Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৩rd মে ২০২০

তথ্যবিবিরণী 30/4/2020

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫৬০

 

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর উদ্যোগে চালু হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেন্টার ‘আপনার ডাক্তার’

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল):  

 

          করোনা মহামারীর এই সময়ে আর্ত মানবতার সেবায় তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের উদ্যোগে  চালু হচ্ছে টেলিমেডিসিন সেন্টার ‘আপনার ডাক্তার’। ‌

 

          ‘পাশেই আছি সারাক্ষণ’ এ স্লোগানকে ধারণ করে এ  সেন্টার সংগঠনের পটভূমিতে বলা হয়েছে, ‘‘আপনারা সবাই জানেন যে করোনা ভাইরাসের ভয়াল থাবা সারা পৃথিবীকে গ্রাস করেছে । আমাদের প্রিয় মাতৃভুমি বাংলাদেশও এই বিপদের বাইরে নয় । করোনা ভাইরাসের এই মহামারীতে নিজের জীবনের ওপর ঝুঁকি নিয়ে আমাদের দেশের চিকিৎসকেরা মানুষের জীবন রক্ষার জন্য যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছে । করোনার এই ভয়াল সময়ে অন্য রোগের রোগীরাও তাদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন অনুযায়ী হাসপাতালে যেতে পারছেন না। আবার ঘরে থাকার কারণে সময়মত চিকিৎসকের পরামর্শও নিতে পারছেন না । এমতাবস্থায় দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে কর্মরত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের একটি পরিবার  আপনাদের সেবায় টেলিমেডিসিন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সঠিক চিকিৎসা বিষয়ক পরামর্শ প্রদানের ব্রত গ্রহণ করেছেন। আপনারা সম্পূর্ণ বিনা খরচে প্রতিদিন প্রতিটি মুহুর্তে এই চিকিৎসাসেবা যেন পান সে লক্ষ্যেই এই চিকিৎসকেরা কাজ করে যেতে অঙ্গীকারবদ্ধ ।’’

 

          এই মহৎ উদ্যোগের সহউদ্যোক্তা প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসানের  সহধর্মিণী ডা. জাহানারা আহসান, প্রধান সমন্বয়ক ডা. মোঃ আশরাফুজ্জামান সজীব, সহ-সমন্বয়ক ডা. ফাইম চৌধুরী সনি, ডা. খন্দকার মুস্তাক আদনান ও ডা. মমতাজুল হাসান শিমুল।

 

          দেশের খ্যাতনামা ৪০ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সমন্বয়ে গঠিত এ সেন্টারের সেবা পেতে ফোন করতে হবে ০৯৬১১৫৫৫২২২ নাম্বারে। সেন্টারের ফেইস বুক পেইজেও যোগাযোগ করা যাবে।

 

          টেলিমেডিসিন সেন্টার প্রসঙ্গে তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান বলেন, পৃথিবীজুড়ে চলমান করোনা মহামারী মোকাবেলায় সবাইকে স্ব স্ব অবস্থান থেকে ভূমিকা রাখতে হবে। আর সে তাগিদ থেকেই এ উদ্যোগ। তিনি জানান, পরিবর্তিত চাহিদানুসারে টেলিমেডিসিন সেন্টারের সেবার পরিধি বৃদ্ধি করা হবে।

 

#

 

তুহিন/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২১৩০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫৫৯

 

করোনা চিকিৎসায় শেখ হাসিনা সফটওয়্যার

পার্কের ডরমিটরি ব্যবহারের অনুমতি আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক করোনা চিকিৎসাসেবীদের জন্য শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমিটরি ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছেন ।

 

          করোনা যুদ্ধের প্রথম সারির যোদ্ধা চিকিৎসা, নার্স, স্বাস্থ্য কর্মীদের কোয়ারেন্টিনে ব্যবহৃত হচ্ছে শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমিটরি। আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর অনুমতিক্রমে পার্কের ডরমিটরি ভবনটি চিকিৎসা সেবা দেওয়ার পরবর্তী ১৪ দিনের সতর্কতামূলক কোয়ারেন্টিন বা বিশ্রামের জন্য ব্যবহার করার কথা জানিয়েছেন যশোর জেলা প্রশাসন।

 

          জেলা প্রশাসন সূত্রে আরো জানা যায়, আইসিটি প্রতিমন্ত্রীর অনুমোদনের পর গত ২৫ এপ্রিল থেকে ৬ জন নার্স এবং ৪ জন ডাক্তার শেখ হাসিনা সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের ডরমিটরিতে কোয়ারেন্টিনে আছেন।

 

          ভবনটিতে শতাধিক চিকিৎসক ও সেবিকাদের কেয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। দুই তলা ভবনে রয়েছে ৭৮ কক্ষ। সেখানে প্রতি তলায় ২০টি করে মোট ৪০টি কক্ষ ইতোমধ্যেই প্রস্তুত করা হয়েছে। আরো ১০টি কক্ষ প্রস্তুত হচ্ছে।

 

          সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, যশোরের ৮ উপজেলায় মোট ৫৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ৪ জন আইসোলেশনে রয়েছেন। রোগীদেরকে বক্ষব্যাধী হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

 

#

 

শহিদুল/মাহ্‌মুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/২০১৭ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫৫৮

 

কাল থে‌কে বিশেষ পার্সেল ট্রেন

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

 

         বৈশ্বিক মহামারী কোভিড -১৯ এর প্রেক্ষিতে লকডাউন অবস্থায় কৃষকের উৎপাদিত পণ্য, শাক-সবজি , খাদ্য ও পচনশীল সামগ্রী পরিবহনের জন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম-ঢাকা, ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা এবং খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে তিন জোড়া বিশেষ পার্সেল ট্রেন পরিচালনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা আগামীকাল
১ মে থেকে কার্যকর হবে। 

 

          চট্টগ্রাম-ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ট্রেন চট্টগ্রাম থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সকাল ১০টায় ঢাকায় পৌঁছাবে রাত
২০ টা ৩০ মিনিটে । ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ-ঢাকা  রু‌টের ট্রেন‌টি দেওয়ানগঞ্জ  থেকে ছাড়বে প্রতিদিন সন্ধ্যা ১৯ টায় এবং ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ৩টা ১৫ মিনিটে । খুলনা-ঢাকা-খুলনা রুটে খুলনা থেকে ছাড়বে বিকাল ১৬টা ৪৫ মিনিটে ঢাকায় পৌঁছাবে  রাত ৩টা ৩৮ মিনিটে। এ‌টি সপ্তা‌হের শুক্র, র‌বি ও মঙ্গলবার চলাচল করবে। 

 

                অন্য দু‌টি রু‌টের ট্রেন সপ্তা‌হের ৭ দিনই চলাচল কর‌বে।

 

#

 

শরিফুল/মাহ্‌মুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯২৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৫৫৭

ত্রাণে অনিয়মে বরখাস্ত হলেন ১ পৌর কাউন্সিলর-সহ ৩ জন


ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

          ত্রাণ নিয়ে অনিয়মের অভিযোগে ১ পৌর কাউন্সিলর, ১ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ১ ইউপি সদস্যকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়। আজ স্থানীয় সরকার বিভাগ হতে এ সংক্রান্ত পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

 

          এ নিয়ে মোট ৪২ জন জনপ্রতিনিধিকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো। তাদের মধ্যে ১৭ জন ইউপি চেয়ারম্যান, ২৩ জন ইউপি সদস্য, ১ জন জেলা পরিষদ সদস্য এবং ১ জন পৌরসভার কাউন্সিলর।

 

          আজ সাময়িকভাবে বরখাস্তকৃতরা হলেন রাজশাহী জেলার চারঘাট পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর রাজু আহম্মেদ, ভোলা জেলার মনপুরা উপজেলার মনপুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আমানত উল্লাহ আলমগীর এবং ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা উপজেলার মানকোন ইউপি'র ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমিন আক্তার লাভলী।

 

          প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, চারঘাট পৌরসভার কাউন্সিলর রাজু আহম্মেদের বিরুদ্ধে চাল ওজনে কম দেওয়া এবং তালিকাভুক্ত ব্যক্তিকে চাল না দেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। তার এরূপ অপরাধমূলক কার্যক্রম পৌরপরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (পৌরসভা) আইন, ২০০৯ এর ধারা ৩১(১) অনুযায়ী তাকে কাউন্সিলর পদ থেকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

 

          পৃথক প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, ভোলা জেলার মনপুরা ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আমানত উল্লাহ আলমগীরের বিরুদ্ধে মৎস্য ভিজিএফের চাল বিতরণে অনিয়মের অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে এবং ময়মনসিংহ জেলার মানকোন ইউপি'র সংরক্ষিত মহিলা সদস্য নাজমিন আক্তার লাভলীর বিরুদ্ধে ত্রাণ প্রদানের আশ্বাস দিয়ে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদা আদায় করার বিষয়টি তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে।

 

          উল্লিখিত চেয়ারম্যান ও সদস্য কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রমের প্রেক্ষিতে তাদের দ্বারা ইউনিয়ন পরিষদের ক্ষমতা প্রয়োগ প্রশাসনিক দৃষ্টিকোণে সমীচীন নয় মর্মে সরকার মনে করে। কাজেই স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন ২০০৯ এর ৩৪(১) ধারা অনুযায়ী তাদেরকে স্বীয় পদ হতে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হলো।

 

          কারণ দর্শানো নোটিশে কেন তাদেরকে চূড়ান্তভাবে তাদের পদ থেকে অপসারণ করা হবে না তার জবাব পত্র প্রাপ্তির ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার বিভাগে প্রেরণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

 

#

হাসান/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯২০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৫৫৬

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির

সভায় খাদ্যশস্য ক্রয়ের অনুমোদন


ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

 

          চলতি বোরো মৌসুমে ২৬ টাকা কেজি দরে ৮ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৩৬ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল, ৩৫ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল এবং ২৮ টাকা কেজি দরে ৭৫ হাজার মেট্রিক টন গম ক্রয়ের অনুমোদন দিয়েছে এফপিএমসি (খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি)। আজ  খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় এ অনুমোদন দেওয়া হয়।

 

          ভিডিও কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ. ম. রেজাউল করিম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুমসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিববৃন্দ। সভায় সভাপতিত্ব করেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।

 

          সভায় আরও আলোচনা হয় যে, যেহেতু এবার বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে তাই প্রয়োজন হলে সরকারের খাদ্য গুদামে জায়গা খালি থাকা সাপেক্ষে আরো ধান-চাল ক্রয় করার সম্মতি প্রদান করা হয়।

 

          উল্লেখ্য, গত ২৯ মার্চ ২০২০ তারিখে এফপিএমসির সভা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলেও চলমান করোনা পরিস্থিতির কারণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়নি।

 

#

সুমন/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯১৮ ঘণ্টা

 

 

 

Handout                                                                                                           Number : 1555

 

Dutch Foreign Trade Minister talks to Foreign Minister,

assures support in RMG sector

 

Dhaka, 30 April 2020:

 

            Minister for Foreign Trade and Development Cooperation of the Netherlands  Sigrid Kaag made a phone call to Foreign Minister Dr. A. K. Abdul Momen yesterday  to talk about the impact of COVID19, and to discuss way forward.

            In the telephone meeting, Dr. Momen raised the issue of cancellation of orders by different European brands/buyers, and pointed out that 3.18 billion dollars worth of orders has already been cancelled or suspended by the international buyers, affecting 1150 factories and 2.28 million workers. He requested the Dutch Minister to ensure that buyers and brands from the Netherlands do not cancel their orders with RMG factories of Bangladesh. Minister Kaag of the Netherlands assured Foreign Minister Momen that the Dutch buyers will not cancel or suspend their orders from the Bangladeshi RMG factories. She also mentioned that the Dutch Government would ensure that the RMG value chain would not be disrupted. 

            The challenges are arising because of COVID19 pandemic, and the way forward was discussed in detail during the telephone call between the two Ministers. Minister Sigrid Kaag informed that Dutch Government has created a fund of 100 Million Euros to help countries that need support because of COVID19 pandemic. She informed that countries that are interested to use the fund would need to request for allocation of fund. 

            On the issue of the Rohingya crisis, Foreign Minister Momen explained to Minister Kaag of the Netherlands that the around 500 Rohingyas who are on two boats are not in or even near the Bangladesh maritime border. He pointed out that according to the law of the seas, other countries in the region have responsibilities to save the Rohingyas. Dutch Minister agreed that if Bangladesh continues to rescue boat loads of  Rohingyas again and again then it may work as a decoy for Myanmar and encourage them to push more Rohingya to the deep sea. Foreign Minister Momen expressed thanks to the Dutch Government for supporting the cause of the Rohingyas, and for supporting them during the trial at the International Court of Justice. Minister Kaag assured Dr. Momen that her country would continue to strongly support the Rohingyas in their journey for justice and accountability.

            Foreign Minister Momen thanked Minister Kaag for the Dutch support to Bangladesh on developing the Bangladesh Delta Plan 2100, and sought continued support, which was assured by the Dutch Minister. On the issue of FDI, Bangladesh Foreign Minister mentioned that FDI would be negatively affected by the COVID19 pandemic, and requested for Dutch technical assistance in FDI in the areas of agriculture and fisheries. Minister Kaag responded positively to the request, and mentioned that the Netherlands would be ready to support Bangladesh in this regard. Foreign Minister Momen and Dutch Foreign Trade and           Development Cooperation Minister Kaag also talked about support in the area of addressing the challenge of river erosion in Bangladesh.

            In the telephone meeting that lasted close to half-an-hour, both Ministers agreed to work together on issues of common and global interest.

 

#

Tohidul/Mahmud/Mosharaf/Abbas/2020/1900 Hours

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ১৫৫৪

                                            আগামীকাল পালিত হবে মহান মে দিবস


ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

          "শ্রমিক-মালিক ঐক্য গড়ি,  সোনার বাংলা গড়ে তুলি" এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে দেশে আগামীকাল পালিত হবে মহান মে দিবস। এ দিবস শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের চরম আত্মত্যাগে ন্যায্য অধিকার আদায়ের এক অবিস্মরণীয় দিন।

 

          প্রতি বছর নানা অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত জাঁকজমকের সাথে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে  দিনটি পালিত হলেও এবারে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে  সকল প্রকার আনুষ্ঠানিকতা বাতিল করা হয়েছে।

 

       দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দেবেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে কয়েকটি জাতীয় পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হবে।

 

          দিবসটি উপলক্ষে এক বার্তায় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান শ্রমজীবী মেহনতি ভাই বোনদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলস কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, কোনো প্রকার আনুষ্ঠানিকতা থেকে শ্রমিকদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি সবার আগে। করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে শ্রমিক সংগঠনগুলোকে কোনো প্রকার জনসমাগম হয় এমন কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা থেকে বিরত থাকার  আহ্বান জানান।

 

          শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, বৈশ্বিক এ মহামারীর মধ্যে দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রাখতে  প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক মালিকগণকে প্রয়োজনে কারখানা খোলা রাখতে অবশ্যই কঠোরভাবে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন করতে হবে। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট দপ্তর, সংস্থা যেমন- শিল্প পুলিশ, কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এবং স্বাস্থ্য  অধিদপ্তরের সাথে সমন্বয় করে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। সবাইকে সাথে নিয়ে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে সরকার অবশ্যই সফল হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

 

#

আকতারুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮১৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ১৫৫৩

 

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাস) সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

         ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স কো-অর্ডিনেশন সেন্টার (এনডিআরসিসি) থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য ৬৪টি জেলায় এ পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৬৭ মেট্রিক টন জিআর চাল এবং শিশু খাদ্য-সহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য ৫৯ কোটি ৯৭ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জিআর (ক্যাশ) নগদ জেলা প্রশাসকের অনুকূলে বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে।

 

          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে বরাদ্দকৃত এ সাহায্য দেশের সকল জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে বিতরণ করা হচ্ছে।

 

          রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী আজ দেশে নতুন করে আরো ৫৬৪ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৭ হাজার ৬৬৭ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬০ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ জন-সহ এ পর্যন্ত এ রোগে ১৬৮ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার ৯৬৫টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

 

          দেশে মোট ২১টি প্রতিষ্ঠানে নমুনা সংগ্রহ ও পরীক্ষা সম্পাদিত হচ্ছে। দেশে সর্বমোট ১৭ লাখ ১১ হাজার ১২টি পিপিই সংগ্রহ করা হয়েছে, তার মধ্যে মোট বিতরণ করা হয়েছে ১৩ লাখ ৫২ হাজার ৬৭৮টি এবং ৩ লাখ ৫৮ হাজার ৩৩৪টি মজুত আছে।

 

          আশকোনা হজ ক্যাম্পে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্যবস্থাপনায় ৪০০ জন এবং ব্র্যাক লার্নিং সেন্টারে ৬০০ জন, উত্তরা দিয়াবাড়িতে ১১০ জন এবং সাভারের বিপিএটিসিতে ৩০০ জনকে কোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

          সারা দেশে ৬৪টি জেলার সকল উপজেলা ও  জেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে ৬০১টি প্রতিষ্ঠান এবং এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনের সেবা প্রদান করা যাবে ৩০ হাজার ৬৩৫ জনকে।

 

#

 

তাসমীন/মাহ্‌মুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮১৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ১৫৫২

                                      আশা জাগানিয়া সংবাদ প্রকাশ করুন

                                                         ---তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল)

            দুর্যোগের মধ্যে আশা জাগানিয়া সংবাদ পরিবেশন করে মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখার মনোবল যোগাতে সংবাদপত্রের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ। 

            তিনি বলেন, ‘আশাই মানুষকে ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যায়, আশাই মানুষকে জীবন সংগ্রামে টিকিয়ে রাখে। সেজন্যই আমি সেই সংবাদগুলো প্রকাশের অনুরোধ জানাবো, যে সংবাদগুলো মানুষের মাঝে আশা জাগাবে; মানুষকে জানাবে যে, আগামীতে সমস্ত অন্ধকার কেটে গিয়ে সুদিন আসবে।’ 

            আজ দুপুরে রাজধানীতে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নিউজ পেপার ওনার্স  এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ  (নোয়াব) প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তথ্যসচিব কামরুন নাহার, নোয়াব সভাপতি এ কে আজাদ ও এসোসিয়েশনের সদস্যদের মধ্যে মতিউর রহমান, মাহফুজ আনাম, তারিক সুজাত, শাহ হোসেন ইমাম, নঈম নিজাম, আলতামাশ কবির মিশু ও সাইফুল আলম উপস্থিত ছিলেন।

            সংবাদপত্র মালিকদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা চেষ্টা করবেন যাতে করে ইতিবাচক সংবাদগুলো বেশি করে আসে। এই সময়ে ইতিবাচক সংবাদগুলো খুব জরুরি, কারণ হতাশাগ্রস্ত, শঙ্কিত মানুষেরা ভবিষ্যৎ নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। এই সময়ে মানুষকে আশাবাদী করে তোলা আমাদের দায়িত্ব। আন্তর্জাতিক মাধ্যমেও অনেক সময় নেতিবাচক সংবাদ আসে, যেগুলো অনেক সময়ই বাস্তব চিত্রের পরিস্ফুটন নয়। আমি দেখেছি যে গতকাল বিদেশি গণমাধ্যমে এমন একটি সংবাদ এসেছে, যেটি এখানে অনেক পত্রিকায়ই ছাপা হয় নাই। এ জন্য আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই।’

            ‘সংবাদপত্র ও সরকার, আমরা আরো ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবো এবং যেহেতু আমাদের সম্মিলিত লক্ষ্য জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া, সুতরাং সেই লক্ষ্যেই আমরা সবাই একযোগে কাজ করবো’ উল্লেখ করেন তথ্যমন্ত্রী।

            নোয়াব সভাপতি একে আজাদ তার বক্তব্যে সরকারি ক্রোড়পত্রসহ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনের বকেয়া বিল যাতে সংবাদপত্রগুলো দ্রুত পেতে পারে সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে আরো জোরালো ভূমিকা নেওয়ার অনুরোধ করেন। একই সাথে সংবাদপত্রের জন্য ব্যাংক ঋণ সুবিধা ও সংবাদপত্রের হকার, পরিবহন শ্রমিক ও এজেন্টদের জন্য আর্থিক প্রণোদনার বিষয়গুলো সুবিবেচনার দাবি জানান। 

            এর প্রেক্ষিতে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে সংবাদপত্রের যে বকেয়াগুলো আছে, সেগুলো পরিশোধের জন্য  ইতোমধ্যেই মন্ত্রিপরিষদ থেকে চিঠি দিয়ে দেওয়া হয়েছে, যাতে সব মন্ত্রণালয় সংবাদপত্রের বকেয়া পরিশোধ করে। সেটির প্রেক্ষিতে আমরা আগামী সপ্তাহে প্রয়োজনে আমাদের মন্ত্রণালয় থেকে আরেকটা তাগিদপত্র সব মন্ত্রণালয়ে দেব।’ 

            ড. হাছান আরো বলেন, ‘আপনারা যে সংবাদপত্র পরিচালনা করার জন্য যে ঋণের কথা বলেছেন, সে বিষয়েও আমরা বাংলাদেশ ব্যাংকের সাথে কথা বলবো। যেহেতু সংবাদপত্র আমার দৃষ্টিতে একটি সার্ভিস সেক্টর। আপনারা শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প হিসেবেও আপনারা কিছু সুবিধা পান, পাশাপাশি সার্ভিস সেক্টর হিসেবেও আমি মনে করি এখানে সুযোগ রয়েছে।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাথে মতবিনিময়

            এর পরপরই ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি-ডিআরইউ প্রতিনিধিবৃন্দ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এর সাথে তার দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদ, সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী ও সদস্য মোতাহার হোসেন মন্ত্রীর সাথে মতবিনিময়কালে সদ্যপ্রয়াত সাংবাদিক হুমায়ুন কবীর খোকনের পরিবারের জন্য সাহায্য কামনা করেন। সেই সাথে করোনায় আক্রান্ত সাংবাদিকদের জন্য সুচিকিৎসা ও ডিআরইউ সদস্যদের জন্য সম্ভাব্য সরকারি সহায়তার আবেদন জানান প্রতিনিধিবৃন্দ।

#

আকরাম/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭৫২ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর : ১৫৫১

মহান মে দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :

     ­­­      মহান মে দিবস শ্রমজীবী-মেহনতি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার এক অবিস্মরণীয় দিন। এ দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল দেশের মেহনতি মানুষের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি এবং তাঁদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।

            ১৮৮৬ সালের এ দিনে আমেরিকার শিকাগো শহরে শ্রমিকরা আত্মাহুতি দিয়ে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন শ্রমজীবী মানুষের মৌলিক অধিকার। আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।

            সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন শোষিত, বঞ্চিত, মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি বলেছিলেন, “বিশ্ব আজ দু’ভাগে বিভক্ত, একদিকে শোষক, আরেকদিকে শোষিত- আমি শোষিতের পক্ষে”। শোষণহীন সমাজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে তিনি ১৯৭২ সালে শ্রমনীতি প্রণয়ন করেন। তিনি পরিত্যক্ত কল-কারখানা জাতীয়করণ করে দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী এবং শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন।

            বর্তমান সরকার দেশের শ্রমজীবী মানুষের জীবন-মান উন্নয়ন ও কল্যণে বিভিন্ন কায©ক্রম বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। আমরা পোশাক শিল্পসহ ৩৮টি শিল্প খাতের শ্রমিকদের জন্য নিম্নতম মজুরি ঘোষণা করেছি। শ্রমঘন গার্মেন্টস শিল্প খাতের শ্রমিকদের নিম্নতম মজুরি ১,৬৬২ টাকা থেকে ৫ হাজার ৩ শ টাকায় উন্নীত করেছি। ইতোমধ্যে শ্রম আইন যুগোপযোগী করে বাংলাদেশ শ্রম (সংশোধন) আইন ২০১৩’ প্রণয়ন করা হয়েছে। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মত ‘বাংলাদেশ শ্রম বিধিমালা ২০৯১৫’ প্রণয়ন করা হয়েছে। আমরা বিএনপি-জামাত জোট সরকারের আমলে বন্ধ হয়ে যাওয়া কল-কারখানা চালু করেছি।

            আমাদের আন্তরিক প্রচেষ্টার ফলে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও কায©ক্রম আরও সুদৃঢ় হয়েছে। মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সুসম্পর্ক বাজায় রাখা, নিরাপদ কর্ম পরিবেশ ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আমরা বিভিন্নমুখী কর্মসূচি বাস্তবায়ন করেছি। ‘বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন (সংশোধন) আইন ২০১৩’ ও বিধি, জাতীয় শিশু শ্রম নিরসন নীতি, জাতীয় পেশাগত স্বাস্থ্য ও সেইফটি নীতিমালা এবং গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি প্রণয়ন করেছি। শিল্প কারখানায় বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পে সার্বিক নিরাপত্তা সন্তোষজনক রাখার লক্ষ্যে মানসম্মত ও যথাযথ পরিদর্শন ও মনিটরিং ব্যবস্থা চালু করেছি। আমাদের এ সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের সুফল শ্রমজীবী মানুষ পেতে শুরু করেছেন। আওয়ামী লীগ সরকার শ্রমজীবী মানুষের কল্যাণে লাগসই প্রযুক্তির উদ্ভাবন ও ব্যবহার এবং উন্নত ব্যবস্থাপনা বাস্তবায়নে বদ্ধপরিকর।

            শ্রমিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদানের জন্য আমরা শ্রমিক কল্যাণ গঠন করেছে। আমরা করোনা ভাইরাসের প্রতিঘাত মোকাবিলায় দেশের রপ্তানি খাতের শ্রমিকদের বেতন দিতে ৫ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছি।

            আমি আশা করি মহান মে দিবসের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে শ্রমিক এবং মালিক উভয়ই সুসম্পর্ক বজায় রাখার মাধ্যমে কল-কারখানার উৎপাদন বৃদ্ধিতে আরও নিবেদিত হবেন। সকল শোষণ, বঞ্চনা ও বৈষম্যের অবসান ঘটিয়ে দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে আমরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছি। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নে সোনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করি। ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করতে সকলে একযোগে কাজ করার উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি।

            আমি মহান মে দিবস উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।  

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু

                                                                                                            বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”

ইমরুল/সেলিম/নজরুল/২০২০/১৬২০ ঘণ্টা    

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ১৫৫০

মহান মে দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৭ বৈশাখ (৩০ এপ্রিল) :

 

                        মহান মে দিবস সারাবিশ্বের শ্রমজীবী মানুষের ঐক্য ও সংহতির প্রতীক। মহান মে দিবস উপলক্ষে আমি বাংলাদেশসহ বিশ্বের সকল শ্রমজীবী মানুষকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।

            শ্রমজীবী ও মেহনতি মানুষই হচ্ছে দেশের উন্নয়নের প্রধান চালিকাশক্তি। তাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রমের মধ্যেই নিহিত রয়েছে দেশের সম্ভাবনাময় ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন তথা ‘রূপকল্প-২০২১ ও ২০৪১’ বাস্তবায়নে শ্রমজীবী মানুষের ভূমিকা তাই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশের ক্রমবর্ধমান উন্নয়নের সমান্তরালে বাড়ছে শিল্প-প্রতিষ্ঠান ও কলকারখানার সংখ্যা। এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত আছে বিপুল সংখ্যক শ্রমজীবী মানুষ। দেশের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে এসব শ্রমজীবী মানুষের ন্যায্য মজুরী প্রদান, দক্ষতাবৃদ্ধি, সুন্দর ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ, পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণসহ সার্বিক কল্যাণসাধন খুবই জরুরি। বর্তমান শ্রমিকবান্ধব সরকার এ লক্ষ্যে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণসহ, শিশুশ্রম বন্ধ, নারী শ্রমিক ও কর্মচারীদের জন্য মাতৃত্বকালীন ছুটির সময় বৃদ্ধি, কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপত্তাসহ শ্রমিকের স্বাস্থ্যসম্মত কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে কায©কর ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

          বাংলাদেশের মতো শ্রম নিবিড় উন্নয়নশীল দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে শ্রমিক ও মালিকের মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতা ও হৃদ্যতা বজায় রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আজীবন মেহনতি মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি রাজনৈতিক স্বাধীনতার পাশাপাশি অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দ

2020-05-03-21-18-d9941c4192f47f78569c00ab446677e7.docx