তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৮
ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা
-- বিমান ও পর্যটন মন্ত্রী
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী মুহাম্মদ ফারুক খান বলেছেন, ঢাকা বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে নতুন মাত্রা যোগ করবে।
আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এয়ার চায়না’র ঢাকা-বেইজিং-ঢাকা রুটে সরাসরি ফ্লাইট উদ্বোধন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী একথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, এই সরাসরি ফ্লাইট বাংলাদেশ এবং চীনের মধ্যে বন্ধুত্ব, সহযোগিতা, উন্নয়ন এবং ক্রমবর্ধমান কানেক্টিভিটির নিদর্শন। এই ফ্লাইট চালুর ফলে আমাদের দেশের জনগণ, ব্যবসায়ী এবং শিক্ষার্থীগণ সরাসরি বেইজিং এ যাতায়াত করতে পারবেন। পর্যটন-সহ অন্যান্য ব্যবসার ক্ষেত্রেও এর সুফল পাওয়া যাবে।
বিমানমন্ত্রী আরো বলেন, যারা উন্নয়ন চায় না তারা কানেক্টিভিটি নিয়ে অসত্য বলে। তারা দেশকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। তারা ভুলে যায় কানেক্টিভিটি মানেই উন্নয়ন, কানেক্টিভিটি মানেই বাণিজ্য। যত বেশি কানেক্টিভিটি বাড়বে, এ দেশের জনগণ ও ব্যবসায়ীরা তত বেশি সুবিধা পাবেন।
ফারুক খান বলেন, বর্তমানে চীনের কুনমিং ও গুয়াংজুতে সরাসরি ফ্লাইট রয়েছে। আজ এয়ার চায়না'র ঢাকা-বেইজিং সরাসরি ফ্লাইট চালু হলো। আগামী ১৫ জুলাই একই রুটে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইন্সের ফ্লাইট চালু হবে। ভবিষ্যতে চীনের আরো নতুন গন্তব্যে ঢাকা হতে সরাসরি ফ্লাইট চালু হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান এয়ার কমডোর সাদিকুর রহমান চৌধুরী, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোঃ কামরুল ইসলাম, বাংলাদেশে অবস্থিত চীনা দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স লিউ ইউয়ান, আরভিং গ্রুপের চেয়ারম্যান এইচ ভি এম লুৎফর রহমান এবং এয়ার চায়না’র কান্ট্রি ম্যানেজার আন মিং।
#
তানভীর/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২২১০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৭
জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ
টুঙ্গিপাড়া (গোপালগঞ্জ), ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন।
আজ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির নেতৃবৃন্দ ও কমিটির সভাপতি গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর নেতৃত্বে গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন এবং গোপালগঞ্জ জেলা ও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তারা ফাতিহা পাঠ ও জাতির পিতার রুহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন। এর আগে মন্ত্রী জেলা ও উপজেলা প্রশাসন এবং গণপূর্ত অধিদপ্তরের স্থানীয় কর্মকর্তাদের সাথে নিয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
পরে মন্ত্রী সমাধিসৌধে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে স্বাক্ষর করেন।
#
রেজাউল/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১৪৫ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৬
মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর সাথে মরিশাসের নিযুক্ত হাইকমিশনার জকি আহাদের সাক্ষাৎ
পোর্ট লুইস, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
মরিশাসে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার জকি আহাদ আজ মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষা, স্বরাষ্ট্র ও বিদেশি যোগাযোগ মন্ত্রী রড্রিগেস, আউটার আইল্যান্ডস এবং টেরিটোরিয়াল ইন্টিগ্রিটির মন্ত্রী প্রভীন্দ কুমার জগনাথের সাথে এক সাক্ষাতে মিলিত হন। সাক্ষাৎকালে উভয় পক্ষ বাংলাদেশ ও মরিশাসের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও পারষ্পরিক অভিন্ন স্বার্থ সম্পর্কিত বেশ কয়েকটি বিষয় তুলে ধরেন।
হাইকমিশনার মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর উষ্ণ শুভেচ্ছা পৌঁছে দেন। তিনি মরিশাসে আসার পর থেকে সৌহার্দ্যপূর্ণ সহযোগিতার জন্য মরিশাস সরকারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক জোরদার করতে এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক ও সহযোগিতাকে নতুন মাত্রায় উন্নীত করার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা অব্যহত রাখার আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশ হাইকমিশনার মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রীকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বর্তমান সরকারের উল্লেখযোগ্য অর্জন সম্পর্কে অবহিত করেন।
তিনি বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী প্রভীন্দ কুমার জগনাথকে উষ্ণ আমন্ত্রণ পৌঁছে দেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ ও মরিশাসের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধির গুরুত্ব তুলে ধরেন। বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশকে পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রাখায় মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করেন।
মরিশাস প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী জানান, পারষ্পরিক সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফর করবেন। বাংলাদেশের সামগ্রিক সাফল্য অর্জন এবং এ অর্জনে বর্তমান সরকারের নেতৃত্বের প্রশংসা করেন। তাঁরা উভয়ে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের উপর বিশেষ জোর দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা আরো গভীর ও জোরদার করার সম্ভাব্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করেন।
উভয় দেশের উচ্চ পর্যায়ের সফর, ব্যবসায়ী প্রতিনিধি সফর, ব্যবসা-বাণিজ্য, বিনিয়োগ, কৃষি, শিক্ষা ও মরিশাসে বাংলাদেশী কর্মী নিয়োগসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেন। বাংলাদেশ হাইকমিশন মরিশাসের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
#
জাহাঙ্গীর/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২২২০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৫
শিশু সমাবেশে যোগ দিতে জাপান যাচ্ছে শিশু একাডেমির ৪ শিশু
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
আজ ঢাকায় বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে ৩৬তম এশিয়ান প্যাসিফিক চিলড্রেনস কনভেনশন ইন ফুকুওকা, জাপান প্রোগ্রাম ২০২৪-এর ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন (রিমি)।
এবারের জাপান প্রোগ্রাম ২০২৪-এ বাংলাদেশ শিশু একাডেমি থেকে ৪ জন শিশু বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করছে। জাপানগামী ৪ জন শিশু হলো আয়দা মানহা, নন্দিনী চাকমা, সমৃদ্ধ চৌধুরী ওম এবং সজল সরকার দেব। এই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাংলাদেশ শিশু একাডেমির প্রোগ্রাম অফিসার মোঃ নুরুজ্জামান। এই দলটি আগামী ১২ জুলাই জাপানের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করবে এবং তারা সেখানে ১২ দিন বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করবে। এবারের ৩৬তম এশিয়ান প্যাসিফিক চিলড্রেনস কনভেনশন ইন ফুকুওকা, জাপান প্রোগ্রাম ২০২৪ এ সারা বিশ্বের ৬১টি দেশ অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী শিশুদেরকে জাপানের ইতিহাস, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি সম্পর্কে ধারণা দেন। জাপানের ঐতিহ্য এবং ঐতিহাসিক অরিগামি সম্পর্কে বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী শিশুদেরকে জাপানি সংস্কৃতি থেকে নিজের আত্মোপলব্ধি এবং আত্মোন্নয়নের কথা বলেন। একই সাথে এই শিশুরাই জাপানে বাংলাদেশকে প্রতিনিধিত্ব করবে, তাই তাদেরকে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য অভিবাদন জানান।
আজকের ওরিয়েন্টেশন অনুষ্ঠানে জাপানগামী ৪ শিশু দলীয় নৃত্য ও সংগীত পরিবেশন করেন। জাপানে যাওয়া এবং জাপানে গিয়ে করণীয় সম্পর্কে একটি ছোট নাটিকা প্রদর্শন করা হয়। যাতে তারা ধারণা পায় বিভিন্ন প্রয়োজনে তারা কীভাবে তাদের সমস্যার সমাধান করতে পারে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনাম, বাংলাদেশ শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন, জাতীয় মহিলা সংস্থার চেয়ারম্যান বেগম চেমন আরা তৈয়ব, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং বাংলাদেশ শিশু একাডেমির কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
নূর আলম/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২১০০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৪
চার ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধা ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দৃঢ় সহায়তার প্রত্যয় শি জিনপিংয়ের
বেইজিং (চীন), ১০ জুলাই:
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বাংলাদেশকে অর্থনৈতিক সুবিধার প্যাকেজ ও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দৃঢ় সহায়তা দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
আজ বেইজিংয়ের গ্রেট হলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাথে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে শি জিনপিং বাংলাদেশকে গ্রান্ট বা সহায়তা, সুদমুক্ত ঋণ, কনসেশনাল বা ছাড়যুক্ত ঋণ ও বাণিজ্যিক ঋণ -এই চার ধরনের অর্থনৈতিক সুবিধার একটি প্যাকেজ দেওয়ার ঘোষণা দেন।
সেইসাথে চীনের প্রেসিডেন্ট নিজে থেকেই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া প্রায় ১৩ লাখ রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দেওয়ার কথা বলেন। তিনি মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর সাথে এবং প্রয়োজনে আরাকান সেনাদলের সাথেও কথা বলবেন বলে জানান।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও প্রেস সচিব নাঈমুল ইসলাম খান ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী হাছান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর এই চীন সফর শতভাগ সফল হয়েছে। চীনের প্রেসিডেন্ট বৈঠকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়নকে অভূতপূর্ব বর্ণনা করেন এবং চীনা সহায়তা অব্যাহত থাকবে বলে জানান। শি জিনপিং বলেন, ২০২৫ সালে চীন-বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছরপূর্তিতে সম্পর্ককে দ্বিতীয় পর্যায়ে উন্নীত করে এ উদ্যাপনকে অর্থবহ করতে তারা প্রস্তুত।
চীনের প্রেসিডেন্ট ‘গুড গভর্নেন্স নিডস গুড পার্টি’ মন্তব্য করে চীনের কম্যুনিস্ট পার্টির সাথে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যোগাযোগ বৃদ্ধি ও বন্ধনের ওপর জোর দেন, উল্লেখ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি শি জিনপিং বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ, কারিগরি, কৃষি ও উৎপাদন খাতে সহায়তা এবং ছাত্রবৃত্তি বৃদ্ধির আশ্বাস দেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামের আনোয়ারায় চীনের জন্য একক বরাদ্দ ৮০০ একর জমি-সহ বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল ও আইটি ভিলেজগুলোতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশ থেকে পাট ও চামড়াজাত পণ্য, ফার্মাসিউটিক্যালস, সিরামিক, আম ও অন্যান্য ফলসহ পণ্য আমদানি বৃদ্ধির মাধ্যমে বাণিজ্য ঘাটতি কমিয়ে আনার আহ্বান জানালে চীনের প্রেসিডেন্ট ইতিবাচক সাড়া দেন।
শেখ হাসিনা-লি ছিয়াং বৈঠক, ২২ সমঝোতা, ৭ প্রকল্প, ১ বিলিয়ন আরএমবি সহায়তা ঘোষণা
এদিন সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেইজিংয়ের গ্রেট হলে চীনের প্রিমিয়ার অভ্ দ্য স্টেট কাউন্সিল লি ছিয়াংয়ের সাথে সাক্ষাৎ করেন ও দু’দেশের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদলসহ দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হন।
এরপর দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান, বৈঠক শেষে দুই প্রধানমন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে ২১টি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর প্রত্যক্ষ করেন। পাশাপাশি চীনের প্রধানমন্ত্রী লি ছিয়াং বাংলাদেশকে ১ বিলিয়ন আরএমবি সহায়তার ঘোষণা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, পরে বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের উপস্থিতিতে ২২তম সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরিত হয়।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সম্মানে গ্রেট হলে আয়োজিত চীনের রাষ্ট্রীয় মধ্যাহ্নভোজে যোগ দেন।
১১ তারিখ সকালের পরিবর্তে ১০ জুলাই রাতে প্রধানমন্ত্রীর বেইজিং ত্যাগ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার কন্যা সায়মা ওয়াজেদ বেশি অসুস্থ হওয়ার কারণে চীন সফরের সকল অনুষ্ঠান অপরিবর্তিত রেখে শুধু ১১ তারিখ সকালের পরিবর্তে ১০ জুলাই রাতে বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
চীনের সাথে স্বাক্ষরিত স্মারকগুলো হলো: ডিজিটাল অর্থনীতিতে বিনিয়োগ সহযোগিতা জোরদার করার বিষয়ে সমঝোতা; চায়না ন্যাশনাল ফাইন্যান্সিয়াল রেগুলেটরি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এনএফআরএ) এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের মধ্যে ব্যাংকিং এবং বীমা নিয়ন্ত্রণ সংক্রান্ত সমঝোতা; বাংলাদেশ থেকে চীনে তাজা আম রপ্তানির জন্য উদ্ভিদ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত (ফাইটোস্যানিটারি) উপকরণ বিষয়ে প্রটোকল; অর্থনৈতিক উন্নয়ন নীতি সহায়তা ক্ষেত্রে সমঝোতা; বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সহায়তা সমঝোতা; বাংলাদেশে প্রকল্পে চায়না-এইড ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারের ‘সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা’ বিষয়ে আলোচনার কার্যবিবরণী; চীনের সহায়তায় ৬ষ্ঠ বাংলাদেশ-চায়না মৈত্রী সেতু সংস্কার প্রকল্পপত্র বিনিময়; নাটেশ্বর প্রত্নতাত্বিক স্থাপনা পার্ক প্রকল্পে চায়না-এইড কনস্ট্রাকশনের সম্ভ্যাবতা সমীক্ষাপত্র বিমিময়; চীনের সহায়তায় নবম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতু প্রকল্পপত্র বিনিময়; মেডিকেল সেবা এবং জনস্বাস্থ্য বিষয়ে সহযোগিতা শক্তিশালীকরণ সমঝোতা; অবকাঠামোগত সহযোগিতা জোরদারে সমঝোতা; গ্রিন অ্যান্ড লো-কার্বন উন্নয়ন বিষয়ে সহযোগিতা; বন্যার মৌসুমে ইয়ালুজাংবু (ব্রহ্মপুত্র) নদীর হাইড্রোলজিক্যাল তথ্য বাংলাদেশকে দেওয়ার বিধি বিষয়ক সমঝোতা স্মারক নবায়ন; চীনের জাতীয় বেতার ও টেলিভিশন প্রশাসন এবং বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা; চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) এবং বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার মধ্যে পারষ্পরিক সমঝোতা; চায়না মিডিয়া গ্রুপ (সিএমজি) এবং বিটিভি’র মধ্যে সমঝোতা; সিনহুয়া নিউজ এজেন্সি ও বিটিভি’র মধ্যে সমঝোতা; চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এবং বাংলদেশের জাতীয় সংবাদ সংস্থা বাসস’র মধ্যে সমঝোতা; সিনহুয়া সংবাদ সংস্থা এবং বাংলাদেশ টেলিভিশনের মধ্যে সমঝোতা;
চীনের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝাতা স্মারক নবায়ন; টেকসই অবকাঠামো উন্নয়নে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ বিষয়ে সমঝোতা এবং চীনের শ্যানডং এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সাথে গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা।
৭টি ঘোষণাপত্র হলো: চীন-বাংলাদেশ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি বিষয়ে যৌথ সম্ভ্যাবতা সমীক্ষা সমাপ্তি ঘোষণা; চীন-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বিনিয়োগ চুক্তি ত্বরান্বিত করা নিয়ে আলোচনা শুরুর ঘোষণা; ডিজিটাল কানেক্টিভিটি প্রকল্পের জন্য টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্কের আধুনিকীকরণের সমাপ্তির ঘোষণা; ডাবল পাইপ লাইন প্রকল্পের সাথে সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং এর ট্রায়াল রান সমাপ্তির ঘোষণা; রাজশাহী ওয়াসা সারফেস ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট চালুর ঘোষণা; বাংলাদেশে লুবান ওয়ার্কশপ নির্মাণের ঘোষণা এবং চীনের শ্যানডং এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সাথে গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সহযোগিতার ঘোষণা।
অর্থমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, পররাষ্ট্র সচিব, অন্যান্য সচিব-সহ প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাগণ অনুষ্ঠানমালায় যোগ দেন।
বেইজিংয়ের সেন্ট রেজিস হোটেলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্মুদের উপস্থিতিতে চীনের শ্যানডং এগ্রিকালচারাল ইউনিভার্সিটির সাথে গাজীপুরস্থ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্মারকটি স্বাক্ষরের সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মোঃ তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও চীনে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মোঃ জসিম উদ্দিন উপস্থিত ছিলেন।
#
আকরাম/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫৩
সবাই মিলে কাজ করলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব
-- স্বাস্থ্যমন্ত্রী
শিবচর (মাদারীপুর), ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, বাংলাদেশের চিকিৎসকদের মান পৃথিবীর কোনো দেশের তুলনায় কম না। অনেক ভালো ভালো চিকিৎসক বাংলাদেশে আছে। তবে আমাদের যথার্থ ফ্যাসিলিটি-সহ অনেক কিছুর অভাব আছে আছে যার কারণে পারি না। আমরা যদি সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে করি তাহলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব।
মন্ত্রী আজ মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পসমূহ পরিদর্শন করেন। শিবচরে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরিদর্শনকৃত প্রকল্পসমূহের মধ্যে রয়েছে ইলিয়াস আহমেদ চৌধুরী ট্রমা সেন্টার, শিবচর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৫০ শয্যা থেকে ১০০ শয্যা উন্নীতকরণ প্রকল্প, শেখ হাসিনা ইনিস্টিটিউট অভ্ হেলথ টেকনোলজি নির্মাণ প্রকল্প। এর পাশাপাশি তিনি শিবচর ডায়াবেটিক সমিতি এবং উত্তর তাজপুর কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করেন। শেখ হাসিনা ইনস্টিটিউট অভ্ টেকনোলজি নির্মাণ প্রকল্প পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী উক্ত ইনস্টিটিউটের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
সভায় মন্ত্রী বলেন, আমি বঙ্গবন্ধু আর তার পরিবারের সবার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বঙ্গবন্ধু এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে ধরে রাখার জন্য চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী যে কাজগুলো করেছেন, যে সব স্থাপনা আর ভাস্কর্য স্থাপন করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। তিনি শিবচরকে পুরো বাংলাদেশে একটি মডেল হিসেবে সৃষ্টি করেছেন।
স্বাস্থ্যখাতে টেকনিশিয়ানের গুরুত্ব সম্পর্কে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশে অর্ধেক রোগী বিদেশে যায় রোগের যথাযথ ইনভেস্টিগেশন হয় না দেখে। তারা দেখে এক জায়গায় এক রিপোর্ট, আরেক জায়গায় আরেক রিপোর্ট। আমরা যদি ভালো টেকনোলজি আর দক্ষ জনবল তৈরি করতে পারি তাহলে স্বাস্থ্য খাতে উন্নতি ঘটাতে পারব।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ভালো পর্যায়ে নিয়ে আসতে তোমাদের যথাযথ ভূমিকা রাখতে হবে। আমি বারবার বলে আসছি প্রান্তিক জনগণের যথাযথ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিশ্চিত করতেই হবে। রোগীদের ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস ভালো করে পরীক্ষা করতে হবে। রোগীদের ঠিকমতো ঔষধ দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে। ঢাকা মেডিকেল বা হৃদরোগ হাসপাতালে রোগী ফ্লোরে পড়ে থাকে। এইগুলো বন্ধ করতে আমাদের উপজেলা লেভেলের স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, হাসপাতালগুলোকে স্বাবলম্বী করতে হবে। বাংলাদেশের প্রত্যেক সংসদ সদস্য যদি হাসপাতালে আসেন ব্লাড প্রেসার দেখান, ডায়াবেটিস পরীক্ষা করেন। তাহলে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। ঢাকায় কোনো রোগী আসবে না।
মতবিনিময় সভায় এবং পরিদর্শনে আরো উপস্থিত ছিলেন চিফ হুইপ নূর-ই-আলম, স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী ডাঃ রোকেয়া সুলতানা, স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের সচিব মোঃ আজিজুর রহমান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক ডা. আহমেদুল কবীর-সহ স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও জেলা-উপজেলা কর্মকর্তাবৃন্দ।
#
শাহাদাত/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/২০৩০ ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫২
২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায়
চলমান বিডিএস কার্যক্রম শেষ করার নির্দেশ ভূমিমন্ত্রীর
ঢাকা, ২৬ আষাঢ় (১০ জুলাই):
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ ২০২৬ সালের মধ্যে ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় চলমান বিডিএস কার্যক্রম সম্পাদনের জন্য প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন। এসময় তিনি ‘১ ব্যক্তি, ১ খতিয়ান ও ১ দাগ’ ব্যবস্থা বাস্তবায়নের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।
আজ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে বাংলাদেশ ডিজিটাল জরিপের (বিডিএস) আওতাভুক্ত ‘এস্টাবলিশমেন্ট অভ্ ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (ইডিএলএমএস) প্রকল্প এবং দক্ষিণ কোরিয়া হতে আগত এই প্রকল্পের সহযোগী সংস্থার কর্মকর্তাগণ প্রকল্পের অগ্রগতি এবং ভবিষ্যৎ কর্মপরিকল্পনা বিষয়ে অবহিত করতে ভূমিমন্ত্রীর সাথে সাক্ষাৎ করেন।
এসময় ভূমি মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ খলিলুর রহমান, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদ এবং ইডিএলএমএস প্রকল্পের পরিচালক মোঃ জহুরুল হক-সহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অন্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন স্যামসাং-এর প্রকল্প ব্যবস্থাপক জিহওয়ান মিন এবং জিওমেক্সসফট-এর সিইও ড. জেয়ইয়ং ইউ।
প্রকল্প কর্মকর্তাগণ ভূমিমন্ত্রীকে জানান বিডিএস কার্যক্রমের ৩৭ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। ইডিএলএমএস প্রকল্প এলাকায় পিলার বসানোর কাজ শেষ হয়েছে এবং প্লট টু প্লট জরিপ কাজ শুরু হবে। তারা প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন যে, নির্ধারিত এলাকায় সময়ের মধ্যেই ইডিএলএমএস প্রকল্পের আওতায় বিডিএস অপারেশনের কাজ শেষ করা সম্ভব হবে।
দক্ষিণ কোরিয়ার ডিজিটাল জরিপ বিশেষজ্ঞগণ ভূমিমন্ত্রীকে জানান, তারা বাংলাদেশে অন্যান্য এলাকায় ডিজিটাল ভূমি জরিপ পরিচালনার পাশাপাশি ভূমি মূল্যায়ন নিয়েও কাজ করতে ইচ্ছুক। এসময় ভূমিমন্ত্রী সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন, মানিকগঞ্জ পৌরসভা এবং ধামরাই ও কুষ্টিয়া সদর উপজেলায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের (এস্টাবলিশমেন্ট অভ্ ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম প্রকল্প) মাধ্যমে বাংলাদেশ ডিজিটাল সার্ভে কার্যক্রম চলমান রয়েছে। জিএনএসএস, টোটাল সার্ভে সিস্টেম, ড্রোন, ওরাকল ডাটা ও জিআইএস সফটওয়্যার-সহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে দক্ষিণ কোরিয় সহায়তায় ইডিএলএমএস প্রকল্পের মাধ্যমে বর্তমানে বিডিএস পরিচালনা করা হচ্ছে। প্রথম পর্যায় থেকে প্রয়োজনীয় আউটপুট নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে সারা বাংলাদেশে একযোগে বিডিএস প্রোগ্রাম চালু করা সম্ভব হবে।
বিডিএস বাস্তবায়িত হলে ভূমি জরিপ, ভূমি ব্যবস্থাপনা অফিসের মধ্যে নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠা-সহ অটোমেশন ব্যবস্থার প্রবর্তন হবে। মৌজা-ম্যাপ ও রেকর্ডের মধ্যে লিংকেজ প্রতিষ্ঠার ফলে ভূমির মালিকগণ সহজেই অনলাইনের মাধ্যমে রেকর্ড ও প্লট দেখার সুযোগ পাবে। ভূমি জরিপ ও ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে বিধায় জনদুর্ভোগ হ্রাস পাবে ও দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হবে। বিডিএস কার্যক্রমে একই সাথে অনলাইনে মৌজা ম্যাপ ও খতিয়ান পাওয়া যাবে। ১৫ দিনের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে সৃষ্ট দাগ সংশোধনের নকশা-সহ খতিয়ান তৈরি হবে।
#
নাহিয়ান/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২৪/২০১০ঘণ্টা
তথ্যবিবরণী নম্বর: ১৫১
বেলজিয়ামে ইসিএমএন সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী
জলবায়ু ন্যায়বিচার নিশ্চিত ও বৈশ্বিক সহযোগিতার বৃদ্ধির আহ্বান
বেলজিয়াম, ১০ জুলাই:
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী সাবের হোসেন চৌধুরী বলেছেন, বৈশ্বিক জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় জলবায়ু ন্যায়বিচার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অভিবাসন এবং পরিবেশগত অবনতির জটিল সমস্যা মোকাবিলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা ও সংহতির গুরুত্ব তুলে ধরেছেন। মন্ত্রী জোর দিয়ে আরো বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বহুপাক্ষিকতার জন্য একটি লিটমাস পরীক্ষা।
গতকাল বেলজিয়ামের লিজ শহরে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড ক্লাইমেট মোবিলিটিস নেটওয়ার্ক (ইসিএমএন)-এর দ্বিতীয় সম্মেলনের উদ্বোধনী অধিবেশনে ‘কলোনাইজিং দ্য ফিউচার: ক্লাইমেট জাস্টিস, ডেমোক্রেসি এন্ড মাইগ্রেশন গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক প্যানেল আলোচনায় পরিবেশমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ বৈশ্বিক কার্বন নিঃসরণের চেয়ে কম অবদানকারী দেশগুলোর মধ্যে একটি, তবুও এটি বিশ্বের অন্যতম জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের গৃহীত পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন বাংলাদেশের জন্য একটি অস্তিত্বের হুমকি। কারণ এই শতাব্দীর শেষ নাগাদ সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির কারণে ১৭ শতাংশ উপকূলীয় এলাকা তলিয়ে যেতে পারে এবং সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা এক মিটার বৃদ্ধির ফলে ৪০ মিলিয়ন মানুষ বাস্তুচ্যুত হতে পারে।
অনুষ্ঠানে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের মহাসচিব ও মালদ্বীপের সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ প্যানেলিস্ট হিসেবে বক্তব্য রাখেন। বেলজিয়ামের রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং গবেষক ফ্রাঁসোয়া গেমেনের পরিচালনায় প্যানেলটি ইতিহাসবিদ এবং লেখক ডেভিড ভ্যান রেইব্রুক মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন। এছাড়া প্যানেলিস্টদের মধ্যে ছিলেন স্যান্ড্রিন ডিক্সন-ডেক্লেভ, ক্লাব অফ রোমের সহ-সভাপতি এবং আর্থ ৪অল-এর নির্বাহী পরিচালক এবং সেন্ট্রাল ইউরোপের ইনস্টিটিউটের পরিচালক ক্যাটারিনা সেফালভায়োভা। বেলজিয়াম, লুক্সেমবার্গে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এবং ইইউতে মিশন প্রধান মাহবুব হাসান সালেহসহ দূতাবাসের অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।
প্যানেলিস্টরা উত্তর দক্ষিণ বিভাজন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আরো অর্থপূর্ণ পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা, আস্থা পুনর্গঠন এবং একটি ন্যায্য, আরো গণতান্ত্রিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক আন্তর্জাতিক শাসনের কথা তুলে ধরেন। COP আলোচনায় বাংলাদেশের প্রথম সারির ভূমিকা, বিশেষ করে ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়ে, প্যানেলিস্টরা প্রশংসা করেছেন। প্যানেলিস্টরা বৈশ্বিক আর্থিক ও গভর্নিং মেকানিজমের সংস্কারের প্রয়োজনীয়তার বিষয়েও কথা বলেন।
#
দীপংকর/সায়েম/রানা/সঞ্জীব/সেলিম/২০২৪/১৯৩০ ঘণ্টা
Handout Number: 150
ECMN conference in Belgium
Minister Saber Chowdhury stresses
urgency of climate justice and global collaboration
Brussels (Belgium), 10 July 2024:
Environment, Forest and Climate Change Minister Saber Hossain Chowdhury said that climate justice is crucial in addressing the global climate crisis. He also underscored the significance of international collaboration and solidarity in tackling the complex issues