d4ea1e21f1c.docx