Wellcome to National Portal
তথ্য অধিদফতর (পিআইডি) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Text size A A A
Color C C C C

সর্ব-শেষ হাল-নাগাদ: ১১ অক্টোবর ২০২০

তথ্যবিবরণী 11/10/2020

তথ্যবিবরণী                                                                                                             নম্বর : ৩৮৬৪

সেনাবাহিনী ও বিএসসিএল এর মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত

স্যাটেলাইট পরিচালনায় দেশ এক উত্তম সহযোগীকে সাথে পেল

                                       -- টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-এর মাধ্যমে প্রত্যন্ত দ্বীপ, চর ও হাওরসহ দুর্গম অঞ্চলের সাথে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করার কাজ শুরু হয়েছে। তিনি স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, সম্প্রসারণ এবং ব্যবস্থাপনায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড (বিএসসিএল) এই উভয় সংগঠনই যথাযথ অবদানের ক্ষেত্র সৃষ্টির মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’ নির্মাণের অগ্রযাত্রায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন, এর মধ্য দিয়ে স্যাটেলাইট পরিচালনায় দেশ এক উত্তম সহযোগীকে সাথে পেল।

          মন্ত্রী আজ ঢাকায় ওয়েবিনারে সেনাসদর সিগন্যালস্ পরিদপ্তর ও আইটি পরিদপ্তর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চিফ অব জেনারেল স্টাফ লেঃ জেনারেল মোঃ সফিকুর রহমান, বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানি লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ড. শাহজাহান মাহমুদ প্রমুখ বক্তৃতা করেন। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সিগন্যাল পরিদপ্তর এবং আইটি পরিদপ্তরের পদস্থ কর্মকর্তাগণ এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ও অধীন সংস্থাসমূহের প্রধানগণ সংয্ক্তু ছিলেন।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী সেনাসদর, সিগন্যালস্ পরিদপ্তর ও আইটি পরিদপ্তরের সাথে বাংলাদেশ স্যাটেলাইট কোম্পানির মথ্যে স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারককে ঐতিহাসিক এক মাইলফলক আখ্যায়িত করে বলেন, এটি আমাদের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশকে সোনার বাংলা হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১৯৭৫ সালের ১৪ জুন বেতবুনিয়ায় ভূ-উপগ্রহ কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৯৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাকাশে স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ মহাকাশে উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ পৃথিবীর ৫৭তম স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণকারী দেশ হিসেবে বিশ্বসভায় বাংলাদেশকে তুলে ধরেছেন। শুধু তাই নয় আমাদের মেধাবী তরুণরাই দক্ষতার সাথে স্যাটেলাইট পরিচালনা করছে। এর আগে বিটিসিএল এর সাথে সেনাসদরের সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের উল্লেখ করে মোস্তাফা জব্বার বলেন, বিটিসিএল ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য ডিজিটাল মহাসড়ক তৈরি করতে, ওয়ারল্যাস নেটওয়ার্ক তৈরিতে টেলিটক, দুর্গম এলাকায় নেটওয়ার্ক তৈরির জন্য স্যাটেলাইট এবং ব্যান্ডউডথ সরবরাহের জন্য সাবমেরিন ক্যাবল সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে। করোনা ক্রান্তিকালে চিকিৎসাসেবা ডিজিটাল কানেকটিভিটির মাধ্যমে হচ্ছে।

          ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী বলেন, সমঝোতা স্মারকের আওতায় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কারিগরি জনবল উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ, সেমিনার, কর্মশালার মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান আদান-প্রদান সম্ভব হবে। উল্লেখ্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি স্যাটেলাইট হাব স্টেশন স্থাপন এবং নয়টি অটোট্রাকিং টার্মিনালস্টেশন স্থাপন প্রক্রিয়া প্রায় সম্পন্ন করেছে। যা পরিচালনার জন্য বিএসসিএল হতে প্রয়োজনীয় তরঙ্গ গ্রহণের প্রয়োজন রয়েছে। এই সমঝোতা স্মারকের আওতায় সেনাসদর, সিগন্যালস্ ও আইটি পরিদপ্তর, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এবং বিএসসিএল তাদের নিজেদের দক্ষ জনবল কাজে লাগিয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে অত্যাধুনিক স্যাটেলাইট যোগাযোগ ব্যবস্থা দ্বারা উন্নত টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো নির্মাণে বিশেষ ভূমিকা সমঝোতা স্মারকের আওতায় সেনাবাহিনীর সিগন্যাল কোরের কারিগরি জনবল উন্নত প্রযুক্তি সম্পর্কে ব্যবহারিক ক্ষেত্রে কাজ করার সুযোগ পাবে। একই সঙ্গে প্রশিক্ষণ, সেমিনার, কর্মশালার মাধ্যমে লব্ধ জ্ঞান আদান-প্রদান সম্ভব হবে।

#

শেফায়েত/সাহেলা/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২১১০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                               নম্বর : ৩৮৬৩

শিক্ষার্থীদেরকে ডিজরাপটিভ টেকনোলজি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হবে

                                                             -- আইসিটি প্রতিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

          তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক বলেছেন, মাধ্যমিক পর্যায় থেকেই শিক্ষার্থীরা যেন শুধু পাঠ্যপুস্তকের মাঝে সীমাবদ্ধ না থাকে সে জন্য স্কুল অভ্ ফিউচার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে তরুণ প্রজন্ম ডিজরাপটিভ টেকনোলজি বিষয়ে হাতেকলমে শিক্ষা নিয়ে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের নেতৃত্ব দিতে পারবে।

          প্রতিমন্ত্রী আজ ডিজিটাল প্লাটফর্মে যুক্ত হয়ে ফাউন্ডার্স ইনস্টিটিউট বাংলাদেশ আয়োজিত ভিআইপি লঞ্চ মিকচার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১১ বছরে দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সঠিক অবকাঠামো গড়ে ওঠার কারণেই  শত শত স্টার্টআপ ও তরুণ স্বপ্ন পূরণে অনুপ্রেরণা পাচ্ছে। সরকার দেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম গড়ে তুলতে বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

          প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, বাঙালির ডিএনএতে আছে উদ্যোক্তা হওয়ার উপাদান। আর সে কারণেই গ্রামের মা-বোনেরা ঘরে তৈরি এক বয়াম আচার অনলাইনে বিক্রি শুরু করেছে। অপরদিকে শহরের তরুণ উদ্যোক্তারা ক্লাউড কম্পিউটিং, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লকচেইনের মতো প্রযুক্তি নিয়ে নতুন নতুন উদ্যোগ নিচ্ছে।

#

শহিদুল/নাইচ/সঞ্জীব/জয়নুল/২০২০/২০০০ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                                                  নম্বর : ৩৮৬২

নেতাকর্মীদের কাছে অপ্রিয় বিএনপি মানুষের কাছে কিভাবে প্রিয় হবে-প্রশ্ন তথ্যমন্ত্রীর

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :  

            ‘বিএনপি নেতারা তাদের নেতাকর্মীদের কাছে অপ্রিয়, তারা দেশের মানুষের কাছে কিভাবে প্রিয় হবে’ প্রশ্ন রেখেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহ্‌মুদ।

            আজ রাজধানীতে জাতীয় প্রেসক্লাবে চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরাম আয়োজিত করোনাকালীন মৃত্যুবরণকারী চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় সাংবাদিকের স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি একথা বলেন।

            বিএনপির নেতা নজরুল ইসলাম খানের মন্তব্য ‘ফ্যাসিবাদী সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলন গড়ে তুলতে হবে’ এবং ‘মির্জা ফখরুলের বাসায় পচা ডিম নিক্ষেপ’ বিষয়ে সাংবাদিকরা দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ড. হাছান বলেন, ‘বিএনপি তো আমরা ২০০৯ সালে সরকার গঠনের পর থেকেই বলে আসছে- এই সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে, এই সরকারকে সময় দেয়া যাবে না। আর আমরা দেখছি, বিএনপি যখন সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের কথা বলছে, তখন তাদের দলের মধ্যেই আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে।’

            ‘মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের বাসায় নেতাকর্মীরা ঢিল আর পচা ডিম ছুঁড়েছে, উত্তরবঙ্গে মিটিং করতে গিয়ে তাদের দুই পক্ষ মারামারি করে মিটিং পণ্ড করে দিয়েছে-এভাবে যারা নিজেদের দলই সামলাতে পারে না, যারা নিজেদের কর্মীদের কাছে অপ্রিয়, তারা দেশের মানুষের কাছে কিভাবে প্রিয় হবে’ প্রশ্ন রেখে মন্ত্রী বলেন, ‘সুতরাং তাদের এসমস্ত আন্দোলনের বুলি হচ্ছে ফাঁকা বুলি। আর মির্জা ফখরুল সাহেব আরো বলেছেন, সরকারকে আর কোনো সময় দেয়া হবে না। কিন্তু সরকারকে সময় দেয়ার মালিক হচ্ছে জনগণ। ফখরুল ইসলাম কোনোদিন সময় দিতে চাননি, কিন্তু জনগণ পরপর তিনবার জননেত্রী শেখ হাসিনাকে সময় দিয়েছে এবং প্রায় ১২ বছর ধরে প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আছেন।’

            ‘বিএনপি ২০১৮ সালের নির্বাচনে ৩০০ আসনে প্রায় ৯০০ নমিনেশন দিয়েছিল। এই ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে কখনো ঘটেনি এবং ভবিষ্যতেও ঘটবে কি-না সন্দেহ আছে’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, ‘পত্র-পত্রিকার খবরে জানা, ৯০০ নমিনেশন দেয়ার কারণ হচ্ছে যার কাছ থেকে বেশি চাঁদা পাওয়া গেছে, তাকে নমিনেশন দেয়া হয়েছে। আবার সেই চাঁদার থেকে বেশি যে দিয়েছে, আগেরটা বাদ দিয়ে তাকে দেয়া হয়েছে। এবার উপনির্বাচনেও নিশ্চয় এ ধরণের ঘটনা ঘটেছে, যার জন্য মনোনয়ন বঞ্চিতরা, পদ বঞ্চিতরা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে।’

            ‘আমি বিএনপিকে পরামর্শ দেবো, আগে নিজের দলটা গোছানোর জন্য, নিজেদের কর্মীদের মধ্যে যে বিশৃঙ্খলা, যে বিক্ষোভ, সেটি আগে সামলানোর জন্য’, বলেন হাছান মাহ্‌মুদ।

            এর আগে সভায় তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহ্‌মুদ এবং আমন্ত্রিত বক্তারা চট্টগ্রাম বিভাগের ছয় প্রয়াত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক হিসেবে গেদুচাচা নামে খ্যাত আজকের সূর্যোদয় পত্রিকার প্রধান সম্পাদক খোন্দকার মোজাম্মেল হক, বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার সাবেক প্রধান সম্পাদক ভাষাসৈনিক ডি পি বড়ুয়া, দৈনিক দেশবাংলার সাবেক সম্পাদক ও প্রকাশক ড. ফেরদৌস আহমেদ কোরেশী, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুস শহিদ, দৈনিক ইত্তেফাকের সম্পাদনা বিভাগের সাবেক প্রধান আবুল কালাম ও দৈনিক সময়ের আলো’র সাবেক প্রধান প্রতিবেদক হুমায়ুন কবির খোকনের সাংবাদিকতায় অবদান স্মরণ করে তাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান ও তাদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনায় অংশ নেন। তাদের স্মরণ সভায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। 

            চট্টগ্রাম বিভাগ সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি মোঃ মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব শাহীন উল ইসলাম চৌধুরীর সঞ্চালনায় প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফরিদা ইয়াসমিন, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদ, জাতীয় প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব আব্দুল জলিল ভূঁইয়া, দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতন, ছয় প্রয়াত জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকের পরিবারের সদস্যরা ও সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ সভায় অংশ নেন।

#

আকরাম/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯৩৫ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৮৬১

 

ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর শোক

 

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :  

 

          একুশে পদকপ্রাপ্ত ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ ।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ এক শোকবার্তায় মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।

 

          শোকবার্তায় প্রতিমন্ত্রী জানান, মির্জা মাজহারুল ইসলাম মহান ভাষা আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। প্রথম শহীদ মিনারের পরিকল্পনা ও নির্মাণে তাঁর রয়েছে বিশেষ অবদান। মহান ভাষা আন্দোলন ও মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য বাঙালি জাতি এ ভাষা সংগ্রামীর নিকট চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।

 

          উল্লেখ্য, ভাষাসৈনিক অধ্যাপক ডা. মির্জা মাজহারুল ইসলাম (৯৩) আজ সকালে রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন। 

 

#

ফয়সল/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৯০৭ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৮৬০

 

বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করে ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে

                                                                                        ---নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী

 

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :  

 

          নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশে যখন আইনের শাসনকে পদদলিত করা হয় তখন অপরাধমূলক বিষয়গুলোয় মানুষ প্রশ্রয় পায়। মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় যারা ধর্ষণ, লুটতরাজ, অগ্নিসংযোগের মতো অপরাধের সাথে জড়িত ছিল; দালাল আইনে যাদের বিচার হচ্ছিল। ’৭৫-এর ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করা হয়েছে। ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়, সামাজিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে।

 

          প্রতিমন্ত্রী আজ সচিবালয়স্থ তাঁর দফতরে বাংলাদেশ নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল মোহাম্মদ শাহীন ইকবাল সাক্ষাৎ করতে এলে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।

 

          খালিদ মাহ্‌মুদ চৌধুরী বলেন, আজকে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ধর্ষকদের বিচার হয়েছে, অপরাধীদের বিচার হয়েছে, খুনিদের বিচার হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ধারাবাহিকভাবে তিন মেয়াদের সরকার কোনো ধরনের অপরাধীদের ছাড় দেয়নি। ব্যাংকের টাকা আত্মসাৎ থেকে শুরু করে যারা ধর্ষণের সাথে জড়িত এবং যারা বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িত আমরা কোনো কিছু লুকাইনি, সবকিছু জনসম্মুখে নিয়ে এসেছি। তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে এবং এ ব্যাপারে বর্তমান সরকারের জিরো টলারেন্স।

 

          প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘আইনমন্ত্রী বলেছেন, এ আইন আরো শক্ত করা হচ্ছে, পরবর্তী কেবিনেট সভায় তিনি সেটি উপস্থাপন করার অভিপ্রায় ব্যক্ত করেছেন।’’ তিনি বলেন, সরকার অত্যন্ত দৃঢ় ভূমিকায় রয়েছে। যেকোন অপরাধকে আইনের আওতায় এনে বিচারের জন্য যখন একটি সংস্কৃতি পুরোপরি গড়ে উঠবে তখন এ ধরণের অপরাধীরা আর অপরাধ করবে না। তখন এ বিষয়গুলো আরো স্বস্তিদায়ক হবে।

 

#

জাহাঙ্গীর/নাইচ/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৮২১ ঘণ্টা

তথ্যবিবরণী                                                                                                              নম্বর : ৩৮৫৯

ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করছে সরকার

দেশে প্রথম হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম উদ্বোধনকালে কৃষিমন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :

          চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার ভরাশঙ্কে দেশের প্রথম হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম উদ্বোধন করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মোঃ আব্দুর রাজ্জাক। আজ কৃষি মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষ থেকে অনলাইনে মন্ত্রী এ ড্যামের উদ্বোধন করেন। এ সময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং কৃষি সচিব মোঃ নাসিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

          মন্ত্রী বলেন, সরকার ভূ-উপরিস্থ পানি ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করছে । ভূ-উপরিস্থ পানি ধরে রেখে কিভাবে সেচ কাজে বা ফসল আবাদে ব্যবহার করা যায় সে লক্ষ্যে সরকার কাজ করছে ।    সেজন্য পাইলটভিত্তিতে দেশের প্রথম এই হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হয়েছে। বোরো ধান চাষসহ সেচ কাজে ব্যবহারের ফলে দেশে পানির স্তর নিচে নেমে যাচ্ছে। সেজন্য ভূ-উপরিস্থ পানি ধরে রেখে সেচ কাজে ব্যবহার করার জন্য সারা দেশে এ রকম আরো হাইড্রোলিক এলিভেটর ড্যাম নির্মাণ করা হবে।

          ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ কৃষিভিত্তিক দেশ, কৃষির কোনো বিকল্প নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় ২৫ বছর পূর্বেই কৃষক বাঁচাও আন্দোলন করেছিলেন। আজ তাঁর নেতৃত্বেই কৃষিবিপ্লব ঘটিয়ে বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অন্যান্য অনেক দেশের তুলনায় আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধির হার অনেক ভালো এবং এই ভালো প্রবৃদ্ধির হারে সবচেয়ে বেশি অবদান কৃষির।

          ড্যামটি নির্মাণের ফলে আনোয়ারা উপজেলার বরুমচড়া, বারখাইন, হাইলদর, বটতলী, চাতুরী ও আনোয়ারা ইউনিয়নের প্রায় তিন হাজার হেক্টর জমিতে সেচ সুবিধা সম্প্রসারণ হয়েছে যেখানে উৎপাদিত খাদ্য শস্যের পরিমাণ প্রায় ১৩ হাজার ৫০০ মে. টন এবং এর বাজার মূল্য প্রায় ২৪ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তাছাড়া শুকনো মৌসুমে (জানুয়ারি থেকে মে মাসে) জোয়ারের সাথে আগত লোনা পানির প্রভাব থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার এলাকার ফসল ও গাছপালা রক্ষা করা সম্ভব হবে এবং আনোয়ারা উপজেলায় কৃষি উপযোগী পরিবেশ সৃষ্টি হবে।

          বিএডিসির চেয়ারম্যান মোঃ সায়েদুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিএডিসির সদস্য পরিচালক (ক্ষুদ্র সেচ) মোঃ আরিফ, রাবার ড্যাম নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক প্রকৌশলী ধীরেন্দ্র চন্দ্র দেবনাথ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। এ সময় বিএডিসির প্রধান প্রকৌশলী, প্রকল্প পরিচালক-সহ বিএডিসির অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং জনপ্রতিনিধিগণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

#

কামরুল/ফারহানা/মোশারফ/জয়নুল/২০২০/১৮১৫ঘণ্টা 

তথ্যবিবরণী                                                                                                      নম্বর : ৩৮৫৮

কোভিড-১৯ (করোনা ভাইরাসসংক্রান্ত সর্বশেষ প্রতিবেদন

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর) :  

          স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এবং রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান (আইইডিসিআর)-এর তথ্যানুযায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৯ হাজার ৪৬৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১ হাজার ১৯৩ জনের শরীরে করোনা সংক্রমণ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ২৬৬ জন।

          গত ২৪ ঘণ্টায় ২৪ জন-সহ এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৫২৪ জন এ রোগে মৃত্যুবরণ করেছেন।

          করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের মধ্যে এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৯২ হাজার ৮৬০ জন।

#

হাবিবুর/ফারহানা/মোশারফ/আব্বাস/২০২০/১৭৩৬ ঘণ্টা

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                       নম্বর : ৩৮৫৭

রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু না হওয়ায় চীনের রাষ্ট্রদূতের উদ্বেগ

ঢাকা,  ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর):

রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া এখনও শুরু না হওয়ায় বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং উদ্বেগ প্রকাশ করেন। চীনের রাষ্ট্রদূত আজ ঢাকায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সাথে সাক্ষাৎকালে এ উদ্বেগ প্রকাশ করেন।

এসময় ড. মোমেন রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসনে চীনের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দীর্ঘায়িত হলে তারা এ এলাকার নিরাপত্তার জন্য হুমকি হয়ে উঠবে। কিছু রোহিঙ্গা মাদক পাচারের সাথে জড়িত হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সম্প্রতি দু’দল রোহিঙ্গার সংঘর্ষে ৮ জন মারা গেছে। কাঁটাতারের বেড়া না থাকায় এ জাতীয় ঘটনা উত্তরোত্তর বাড়ছে। প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া দেরি হওয়ায় দিনে দিনে রোহিঙ্গা এবং বিদেশি সাহায্যকারী প্রতিষ্ঠানের ওপর স্থানীয় জনগণের অসন্তুষ্টি ঘনিভূত হচ্ছে।

মিয়ানমার বাংলাদেশ সীমান্তে সৈন্য সমাবেশ ঘটানোর ফলে বাংলাদেশের উদ্বেগের বিষয়টি পররাষ্ট্রমন্ত্রী তুলে ধরেন। ড. মোমেন উল্লেখ করেন, রোহিঙ্গাদের জন্য মানবিক সাহায্য প্রদান এবং জীবনমানের উন্নয়ন এ সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ঠ নয়। বরং তাদের প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এসমস্যার স্থায়ী সমাধান দরকার। চীনের রাষ্ট্রদূত এ বিষয়ে একমত প্রকাশ করেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পিরোজপুরে চীনের নাগরিক হত্যাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হবে এবং সরকার এবিষয়ে অত্যন্ত তৎপর। এ ঘটনার প্রধান আসামীসহ দু’জনকে ইতোমধ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে।

করোনা মহামারির কারণে আটকে পড়া চীনে অধ্যয়নরত বাংলাদেশের ছাত্র-ছাত্রীদের ভিসা নবায়নের বিষয়ে চীন সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান ড. মোমেন। ছাত্র-ছাত্রীদের বিষয়ে চীন সরকার দ্রুত সিদ্ধান্ত নিবে বলে চীনের রাষ্ট্রদূত পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেন। লি জিমিং বলেন, ইতোমধ্যে ব্যবসায়ী ও পারিবারিক পূনর্মিলনের ক্ষেত্রে ভিসা দেওয়া শুরু হয়েছে।

চীনের রাষ্ট্রদূত জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান রচিত  ‘আমার দেখা নয়াচীন’ বইটি চীনা ভাষায় অনুবাদ করা হচ্ছে এবং তা খুব শীঘ্রই প্রকাশিত হবে। চীনের সাথে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক উপলক্ষ্যে শুভেচ্ছা জানানোর জন্য রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তিনি ধন্যবাদ জানান। এছাড়া চীনের রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে লেখা সেদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই’র একটি চিঠি হস্তান্তর করেন। এতে  হংকং চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে উল্লেখ করায় ড. মোমেনকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ধন্যবাদ জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক চীন নীতির প্রতি বাংলাদেশের সমর্থন পূনর্ব্যক্ত করেন।

#

তৌহিদুল/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/মামুন/কুতুব/২০২০/১৬১৫ ঘণ্টা  

 

 

তথ্যবিবরণী                                                                                                                   নম্বর : ৩৮৫৬

সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে

                            -পরিবেশ মন্ত্রী

ঢাকা, ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর):  

          পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার সবসময় জনগণের পাশে আছে। করোনাভাইসের কারণে সারাবিশ্ব বিপর্যস্ত হলেও বাংলাদেশ সরকার ও আওয়ামী লীগ সবসময় অসহায় ও দরিদ্র জনগণের পাশে থেকে সাহায্য করেছে ফলে কেউই না খেয়ে থাকেনি। এ সময় তিনি বৈশ্বিক এ মহামারিকালে স্বাস্থ্যবিধি মেনে আসন্ন দুর্গোৎসব উদযাপনের আহ্বান জানান।

          আজ বড়লেখা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শারদীয় দুর্গাপূজা ২০২০ উদ্‌যাপন উপলক্ষ্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে প্রাপ্ত ১২৯ টি সার্বজনীন পূজামণ্ডপে ৬৪.৫০০ মে: টন জি.আর চালের ছাড়পত্র (ডিও) প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

          সাম্প্রতিক ধর্ষণের ঘটনা উল্লেখ করে পরিবেশ মন্ত্রী বলেন, কুলাঙ্গার ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির ব্যবস্থা করলেই সমাজকে ধর্ষণমুক্ত করা যাবে না। ধর্ষকদের সামাজিকভাবে বয়কট করতে হবে। ধর্ষকদের পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন জনসমক্ষে ধর্ষকদের বর্জনের ঘোষণা না দিলে তাদেরকেও বয়কট করতে হবে। ধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে মন্ত্রী এসময় ধর্ষকদের নিজ নিজ এলাকায় ঢুকতে না দেয়ার জন্য উপস্থিত জনপ্রতিনিধিদের প্রতি এবং আইনী সহায়তা না দেয়ার জন্য আইনজীবীদের প্রতি আহ্বান জানান।

          অনুষ্ঠানে অসহায় ও কর্মহীন ২০০ পরিবারের প্রতিটির মাঝে চাল, ডাল, লবণ, চিনি, নুডলস ও সয়াবিন তেল সহ খাবারের প্যাকেট বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মন্ত্রী দুর্যোগ ব্যবস্থা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এর অর্থায়নে ৩ কোটি ৪৮ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা ব্যয়ে পাকশাইল আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় বন্যা আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন।

#

দীপংক

তথ্যবিবরণী                                                                                                     নম্বর : ৩৮৫৫

মৎস্যকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই

                   - মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী

ঢাকা,  ২৬ আশ্বিন (১১ অক্টোবর):

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, বর্তমান সময়ে আমরা মৎস্য খাতকে চ্যালেঞ্জিং খাত হিসেবে নিতে চাই। দেশের অর্থনীতিকে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করার খাত হবে মৎস্য খাত। সেটা কিভাবে করা যায়, সেজন্য পরিকল্পনা নিতে হবে। দেশের মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে মৎস্য খাতের উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি সমৃদ্ধ করাকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিতে হবে। করোনাকালে পোশাকশিল্প ও প্রবাসী আয় বাধাগ্রস্ত হলে বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে মৎস্য খাতকে প্রতিষ্ঠিত করতে হবে।

আজ রাজধানীর বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল মিলনায়তনে বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএফআরআই) আয়োজিত ইনস্টিটিউটের বার্ষিক গবেষণা অগ্রগতি (২০১৯-২০) পর্যালোচনা ও পরিকল্পনা প্রণয়ন (২০২০-২১) শীর্ষক কর্মশালার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।

[[[
          মন্ত্রী বলেন, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় শরীরের পুষ্টি বাড়াতে এবং আমিষের চাহিদা মেটাতে মৎস্য চাষ সমৃদ্ধ করা, সম্প্রসারিত করা এবং গবেষণা বিস্তৃত করার কোন বিকল্প নাই। করোনাকালে অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে একটা নতুন অধ্যায় সৃষ্টি করতে পারে মৎস্য খাত। দেশের বাইরে থেকে আসা এবং দেশের অভ্যন্তরে থাকা বেকারদের কর্মসংস্থান করতে, উদ্যোক্তা সৃষ্টি করে দারিদ্র্য দূরীকরণের মাধ্যমে গ্রামীণ অর্থনীতিকে সচল করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় খাত হতে পারে এ খাত। অর্থনৈতিক উন্নয়নের নতুন দিগন্ত হতে পারে মৎস্য খাত। এটা আমাদের সবাইকে বিবেচনায় রাখতে হবে।

 

বিলুপ্তপ্রায় দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের সাফল্যের কথা উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, নদী-নালা, খাল-বিল, সমুদ্রবিধৌত এই বদ্বীপের গ্রাম-গঞ্জে সৃষ্ট মৎস্য সংকট উত্তরণের জায়গায় নিয়ে এসেছে মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউট। দেশীয় মাছ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি মাছের আকার ও স্বাদ ফিরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। সফলতাকে আরো বাড়াতে হবে। মাছের অভায়শ্রম বাড়াতে হবে। অভায়শ্রম থেকে মা ও পোনা মাছ ধরা বন্ধে মানুষকে সচেতন করতে হবে।

[
 

অনুষ্ঠানে বিএফআরআই-এর মহাপরিচালক ড. ইয়াহিয়া মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদ। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস আফরোজ, মৎস্য অধিদপ্তর ও বিএফআরআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, মৎস্য বিজ্ঞানী, সম্প্রসারণকর্মী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধি, মৎস্য সেক্টরের সাথে সম্পৃক্ত উদ্যোক্তা ও মৎস্য চাষিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে মন্ত্রী কর্মশালার উদ্বোধন করেন। কর্মশালায় ইনস্টিটিউট হতে পরিচালিত ৪৮টি গবেষণা প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি উপস্থাপন করা হয়।[

[
          #

ইফতেখার/অনসূয়া/পরীক্ষিৎ/মামুন/কুতুব/২০২০/১৬২০ ঘণ্টা

2020-10-11-21-15-365587b7acb3f0107552228bfc1143a0.docx