Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ৮ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী ৮ জানুয়ারি ২০২৩

তথ্যবিবরণী                                                                                              নম্বর : ১০১

শীতের পাখির মতো বিএনপি নেতাদের থেকে সাবধান

                             --- রাঙ্গুনিয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :

          আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ‘দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বিএনপি নেতাদের কোথাও খুঁজে পাওয়া যায় না। শীতের পাখিরা এখন যেমন সাইবেরিয়া থেকে এসেছে, নির্বাচন এলে বিএনপি নেতাদেরও শীতের পাখিদের মতো আগমন ঘটবে। তাদের থেকে আপনারা একটু সাবধানে থাকবেন।’

          আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্প উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এ সতর্কবাণী দেন।

          ড. হাছান বলেন, ‘নির্বাচনের আগে বিএনপির নেতারা শীতের পাখিদের মতো করে আসবে। অথচ তাদেরকে কোনদিন কোনো জায়গায় দেখা যায়নি। তারা ত্রাণ বিতরণে নাই, ঘূর্ণিঝড়ে নাই, করোনার সময়ও ছিল না। এভাবে তারা কোনো সময়েই মানুষের পাশে ছিল না। তাই সাধারণ জনসাধারণকে তাদের থেকে সতর্ক থাকতে হবে।’

          সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘রাঙ্গুনিয়ায় হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন হয়েছে। আজকে ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করা হলো। এভাবে রাঙ্গুনিয়া একটি আধুনিক জনপদে রূপান্তরিত হয়েছে। বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ উন্নয়নে বদলে গেছে। আগামীতেও উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে আবারও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারের বিকল্প নেই।’

          রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণ থেকে রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, বেতাগী, পোমরা, মরিয়মনগর এবং পারুয়া ইউনিয়নের ১৪টি নতুন সড়ক, একটি স্কুল এবং ৩টি কালভার্টসহ একযোগে মোট ১৮টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ফলক উন্মোচন করেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ ।

          উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য আবুল কাশেম চিশতি, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মোঃ শাহজাহান সিকদার, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চট্টগ্রাম অঞ্চলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী তোফাজ্জল আহাম্মদ, নির্বাহী প্রকৌশলী হাসান আলী, উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ দিদারুল আলম প্রমুখ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

আকরাম/এনায়েত/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২২/২০৫০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                            নম্বর : ১০০

 

ভারতীয় সাংবাদিকদের সফর দু’দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নেবে

                                                                      ---তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী

চট্টগ্রাম, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ বলেছেন, ভারতীয় সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সফর যেমন দুই দেশের সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় উন্নীত করবে তেমনি মানুষে মানুষে আত্মিক সম্পর্ককে আরো গভীরতর করতেও অত্যন্ত ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।

 

আজ চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে বাংলাদেশ সফররত ভারতীয় সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

 

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের আমন্ত্রণে কলকাতা থেকে ২৫ জন এবং আসাম ও গৌহাটি থেকে ৯ জন সাংবাদিক ৬ থেকে ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ সফরের অংশ হিসেবে রোববার চট্টগ্রাম যান। এ দিন চট্টগ্রামের সন্তান তথ্যমন্ত্রী হাছান ভারতীয় সাংবাদিকদের নিয়ে কর্ণফুলী নদীর তলদেশে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধু টানেল ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদারের আত্মাহুতির স্থান পাহাড়তলীতে ইউরোপিয়ান ক্লাব পরিদর্শন করেন।

 

ড. হাছান তার বক্তৃতায় বলেন, ‘এখন আর আকাশ থেকে বাংলাদেশে কুঁড়েঘর দেখা যায় না, বাস্তবিক অর্থে কুঁড়েঘর হারিয়ে গেছে, এটিই বদলে যাওয়া বাংলাদেশ। গত ১৪ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে দু’দেশের সুসম্পর্কের নতুন মাত্রা আমাদের এই বদলে যাওয়ার উন্নয়ন অভিযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’

 

সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, আমরা দু’দেশের নাগরিক বটে, কিন্তু আমরা একই পাখির কলতান শুনি, একই নদীর অববাহিকায় আমরা বেড়ে উঠি। একই মেঘ আমাদের এখানে বরিষণ করে। কাঁটাতারের বেড়া আমাদের এই বন্ধন, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, কৃষ্টি, ভাষা এবং সর্বোপরি আমাদের ভালোবাসাকে বিভক্ত করতে পারেনি।

 

হাজার হাজার বছর ধরে আমাদের এই আত্মিক সম্পর্ক রক্তের বন্ধনে একাত্ম হয়েছে একাত্তর সালে, যখন আমাদের মুক্তিবাহিনীর সাথে ভারতের সেনাবাহিনী রক্ত ঝরিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের কষ্টের সাথে ভারতের মানুষও কষ্ট স্বীকার করেছে। এক কোটির বেশি মানুষ ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেছে। যতই কাঁটাতারের বেড়া কিংবা অন্য কোনো আইন-কানুন থাকুক না কেন, রক্তের অক্ষরে লেখা হৃদয়ের এই বন্ধন কখনো বিভক্ত করা যাবে না।

 

ড. হাছান মাহ্‌মুদ আরো বলেন, সাংবাদিকরা সমাজের তৃতীয় নয়ন খুলে দেয়, মানুষের আত্মিক খোরাক যোগায়, অনুন্মোচিত বিষয়কে উন্মোচিত করে। সমাজ এবং রাষ্ট্রকে সঠিক পথে প্রবাহিত করার ক্ষেত্রে সাংবাদিকরা ভূমিকা রাখে। এখান থেকে গিয়ে যখন আপনারা কলম ধরবেন কিংবা টেলিভিশনে রিপোর্টিং হবে তখন দুই দেশের সম্পর্ক আরো গভীরতর হবে। আমাদের দেশের বদলে যাবার গল্পটা ভারতবাসী জানবে, বিশ্ববাসী জানবে।

 

চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাহউদ্দিন মোহাম্মদ রেজার সভাপতিত্বে ও যুগ্ন সম্পাদক শহীদুল্লাহ শাহরিয়ারের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক আবুল বশর মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, কলকাতা প্রেসক্লাবের সভাপতি স্নেহাশিষ সুর, সম্পাদক কিংশুক প্রামাণিক ও আসামের সিনিয়র সাংবাদিক মনোজ কুমার গোস্বামী।  চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেবদুলাল ভৌমিক স্বাগত বক্তব্য ও সিনিয়র সহ-সভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাবেক সভাপতি আলী আব্বাস, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি তপন চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক শামসুল ইসলাম প্রমুখ আমন্ত্রিত বক্তব্য রাখেন।

#

আকরাম/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/২০১৬ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৯৯

 

সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটছে, বছরে সাশ্রয় হবে ১০ হাজার কোটি টাকা

                                                                 ---কৃষিমন্ত্রী

সাতক্ষীরা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :

 

কৃষিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, ভোজ্যতেলের চাহিদার শতকরা ৯০ ভাগ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়। এতে বছরে প্রায় ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয় হয়।  এ অবস্থায়, দেশে ৫০ ভাগ তেল উৎপাদনের মাধ্যমে আমদানি নির্ভরতা কমাতে তিন বছর মেয়াদি রোডম্যাপ আমরা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছি।  প্রথম বছরেই এবার সারা দেশে দ্বিগুণ পরিমাণ সরিষা চাষ হয়েছে। সরিষা চাষে বিপ্লব ঘটতে যাচ্ছে এবং আগামী তিন বছরের মধ্যেই আমরা বছরে ভোজ্যতেল আমদানিতে কমপক্ষে ১০ হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় করতে পারব। 

 

আজ সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গায় সরিষার মাঠ পরিদর্শন ও সরিষা চাষিদের সাথে মতবিনিময়কালে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। এসময় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বাদল চন্দ্র বিশ্বাস উপস্থিত ছিলেন। 

 

মন্ত্রী বলেন, শুধু সরিষার আবাদ বৃদ্ধিই নয়, এর সাথে সাথে বৃদ্ধি পেয়েছে মৌচাষ ও মধুর উৎপাদন। অন্যদিকে, আমন ও বোরোর মধ্যবর্তী সময়ে পতিত জমিতে সরিষার আবাদ হওয়ায় ধানের উৎপাদন কমছে না, একইসঙ্গে কৃষকেরা অতিরিক্ত ফসল হিসেবে এই সরিষা পেয়ে লাভবান হচ্ছেন। সরিষা চাষিরা যাতে সরিষার ভালো দাম পান, এ বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে বলে জানান মন্ত্রী।

 

পরে কৃষিমন্ত্রী কালীগঞ্জ উপজেলার নলতা এএমআর ডিগ্রি কলেজ মাঠে গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে নলতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথি হিসাবে যোগ দেন।

 

এসময় মন্ত্রী বলেন, বিএনপির আন্দোলনের সাথে জনগণের সম্পৃক্ততা নেই। কাজেই, বিএনপি জামায়াত যুগপৎভাবে যত আন্দোলনই করুক না কেন, তা কোন কাজে আসবে না। আওয়ামী লীগের মতো সুসংগঠিত, শক্তিশালী ও জনসম্পৃক্ত দলকে তারা আন্দোলন করে ক্ষমতা থেকে সরাতে পারবে না।

 

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)-এর স্বাধীনতা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন অত্যন্ত স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করে। এর ওপর সরকারের কোন প্রভাব বা নিয়ন্ত্রণ নেই।  দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে দুদক আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছে। বিএনপির খালেদা জিয়া দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত, তারেক রহমান দুর্নীতি করে বিদেশে পালিয়ে আছে। এসব দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে দুদক ব্যবস্থা নিয়েছে। কাজেই, বিএনপি দুদককে বিএনপি দমন কমিশন বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করতে চাচ্ছে। 

 

অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের  সদস্য স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. আ ফ ম রুহুল হক, প্রেসিডিয়াম সদস্য ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, সংসদ সদস্য মীর মোস্তাক আহমেদ রবি ও এসএম জগলুল হায়দার, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুল হক, সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নরীম আলী মুন্সি, সাধারণ সম্পাদক এনামুল হোসেন প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। 

 

#

কামরুল/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৯৮

 

সার্বিক সহযোগিতা পেলে টেনিস অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবে

                                                ---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :

 

‘আইটিএফ এশিয়া অনূর্ধ্ব-১৪ ডেভেলপমেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপস’ টেনিস প্রতিযোগিতা আজ ঢাকায় শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে উদ্বোধন করেছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

 

প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজন খেলোয়াড় দেশকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে পরিচয় করিয়ে দেয়। ভালো খেলোয়াড়ের অনুসন্ধানে আছি; সে লক্ষ‍্যে কাজ করছি। সার্বিক সহযোগিতা পেলে টেনিস অনেক সম্ভাবনা নিয়ে এগিয়ে যাবে। টেনিস ফেডারেশনে টেনিস অনুরাগী আছেন, ফেডারেশন ছাড়াও অনেক অনুরাগী আছেন; সকলকে নিয়ে টেনিস এগিয়ে যেতে পারবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমন্বিত পরিকল্পনা করে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। টেনিসসহ সকল খেলা তাঁর নেতৃত্বে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। গণমাধ‍্যমে টেনিসকে তুলে ধরলে অনেক খেলোয়াড় উৎসাহিত হয়ে এগিয়ে আসবে।

প্রতিযোগিতায় স্বাগতিক বাংলাদেশসহ ভুটান, চাইনিজ তাইপে, কম্বোডিয়া, লাও, মিয়ানমার, মঙ্গোলিয়া, নেপাল, মালদ্বীপ ও পাকিস্তান মোট ১০টি দলের ২০ জন বালক ও ১৪ জন বালিকা অংশগ্রহণ করছে।

আন্তর্জাতিক টেনিস ফেডারেশনের (আইটিএফ) অনুমোদনক্রমে ও বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের ব্যবস্থাপনায় এ প্রতিযোগিতা ৯ জানুয়ারি শুরু হয়ে চলবে ১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত।

ডেভলপমেন্ট চ্যাম্পিয়নশিপসে দু’টি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম প্রতিযোগিতা ৯-১৩ জানুয়ারি পর্যন্ত এবং দ্বিতীয় প্রতিযোগিতা ১৫-১৯ জানুয়ারি পর্যন্ত শেখ জামাল জাতীয় টেনিস কমপ্লেক্সে অনুষ্ঠিত হবে। দু’টি প্রতিযোগিতার মোট ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০টি দেশ থেকে চারটি দেশ ২০২৪ সালের জন্য রিজিওনাল ইভেন্ট হতে ফাইনাল রাউন্ডে উন্নীত হবে। এছাড়া ব্যক্তিগত ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে একটি দেশ হতে সর্বাধিক দু’জন খেলোয়াড় আইটিএফ দলের অন্তর্ভুক্ত হয়ে এবছর (২০২৩ সালে) ফাইনাল রাউন্ডে খেলার সুযোগ পাবে।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইস্ট কোস্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান আজম জে চৌধুরী। বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশনের সহ-সভাপতি মোঃ মোতাহার হোসেন সাজু, মোঃ সেলিম, নেয়াজ আহমেদ, টুর্নামেন্ট ডিরেক্টর ও সাধারণ সম্পাদক আবু সাঈদ মোহাম্মদ হায়দার এবং আইটিএফ’র প্রতিনিধি জোনাথন স্টাবস উপস্থিত ছিলেন।

#

জাহাঙ্গীর/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৮১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৯৭

 

শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি

                      ---আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্

 

বরিশাল, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :

 

পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণ কমিটির আহ্বায়ক (মন্ত্রী পদমর্যাদা) আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেছেন, শিক্ষা জাতির সার্বিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির চাবিকাঠি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদা পূরণ ও দেশকে এগিয়ে নিতে মানসম্মত শিক্ষাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।  

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ আজ বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলার  সেরালে গৌরনদীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সাথে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন।  

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, রূপকল্প-২০২১ বাস্তবায়নের ধারাবাহিকতায় রূপকল্প-২০৪১ এর লক্ষ্য অর্জনের সবচেয়ে বড় হাতিয়ার শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়ন। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার জাতীয় শিক্ষানীতি ২০১০ প্রণয়ন করেছে। তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা উত্তর যুদ্ধ-বিধ্বস্ত বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থা পুনর্গঠনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিশেষ কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের সংবিধানে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি অংশে শিক্ষার কথা বলা হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ১৯৭২ সালে ড. কুদরত ই-খুদাকে সভাপতি করে বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ১৯৭৩ সালে ভঙ্গুর অর্থনীতির মধ্যেও বঙ্গবন্ধু দেশের দরিদ্র প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সন্তানদের জন্য শিক্ষার সমঅধিকার নিশ্চিত করেন।

 

আবুল হাসানাত আবদুল্লাহ্ বলেন, শিক্ষক ও কর্মচারীদেরকে সরকারের বিদ্যমান সুযোগ সুবিধা কাজে লাগিয়ে মানসম্মত শিক্ষাদান কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার সাথে কাজ করার আহ্বান জানান। তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক সমস্যা সমাধানে সহায়তার আশ্বাস দেন।

 

                                                       #

আহসান/সিরাজ/সঞ্জীব/আব্বাস/২০২৩/১৭১০ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                          নম্বর : ৯৬

 

কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

 

ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :   

 

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী শনিবার সকাল ৮টা থেকে আজ রবিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৭ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। নমুনা পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার শূন্য দশমিক ৮৪ শতাংশ। এ সময় ২ হাজার ৩০ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। 

 

গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত হয়ে কেউ মারা যায়নি। এ পর্যন্ত ২৯ হাজার ৪৪০ জন করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৯৫ জন।

 

#

কবীর/সিরাজ/রেজাউল/২০২৩/১৬৩৫ ঘণ্টা

 

তথ্যবিবরণী                                                                                               নম্বর :৯৫ 

 

অসহায় সাজেদাকে আর্থিক সহায়তা ও শীতবস্ত্র প্রদান করলেন প্রতিমন্ত্রী পলক

 

ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে ভাসমান সাজেদা বেগমকে আর্থিক সহায়তা ও শীতবস্ত্র প্রদান করেছেন।

 

একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলে প্রচারিত প্রতিবেদন দেখে তিনি তাকে খুঁজে বের করেন এবং তার বিস্তারিত খোঁজ খবর নিয়ে নগদ ২০ হাজার টাকা ও শীতবস্ত্র প্রদান করেন। প্রতিমন্ত্রী নিজের গাড়িতে করে সাজেদাকে গ্রামে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন। সাজেদার জমির সমস্যা মিটিয়ে ঘর তৈরি ও পারিবারিকভাবে স্বাবলম্বী করে দিতে তিনলাখ টাকা প্রদান ও তার সন্তানদের জন্য সার্বিক সহায়তা প্রদান করবেন বলে জানান প্রতিমন্ত্রী। সাজেদার বাড়ি প্রতিমন্ত্রীর নির্বাচনি এলাকা নাটোরের সিংড়া উপজেলার ১নং সুকাশ ইউনিয়নের হাসপুকুরিয়া গ্রামে।

 

এছাড়া তিনি কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে অবস্থানরত প্রায় দুই শতাধিক অসহায় ছিন্নমূল মানুষকে কম্বল বিতরণ করেন এবং তাদেরকে নিজের ফোন নম্বরসহ সরাসরি যোগাযোগের কার্ড বিতরণ করেন।

 

এসময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সিংড়া উপজেলায় গৃহহীনদের জন্য ১ হাজার ৩৯০টি ঘর তৈরি করে দেয়া হয়েছে এবং আরও ৩৮৫ জনকে ঘর করে দেয়া হচ্ছে।

#

শহিদুল/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/ইমা/২০২৩/১৬২০ ঘন্টা

 

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                নম্বর : ৯৪

 

বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটিমুক্ত ঘোষণা পরিবেশমন্ত্রীর

 

ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :
 

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন সরকারিভাবে বাংলাদেশকে বিপজ্জনক জৈব রাসায়নিক কীটনাশক ডিডিটিমুক্ত ঘোষণা করেন। মন্ত্রণালয় কর্তৃক চট্টগ্রামের মেডিকেল সাবডিপো হতে ৫০০ টন ডিডিটি অপসারণ এবং বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে অর্জন উপলক্ষ্যে আজ মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে পরিবেশমন্ত্রী এ ঘোষণা দেন। মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার, সচিব ড. ফারহিনা আহমেদ, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আব্দুল হামিদসহ মন্ত্রণালয়ের জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রতিনিধি এসময় উপস্থিত ছিলেন।

 

মন্ত্রী জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ১৯৮৫ সালে ম্যালেরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ৫০০ টন ডিডিটি পেস্টিসাইড আমদানি করেছিল। নিম্নমান বিবেচনায় আমদানিকৃত অব্যবহৃত ডিডিটি চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে মেডিকেল সাবডিপোতে মজুদ রাখা হয়। পরবিশে, বন ও জলবায়ু পরর্বিতন মন্ত্রণালয় গ্লোবাল এনভাইরনমেন্ট ফ্যাসিলিটি এর অর্থায়ন এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার কারিগরি সহায়তায় পেস্টিসাইড রিস্ক রিডাকশন ইন বাংলাদেশ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করে। প্রকল্পটির মাধ্যমে কর্মকর্তাদের নিরলস পরিশ্রমের ফলে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা সত্ত্বেও গতবছরের ১০ ডিসেম্বর এ বিষাক্ত পদার্থ সম্পূর্ণভাবে ফ্রান্সে রপ্তানি করা সম্ভব হয়। মন্ত্রী এসময় সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, এই রপ্তানির ফলে জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ সুরক্ষা সম্ভব হয়েছে। স্টকহোম কনভেনশন কর্তৃক নিষিদ্ধ পণ্য ডিডিটি রপ্তানির সাথে বাংলাদেশের একটি আন্তর্জাতিক অঙ্গীকার পূর্ণ হলো।

 

প্রেস ব্রিফিং এর দ্বিতীয় পর্বে মন্ত্রী ৭-১৯ ডিসেম্বর ২০২২ সময়ে কানাডার মন্ট্রিলে অনুষ্ঠিত বিশ্ব জীববৈচিত্র্য সম্মেলনে অর্জন বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, এ সম্মেলনের মধ্যে হাই-লেভেল সেগমেন্টে বাংলাদেশের পক্ষে প্রদত্ত বক্তব্যে ২০২০ পরবর্তী গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়নে উন্নত বিশ্বকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণ সহায়তা বাড়ানো এবং বিশ্বের মোট জিডিপি-এর অন্তত ১ ভাগ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ব্যয় করতে আহ্বান জানানো হয়।

 

তিনি জানান, এবারের সম্মেলনে ২০৫০ সনের মধ্যে ‘লিভিং হারমোনি উইথ নেচার’ রূপকল্প এবং ২০৩০ সনের মধ্যে জীববৈচিত্র্য ও ইকোসিস্টেমের ক্ষতিসাধন রোধ ও রক্ষার অভিলক্ষ্য নিয়ে ‘কুনমিং-মনট্রিল গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক’ গৃহীত হয়। উক্ত ফ্রেমওয়ার্কে ৪টি অভীষ্টের আওতায় ২৩টি লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম লক্ষ্য হলো পৃথিবীব্যাপী ৩০ ভাগ স্থল এবং জলজ পরিবেশকে সংরক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা এবং জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সকল উৎস হতে প্রতি বছর কমপক্ষে ২০০ বিলিয়ন ইউএস ডলার অর্থায়ন নিশ্চিত করা; উন্নত বিশ্ব হতে উন্নয়নশীল ও অনুন্নত বিশ্বে ২০২৫ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কমপক্ষে ২০ বিলিয়ন ডলার এবং ২০৩০ সাল পর্যন্ত প্রতি বছর কমপক্ষে ৩০ বিলিয়ন ডলার অর্থায়ন নিশ্চিত করা। উক্ত ফ্রেমওয়ার্কের আওতায় দেশের ‘ন্যাশনাল বায়োডাইভারসিটি স্ট্র্যাটেজি এন্ড অ্যাকশন প্ল্যান’ আপডেট করা হবে।

 

মন্ত্রী আরো জানান, সম্মেলনে সাসটেইনেবল ওয়াইল্ডলাইফ ম্যানেজমেট, নেচার এন্ড কালচার, কোস্টাল এন্ড মেরিন বায়োডাইভারসিটি, বায়োডাইভারসিটি এন্ড এগ্রিকালচার, বায়োডাইভারসিটি এন্ড ক্লাইমেট চেইঞ্জ, ইনভেসিভ এলিয়েন স্পেসিজ, সিন্থেটিক বায়োলজি ইত্যাদি শিরোনামে আরও কয়েকটি ডকুমেন্টস গৃহীত হয়। উক্ত ডকুমেন্টস নিয়ে সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়/বিভাগ, দপ্তর/সংস্থার সঙ্গে সভা করে পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে। উন্নত বিশ্ব যাতে পর্যাপ্ত আর্থিক, কারিগরি এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা পেতে পারে এবং সে লক্ষ্যে এগিয়ে আসে সেজন্য বাংলাদেশ অন্যান্য দেশের সাথে একাত্ম হয়ে সম্মেলনে আহ্বান করেছে। সম্মেলনে সিদ্ধান্ত হয়েছে, গ্লোবাল এনভায়রনমেন্ট ফ্যাসিলিটি কর্তৃক ২০২৩ সালের মধ্যে গ্লোবাল বায়োডাইভারসিটি ফ্রেমওয়ার্ক তহবিল (জিবিএফ) প্রতিষ্ঠা করা হবে। মন্ত্রী জানান, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জিবিএফ বাস্তবায়ন তথা জীববৈচিত্র্য এবং প্রতিবেশ সংরক্ষণের জন্য ৩৫০ মিলিয়ন ডলার আর্থিক সহায়তা প্রদান করবেন মর্মে অঙ্গীকার করেছেন।

 

                                                             #
দীপংকর/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/ইমা/২০২৩/১৬২০ ঘন্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৯৩

 

রেশমশিল্পকে মডেল হিবেবে প্রতিষ্ঠা করাই সরকারের লক্ষ্য

                                                  - বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৪ পৌষ (৮ জানুয়ারি) :   

 

 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বীরপ্রতীক বলেছেন, বাংলাদেশের রেশমশিল্পকে একটি মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার কাজ করছে। এ শিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার নানামুখী কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করছে।

আজ দুপুরে বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব মোঃ আব্দুর রউফ, রাজশাহী বিভাগীয় কমমিশনার জি এস এম জাফরউল্লাহ্‌ এনডিসিসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। 

মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ রেশম উন্নয়ন বোর্ড প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিকে ধরে রেখে রেশম শিল্পকে এগিয়ে নিতে উদ্যোগী হতে হবে। রেশম বাংলাদেশের ঐতিহ্য। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার এই শিল্পকে আধুনিক ও বিশ্বমানের করে গড়ে তুলতে কাজ করছে। এই শিল্পের ঐতিহ্য বিশ্বব্যাপী তুলে ধরতে এ শিল্পকে আধুনিকায়ন করা হবে। রেশমের সুতা উৎপাদনে প্রযুক্তির ব্যবহার তাঁতশিল্পকে অধিকতর মানসম্পন্ন করে তুলবে।

তিনি বলেন, কিভাবে রেশমশিল্পকে লাভজনক শিল্প হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা যায় এখন আমাদেরকে সে বিষয়ে তৎপর থাকতে হবে। যেন আমরা রেশম ঐতিহ্য ধরে রাখতে পারি। রেশম শিল্পের সম্প্রসারণ ও উন্নয়নের মাধ্যমে দারিদ্র্যমোচনের লক্ষ্যে সরকার দেশব্যাপী তুঁতচাষ কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

মন্ত্রী বলেন, কম খরচে উন্নতমানের রেশম কাপড় তৈরি করার জন্য প্রযুক্তির উৎকর্ষ অপরিহার্য। এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্টদের উন্নত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে হবে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত সুতার ওপর প্রায় ৬০ শতাংশ কর আরোপ করার পরেও প্রতিযোগী দেশের সাথে পেরে ওঠা যাচ্ছে না। তাই আমাদের সমস্যাগুলো খুঁজে বের করতে হবে। প্রযুক্তির সহযোগিতা নিয়ে তা সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। যাতে আমরা বিদেশের চেয়ে ভালোমানের সুতা ও কাপড় উৎপাদন করতে পারি। তিনি আরো বলেন, রাজশাহী মানে রাজশাহীর সিল্ক। এটাকে টিকিয়ে রাখার ব্যবস্থা সরকার করবে। এজন্য এই শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। রেশম শিল্পকে আধুনিক ও লাভজনক করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

#

সৈকত/পরীক্ষিৎ/শাম্মী/আসমা/২০২৩/১৩৪৫ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                        নম্বর : ৯২

 

মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র পেশ

যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সাথে তাদের স্থায়ী অংশীদারিত্বকে গুরুত্ব দেয়

                                                                - জো বাইডেন

 

ওয়াশিংটন, ডিসি (৮ জানুয়ারি) :

  

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ঢাকার সঙ্গে তাদের স্থায়ী অংশীদারিত্বের কথা উল্লেখ করে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির অসাধারণ অগ্রগতির প্রশংসা করেছেন। 2022 সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্কের 50তম বার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে যুক্তরাষ্ট্রে স্থায়ী অংশীদারিত্বের বিষয়টিকে তিনি গুরুত্বের সাথে স্মরণ করেন।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ইমরানের পরিচয়পত্র গ্রহণকালে এক লিখিত বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। গতকাল হোয়াইট হাউজে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় রাষ্ট্রদূত ইমরান মার্কিন প্রেসিডেন্টকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শুভেচ্ছা জানান।

যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে জো বাইডেন বলেন, আগামীর সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করে দুদেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক সম্প্রসারণের জন্য মার্কিন প্রশাসন তার সাথে কাজ করার জন্য আগ্রহী।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট তার লিখিত মন্তব্যে গত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে ‘একটি অসাধারণ গল্প’ হিসেবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আন্তর্জাতিক বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জলবায়ু পরিবর্তন, মানবিক, উদ্বাস্তু, জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা, এবং সন্ত্রাস দমন, সামুদ্রিক এবং অন্যান্য নিরাপত্তা ইস্যুতে বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। জো বাইডেন বলেন, বাংলাদেশ তার বৃহত্তর কৃষিভিত্তিক অর্থনীতিকে একটি আঞ্চলিক অর্থনৈতিক শক্তিতে প্রসারিত করেছে যা বৈশ্বিক সাপ্লাই চেইনে একটি প্রধান অংশগ্রহণকারী হতে প্রস্তুত।

প্রায় ১০ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বলেন, তারা এই উদ্বাস্তু ও তাদের আশ্রয়দাতা সম্প

2023-01-08-15-08-9a7f8a2aef004817412f8234ef0edbe9.docx