Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 19/12/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                         নম্বর : ৩৩৯২
 
বাজার তদারকি
৩৬ প্রতিষ্ঠানকে ১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা
 
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়াধীন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে গতকাল রাজশাহী, মৌলভীবাজার, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ, দিনাজপুর, কিশোরগঞ্জ, মাগুরা, নোয়াখালী, শেরপুর, মুন্সীগঞ্জ ও পটুয়াখালীতে বাজার তদারকি করা হয়।
দেশব্যাপী ১১টি জেলায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, পণ্যের মোড়কে এমআরপি লেখা না থাকা, মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, খাদ্যপণ্যে নিষিদ্ধ দ্রব্যের মিশ্রণ, প্রতিশ্রুত পণ্য বা সেবা যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা, ভেজাল পণ্য বা ঔষধ বিক্রয়, বাটখারা বা ওজন পরিমাপক যন্ত্রের কারচুপি, ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রয়, সেবাগ্রহীতার জীবন বা নিরাপত্তা বিপন্নকারী কার্য, অবহেলা দ্বারা সেবাগ্রহীতার অর্থ, স্বাস্থ্য, জীবনহানি ঘটানো, পণ্যের মূল্যের তালিকা প্রদর্শন না করার অপরাধে ২৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৯৭ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
অন্যদিকে লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ধার্য্যকৃত মূল্যের অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি, অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যপণ্য তৈরি, মিথ্যা বিজ্ঞাপন দ্বারা ক্রেতা সাধারণকে প্রতারিত করার অপরাধে ৯টি প্রতিষ্ঠানকে ৫১ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় এবং ৯ জন অভিযোগকারীকে জরিমানার ২৫ শতাংশ হিসেবে ১২ হাজার ৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়। 
গত ১৮ ডিসেম্বর ১১টি বাজার তদারকি ও ৯টি লিখিত অভিযোগ নিষ্পত্তির মাধ্যমে ৩৬টি প্রতিষ্ঠানকে মোট 
১ লাখ ৪৮ হাজার টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়। আদায়কৃত জরিমানা হতে ৯ জন অভিযোগকারীকে ১২ হাজার ৭৫০ টাকা প্রদান করা হয়। 
সংশ্লি¬ষ্ট জেলা প্রশাসন, জেলা পুলিশ, সিভিল সার্জন, মৎস্য কর্মকর্তা, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাজার কর্মকর্তা, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর, শিল্প ও বণিক সমিতির প্রতিনিধি এবং কনজিউমারস এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশ (ক্যাব) এসব তদারকি কার্যে সহায়তা প্রদান করেন। 
#
আফরোজা/মাহমুদ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০১৮/১৯৩০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৯১

কদমতলী স্টিল মিলের দগ্ধ শ্রমিকদেরকে সাড়ে তিন লাখ টাকা প্রদান

ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
        বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে আজ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন রাজধানীর কদমতলী স্টিল মিলের চুল্লি (ফার্নেস) বিস্ফোরণে দগ্ধ শ্রমিকদেরকে চিকিৎসা সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। কল-কারখানা ও প্রতিষ্ঠান অধিদপ্তরের আঞ্চলিক কার্যালয়, ঢাকার উপমহাপরিদর্শক মোঃ জাকির হোসেন বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন সাত জন শ্রমিকের স্বজনদের হাতে তাৎক্ষণিক অনুদান হিসেবে নগদ ৫০ হাজার করে মোট সাড়ে তিন লাখ টাকা তুলে দেন।
      শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল থেকে তাৎক্ষণিক অনুদান প্রাপ্ত সাত জন শ্রমিক হলেন : মোঃ আফসার আলী, আল আমিন, শাহ আলম, লতিফ মিয়া, মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজ হাওলাদার এবং লাবু মিয়া।
     গত ১৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর শ্যামপুরে কদমতলী স্টিল মিলস লিমিটেডে লোহা গালা চুল্লিতে (ফার্নেস) বিস্ফোরণে আট জন শ্রমিক দগ্ধ হয়। অগ্নিদগ্ধ শ্রমিকদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেলের বার্র্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। এদের মধ্যে মোঃ আব্দুল মান্নানকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। 
#
আকতারুল/মাহমুদ/পারভেজ/জয়নুল/২০১৮/১৮১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                    নম্বর : ৩৩৯০

জাপানে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস পালন

জাপান (টোকিও) ১৯ডিসেম্বর  :

জাপানে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদ্‌যাপন করেছে টোকিওস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস। জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা জাপান প্রবাসী বাংলাদেশিসহ সকল অভিবাসীকে দেশের উন্নয়নে ও সুনাম বৃদ্ধিতে আরো বেশি দেশপ্রেম, নিষ্ঠা ও সততার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান।

আজ দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে করে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী প্রদত্ত বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা তাঁর স্বাগত বক্তব্যে জাপান প্রবাসী অভিবাসীদের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করায় ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অভিবাসী দিবসের এ বছরের প্রতিপাদ্য 'অভিবাসী অধিকার–মর্যাদা ও ন্যায় বিচার' অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী হয়েছে।

দিবসটির তাৎপর্য ও গুরত্ব তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের জনসংখ্যাকে জনসম্পদে রূপান্তর করতে এবং অভিবাসীদের কল্যাণে সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা উল্লেখ করেন। এছাড়া জাপানে বাংলাদেশি প্রবাসীদের বর্তমান ও ভবিষ্যৎ এবং জাপান সরকার ঘোষিত নতুন অভিবাসন আইনের নানা দিক নিয়ে আলোকপাত করেন রাষ্ট্রদূত।

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি অভিবাসীদের সম্ভাবনা ও সার্থকতা নিয়ে একটি ভিডিও ডকুমেন্টরি দেখানো হয়।

পরবর্তী অংশে, উপস্থিত অভিবাসীদের সাথে মুক্ত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় জাপানে কীভাবে বাংলাদেশি অভিবাসীর সংখ্যা বৃদ্ধি করা যায়, অভিবাসীদের সমস্যা দূর করার উপায় এবং কীভাবে দেশে বৈধ পথে এবং সহজে আরো বেশি রেমিটেন্স পাঠানো যায় ইত্যাদি বিষয় উঠে আসে। অভিবাসীগণ জাপানে পড়তে আসা ছাত্রছাত্রীদের আসার পথ সুগম করা এবং পড়াশেষে কাজ করার বিষয়ে দূতাবাসের সহযোগিতা কামনা করেন। জবাবে রাষ্ট্রদূত সার্বিক সহযোগিতার আশ্বাস দেন এবং অনেক বছর ধরে অবস্থান করা অভিবাসীদেরও এ ব্যাপারে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

দূতাবাসের সকল কর্মকর্তাগণ ও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশি এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

#

শিপলু/অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৮/১৫৩০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৮৯ 
সিউলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস উদ্যাপন
কোরিয়া (সিউল), ১৯ ডিসেম্বর :
যথাযোগ্য মর্যাদায় ১৮ ডিসেম্বর বাংলাদেশ দূতাবাস, সিউলে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস ২০১৮ উদ্যাপন করা হয়। জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তরা রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, প্রবসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ও মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব প্রদত্ত বাণী পাঠ করেন।  
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম বলেন, নিরাপদ অভিবাসনেরক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্জন অসামান্য এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসী নীতি প্রণয়নে বাংলাদেশ সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। বিগত ডিসেম্বর ২০১৬-তে ঢাকায় অনুষ্ঠিত পাঁচ দিনব্যাপী এষড়নধষ ঋড়ৎঁস ড়হ গরমৎধঃরড়হ ধহফ উবাবষড়ঢ়সবহঃ এর নবম শীর্ষ সম্মেলনের এষড়নধষ ঈড়সঢ়ধপঃ গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছিল বলে তিনি জানান। তাছাড়া মরক্কো সম্মেলন ২০১৮ তে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদল অত্যন্ত সক্রিয় ভূমিকা পালন করে যেখানে ১৫০টি দেশের সম্মতিক্রমে জাতিসংঘ এষড়নধষ চধপঃ ভড়ৎ ঝধভব ঙৎফবৎষু ধহফ জবমঁষধৎ গরমৎধঃরড়হ অনুমোদন করে। 
রাষ্ট্রদূত আরো বলেন, বর্তমানে ১৬৮টি দেশে প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছে। নিয়মিত রেমিট্যান্স প্রেরণের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে তাদের অবদান অসামান্য। তিনি দক্ষিণ কোরিয়ায় বসবাসরত সকল বাংলাদেশি কর্মীদের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানোর পাশাপাশি বিভিন্ন জনকল্যাণমূলক এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে তাদের স্বত্বঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণকে সাধুবাদ জানান।     
অনুষ্ঠানের শেষপর্যায়ে বৈধপথে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য সচেতনতামূলক নাটিকা ‘হুন্ডি’ প্রদর্শন করা হয়। 
#
অনসূয়া/জসীম/আসমা/২০১৮/১৫৩০ ঘণ্টা 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৮৮ 
নৌযানের ফিটনেস ও লাইসেন্স প্রদানে সচেতন থাকতে নৌপরিবহন সচিবের নির্দেশ
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
নৌপরিবহন সচিব মোঃ আবদুস সামাদ বলেছেন, আইনবিধি মেনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করতে হবে। সরকারি চাকুরির আচরণ ও শৃংখলা মেনে সেবা গ্রহীতাকে দ্রুত সেবা প্রদান করতে তিনি কর্মকর্তাদের অনুরোধ জানান। 
তিনি আজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের সহকারি পরিচালক ও পরিদর্শকদের এক ওরিয়েন্টেশন কর্মসূচির উদ্বোধন অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। 
সচিব বলেন, নৌপরিবহন অধিদফতর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা। এ দফতরের উল্লেখযোগ্য কার্যক্রমের মধ্যে নৌযানের সার্ভে করা, ডিজাইন প্রদান, ডিজাইনের মাননিয়ন্ত্রণ, ইন্টারন্যাশনাল মেরিটাইম অর্ডিন্যান্স 
এবং ইনল্যান্ড শিপিং অর্ডিন্যান্স এর রুলস ও রেগুলেশন অনুযায়ী জাহাজ চলাচল ইত্যাদি। এসকল ক্ষেত্রে বিশেষ করে নৌযানের ফিটনেস ও চালকদের লাইসেন্স প্রদানের বিষয়ে অধিকতর সচেতন থাকতে তিনি কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
ওরিয়েন্টেশন কোর্সে নৌপরিবহন অধিদপ্তর, নাবিক ও প্রবাসী শ্রমিক কল্যাণ পরিদপ্তর এবং সরকারি শিপিং অফিসের ৩৫ জন কর্মকর্তা অংশ নেয়। কোর্সে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সার্বিক কার্যক্রম, পদের দায়িত্বাবলী, সরকারি চাকুরির আচার-আচরণ, শৃংখলা ও সেবা গ্রহীতাকে দ্রুত সেবা প্রদানসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য বিষয়ে ধারণা প্রদান করা হয়। 
অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান তপন কুমার চক্রবর্তী, বিআইডব্লিউটিসি’র চেয়ারম্যান মোঃ মফিজুল হক, বিআইডব্লিউটিএ’র চেয়ারম্যান কমডোর এম মোজাম্মেল হক ও নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। 
#
জাহাঙ্গীর/অনসূয়া/জসীম/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১২৩০ ঘণ্টা
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৮৭ 
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন : 
“বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ২২৩ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী আধাসামরিকবাহিনী। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর ভূমিকা অবিস্মরণীয়। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ইপিআর ওয়্যারলেসের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে পৌঁছে যায়। বঙ্গবন্ধুর আহ্বানে সাড়া দিয়ে আপামর জনসাধারণের সঙ্গে এ বাহিনীর সদস্যরা মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন। মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ বীরত্ব প্রদর্শনের জন্য এ বাহিনীর দু’জন বীরশ্রেষ্ঠসহ ১১৯ জন সদস্য খেতাবপ্রাপ্ত হয়েছেন। এছাড় ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য মুক্তিযুদ্ধে জীবন উৎসর্গ করেছেন। এ বাহিনীর ‘স্বাধীনতা পদক’ অর্জন মুক্তিযুদ্ধে বিশেষ অবদানেরই অনন্য স্বীকৃতি। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার জন্য দায়িত্বপালনকালে এ বাহিনীর যে সকল সদস্য শাহাদত বরণ করেছেন আমি তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি।
‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ খ্যাত বিজিবি সদস্যরা দেশের সীমান্তের নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান, নারী ও শিশু এবং মাদকদ্রব্য পাচার প্রতিরোধ, দেশের অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় প্রশাসনকে সহায়তা প্রদানসহ সরকার অর্পিত অন্যান্য দায়িত্বপালনে প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছেন। আমরা এ বাহিনীকে একটি আধুনিক বাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ পাশ করেছি। বিজিবি’র নতুন সাংগঠনিক কাঠামো ও জনবলের প্রাধিকার বৃদ্ধিসহ পদবি কাঠামো পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে। বাহিনীর কর্মকা-ে গতিশীলতা বৃদ্ধির জন্য ৫টি রিজিয়ন সৃজনের মাধ্যমে কমান্ড স্তর বিকেন্দ্রীকরণ করা হয়েছে। নতুন ৪টি সেক্টর ও ১৭টি ব্যাটেলিয়ন সৃজন করা হয়েছে। ২০০৯ সাল থেকে এ যাবত ৩৮৪ জন নারী সৈনিকসহ ২৬ হাজারের অধিক জনবল নিয়োগ করা হয়েছে। সর্বনি¤œ পদ থেকে সুবেদার মেজর পর্যন্ত সদস্যদের সীমান্ত ভাতা প্রদান, অগ্রিম বেতনসহ দু’মাসের ছুটি ভোগের সুবিধা, রেশন, চিকিৎসা ও আবাসন সুবিধা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বিজিবি’র সার্বিক কল্যাণে বিজিবি কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন এবং ‘সীমান্ত ব্যাংক’ স্থাপন করা হয়েছে। বিজিবিকে একটি ত্রিমাত্রিক আধুনিকবাহিনীতে রূপান্তরের অংশ হিসেবে এয়ার উইং সৃজন করা হয়েছে। এ বাহিনীকে বিশ্বমানের সীমান্তরক্ষীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে আমাদের সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
আমি আশা করি, এ বাহিনীর প্রতিটি সদস্য দেশপ্রেম ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সততা, নিষ্ঠা ও শৃঙ্খলার সঙ্গে তাঁদের ওপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুণœ রাখবেন।
আমি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর সার্বিক সাফল্য এবং উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরুল/অনসূয়া/জসীম/সেলিনা/আসমা/২০১৮/১১০০ ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৮৬                             
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ৫ পৌষ (১৯ ডিসেম্বর) : 
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ২০ ডিসেম্বর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দিবস-২০১৮ উপলক্ষে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 
‘সীমান্তের অতন্দ্র প্রহরী’ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ দু’শ তেইশ বছরের একটি ঐতিহ্যবাহী আধাসামরিকবাহিনী। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে এ বাহিনীর অবিস্মরণীয় অবদান জাতি চিরদিন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে। মুক্তিযুদ্ধে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ এবং বীরশ্রেষ্ঠ মুন্সী আব্দুর রউফসহ এ বাহিনীর ৮১৭ জন অকুতোভয় সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। মুক্তিযুদ্ধে গৌরবময় অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৮ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধসহ দেশমাতৃকার প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে বিজিবি’র যে সকল সদস্য আত্মত্যাগ করেছেন আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।  
সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান, মাদক, নারী ও শিশু পাচার প্রতিরোধসহ সন্ত্রাস দমন, শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষা ও দুর্যোগকালীন উদ্ধার কর্মকা-ে ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ’ এর ভূমিকা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। বিজিবিকে একটি আধুনিক সীমান্তরক্ষীবাহিনী হিসেবে গড়ে তুলতে সরকার প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ আইন-২০১০’ পাশের মাধ্যমে এ বাহিনীর সার্বিক কর্মকা-ে গতি সঞ্চারিত হয়েছে। এছাড়া সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ বিজিবি’র অব্যাহত অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
বিজিবি’র সকল সদস্য দেশের স্বার্থ সমুন্নত রাখতে সর্বোচ্চ নিষ্ঠা, আন্তরিকতা ও পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্বপালন করবেন-এটাই সকলের প্রত্যাশা। আমি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ-এর অব্যাহত সাফল্য কামনা করি।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/অনসূয়া/জসীম/সেলিনা/সুবর্ণা/আসমা/২০১৮/১১০০ ঘণ্টা 
 
Todays handout (3).docx