তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৫
বন্যার আশঙ্কা কেটে গেছে পাহাড়ে
-- ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
টানা পাঁচ দিনের বৃষ্টি আর পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের অন্তত ৫ জেলা পানির নিচে চলে গেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হলেও পাহাড় ধস ও ঘর চাপা পড়ে পাঁচজন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. মোঃ এনামুর রহমান। প্রতিমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্গত এলাকায় মানবিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আজ সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, যেহেতু বৃষ্টি বন্ধ হয়েছে, পানিও কমতে শুরু করেছে। সেহেতু নতুন করে বন্যা হওয়ার আশঙ্কা নেই। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোতে পানিবন্দি মানুষের জন্য খাবার পৌঁছে গেছে।
প্রতিমন্ত্রী জানান, পাহাড়ি ঢলের কারণে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, লোহাগড়া উপজেলা, কক্সবাজারের চকরিয়া, পেকুয়া এবং বান্দরবানের রামু, রাঙামাটি ও খাগরাছড়ির কয়েকটি উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে মাঠ প্রশাসন ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মকর্তারা উদ্ধার কাজ এবং মানবিক সহায়তা পৌঁছে দিয়েছেন। একইসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে সেনাবাহিনী ও নৌবাহিনী মোতায়েন করা হয়। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দুর্গত এলাকার জনগণকে উদ্ধার করে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে গেছেন এবং মানবিক কার্যক্রম চলমান আছে। দুর্যোগ মোকাবিলায় ২০০ মেট্রিক টন চাল, ১০ লাখ টাকা এবং ২ হাজার মেট্রিক টন শুকনো খাবার জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়া হয়।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, পরিস্থিতি উন্নতির দিকে হলেও অনেক বেশি মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেশি সহায়তার দাবি করা হয়েছে। আজও ১০ লাখ টাকা, ৩ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার ও ১০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়ে পাঠিয়েছি। এ পর্যন্ত বন্যাকবলিত ৫ জেলার জন্য মোট ৭০ লাখ টাকা, ২১ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার এবং ৭০০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। একইসঙ্গে পানি বিশুদ্ধ করার ট্যাবলয়েট দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সুপেয় পানির ব্যবস্থা করতে জেলা প্রশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা টেলিফোনে আমাদের সঙ্গে সবসময় যোগাযোগ রাখছেন। তিনি সহায়তা বাড়ানোর দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। পাশাপাশি বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শনের নির্দেশ দিয়েছেন। আগামী ১১ আগস্ট চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার ও লোহাগড়া, কক্সবাজারের চকরিয়ার পেকুয়া এবং বান্দরবানের রুমা উপজেলা পরিদর্শনে যাব।’
পাহাড় ধস সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পাহাড় ধসে ২০১৭ সালে দেড়শোর বেশি মানুষ মারা গেছেন। এরপরে কিন্তু পাহাড় ধস হয়েছে কিন্তু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এবার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মা ও মেয়ে দুইজন এবং পেকুয়া উপজেলায় মাটির ঘর ধসে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সংক্রান্ত একটি আইন করা হয়েছে এবং জেলা প্রশাসকদের কাছে একটা নির্দেশনা দেওয়া আছে, যেন পাহাড়ের ঢালে কেউ বসতি করতে না পারে। তারপরেও অবৈধভাবে অনেকেই বসবাস করে। সরকারিভাবে তাদের উচ্ছেদ করা হয় এবং নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করা হয়। এবারও বৃষ্টিপাত দেখেই পাহাড়ি অঞ্চলের লোকদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলে রাঙামাটি, বান্দরবান, চট্টগ্রামে পাহাড় ধসে কোনো মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। রাঙামাটিতে ২৩৫টি স্থানে পাহাড় ধস হয়েছে কিন্তু মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়নি। কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যে দুর্ঘটনা ঘটেছে, সেটার জন্য আমরা দুঃখিত। সেখানেও যাতে পাহাড় না ধসে, সেজন্য গাইডওয়াল তৈরি করা হচ্ছে।
এ সময় মন্ত্রনালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।
#
সেলিম/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিমুজ্জামান/২০২৩/২১৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৪
দেশের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরুন
-- পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, আমরা সবাই চাই একটি সুন্দর, শান্তিময়, উন্নত, সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ। আর সেকারণে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলোকে আগামী নির্বাচনের জন্য মূল প্রতিপাদ্য করে কথা বলা প্রয়োজন। কারণ সব দেশে নির্বাচনের মূল আলোচ্য বিষয় হলো অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি, মুদ্রাস্ফীতি ইত্যাদি। তিনি বলেন, আগামীতে নির্বাচনের আলোচ্য ইস্যু হিসেবে অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরুন। কারণ এইগুলো হচ্ছে আমাদের ভবিষ্যৎ। আপনারা যদি বাংলাদেশের সুন্দর ভবিষ্যৎ আশা করেন তাহলে আমাদের অর্থনৈতিক ইস্যুগুলো তুলে ধরা প্রয়োজন।
আজ রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্ট (বিএসটি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশের সাম্প্রতিক উন্নয়নের গতি-প্রকৃতি’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে গত ছয় মাসে প্রায় ৬০টি দেশে নির্বাচন হয়েছে এবং আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরো ২২টি দেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট এবং জাতিসংঘের নিয়মিত ব্রিফিংগুলোতে বাংলাদেশের রাজনীতি, নির্বাচন নিয়ে তাদের অনেক আগ্রহ দেখা যায়, কিন্তু প্রায় শ’খানেক দেশ - যেগুলোতে সম্প্রতি নির্বাচন হয়েছে এবং আগামীতে হবে সেগুলো নিয়ে তাদের কোন আলোচনা নাই। এর একটি অর্থ হচ্ছে আমাদের দেশের অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে তাই সবার আকর্ষণও বেড়েছে।
তবে একইসাথে এ বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বিদেশি লোক আপনার মঙ্গল চায় না। তারা আপনার এখানে অশান্তি চায়। অশান্তি হলে দেশ যদি দুর্বল হয়, তাদের অনেক সুবিধা হয়। তাই তারা দেশকে দুর্বল করতে চায়। তাদের ওই ভেল্কিতে অবগাহন করবেন না। দেশের উন্নয়ন দেশের লোক, সরকার করবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ জনগণের ওপর বিশ্বাস করি। জনগণের রায়েই আমাদের অবস্থান সুদৃঢ় হবে। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সাম্প্রতিক যে উন্নয়ন এবং তার ধারাবাহিকতা কীভাবে বজায় রাখা যায় সেই ইস্যুগুলো তুলে ধরা জরুরি। যেহেতু সামনে নির্বাচন, এখন এসব বিষয় আলোচনায় আশা উচিত।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিএনপির শাসনামলের সাথে আওয়ামী লীগের শাসনামলের তুলনা করে বলেন, ২০০১ থেকে ২০০৬ আমাদের অর্থনীতির অবস্থা কেমন ছিল, আমাদের সামাজিক অবস্থা কী ছিল, আমাদের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি কতটুকু বিস্তৃত ছিল, আমাদের শিক্ষা ক্ষেত্রে কীরকম অগ্রগতি ছিল। এগুলোর সাথে ২০০৯ থেকে ২০২৩ এর অগ্রগতির তুলনামূলক বিচার করে দেখুন।
ড. মোমেন বলেন, রাজনীতি হলো দেশের মানুষের মঙ্গলের জন্য - যদি তাই হয় তাহলে কাকে আপনি যুক্তিযুক্তভাবে সঠিক নেতৃত্ব মনে করেন, সেটা আপনাকেই বিচার করতে হবে। আপনারা যদি দেশের মঙ্গল চান, অর্থনৈতিক মঙ্গল, সামাজিক মঙ্গল এবং জাতির অবস্থান, তাহলে কাকে আপনাদের ভোট দেয়া উচিত এগুলো বিবেচ্য বিষয়। এগুলো যদি সঠিক বিচার বিশ্লেষণ করে সিদ্ধান্ত নেন তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের দায়ী করবে না। নতুবা তাদের কাছে আমাদের দায়ী থাকতে হবে।
চলমান পাতা/২
--০২--
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আগামী নির্বাচন হবে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও সুন্দর এবং আমি বিশ্বাস করি বাঙালি জাতি পরিপক্ক জাতি। তারা যখন ভোট দেয় তখন সঠিক জায়গায় ভোট দেয়।
ড. মোমেন উন্নয়নের জন্য স্থিতিশীলতার ওপর জোর দিয়ে বলেন, ‘যে সমস্ত দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা আছে, আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা আছে সেসব দেশে উন্নয়ন সবচেয়ে বেশি হয়।’ তিনি সিঙ্গাপুরের উদাহরণ দিয়ে বলেন, সিঙ্গাপুরে ৬৫ বছর ধরে স্থিতিশীলতা থাকায় দরিদ্র দেশ থেকে এশিয়ার সবচেয়ে উন্নত দেশে পরিণত হয়েছে। একইভাবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে স্থিতিশীলতার কারণে উন্নয়ন অগ্রগতিতে বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। রুয়ান্ডা ও কম্বোডিয়ার মতো দেশ স্থিতিশীলতার কারণেই উন্নয়ন ঘটাতে পেরেছে। অপরদিকে যেসব দেশে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা, শান্তি শৃঙ্খলা নাই সেসব দেশের ভরাডুবি হয়েছে। তিনি ইরাক ও লিবিয়ার উদাহরণ টেনে বলেন, স্থিতিশীলতা না থাকায় ঐসব দেশের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা দেশে মারামারি কাটাকাটি চাই না, শান্তি স্থিতিশীলতা চাই। আমরা দেশে এবং এই অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা চাই। আমরা যদি শান্তি, স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ উজ্জ্বল। আমরা যদি শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রেখে শেখ হাসিনার সরকারকে জয়যুক্ত করতে পারি, তাহলে শেখ হাসিনার শাসনামলে যে উন্নয়ন হয়েছে তার ধারাবাহিকতা চালু থাকবে। আর অন্যথা হলে ২০০১ থেকে ২০০৬ পর্যন্ত অভিজ্ঞতা আমাদের আছে। তখন বাংলাদেশের পরিচয় ছিল সন্ত্রাসের দেশ, দুর্নীতিতে পাঁচ-পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন, নারী-পুরুষ কারোরই নিরাপত্তা ছিল না। যেখানে একদিনে ৬৪টি জেলার মধ্যে ৬৩টি জেলায় বোমাবাজি হয়েছিল, আদালতের এজলাসে বোমাবাজি করে মানুষ মারা হয়েছিল, তখন বিদেশি রাষ্ট্রদূতের উপর বোমাবাজি হয়েছিল, দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ করায় বিরোধী দলের নেতার উপর গ্রেনেড হামলা করা হয়েছিল যেখানে ২৪ জন মানুষ মারা যায় ৩৭০ জন মারাত্মকভাবে আহত হয় - আমরা সেই বাংলাদেশ আর দেখতে চাই না।
ইয়েমেনে ১৮ মাস অপহৃত থাকার পর জাতিসংঘের কর্মকর্তা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল সুফিউল আনামের উদ্ধার হওয়ার সুসংবাদ দিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নির্দেশনায় আমরা তাকে উদ্ধার করতে পেরেছি, আর এটা সম্ভব হয়েছে সব দেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার কারণে।
বাংলাদেশ স্টাডি ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. উত্তম কুমার বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী।
সেমিনারে আলোচকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মিল্টন বিশ্বাস, বিশিষ্ট রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব বাহাদুর বেপারি, সম্প্রীতি বাংলাদেশ- এর সদস্য সচিব প্রফেসর ডাঃ মামুন আল মাহতাব (স্বপ্নীল), দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার-এর সম্পাদক ড. খান আসাদুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ ফারুক শাহ। অন্যান্য অতিথির মধ্য হতে বক্তব্য রাখেন সাবেক রাষ্ট্রদূত আব্দুল হান্নান।
#
মোহসিন/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩৩
সাইবার নিরাপত্তা জোরদারকরণে পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
সাইবার নিরাপত্তা জোরদারকরণের লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিটিক্যাল ইনফরমেশন ইনফাস্ট্রাকচার (সিআইআই) সমূহের গৃহীত কার্যক্রম বিষয়ে এক পর্যালোচনা সভা আজ ঢাকায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক সভাপতিত্ব করেন।
সভায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামোসমূহের বিভিন্ন সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু, আইসিটিতে জনবল কাঠামো উন্নয়ন, আইসিটি খাতে বরাদ্দ বৃদ্ধি, নিয়মিত আইটি অডিট পরিচালনা, সিকিউরিটি অপারেশন সেন্টার (এসওসি) ও নেটওয়ার্ক অপারেশন সেন্টার (এনওসি) গঠন ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এছাড়া ডেটার ভলিউম, গুরুত্ব ও ডেটা সিকিউরিটির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে আরো ৫টি সরকারি প্রতিষ্ঠানকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তাছাড়া সিআইআই প্রতিষ্ঠান প্রধানদের অংশগ্রহণে পরবর্তীতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে বিশেষ সভা আয়োজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
সভায় আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহারের ফলে ব্যাকডোরের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানসমূহের তথ্য চুরির ঝুঁকি তৈরির পাশাপাশি অন্যান্য সাইবার নিরাপত্তা ইস্যু তৈরি হচ্ছে বলে জানান। তাই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠানসমূহকে পাইরেটেড সফটওয়্যার ব্যবহার না করা এবং সকলকে জেনুইন/লাইসেন্সড সফটওয়্যার ব্যবহারের বিষয়ে আহ্বান জানান।
এছাড়া সাইবার নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে আইসিটি বিভাগের বিজিডি ই-গভ সার্ট হতে প্রত্যেক মন্ত্রণালয়সমূহকে পত্র প্রেরণ, প্রতিটি সিআইআইতে সাইবার সিকিউরিটি ডিজাইন ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা, পরবর্তীতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এ বিষয়ে বৈঠক করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
আইসিটি বিভাগের সচিব মোঃ সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সির মহাপরিচালক আবু সাঈদ মোঃ কামরুজ্জামান, বিজিডি ই-গভ সার্ট এর প্রকল্প পরিচালক সাইফুল ইসলাম খান, গোয়েন্দা সংস্থা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, বিআরটিএ-সহ সংশ্লিষ্ট সংস্থার প্রতিনিধিগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
শহিদুল/পাশা/এনায়েত/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৩/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩২
দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের টিকা উৎপাদন শুরু হবে
--- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
দেশে শিগগিরই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ (এলএসডি)-এর টিকা উৎপাদন শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।
আজ সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই)-এর পরিচালনা বোর্ডের ৪৬তম সভায় মন্ত্রী একথা জানান। বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে সভায় সভাপতিত্ব করেন মন্ত্রী।
এ সময় মন্ত্রী আরো বলেন, লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। দেশের যেখানেই গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজ দেখা যাবে সেখানে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রী আরো জানান, বিএলআরআইকে আমরা যত গতিশীল করতে পারব, যত আমাদের গবেষণা বাড়বে, তত প্রাণিসম্পদ খাতকে আমাদের সমৃদ্ধ করতে পারব। এ প্রতিষ্ঠান সম্প্রতি গবাদিপশুর লাম্পি স্কিন ডিজিজের ভ্যাকসিন সিড উদ্ভাবন করেছে। এটি দেশের প্রাণিসম্পদখাতের অত্যন্ত বড় অর্জন। এর মাঠ পর্যায়ের
পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ পর্যায়ে রয়েছে। শিগগিরই এ ভ্যাকসিন সিড প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কাছে হস্তান্তর করা হবে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই সিডের মাধ্যমে লাম্পি স্কিন ডিজিজের বহুসংখ্যক টিকা উৎপাদনে সক্ষম হবে। এ টিকা প্রয়োগের মাধ্যমে সহজেই লাম্পি স্কিন ডিজিজ নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।
মন্ত্রী আরো জানান, একসময় আমাদের লক্ষ্য ছিল শুধু প্রাণিসম্পদের উৎপাদন বৃদ্ধি করা। এখন আমাদের লক্ষ্য প্রাণিসম্পদের গুণগত মান বৃদ্ধি এবং এর বহুমুখী ব্যবহার ও প্রক্রিয়াকরণ। এক্ষেত্রে বিএলআরআই এর বিজ্ঞানীরা নিরলসভাবে কাজ করছে।
মন্ত্রী বলেন, মাছ, মাংস, ডিম উৎপাদনে আমরা শুধু সক্ষমতা অর্জনই নয় বরং উদ্বৃত্ত অবস্থানে রয়েছি। পৃথিবীর অনেক দেশে আমাদের মাংসের চাহিদা রয়েছে। তারা আমাদের গবাদিপশুর রোগমুক্ত অঞ্চল থেকে মাংস আমদানি করতে চায়। রোগমুক্ত অঞ্চল সৃষ্টি করতে হলে আমাদের গবেষণা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম গতিশীল করতে হবে। গবাদিপশুর রোগ নির্মূল করতে না পারলে আমরা প্রত্যাশিত মাত্রায় মাংস রপ্তানি করতে পারব না। এজন্য গবাদিপশুর রোগ প্রতিরোধ করার ওপর সরকার অত্যন্ত গুরুত্ব দিচ্ছে। এক্ষেত্রে বিএলআরআই ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে সমন্বিতভাবে কাজ করতে হবে।
বিএলআরআই পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও ময়মনসিংহ-৬ আসনের সংসদ সদস্য মো. মোসলেম উদ্দিন, পরিচালনা বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান ও মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশীদ, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রাক্তন মহাপরিচালক ড. মোঃ জাহাঙ্গীর আলম খান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. মোঃ এমদাদুল হক তালুকদার, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য সচিব ও বিএলআরআই-এর মহাপরিচালক ড. এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও প্যারাগন গ্রুপ লিমিটেডের পরিচালক ইয়াসমিন রহমান, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ওবিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শাকিলা ফারুক, পরিচালনা বোর্ডের সদস্য ও বিএলআরআই-এর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মোঃ জিল্লুর রহমান বোর্ড সভায় উপস্থিত ছিলেন।
#
ইফতেখার/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৯৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩১
‘ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি
পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
আজ ঢাকার কারওয়ান বাজারে ‘ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক’-এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। আইসিটি বিভাগের ডিজিটাল উদ্যোক্তা ও ইনোভেশন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন (ডিড) প্রকল্পের আওতায় শূন্য দশমিক ৪৭ একর জায়গার উপর বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে অত্যাধুনিক এই টেকনোলজি পার্কটি নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার বর্গফুট স্পেস, ৪টি বেজমেন্টসহ ৯ তলাবিশিষ্ট এই গ্রিন বিল্ডিং তৈরিতে প্রায় ১৬০ কোটি টাকা ব্যয় হবে।
ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় পলক বলেন, ইন্ডাস্ট্রি ও একাডেমিয়ার মধ্যে সেতুবন্ধুন তৈরি করতে দেশের ৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইউনিভার্সিটি বিজনেস ইনকিউবেশন সেন্টার’ স্থাপন করা হচ্ছে। ইউনিভার্সিটি শিক্ষকদের মেন্টর হিসেবে তৈরি করা হবে। তারা রিসার্চ, ইনোভেশন এবং বিজনেস আইডিয়ার মাধ্যমে ইনভেস্টর এবং ইন্ডাস্ট্রির সাথে কলাবরেশন স্থাপন করবে। এর আওতায় স্মার্ট বাংলাদেশ এক্সালারেটর এর মাধ্যেমে ১০০জন স্টার্টআপকে সফল উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি করা, তাদেরকে পুঁজি, প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সহায়তা দেয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর সততা, সাহসিকতা ও দূরদর্শিতার মাধ্যমে উপলব্ধি করেছিলেন আগামী দিনে কর্মসংস্থান ও অর্থনীতিকে বেগবান করতে হলে প্রযুক্তিকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, ২০৪১ সালের বাংলাদেশ কেমন হবে সেই বিবেচনা থেকেই প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় স্মার্ট বাংলাদেশের রূপরেখা দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, দেশে ইনোভেশন ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার মাধ্যমে বেসরকারি বিনিয়োগের গতি বৃদ্ধি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী গুণগতমান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দেন।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ হাই-টেক পার্ক কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জি এস এম জাফরুল্লাহ এর সভাপতিত্বে অন্যান্যের বক্তব্য রাখেন আইসিটি বিভাগের সচিব সামসুল আরেফিন, ডিজিটাল উদ্যোক্তা এবং উদ্ভাবন ইকোসিস্টেম উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক আবুল ফাতাহ মোঃ বালিগুর রহমান।
উল্লেখ্য, দৃষ্টিনন্দন, পরিবেশবান্ধব ভিশন-২০৪১ স্মার্ট টাওয়ার সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কের মাধ্যমে সাতটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইনোভেশন হাব তৈরি হবে। এছাড়া চারটি সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্কে স্টার্ট-আপ সুবিধা তৈরি, কমন ফ্যাসিলিটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য চারটি ল্যাব তৈরি, সফটওয়্যার পার্কে ইনোভেশন কার্যক্রম পরিচালনা ও ভবিষ্যতে ইনোভেশন সম্পর্কিত কার্যক্রম পরিচালনার জন্য দক্ষ জনবল তৈরি, বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রিক ইনোভেশন হাব পরিচালনা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ইনোভেশন সম্পর্কে প্রশিক্ষিতকরণ ও শিক্ষকদের মধ্য হতে এ বিষয়ে দক্ষ জনবল তৈরিকরণ, স্টার্ট-আপদের সাথে ইনভেস্টরদের সংযোগ সাধন, স্টার্ট আপ, গবেষক, ছাত্র এবং বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারের জন্য কমন ফ্যাসিলিটিজ তৈরি, স্টার্ট আপ এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মার্কেটে প্রবেশের হার বৃদ্ধিকরণ এবং জেন্ডার ইনক্লুসিভ এন্টারপ্রেনারশিপ সংস্কৃতি তৈরির মাধ্যমে ডিজিটাল অর্থনীতির গতি বৃদ্ধি করা হবে।
#
শহিদুল/পাশা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪৩০
জ্বালানির দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে
--- প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, বীর বিক্রম বলেছেন, জ্বালানির দায়িত্বশীল ব্যবহার করতে সচেতনতা বাড়াতে হবে। সরবরাহ চেইনে জ্বালানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে হবে। কৃষিতে পানির ব্যবহার কমাতে পারলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির খরচ কমবে।
উপদেষ্টা আজ অনলাইনে ‘জাতীয় জ্বালানি নিরাপত্তা দিবস ২০২৩’ উদ্যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর অদম্য সাহস পরিকল্পিত বাংলাদেশ গঠনে সহায়তা করেছে। ৯ আগষ্ট ১৯৭৫ সালে ক্রয়কৃত ৫টি গ্যাসক্ষেত্র দেশের জ্বালানি নিরাপত্তায় কার্যকর অবদান রাখছে। সমুদ্র আইন এ অঞ্চলে প্রথম করা হয়েছিল যা সমুদ্রে আমাদের অধিকার নিশ্চিত করেছে। তিনি বলেন, ফ্লেক্সিবল পরিকল্পনা নিতে হবে যাতে বৈরী পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যেতে পারে। নির্ভরশীলতা কমাতে জ্বালানির বহুমূখীতা বাড়াতে হবে। অনুসন্ধান কার্যক্রম নিয়ে আরো সতর্ক হওয়া প্রয়োজন সমুদ্রে অনেককে দায়িত্ব দেয়া হলেও ফলপ্রসু কিছু পাওয়া যায়নি। ২০৪১ সালে উন্নত-সভ্য-মানবিক দেশ গড়তে শেখ হাসিনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা আবশ্যক।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬টি গ্যাস ক্ষেত্র বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্যাস সঞ্চালন পাইপলাইন বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ৩ হাজার ৬২৫ কি:মি:, জ্বালানি তেল পাইপলাইন নতুন কার্যক্রম-৬২৪ কি:মি:, তেল মজুদ ক্ষমতা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৩ দশমিক ৯ লাখ মেট্রিক টন, গ্যাস সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১ হাজার ২৫৬ এমএমসিএফডি, ৪টি নতুন রিগ ক্রয় ও পুনর্বাসন-১টি, সরকারীভাবে পেট্রোলিয়াম পণ্য সরবরাহ বৃদ্ধি ৪০ দশমিক ১৬ লাখ মেট্রিক টন ও এলপিজি সরবরাহ বৃদ্ধি পেয়েছে ৩১ গুণ। অফশোর বিডিং রাউন্ড এর জন্য মডেল পিএসসি চূড়ান্ত করা হয়েছে। শীঘ্রই বিডিং রাউন্ড শুরু করার লক্ষ্যে কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
অনুষ্ঠানে মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, এনার্জি এন্ড পাওয়ার এর সম্পাদক মোল্লাহ আমজাদ হোসেন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আনোয়ার হোসেন ভুঁইয়া।
জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের সচিব মোঃ খায়েরুজ্জামান মজুমদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে একাদশ জাতীয় সংসদের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি বেগম ওয়াসিকা আয়শা খান, বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব মোঃ হাবিবুর রহমান, বিপিসি’র চেয়ারম্যান এ বি এম আজাদ এনডিসি, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকারসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাগণ সংযুক্ত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন।
#
আসলাম/পাশা/জয়নুল/২০২৩/১৭৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৯
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার সকাল ৮টা থেকে আজ বুধবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ২ দশমিক ৭৪ শতাংশ। এ সময় ১ হাজার ৪৯৬ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৭৫ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১১ হাজার ৯০১ জন।
#
সুলতানা/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/২০২৩/১৭০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৮
স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দেশের উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা,
নিরাপত্তা ও প্রগতির ধারাকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে
-আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্
বরিশাল, ২৫ শ্রাবণ (৯ আগস্ট):
পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, স্বাধীনতার পরাজিত শক্তি দেশের উন্নয়ন, শান্তি-শৃঙ্খলা, নিরাপত্তা ও প্রগতির ধারাকে বাধাগ্রস্থ করতে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি এসব ষড়যন্ত্রকারীদের রুখে দিতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার রত্নাপুর মোল্লাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ও অঙ্গ এবং সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, বাঙ্গালি জাতির শোকের মাসেও বিএনপি-জামাত জোটসহ নাম সর্বস্ব কয়েকটি দল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছে। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিজ্ঞ , সাহসী ও সময়োপযোগী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে দেশে-বিদেশে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও জনপ্রতিনিধিদের সদা সজাগ থাকতে হবে।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কর্তৃক ২০১৮ সালের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী প্রতিটি গ্রামকে নগর সুবিধার আওতায় আনতে ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বরিশাল জেলার প্রতিটি উপজেলায় শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ ও অবকাঠামো খাতে রেকর্ড পরিমাণ উন্নয়ন কাজ সফলভাবে চলছে। তিনি এসব কর্মসূচির সুফল বরিশালবাসীর দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের সমন্বিত ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান।
আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ সংগঠনের কার্যক্রম আরো গণমুখী ও বরিশালবাসীর সার্বিক জীবনমান উন্নয়নে দলীয় নেতাকর্মীদেরকে ত্যাগের মনোভাব নিয়ে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান।
#
আহসান/পাশা/সঞ্জীব/রেজাউল/শামীম/২০২৩/১৭১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৪২৭
‘জ্বালানি নিরাপত্তায় বঙ্গবন্ধুর অবদান’ শীর্ষক স্মৃতিফলক উন্মোচন
বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অবদান অপরিসীম