Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১st ডিসেম্বর ২০১৭

তথ্যবিবরণী 1/12/2017

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ৩২৬৮

লন্ডনে মেয়র আনিসুল হকের জানাজায় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী

লন্ডন (যুক্তরাজ্য), ১ ডিসেম্বর :

আজ শুক্রবার বাদ জুমা  সেন্ট্রাল লন্ডনের রিজেন্ট পার্ক মসজিদে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হকের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মোঃ শাহ্রিয়ার আলম, হাইকমিশনার মোঃ নাজমুল কাওনাইন, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতৃবৃন্দ, যুক্তরাজ্যে বসবাসরত মরহুমের অসংখ্য শুভাকাক্সক্ষী, বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ এবং বাংলাদেশ কমিউনিটির সর্বস্তরের ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
    মরহুমের মরদেহ আজ (শুক্রবার) ০১ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি-০০২ যোগে ঢাকায় নেয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং আগামীকাল শনিবার (০২ ডিসেম্বর ২০১৭ তারিখে) ঢাকায় পৌঁছবে।
#
 
সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২২৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                               নম্বর : ৩২৬৭

বঙ্গভবনে মিলাদ মাহফিলের সময় পরিবর্তন

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

    পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে বঙ্গভবনে আগামীকালের মিলাদ মাহফিল বিকাল ৪টার পরিবর্তে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

    রাষ্ট্রপতির উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য জানিয়েছেন।
        
#

আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/২০০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩২৬৬

মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুৎ লাইন উদ্বোধন

মতলব দক্ষিণ (চাঁদপুর), ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

    মতলব দক্ষিণ উপজেলায় একসাথে ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ বিদ্যুতের নতুন লাইন উদ্বোধন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ২ হাজার গ্রাহক বিদ্যুৎ সুবিধা পাবেন। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রী মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম স্ইুচ টিপে এ লাইনের উদ্বোধন করেন। নিজ নির্বাচনী এলাকা মোহনপুরে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ-২ এর জেনারেল ম্যানেজার আবু তাহের, মতলব উত্তর উপজেলা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি এম এ কুদ্দুসসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ পারমাণবিক বিদ্যুৎ যুগে প্রবেশের মাধ্যমে সকলের ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে কাজ করছে। এজন্য নিরবচ্ছিন্ন সরকার প্রয়োজন। তিনি বলেন, বিদ্যুতের সাথে কলকারখানা স্থাপনের সম্পর্ক রয়েছে। বিদ্যুৎ ও নদীর সুবিধা নিয়ে মালিকরা মতলবে কলকারখানা স্থাপন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

#

দেওয়ান/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩২৬৫
কম উৎপাদনশীলতা ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের বড় চ্যালেঞ্জ
                                                 -- শিল্পমন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :
কম উৎপাদনশীলতাকে (খড়ি ঢ়ৎড়ফঁপঃরারঃু) বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে উল্লেখ করে শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু বলেছেন, বিশ্বের সকল দেশ কম-বেশি এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে। এর মোকাবিলায় উন্নত দেশগুলোর অনুকরণে ভ্যালু চেইনের উন্নয়ন ঘটিয়ে এসএমইখাতে পণ্য বৈচিত্র্যকরণ ও মূল্য সংযোজনের সুযোগ কাজে লাগাতে হবে। এ লক্ষ্যে এসএমইখাতের সক্ষমতা বৃদ্ধি, দক্ষ জনবল সৃষ্টি, শক্তিশালী ক্রেতা-বিক্রেতা সম্পর্ক স্থাপন, সৃজনশীল ও প্রশিক্ষিত উদ্যোক্তা তৈরি, পরিবেশবান্ধব আধুনিক প্রযুক্তির প্রয়োগ এবং নতুন উদ্ভাবনে পৃষ্ঠপোষকতা বাড়ানোর তাগিদ দেন তিনি।  
শিল্পমন্ত্রী আজ ভারতে ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন ফর স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেজ (ডঅঝগঊ) আয়োজিত “বৈশ্বিক মানোন্নয়ন প্রক্রিয়ায় এসএমইখাতকে একীভূতকরণ : চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা (ওহঃবমৎধঃরড়হ ড়ভ ঝগঊং রহ এষড়নধষ ঠধষঁব ঈযধরহ: ঈযধষষবহমবং ধহফ ঙঢ়ঢ়ড়ৎঃঁহরঃরবং)” শীর্ষক উচ্চ পর্যায়ের প্লেনারি সেশনে বক্তৃতাকালে এ তাগিদ দেন। দু’দিনব্যাপী আয়োজিত ২১তম আন্তর্জাতিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প সম্মেলন উপলক্ষে নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া হ্যাবিটেট সেন্টারে আজ এ অধিবেশনের আয়োজন করা হয়।
ভারতের ন্যাশনাল রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন (ঘজউঈ) এর চেয়ারম্যান ড. এইচ. পুরুশুথামের (উৎ. ঐ. চঁৎঁংযড়ঃযধস) সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিভিন্ন দেশের ব্যবসায়িক নেতা, এসএমই শিল্প উদ্যোক্তা, ঊর্ধ্বতন সরকারি কর্মকর্তা, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী, ব্যাংকার, থিংকট্যাংক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা আলোচনায় অংশ নেন।
শিল্পমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে এসএমইখাত মূল চালিকাশক্তি হিসেবে অবদান রাখছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ১০ লাখ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প রয়েছে, যেগুলো জিডিপি প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্যবিমোচনে ভূমিকা রাখছে। দেশের শিল্প উদ্যোগ ও ব্যবসার প্রায় শতকরা ৯০ ভাগ এসএমইখাতের আওতাভুক্ত। এ শিল্পখাত জিডিপি প্রবৃদ্ধির শতকরা ২৫ ভাগ, শিল্প কর্মসংস্থানের শতকরা প্রায় ৮৫ ভাগ এবং গৃহস্থালী আয়ের শতকরা ৭৫ ভাগ যোগান দিয়ে থাকে। বর্তমান সরকার বাংলাদেশের এসএমইখাতে ভ্যালু চেইন উন্নয়নের মাধ্যমে জাতীয় প্রবৃদ্ধি ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধির কৌশল গ্রহণ করেছে বলে জানান।
পরে মন্ত্রী ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন ফর স্মল এন্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজেজ (ডঅঝগঊ) এর সদস্যভুক্ত দেশগুলোর গণমাধ্যমের শীর্ষ ব্যক্তিদের সাথে এক সংলাপে অংশ নেন। এসময় তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্জিত সাম্প্রতিক আর্থসামাজিক অগ্রগতি, পরিবেশবান্ধব শিল্পায়নের উদ্যোগ, সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীসহ অন্যান্য ইস্যুতে বক্তব্য তুলে ধরেন।
#
জলিল/মাহমুদ/সেলিম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৮০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                   নম্বর : ৩২৬৪

মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীবর্গের শোক

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

    ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের  মেয়র আনিসুল হকের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী  তোফায়েল আহমেদ, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, এলজিআরডি ও সমবায় মন্ত্রী খন্দকার  মোশাররফ হোসেন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান এবং জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ইসমাত আরা সাদেক।

    পৃথক পৃথক শোকবার্তায় তাঁরা মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং মরহুমের শোকসন্তপ্ত পরিবার ও স¦জনদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
        
#

মাহমুদ/নাইচ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                  নম্বর : ৩২৬৩

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

    ‘বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর আগমন ও ওফাতের পবিত্র স্মৃতিবিজড়িত ১২ই রবিউল আউয়াল উপলক্ষে আমি মুসলিম উম্মাহর প্রত্যেক সদস্য ও দেশবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ।

    মহান আল্লাহ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে এ পৃথিবীতে  প্রেরণ করেছেন, ‘রাহমাতুল্লিল আ’লামিন’ তথা সারা জাহানের জন্য রহমত হিসেবে। পৃথিবীতে তিনি মানবতার মুক্তিদাতা ও ত্রাণকর্তা হিসেবে আবির্ভূত হয়েছিলেন। অন্ধকার যুগের সকল আঁধার দূর করে সত্যের আলো জ¦ালিয়েছেন। তিনি বিশ্ব ভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠা, ন্যায় ও সমতাভিত্তিক সমাজ গঠন এবং মানব কল্যাণে নিজেকে নিয়োজিত করে বিশ্বে শান্তির সুবাতাস বইয়ে দিয়েছিলেন।

    আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, মহানবী (সা.)-এর সুমহান আদর্শ অনুসরণের মধ্যেই প্রতিটি জনগোষ্ঠীর অফুরন্ত কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিহিত রয়েছে। আজকের অশান্ত ও দ্বন্দ্ব-সংঘাতময় বিশ্বে প্রিয়নবী (সা.) এর অনুপম শিক্ষার অনুসরণের মাধ্যমেই বিশ্বের শান্তি, কল্যাণ ও সমৃদ্ধি নিশ্চিত হতে পারে।

    আমি এই পবিত্র দিনে দেশ, জাতি ও মুসলিম উন্মাহ তথা বিশ্ববাসীর শান্তি ও কল্যাণ কামনা করছি।

জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী  হোক।’
        
#

ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর :  ৩২৬২

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী

ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর) :

    রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :

    ‘পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে আমি দেশবাসীসহ বিশ্বের সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মোবারকবাদ। হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর জন্ম ও ওফাতের স্মৃতি বিজড়িত পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) বিশ্ববাসীর জন্য অত্যন্ত পবিত্র, তাৎপর্যপূর্ণ এবং মহিমান্বিত দিন। মহান আল্লাহ তা’আলা সমগ্র বিশ্বজগতের রহমত হিসেবে হযরত মুহাম্মদ (সা.) কে এ জগতে  প্রেরণ করেন। দুনিয়ায় তাঁর আগমন ঘটেছিল ‘সিরাজাম মুনিরা’ তথা আলোকোজ্জ¦ল প্রদীপরূপে। তৎকালীন আরব সমাজের অন্যায়, অবিচার, অসত্য ও অন্ধকারের বিপরীতে তিনি মানুষকে আলোর পথ দেখান এবং প্রতিষ্ঠা করেন সত্য, সুন্দর ও ন্যায়ভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা।

    আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সর্বশেষ মহাগ্রন্থ পবিত্র কোরআন তাঁর উপর অবতীর্ণ করে জগতে তাওহীদ প্রতিষ্ঠার গুরুদায়িত্ব অর্পণ করেন। নিজ যোগ্যতা, মহানুভবতা, সহনশীলতা, কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা ও সীমাহীন ত্যাগের মাধ্যমে তিনি শান্তির ধর্ম ইসলাম প্রতিষ্ঠায় সফল হন। তাঁর অনন্যসাধারণ ব্যক্তিত্ব, অনুপম চারিত্রিক গুণাবলী, সৃষ্টির প্রতি অগাধ  প্রেম ও ভালোবাসা, অতুলনীয় বিশ্বস্ততা, অপরিমেয় দয়া ও মহৎ গুণের জন্য তিনি সর্বশ্রেষ্ঠ মহানমানব হিসেবে অভিষিক্ত।

    বিশ্বের ইতিহাসে সর্বপ্রথম লিখিত সংবিধান ‘মদীনা সনদ’ ছিল মহানবী (সা.) এর বিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার প্রকৃষ্ট দলিল। এ দলিলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনগণের ন্যায্য অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠার সার্বজনীন ঘোষণা রয়েছে। ধর্মীয় ও পার্থিব জীবনে তাঁর শিক্ষা সমগ্র মানব জাতির জন্য অনুসরণীয়। মহানবী (সা.)-এর জীবনাদর্শ আমাদের সকলের জীবনকে আলোকিত করুক, আমাদের চলার পথের পাথেয়  হোক, মহান আল্লাহর কাছে এ প্রার্থনা করি।

    মহান আল্লাহ আমাদেরকে সত্য ও সুন্দরের পথে চলার তৌফিক দিন, আমীন।

    খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী  হোক।’
        
#

আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৭/১৭০০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                       নম্বর :  ৩২৬১ 
পার্বত্য শান্তিচুক্তির দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী  
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর): 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তি স¦াক্ষরের দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করছে জেনে আমি আনন্দিত। আমি এ উপলক্ষে পার্বত্য এলাকায় বসবাসরত সকল অধিবাসীকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
বাংলাদেশের তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, বান্দরবান এবং রাঙ্গামাটি নৈসর্গিক সৌন্দর্যের অপার আধার। যুগযুগ ধরে পাহাড়ে বসবাসরত বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর বর্ণিল জীবনাচার, ভাষা, কৃষ্টি ও সংস্কৃতি এ অঞ্চলকে বিশেষভাবে বৈশিষ্ট্যম-িত করেছে। পার্বত্য জেলাগুলোর আর্থসামাজিক উন্নয়ন ও শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিক উদ্যোগে সরকার কর্তৃক গঠিত পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক জাতীয় কমিটি ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এক ঐতিহাসিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর ফলে পার্বত্য জেলাসমূহে দীর্ঘদিনের সংঘাতের অবসান ঘটে। সূচিত হয় শান্তির পথচলা। শান্তিপূর্ণভাবে বিরোধ নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সারাবিশ্বের জন্য এটি একটি অনুসরণীয় দৃষ্টান্ত। 
শান্তিচুক্তি বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় গঠিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ। আমি বিশ্বাস করি শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে। পার্বত্য জেলাসমূহের উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এবং প্রিয় মাতৃভূমির উন্নয়নে আমি দলমত নির্বিশেষে সকলকে একযোগে কাজ করার আহবান জানাই। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন সকলের মিলিত প্রচেষ্টায় তা বাস্তবায়ন সম্ভব বলে আমি মনে করি। 
পার্বত্য শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের দুই দশকপূর্তিতে আমি পার্বত্য এলাকার উন্নয়ন সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ প্রয়াস চালানোর আহ্বান জানাচ্ছি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
আজাদ/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০১ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর :৩২৬০  
 
পার্বত্য শান্তিচুক্তির দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী 
 
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (১ ডিসেম্বর ) :  
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২ ডিসেম্বর পার্বত্য শান্তিচুক্তির দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :  
‘‘পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির দুই দশকপূর্তি উপলক্ষে আমি পার্বত্য জেলাসমূহের জনগণ ও দেশবাসীকে শুভেচ্ছা জানাই।
পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের সংঘাতময় পরিস্থিতি নিরসনের লক্ষ্যে ১৯৯৭ সালের ২রা ডিসেম্বর কোন তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতা ছাড়াই আওয়ামী লীগ সরকার ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির মধ্যে এই ঐতিহাসিক চুক্তি স¦াক্ষরিত হয়। বিশ্ব ইতিহাসে এটি একটি বিরল ঘটনা।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সর্বপ্রথম আধুনিকতার ছোঁয়া বিবর্জিত পশ্চাদপদ পার্বত্য জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় ফিরিয়ে আনেন। তাদের মানোন্নয়নে নানামুখী কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আঞ্চলিক উন্নয়নের পাশাপাশি শিক্ষাক্ষেত্রে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের সম-সুযোগ প্রদানের ব্যবস্থা নেন। এ লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধু ১৯৭৩ সালের জুন মাসে কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি প্রতিষ্ঠানসমূহে পাহাড়ি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সুনির্দিষ্ট আসন সংরক্ষণের জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
’৭৫-পরবর্তী অগণতান্ত্রিক সরকারগুলো পার্বত্য অঞ্চলের সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার পরিবর্তে নিজেদের স¦ার্থ চরিতার্থ করার জন্য বাঙালি-পাহাড়ী জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে। খুন, রাহাজানি, অত্যাচার-অবিচার, ভূমি জবরদখল এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপব্যবহার এ অঞ্চলকে আরো অস্থিতিশীল করে তোলে।
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জাতিগত হানাহানি বন্ধ হয়। অনগ্রসর ও অনুন্নত পার্বত্য অঞ্চলে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে শান্তি ও উন্নয়নের ধারা। ইউনেস্কো শান্তি পুরস্কার অর্জন এই চুক্তির আন্তর্জাতিক স¦ীকৃতির স্মারক।
আমাদের সরকার শান্তিচুক্তির আলোকে এ অঞ্চলের সার্বিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলিক পরিষদ ও তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ গঠন করেছি। এ অঞ্চলের শিক্ষা, স¦াস্থ্য, বিদ্যুৎ, যোগাযোগ, অবকাঠামো, মোবাইল নেটওয়ার্কসহ সকলখাতের উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা রাঙ্গামাটিতে একটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং একটি মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠা করেছি। ভূমি বিষয়ক বিরোধ নিষ্পত্তির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। বোর্ডের কার্যক্রম আরো গতিশীল ও সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে আমাদের সরকার পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড আইন, ২০১৪ প্রণয়ন করেছে। পার্বত্য জেলাসমূহের নৈসর্গিক সৌন্দর্য সমুন্নত রাখা ও পর্যটন শিল্পের প্রসারেও আমরা নানামুখী উদ্যোগ নিয়েছি। আমাদের সময়োচিত পদক্ষেপের ফলে আজ পার্বত্য জেলাসমূহ কোনো পিছিয়ে পড়া জনপদ নয়। দেশের সার্বিক উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এ অঞ্চলের জনগণ সম-অংশীদার।
বিএনবি-জামাত জোট সরকার ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে ঐতিহাসিক এই শান্তি চুক্তির চরম বিরোধিতা করে পার্বত্য অঞ্চলকে পুনরায় অস্থিতিশীল করতে চেয়েছিল। তাদের এ হীন উদ্দেশ্য সফল হয়নি। আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামসহ দেশের সর্বত্র শান্তি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
আমি আশা করি, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম অঞ্চলের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে আমরা জাতির পিতার সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তিপূর্ণ স¦প্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ে তুলতে সক্ষম হব।
পার্বত্য শান্তি চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে আমি সকলের সহযোগিতা কামনা করি।
  জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
        বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/মাহমুদ/মোশারফ/আব্বাস/২০১৭/১৭০১ ঘণ্টা
 
Todays handout (7).docx