Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

তথ্যবিবরণী 15/12/2018

তথ্যবিবরণী                                                                                      নম্বর : ৩৩৪৫

দেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে
                                           -- নৌপরিবহন মন্ত্রী

ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
                                    
মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত বাংলাদেশ বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের স¦পক্ষের সরকার পরিচালনা করছে বলে এখন উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। বাংলাদেশকে ২০২১ সাল নাগাদ একটি মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করে মুক্তিযুদ্ধের বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে হবে।

 নৌপরিবহন মন্ত্রী এবং সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক শাজাহান খান আজ ঢাকায় শাহবাগে শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদের এক সমাবেশে এসব কথা বলেন।

দেশবাসীকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত করতে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, শ্রমিক কর্মচারী পেশাজীবী মুক্তিযোদ্ধা সমন্বয় পরিষদ, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম সমন্বয় পরিষদ এ সমাবেশের আয়োজন করে।

শাজাহান খান বলেন, বর্তমান সরকারের সময়ে সকল ক্ষেত্রে উন্নয়ন হয়েছে। এ জন্য দেশে স্থিতিশীল পরিবেশ,  সঠিক বিনিয়োগ ও রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতি প্রয়োজন, যা বর্তমান সরকারের রয়েছে।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা হেলাল মোর্শেদ খান বীর বিক্রম, ইসমত কাদির গামা, আলাউদ্দিন মিয়া, এ বি এম সুলতান আহমেদ এবং বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী।

সমাবেশ শেষে শাহবাগ চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বের হয়। র‌্যালিটি ধানমন্ডিস্থ ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু জাদুঘরের সামনে এসে শেষ হয়।

#


জাহাঙ্গীর/মাসুম/পারভেজ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/২০২০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                        নম্বর : ৩৩৪৪

১৭ ডিসেম্বর থেকে গার্মেন্টস শ্রমিকদের কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান শ্রম প্রতিমন্ত্রীর
 
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মোঃ মুজিবুল হক বলেছেন, গার্মেন্টস শ্রমিকদের নতুন মজুরি কাঠামোতে কোনো প্রকার অসামঞ্জস্য থাকলে জানুয়ারি মাসে সকলের সাথে আলোচনা করে সমাধান করা হবে। তিনি ১৭ ডিসেম্বর থেকে সকল শ্রমিককে কাজে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।

আজ সচিবালয়ে গার্মেন্টস শিল্পের চলমান শ্রম পরিস্থিতি নিয়ে ক্রাইসিস ম্যানেজমেন্ট কোর কমিটির এক জরুরি সভায় প্রতিমন্ত্রী এ আহ্বান জানান। 

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, নতুন মজুরি কাঠামোর গেজেট প্রকাশিত হওয়ার পর মজুরি কাঠামোর দু-একটি ধাপ নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে ভুল বোঝাবুঝির সৃষ্টি হয়েছে। নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর এবং আশুলিয়ায় কিছু কারখানাতে এ বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে। জানুয়ারি মাসে নতুন কাঠামোতে মজুরি পেলে শ্রমিকদের ভুল বোঝাবুঝির অবসান হবে। তিনি বলেন, কোনো গ্রেডেই মূল বেতন কমবে না।

শ্রম প্রতিমন্ত্রী কারখানা পর্যায়ে নতুন মজুরি কাঠামো নিয়ে শ্রমিকদের মাঝে স্পষ্ট ধারণা প্রদানে মালিকদের পরামর্শ দেন। তিনি শ্রমিকদের সাথে মালিকদের সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিরও আহ্বান জানান।

সভায় মন্ত্রণালয়ের সচিব আফরোজা খান, বিজিএমইএ এর সভাপতি মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব সৈয়দ আহম্মদ, কালকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক মোঃ সামসুজ্জামান ভূইয়া, শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক শিবনাথ রায়, শিল্প পুলিশের মহাপরিচালক আব্দুস সালাম, ন্যাশনাল গার্মেন্টস ওয়ার্কার্স ফেডারেশনের সভাপতি আমিরুল হক আমিন, ইন্ডাস্ট্রি অল বাংলাদেশ কাউন্সিলের মহাসচিব সালাউদ্দিন স্বপন এবং শ্রমিক নেতা সিরাজুল ইসলাম রনিসহ বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং মালিক-শ্রমিক প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

#

আকতারুল/মাসুম/মোশারফ/আব্বাস/২০১৮/১৮০০ ঘণ্টা  

তথ্যবিবরণী                                                                                             নম্বর : ৩৩৪৩

বিজয় দিবস উদযাপন
সকল সরকারি, বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে
           
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
আগামী ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উদ্যাপন কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকল সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশের কূটনৈতিক মিশন এবং কনস্যুলার অফিসে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।

বাংলাদেশ সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪(১) অনুযায়ী ‘প্রজাতন্ত্রের জাতীয় পতাকা সবুজ ক্ষেত্রের ওপর স্থাপিত রক্তবর্ণের একটি ভরাট বৃত্ত’। পতাকা বিধিতে বলা হয়েছে, পতাকার রং হবে গাঢ় সবুজ এবং সবুজের ভিতরে একটি লাল বৃত্ত থাকবে। জাতীয় পতাকার মাপ হবে ১র্০ীর্৬ দৈর্ঘ্য ও প্রস্থের আয়তাকার ক্ষেত্রের গাঢ় সবুজ রঙের মাঝে লাল বৃত্ত। বৃত্তটি দৈর্ঘ্যরে এক-পঞ্চমাংশ ব্যাসার্ধ বিশিষ্ট হবে। ভবনের আয়তন অনুযায়ী পতাকা ব্যবহারের তিন ধরনের মাপ হচ্ছে ১র্০ীর্৬, র্৫ীর্৩ এবং ২.র্৫ী১.র্৫। 


#

মাসুম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৪১৫ ঘণ্টা  

Handout                                                                                                         Number : 3339

 

Prime Minister’s Message on the occasion of December 16 the Great Victory Day of Bangladesh

 

Dhaka, 15 December :

 

            Prime Minister Sheikh Hasina has given the following message on the occasion of December 16 the Great Victory Day of Bangladesh.

 

"Today is the 16 December, the Great Victory Day. This is a unique day of pride for the Bangalee nation. Responding to the clarion call of the greatest Bangalee of all time, the Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, the Bangalee nation earned the ultimate victory on this day in 1971 after 23 years of intense political struggle and a 9-month bloody war against the Pakistani occupation forces.

 

I extend my sincere greetings and warm felicitations to the countrymen at home and abroad on the occasion of the Victory Day. On this glorious day, I pay my deep homage to Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. I recall with gratitude the four national leaders, and three million martyrs, who sacrificed their lives and two hundred thousand women, who were dishonoured by occupation forces.

 

The Bangalee nation got prepared for independence waging the Language Movement of 1948, the Education Movement of 1962, the 6-point Demand of 1966, 11-point Movement and the Mass Upsurge of 1969 under the undaunted and firm leadership of the Father of the Nation. The Awami League earned an overwhelming majority in the general elections of 1970 through which the Bangalee nation's aspiration for independence got legal basis. Bangabandhu Sheikh Mujib realized that the oppression, persecution and deprivation meted out to the Bangalee nation would not be ended without achieving the independence. Ultimately, on the historic 7th March of 1971, he in front of a million of people at the then Race Course Maidan declared that, "This time the struggle is for our freedom, this time the struggle is for the independence". Virtually, from that day, the final chapter had been started for achieving an independent Bangladesh. The country-wide non-cooperation movement had begun at the directives of Bangabandhu as part of the final preparations of the Liberation War.

On the fateful night of 25 March of 1971, the Pakistani occupation forces launched a brutal onslaught and committed genocide on the innocent and unarmed Bangalees. The Father of the Nation declared independence of Bangladesh in the early hours of the 26 March of 1971 resulting in the formal War of Independence.

On the 10 April of 1971, the proclamation of independence was declared by the elected people's representatives and the first Government of the People's Republic of Bangladesh was formed with Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman as President, Syed Nazrul Islam as Vice-President and Tajuddin Ahmed as Prime Minister. This government was sworn-in on the 17 April of 1971 at the historic Mujibnagar in Meherpur and led the war of independence. Under the leadership of this government, the liberation war had gained momentum. The heroic freedom fighters with the help of the allied forces earned the victory on the 16 December of 1971 by defeating Pakistani occupation forces and their local collaborators Rajakars, Al-Badrs and Al-Shams. The nation ultimately earned an independent country, own national flag and national anthem. The heroism and patriotism of the Bangalee nation created a new history in the world.

 

As Bangabandhu Sheikh Mujib had engaged himself in the struggle to build a "Golden Bangladesh" reconstructing the war-ravaged country, the anti-liberation forces in collusion with the war criminals assassinated Bangabandhu along with the most of his family members. Through the heinous killings of the 15 August 1975, they initiated the politics of killings, coup and conspiracy and obstructed the process to try the killers of Bangabandhu Sheikh Mujib through promulgating Indemnity Ordinance. They ruined the democracy by declaring Martial Law and formed an illegal government. They distorted the glorious history of our independence. They defaced the constitution and gagged the press freedom. The BNP-Jamat alliance government had followed the paths of their predecessors.

 

The Bangalee nation reestablished the democracy in 1996 through a long struggle and sacrifice. Our government's 1996-2001 tenure will always be marked as a glorious period in our national history. The Bangalee nation reestablished democracy and rights of the people in 2008 through a long struggle. The nation overwhelmingly voted in favour of the Awami League, the party that led the War of Liberation, in the much-awaited parliamentary elections. The Awami League-led Grand Alliance Government ensured the franchise of the people by bringing the 15th amendment to the constitution which prohibited usurpation of the state power.

 

The people of Bangladesh again made the Awami League victorious in the 5th January elections in 2014 and thereby preserved the continuation of the constitutional process. Our government has relentlessly been working for the development of the country and its people as per its election pledges.  

 

Bangladesh has become the 'Role Model' in development of the world. Our government has been taking forward the country with immense development in all sectors including economy, agriculture, education, health, transport and communication, ICT, infrastructure, power generation, rural economy and diplomatic relation and cooperation during the last ten years. We have also joined the elite club of the satellite technology as the 57th nation through the launching of Bangabandhu Satellite-1. Our GDP growth rate is now 7.86 percent, the highest in our history. The poverty rate in the country has now declined to 21.8 percent and the hardcore poverty rate stands at 11.3 percent. Our per capita income is US Dollar 1751. Our students are getting textbooks at free of cost. The literacy rate is now 73 percent. Ninety percent people are under electricity coverage. We hope, the rate would rise to 100 percent very soon. Healthcare facilities have reached the doorsteps of the common people. The average life expectancy of the people has jumped to 72 years. Digital Bangladesh is now a reality. Lots of projects have been implementing for the development of road, rail, highways, bridges, flyover, elevated express-ways, under-pass, waterways and overall communication infrastructures across the country. We have been constructing the Padma bridge with our own fund. The construction of metro rail has been going on fast. Our government is working with 'Zero Tolerance' policy to eliminate militancy, terrorism and drug-menace. For the first time in the world, we have formulated a hundred year plan named 'Delta Plan 2100'. Bangladesh is one of the five top countries in the world in economic development. Ninety percent of development work is done by self finance. We have executed the verdict of the trial of the killers of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman establishing the rule of law. The verdicts of the trials of the war criminals are also being executed. The trials of war criminals will be continued as per our pledges to the nation. Due to the continuation of Awami League government for 10 years, grassroot people are now getting the dividend of the development. Bangladesh is moving forward and it will continue. The next generation will get a prosperous Bangladesh.

 

The historic 7th March Speech of Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman has been included in the international memory of the world register as World Documentary Heritage by UNESCO. This recognition of the 7th March Speech has made the whole nation proud once again. We have peacefully resolved the land boundary problem with India. Disputes with India and Myanmar on maritime boundary have also been resolved. Bangladesh's contribution to the various international forums for establishing global peace has been lauded. The world is now acclaiming Bangladesh for attaining remarkable progress in socio-economic fronts. All these were possible through continuation of the constitutional and democratic process. We shall make Bangladesh a hunger-poverty-free middle income country by 2021, and a developed-prosperous one by 2041, InshaAllah.

 

Let us come and uphold the development and democratic spree being imbued with the spirit of the freedom struggle. Let us engage ourselves for the welfare of the country and nation. Let this be our vow on the Victory Day of 2018.

 

Joi Bangla, Joi Bangabandhu

May Bangladesh Live Forever."

#

Emrul/Masum/Nice/Sanjib/Mosharaf/Salimuzzaman/2018/1715  Hrs.

 

Joi Bangla, Joi Bangabandhu

May Bangladesh Live Forever.

 

Handout                                                                                                                  Number :  3337

President’s Message on the occasion of December 16 the great Victory Day of Bangladesh

Dhaka, 15 December :

            President Md. Abdul Hamid has given the following message on the occasion of December 16 the great Victory Day of Bangladesh.

               "December 16, the great Victory Day of Bangladesh. On this day in 1971, Bangladesh emerged as an independent and sovereign country in the world map through the surrender of Pakistani occupation forces. Bir Bangali made an episode of glorious tale of victory. On the eve of the victory day, I extend my sincere felicitations and warm greetings to my fellow countrymen living at home and abroad. 
               Independence is the greatest achievement of the Bangali nation. Father of the Nation, Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, the undisputed leader, declared the historic independence on March 26, 1971 after overcoming various ups and downs and staging long movement and agitation against Pakistani rulers. The ultimate victory was achieved through a nine-month long war of liberation under his uncompromising leadership and guidance. Today, I recall with profound respect the greatest Bangali of all time, Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman. I pay my deep homage to the valiant freedom fighters who made supreme sacrifice in the war of liberation for the cause of country’s independence. I also extend my deep gratitude to the organisers and supporters, foreign friends and the people from all strata who directly and indirectly made meaningful contributions to our war of liberation. 
               Bangabandhu dreamt of building a happy and prosperous Bangladesh. He started the journey by rebuilding the economy and infrastructure of the war-ravaged country. But the country's democracy and development progress came to a halt after the assassination of Father of the Nation and his near and dear ones on August 15, 1975. The emergence of autocracy and undemocratic government came into being. Democracy has now been restored in the country through a long movement and various acclivity and declivity. With the formulation of appropriate planning and making its best implementation, Bangladesh has attained the status of low-middle-income country and graduated from least developed country (LDC) to a developing country. The Padma Bridge, which is being constructed by our own resources, is now a reality. Mega projects like Metro Rail, Elevated Expressway are being implemented. Bangladesh is now a proud member of the elite satellite club through launching of Bangabandhu-1 Satellite into the space. With successive economic growth, Bangladesh is marching forward in every socio-economic indicator including education, health, women empowerment, per capita income etc. I am confident that Bangladesh will turn into a prosperous country by 2041, Insha Allah through the continuation of the ongoing development. 
               The eleventh parliamentary election is being held in December, the month of our victory. In democratic system, people exercise their power and choose their desired candidate through the election. I hope that people will elect honest, capable and patriotic candidates in the upcoming election and continue the development and advancement of the country. Let the glory of democracy be strengthened through the festive mood of election- it is my expectation.
               
-2-
               Our foreign policy is being exercised in accordance with the principle "Friendship to all, malice towards none" as adopted by Father of the Nation. Bangladesh has set a unique example of humanity in international arena by providing shelter to millions of forcefully displaced and tortured Rohingyas fled from Myanmar. Bangladesh believes in a peaceful solution to the problem. I urge the UN and the international community including Myanmar, to take immediate effective measures for the permanent settlement of this problem. 
               Collective efforts, irrespective of party affiliation, are imperative to reach the benefits of freedom, attained through the sacrifice of millions of martyrs, at people's doorstep. On the eve of the victory day, I urge the countrymen to make more contributions from their respective positions in implementing the spirit of the war of liberation and take the nation towards a prosperous future. On the occasion of great victory day, I hope that our coordinated efforts will turn Bangladesh into ‘Sonar Bangla’ (Golden Bengal) as dreamt of by Father of the Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman.

               Khoda Hafez, May Bangladesh Live Forever."

 

#

Hasan/Masum/Mosharaf/Salimuzzaman/Abbas/2018/1710 Hrs.

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ৩৩৪২ 
 
মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদ্যাপন উপলক্ষে জাতীয় কর্মসূচি
 
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
 
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান বিজয় দিবস-২০১৮ উদ্যাপনের লক্ষ্যে এবার জাতীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর ঢাকায় প্রত্যুষে ৩১ বার তোপধ্বনির মাধ্যমে দিবসটির সূচনা হবে। সূর্যোদয়ের সাথে সাথে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রীর নেতৃত্বে উপস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ পরিবার, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা ও বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। বাংলাদেশে অবস্থিত বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনসহ সর্বস্তরের জনগণ পুষ্পস্তবক অর্পণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবেন।
দিনটি হবে সরকারি ছুটির দিন। সকল সরকারি, আধাসরকারি,স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ভবনে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে এবং গুরুত্বপূর্ণ ভবন ও স্থাপনাসমূহ আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকা ও দেশের বিভিন্ন শহরের প্রধান সড়ক ও সড়কদ্বীপসমূহ জাতীয় পতাকা ও অন্যান্য পতাকায় সজ্জিত করা হবে। ঢাকার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে বিভিন্ন বাহিনীর বাদক দল বাদ্য বাজাবেন।
দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বাণী প্রদান করেছেন। দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এদিন সংবাদপত্রসমূহ বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করবে। এ উপলক্ষে ইলেকট্রনিক মিডিয়াসমূহ মাসব্যাপী মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা প্রচার করছে। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, বাংলা একাডেমি, জাতীয় জাদুঘর, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর, বাংলাদেশ শিশু একাডেমিসহ বিভিন্ন  সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক আলোচনা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, শিশুদের চিত্রাঙ্কন, রচনা ও ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের আয়োজন করবে। 
এছাড়া মহানগর, জেলা ও উপজেলায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ পরিবারের সদস্যদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ ডাক বিভাগ স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহে দেশের শান্তি, সমৃদ্ধি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ দোয়া ও উপাসনার আয়োজন করা হবে এবং এতিমখানা, বৃদ্ধাশ্রম, হাসপাতাল, জেলখানা, সরকারি শিশুসদনসহ অনুরূপ প্রতিষ্ঠানসমূহে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন করা হবে। দেশের সকল শিশু পার্ক ও জাদুঘরসমূহ বিনা টিকিটে উন্মুক্ত রাখা হবে।
জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে এবং বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসেও দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে অনুরূপ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, এ বছর ঢাকাস্থ জাতীয় প্যারেড স্কয়ারে সম্মিলিত বাহিনীর কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে না, তবে দেশের সকল জেলা ও উপজেলা সদরে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হবে।
#
আলমগীর/মাসুম/নাইচ/সঞ্জীব/রেজাউল/২০১৮/১৭৫০ ঘণ্টা 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                           নম্বর : ৩৩৪০

 
 
ঢাকার গাবতলী থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত তোরণ, পোস্টার, ব্যানার, ফেস্টুন লাগানো নিষেধ
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
 
মহান বিজয় দিবস ২০১৮ উদ্যাপন উপলক্ষে ঢাকার গাবতলী এলাকা থেকে জাতীয় স্মৃতিসৌধ পর্যন্ত সড়কে যে কোনো ধরনের তোরণ (ত্রিমাত্রিক অথবা বক্স আকারে তোরণ তৈরি করা যাবে না) পোস্টার, ব্যানার এবং ফেস্টুন লাগানো থেকে বিরত থাকতে এবং রাস্তার দুই পাশে পর্যাপ্ত জায়গা পরিষ্কার রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
#
তথ্যবিবরণী                                                                                            নম্বর :  ৩৩৪১
 
বিজয় দিবসে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে
স্মৃতিসৌধের ফুলের বাগানের ক্ষতিসাধন না করার আহ্বান
 
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
মহান বিজয় দিবসে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণকালে স্মৃতিসৌধে ফুলের বাগানের যাতে কোনোরূপ ক্ষতি সাধিত না হয় সে বিষয়ে সর্বসাধারণকে সচেতন থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
#
রুজিনা/মাসুম/নাইচ/মোশারফ/রেজাউল/২০১৮/১৭৪১ ঘণ্টা  
তথ্যবিবরণী                                                                                                  নম্বর : ৩৩৩৬                            
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির বাণী
ঢাকা, ১  পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“ আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বীর বাঙালি রচনা করে এক গৌরবময় বিজয়গাথার। বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে আমি দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 
বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব ও দিকনির্দেশনায় দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। আজকের এই দিনে আমি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে স্মরণ করছি সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। আমি গভীর শ্রদ্ধায় স্মরণ করছি মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় স্বাধীনতা। বিজয়ের এই দিনে আমি শ্রদ্ধা জানাই বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহিদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা আমাদের বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।
বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে তিনি এ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকা-ের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানা চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত। সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প।  মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে, ইনশা আল্লাহ। 
বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং তাদের পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পায়। আমি আশা করি, এবারের নির্বাচনে জনগণ সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখবে। ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিজয় সুদৃঢ় হোক- এ প্রত্যাশা করি।
‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। আমি এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারসহ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
লাখো শহিদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নিতে আমি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে- এ আমার প্রত্যাশা। 
খোদা হাফেজ, বাংলাদেশ চিরজীবী হোক।”
#
হাসান/মাসুম/মোশারফ/সেলিমুজ্জামান/২০১৮/১৭০০  ঘণ্টা 
 
 
তথ্যবিবরণী                                                                                          নম্বর : ৩৩৩৮ 
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বাণী
ঢাকা, ১ পৌষ (১৫ ডিসেম্বর) :
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে নি¤েœাক্ত বাণী প্রদান করেছেন :
“আজ ১৬ ডিসেম্বর। মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির অনন্য গৌরবের দিন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে সাড়া দিয়ে বাঙালি জাতি দীর্ঘ তেইশ বছরের রাজনৈতিক সংগ্রাম ও নয় মাসের সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে ১৯৭১ সালের এই দিনে চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করে। 
আমি দেশবাসীকে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। বিজয়ের এই দিনে আমি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতা, ত্রিশ লাখ শহিদ এবং দুই লাখ মা-বোনকে, যাঁদের অসামান্য আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ।
জাতির পিতার বলিষ্ঠ ও আপোষহীন নেতৃত্বে বাঙালি জাতি আটচল্লিশের ভাষা আন্দোলন, বাষট্টি’র শিক্ষা আন্দোলন, ছেষট্টি’র ৬-দফা, ঊনসত্তরের ১১-দফা ও গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে স্বাধীনতার জন্য প্রস্তুত হয়। ১৯৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ফলে বৈধ ভিত্তি পায় বাঙালির স্বাধীনতার আকাক্সক্ষা। জাতির পিতা অনুধাবণ করেন, স্বাধীনতা অর্জন ছাড়া বাঙালি জাতির ওপর অত্যাচার, নির্যাতন ও বঞ্চনার অবসান হবে না। তাই তিনি ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানের জনসমুদ্রে দাঁড়িয়ে দৃপ্তকণ্ঠে ঘোষণা দেন, “এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।” মূলতঃ সেদিন থেকেই শুরু হয় স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার চূড়ান্ত অধ্যায়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ডাকে শুরু হয় অসহযোগ আন্দোলন। চলতে থাকে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি।
পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ২৫ মার্চ কালরাতে নিরীহ ও নিরস্ত্র বাঙালির ওপর হত্যাযজ্ঞ চালায়। ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। বাংলাদেশের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ১০ই এপ্রিল স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র জারি করেন। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি, সৈয়দ নজরুল ইসলামকে উপ-রাষ্ট্রপতি এবং তাজউদ্দিন আহমদকে প্রধানমন্ত্রী করে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের প্রথম সরকার গঠিত হয়। এই সরকার ১৭ এপ্রিল মুজিবনগরে সমবেত হয়ে শপথ গ্রহণ করে এবং মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনা করে। বীর মুক্তিযোদ্ধারা মিত্রবাহিনীর সহযোগিতায় পাক হানাদার এবং তাদের দোসর রাজাকার-আলবদর-আলশামস বাহিনীকে পরাজিত করে ১৬ই ডিসেম্বর চূড়ান্ত বিজয় অর্জন করেন। জাতি পায় স্বাধীন রাষ্ট্র, নিজস্ব পতাকা ও জাতীয় সংগীত।
বঙ্গবন্ধু যখন যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে ধ্বংসস্তূপ থেকে টেনে তুলে সোনার বাংলাদেশ গড়ার সংগ্রামে নিয়োজিত, তখনই স্বাধীনতাবিরোধী-যুদ্ধাপরাধী চক্র জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা করে। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের এই জঘন্য হত্যাকা-ের মধ্য দিয়ে তারা হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি শুরু করে। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্স জারি করে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের পথ বন্ধ করে দেয়। মার্শাল ল’ জারির মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করে। মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে বিকৃত করে। সংবিধানকে ক্ষত-বিক্ষত করে। সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রুদ্ধ করে। পরবর্তীকালে বিএনপি-জামাত সরকার এই ধারা অব্যাহত রাখে।
সংগ্রাম ও আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৯৬ সালে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেছি। আমাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন জাতীয় ইতিহাসের গৌরবোজ্জ্বল সময় হিসেবে চিহ্নিত হয়ে থাকবে। বাঙালি জাতি দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে ২০০৮ সালে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে। বহু প্রতীক্ষিত নির্বাচনে জনগণ স্বাধীনতা যুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে মহাজোটকে বিপুলভাবে বিজয়ী করে। এই সরকার সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করে। অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পথ বন্ধ করে।
 
পাতা-২
 
২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে জনগণ পুনরায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বিজয়ী করে সংবিধানের ধারাবাহিকতা রক্ষা করে। আমাদের সরকার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দেশ ও জনগণের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।
 
বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের ‘রোল মডেল’। বিগত ১০ বছরে দেশের সামষ্টিক অর্থনীতি, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, তথ্যপ্রযুক্তি, অবকাঠামো, বিদ্যুৎ, গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নয়ন, কূটনৈতিক সাফল্য ও সহযোগিতা বৃদ্ধিসহ প্রতিটি সেক্টরে আমরা নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। আমরা বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মাধ্যমে পৃথিবীর ৫৭তম দেশ হিসেবে স্যাটেলাইট-প্রযুক্তির অভিজাত দেশের কাতারে যুক্ত হয়েছি। আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৭.৮৬ শতাংশ, যা বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ। দেশের দারিদ্র্যের হার হ্রাস পেয়ে বর্তমানে ২১.৮% এবং চরম দারিদ্র্যের হার ১১.৩%-এ দাঁড়িয়েছে। আমাদের মাথাপিছু আয় ১,৭৫১ মার্কিন ডলার। শিক্ষার্থীরা বিনামূল্যে বই পাচ্ছে। শিক্ষার হার ৭৩ শতাংশ। দেশের ৯০ ভাগ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা পাচ্ছে এবং আশা করছি, স্বল্প সময়ের মধ্যেই তা শতভাগে উন্নীত হবে। স্বাস্থ্যসেবা জনগণের দোরগোড়ায়। মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭২ বছর হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশ এখন বাস্তবতা। সারাদেশে সড়ক, মহাসড়ক, সেতু, ফ্লাইওভার, পাতাল সড়ক, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, রেল, নৌ ও যোগাযোগ অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যাপক কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। আমরা নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করছি। মেট্রোরেল নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে চলেছে। জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ ও মাদক নির্মূলে আমাদের সরকার ‘জিরো টলারেন্স’ নীতিতে কাজ করে যাচ্ছে। আমরাই বিশ্বে প্রথম শত বছরের ‘ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০’ বাস্তবায়ন শুরু করেছি। অর্থনৈতিক অগ্রগতিতে বিশ্বের ৫টি দেশের একটি বাংলাদেশ। উন্নয়নের ৯০ ভাগ কাজই নিজস্ব অর্থায়নে করছি। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করে জাতির পিতার হত্যাকারীদের বিচার সম্পন্ন করেছি। জনগণকে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য পরিচালনা করছি, বিচারের রায় কার্যকর করা হচ্ছে। একটানা ১০ বছর আওয়ামী লীগ সরকারে থাকার কারণে তৃণমূলের জনগণ আজ উন্নয়নের সুফল পাচ্ছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। আগামী প্রজন্ম পাবে সমৃদ্ধিশালী বাংলাদেশ। 
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ ইউনেস্কো কর্তৃক বিশ্ব প্রামাণ্য ঐতিহ্য হিসেবে ইউনেস্কোর ওহঃবৎহধঃরড়হধষ গবসড়ৎু ড়ভ ঃযব ডড়ৎষফ জবমরংঃবৎ এ অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সমগ্র দেশ ও জাতি আজ গর্বিত। আমরা ভারতের সঙ্গে স্থলসীমানা সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমারও শান্তিপূর্ণ সমাধান করেছি। আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ফোরামে এবং বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশ প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। সারাবিশ্ব আমাদের আর্থসামাজিক অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করছে। সংবিধান ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষার মাধ্যমে এই সব অর্জন সম্ভব হয়েছে। আমরা ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি ক্ষুধামুক্ত-দারিদ্র্যমুক্ত মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করব, ইনশাআল্লাহ। 
আসুন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের এই উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করি। দেশ ও জাতির কল্যাণে আত্মনিয়োগ করি। ২০১৮ সালের বিজয় দিব
Todays handout (8).docx