Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৬ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী ০৬ নভেম্বর ২০২৪

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর: ১৫৮০

বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ও কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠক

তাসখন্দ (উজবেকিস্তান), ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):

          উজবেকিস্তানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম এবং কিরগিজস্তানের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী তিমিরবেক এরকিনভ এর মধ্যে আজ তাসখন্দে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয়ই দু’দেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

          রাষ্ট্রদূত ইসলাম উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে দু’দেশের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের বর্তমান অবস্থা ও অগ্রগতির বিষয়ে অবহিত করেন। তিনি কূটনৈতিক ও অফিসিয়াল পাসপোর্টধারীদের মধ্যে ভিসা-ফ্রি ভ্রমণ বিষয়ক চুক্তিসই, প্রস্তাবিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকসমূহ স্বাক্ষরের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর গুরুত্ব আরোপ করেন। ব্যবসা ও বিনিয়োগ ক্ষেত্রে অপার সম্ভাবনা ও সুযোগ রয়েছে বর্ণনা করে তিনি বস্ত্র, ঔষধ ও কৃষি খাতে আমদানি রপ্তানি বৃদ্ধির ওপর বিশেষ জোর প্রদান করেন। তিনি দু’দেশের মধ্যে যথাযথ প্রতিনিধি পর্যায়ে ইন্টারগভর্মেন্টাল জয়েন্ট কমিশন অন ট্রেড এন্ড ইকোনমি গঠনসহ শীর্ষ ব্যবসায়িক সংস্থাসমূহের মধ্যে আনুষ্ঠানিক যোগাযোগ স্থাপনের প্রস্তাব করেন, যা ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কে নতুন গতি সঞ্চার করবে বলে রাষ্ট্রদূত আশাবাদ ব্যক্ত করেন। কিরগিজস্তানে অধ্যয়নরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থী এবং কর্মরত বাংলাদেশি নাগরিকবৃন্দের সুরক্ষা ও কল্যাণের নিশ্চয়তা বিধানে রাষ্ট্রদূত উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

           বৈঠকে উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের মধ্যকার ঐতিহাসিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় সেতুবন্ধনের ওপর আলোকপাত করে দু’দেশের মধ্যে যে অফুরান সম্ভাবনা রয়েছে তা পরিপূর্ণভাবে বাস্তবায়নে তাঁর সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। বন্ধুপ্রতিম দু’দেশের মধ্যকার বিরাজমান শিক্ষা, সংস্কৃতি, পর্যটন ও ব্যবসা-বাণিজ্য সহযোগিতাকে নতুন ধাপে উন্নীত করতে তাঁর প্রচেষ্টা ও উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে তিনি রাষ্ট্রদূতকে আশ্বস্ত করেন। দু’দেশের সুবিধাজনক সময়ে তিনি বাংলাদেশ সফরে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

          আগামীতে বাংলাদেশ ও কিরগিজস্তানের জনগণের মধ্যকার বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরো গভীর ও শক্তিশালী হবে -এ আশাবাদ ব্যক্ত করার মধ্য দিয়ে বৈঠকের সমাপ্তি ঘটে।

#

মনিরুল/মেহেদী/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২২২০ ঘণ্টা   

তথ্যবিবরনী                                                                                                                নম্বর: ১৫৭৯

 

সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা দোকানে কিনতে পাওয়া যায় না

                                                 -- স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা

 

ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):   

 

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, সংস্কার একটি চলমান প্রক্রিয়া। এটি কোনো প্যাকেটজাত পণ্য নয় যে দোকানে কিনতে পাওয়া যাবে। চলমান প্রক্রিয়ার চাকা চারটিকে চালু রাখতে গেলে পারষ্পরিক সম্পর্ক মজবুত করে গড়ে তুলতে হবে।

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে জেলা পরিষদ ও ইউনিয়ন পরিষদের সামগ্রিক কার্যক্রমে গতিশীলতা আনয়নের লক্ষ্যে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আরম্ভ করে সিটি কর্পোরেশন, জেলা, উপজেলা এবং পৌরসভাসহ কোনো স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানেই যেন সরকারি সেবা বিতরণে ব্যত্যয় না ঘটে। এ বিষয়ে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। প্রয়োজনে স্থানীয় সরকারের প্রতিটি স্তরে চেইন অভ্‌ সুপারভিশন প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাতে প্রতিটি কর্মকর্তা তার পরবর্তী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার নজরদারিতে থাকতে পারে।

 

আর্থিক বিষয়ে স্বচ্ছতা আনয়ন প্রসঙ্গে হাসান আরিফ বলেন, সংস্কার প্রক্রিয়ায় আর্থিক স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। বিগত ১৬ বছরের দুর্নীতিকে প্রতিহত করতে হবে। আর্থিক বিষয়ে দুর্নীতি প্রতিরোধে সবাইকে কঠোর হতে হবে।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, আমাদের মনে রাখতে হবে দীর্ঘদিন ধরে চলমান একটি অপব্যবস্থাকে চিরতরে সরিয়ে দেয়ার জন্য ছাত্র-জনতা আন্দোলন করে জীবন দিয়েছে। তাদের এই আত্মত্যাগকে ব্যর্থ হতে দেয়া যাবে না।

 

স্থানীয় সরকার বিভাগ সচিব মোঃ নজরুল ইসলামের সভাপতিত্বে সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব এ কে এম তারিকুল আলম। সকল জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ এবং পৌরসভার প্রশাসকবৃন্দ এ সময় অনলাইনে সংযুক্ত ছিলেন।

#

পবন/মেহেদী/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২১৫০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরনী                                                                                                     নম্বর: ১৫৭৮

 

নদী ও খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেওয়ার এখনই উপযুক্ত সময়

                                                                    -- পানি সম্পদ উপদেষ্টা


টাঙ্গাইল, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):       

 

পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, নদী ও খাল দখলদারদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক পদক্ষেপ নেয়ার এখনই উপযুক্ত সময়। এসময়ে যে কাজটা আমরা করতে পারবো অন্য সময়ে সে কাজটা অনেক স্লো হয়ে যেতে পারে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, যমুনা নদীটির প্রকৃতিই এমন যে এটি সব সময় ভাঙ্গা-গড়ার মধ্যে থাকে। আগামী জানুয়ারি মাসের মধ্যে গণশুনানি করে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কোন কোন প্রকল্প নেয়া যাবে তার তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে প্রেরণের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

 

উপদেষ্টা আজ সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধের হার্ড পয়েন্ট এবং ক্রসবার-৩ এলাকা পরিদর্শনকালে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

পানি সম্পদ উপদেষ্টা বলেন, আমাদের বাজেটের তুলনায় নদীর ভাঙনের প্রবণতা এবং ব্যাপকতা অনেক বেশি। আর তাই আগামীতে যে রিসোর্স বা বাজেট এই মন্ত্রণালয় পাবে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের যেসকল জেলায় অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করা দরকার সে সকল জেলায় সুষম বণ্টন করা হবে।

 

উপদেষ্টা আরো বলেন, নদীতে যেসকল নতুন জায়গা জেগে উঠে সেখানে ভূমিহীনদের জায়গা দেওয়া এবং বনায়নের বিষয়টি গুরুত্বসহকারে আমাদের সকলকে ভাবা উচিত। নদীতে জেগে ওঠা নতুন জায়গায় শিল্প স্থাপন করতে দেওয়া হলে নদী যে দূষণ হয় এ বিষয়টিও তিনি উল্লেখ করেন।

 

পরে টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলায় ‘লৌহজং নদীর ভাঙন হতে কুমুদিনী ওয়েলফেয়ার ট্রাস্ট এর আওতাধীন কুমুদিনী হাসপাতাল, ভারতেশ্বরী হোমসসহ ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা রক্ষা’ শীর্ষক প্রকল্প সরেজমিনে পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা রিজওয়ানা বলেন, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন পানি উন্নয়ন বোর্ডের মাধ্যমে এবং স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবী ও যুবকদের অংশগ্রহণে ১ নভেম্বর হতে সারা দেশে একযোগে ৬৪ জেলায় ৬৪টি খাল/জলাশয় পরিচ্ছন্নকরণ ও দূষণমুক্তকরণ অভিযান শুরু হয়েছে, যা ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে।

 

পরিদর্শনকালে পানি উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত মহাপরিচালক মোঃ এনায়েত উল্লাহ, পানি উন্নয়ন বোর্ড ঢাকা কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আসাদুজ্জামান, সিরাজগঞ্জের জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম, পানি উন্নয়ন বোর্ড টাঙ্গাইল সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোঃ সিরাজুল ইসলাম, মির্জাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ আরিফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মতিউর রহমানসহ টাঙ্গাইল ও সিরাজগঞ্জ জেলার পানি উন্নয়ন বোর্ডের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

 

মামুন/মেহেদী/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৫০ ঘণ্টা

 

Handout                                                                                                         Number: 1577

Social Forestry Should Not Be Implemented in Natural Forests
                                                                  --- Environment Advisor 

 

Tangail, 6 November:

            Syeda Rizwana Hasan, Advisor to the Ministry of Environment, Forest and Climate Change and the Ministry of Water Resources, emphasized that social forestry initiatives should not be introduced in natural forests. She noted that trees planted in social forestry are later harvested and profits are distributed among beneficiaries. However, she reminded that the primary duty of the Forest Department is to protect natural forests, not to distribute funds.

            Syeda Rizwana made these remarks as the chief guest at the International Environment Conference 2024 organized by ‘Sabuj Prithibi’ in Tangail today.

            The Advisor further stressed the importance of planting indigenous tree species rather than eucalyptus and acacia in forestation projects. She also highlighted the need to secure farmers’ rights within forestry initiatives, urging that conflicts between the Forest Department and farmers be resolved. A harmonious coexistence between forests, forest dwellers, and wildlife is essential, she added.

            The Environment Advisor called for measures to protect the agricultural sector from climate change. She argued against following consumer-driven economic models, highlighted the need to curb energy wastage, such as daytime lighting and called on citizens to reduce the nation’s environmental burden by refraining from using polythene and taking a firm stance against pollution. Active participation and collective efforts are essential to safeguard Bangladesh’s environment, she also remarked.

            Rizwana Hasan further stressed the importance of public awareness and responsible actions to mitigate the impacts of climate change, underscoring that governmental initiatives alone are insufficient. Individual and collective efforts are crucial, she said, calling on the younger generation to lead in promoting eco-friendly technologies.

            Tangail District Commissioner Sharifa Haque, Professor Dr. Shahidul Haque of Bangladesh Agricultural University. ASPADA Environmental Development Foundation Executive Director Lion M. A. Rashid, Secretary General of Riverine People Sheikh Rokon, and Green Earth’s General Secretary Shahid Mahmud were present as the special guests. The event was presided over by Bureau Bangladesh’s Director of Operations, Financial Services, HRD and ICT Farmina Hossain.

#

 Dipankar/Rana/Ferdous/Rafiqul/Joynul/2024/1950 hour 

তথ্যবিবরনী                                                                                                         নম্বর: ১৫৭৬

 

পার্বত্য উপদেষ্টার সাথে অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন প্রতিনিধিদলের সাক্ষাৎ


ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর): 

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম এখন বাংলাদেশের আকর্ষণীয় পর্যটন গন্তব্য হিসেবে পরিচিত। পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন ভাষাভাষী নৃ-গোষ্ঠীসহ এখানকার সকল অধিবাসীর জীবনে শান্তি, সম্প্রীতি ও অগ্রগতির অভিযাত্রা অব্যাহত রাখার লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার Nardia Simpson-এর সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।

 

উপদেষ্টা বলেন, সরকার পার্বত্য অঞ্চলের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম তৈরি এবং প্রত্যন্ত এলাকায় ছাত্রছাত্রীদের জন্য হোস্টেল বিল্ডিং নির্মাণ করার জন্য বিভিন্ন প্র্র্রকল্প গ্রহণ করছে। পার্বত্য অঞ্চলের দুর্গম এলাকাগুলোতে পানির সংকট নিরসন, মৎস্য সম্পদ আহরণ, প্রজনন বৃদ্ধি ও সুরক্ষা বিষয়ে ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে মতবিনিময় হয়েছে।

 

সাক্ষাৎকালে পার্বত্য উপদেষ্টা আরো বলেন, পার্বত্য জনগোষ্ঠীর জীবনমানের উন্নয়ন, তাদের জন্য  গুণগত ও মানসম্পন্ন আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থাপনা, কৃষিজ ও মৎস্য চাষ, সুপেয় পানি সরবরাহ, পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন, মানবাধিকার রক্ষা, সুশাসন নিশ্চিতকরণ, পরিবেশবান্ধব ট্যুরিজম ইত্যাদি বিষয়ে এই মন্ত্রণালয় কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ান সরকার ঘনিষ্টভাবে সহযোগিতা করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি। প্রতিটি নাগরিক সমতার ভিত্তিতে যেন মিলেমিশে বসবাস করতে পারে সেজন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি এ প্রসঙ্গে বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন সংস্কার কর্মসূচির বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনারকে অবহিত করেন।

 

অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার সরকারের গৃহীত সংস্কার কর্মসূচির ব্যাপারে ইতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেন। তিনি উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ান সরকারের বিবিধ বৃত্তিগুলো সম্পর্কে উপদেষ্টাকে অবহিত করেন। এছাড়াও তিনি পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির আলোকে সকলকে নিয়ে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।

 

সাক্ষাৎকালে অন্যান্যের মধ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাহাঙ্গীর আলম, ফার্স্ট সেক্রেটারি উন্নয়ন Syed Sajjad Haider, ফার্স্ট সেক্রেটারি রাজনৈতিক Lara Adams এবং মন্ত্রণালয়ের অন্যান্য কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

 

#

রেজুয়ান/মেহেদী/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৪০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরনী                                                                                                                নম্বর: ১৫৭৫

 

ধর্ম উপদেষ্টার সাথে অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ


ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর): 

 

ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নারদিয়া সিম্পসন।

 

আজ ঢাকায় বাংলাদেশ সচিবালয়ে ধর্ম উপদেষ্টার অফিস কক্ষে সাক্ষাৎকালে তাঁরা দু’দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।

 

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের অন্যতম উন্নয়ন সহযোগী। বাংলাদেশের অবকাঠামো ও আর্থসামাজিক উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়া সহায়তা করে আসছে। বাংলাদেশের সাথে অস্ট্রেলিয়ার সম্পর্ক অত্যন্ত নিবিড় ও বন্ধুত্বপূর্ণ। আগামী দিনে দুই দেশের এই সম্পর্ক আরো অটুট ও ঘনিষ্ঠ হবে বলে উপদেষ্টা আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশের উন্নয়নে অস্ট্রেলিয়ার অব্যাহত সহায়তা কামনা করেন।

 

ধর্ম উপদেষ্টা অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকাণ্ড সম্পর্কে অবহিত করেন। তিনি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের গৃহীত কার্যক্রমগুলো তুলে ধরেন। এছাড়া সম্প্রতি অনুষ্ঠিত শারদীয় দুর্গা পূজায় সরকারের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ সম্পর্কেও হাইকমিশনারকে অবগত করেন।

 

অস্ট্রেলিয়ার হাইকমিশনার বাল্যবিবাহ ও নারী নির্যাতন প্রতিরোধে ইমামদেরকে ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে অনুরোধ জানান। এছাড়া তিনি হালাল সনদের কার্যক্রমের বিষয়ে খোঁজ-খবর নেন।

 

বৈঠকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ নায়েব আলী মন্ডল ও মুঃ আঃ আউয়াল হাওলাদার, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশনের ফার্স্ট সেক্রেটারি (উন্নয়ন) সৈয়দ সাজ্জাদ হায়দার, ফার্স্ট সেক্রেটারি (রাজনৈতিক) লারা এডামস এবং উপদেষ্টার একান্ত সচিব ছাদেক আহমদ উপস্থিত ছিলেন।

#

আবুবকর/রানা/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯০০ ঘণ্টা

      

তথ্যবিবরণী                                                                                                         নম্বর: ১৫৭৪

প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে নতুন ভাবনায় একসাথে কাজ করতে হবে

                                                                                            --- শারমীন এস মুরশিদ

ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):

          সমাজকল্যাণ এবং মহিলা ও শিশু বিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ বলেছেন, দারিদ্র্য বিমোচনে এবং প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান বিশেষ করে নারীগোষ্ঠীর উন্নয়নে লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থাকে নতুন ভাবনায় একসাথে কাজ করতে হবে।

          আজ ঢাকায় দ্য ডেইলি স্টার কর্তৃক আয়োজিত ÔFastering Gender Sensitive Climate Solution for Marginalized CommitmentsÕ বিষয়ে গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় উপদেষ্টা একথা বলেন।  

          উপদেষ্টা বলেন,  জলবায়ুর প্রভাবে সৃষ্ট অভিগাত ও বিপদাপন্নতা নিয়ে যে পরিবারগুলো বেঁচে আছে, তারা জীবনমান উন্নয়ন করতে পারেনি। তাদের জীবনমান উন্নয়নে প্রান্তিক পর্যায়ে কার্যক্রম পরিচালনা গবেষণামূলক করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দরিদ্র অবস্থায় বসবাসকারী নারীরা ধারাবাহিকভাবে বিপদাপন্ন গোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে, তাদের জীবন-জীবিকার প্রধান উৎসগুলো বিপদাপন্নতার মুখে পড়ছে। তিনি জানান, অপর্যাপ্ত প্রাতিষ্ঠানিক সহায়তা ও দুর্বল শাসন ব্যবস্থার মতো পদ্ধতিগত সমস্যাগুলো থেকে এই বৈষম্য চলমান রয়েছে। এ সমস্যা সমাধানে স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গকে এগিয়ে আসার প্রয়োজন বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          গোলটেবিল বৈঠকে মর্ডারেটর তানজিম ফেরদৌস সভাপতিত্ব এবং সঞ্চালনা করেন। বিভিন্ন এনজিও সংগঠনের প্রতিনিধিরা জলবায়ু সংক্রান্ত বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের সুপারিশ উপস্থাপন করেন।

#

রফিক/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯৩০ঘণ্টা        

তথ্যবিবরনী                                                                                                                নম্বর: ১৫৭৩

 

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৪ সদস্যের শপথ গ্রহণ


ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর): 

 

আজ প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ সুপ্রীম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে নবনিয়োগপ্রাপ্ত ৪ সদস্যকে শপথ বাক্য পাঠ করিয়েছেন। নবনিয়োগপ্রাপ্ত সদস্যরা হলেন মোঃ জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, এ এস এম গোলাম হাফিজ, ড. মোহাম্মদ সোহেল রহমান এবং ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস।   

 

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, সদস্যবৃন্দ, কমিশন সচিবালয়ের সচিব মহোদয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

 

বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

#

মতিউর/রানা/সঞ্জীব/রফিকুল/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর: ১৫৭২

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টার সাথে বাংলাদেশে

নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর সাক্ষাৎ

ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):

          আজ বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস (Gwyn Lewis) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা ফরিদা আখতারের সাথে তাঁর অফিস কক্ষে সাক্ষাৎ করেন।

          সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘ কর্তৃক বাংলাদেশের আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে সহযোগিতার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দেশের জনগণের সুস্থতা নিশ্চিত করতে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ, পরিবেশ, কৃষিসহ বিভিন্ন অংশীজনদের সমন্বিত কার্যক্রম গ্রহণে জাতিসংঘের সংশ্লিষ্ট অঙ্গসংগঠনসমূহ বাংলাদেশ সরকারকে টেকসই উন্নয়নে আরো সহযোগিতা করতে পারে।

          জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস বলেন, বাংলাদেশ ওয়ান হেলথের ক্ষেত্রে এ অঞ্চলের দেশসমূহের মধ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের মাধ্যমে মডেল রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। ব্লু ইকোনমি এবং ওয়ান হেলথ কার্যক্রমে জাতিসংঘের সহযোগিতার ক্ষেত্রসমূহ চিহ্নিতকরণে তাঁরা পারস্পরিক মতবিনিময় করেন।

          জুনোটিক ডিজিস থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য উপদেষ্টা জাতিসংঘকে সহযোগিতার আহ্বান জানালে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, জাতিসংঘ আন্তঃর্দেশীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এ সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে গৃহীত কার্যক্রমকে আরো জোরদার করবে। জুনোটিক ডিজিসের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবস্থান অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে গোয়েন লুইস বলেন, একদিকে মিয়ানমার অন্যদিকে ভারতের বিস্তীর্ণ সীমান্ত থাকায় পশু-পাখি দ্বারা জুনোটিক ডিজিসের ঝুঁকির মধ্যে আছে বাংলাদেশ।

          এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দর, অতিরিক্ত সচিব এ.টি.এম. মোস্তফা কামাল, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের সিনিয়র হিউম্যান রাইটস অ্যাডভাইজার হুমা খান (Huma Khan) উপস্থিত ছিলেন।

#

মামুন/রানা/ফেরদৌস/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯২৫ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর: ১৫৭১

প্রাকৃতিক বনে সামাজিক বনায়ন করা যাবে না

                                        --- পরিবেশ উপদেষ্টা

টাঙ্গাইল, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, প্রাকৃতিক বনে সামাজিক বনায়ন করা যাবে না। সামাজিক বনায়নের গাছগুলো কেটে উপকারভোগীদের মাঝে অর্থ বিতরণ করা হয়। অর্থ বিতরণ নয়, বনবিভাগের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে প্রাকৃতিক বনকে রক্ষা করা। তিনি জানান, বনায়নে ইউক্যালিপটাস ও একাশিয়া গাছের পরিবর্তে দেশীয় প্রজাতির গাছ লাগানো জরুরি। তিনি আরো বলেন, কৃষকের অধিকার বন বিভাগে নিশ্চিত করতে হবে। বন বিভাগ ও কৃষকের মধ্যে দ্বন্দ্ব দূর করতে হবে। বন, বনবাসী ও বন্যপ্রাণী একসঙ্গে শান্তিতে সহাবস্থান করবে।

          আজ টাঙ্গাইলে ‘সবুজ পৃথিবী’ কর্তৃক আয়োজিত ‘আন্তর্জাতিক পরিবেশ সম্মেলন-২০২৪’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিবেশ উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।

          উপদেষ্টা বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন থেকে কৃষি খাতকে রক্ষা করতে হবে। ভোগবাদী অর্থনীতির মডেল অনুসরণ করা যাবে না। দিন-দুপুরে বাতি জ্বালিয়ে জ্বালানির অপচয় বন্ধ করতে হবে। পলিথিন ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে ও দূষণের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নিতে তিনি আহ্বান জানান। বাংলাদেশে পরিবেশ রক্ষার জন্য আমাদের সক্রিয় অংশগ্রহণ এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন বলে উল্লেখ করেন।

          রিজওয়ানা হাসান আরো বলেন, পরিবর্তিত জলবায়ুর প্রভাব থেকে রক্ষায় জনগণের সচেতনতা ও দায়িত্বশীল আচরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবিলায় শুধু সরকারি উদ্যোগই যথেষ্ট নয়; ব্যক্তিগত এবং সামষ্টিক উদ্যোগ প্রয়োজন। তিনি তরুণ প্রজন্মকে এ উদ্যোগে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান এবং পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন।

          সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক শরিফা হক, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শহীদুল হক, আসপাডা পরিবেশ উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক লায়ন এম এ রশীদ রিভারাইন পিপলের মহাসচিব শেখ রোকন এবং সবুজ পৃথিবীর সাধারণ সম্পাদক শহীদ মাহমুদ। সভাপতিত্ব করেন ব্যুরো বাংলাদেশের ডিরেক্টর অপারেশন্স-ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস, এইচআরডি অ্যান্ড আইসিটি ফারমিনা হোসেন।

#

দীপংকর/রানা/রফিকুল/জয়নুল/২০২৪/১৯১০ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                            নম্বর: ১৫৭০

মোংলা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন

মোংলা বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং করা হবে

                                                        -নৌপরিবহন উপদেষ্টা

বাগেরহাট, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর):  

 মোংলা বন্দরকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ব্র্যান্ডিং করার আহবান জানিয়েছেন নৌপরিবহন উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

উপদেষ্টা আজ মোংলা বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে এ আহ্বান জানান।

 সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে  মোংলা বন্দরকে নিয়ে বেশি বেশি প্রচার-প্রচারণার আহ্বান জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর এতদিন প্রচারের বাইরে ছিল। আপনারা যদি এই বন্দরকে নিয়ে প্রচারণা  করেন তাহলে এটি দেশ-বিদেশে আরো অনেক বেশি পরিচিতি লাভ করবে। এছাড়া, চলতি মাসে জনপ্রিয় টিভি ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ মোংলা বন্দরে ধারন করা হবে বলেও তিনি জানান।

 নৌপরিবহন উপদেষ্টা বলেন, মোংলা বন্দর দেশের পুরাতন একটি বন্দর। এই বন্দরের উজ্জ্বল সম্ভাবনা আছে। কিন্তু, ভবিষ্যতের জন্য যেভাবে তৈরি হবার কথা, এই বন্দরটি তেমনভাবে গড়ে উঠেনি। তবে আগামী দুই বছরের মধ্যে মোংলা বন্দরে ব্যাপক কর্মচাঞ্চল্য বৃদ্ধি পাবে। তিনি আরো বলেন, এখানে কন্টেইনার টার্মিনাল নেই। আশা করছি অতি সত্তর এ বিষয়ে চীনের অর্থায়নে জি টু জি পদ্ধতিতে একটি প্রজেক্ট বাস্তবায়ন করা হবে। দুইটি কন্টেইনার টার্মিনাল নির্মাণ  এবং কিছু আনুষঙ্গিক কাজ আশা করি দু’বছরের মধ্যে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন। গুরুত্বপূর্ণ এ প্রকল্প শেষ হলে চট্টগ্রাম বন্দরের ওপর যে বিশাল চাপ রয়েছে, তা কমে আসবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান বিশ্বে রিজিওনাল কানেক্টিভিটি খুব দরকার। এ জন্য মোংলা বন্দরকে আন্তর্জাতিক বন্দর হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব। প্রতিবেশী ল্যান্ড-লকড দেশ যেমন নেপাল, ভুটান এর জন্য এই বন্দর ব্যবহারের উপযোগী হবে। এখানে রেল, নৌ এবং সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা আছে।

  মোংলা বন্দরের চলমান প্রকল্পসমূহের  কার্যক্রম উপদেষ্টা সরেজমিনে পরিদর্শন করেন এবং কাজের মান ও অগ্রগতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তিনি চলমান সকল প্রকল্প দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করতে সংশ্লিষ্ট সকলকে নির্দেশনা প্রদান করেন।

 পরিদর্শনকালে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল শাহীন রহমান এবং বন্দরের  অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।

#

আরিফ/রহমান/ফাতেমা/রবি/সুবর্ণা/মানসুরা/২০২৪/১৪০০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরনী                                                                         নম্বর:১৫৬৯

খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটি সভা

চলতি অর্থবছরে আমন ফসল থেকে সরকারিভাবে ধান ও চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত

ঢাকা, ২১ কার্তিক (৬ নভেম্বর): 

আমন সংগ্রহ মৌসুমে ৩ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন ধান, ৫ দশমিক ৫ লাখ মেট্রিক টন সিদ্ধ চাল ও ১ লাখ মেট্রিক টন আতপ চাল সংগ্রহের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া, সংগ্রহ মূল্য  প্রতি কেজি ধান ৩৩ টাকা, সিদ্ধ চাল প্রতি কেজি ৪৭ টাকা এবং আতপ চাল প্রতি কেজি ৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।  

 খাদ্য পরিকল্পনা ও পরিধারণ কমিটির সভায় আজ কমিটির সভাপতি ও অর্থ উপদেষ্টা, ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে মন্ত্রিপরিষদের সন্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় এ  সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

ধান ও সিদ্ধ চাল চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর থেকে আগমী বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি এবং আতপ চাল চলতি বছরের ১৭ নভেম্বর  থেকে আগামী বছর ১৫ মার্চ পযর্ন্ত সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করা হয়েছে।

কমিটির সদস্যদের মধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, কৃষি মন্ত্রণালয়, শিল্প দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, মৎস্য এবং প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

#

ইমদাদ/রহমান/ফাতেমা/রবি/সুবর্না/লিখন/২০২৪/২.১৭ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর: ১৫৬৮

কোনো অপরাধীকেই ছাড় দেয়া হবে না

                          -স্

2024-11-06-16-35-ad25bbc191274df62b10b2521616e771.docx