Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৭ জুন ২০২১

তথ্যবিবরণী ৭ জুন ২০২১

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৬০

 

ঢাকা বিভাগে বিভিন্ন জেলায় মানবিক ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত

 

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

 

          করোনা ভাইরাস মহামারির প্রেক্ষিতে মানবিক সহায়তা হিসেবে  সরকারের পক্ষ হতে দেশব্যাপী ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

 

          গতকাল ৬ জুন ঢাকা বিভাগের বিভিন্ন জেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে।

 

          রাজবাড়ি   জেলায় ১ কোটি ২৪ লাখ ৯৪ হাজার ৮০৭ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে  ৩ কোটি ৪৮ লাখ ৫৮ হাজার ৮০০ টাকা ১ লাখ টাকা শিশু খাদ্য এবং ১ লাখ টাকা গোখাদ্য  হিসেবে আর্থিক সহায়তা  প্রদান করা হয়। 

 

          নরসিংদী জেলায় ২কোটি ৩৩ লাখ ৯২ হাজার ৫০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৬ কোটি ১৯ লাখ ৪৬ হাজার ৫৫০ টাকা,  শিশু খাদ্য হিসেবে ৫ লাখ ১০ হাজার  টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। 

 

          গোপালগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৬৯ লাখ ২৫ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ৪ কোটি ২১ লাখ ৩ হাজার ৩৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ৫ লাখ  টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

 

          টাংগাইল জেলায় ৩ কোটি  ৫০ লাখ ১৮ হাজার ৬০০ টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের  মাধ্যমে ১২ কোটি ২ হাজার ৮ শত ৫০ টাকা এবং শিশু খাদ্য হিসেবে ১২ লাখ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। 

 

          শরীয়তপুর জেলার ২ লাখ ৭৫ হাজার টাকা শিশু খাদ্য হিসেবে প্রদান করা হয়। 

 

          মুন্সিগঞ্জ জেলায় ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২ কোটি ৮০ লাখ ১৪ হাজার ৭৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। 

 

          কিশোরগঞ্জ জেলায় ৩১ লাখ ৯৫ হাজার টাকা নগদ এবং ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে ২কোটি ৮০ লাখ ৪১ হাজার ৭৫০ টাকা আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়। 

 

          সংশ্লিষ্ট  জেলার  জেলা তথ্য অফিসসমূহ ঢাকা বিভাগীয়  তথ্য অফিসের মাধ্যমে  এসব তথ্য জানিয়েছে।

 

#

 

আনোয়ার/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২১০৮ ঘণ্টা

 


তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৫৯

 

সরকার স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়েছে

                         -- নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

দিনাজপুর, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

 

          জনগণের স্বাস্থ্যসেবার জন্য এবার বাজেটে সরকার স্বাস্থ্যখাতে অতিরিক্ত বরাদ্দ দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, সরকার দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবার জন্য যথেষ্ট সচেতন।

          প্রতিমন্ত্রী আজ দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নে  এসব কথা বলেন।

          করোনা পরিস্থিতিতে সবাইকে সরকারঘোষিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করোনায় আক্রান্ত ও শনাক্তের হার বাড়ার একমাত্র কারণ অসচেতনতা। সবাই সচেতনতা দেখাতে পারলে করোনা থেকে বাংলাদেশের মানুষকে রক্ষা করা যাবে। তিনি বলেন, দায়িত্বশীল অনেকেই সচেতনতার আইনটা মানছেন না। জনগণতো আমাদের থেকেই দেখে। যারা দায়িত্বশীল পদে আছেন সচেতনতার বিষয়ে তাদের দায়িত্বশীল হবে। যাদেরকে জনগণ অনুসরণ করে, যাদের কথা জনগণ শুনে, তাদেরকে স্বাস্থ্যবিধি বেশি মেনে চলতে হবে। তারা যদি স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলেন, তাহলে সাধারণ মানুষও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলবে। নিজে না মানলে জনগণকে মানানো যাবে না।

          ভ্যাকসিন নিলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, করোনা নির্মূল না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ স্বাস্থ্যবিধিটা মেনে চলতে হবে। এটা বাধ্যতামূলক। এটা না করলে নিজেরাও ঝুঁকির মধ্যে চলে যাব। অন্যকেও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেব। টিকা কেনার বিষয়ে তিনি বলেন, চীন-রাশিয়াসহ অন্যান্য দেশের সঙ্গে কথা-বার্তা হয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুমোদিত টিকাই সরকার দেশের জনগণের জন্য আনবে। অনুমোদনহীন কোনো টিকা বাংলাদেশ সরকার আনতে পারে না।

          এ সময় প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিরল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জিনাত রহমান, পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমা কান্ত রায়, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আবদুল কুদ্দুস, বিরল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফখরুল ইসলাম প্রমুখ।

#

জাহাঙ্গীর/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০৪ ঘণ্টাতথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৫৮

 

তৃতীয় ধাপে ১২  হাজার ১১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের সমন্বিত তালিকা প্রকাশ

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

 

          বীর মুক্তিযোদ্ধাদের  নামের  সমন্বিত তালিকা (তৃতীয় পর্ব) প্রকাশ করেছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।  এতে জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) এর অনুমোদনবিহীন বেসামরিক গেজেট নিয়মিতকরণ অন্তে ৮ বিভাগের ৩৮৮ উপজেলার ১২ হাজার ১১৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নাম প্রকাশ করা হয়েছে। 

          এ তালিকা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক  মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইট www.molwa.gov.bd-তে পাওয়া যাবে।

          প্রকাশিত তালিকায় ঢাকা বিভাগের ৩ হাজার ৪৫৯ জন  চট্টগ্রাম বিভাগের ২ হাজার ৩৭৪ জন, বরিশাল বিভাগের  ১ হাজার ১৮০ জন, খুলনা বিভাগের ২ হাজার ২৯০ জন, ময়মনসিংহ বিভাগের ৩৩৩ জন, রাজশাহী বিভাগের ১ হাজার ৪৩৭ জন, রংপুর বিভাগের ৭৬৮  জন ও সিলেট বিভাগের  ২৭৫ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা রয়েছেন।

          এর আগে গত ২৫ মার্চ প্রথম ধাপে ১ লাখ ৪৭ হাজার ৫৩৭ জন এবং দ্বিতীয় ধাপে গত ৯ মে ৬ হাজার ৯৮৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধার নামের সমন্বিত তালিকা প্রকাশ করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

#

মারুফ/পাশা/নাইচ/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/২০০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৫৭

 

আইসিটি বিভাগের এডিপি পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের ২০২০-২১ অর্থবছরের ৩১ মে পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন পর্যালোচনা সভা আজ বৈঠক প্ল্যাটফর্মে অনুষ্ঠিত হয়। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক উক্ত সভায় অনলাইনে যুক্ত ছিলেন।

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এম জিয়াউল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদপ্তরসহ  বিভাগের অধীন বিভিন্ন সংস্থা প্রধান এবং বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ অনলাইনে যুক্ত হন।

          সভায় আইসিটি বিভাগের চলতি অর্থবছরে গৃহীত প্রকল্পসমূহের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা, মাসভিত্তিক বাস্তব ও আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা অর্জন, গৃহীত সিদ্ধান্তসমূহ এবং জনবল নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

          সভায় এসপায়ার টু ইনোভেট (এটুআই) প্রোগ্রাম, লার্নিং এন্ড আর্নিং ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (২য় সংশোধিত), বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব হাইটেক পার্ক রাজশাহী  (১ম সংশোধিত) প্রকল্প, কালিয়াকৈর হাইটেক-পার্কসহ অন্যান্য হাইটেক পার্ক উন্নয়ন (৩য় সংশোধিত) প্রকল্প, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে আইটি বিজনেস ইনকিউবেটর স্থাপন, বঙ্গবন্ধু হাইটেক সিটি-২ এর সহায়ক অবকাঠামো প্রকল্প, বিজিডি ই-গভ সার্ট এর সক্ষমতা বৃদ্ধি শীর্ষক প্রকল্প, লিভারেজিং আইসিটি ফর এমপ্লয়মেন্ট এন্ড গ্রোথ অভ্‌ দ্য আইটি-আইটি ইএস ইন্ডাস্ট্রি প্রকল্প, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব প্রকল্প, জাতীয় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অবকাঠামো উন্নয়ন, ইনফো সরকার প্রকল্প, জাপানিজ আইটি সেক্টরের উপযোগী করে আইটি ইঞ্জিনিয়ারদের দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প,  মোবাইল গেইম অ্যান্ড অ্যাপ্লিকেশন এর দক্ষতা উন্নয়ন প্রকল্প, শেখ কামাল আইটি ট্রেনিং ও ইনকিউবেশন সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ সরকারের জন্য নিরাপদ ইমেইল ও ডিজিটাল লিটারেসি সেন্টার স্থাপন প্রকল্প, কানেক্টেড বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি স্থাপন ও প্রয়োজনীয় অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পসহ অন্যান্য সকল প্রকল্পের আর্থিক ও বাস্তব অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।

          সংস্থা প্রধান ও প্রকল্প পরিচালকগণ নিজ নিজ প্রকল্পের বাস্তবায়ন পরিকল্পনা ও সর্বশেষ অগ্রগতি সভায় তুলে ধরেন। সভায় জানানো হয় আইসিটি বিভাগের অধীন সংস্থা ও প্রকল্পসমূহের ৩১ মে ২০২১ পর্যন্ত আর্থিক অগ্রগতি ৭৩ দশমিক ৯৫ শতাংশ।

          প্রতিমন্ত্রী কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী গুণগতমান বজায় রেখে দ্রুত প্রকল্পসমূহের আর্থিক অগ্রগতি শতভাগ নিশ্চিত এবং যথাসময়ে কাজ শেষ করতে প্রকল্প পরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন। প্রকল্প পরিচালকগণ প্রকল্পসমূহের কাজ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শেষ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন।

          উল্লেখ্য, চলতি অর্থবছরে আইসিটি বিভাগের অধীন কারিগরিসহ মোট ২৮টি প্রকল্পের জন্য আরএডিপিতে বরাদ্দ ৬৯৫ দশমিক ১০ কোটি টাকা।

 

#

 

শহিদুল/পাশা/রফিকুর/রেজাউল/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৫৬

 

দেশব্যাপী ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে
                                                                          -- স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

          স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, একজন সুস্থ শিশু কেবল একটি পরিবারের জন্যই নয়, গোটা দেশের জন্যই সম্পদ। একটি পরিবারে একজন অন্ধ মানুষ থাকলে সেই পরিবারে আর্থিকসহ নানারকম কষ্ট ভোগ করতে হয়। বর্তমান সরকার যথাযথভাবে দেশের শিশুদের প্রতিবছর ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে দেশে বর্তমানে রাতকানা রোগ নির্মূল হয়েছে। এবছরও সরকার দেশব্যাপী ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী প্রায় দুই কোটি বাইশ লাখ শিশুকে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগকে সফল করতে প্রতিটি মা তাদের নিজ নিজ শিশুকে সঙ্গে নিয়ে নির্ধারিত টীকাদান কেন্দ্রে উপস্থিত হয়ে ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়াতে হবে।

          আজ রাজধানীর মহাখালীস্থ বিসিপিএস অডিটোরিয়াম হলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জাতীয় পুষ্টি সেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আয়োজিত ভিটামিন-এ প্লাস ক্যাম্পেইন উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

          মন্ত্রী বলেন, "বিশ্বের অনেক দেশের তুলনায় কোভিডে দেশ এখনও অনেক ভালো আছে। তবে, ঈদে ঘরমুখো মানুষের বেপরোয়া চলাফেরার কারনে দেশের উত্তরাঞ্চলে বিশেষত রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ এলাকায় কোভিড কিছুটা বেড়ে গেছে। সরকার কোভিডের নানারকম নতুন নতুন রূপ পরিবর্তন নিয়ে সজাগ রয়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী অধিক কোভিড সংক্রমিত এলাকায় কোভিড টেস্ট ফ্রি করার পাশাপাশি চিকিৎসা সেবা বৃদ্ধি করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। আশা করা যায়, কোভিডের এই ধাক্কাও দেশবাসী ঠিকভাবেই সামলিয়ে নিতে পারবে।"

          উল্লেখ্য, ৫ জুন থেকে ১৯ জুন পর্যন্ত সরকারের নির্ধারিত ইপিআই কেন্দ্রসহ কমিউনিটি ক্লিনিক ও অন্যন্য সরকারি স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্রে ৬ মাস থেকে ৫ বছর বয়সী শিশুদের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। ৬-১১ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি করে নীল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (এক লাখ আই ইউ) ও ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রতিটি শিশুকে একটি করে লাল রঙের ভিটামিন-এ ক্যাপসুল (২ লাখ আই ইউ) খাওয়ানো হবে।

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক নাসিমা সুলতানার সভাপতিত্বে সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ইকবাল আরসেলান, মহাসচিব এম এ আজিজ, স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর এনায়েত হোসেন। সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জাতীয় পুষ্টিসেবা ও জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠানে লাইন ডিরেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান। 

#

 

মাইদুল/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৯২৬ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৫৫

 

বঙ্গবন্ধু ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডিবেট ফেস্ট ফর দ্য ওআইসি ইয়্যুথ ২০২১ এর উদ্বোধন

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

          ঢাকা ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০ উদ্‌যাপনের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের আয়োজনে এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সার্বিক পৃষ্ঠপোষকতায় অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ইয়্যুথ ফেস্ট ফর দ্য ওআইসি ইয়্যুথ ২০২১ এর মিডিয়া ব্রিফিং ও উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সভাপতিত্বে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাহিদ আহসান রাসেল। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন এবং সংস্কৃতি সচিব এম বদরুল আরেফিন। সম্মানিত অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক কোঅপারেশন ইয়্যুথ ফোরাম (আইসিওয়াইএফ) এর প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান।

          প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'আমরা আশা করছি এ আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা বিশ্বের যুবকরা আমাদের সাথে একটি আনন্দঘন বিতর্ক অধিবেশন উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে। বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের এই প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার মাধ্যমে তারা একে অপরের সাথে সংস্কৃতি ও শিক্ষা ভাগ করে নেওয়ার সুযোগ পাবে। একই সাথে এই প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নে আমি ওআইসি এবং অন্যান্য ভ্রাতৃত্বপূর্ণ দেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি'। এ সময় তিনি আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতাটির শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন।

          বিশেষ অতিথির বক্তব্যে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ আখতার হোসেন বলেন, বঙ্গবন্ধু ঢাকা ইন্টারন্যাশনাল ডিবেট ফেস্ট ফর দ্য ওআইসি ইয়্যুথ ২০২১ এর লক্ষ্য তরুণ বিতর্ককারীদের একত্রিত করা এবং তাদেরকে সাম্প্রতিক বিষয়াবলির ওপর বিতর্ক করতে উৎসাহিত করা।

          বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতি সচিব এম বদরুল আরেফিন বলেছেন, “ঢাকাকে ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল ২০২০” ঘোষণা করা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দৃঢ় নেতৃত্ব এবং যুব উন্নয়নে তার সরকারের উল্লেখযোগ্য স্বীকৃতি হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে।

          অনুষ্ঠানের সভাপতি সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ অনুষ্ঠানের শেষে উপস্থিত সাংবাদিক ও অতিথিদের ধন্যবাদ জানান। একই সাথে তিনি বলেন, “ওআইসি ইয়্যুথ ক্যাপিটাল হিসেবে ঢাকাকে স্বীকৃতি দেয়া, বছরব্যাপী বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদ্‌যাপনের সময়টিকে আরও অর্থবহ করে তুলেছে।

          প্রতিযোগিতার রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা ৭ জুন ২০২১ থেকে ১৪ জুন ২০২১। প্রতিযোগিতার মূল পর্ব ১৯ জুন থেকে শুরু হবে। আগ্রহী যুবকরা নিচের লিংক থেকে প্রতিযোগিতায় রেজিস্ট্রেশন করতে পারবেন: dhaka.oicyouthcapital.com/debate-competition.

 

#

আরিফ/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৪৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                     নম্বর : ২৬৫৪

 

বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন না দেখলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না

                                                --মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

            বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন না দেখলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

            আজ রাজধানীর একটি হোটেলে ‘দুগ্ধ সপ্তাহ ২০২১’ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস প্রসঙ্গে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।

            এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘সকল সময়ে সকল প্রসঙ্গে বঙ্গবন্ধু অনিবার্য। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা অনিবার্য। বঙ্গবন্ধুকে বাদ দিয়ে বাংলাদেশ ভাবা যায় না। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যদি বাঙালির মুক্তির স্বপ্ন না দেখতেন, বাঙালিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করতে না চাইতেন, বাঙালি জাতিকে সুসংগঠিত ও ঐক্যবদ্ধ করে ’৭০-এ বিজয় ছিনিয়ে না আনতেন, ’৭১ সালের ৭ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের নির্দেশনা না দিতেন, ২৬ মার্চ স্বাধীনতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা না দিতেন, তাহলে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না। তিনি ১৯৬৬ সালের ৭ জুন বাঙালি জাতির মুক্তির সনদ ছয় দফা ঘোষণা করেছিলেন। ছয় দফার জন্য বঙ্গবন্ধুকে সাজা ভোগ করতে হয়েছিল। ছয় দফা মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, স্বাধীনতার জন্য ত্যাগ স্বীকার-ইতিহাসের সে বণার্ঢ্য অধ্যায় অবশ্যই আমাদের মনে রাখতে হবে।’

            মন্ত্রী বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে যে অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করেছে, যে বিপ্লব হয়েছে, সেই বিপ্লবের সৃষ্টি হতো না যদি দেশ স্বাধীন না হতো। আমার দেশের সম্পদের সমৃদ্ধির কারণে কোরবানির সময় এখন বিদেশ থেকে পশু আনতে হয় না। মাছের উৎপাদন বিশ্বের বুকে একটা চ্যালেঞ্জিং জায়গায় পৌঁছে গেছে। আজ দুধ, ডিমের উৎপাদনে অভাবনীয় সাফল্য এসেছে। আর এ উৎপাদিত দ্রব্য একদিকে খাদ্যের চাহিদা অন্যদিকে পুষ্টির চাহিদা মেটানো সম্ভব হচ্ছে। এসব কিছু সম্ভব হয়েছে দেশ স্বাধীন হয়েছে বলে।’

            প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে মন্ত্রী বলেন, ‘গ্রামের সাধারণ মানুষ যাদের গবাদিপশু আছে তারা যাতে প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাদের কাছ থেকে চমৎকার ব্যবহার ও ভালো সেবা পায় সেটা লক্ষ্য রাখতে হবে। করোনাকে মাথায় রেখেই প্রাণিসম্পদ খাতকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। এ খাতের উন্নয়নে জীবনের ঝুঁকি নিয়েও লড়াই করতে হবে।’

            দুগ্ধ সপ্তাহ পালনে ভূমিকা রাখা সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, দুগ্ধ সপ্তাহে দেশব্যাপী একটা সাড়া জেগেছে। মানুষের ভেতর একটা উৎসাহ এসেছে, অনুপ্রেরণা এসেছে। এজন্য বেসরকারি খাতকে এগিয়ে যেতে হবে। বেসরকারি খাতকে সরকার বিভিন্নভাবে সহায়তা দিচ্ছে। বেসরকারি খাত বিকশিত করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ১০২টি অর্থনৈতিক অঞ্চল গড়ে তুলছেন।

            প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. শেখ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব রওনক মাহমুদ। সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মোঃ আবদুল জলিল। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের প্রাণিসম্পদ ও ডেইরি উন্নয়ন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মোঃ আব্দুর রহিম এবং দুগ্ধ সপ্তাহের কার্যক্রম তুলে ধরেন একই প্রকল্পের প্রধান কারিগরি সমন্বয়ক ড. গোলাম রব্বানী। এছাড়া বিশ্ব ব্যাংকের প্রতিনিধি ক্রিশ্চিয়ান বার্গার ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে অনুষ্ঠানে বক্তব্য প্রদান করেন।

            মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক, শ্যামল চন্দ্র কর্মকার, সুবোল বোস মনি ও মোঃ তৌফিকুল আরিফসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ সমাপনী অনুষ্ঠান ও সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন।

#

ইফতেখার/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮৪২ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর :  ২৬৫৩

 

মহাখালীর বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ৯শ’ পরিবারের জন্য খাবার প্যাকেট বরাদ্দ

 

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

 

          ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মহাখালীস্থ সাততলা বস্তিতে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যার্থে মানবিক সহায়তা হিসাবে শুকনো ও  অন্যান্য খাবারের ৯শ’ প্যাকেট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে আজ এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়।

          বরাদ্দকৃত  ৯শ’ প্যাকেট খাবার ৯শ’ পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হবে। প্রতিটি প্যাকেটে চাল, ডাল, তেল, লবণ, চিনি, চিড়া ও নুডুলস এ ৭টি আইটেম রয়েছে যা ৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিবারের এক সপ্তাহ চলবে বলে আশা করা যায়।

#

 

সেলিম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৮০০ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর :  ২৬৫২

 

মুজিববর্ষে ঢাকাকে ওআইসি যুব রাজধানীর স্বীকৃতি এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে

                                                                                          -- সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :

 

          সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর কারণে বাঙালি জাতির ইতিহাসে ২০২০ ও ২০২১ সাল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যবহ। এ সন্ধিক্ষণে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকাকে ওআইসি যুব রাজধানী হিসেবে স্বীকৃতি প্রদান এর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে বহুগুণ বৃদ্ধি করেছে। কেননা, বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাংলাদেশ ১৯৭৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ওআইসি (ইসলামি সহযোগিতা সংস্থা) এর সদস্যপদ লাভ করে। 

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীর বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের যৌথ পৃষ্ঠপোষকতায় বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর আয়োজিত "Bangabandhu Dhaka International Debate Fest for the OIC Youth-2021" এর উদ্বোধন ও মিডিয়া ব্রিফিংয়ে অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

 

          অনলাইনে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেল। 

 

          প্রধান অতিথি বলেন, আন্তর্জাতিক এ বিতর্ক প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সারা বিশ্বের যুবকরা আমাদের সাথে একটি আনন্দঘন বিতর্ক অধিবেশন উপস্থাপন করতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন স্থান থেকে আগত বুদ্ধিদীপ্ত তরুণদের এক প্ল্যাটফর্মে নিয়ে আসার মাধ্যমে তারা একে অপরের সাথে শিক্ষা ও সংস্কৃতি ভাগ করে নেয়ার সুযোগ পাবে। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী এসময় প্রতিযোগিতা বাস্তবায়নে ওআইসি ও অন্যান্য ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেন।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিতর্ক একটি শিল্প যা মানুষকে করে তোলে বাগ্মী ও বাকপটু। এটি দক্ষতা এবং জ্ঞান বিকাশের মাধ্যমে বিতার্কিকদের ভবিষ্যৎ জীবনকে সমৃদ্ধ করতে সাহায্য  করে। 'বঙ্গবন্ধু ঢাকা আন্তর্জাতিক বিতর্ক প্রতিযোগিতা' ইসলামি দেশসমূহের তরুণ বিতার্কিকদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন করবে এবং বিতর্ক প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে সামাজিক, অর্থনৈতিক ও প্রাতিষ্ঠানিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠতে সহায়ক হবে মর্মে প্রতিমন্ত্রী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। 

 

          অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. আখতার হোসেন এবং সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. বদরুল আরেফীন। সম্মানীয় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন Islamic Cooperation Youth Forum (ICYF) এর প্রেসিডেন্ট তাহা আয়হান (Taha Ayhan)। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক খোন্দকার মোস্তাফিজুর রহমান এনডিসি।

 

#

ফয়সল/পাশা/রফিকুর/রেজাউল/২০২১/১৭৫৮ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                         নম্বর : ২৬৫১

 

'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১' বাস্তবায়ন কর্মকৌশল শীর্ষক কর্মশালা অনুষ্ঠিত

 

ঢাকা, ২৪ জ্যৈষ্ঠ (৭ জুন) :


          'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (তহবিল পরিচালনা) বিধিমালা- ২০২১' গেজেট আকারে প্রকাশিত হওয়ার বিষয়টি কর্মকর্তাদের অবহিতকরণ ও বাস্তবায়ন কর্মকৌশল শীর্ষক কর্মশালা আজ ঢাকায় বিয়াম ফাউন্ডেশন মিলনায়তনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ মোহসীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।


          দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ প্রণয়নের যৌক্তিকতা, প্রেক্ষাপট ও  ভূমিকা বিষয়ে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ আলী রেজা মজিদ। মাঠ পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ কিভাবে প্রয়োগ করা যায় সে বিষয়ে বক্তব্য উপস্থাপন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ আতিকুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন।


          সভাপতির বক্তব্যে ত্রাণ সচিব বলেন, ভৌগলিকভাবে বাংলাদেশ একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। প্রাকৃতিক দুর্যোগ যেমন ঘূর্ণিঝড় বন্যা, খরা, টর্নেডো, জলোচ্ছ্বাস, ভূমিকম্প, ভূমিধস ইত্যাদি  দুর্যোগে মানুষের হাত নেই। তবে দুর্যোগের সাথে খাপ খাইয়ে নেয়া, এগুলোর প্রভাব বা ক্ষয়ক্ষতি থেকে সর্বোচ্চ মাত্রায় রক্ষা পাওয়া, ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস করা এবং তা পুষিয়ে নিয়ে পুনরায় জনগণকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনার জন্য সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে।


          তিনি বলেন, দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কার্যকর করার জন্য প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা ও সকলের সমন্বিত অংশগ্রহণ অপরিহার্য । 'দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা (তহবিল পরিচালনা) বিধিমালা-২০২১' এ কিভাবে তহবিল গঠন করা হবে এবং প্রয়োগ করা হবে তার নিয়মাবলি দেয়া আছে । জাতীয় পর্যায়ে কমিটি এবং জেলা পর্যায়ের কমিটি কিভাবে তহবিল ব্যবস্থাপনা কার্যকরভাবে বাস্তবায়ন করবে তার দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। তহবিলের সর্বোত্তম ব্যবহার দুর্যোগ মোকাবিলায় কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করার মাধ্যমে জনগণের পাশে দাঁড়ানোর জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিধিমালা-২০২১ বিশেষ গুরুত্ব বহন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


#

 

সেলিম/পাশা/রফিকুল/রেজাউল/২০২১/১৭৫৪ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                     &nb

2021-06-07-15-15-bbcdccb2178a6cffb502ad03c446de7b.docx