তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯৮
সাভারে পাঁচ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন, জরিমানা আদায়
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
আজ সাভারে পাঁচ শতাধিক অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন ও জরিমানা আদায় করেছে তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ।
সাভারের হেমায়েতপুর ও জয়নাবাড়ি এলাকায় এই অভিযান শুরু হয়ে বিকেল পর্যন্ত চলে। অভিযানের নেতৃত্ব দেন জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন রায়। দিনব্যাপী অভিযানে ৩ শতাধিক বাসা-বাড়ির ৫ শতাধিক গ্যাস বার্নার এর অবৈধ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এ সময় প্রায় এক কিলোমিটার অবৈধ লাইনসহ প্রায় ২০০ মিটার পাইপ অপসারণ করা হয়েছে।
গ্যাস বিল বকেয়ার জন্য ৫টি, অনুমোদন অতিরিক্ত চুলা ব্যবহার করায় ১০টি এবং অবৈধ সংযোগ থাকায় ১১টি-সহ মোট ২৬টি আবাসিক সংযোগও বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। এছাড়া নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে ফাইজা ওয়াশ কারখানাকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ গ্রহণ করায় এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।
জেলা প্রশাসন, ঢাকা ও উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত রেখে উক্ত অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
#
শফিউল্লাহ/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯৭
প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করতে কাজ করছে সরকার
-- সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, প্রতিবন্ধীরা সমাজের বোঝা নয, বিশেষ মেধা সম্পন্ন ব্যক্তি। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উপযুক্ত পরিবেশ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করা হলে আগামী দিনের বাংলাদেশ গঠনে তারাও ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারবে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে সমাজের মূল স্রোতধারায় সম্পৃক্ত করে সমৃদ্ধিশীল সমাজ বিনির্মাণের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোই বর্তমান সরকারের উদ্দেশ্য।
আজ রাজধানীর মিরপুরে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনে ৩৩তম আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও ২৬তম জাতীয় প্রতিবন্ধী দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা বলেন, সঠিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীর প্রতিভার বিকাশ ঘটাতে পারলে তারা সমাজ ও অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে সক্ষম হবে। এ লক্ষ্যে সকল প্রতিবন্ধী ব্যক্তির উন্নয়নে সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সমন্বিতভাবে কাজ করছে। তিনি আরো বলেন, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিগণের সুরক্ষা ও অধিকার বাস্তবায়নের জন্য প্রতিবন্ধী ব্যক্তির অধিকার ও সুরক্ষা আইন, ২০১৩, নিউরো ডেভেলপমেন্টাল প্রতিবন্ধী সুরক্ষা ট্রাস্ট আইন, ২০১৩ এবং জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন আইন, ২০২৩ প্রণয়ন করা হয়েছে।
শারমীন এস মুরশিদ জানান, প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের দরিদ্রতা ও সমস্যার কথা বিবেচনা করে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা, প্রতিবন্ধী শিক্ষা-উপবৃত্তি, আর্থিক অনুদান, শিক্ষা, কারিগরি প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা চালু রয়েছে। প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিনামূল্যে থেরাপিউটিক সেবা এবং সহায়ক উপকরণ প্রদানের জন্য জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের অধীনে ১০৩টি প্রতিবন্ধী সেবা ও সাহায্য কেন্দ্র চালু করা হয়েছে। পাশাপাশি, দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রতিবন্ধী জনগোষ্ঠীকে ৪৫টি মোবাইল থেরাপি ভ্যানের মাধ্যমে ভ্রাম্যমাণ ওয়ান স্টপ থেরাপি সার্ভিস সেবা, অটিজম রিসোর্স সেন্টার, কর্মজীবী পুরুষ ও মহিলা হোস্টেল, পিতৃ-মাতৃহীন প্রতিবন্ধী শিশু নিবাস, ৭৪টি বুদ্ধি প্রতিবন্ধী বিদ্যালয়, ১২টি স্পেশাল স্কুল ফর চিলড্রেন উইথ অটিজম পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন ব্যক্তিদের জন্য সাভারে ১২.০১ একর জমির উপর ক্রীড়া কমপ্লেক্স নির্মাণ কার্যক্রম চলমান আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
আলোচনা সভায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোঃ মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নার্গিস খানম এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তৃতা করেন। স্বাগত বক্তৃতা করেন জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিজয় কৃষ্ণ দেবনাথ।
পরে উপদেষ্টা বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে বিশেষ অবদানে সফল ২০ জন প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের মধ্যে নগদ সহায়তা ও ক্রেস্ট প্রদান করেন।
দিবসটি উপলক্ষ্যে জাতীয় প্রতিবন্ধী উন্নয়ন ফাউন্ডেশন চত্বরে ৩ ডিসেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর ২০২৪ পর্যন্ত প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের উন্নয়ন মেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
#
রফিকুল/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বরঃ ১৮৯৬
পানি, ভূমি, খাদ্য ও পরিবেশের আইনি স্বীকৃতি দিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান
-- পরিবেশ উপদেষ্টা
রিয়াদ (সৌদি আরব), ডিসেম্বর ৩:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, পানি, ভূমি, খাদ্য ও পরিবেশের আইনি স্বীকৃতির জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও কৃষি রাসায়নিকের সীমান্ত অতিক্রমের নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যথাযথ নজরদারি প্রয়োগের ওপরও গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, আর্থিক সহায়তা, প্রযুক্তি স্থানান্তর ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে জনগণের সমর্থন জরুরি, তবে এই সহায়তা পানি নির্ভর শিল্প বা অস্থিতিশীল কৃষি পদ্ধতির জন্য বন্ধ করতে হবে।
পরিবেশ উপদেষ্টা আজ সৌদি আরবের রিয়াদে চলমান ইউনাইটেড নেশনস কনভেনশন টু কমব্যাট ডেসার্টিফিকেশন' এর কপ১৬ এর ‘ফরমাল স্টেটমেন্ট’ অধিবেশনে বাংলাদেশের পক্ষে ন্যাশনাল স্টেটমেন্ট প্রদানকালে এসব কথা বলেন।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, নিম্ন অববাহিকা অঞ্চলের দেশ হিসেবে বাংলাদেশ নদী অববাহিকা ব্যবস্থাপনায় আঞ্চলিক সহযোগিতা চায়। তিনি আশা প্রকাশ করেন যে ইউএনসিসিডি কপ১৬ ভূমি অবক্ষয়মুক্ত বিশ্বের লক্ষ্যে বৈশ্বিক ও জাতীয় পর্যায়ে সঠিক রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণে সহায়ক হবে।
বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন, মাত্র ১৪ দশমিক ৮ মিলিয়ন হেক্টর ভূমি দিয়ে ১৭০ মিলিয়ন মানুষের খাদ্য নিশ্চিত করতে হয়, যা বিশ্বের অন্যতম নিম্ন ভূমি প্রাপ্যতার দেশ। তিনি সতর্ক করেন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে ২০৫০ সালের মধ্যে দেশের এক-তৃতীয়াংশ ভূমি হারিয়ে যেতে পারে, যা খাদ্য নিরাপত্তায় আরো সংকটে ফেলবে। অতিরিক্ত ভূগর্ভস্থ পানি ও কৃষি রাসায়নিক ব্যবহারে ভূমি দূষণ বেড়েছে।
উপদেষ্টা আরো বলেন, সক্রিয় ডেল্টা অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশ প্রতি বছর নদী ভাঙনের কারণে ১০ লাখের বেশি মানুষ গৃহহীন হয়। দেশে প্রতিবছর ২ দশমিক ৬ শতাংশ বনভূমি হারায়, যা বৈশ্বিক গড়ের দ্বিগুণ। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা গত তিন দশকে বিপজ্জনক পর্যায়ে পৌঁছেছে। উপরন্তু, ৫৭টি আন্তঃসীমান্ত নদীতে পানির প্রবাহ কমে যাওয়া এবং নদীর গতিপথ পরিবর্তনের ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতা বেড়েছে।
পরিবেশ উপদেষ্টা বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি পরিবেশ ও জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় যৌথভাবে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, অভিযোজন সীমাবদ্ধতার কথা বিবেচনা করে পৃথিবীকে রক্ষায় এবং তাপমাত্রা ১ দশমিক ৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে উচ্চাভিলাষী পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।
পরিবেশ সচিব ড. ফারহিনা আহমেদও এ অধিবেশনে উপস্থিত ছিলেন।
#
দীপংকর/পবন/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/২০১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯৯৫
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার সাথে জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধির সাক্ষাৎ
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
অন্তর্বর্তী সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম, বীর প্রতীক- এর সাথে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গোয়েন লুইস সাক্ষাৎ করেন।
আজ দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ উপদেষ্টার অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
গোয়েন লুইস তার বক্তব্যের শুরুতেই উপদেষ্টাকে ফেনীসহ দেশের পূর্বাঞ্চলের সাম্প্রতিক বন্যা মোকাবিলা-সহ সার্বিক দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় তাঁর নেতৃত্বের জন্য ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, উন্নয়ন সহযোগীদের একটি দল কিছুদিনের মধ্যে বাংলাদেশে আসবে। তারা বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি কার্যক্রম এবং মাইগ্রেশনের বিষয়ে সহযোগিতা করতে আগ্রহী। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এক্ষেত্রে উদ্যোগী মন্ত্রণালয় হিসেবে এ সংক্রান্ত প্রকল্প প্রস্তাব গ্রহণ করতে পারে বলে তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
উপদেষ্টা জাতিসংঘসহ অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের বাংলাদেশে তাদের ভূমিকা বিশেষত দুর্যোগ মোকাবিলায় সহায়তায় জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং সার্বিক সমন্বয়কের দায়ি়ত্ব পালন করায় UNHCR কে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, অন্যান্য দুর্যোগে আগাম প্রস্তুতির সুযোগ থাকলেও ভূমিকম্প মোকাবিলায় এ সুযোগ খুবই কম। এ ক্ষেত্রে উদ্ধার কার্যক্রমের যথাযথ প্রস্তুতি এবং সেচ্ছাসেবকগণের প্রশিক্ষণের বিষয়ে মন্ত্রণালয় কাজ করছে। এ বিষয়ে উন্নয়ন সহযোগীদের সম্পৃক্ত করতে UNRC ভূমিকা রাখতে পারে। তাছাড়া Earth Warning এর বিষয়েও যৌথভাবে কাজ করার জন্য উভয়পক্ষ একমত পোষণ করেন।
এছাড়াও বৈঠকে রোহিঙ্গা শরণার্থী বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।
এসময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ কামরুল হাসান, এনডিসিসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
#
এনায়েত/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯৪
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সভাকক্ষে বোর্ড অব গভর্নরসের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
এ সভায় বিগত ১৫ বছরে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের অনিয়ম-দুর্নীতি তদন্তের জন্য সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ইসলামিক ফাউন্ডেশনের শূন্যপদে জনবল নিয়োগ, বায়তুল মুকাররম জাতীয় মসজিদের দোকান ভাড়া যৌক্তিকীকরণ, প্রকাশনা বিভাগকে পুনরুজ্জীবিত করাসহ এ ফাউন্ডেশনের কার্যক্রমকে গতিশীল করার বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়।
ইসলামিক ফাউন্ডেশন বোর্ড অব গভর্নরসের চেয়ারম্যান ও ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বোর্ড অব গভর্নরসের গভর্নর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এস এম এ ফয়েজ, ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব এ কে এম আফতাব হোসেন প্রামাণিক, ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান প্রফেসর মুহাম্মদ শাহ আলমগীর এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে জুলাই বিপ্লবে শহিদদের রুহের মাগফিরাত ও আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
#
আবুবকর/পবন/রানা/মোশারফ/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৯৯৩
সরকারি নথিসমূহ নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে
--- ভূমি উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
ভূমি এবং বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, ভুমি মন্ত্রণালয় তৃণমূল মানুষের আশা-আকাক্সক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার ভূমি ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমকে সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে পরিকল্পিত উপায়ে কাজ করছে। তিনি বলেন, যাতে জনগণের কল্যাণে ব্যাঘাত না ঘটে, সেজন্য সরকারি নথিসমূহের কার্যক্রম নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে।
ভূমি উপদেষ্টা আজ ভূমি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মন্ত্রণালয়ের ২০২৪-২৫ অর্থবছরের উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মাসিক অগ্রগতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, ভূমি মন্ত্রণালয় নাগরিকদের জন্য দক্ষ, স্বচ্ছ ও জনবান্ধব ভূমিসেবা প্রদানে তথ্য-প্রযুক্তি ভিত্তিক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এতে করে মানুষকে কোন মধ্যস¦ত্বভোগী কারো কাছে না গিয়ে ঘরে বসে নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর পরিশোধ, হোল্ডিং ট্যাক্স ও দাখিলা প্রাপ্তির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রকল্প কর্মকর্তাদেরকে প্রকল্প কাজে নিয়মিত তদারকি, নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে সম্পাদন ও কাজের গুণগত মান বজায় রেখে জনকল্যাণ নিশ্চিতকরণের পরামর্শ দেন।
ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদের সভাপতিত্বে ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান এ. জে. এম. সালাহউদ্দিন নাগরী ও ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান মুহম্মদ ইব্রাহিমসহ মন্ত্রণালয় ও অধীনস্ত বিভিন্ন দপ্তর-সংস্থার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
আহসান/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯৫০ঘণ্টা
Handout Number: 1892
Bangladesh urges global community for legal recognition
of water, land, food, and the environment at UNCCD COP16
Riyadh (Saudi Arabia), December 3:
Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change of Bangladesh, urges the global community for legal recognition of water, land, food, and the environment. She highlighted the importance of regulating international trade and the transboundary movement of agrochemicals through due diligence in production processes. She further stressed that public support for financing, technology transfer, and capacity building is vital, but such support should not extend to water-intensive industries or unsustainable agricultural practices.
Environment Advisor said this while delivering at the Formal Statements session of the ongoing UNCCD COP16, held Today, emphasizing the urgent need for global action to combat desertification and achieve environmental justice.
In her speech, Rizwana Hasan said as a lower riparian nation, Bangladesh seeks regional cooperation for river basin management and hopes UNCCD COP16 will guide global and national political visions towards achieving a land degradation-neutral world.
Highlighting Bangladesh's challenges, Rizwana Hasan noted that the country must feed 170 million people with just 14.8 million hectares of land, one of the world’s lowest per capita land availabilities. She warned that rising sea levels (SLR) could result in the loss of one-third of the country’s land mass by 2050, exacerbating food insecurity. Excessive use of groundwater and agrochemicals for high-yield rice production has also caused severe land contamination.
Rizwana Hasan shed light on Bangladesh’s vulnerability as an active delta. Annual river erosion displaces over 1 million people, while the country loses 2.6% of its forests annually—double the global average. Coastal salinity has surpassed critical levels over the past three decades, and reduced water flows in 57 transboundary rivers due to upstream diversions have aggravated waterlogging and river flow issues, intensifying the nation’s challenges.
She urged the global community to act collectively for environmental and climate justice, addressing the huge finance gap in adaptation. “Recognizing the limits to adaptation, ambitious mitigation action is imperative to save the planet and limit temperature rise to 1.5°C,” she stated.
Bangladesh reaffirmed its commitment to working with the global community for a sustainable future, calling for actionable outcomes from COP16 to combat desertification and ensure climate resilience.
Environment Secretary Dr. Farhina Ahmed was also present on the occasion.
#
Dipankar/Paban/Rana/Ferdows/Mosharaf/Salim/2024/1940 Hours
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯১
স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সভা অনুষ্ঠিত
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
স্বাস্থ্যসেবাকে জনমুখী, সহজলভ্য ও সার্বজনীন করতে প্রয়োজনীয় সংস্কার এর জন্য গঠিত ‘স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশন’-এর সভা আজ বিএসএমএমইউ কনভেনশন হলে অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কমিশনের প্রধান জাতীয় অধ্যাপক এ কে আজাদ খান। সভায় স্বাস্থ্যখাত সংস্কার কমিশনের সকল সদস্য উপস্থিত ছিলেন। সভায় স্বাস্থ্য সেবা দেশব্যাপী ছড়িয়ে দেওয়ার বিষয়ে বিষদ আলোচনা হয়।
তাছাড়া সভায় বিভিন্ন অংশীজনের সাথে পর্যায়ক্রমে মতবিনিময় করা, প্রস্তাবিত ‘স্বাস্থ্য সেবা ও সুরক্ষা অধ্যাদেশ, ২০২৪’ এবং প্রস্তাবিত ‘৫ম স্বাস্থ্য পুষ্টি ও জনসংখ্যা সেক্টর কর্মসসূচি (৫ম এইচপিএনএসপি)’ এর বিষয়ে আলোচনা হয়।
#
শাহাদাত/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৮৫৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৯০
সেন্টমার্টিনকে বর্জ্য মুক্ত করতে সরকারি-বেসরকারি
সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করেছে পরিবেশ মন্ত্রণালয়
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ ও বাস্তুসংস্থান রক্ষার জন্য বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্স এর সহযোগিতায় দ্বীপে প্লাস্টিকের ব্যবহার কমাতে কাজ করার উদ্যোগ নিয়েছে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়। এলক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সভাপতিত্বে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের সাথে একাধিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যায়ক্রমে একক ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা এবং কার্যকর বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ব্যবস্থা স্থাপনের জন্য একটি কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, পর্যায়ক্রমিক বাস্তবায়ন পদ্ধতিতে মাল্টি-স্টেকহোল্ডার মডেলের মাধ্যমে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব নিশ্চিত করা হবে, যা দ্বীপের স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী এবং জেলেদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করবে। একাজে বাংলাদেশ সাসটেইনেবিলিটি অ্যালায়েন্সের সদস্য হিসেবে ব্র্যাক, ইউনিলিভার ও প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কাজ করবে।
প্রাথমিকভাবে দ্বীপটিতে যুবসমাজকে নিয়ে পরিচ্ছন্নতা অভিযান, প্লাস্টিক দূষণের সমস্যা সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ানো এবং স্থানীয়দের এই কর্মসূচিতে সম্পৃক্ত করতে নানাবিধ সচেতনতামূলক কার্যক্রম সম্পন্ন করা হবে। বর্জ্য উৎপাদন হ্রাসকরণ এবং সংগৃহীত বর্জ্য যথাযথ ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে সার্কুলার ইকোনমিক ধারণা বাস্তবায়ন করা হবে। দ্বীপে নিয়মিত বর্জ্য সংগ্রহ, পৃথকীকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণের জন্য বিদ্যমান ব্যবস্থাকে শক্তিশালীকরণ এবং উন্নত করার মাধ্যমে শূন্য-বর্জ্য ধারণাকে বাস্তবায়ন করা হবে।
হোটেল কর্মী, পরিবহন কর্মীসহ স্থানীয় সকল শ্রেণিপেশার জনগণের মতামত নিয়ে একটি সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। পাশাপাশি, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি নিয়ে একটি উপদেষ্টা কমিটি গঠন করা হবে। টেকসই ব্যবস্থাপনার জন্য একটি কার্যকর এসইউপি ব্যবস্থাপনার জন্য স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে কথোপকথন, অভিজ্ঞতা ভাগাভাগি এবং সমন্বিত কর্মের সুবিধার্থে একটি সহযোগিতা কেন্দ্র স্থাপন করা হবে। এই কেন্দ্রটি টেকসই অনুশীলনের পরিকল্পনা, পর্যবেক্ষণ এবং প্রচারের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।
এই উদ্যোগটি সেন্টমার্টিন দ্বীপের পরিবেশ রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। স্থানীয় বাসিন্দা, হোটেল কর্মী, মৎস্যজীবী, পর্যটক, নৌযানকর্মী, সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার যৌথ প্রচেষ্টা প্রকল্পটিকে সফল করে তুলবে। সেন্টমার্টিনে সফল হওয়ার পর কক্সবাজারে এ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে।
এদিকে, সেন্টমার্টিনে পরিবেশবান্ধব পর্যটন নিশ্চিত করতে সরকার গৃহীত বিভিন্ন কার্যক্রম পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (পরিবেশ) ড. ফাহমিদা খানম এর নেতৃত্বে আজ একটি প্রতিনিধি দল নুনিয়াছড়া বিআইডব্লিউটিএ ঘাট পরিদর্শন করেছেন।
#
দীপংকর/পবন/রানা/ফেরদৌস/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৮৯
আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়নে বাংলাদেশের পরিষ্কার রোডম্যাপ আছে
--- বাণিজ্য উপদেষ্টা
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও) কনভেনশনের প্রতি বাংলাদেশ পরিপূর্ণভাবে শ্রদ্ধাশীল। তিনি আরো বলেন, কনভেনশন বাস্তবায়নে আমাদের পরিষ্কার রোডম্যাপ রয়েছে।
আজ বাংলাদেশ সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার অফিসকক্ষে তাঁর সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর ও হেড অভ্ ডেলিগেশন মাইকেল মিলারের সাক্ষাৎকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় তাঁরা দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য, পারস্পরিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, আইএলও কনভেনশন বাস্তবায়ন ও পাচারকৃত অর্থ ফেরত আনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের বিশাল জনসংখ্যা রয়েছে। এদের বেশির ভাগই তরুণ জনগোষ্ঠী। আমাদের লক্ষ্য তাদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে তৈরি করা এবং দেশের জন্য তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জন করা। নিত্যপণ্যের সরবারহ চেইন সচল রাখাকে আমরা প্রাধান্য দিয়ে কাজ করছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইতোমধ্যে বেশ কিছু পণ্যের দাম কমে এসেছে। সরকার দাম কমাতে অনেক পণ্যের শুল্ক কমিয়ে দিয়েছে।
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অ্যাম্বাসেডর মাইকেল মিলার বলেন, মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি দুদেশের ব্যবসা বাণিজ্যকে গতিশীল করতে ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি বিনিয়োগ পরিবেশ উন্নত হলে ইউরোপ থেকে বাংলাদেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে বলে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের হেড অভ্ ডেলিগেশন বিদেশে পাচারকৃত ও চুরি হওয়া অর্থ দ্রুত ফেরত আনার বিষয়ে লজিস্টিক ও বিশেষজ্ঞ জনশক্তি দিয়ে সহায়তা করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন।
এসময় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রপ্তানি) মোঃ আব্দুর রহিম খান উপস্থিত ছিলেন।
#
কামাল/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৮৮
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে রাজনৈতিক
হয়রানিমূলক মামলার তালিকা চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের চিঠি
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ (৩ ডিসেম্বর):
গত ৬ জানুয়ারি ২০০৯ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ পর্যন্ত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দায়েরকৃত সব রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার তালিকা চেয়ে সারাদেশের পাবলিক প্রসিকিউটর ও মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরদের চিঠি দিয়েছে আইন মন্ত্রণালয়। মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ছক অনুসারে মামলার তালিকা প্রস্তুত করে আগামী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের মধ্যে আইন ও বিচার বিভাগের সলিসিটর অনুবিভাগ বরাবর কিংবা solicitor@lawjusticediv.gov.bd ঠিকানায় তা পাঠানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
গত সোমবার উপ-সলিসিটর সানা মোঃ মারুফ হোসাইন স্বাক্ষরিত এ সম্পর্কিত চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ৬ জানুয়ারি ২০০৯ তারিখ থেকে ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখ পর্যন্ত সময়ে বিশেষত ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের অব্যবহিত পূর্বে এবং তৎপরবর্তীতে রাজনৈতিক নেতা-কর্মী ও অন্যদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মামলা বা গায়েবি মামলা দায়ের করা হয়। এসব মামলা সম্পর্কিত সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তথ্য না থাকায় আইনগতভাবে প্রতিকারমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা সম্ভব হচ্ছে না বিধায় চিঠিতে উল্লিখিত ছক অনুসারে উক্ত মামলাসমূহের তথ্যাদি জরুরি ভিত্তিতে পাওয়া একান্ত আবশ্যক।
চিঠিতে আরো বলা হয়েছে, মামলার তালিকা প্রণয়নে বিশেষভাবে যত্নবান ও দায়িত্বশীল হওয়াসহ সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে। উল্লেখ্য, প্রাপ্ত মামলার তালিকা মন্ত্রণালয় কর্তৃক পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যাচাই বাছাই করা হবে।
#
রেজাউল/পবন/রানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বরঃ ১৮৮৭
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বিষয়ক চার দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু
ঢাকা, ১৮ অগ্রহায়ণ ৩ ডিসেম্বর):
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ বিষয়ক চার দিনব্যাপী কর্মশালা শুরু হয়েছে। আজ সচিবালয়ে তথ্য অধিদফতরের সভাকক্ষে কর্মশালার উদ্বোধন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা।
কর্মশালায় তথ্য ও সম্প্রচার সচিব বলেন, উচ্চ আদালতে সরকারি স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে ‘স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ একটি গুরুত্বপূর্ণ সফটওয়্যার।এই সফটওয়্যারে মামলা-সংক্রান্ত তথ্য ইনপুট দেওয়ার সুনির্দিষ্ট নির্দেশিকা রয়েছে। তিনি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয় ও এর আওতাধীন দপ্তর-সংস্থাসমূহের বিচারাধীন সকল মামলার তথ্য স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে দ্রুত ইনপুট প্রদানের জন্য সংশ্লিষ্টদের তাগিদ দেন। মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার বিচারাধীন মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে সঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
কর্মশালায় স্মার্ট কেস ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমে মামলা-সংক্রান্ত তথ্য ইনপুট করার প্রক্রিয়াসহ সফটওয়্যারের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে ধারণা প্রদান করা হয়।
কর্মশালায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. কাউসার আহাম্মদ, ড. মোহাম্মদ
আলতাফ-উল-আলম, ফারাহ শাম্মীসহ মন্ত্রণালয় ও দপ্তর-সংস্থার ৩৪ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালার উদ্বোধন শেষে তথ্য ও সম্প্রচার সচিব তথ্য অধিদফতরের সংবাদকক্ষসহ বিভিন্ন শাখা পরিদর্শন করেন। এ সময় প্রধান তথ্য অফিসার মোঃ নিজামূল কবীর উপস্থিত ছিলেন।
#
মামুন/রহমান/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/সাঈদা/লিখন/২০২৪/১১৪৫
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৮৮৬
৪৩তম ব্যাচের ক্যাডেটদের পাসিং আউট প্যারেড অনুষ্ঠিত
প্রশিক্ষিত ক্যাডেটরা হবে গভীর সমুদ্রের অকুতোভয় কান্ডারী
-মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা