তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩৯
দুইটি বিলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দশম জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ (২০১৭ খ্রিস্টাব্দের বাজেট) অধিবেশনে জাতীয় সংসদ কর্তৃক গৃহীত ২টি বিলে আজ তাঁর সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছেন।
বিলগুলো হলো অর্থ বিল, ২০১৭ এবং নির্দিষ্টকরণ বিল, ২০১৭।
#
কামাল/গিয়াস/সঞ্জীব/মনোজিৎ/২০১৭
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩৮
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠক
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
জাতীয় সংসদের যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির ৩০তম বৈঠক আজ কমিটির সভাপতি মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত হয়।
কমিটির সদস্য যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. শ্রী বীরেন শিকদার, উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়, নাইমুর রহমান, নাহিম রাজ্জাক, মো. মাহবুব আলী, আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
বৈঠকে শহীদ বরকত স্টেডিয়ামের কাজের অগ্রগতি, বাংলাদেশ শুটিং স্পোর্টস ফেডারেশনের সার্বিক কার্যক্রম সম্পর্কে অলোচনা করা হয়।
বৈঠকে পূর্বাচল, কক্সবাজার এবং মানিকগঞ্জ স্টেডিয়াম নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডি এবং ডিপিপি প্রণয়নের কাজ আগামী ৪ মাসের মধ্যে সম্পন্ন করার সুপারিশ করা হয়।
কর্মসংস্থান এবং আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত যুবক ও যুবতীদের মাঝে ঋণ বিতরণে কর্মসংস্থান ব্যাংক যাতে ঋণদানে অসহযোগিতা ও জটিল পদ্ধতি অবলম্বন না করে সেজন্য মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।
প্রধানমন্ত্রী প্রতিশ্রুত উপজেলা পর্যায়ে মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ প্রকল্পের কাজ কার্যাদেশপ্রাপ্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান যথাযথভাবে সম্পাদন করছে কিনা এবং প্রকল্প কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে সরেজমিনে পরিদর্শন করে রিপোর্ট প্রদানের জন্য কমিটি সদস্য নাহিম রাজ্জাককে আহবায়ক এবং এ এম নাইমুর রহমান ও আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীকে সদস্য করে তিন সদস্যবিশিষ্ট সাবকমিটি গঠন করা হয়।
যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও জাতীয় সংসদ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
মিজানুর/গিয়াস/সঞ্জীব/বিপু/২০১৭
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩৭
গৃহহীনদের পুনর্বাসন করা হবে
- ভূমি মন্ত্রী
ঢাকা, ১৫ আষাঢ় (২৯ জুন) :
ভূমি মন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ বলেন, সিটি কর্পোরেশন, ঢাকার পার্শ্ববর্তী জেলা, জেলা সদর বা উপজেলা শহরে গৃহহীনদের পুনর্বাসনে কোনো বাধা থাকতে পারে না। তিনি গুচ্ছগ্রাম, আশ্রয়ণ, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প তৈরি করতে কোন আইনি জটিলতা বা প্রতিবন্ধকতা থাকলে তা পদ্ধতিগতভাবে নিরসন করে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।
আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে জুন ২০১৭ মাসের বিভাগীয় কমিশনার সমন্বয় সভায় সভাপতির বক্তব্যে ভূমিমন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের এ নির্দেশ দেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন এদেশে কোন গৃহহীন থাকবে না। সকল গৃহহীনকে পুনর্বাসন করা হবে। আইনি জটিলতা বা যেকোন সমস্যা থাকলে তা খতিয়ে দেখা জরুরি। ইতোপূর্বে সরকারি কোন পরিপত্র বা আদেশ জারি করা থাকলে তা খতিয়ে জনস্বার্থে গৃহহীনদের পুনর্বাসন করতে হবে। তিনি সরকারের উন্নয়ন কাজে দীর্ঘসূত্রতা পরিহারের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিকভাবে কাজ করার আহ্বান জানান।
সভায় কৃষি খাস জমি বন্দোবস্ত প্রদান বিষয়ে আলোচনায় প্রতিবছর সারাদেশে কমপক্ষে ৫ হাজার একর কৃষি খাস জমি ২১ হাজার ভূমিহীন পরিবারের মধ্যে বন্দোবস্ত প্রদান নিশ্চিত করার সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া গৃহহীন ও ভূমিহীনদের তালিকা মোতাবেক গৃহহীন ও ভূমিহীনদের অগ্রাধিকারভিত্তিতে কৃষি খাসজমি বন্দোবস্ত দান এবং গুচ্ছগ্রামে গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসনের সিদ্ধান্ত হয়। সভায় জানানো হয়, জুন ২০১৭ পর্যন্ত রেলওয়ে ও বনবিভাগ থেকে ৮৫৩ কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ১৮৭ টাকা ভূমি উন্নয়ন কর আদায় করা হয়েছে। যার মধ্যে শুধু বন বিভাগ থেকে ৮২৭ কোটি ১৬ লাখ ৮১ হাজার ১৮৭ টাকা আদায় হয়েছে।
মন্ত্রী ২০১৭-১৮ অর্থবছরে সারাদেশে ২৬ হাজার গুচ্ছগ্রাম তৈরি করার টার্গেট সম্পন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। মন্ত্রী জনবান্ধব ভূমি ব্যবস্থা গড়ে তুলতে সকলকে আন্তরিক থাকার আহ্বান জানান।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে ভূমি সচিব ড. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শেখ আব্দুল আহাদ, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আকরাম হোসেন, অতিরিক্ত সচিব এ.কে. ফজলুল হক, অতিরিক্ত সচিব তাজুল ইসলাম, অতিরিক্ত সচিব সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, ৮টি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
রেজুয়ান/গিয়াস/সঞ্জীব/বিপু/২০১৭
Handout No : 1736
Newly Elected Executive Committee of
BCS Foreign Affairs Association
Dhaka, 29 June 2017 :
The first meeting of the newly elected Executive Committee of BCS Foreign Affairs Association (BFAA), for the term 2017-2018, was held today with its President Md. Shahidul Haque in the Chair. The meeting discussed, among others, draft work plan for 2017 including engagements with other civil service and professional associations / bodies.
The meeting also decided to organize first-ever Asian Foreign Service Conference in Dhaka early next year, in cooperation/ collaboration with similar associations /entities in other countries of Asia with a view to promote deeper understanding among the Asian diplomats through exchange of best practices, information and ideas.
The Committee also congratulated Foreign Secretary Md. Shahidul Haque for being re-elected, in his personal capacity as an independent expert, as Member of the UN-Committee on Migrant Workers (CMW), securing highest number of votes (46 votes out of 51).
#
Khaleda/Gias/Sanjib/Bipu/2017
তথ্যবিবরণী নম্বর : ১৭৩৫
সিএমডব্লিউ’র নির্বাচনে পররাষ্ট্র সচিব পুনঃনির্বাচিত
নিউইয়র্ক, ২৯ জুন :
পররাষ্ট্র সচিব মো. শহিদুল হক ২৮ জুন জাতিসংঘ সদরদপ্তরে অনুষ্ঠিত কমিটি অন দ্য রাইটস্ অভ্ অল মাইগ্রান্ট ওয়াকার্স এন্ড মেম্বারস্ অভ্ দেয়ার ফ্যামিলিজ (সিএমডব্লি¬উ)-এর ২০১৮-২১ মেয়াদের নির্বাচনে ৫১ ভোটের মধ্যে ৪৬ ভোট পেয়ে সদস্য হিসেবে পুনঃনির্বাচিত হয়েছেন। সিএমডব্লি¬উ’র এই নির্বাচনে কোনো প্রার্থীর এটাই সর্বাধিক ভোট। এই বিজয় বাংলাদেশের বলিষ্ঠ পররাষ্ট্রনীতির প্রতি বিশ্ববাসীর আস্থার প্রতিফলন। পররাষ্ট্র সচিব চার বছর মেয়াদি এই কমিটিতে একজন স্বাধীন বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করবেন।
বাংলাদেশ এই নিয়ে দ্বিতীয় বারের মতো সিএমডব্লি¬উ’র সদস্য হল যা আমাদের ৯ মিলিয়ন অভিবাসী কর্মী ও তাদের পরিবারের সদস্যসহ বিশ্বব্যাপী অভিবাসী কর্মীদের সুরক্ষা ও উন্নয়নে একটি নতুন মাত্রা যোগ করল। এটি নিঃসন্দেহে মাইগ্রেশন ইস্যুতে জাতিসংঘ ও এর বাইরে বাংলাদেশের অগ্রণী ভূমিকার সুস্পষ্ট স্বীকৃতি।
ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশান অভ্ দ্য রাইটস্ অভ্ অল মাইগ্রান্ট ওয়াকার্স এন্ড মেম্বারস্ অভ্ দেয়ার ফ্যামিলিজ্ (আইসিআরএমডব্লি¬উ)-এর ৫১টি দেশ ২৮ জুন সিএমডব্লি¬উ’র পরবর্তী ৪ বছর মেয়াদের জন্য নতুন ৭ জন বিশেষজ্ঞকে নির্বাচিত করে যারা জানুয়ারি ২০১৮ থেকে কাজ শুরু করবে। সিএমডব্লিউ’র ১৪ সদস্যের পরিষদ আইসিআরএমডব্লিউ’র দেশসমূহের অভিবাসী কর্মীদের মানবাধিকার রক্ষা এবং সিএমডব্লি¬উ’র সদস্য নয় এমন দেশগুলোর সাথে প্রয়োজনীয় চুক্তিস্বাক্ষরসহ সংশ্লি¬ষ্ট নানা বিষয় নিয়ে কাজ করে। বাংলাদেশ ২৪ আগস্ট ২০১১ সিএমডব্লি¬উ’র চুক্তি অনুস্বাক্ষর করে।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমবারের মতো অভিবাসীদের অবৈধ পাচার রোধকল্পে একটি নিরাপদ, সুশৃঙ্খল ও নিয়মিত ‘গ্লে¬াবাল মাইগ্রেশন কমপ্যাক্ট’ প্রণয়নের জন্য জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছিলেন। প্রধানমন্ত্রীর এই প্রস্তাব ২০১৬ সালে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়। গ্লে¬াবাল কম্প্যাক্ট তৈরির বিষয়ে জাতিসংঘে এখন আনুষ্ঠানিক আলোচনা চলছে। বাংলাদেশ নিউইয়র্ক ও জেনেভায় জাতিসংঘের ‘গ্রপ অভ্ ফ্রেন্ডস্ অভ্ মাইগ্রেশন’ এর নেতৃত্ব দিচ্ছে এবং অত্যন্ত সক্রিয় সদস্য হিসেবে জাতিসংঘে অভিবাসন বিতর্কে অংশগ্রহণ করছে।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিবের সাথে এই কমিটিতে আলবেনিয়া, শ্রীলংকা, কলম্বিয়া, আজারবাইজান, সেনেগাল ও নাইজারের প্রার্থীগণও নির্বাচিত হয়েছেন।
#
অনসূয়া/গিয়াস/জসীম/রফিকুল/শামীম/২০১৭/১১১৩ ঘণ্টা