তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১১৫
কর্মীদের সংঘাতে ঠেলে দেয়া বিএনপি নেতারাই প্রকারান্তরে ভোলায় মৃত্যুর জন্য দায়ী
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট):
বিএনপি নেতারা তাদের কর্মীদের সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে, ফলে ভোলায় মৃত্যুর জন্য প্রকারান্তরে তারাই দায়ী এবং তাদের এ দায় স্বীকার করে পদত্যাগ করা উচিত বলেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় বেতার ভবনে বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকরা সেদিন নয়া পল্টনে বিএনপির সমাবেশ ও বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, 'বিএনপি লাশের রাজনীতি করে এবং সে কারণেই তাদের অপরাধপ্রীতি ও লাশের রাজনীতির বলি হচ্ছে ভোলায় তাদের দু'জন কর্মীর মৃত্যু। কারণ বিএনপি তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছিল এবং কারো কারো হাতে অস্ত্র তুলে দিয়েছিল।'
ভোলার ঘটনা নিয়ে হাছান মাহ্মুদ আরো বলেন, 'সেখানে পুলিশের ওপর গুলি করা হয়েছে এবং পুলিশ সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়েছে। মানুষের সহায়-সম্পত্তি ধ্বংস করা হয়েছে, ভাংচুর করা হয়েছে। পুলিশ সদস্যকে তাদের দলীয় কার্যালয়ে ধরে নিয়ে গিয়ে আটকে রেখে মারধর করা হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমান নেতৃত্ব তাদেরকে সংঘাতের দিকে ঠেলে দিয়েছে।'
সুতরাং এই যে তাদের দু'জন কর্মী মৃত্যুবরণ করলো, এর জন্য প্রকারান্তরে দায়ী বিএনপির নেতৃত্ব এবং এ দায় স্বীকার করে তাদের বরং আগে পদত্যাগ করা দরকার বলেন তথ্যমন্ত্রী।
বিএনপির আন্দোলনের ঘোষণারও সাফ জবাব দেন ড. হাছান। তিনি বলেন, 'বিএনপি তো এখন ফাঁকা মাঠে আন্দোলন করছে, এখন শোকের মাস আগস্ট, সামনে শোক দিবস, আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা যখন মাঠে নামবো, তারা পালানোর পথ খুঁজে পাবে না।'
এর আগে বেতার মিলনায়তনে বাংলাদেশ বেতারের সদ্যপ্রয়াত মহাপরিচালক আহম্মদ কামরুজ্জামানের স্মরণসভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতা দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। এসময় তিনি বলেন, মরহুম কামরুজ্জামান কখনো রাগান্বিত না হওয়া একজন ভালো মানুষ এবং বেতারের জন্য নিবেদিতপ্রাণ কর্মকর্তা ছিলেন। মন্ত্রী তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন ও তার শোকাহত পরিবারের শোক সহ্যশক্তির জন্য প্রার্থনা করেন।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি তথ্য ও সম্প্রচার সচিব মোঃ মকবুল হোসেন পিএএ তাঁর বক্তব্যে প্রয়াত মহাপরিচালকের কর্মনিষ্ঠা ও সুআচরণের কথা স্মরণ করেন। অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ বেতারের ভারপ্রাপ্ত মহাপরিচালক খাদিজা বেগমের সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম এবং কামরুজ্জামানের সহকর্মীবৃন্দ। পরে কামরুজ্জামানের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
#
আকরাম/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/২০৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৪
বিটিসিএল এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন্স কোম্পানি লিমিটেড (বিটিসিএল) প্রদত্ত ‘লিজড লাইন ইন্টারনেট’, ‘ভিপিএন’ ইত্যাদি সার্ভিস বিষয়ে বিটিসিএল এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মধ্যে আজ ঢাকায় বিটিসিএল প্রধান কার্যালয়ে সভাকক্ষে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এ চুক্তির প্রেক্ষিতে বিটিসিএল স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনস্থ জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায় পর্যন্ত হাসপাতাল এবং ইনস্টিটিউটে অপটিক্যাল ফাইবার কানেকটিভিটি এবং ডাটা কানেকটিভিটি প্রদান করবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার ডিজিটাল সেবা সম্প্রসারণে এই সমঝোতা স্মারককে একটি মাইলফলক বলে উল্লেখ করেন এবং অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, বিটিসিএল ডিজিটাল বাংলাদেশের ডিজিটাল মহাসড়ক নির্মাণে অসাধারণ ভূমিকা পালন করছে এবং তাদেরকে আগামীতেও দৃঢ়তার সাথে এই কাজ করে যেতে হবে।
বিটিসিএল এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মোঃ রফিকুল মতিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিটিসিএল এর পক্ষে চিফ জেনারেল ম্যানেজার (সেলস এন্ড মার্কেটিং) মোঃ আলিমুজ্জামান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষে ডিরেক্টর (এমআইএস) এবং লাইন ডিরেক্টর (এইচআইএস এবং ই-হেলথ) প্রফেসর ডা. মোঃ শাহাদাত হোসেন সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করেন।
#
শেফায়েত/রাহাত/মোশারফ/রফিকুল/সেলিম/২০২২/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১৩
বৈদেশিক কর্মসংস্থানে ভাষার দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ
-- প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেছেন, বৈদেশিক কর্মসংস্থানে ভাষার দক্ষতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বাংলাদেশের কর্মীর চাহিদা রয়েছে। তাই কর্মীদেরকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে এবং তাদের ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর জোর দিচ্ছে মন্ত্রণালয়। এসব বিষয়ে যদি ভালো অবস্থান তৈরি করা যায় তাহলে রেমিটেন্স বাড়বে।
আজ ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড কর্তৃক প্রবাসী কর্মীর মেধাবী সন্তানদের মাঝে শিক্ষাবৃত্তির চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আহমেদ মুনিরুছ সালেহীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড এর মহাপরিচালক মোঃ হামিদুর রহমান।
ইমরান আহমদ বলেন, সরকার সবসময় প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণে নিয়োজিত আছে। প্রবাসী কর্মীর সন্তানরা যাতে ভালোভাবে পড়াশুনা করতে পারে এবং তাদের উচ্চ শিক্ষা লাভে যেন কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না হয় সেজন্যই এই শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে। এছাড়া প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যরা যাতে আত্মমর্যাদার সাথে সমাজে প্রতিষ্ঠা লাভ করতে পারে সরকার সে চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম তাঁর বক্তৃতায় কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে গমনেচ্ছুদের জেনে বুঝে সচেতন হয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে বিদেশে যাওয়ার আহ্বান জানান। এছাড়া তিনি বৃত্তিপ্রাপ্তদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হতে বলেন এবং পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করার পরামর্শ দেন।
অনুষ্ঠানের শেষে অতিথিবৃন্দ প্রবাসীদের দশজন মেধাবী সন্তানের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন। উল্লেখ্য, অনুষ্ঠানে মোট ১৬২ জনকে বৃত্তির চেক দেওয়া হয়।
#
রাশেদুজ্জামান/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৩০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১২
শ্রমিক কল্যাণ তহবিলে ৩০ কোটি টাকা জমা দিলো গ্রামীণফোন
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিলে ৩০ কোটি ৩১ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৮ টাকা লভ্যাংশ জমা দিয়েছে মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি গ্রামীণফোন।
আজ সচিবালয়ে প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ানের সাথে গ্রামীণফোনের প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা সৈয়দ তানভির হোসেনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করে প্রতিমন্ত্রীর হাতে লভ্যাংশের চেক তুলে দেন।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের কল্যাণের জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করে। এ তহবিল থেকে প্রাতিষ্ঠানিক-অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থলে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যুতে, আহত বা দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত শ্রমিকের চিকিৎসা এবং শ্রমিকের মেধাবী সন্তানের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেয়া হয়। এখন পর্যন্ত ১৫ হাজার ২৩৭ জন শ্রমিককে এ তহবিল থেকে প্রায় ৬৬ কোটি টাকা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সরকার সবসময় শ্রমিকদের কল্যাণে পাশে থাকবে বলে এ সময় প্রতিমন্ত্রী উল্লেখ করেন।
গ্রামীণফোনের পক্ষে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান মানবসম্পদ কর্মকর্তা বলেন, গ্রামীণফোন সবসময় সরকারের পাশাপাশি শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানোর বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে। দেশের শ্রমজীবী মেহনতি মানুষের বৃহত্তর স্বার্থে এ তহবিলের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার জন্য তিনি শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়কে ধন্যবাদ জানান।
উল্লেখ্য, গ্রামীণফোনসহ দেশি, বিদেশি এবং বহুজাতিক মিলে ২৬৫টি প্রতিষ্ঠান তাদের লভ্যাংশের নির্দিষ্ট অংশ নিয়মিত এ তহবিলে জমা দিয়ে আসছে। আজ পর্যন্ত এ তহবিলে জমার পরিমাণ প্রায় ৭শ’ ৪০ কোটি টাকা।
চেক প্রদান অনুষ্ঠানে মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ এহছানে এলাহী, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক গোকুল কৃষ্ণ ঘোষ, গ্রামীণফোনের ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস ও এইচ আর স্ট্র্যাটেজি প্রধান কে এম সাব্বির আহমেদ, কম্পেন্সেশন এন্ড বেনিফিটস প্রধান মোহাম্মদ খালেদ মৃধা, ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস বিভাগের সদস্য মোঃ আসাদুজ্জামান এবং মুহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
#
আকতারুল/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৮৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১১
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গতকাল বুধবার সকাল ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২৭৮ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ দশমিক ১৪ শতাংশ। এ সময় ৫ হাজার ৪০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়ে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৩০০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনাভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৪৫ হাজার ৮২৯ জন।
#
কবীর/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২২/১৭২৮ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১১০
ইউরিয়ার পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ কৃষিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, সরকার ইউরিয়া সারের ব্যবহার হ্রাস ও ডিএপি সারের ব্যবহার বৃদ্ধিতে গুরুত্বারোপ করে যাচ্ছে। ডিএপি সার মাটির স্বাস্থ্য রক্ষায় ও মানসম্পন্ন ফসল উৎপাদনে কার্যকর এবং পরিবেশবান্ধব। ডিএপি সারে শতকরা ১৮ ভাগ নাইট্রোজেন বা ইউরিয়া সারের উপাদান রয়েছে। সেজন্য ডিএপির ব্যবহার বাড়িয়ে ইউরিয়া সারের অপ্রয়োজনীয় ব্যবহার কমিয়ে আনার জন্য সরকার ডিএপি সারের মূল্য প্রতিকেজি ৯০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৬ টাকা করে কৃষকদের দিয়ে যাচ্ছে। এ উদ্যোগের ফলে বিগত কয়েক বছরে ডিএপি সারের ব্যবহার দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডিএপির ব্যবহার বৃদ্ধি পেলেও ইউরিয়া সারের ব্যবহার কমেনি।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সারের দাম বৃদ্ধি, মজুতসহ সার্বিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। কৃষিসচিব মোঃ সায়েদুল ইসলাম এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, ফসলের জমিতে সুষম সার প্রয়োগ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, ইউরিয়া সারের বর্তমান ব্যবহার কমপক্ষে শতকরা ২০ ভাগ কমিয়ে ইউরিয়ার ব্যবহার যৌক্তিক পর্যায়ে রাখা সম্ভব। এতে ফসল উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না বরং উৎপাদন আরো বৃদ্ধি পাবে। একইসাথে, কৃষকের খরচও কমবে। এটি করতে হলে কৃষকসহ সকলের সচেতনতা প্রয়োজন।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, দেশে নন ইউরিয়া সার ( টিএসপি, ডিএপি, এমওপি) বছরে ব্যবহার হয় ৩২ লাখ টনের বেশি। এর পুরোটাই বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এসব সারের দাম আন্তর্জাতিক বাজারে ৪ গুণ বেড়েছে কিন্তু দেশে দাম বাড়েনি। কাজেই, ইউরিয়া সারের কেজিতে ৬ টাকা দাম বৃদ্ধির ফলে ফসলের উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়বে না।
মন্ত্রী বলেন, কোভিড পরিস্থিতি এবং ইউক্রেন-রাশিয়ার মধ্যে চলমান যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বব্যাপী সারের মূল্য অস্বাভাবিক পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছে, যা ২০২০-২১ অর্থবছরের তুলনায় ৩ থেকে ৪ গুণ এবং সারে প্রদত্ত সরকারের মোট ভরতুকিও বেড়েছে প্রায় ৪ গুণ। ২০২০-২১ অর্থবছরে যেখানে ভরতুকি লেগেছিল ০৭ হাজার ৭১৭ কোটি টাকা; সেখানে ২০২১-২২ অর্থবছরে লেগেছে ২৮ হাজার কোটি টাকা।
বর্তমানে দেশে চাহিদার বিপরীতে সব ধরণের সারের পর্যাপ্ত মজুত রয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সারের দাম বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে দেশের কোথাও যাতে কেউ কৃত্রিম সংকট তৈরি করতে না পারে সে বিষয়টি মন্ত্রণালয় নিবিড়ভাবে মনিটর করছে। কৃত্রিম সংকট তৈরির মাধ্যমে দাম বেশি নিলে সংশ্লিষ্টদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে।
মন্ত্রী আরো বলেন, আমরা লক্ষ্য করছি, সারের দাম বাড়ায় বিএনপিসহ কিছু বাম দল উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। বিএনপির সার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ তাদের চরম নির্লজ্জতার প্রমাণ বলে আমি মনে করি। বিএনপি’র শাসন আমলে সারসহ কৃষি উপকরণের চরম সংকট ছিল। বিএনপি তাদের সময়ে কৃষককে সার দিতে না পেরে পালিয়ে বেড়িয়েছে। সারের জন্য বিএনপি সরকার ১৯৯৫ সালে ১৮ জন কৃষককে গুলি করে হত্যা করেছিল। বিপরীতে, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার সারের উৎপাদন ও আমদানি অব্যাহত রেখেছে।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কৃষকদরদী, কৃষকের প্রতি রয়েছে তাঁর পরম মমতা। তাই ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে কৃষি উপকরণের দাম যেমন কমিয়েছে তেমনি সহজলভ্য করে কৃষকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিয়েছে। ফলে গত ১৩ বছরে সারসহ অন্যান্য কৃষি উপকরণের কোনো সংকট হয়নি।
#
কামরুল/রাহাত/রফিকুল/জয়নুল/২০২২/১৯৪০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১০৯
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর সাথে জাপানের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট):
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি (Naoki ITO) আজ সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদের সাথে তাঁর সচিবালয়স্থ কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতকালে জাপানের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-জাপান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তি উপলক্ষ্যে দু'দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বিনিময় বৃদ্ধিসহ বাংলাদেশে জাপানি স্থপতি কর্তৃক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন ও বাংলাদেশ-জাপান যৌথ চিত্র প্রদর্শনী আয়োজনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর সাথে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
জাপানের রাষ্ট্রদূত জানান, জাপানের প্রখ্যাত স্থপতি আন্দো তাদাও (Ando Tadao) বাংলাদেশের শিশুদের জন্য মনোরম স্থাপত্য নকশায় একটি নান্দনিক শিশু গ্রন্থাগার স্থাপন করতে ইচ্ছুক। তিনি বিশ্ববিখ্যাত স্থপতি লুই আই কানের নকশায় তৈরি ল্যান্ডমার্ক স্থাপনা জাতীয় সংসদ দেখে বাংলাদেশে এটি নির্মাণে অনুপ্রাণিত হন। রাষ্ট্রদূত দৃষ্টিনন্দন এ শিশু গ্রন্থাগারের জন্য জমি বরাদ্দ ও নির্বাচনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন।
প্রতিমন্ত্রী শিশু গ্রন্থাগার নির্মাণের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে বলেন, এ বিষয়ে প্রস্তাব তৈরিপূর্বক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ প্রেরণ করা হবে। তিনি এ সময় ঢাকা অপেরা হাউজ নির্মাণের বিষয়ে জাপানের সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জাপান দূতাবাস বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ দূতাবাস জাপানের যৌথ আয়োজনে বাংলাদেশ ও জাপানের চিত্রশিল্পীদের অংশগ্রহণে ঢাকায় জাতীয় জাদুঘর বা শিল্পকলা একাডেমিতে একটি যৌথ চিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হবে। রাষ্ট্রদূত এ প্রদর্শনী আয়োজনের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রীর সহযোগিতা কামনা করেন। প্রতিমন্ত্রী এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
সাক্ষাৎকালে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব অসীম কুমার দে, প্রতিমন্ত্রীর একান্ত সচিব মোহাম্মদ আলতাফ হোসেন ও উপসচিব মোহাম্মদ খালেদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
#
ফয়সল/রাহাত/রফিকুল/শামীম/২০২২/১৭০৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১০৮
সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশনকে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলা হবে
-আইসিটি প্রতিমন্ত্রী
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট):
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, আইসিটি বিভাগ প্রযুক্তিগত সহায়তা দিয়ে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)-কে বিশ্বের নেতৃত্বদানকারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তুলবে। এ লক্ষ্যে ৭-১০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করে বিএসইসি’র জন্য বেশ কিছু ডিজিটাল সল্যুশন তৈরি করা হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ রাজধানীতে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ মিলনায়তনে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারে ‘টেক স্টার্টআপ এবং গ্রোথ স্টেজ কোম্পানিগুলোর জন্য সম্ভাবনা এবং সুযোগ’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
পলক বলেন, আইসিটি বিভাগ থেকে সাড়ে ৩০০ স্টার্টআপকে অফেরতযোগ্য ১০ লাখ টাকা করে অনুদান দেয়া হয়েছিল। এদের মধ্যে কিছু কিছু স্টার্টআপ কোম্পানি ৫ বছরেই শত মিলিয়ন ডলারের কোম্পানিতে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশে বর্তমানে ২ হাজার ৫০০ সফল স্টার্টআপ কোম্পানি ১৫ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছে। তিনি বলেন, বিকাশ দেশের প্রথম ইউনিকর্ন হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে। বিশ্ব বিখ্যাত নামকরা বড় বড় ভেঞ্চার ক্যাপিটাল কোম্পানি বাংলাদেশে বিনিয়োগ করছে। গত ৫ বছরে বাংলাদেশ স্টার্টআপে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ এসেছে।
প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫০০ কোটি টাকা দিয়ে স্টার্টআপ কোম্পানি গঠন করে দিয়েছেন। তার মধ্যে ১৫-২০ কোম্পানিতে প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। আগামী ২০২৫ সালের মধ্যে ৫০০ কোটি টাকা দেশের স্টার্টআপ কোম্পানিতে বিনিয়োগ করা হবে। সিড, গ্রোথ, গাইডেড, টার্গেড এই চারস্তরে স্টার্টআপকে বিন্যস্ত করে সহায়তা দেয়া গেলেই আগামীতে স্টার্টআপ কোম্পানিগুলো ডিজিটাল ইকোনমির চালিকা শক্তিতে পরিণত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ লিমিটেডের চেয়ারম্যান মো: ইউনুসুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের চেয়ারম্যান শিবলি রুবাইয়্যাতুল ইসলাম, বিএসইসি কমিশনার শেখ শামসুদ্দিন আহমেদ এবং স্টার্টআপ বাংলাদেশের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সামি আহমেদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন।
#
শহিদুল/মেহেদী/রেজ্জাকুল/মানসুরা/২০২২/১৫৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৩১০৭
একশ টাকা মূল্যমান প্রাইজবন্ডের ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট):
একশ টাকা মূল্যমানের বাংলাদেশ প্রাইজবন্ডের ১০৮তম ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত রোববার ঢাকা বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ ‘ড্র’ অনুষ্ঠিত হয়। ৬ লাখ টাকার প্রথম পুরস্কারের নম্বর ০৫০২৯০৫।
৩ লাখ ২৫ হাজার টাকার দ্বিতীয় পুরস্কারের নম্বর ০৬৮৪৮০১ এবং ১ লাখ টাকা করে দু’টি তৃতীয় পুরস্কারের নম্বর ০০৫৯৮৫১ ও ০৯৬৮৫৭২। প্রতিটি ৫০ হাজার টাকা করে দু’টি চতুর্থ পুরস্কারের নম্বর ০০৭১১০০ ও ০৫৮৪৪৬৯।
এছাড়া, প্রতিটি ১০ হাজার টাকা করে ৪০টি পঞ্চম পুরস্কারের নম্বর: ০০৪৯২৪০, ০০৭৯৭০১, ০১০৪৬৩২, ০১১৩১৭২, ০১৩৫৬৩৫, ০১৫৭১৫৯, ০১৫৯৬০২, ০১৭১১৯৫, ০১৭৯৯৩৯, ০১৯৯১১৯, ০২০৯৩১১, ০২২২৮০১, ০২৩১৮২০, ০২৩৪৫৪৫, ০২৮৭০১৯, ০৩১৭৪৫৮, ০৩৪৯০২২, ০৩৫১১৮১, ০৩৮৮১০৬, ০৩৮৯৫৪০, ০৪১৬৫১০, ০৪২৮১৪০, ০৪৬৫৯৪২, ০৪৭০৪৩৫, ০৫০১৬২৫, ০৫০২৯২৯, ০৫৩৬১৭৩, ০৬২৭২৩৮, ০৬৭২১১২, ০৬৮৩৭৫১, ০৬৯৫৩৪০, ০৭০৯২১৩, ০৭৩১৫৯৫, ০৭৬২৮৫৭, ০৭৮৪৫৮০, ০৮০৩৪৮৮, ০৮০৬৯৭৯, ০৯৩৫৩৫৪, ০৯৭৩৯১৯ ও ০৯৯৬৫৮৮।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
#
নায়িমা/ডালিয়া/মেহেদী/রেজ্জাকুল/মানসুরা/২০২২/১১০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৬
শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৫ আগস্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে জাতীয়ভাবে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ উদ্যাপনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র শেখ কামাল ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের ক্রীড়া জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। দেশ স্বাধীনের পূর্বেই তিনি আবাহনী সমাজকল্যাণ সংস্থা গঠন করেন। মুক্তিযুদ্ধ থেকে ফিরে এসে আবাহনী ক্রীড়াচক্র প্রতিষ্ঠা করেন। ফুটবলের পাশাপাশি আবাহনী ক্রীড়াচক্রের অধীন তিনি হকি, ক্রিকেট এবং টেবিল টেনিস দলও গঠন করেন। তিনি খেলোয়াড়দেরকে আধুনিক পোশাক এবং ক্রীড়াসামগ্রী সরবরাহ করতেন। খেলাধুলায় উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য তিনি স্বাধীন দেশে প্রথম ব্রিটিশ কোচ নিয়োগ করেন। এক পর্যায়ে তিনি আবাহনী ক্রীড়াচক্রের জেলাশাখা প্রতিষ্ঠার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। তিনি খেলোয়াড়দের স্বাবলম্বী করার নানা উদ্যোগ গ্রহণের পাশাপাশি তাঁদের অবসর ভাতা প্রদানেরও পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। সে লক্ষ্যে তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিকট ১০ লাখ টাকা অনুদান নিয়ে ‘খেলোয়াড় কল্যাণ তহবিল’ গঠন করেন।
শেখ কামাল ছিলেন বহুমাত্রিক প্রতিভার অধিকারী, একজন তারুণ্যের রোল মডেল। তিনি একাধারে যেমন দেশের সেরা ক্রীড়া সংগঠক এবং ক্রীড়াবিদ ছিলেন, তেমনি ছাত্র হিসেবেও তিনি ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী। পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি মনেপ্রাণে দেশীয় সংস্কৃতি লালন এবং চর্চা করতেন। খেলাধুলা, সংগীত, অভিনয়, বির্তক, উপস্থিত বক্তৃতা ইত্যাদি প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাঁর অবদান ছিল অনস্বীকার্য। ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’ প্রতিষ্ঠা করে তিনি সংস্কৃতি জগতে অমর হয়ে আছেন। অফুরন্ত প্রাণশক্তির অধিকারী মানুষটি একই সঙ্গে ছিলেন অত্যন্ত বিনয়ী, ভদ্র, নির্লোভ, নিরহংকারী ও সদালাপী। তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে মিশে যেতেন অতি সাধারণ হয়ে। তিনি যেকোনো মানুষের প্রয়োজনে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতেন।
’৭৫-এর ১৫ই আগস্ট এক ঘোর অমানিশায় স্বাধীনতা বিরোধী ঘাতকের দল জাতির পিতাকে সপরিবারে নির্মমভাবে হত্যা করে। সেই কালরাতে ধানমণ্ডি-৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ভবনে ঢুকে খুনিরা প্রথমেই হত্যা করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ কামালকে। কাপুরুষ হন্তারকদের দল শারীরিকভাবে শেখ কামালকে হত্যা করলেও বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার অভিযাত্রায় তাঁর প্রদর্শিত পথ, আদর্শ এবং দিক-নির্দেশনা আজও এক অনুকরণীয় মডেল। তিনি আমাদের মাঝে অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে সদাজাগ্রত আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন। আজ তাঁর ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁকে গভীর মমতা এবং স্নেহপরশের মধ্য দিয়ে স্মরণ করছি। আমার বিশ্বাস, শেখ কামাল-এর আদর্শ ও প্রদর্শিত পথ অনুসরণ করে অচিরেই আমাদের ক্রীড়াঙ্গন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে সাফল্যের শিখড়ে অধিষ্ঠিত হবে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর অবদানকে স্মরণীয় রাখার লক্ষ্যে এবং তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধার নিদর্শনস্বরূপ ক্রীড়ার বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন আজ তাদেরকে ‘শেখ কামাল জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ পুরস্কার-২০২২’ প্রদান করা হচ্ছে। এ মহতী উদ্যোগ গ্রহণের জন্য যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কে আমি আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আমি বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামাল-এর ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল অনুষ্ঠানের সর্বাঙ্গীণ সফলতা কামনা করি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
সরওয়ার/ডালিয়া/মেহেদী/রবি/রেজ্জাকুল/সাজ্জাদ/মাসুম/২০২২/১১৪৫ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৩১০৫
শেখ কামালের জন্মবার্ষিকীতে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ২০ শ্রাবণ (৪ আগস্ট) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৫ আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জ্যেষ্ঠ পুত্র বীর মুক্তিযোদ্ধা শহিদ ক্যাপ্টেন শেখ কামালের ৭৩তম জন্মবার্ষিকীতে আমি তাঁর স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় তৃতীয় বারের মতো বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দিবসটি উদ্যাপনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত।
শহিদ শেখ কামাল দেশের খেলাধুলা ও সংস্কৃতি জগতের এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। পড়াশোনা, সংগীতচর্চা, অভিনয়, বিতর্ক, উপস্থিত বক্তৃতা থেকে শুরু করে বাংলা ও বাঙালির সংস্কৃতিকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার চেষ্টায় স্বাধীনতার পর শেখ কামাল বন্ধুদের নিয়ে প্রতিষ্ঠা করেন নাট্যদল ‘ঢাকা থিয়েটার’ এবং আধুনিক সংগীত সংগঠন ‘স্পন্দন শিল্পীগোষ্ঠী’। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রীড়া ও নাট্যাঙ্গনে তিনি ছিলেন সুপরিচিত সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও ক্রীড়া সংগঠক। প্রকৃতপক্ষে শেখ কামাল ছিলেন একজন ক্রীড়া ও সংস্কৃতিমনা সুকুমার মনোবৃত্তির মানুষ। আবাহনী ক্র