তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৮৮
শিক্ষার্থীদের ডিজিটাল দক্ষতা দরকার
-- মোস্তাফা জব্বার
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, 'শিক্ষার্থীদের মেধা ও দক্ষতার ওপর বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নির্ভর করে। তিনি শিক্ষার্থীদের একটি অনুরোধ করে বলেন, তোমরা আর্টস, সাইন্স, কমার্স, মেডিকেল কিংবা ইঞ্জিনিয়ারিং যে যাই পড়না কেন, তাতে কোন রকম পছন্দ নেই। শুধু একটা শর্ত তোমরা পূরণ করো। সেটা হচ্ছে- প্রত্যেকেই ডিজিটাল দক্ষতা অর্জন করো। তুমি যাতে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহার করতে পারো সেটাই ডিজিটাল দক্ষতা।'
মন্ত্রী আজ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উদ্যাপন অনুষ্ঠানের ২য় দিনের আলোচনা অধিবেশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল দক্ষতার ব্যাখ্যা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, 'যে যত কথাই বলুক ইন্টারনেট ব্যবহার করাও একটি ডিজিটাল দক্ষতা। এই দক্ষতা তুমি অর্জন করবে। তবে অপব্যবহার করবে না। এটা তোমাদের জন্য একটা সুযোগ। তোমরা নিঃসন্দেহে সেটা কাজে লাগাবে। এজন্য কিন্তু তোমাদের প্রোগ্রামার হতে হবে না; বিশেষজ্ঞ হতে হবে না।'
উৎসবের ২য় দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক নির্বাহী পরিচালক এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রাক্তন উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট সুলতানা কামাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক এবং বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ বাচ্চু অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
#
শেফায়েত/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/২১৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৮৭
বাজার তদারকি
৭৮ প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৩৩ লাখ টাকা জরিমানা
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়, বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়ের নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরসহ দেশের ২৮টি জেলায় আজ বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ অনুযায়ী ঢাকা মহানগরের খিলগাঁওসহ দেশব্যাপী মোট ৩৪টি বাজার ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পরিচালিত তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে ভোক্তা-স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ৭৮টি প্রতিষ্ঠানকে ৪ লাখ ৩৩ হাজার ৫শ’ টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়।
বাজার তদারকিকালে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে লিফলেট, প্যাম্ফলেট বিতরণসহ সংশ্লিষ্টদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দেয়া হয়।
#
ফারুক/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৮৬
পঞ্চগড়ে ‘পথে পথে বিজয়’শিরোনামে আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ অনুষ্ঠিত
পঞ্চগড়, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপনের অংশ হিসেবে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ‘পথে পথে বিজয়’ শিরোনামে আঞ্চলিক বীর মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ আজ পঞ্চগড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী জানান, স্থানীয় পর্যায়ে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্পর্কে নতুন প্রজন্মকে জানানো ও তাঁদের সম্মান প্রদর্শন করা, যুদ্ধের অসাধারণ গল্পগুলো উপভোগ করা, তরুণদের যুদ্ধের ইতিহাসের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়া, সবাইকে এই বিজয় দিবসের বিশালতা উপলব্ধি করানো এবং মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী দেশব্যাপী উদ্যাপন করার লক্ষ্যে এই আয়োজন।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বীর মুক্তিযোদ্ধাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদর্শন এবং সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধির জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। অসচ্ছল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩০ হাজার বীরনিবাস নির্মাণ কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানি ভাতা মাসিক ২০ হাজার টাকায় উন্নীত করা হয়েছে ।
মন্ত্রী এ সময় বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ড তুলে ধরেন এবং নতুন প্রজন্মকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে নিজেদের যোগ্য করে গড়ে তুলতে আহ্বান জানান তিনি।
বিজয়ের গল্পগুলো রোমন্থন করার উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠানের এক অংশে আগত বীর মুক্তিযোদ্ধারা তাঁদের সংগ্রামের দিনগুলোর স্মৃতিচারণা করেন। পাশাপাশি মহাসমাবেশে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শিত হয়।
উল্লেখ্য, মহান স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে উদ্যাপনের জন্য গঠিত মন্ত্রিসভা কমিটি ৫০টি জাতীয় কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। এরমধ্যে একটি কর্মসূচি হলো ‘পথে পথে বিজয়' শিরোনামে দেশের বিভিন্ন স্থানে শত্রুমুক্ত হবার দিনে আঞ্চলিক মুক্তিযোদ্ধা সমাবেশ। গত শুক্রবার দিনাজপুরে উপ-আঞ্চলিক সমাবেশের মধ্য দিয়ে এই আয়োজন শুরু হয়। সর্বমোট ৭টি আঞ্চলিক ও ১৪টি উপ-আঞ্চলিক এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য পঞ্চগড় স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম মুক্তাঞ্চল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে ২৯ নভেম্বর।
আগামী ৬ ডিসেম্বর যশোরে, গোপালগঞ্জে ৭ ডিসেম্বর, কুমিল্লায় ৮ ডিসেম্বর, জামালপুরে ১১ ডিসেম্বর, কক্সবাজারে ১২ ডিসেম্বর এবং সিলেটে ১৫ ডিসেম্বর আঞ্চলিক মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি অঞ্চলেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। দিনব্যাপী আয়োজিত অনুষ্ঠানে পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাসহ অন্যান্য শ্রেণি পেশার মানুষ অংশ নেবেন।
পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক মোঃ জহুরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে পঞ্চগড় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ আনোয়ার সাদাত সম্রাট, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইউসুফ আলী, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, পঞ্চগড় পৌরসভা মেয়র জাকিয়া খাতুনসহ পঞ্চগড়ের পাশের জেলাগুলো থেকে আগত এবং স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ উপস্থিত ছিলেন।
#
মারুফ/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/২০৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৮৫
মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের প্রত্যাবাসনে জাপানের আশ্বাস
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশে আশ্রয় গ্রহণ করা জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের বাংলাদেশ হতে মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে জাপান কাজ করে যাবে বলে জানিয়েছেন জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী HAYASHI Yoshimasa.
সম্প্রতি জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পদে হায়াশি ইয়োশিমাসার নিযুক্তিতে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে চিঠি প্রেরণ করেন। এ প্রেক্ষিতে জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন। চিঠিতে তিনি জানান, বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের বাস্তুচ্যুত নাগরিকদের নিরাপদে, স্বেচ্ছায় এবং সম্মানজনকভাবে প্রত্যাবাসনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরিতে জাপান কাজ করে যাবে। বাংলাদেশের পদক্ষেপে সহযোগিতার পাশাপাশি দ্রুত প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরুর লক্ষ্যে বিদ্যমান পরিস্থিতি উন্নতির জন্য জাপান মিয়ানমারকে উৎসাহিত করবে বলেও জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী চিঠিতে উল্লেখ করেন।
জাপানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জাপান এবং বাংলাদেশের সম্পর্ক আস্থা, সহযোগিতা ও পারস্পরিক কল্যাণের দৃঢ় নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। তিনি ২০২২ সালে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের পঞ্চাশ বছর পূর্তি উদ্যাপন উপলক্ষ্যে এই ঐতিহাসিক সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন। বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার করতে তিনি একসাথে কাজ করার প্রত্যাশার কথাও জানান।
#
মোহসিন/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৯০০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৮৪
সহকারী জজ পদে নতুন নিয়োগ পাওয়া শাহ্ পরানের যোগদান কার্যক্রম স্থগিত
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ ( ২ ডিসেম্বর) :
বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শ গ্রহণক্রমে ১৩তম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষার মাধ্যমে সহকারী জজ (শিক্ষানবিস) পদে নবনিয়োগপ্রাপ্ত মো. শাহ্ পরানের যোগদানের কার্যক্রম স্থগিত করেছে আইন ও বিচার বিভাগ। তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকায় তার সহকারী জজ (শিক্ষানবিস), নেত্রকোণা হিসেবে যোগদানের কার্যক্রম স্থগিত করে আইন ও বিচার বিভাগ থেকে আজ এ সম্পর্কিত আদেশ জারি করা হয়।
মো. শাহ্ পরানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা চলমান থাকার বিষয় আইন ও বিচার অবগত ছিল না। এছাড়া, মো. শাহ্ পরান তার বিরুদ্ধে মামলা চলমান থাকার বিষয়টি আইন ও বিচার বিভাগকে অবহিত করেননি। বিষয়টি আইন ও বিভাগের গোচরীভূত হওয়ার পর তার সহকারী জজ (শিক্ষানবিশ) পদে যোগদানের কার্যক্রম বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শ গ্রহণক্রমে স্থগিত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশন ১৩তম বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস পরীক্ষা, ২০১৯ এর মাধ্যমে প্রার্থী মো. শাহ্ পরানকে সহকারী জজ পদে নিয়োগের জন্য আইন ও বিচার বিভাগে সুপারিশ প্রেরণ করে। তৎপ্রেক্ষিতে, মো. শাহ্ পরানের সহকারী জজ পদে নিয়োগের পূর্বে তার প্রাক-পরিচয় যাচাইয়ের জন্য আইন ও বিচার বিভাগ হতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়। এরপর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাঁর প্রাক-পরিচয় যাচাইপূর্বক মন্তব্যসহ প্রতিবেদন প্রদান করে, যেখানে মো. শাহ্ পরান সম্পর্কে কোনো বিরূপ তথ্য পাওয়া যায়নি মর্মে উল্লেখ করা হয়।
উল্লেখ্য, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রাপ্ত প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন গ্রহণক্রমে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সাথে পরামর্শক্রমে আইন ও বিচার বিভাগের ২৫ নভেম্বর ২০২১ তারিখের ১০.০০.০০০০.১২৫.১১.০০১.২১.৫২৫ নম্বর প্রজ্ঞাপনমূলে মো. শাহ্ পরানকে সহকারী জজ পদে নিয়োগ প্রদানপূর্বক সহকারী জজ (শিক্ষানবিশ), নেত্রকোণা হিসেবে পদায়ন করা হয়েছিল।
#
রেজাউল/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/সেলিম/২০২১/১৯১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৮৩
কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ২১ হাজার ৫৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬১ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ১৫ লাখ ৭৬ হাজার ৮২৭ জন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ জন মৃত্যুবরণ করেছেন। এ পর্যন্ত ২৭ হাজার ৯৮৬ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।
করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৫ লাখ ৪১ হাজার ৬৬১ জন।
#
ইউনুস/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/১৯৩০ ঘণ্টা
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
‘‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাই।
আজকের এই বিশেষ ক্ষণে আমি শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে, যাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও মহান আত্মত্যাগে আমরা পেয়েছি একটি স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র। আমি শ্রদ্ধা জানাই জাতীয় চার নেতা, মহান মুক্তিযুদ্ধের ৩০ লাখ শহিদ এবং ২ লাখ নির্যাতিতা মা-বোনকে। স্মরণ করি দেশমাতৃকার সেবায় আত্মোৎসর্গকৃত সেনাবাহিনীর সকল শহিদগণকে।
জাতির পিতার ডাকে সাড়া দিয়ে ১৯৭১ এর ২৫ মার্চ বাঙালি সেনাসদস্যরা সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন। জাতির পিতার নেতৃত্বে নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে তাঁরা বাংলাদেশের বিজয় ছিনিয়ে এনেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে সেনাবাহিনীর
১ হাজার ৫ শত ৩৩ জন বীর সেনানি শাহাদত বরণ করেন। মুক্তিযুদ্ধে অসীম সাহসিকতার অবদান স্বরূপ সেনাবাহিনীর তিনজন বীরশ্রেষ্ঠ খেতাবপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর, সিপাহী হামিদুর রহমান ও সিপাহী মোস্তফা কামাল এবং অন্যান্য খেতাবপ্রাপ্ত সেনাবাহিনীর ২৮৮ সদস্য সেনাবাহিনীর ইতিহাসকে গৌরবান্বিত করেছে। আমি তাদের সকলের অবদানকে শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।
জাতির পিতা একটি ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠনের পাশাপাশি একটি সুশৃঙ্খল, পেশাদার এবং শক্তিশালী সামরিকবাহিনী গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। তিনি ১৯৭২ সালে কুমিল্লা সেনানিবাসে বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন এবং কম্বাইন্ড আর্মস স্কুলসহ সেনাবাহিনীর প্রতিটি কোরের জন্য স্বতন্ত্র ট্রেনিং সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৯৭৪ সালেই একটি প্রতিরক্ষা নীতি প্রণয়ন করেছিলেন। ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভের পর আমরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রণীত প্রতিরক্ষা নীতিমালার আলোকে ফোর্সেস গোল-২০৩০ প্রণয়ন করেছি এবং তা বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আজকে যে আধুনিক সেনাবাহিনী তা আমাদের গৃহীত সকল পদক্ষেপেরই বাস্তব প্রতিফলন।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি গত ৫০ বছরে দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে সেনাবাহিনী গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে। দেশব্যাপী অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা ও চিকিৎসা সেবা নিশ্চিতকরণে সেনাবাহিনী আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে। আমরা ইতোমধ্যেই স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভ করেছি। দেশের যে কোনো ক্রান্তিলগ্নে সেনাবাহিনীর সদস্যরা সর্বোচ্চ নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে ত্রাণ ও পুনবার্সন কর্মকাণ্ড কিংবা উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছেন। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মহামারি মোকাবিলায় সেনাবাহিনীর ভূমিকা সত্যিই প্রশংসনীয়। বাংলাদেশ আজ জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সর্বোচ্চ সংখ্যক শান্তিরক্ষী প্রেরণ করার গৌরব অর্জন করেছে, যাতে মুখ্য ভূমিকা পালন করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বিশ্বশান্তি রক্ষায় সেনাবাহিনীর ১২৫ জন সদস্য প্রাণ দিয়েছেন। আমি তাঁদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।
আমার দৃঢ় বিশ্বাস, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সদস্যগণ সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম ও পেশাগত দক্ষতায় বলীয়ান হয়ে দেশের প্রতিরক্ষা ও দেশ গড়ার কাজে আরো বেশি অবদান রাখবে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি আপনাদের সকলকে উন্নত-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়ক ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই।
আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তীতে এ বাহিনীর সকল সদস্য এবং তাঁদের পরিবারবর্গের উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও কল্যাণ কামনা করছি।
জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু
বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।’’
#
ইমরুল/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/১৮২৩ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ৫৬৬৬
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ ( ২ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ আগামীকাল ৩ ডিসেম্বর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে নিম্নোক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষ্যে আমি এ বাহিনীর সকল সদস্যকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
সূচনালগ্ন হতেই দেশ সেবায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর রয়েছে গৌরবময় ইতিহাস। ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ কালরাতে তৎকালীন পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কর্মরত বাঙালি সেনা সদস্যরা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশব্যাপী সশস্ত্র যুদ্ধ শুরু করে। নয় মাসব্যাপী রক্তক্ষয়ী এ সংগ্রামে এ বাহিনীর ১ হাজার ৫ শত ৩৩ জন অকুতোভয় বীর সদস্য আত্মোৎসর্গ করে দেশপ্রেমের এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। এছাড়া বিশ্বশান্তি রক্ষায় এ বাহিনীর ১২৫ জন বীর সদস্য শহিদ হন। আজকের এই দিনে আমি তাঁদের গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এবং তাঁদের আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনা করছি।
দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার পাশাপাশি গত পাঁচ দশকে দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অবদান অনস্বীকার্য। যেকোনো জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা, উদ্ধার ও পুনর্বাসন কার্যক্রমে সেনাবাহিনী প্রশংসনীয় ভূমিকা রেখে চলেছে। মুক্তিযুদ্ধ ও দেশসেবায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ বাহিনীকে ২০০৭ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত করা হয়। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিশ্ব শান্তি রক্ষায় জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনে সেনাবাহিনীর ভূমিকা দেশের জন্য অভূতপূর্ব সুনাম বয়ে এনেছে। দেশ ও মানবতার সেবায় সেনাবাহিনীর অবদানের এ ধারাকে অব্যাহত রাখতে বর্তমান সরকার একটি যুগোপযোগী ও আধুনিক সেনাবাহিনী গড়ে তোলার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সকল পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন সেনাবাহিনীর সার্বিক কর্মকাণ্ডে গতি সঞ্চার করেছে। সরকারের এ সকল পদক্ষেপ সেনাবাহিনীর অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে বলে আমি বিশ্বাস করি। দেশের স্বাধীনতা সমুন্নত রাখতে সেনাবাহিনীর প্রতিটি সদস্য নিষ্ঠা ও পেশাদারিত্বের সাথে তাদের দায়িত্ব পালন করবেন-এটাই সকলের প্রত্যাশা।
আমি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি ও সাফল্য কামনা করছি।
জয় বাংলা।
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
ইমরানুল/পাশা/রাহাত/রফিকুল/আব্বাস/২০২১/১৮১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৮২
এটকো’র সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রীর বেঠক
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
দেশের বেসরকারি টিভি চ্যানেল স¦ত্বাধিকারীদের সংগঠন এসোসিয়েশন অভ্ টেলিভিশন চ্যানেল ওনার্স-এটকো’র প্রতিনিধিবৃন্দ আজ তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের সাথে সচিবালয়ে তাঁর দপ্তরে এক বৈঠকে মিলিত হন।
এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, সহ-সভাপতি আরিফ হাসানসহ এসোসিয়েশন পরিচালকবৃন্দের মধ্যে আহমেদ জোবায়ের, আব্দুল হক, কাজী জাহেদুল হাসান, আশফাক উদ্দীন এবং সদস্য নাসির উদ্দীন বৈঠকে অংশ নেন।
বৈঠক শেষে তথ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটকো নেতৃবৃন্দের সাথে অত্যন্ত হৃদ্যতা ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটকোর পক্ষ থেকে কয়েকটি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে, তার মধ্যে একটি হচ্ছে, বাংলাদেশে যে সমস্ত মোবাইল ফোন কোম্পানি আছে তারা লাইসেন্স না নিয়েই ওটিটি প্ল্যাটফর্ম পরিচালনা করছে, কনটেন্ট বানাচ্ছে, অনলাইনে প্রচার করছে এবং সেখান থেকে উপার্জন করছে, যেটি তাদের লাইসেন্সের শর্ত ভঙ্গ। টেলিযোগাযোগ বিভাগ, বিটিআরসি এবং মোবাইল অপারেটরদের নিয়ে আমরা বিষয়টা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবো। তারা যদি নিয়মবহির্ভূতভাবে এটি করে থাকেন, সেক্ষেত্রে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
মন্ত্রী আরো জানান, ‘আরেকটি বিষয়, আইপিটিভি রেজিস্ট্রেশন দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, এটকোর পক্ষ থেকে সে প্রশ্ন তারা তুলেছেন। আইপিটিভি পৃথিবীর বাস্তবতা। কিন্তু ব্যাঙের ছাতার মতো আইপিটিভি সমীচীন নয় বলে আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। আমরা ইতোমধ্যেই ১৪টি আইপিটিভিকে রেজিস্ট্রেশন দেয়ার অনুমতি দিয়েছি। আইপিটিভি সংক্রান্ত নীতিমালা মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছে, সেখানে নীতিমালায় বলা আছে আইপিটিভি কোনোভাবেই সংবাদ প্রচার করতে পারবে না, ক্যাবলের মাধ্যমে প্রচার করতে পারবে না। আমরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অত্যন্ত যত্নসহকারে আইপিটিভির ব্যাপারে অগ্রসর হতে চাই, যথেচ্ছভাবে নয়।’
এর আগে এটকো’র পক্ষ থেকে ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর হাত ধরেই এদেশে গণমাধ্যমের প্রসার ও বিকাশ। এবং তিনি আজকে সরকারের আছেন বলে নয়, যখন বিরোধী দলে ছিলেন তখনও গণমাধ্যমের স্বাধীনতার জন্য তিনি সবসময় নিবেদিতপ্রাণ ছিলেন। গণমাধ্যমবান্ধব মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের নির্দেশে তথ্য মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিয়েছে যা আমাদের এই শিল্পের অব্যাহত যে প্রসারে সহায়ক। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে প্রায় তিন ডজনের মতো টেলিভিশন চ্যানেল সম্প্রচার করছে, অবাধ তথ্য দিচ্ছে এবং অনুষ্ঠানামালা প্রচার করছে। সেখানে নতুন করে আইপিটিভির অনুমোদন দেয়ার প্রয়োজন আছে কি না, সে উদ্বেগের কথা আমরা মন্ত্রীকে আমাদের পক্ষ থেকে বলেছি।’
এটকো’র সিনিয়র সহ-সভাপতি আরো বলেন, ‘মোবাইল ফোন সেবা দেয়ার জন্য যাদের লাইসেন্স দেয়া হয়েছে, তারা ওটিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠান এমন কি সংবাদ পর্যন্ত প্রচার করছে। অথচ তাদের ওটিটির মাধ্যমে অনুষ্ঠান করার অনুমোদন দেয়া হয়নি, তাই আমরা মনে করি ওটিটির মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা যেটা করছেন সেটা অবৈধ। এটা বন্ধ করার জন্য আমরা দাবি জানিয়েছি এবং মন্ত্রী এবিষয়ে নির্দেশনা দেবেন বলে আশা করছি।’
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৯১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর : ৫৬৮১
নিরাপদ সড়ক বিষয়ে পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার
-- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী
ঢাকা, ১৭ অগ্রহায়ণ (২ ডিসেম্বর) :
তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্মুদ বলেছেন, একটি মহল শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। একইসাথে তিনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের রাজপথ ত্যাগ করে নিজেদের ক্লাসে ফিরে যেতে আহ্বান জানান।
আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিল-ডিএসইসি মেধাবৃত্তি ২০২১ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসকল কথা বলেন। ডিএসইসি সভাপতি মামুন ফরাজীর সভাপতিত্বে সংসদ সদস্য ইঞ্জি: মোঃ মোজাফফর হোসেন, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, আওয়ামী লীগ নেতা এডভোকেট বলরাম পোদ্দার, সাম্প্রতিক দেশকালের সম্পাদক ইলিয়াস হোসেন পলাশ, কে এস বি গ্রুপ চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ এ হোসাইন দীপু বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের সন্তানেরা নিরাপদ সড়কের জন্য আন্দোলন করছে, আমি তাদের ধন্যবাদ জানাই। নিরাপদ সড়ক আমাদের প্রয়োজন, সরকারও এ বিষয়ে অনেক পদক্ষেপ নিয়েছে, শিক্ষার্থীদের জন্যে ইতোমধ্যেই হাফভাড়া করে দিয়েছে। বেসরকারি মালিক সমিতি ঢাকায় হাফভাড়া করেছে, চট্টগ্রামের জন্য আলোচনা করছে। আশা করবো আমাদের সন্তানেরা এখন ক্লাসে ফিরে যাবে। করোনার কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে, এখন ক্লাসে ফিরে যাবার সময়।
‘কোমলমতি শিক্ষার্থীদের নিয়ে রাজনীতি করা শুরু হয়েছে, তাদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে অনেকে রাজনীতি ফায়দা লোটার চেষ্টা করছে এবং রামপুরার ঘটনাকে সেই অপচেষ্টার অংশ বলেই অনেকে মতপ্রকাশ করেছেন’ বলেন ড. হাছান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে কিছু পক্ষ আছে পরগাছার মতো। তারা অপরের ওপর ভর করে নিজেদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। এই পরগাছারা সক্রিয় হয়ে গেছে। ছাত্রদেরকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করে তারা তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিল করতে চায়। সুতরাং এব্যাপারে সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। আমি অভিভাবকদের অনুরোধ জানাবো এব্যাপারে আপনারাও সতর্ক থাকবেন। সন্তানেরা যাতে ক্লাসে ফিরে যায়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে।’
বিএনপি’র বক্তব্য প্রসঙ্গে মন্ত্রী হাছান মাহ্মুদ বলেন, মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব বলেছেন যে, ‘খালেদা জিয়াকে বিদেশ না পাঠালে সরকারকে টেনে হিঁচড়ে নামিয়ে ফেলা হবে। তারা তো আমাদের সাড়ে বারো বছর আগে থেকে টেনে হিঁচড়ে নামাতে চাচ্ছেন এবং সেটি করতে গিয়ে রশি ছিঁড়ে তারাই পড়ে গেছেন। আমি মির্জা ফখরুল সাহেবকে অনুরোধ জানাবো, আরো টান দিলে আপনারা আরো পড়ে যাবেন। সুতরাং সেই চেষ্টা করে কোনো লাভ নেই।’
বেগম জিয়ার যাতে সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা পান, চিকিৎসা পান সেজন্য বিএনপি বা বেগম খালেদা জিয়ার পরিবার যেভাবে চাইবে সেভাবেই দেশের অভ্যন্তরে সরকার সব ধরনের ব্যবস্থা করতে বদ্ধপরিকর। বেগম জিয়া ইতিপূর্বেও অসুস্থ হয়েছিলেন এবং দেশের মধ্যে চিকিৎসা নিয়েই তিনি ভালো হয়েছেন। এবারও আশা করি আমাদের মেধাবী ডাক্তারদের সুচিকিৎসায় বেগম জিয়া সহসাই সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাবেন।
মন্ত্রী এসময় মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেয়ার জন্য ডিএসইসিকে ধন্যবাদ জানান। তিনি বলেন, আমাদের এই সন্তানেরা আজকে যেমন মেধার স্বাক্ষর রেখেছে ভবিষ্যতে তারা মেধার সাথে মূল্যবোধ, দেশাত্মবোধ, মমত্ববোধের সমন্বয় ঘটিয়ে এমন আলোকিত মানুষ হবে যারা দেশ, সমাজকে পথ দেখাবে।
‘বাংলাদেশ হারার জাতি নয়, বীরের জাতি, জয়ের জাতি, গৌরব ও অহংকারের জাতি’ উল্লেখ করে জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম বলেন, এই দেশ ও সমাজকে এগিয়ে নিতে মেধার স্বীকৃতি অপরিহার্য। দেশ, সমাজ ও পরিবারের আমরা মেধাচর্চার পাশে কতটুকু দাঁড়াতে পারছি তা ভাবতে হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সকল পেশার জন্যই মেধার স্বীকৃতি জরুরি। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, আমরা মেধার প্রতিযোগিতায় টিকতে পারলেই চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগের সাথে তাল মেলাতে সক্ষম হবো।
#
আকরাম/পাশা/রাহাত/এনায়েত/রফিকুল/জয়নুল/২০২১/১৯১৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী